উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika Web Megazine- 25/09/2020
হাইকু কবিতা
শংকর হালদার
০১।
তব হাসিতে
হাজার শ্লোক গাঁথা
জাগে পৃথিবী ।
০২।
কালো শাসন
সাম্রাজ্য ঘিরে কান্না
দিবা ও রাতি ।
০৩।
বৃক্ষ ছেদন
আপন হস্তে আয়ু
বলো দায়ী কে ?
০৪।
তব হেরিছি
নির্মল প্রাতেঃ উঠে
আনন্দময় ...
. ---: হাইকু :---
প্রসঙ্গ কৃষি বিল
এমাজদ্দিন সেখ
01.
ধান ক্ষেতে ঐ
খেলেছে ঢেউ দেখ ,
সবুজ মাঠে l
02.
ঠোঁটের কোণে
ফুটেছে হাসি যেই --
চাষীর ঘরে ; ....
03.
মাজীরা - চুষি ---
ধসার সর্বনাশী
সে অবসরে ...
04.
কীট নাশকে
তাও --- সামলে নিলে;
হামলা যতো l
05.
কিন্তু রাজার ...
কিষান মারা নীতি ;
বাড়ে দুর্গতি l
06.
ফসল স্বত্ত্ব
হারা রায়ত বাঁচে
কেমনে বল ?
07.
নাই ফলায়
আর আনাচ যদি
কোনও ক্ষেতে !
08.
বিনা খাবারে
যন্ত্র সভ্যে এসেও
কেবা বাঁচে ?
09.
জাগছে চাষী
উঠছে আওয়াজ
দিক দিগন্তে ....
10.
বাঁচাতে চাই
তিলোত্তমে গড়া
এ সভ্যতা কে l
মায়ের স্মরণ
মোঃআলিউল হক
এক ডজন সন পলক পতন হলো
বিস্মৃতির পলি চাপা হলো ফেনিল ঘটনা
কেবল আড়াল অসাধ্য মাগো তোমার স্মরণ।
যত সন যায় মন চাই তোমায় দেখি
তোমার সাথে কথা বলি
হৃদয়ে অবরুদ্ধ যত
দুঃখ বেদনার
জীর্ণ কলি,
একে একে
ঝেড়ে ফেলি যেন -
তোমার আঁচল তলে বসে
একটু আদর স্নেহ রসে সিক্ত হই
আবার গলা ছেড়ে ডেকে উঠি ও আম্মা......
হায়রে হত ভাগা আমি মাতৃ স্নেহ বঞ্চিত এত কাল
কেউ আছে! কেউ কি এমন হবে! যাকে -
প্রাণ ভ'রে কোটি কোটি বার ডাকলেও
বিরক্ত হয়না রাগ করেনা কভু,
এক অক্ষরের শব্দ মা
কি জানি কোন
অমৃত তাতে।
গান
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
প্রথম পরিচয়ে ছিল লাজুক সমন
তারপরে কী যে হোলো সে ঘটে গেল হায়।
সে কথা মনে করে করে ফুল যে শুকায়।
অঞ্চল বাঁধা প্রেমে কি করে কীসে
চলে গেলে দূরে সরে হাওয়ায় মিশে
পেয়ে গেছো সাত রাজার ধন
মানিক যখন
অনাদরে আমি কাঁদি বাসি ফুলের মতন।।
এই কি কালের নিয়ম এই কি গো প্রেম
ভুলে যেতে যে পারে সে ই হয় জয়ী
মানুষ মানুষে প্রেম যৌবনেই আসে
একজন বৃথা তখন শুধু মরমে ভাসে।
এখন না বলা কথা বলা যেতো আরও
যে কথা হয়নি বলা তাও বলতে পারো
শুধু তবে মুখ ঘুরিয়ে কেন আছো হায়
তোমা ছাড়া একা শুধু কাঁদি
সারাক্ষণ।
প্রেম
সত্যব্রত ধর
শিউলি মাসে শিশির ভেজা কিছু কাহিনী দিনের শেষে,
ছায়ার মত শান্তি বয়ে আনে উড়নচণ্ডী হৃদয়ে।
সোহাগের হাতছানিতে রূপকথারা শতশত স্বপ্নে ভর করে,
পেঁজা তুলোর মতো মেঘের সাথে হারিয়ে যায়।
মায়াভরা সোনালী ঘুম অনাহারে পানশে রাত কাটিয়ে,
গুনগুনিয়ে বাগান ভরতি ফুল ফোটায়।
ভালোবাসার শমন এলে পর রোদ-প্রান্তর পেরিয়ে,
মনের সমাধি থেকে উঠে আসে পুরনো ইচ্ছেরা।
সন্তানসম প্রিয় আদরগুলো হারিয়ে যায়,
অভাবী কিশোরীর মায়াভরা কামুক শরীরে।
আশ্বিনের কিছু কাল যেতেই বিধাতার দৃষ্টির অগোচরে,
জন্ম নেয় কিশোরী-যুবক প্রেমের উজ্জ্বল বীজমন্ত্র।
ওদের মোদের বসুধা
©মম
ওরা কৃষ্ণ আর রাধা।
আমরা কাঁচ কলা আর আদা।
ওরা দুয়ে দুয়ে এক, আধা আধা।
মোরা দুই দুই চার গাধা।
ওরা প্রতীমা গড়ার কাদা।
আমরা ফুটো ফাটা নাদা।
ওরা সিধাসাধা।
আমার একে অন্যের বাধা।
ওদের অন্তর একই সূত্রে বাঁধা।
আমরা ভাঙ্গতে চাওয়া ওয়াদা।
ওরা পবিত্র ধানের গাদা।
আমরা গোলক ধাঁধা।
ওরা কালো ও সাদা।
আমরা বিবিধা।
ওরা সুবিধা।
আমরা অসুবিধা।
ওদের প্রেম সুধা।
মোদের নেশার ক্ষুধা।
ওদের ও মোদের সবাদেরই এক বসুধা।
বিদ্যাসাগর
বিপ্লব গোস্বামী
তোমাতেই অতল বিদ্যার সাগর
নিজেইতো বিদ্যার সাগর।
তোমাতেই নিহিত মনুষ্যত্বের দর
তুমিতো দয়ার সাগর।
তোমাতেই খোঁজে পাই যত সংস্কার
তুমিতো খোলে দিলে মানবতার দ্বার।
তুমিতো বাংলা গদ্যের জনক
বর্ণমালা বিরাম চিহ্নে তোমারই হক।
মা বোন নারী পায় তোমাতেই সংস্কার
তব পদে নত শির পাই যত সদাচার।
স্বপ্ন সৃষ্টি
পিনাকী মুখার্জী
ওখানে পাষাণে যুগল মহিমা
এখানে পাতাতে মর্মর !!
আমাদের হেথা পাথর মাটি
বড় মৌসুমি নির্ভর !!
তোমার ঘরে কোজাগরী আলো
ঘরের দেয়াল চার বেদ !!
মোদের ঘরের ভিতেই কাঁপন
শুনি চার দেয়ালে বিচ্ছেদ !!
মনের সকল স্বপ্ন সাজানো
শুধু তোমায় বুকে নিয়ে !!
তোমার গঙ্গা বারোমাস বয়
চির দুই ধারা দিয়ে !!
স্বপ্নগুলো অনাহারী রোজ
চোখেতে ধূসর দৃষ্টি !!
কষ্টগুলো পন্ডশ্রম তবু
করবো স্বপ্ন সৃষ্টি !!
মনের ক্যানভাসে
অনাদি মুখার্জি
আজো মনে পড়ে সেই শৈশবের দিনগুলো,
মন ছুঁয়ে থাকে থাকে আমাদের গ্রামের শান্ত নদীর কূলে !
থাকতো সেই খানে গ্রামের দুই ধার পাড়ে পাড়ে ,
সারি সারি কত পলাশ আর কলমিলতা ছেয়ে !
সেখানে আমার বনধু ছিল কত রঙিন প্রজাপতি ,
তাদের পিছনে ছুটতাম আর খেলতাম সারাদিন !
সোনালী বিকেলে আমি কত উড়িয়েছি রঙিন ঘুড়ি,
সবার আড়ালে করেছি তেঁতুলের আঁচার চুরি !
রিমঝিম বর্ষায় ভিজে খেলতাম ছোটবেলায় ,
মাঠের সেই জমা জলে কাগজের নৌকা করে ভাসিয়ে দিতাম !
ছোট্ট বেলায় সেই দিনগুলি পারিনা আজ ভুলিতে ,
মনের ক্যানভাসে এঁকে রাখি বিনা রঙ তুলিতে !
হাবুল দের বাড়ির বিড়াল ও বিড়াল ছানা ছোট্ট গল্প
আব্দুল রাহাজ
হাবুল দের বাড়ি বেশ বড় বছরখানেক আগে ওদের বাড়ির আশে পাশে একটা বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছিল ও সেই বিড়ালকে বাড়িতে নিয়ে এলো তারপর থেকে ওই বিড়াল হাবলুদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠেছিল। হাবুলের সঙ্গে প্রায় খেলা করতো খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। হাবুল দের পিছনে একটা বাঁশঝাড় ছিল ওই বিড়াল মল ত্যাগ করতো ওকে ওটা বলে দিতে হয়নি হাবুলের সে নিজে নিজেই ওখানে গিয়ে কাজটা করে বা
আসতো এটা দেখেই পরিবারের লোকজন বেশ খুশি হলো। হাবুল সেই বিড়ালের নাম দিয়েছিল আমাদের পুটু খুব শান্ত ছিল এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পুটুর একটি ছোট সন্তান হল সেখান থেকে হাবুল শিখেছিল মাতৃত্বের কত বড় মর্যাদা। ও সবে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছে পুটু বলে ডাকতে ডাকতে সিঁড়ির ঘরে গিয়ে দেখে তার বাচ্চাকে কি সুন্দর করে দুধ খাওয়াচ্ছে বাড়ির সবাইকে ডেকে নে দেখালো হাবুল বুঝল মাতৃত্বের স্বাদ প্রত্যেক প্রাণীকেই নিতে হয়। এরপর হাবুল ওই বিড়াল বিড়ালছানা কে নিয়ে নিজের ঘরে রাখত অন্য কোন বিড়ালকে দেখলেই একেবারে তারা করে নিয়ে যেত বাড়ির ওপার সীমানায়। এইভাবে হাবলুদের বাড়ির বিড়াল ও বিড়াল ছানা ওদের পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতো। ওদের সাথে একটা মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল ওদের যা ছিল আজীবন অটুট।
জীবন ও নদী
গোপাল বিশ্বাস
জীবন বহে
নদী চলে
ঘুরি পথের বাঁক
আঁধার শেষে ভোর
শুনি পাখির ডাক l
নদীর গর্ভে
জোয়ার ভাটা
জীবন নাওয়ে তায়
আশার ছলনে লীলা খেলায়
মানব জীবন ফুরায় l
হাসি কান্না
ভরপুর
নদী ও জীবন
দুইয়ের ভেতর গল্প গাঁথা
কে করল সৃজন ?
জীবন -নদীর
একই সুর
কবু নাহি থামে
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে মোরা
চলছি ধরা ধামে l
টাচ মি ডার্লিং
হামিদুল ইসলাম
মেয়েটি আমাকে বলেছিলো,
আমাকে টাচ করবে না
আমি বললাম, ক্ষতি কী ?
আমি গোলাপ। গোলাপের মতো থাকতে চাই
আমি বললাম, পারবে ?
পারবো ।।
আমি ফিরে আসি বাড়ি
আমার বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে
বিলি করছি আমি নিজে
ওকে দিলাম একটা কার্ড
ও মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলো
ওর দু চোখে অশ্রুনদী ।।
ও কার্ড খুলে দেখে
পাত্রী সে নিজেই
ও দুহাত বাড়িয়ে দিলো আমার দিকে
বললো, টাচ মি ডার্লিং ।।
দয়াল ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
শিবব্রত গুহ
"আদর্শকে ঘায়েল ক'রে
চুক্তি - রফায় বাঁধতে দল,
যতই যাবি পড়বি ঘোরে
হাতে - হাতেই দেখবি ফল।"
- ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
অনুকূলচন্দ্র
১২৯৫ সালের ৩০শে ভাদ্র, তালনবমী তিথিতে,
অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমাইতপুর
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম
ছিল শিবচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মায়ের নাম ছিল
মনোমোহিনী দেবী। সাধারণত, জন্মের পরে,
শিশুরা কান্নাকাটি করে। কিন্তু, তিনি কাঁদেননি।
তিনি শান্তভাবে এদিক - ওদিক তাকাতে লাগলেন।
তা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেল।
ছোটবেলা থেকেই অনুকূলচন্দ্র ছিলেন খুবই
দয়ালু। অন্যের কষ্ট, ব্যথা, বেদনা, যন্ত্রণা তাঁকে সবসময় ব্যথিত করতো। একাধারে, তিনি ছিলেন
মানবপ্রেমী, অন্যদিকে ছিলেন জীবপ্রেমী। মানুষ
ছিল তাঁর প্রাণ। মানুষকে বাঁচাতে তিনি গড়ে তুললেন মানুষের বাঁচা - বাড়ার ঠিকানা সৎসঙ্গ।
এই সৎসঙ্গ হল Man - making industry বা
মানুষ তৈরীর কারখানা।
অনুকূলচন্দ্র জগতের প্রতিটি জীবকে ভালোবাসতেন। তাই, তিনি জীবপ্রেমী। তাঁর বাড়ির কাছেই ছিল স্টীমারঘাট। কোন যাত্রী বা
কুলি বিপদে পড়লে তিনি তাদের বোঝা নিজে
বহন করে তাঁদের সাহায্য করতেন। পয়সা দিতে চাইলে তিনি তা না গ্রহণ করে সেখান থেকে চলে
যেতেন।
অন্যান্য ছেলেদের দেখাদেখি তিনি একদিন
পদ্মানদীতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে যান। তাঁর
ছিপে একটা বড় মাছ ধরা পড়লো। মাছটা ধরা পড়ে কষ্ট পেল বা মরে যাবে মনে করে তিনি কেঁদে
ফেললেন। মাছটা ছেড়ে বাঁচিয়ে দেবার জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করতে লাগলেন।
তখন তারা মাছটি ছাড়িয়ে জলে ছেড়ে দেবার পর
তিনি শান্ত হলেন। তারপর, আর কখনো তিনি
এরকম কোন কাজ করেননি।
তিনি একদিন, বিদ্যালয় থেকে বাড়ীফেরার সময়,
হঠাৎ করে ভয়ানক ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হল।
ছাত্ররা যে যার সুবিধামতো জায়গায় আশ্রয় নিল।
কিন্তু, অনুকূলচন্দ্র ওই দুর্যোগের মধ্যে রাস্তা দিয়ে
চলতে শুরু করলেন। চলতে চলতে, কোথা থেকে
ঝড়বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত প্রায় মৃত একটি বাজপাখি
তাঁকে দেখতে পেয়ে তাঁর কাঁধে বসে প্রাণরক্ষা
করলো। তিনি ধীর - স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন।
একটু নড়লেন না, চড়লেনও না। যতক্ষণ না
বাজপাখিটা সুস্থ হয়ে সেখান থেকে চলে না গেল।
সত্যিই অসাধারণ জীবের প্রতি দয়া ছিল অনুকূল
চন্দ্রের।
অনুকূলচন্দ্র ডাক্তারী পাশ করার পরে, অনেক
রোগীকে রোগমুক্ত করেন। বহু গরীব - দুঃখী
মানুষকে তিনি দাতব্যভাবে চিকিৎসা করতেন।
অর্থের অভাব আছে এমন রোগীর পথ্যও তিনি
কিনে দিতেন। তাঁর সামনে কেউ মারপিট করলে
বা কেউ কোন মানুষকে বা পশুকে আঘাত করলে
অথবা কেউ কারো ওপর নির্যাতন করলে
তিনি খুবই যন্ত্রণা অনুভব করতেন। কখনো কখনো তাঁর সামনে এরকম ঘটনা ঘটলে, তিনি
কেঁদে আকুল হতেন। কখনো তাঁকে ধুলায়
গড়াগড়ি খেতে দেখা গিয়েছে।
তাঁর সামনে কোন গাছের ডাল ভেঙে পড়লে বা
পাতা ছিঁড়লে অথবা ফুল তুললে তিনি প্রাণে
বড় ব্যথা পেতেন। গাছেদের শরীরে ওগুলো করলে যে ব্যথা হয়, তা তিনি অন্তরে অন্তরে
অনুভব করতেন। তিনি দিব্যদৃষ্টিতে তা দেখতেও
পেতেন। তাই, তিনি ফুল না তুলে, গাছকে জড়িয়ে
ধরে ফুলের সৌরভ নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন।
যে কোন জীব, কীট, পতঙ্গ, পিঁপড়ে এমনকি
ছারপোকা, মশা পর্যন্ত তিনি কখনো মারেননি,
বা অন্য কাউকে ওরকম করতে দেখলে তিনি তা
সহ্য করতে পারতেন না। ধীরে ধীরে সকলে তাঁকে
ভালোবেসে ও ভক্তি করে 'ঠাকুর' বলে সম্বোধন
করতে লাগলো। আর ডাক্তার বাবু বলে বা নাম
ধরে তাঁকে ডাকতে কেউ রাজি ছিল না। কিন্তু,
অনুকূলচন্দ্র, ঠাকুর হওয়া একেবারেই ভালোবাসেন না, পছন্দও করেন না। কেউ ঠাকুর
বললে তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন। তবে, সকলেই,
ঠাকুর বলতে বলতে সেটি তাঁর সহ্য ও অভ্যস্ত হয়ে
গেল।
অনুকূলচন্দ্র, অনেক সময় কারো - কারো শরীরে,
মাথায় ও পায়ে স্নানের সময়, তেল মাখিয়ে দিতেন। কখনো তিনি তামাক সাজিয়ে দিয়ে
ভক্তের ধূমপানের সাধ মিটিয়ে দিতেন। কখনো
কেউ অনেক দূর থেকে এলে তার পায়ে ব্যথা অনুভব করলে অনেক সময় অনুকূলচন্দ্র
নিজের হাতে তার পা টিপে দিতেন। তিনি ছিলেন
এতটাই দয়ালু।
তিনি বললেন, " ভারতের অবনতি ( degeneration) তখন থেকেই আরম্ভ হয়েছে,
যখন থেকে ভারতবাসীর কাছে অমূর্ত্ত ভগবান
অসীম হ'য়ে উঠেছে - ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদের
উপাসনা আরম্ভ হয়েছে।"
অনুকূলচন্দ্র সারাজীবন ধরে অন্যের কল্যাণের
কথা ভেবেছেন। সবাই ছিল তাঁর কাছে আপন।
পর বলে তাঁর জীবনে কেউ কোনদিনও ছিল না।
তারপর এল সেই কষ্টের দিন। ১৯৬৯ সালের
২৭শে জানুয়ারী জীবপ্রেমী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
দেহত্যাগ করেন। তিনি নশ্বর দেহ ত্যাগ করলেও
আজো তিনি জীবন্ত রয়েছেন প্রতিটি সৎসঙ্গী
গুরুভাইবোনদের হৃদয়ে হৃদয়েশ্বর রূপে।
(তথ্য সংগৃহীত)
ফরিয়াদ
জুয়েল রুহানী
কোরআনের বাণী এনে
দাও মোরে শুনিয়ে,
আযানের সুর দাও-
কানে গুনগুনিয়ে.....(২)
রাসুলের বাণী শুনে
জীবন গড়ে,
জীবন বিলিয়ে দিব-
প্রভূর তরে,
হে প্রভূ মরনকালে দিও
কালিমা শুনিয়ে......(ঐ)
নির্ভয়ে যাব আমি
সে পথে এগিয়ে,
কোরআনের চালায় যেথা
প্ররণা যুগিয়ে,
হে প্রভূ দিওনা কখনও
সু-পথ হারিয়ে..........(ঐ)
মানবো না হার কভূ
সত্য প্রচারে,
জয়ী করে দাও প্রভূ
সদা ন্যায়-বিচারে,
হে প্রভূ আছে যত অন্যায়
দাও হার মানিয়ে.......(ঐ)
কবিতা : লাইনে থাকুন!
বিশ্বজিৎ কর
রাজা আজও কাপড় খুঁজে পায়নি -
আসলে উলঙ্গ রাজার লজ্জা নেই!
মোসায়েবের দল ঘিরে আছে!
আমরা যে সবাই রাজা,
অভিনয় চলছে-আনুগত্য প্রদর্শনের!
দড়ি ধরে টান মারার বেলা যে গড়িয়ে এল,উদয়ন পন্ডিতগুলো টিউশানিতে ব্যস্ত!
ধর্ষিত মেয়ের লাশের বিচার হয় না,নজরানা পাওয়া যায়-সরকারি চাকরি!
চলো,পুজোর বাজারে!
বাই ওয়ান,গেট্ টু.....
ট্রায়াল চলছে,লাইনে দাঁড়ান!
কবিতা
সংসার
মিনতি গোস্বামী
সংসারে সার কিছুই নেই
শুধুই উনুনে জ্বালন ভরা
হাত বন্ধ হলেই ভাত বন্ধ
সেই হাতকে নিয়েই যত ধন্দ।
যে শুধু জ্বালন যোগায়
তার পাতেই জোটেনা ভাত
সকাল সন্ধ্যা তাকেই ছাড়েনা
ভাবিয়ে নেয় সারাটা রাত।
তবু ও আছে মায়ার বাঁধন
পায়ে পায়ে পরায় বেড়ি
সেই মায়াতেই ঘুরে ফিরে
টানতে হয় সংসারের দড়ি।
বিশেষ ধারাবাহিক প্রবন্ধ :
কবিতার রূপকল্প : পর্ব ৫
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
|| " গুপ্ত কবি" : ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত ----- ফিরে দেখা ||
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""''''''''''''""""""""""
সৌম্য ঘোষ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, " সেকাল আর একাল এর সন্ধি স্থলে ঈশ্বরগুপ্তের প্রাদুর্ভাব ।" ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ( ১৮১২-- ১৮৫৯) । চব্বিশ পরগনা জেলার কাঞ্চন পল্লীতে ( বর্তমান নাম , " কাঁচরাপাড়া' ) ঈশ্বর গুপ্তর জন্ম হয় এক সম্ভ্রান্ত বৈদ্যপরিবারে। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র একটি পর্যায়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মূলত: কবিওয়ালা ও পাঁচালী দলের গান রচয়িতা। কবিওয়ালা ও পাঁচালীকারদের উত্তরাধিকার তাঁর কবিতায় মেলে । তাঁর কবিতা আবহমান পয়ার- ত্রিপদী তে লেখা, অনুপ্রাস ও যমকে চটকদার।
" বলীবলে আমি বলী বলে কভু নই বলী,
বলি কভু করিনে ভক্ষণ ।
হিত কথা সদি বলি রীতিমত দিই বলি
নাহি করি বলির বারণ ।।"
কবিওয়ালাদের ধরনে perpetual alliteration and play upon words যেমন তাঁর রচনায় লক্ষণীয়, তেমনি লক্ষণীয় রুচিহীনতা। এই রীতির পুরানো কাব্যধারার তিনি হলেন শেষ প্রতিনিধি। দেশপ্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত ইতিহাস-চেতনাও তাঁর মধ্যে ছিল । সাহিত্য সম্রাট যদিও তাঁকে রায়গুণাকর কবি ভারতচন্দ্রের অনুগামী বলে গণ্য করেছেন, কিন্তু পরবর্তীকালে অনেক গবেষকের মতে , ঈশ্বরগুপ্তের উপর রামপ্রসাদের প্রভাব বেশি ছিল। তাঁর জীবন আদর্শ ও দর্শন ছিল বেশ পুরনো পন্থী । ইংরেজি-শিক্ষিত নব- বঙ্গের যুবকদের আধুনিকতা তিনি বরদাস্ত করতে পারেন নি। রক্ষণশীল এই কবির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মূলতঃ রক্ষণশীল জমিদারগণ। পরের দিকে তত্ত্ববোধিনী সভা ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির উদারনৈতিক সংস্রবে এসে তাঁর গোঁড়ামি হ্রাস পায় । তৎকালীন সময়ে কৃষকদের উপর উৎপীড়ন, চাষীদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের প্রতিবাদে দেশ প্রেমিক এই কবি বেদনাবোধ করেছিলেন ,
"হায় হায় পরিতাপে পরিপূর্ণ দেশ।
দেশের ভাষার প্রতি সকলের দ্বেষ ।।"
আবার বিপরীত দিকে, অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখা যায় তাঁর মধ্যে। তিনি সিপাহী বিদ্রোহের নিন্দা করেছিলেন এবং ইংরেজ রাজশক্তির তোষণ করেছিলেন,
" ভারতের প্রিয় পুত্র হিন্দু সমুদয়।
মুক্ত মুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।।।"
একজন দেশ প্রেমিক হওয়া সত্বেও তাঁর মধ্যে গড়ে ওঠা মধ্যবিত্তসুলভ দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ছিল। যুগসন্ধিকালের এই কবির উপর সেই যুগের অন্তর্বিরোধ প্রতিফলিত হয়েছিল । তিনি মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন, আবার তিনিই " বালিকারা যাহাতে বিদ্যাবতী" হয়, উপায় বাৎলে ছিলেন । তিনি বিধবা-বিবাহ মেনে নিতে পারেননি । অথচ অদ্ভুত বিষয়, তিনিই আবার বালবিধবার বিবাহের বিরোধী ছিলেন না । এই ধরনের অন্তর্বিরোধ প্রতিনিয়তঃ তাঁর লেখনীতে ধরা পড়তো।
দশ বছর বয়সে মাতৃবিয়োগের পর ঈশ্বরচন্দ্র জোড়াসাঁকোয় মাতুলালয়ে আশ্রয় নেন। শৈশবে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ার কারণে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশিদূর এগোয়নি, তবে অসাধারণ মেধা ও স্মৃতিশক্তির অধিকারী ঈশ্বরচন্দ্রনিজচেষ্টায়বাংলা, সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষা শেখেন এবং বেদান্তদর্শনে পারদর্শিতা লাভ করেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক প্রেমচন্দ্র তর্কবাগীশের প্রেরণায় এবং বন্ধু যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের আনুকূল্যে ১৮৩১ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশ করেন। অর্থসংকটের কারণে মাঝে চার বছর বন্ধ থাকার পর ১৮৩৬ সালের ১০ আগস্ট সপ্তাহে তিন সংখ্যা হিসেবে পত্রিকাটি আবার প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর সুযোগ্য সম্পাদনায় পত্রিকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন থেকে এটি দৈনিক পত্রে রূপান্তরিত হয়।
আধুনিক বাংলার সমাজ গঠনে সংবাদ প্রভাকরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরচন্দ্র প্রথমে নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের পক্ষভুক্ত ছিলেন। তিনি হিন্দু কলেজের শিক্ষাপদ্ধতিরও বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু নবপর্যায়ে সংবাদ প্রভাকর সম্পাদনার সময় থেকে তাঁর মনোভাবের পরিবর্তন হতে থাকে। তিনি দেশের প্রগতিশীল ভাবধারার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। হিন্দু থিয়ফিলানথ্রফিক সভা এবং তত্ত্ববোধিনী সভায় তিনি বক্তৃতাও করতেন। প্রথম দিকে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ আন্দোলনের বিরোধিতা করে এ বিষয়ে নানা ব্যঙ্গ কবিতা রচনা করলেও পরে স্ত্রীশিক্ষার সমর্থন, ধর্মসভার বিরোধিতা, দেশের বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং দরিদ্র জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে উদার মনোভাবের পরিচয় দেন। এমনকি তিনি অক্ষতযোনি বিধবার বিবাহেও আর আপত্তি করেননি।
(চলবে.......)
হে শ্রমিক
সাফরিদ শেখ
তোমার মৃত কঙ্কালের উপর দাঁড়িয়ে,
তাজমহল ,শহীদ মিনার আকাশ ছাড়িয়ে।
শ্রমিক তুমিই আজ সৃষ্টির মূলকারিগড়,
তোমার লালনে জন্মায় শত শত নবান্ন।
তুমিই বিশ্বকে করেছ সজীব উর্বর,
তোমার মেহানত পারিনা বর্ণিতে।
তান্ত্রিক দেহকেই জানে মোক্ষলাভের আশ্রয়,
তুমি শ্রমকেই জানো জীবনের সব।
মাটিকে এত ভালো কে আর বাসতে পারে?
মাটিকে এত বেশী কে আর বন্ধু মানে?
তোমার ঘামেই নির্মিত হয় রাজপ্রাসাদ,
অট্টালিকা, আর যত বিলাসী আবাস।
আজ আমরা তোমাদের কি দিয়েছি?
কেড়ে নিয়েছি অধিকার ধরিয়েছি উচ্ছেদপত্র।
মাইনে কমিয়েছি,কর্মসীমা বাড়িয়েছি।
অবহেলা বাড়িয়েছি,অপমান নিত্যসঙ্গী।
ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে সব লিখে গেছে,
একদিন তোমাদের ও হবে উত্তরণ।
অনুগল্প
একই রক্ত বুকের তলে
ডঃ রমলা মুখার্জী
পর্ণা আমার বাল্যবন্ধু। তাদের পারিবারিক একটি ঘটনা আমার চেতনার ভিতকে একেবারে নাড়িয়ে দিল। এতো ভালো ভালো নিজের সম্প্রদায়ের ছেলে থাকতে পর্ণার মেয়ে তমা মুসলমান সম্প্রদায়ের ছেলে সুকুরের গলায় মালা দিল! রেগে গিয়ে পর্ণার স্বামী অলকবাবু দূর করে দিলেন মেয়েকে। মাস ছয়েক পরে হঠাৎ পর্ণাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় পর্ণা ও অলকবাবু দুজনেই প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হল, দুজনেরই রক্ত চাই। কিন্ত এই লক ডাউনের সময় ব্লাড ব্যাংকে রক্ত নেই। তমা আর তমার মায়ের একই ব্লাড গ্রুপ। তমা শুনে সুকুরকে নিয়ে ছুটে এসে রক্ত দিল তার মাকে। কিন্তু অলকবাবুর ও নেগেটিভ রক্তের জন্যে ডোনার কোথায় পাবে তারা, ও নেগেটিভের ডোনার পাওয়াই তো মুস্কিল। সুকুর এগিয়ে এল, তার রক্ত ও নেগেটিভ। বাঁচল দুটি প্রাণ। অলকবাবু মর্মে মর্মে বুঝলেন ধনী-গরীব, হিন্দু-মুসলিম সবার রক্তের রঙ লাল। মুছে গেল সংস্কারের কালো অন্ধকার। নতুন ভোরে সংস্কার মুক্তির লাল রঙে রেঙে উঠল সম্প্রীতির আকাশ।
গল্প
রুমাল
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
হেমন্ত বিকেল তবু রুমালে মুখ মোছে রাজু।নীল বলে,আরে রুমালটা তো দারুণ! আর
আমি যদি ভুল না করি,এটা তোকে যে দিয়েছে তার নাম মিত্রা।শুনে রাজু জাস্ট হাঁ।
হতভম্ব মুখে বলে,ওঃ!জানি তুই শার্লক হোমস কিন্তু তুই........ তাকে থামিয়ে দিয়ে
বলে নীল,তুই এখন বাইক বাহনে বেশ দূর থেকে ফিরেছিস,সেটা লালমাটির দেশ
যেখানে একটা নদী না না নদ আছে।তার তীরে তুই হেঁটেছিলি,বসেওছিলি।আর
থাকতে পারে না রাজু চেপে ধরে নীলের হাত বলে,এত কথা তুই জানলি কী করে?!
এবার আবেগে রাজু তোতলায়,তু-তুই যেমন শা-শার্লক হো-ওমস আ-আমিও
ডা-ডাক্তার ওয়াটসন।আমাকেও ঘোল খাওয়াচ্ছিস!বল কীভাবে বলছিস ?
নীল বলে,বন্ধু ওয়াটসন,আমি রহস্য ভেঙে দিলেই তুই বলবি,ওঃ! এই ব্যাপার এ-তো
খুব সহজ।সেটি হচ্ছে না।
-- কক্ষনো তা বলব না।আমি দিব্যি করছি।তুই বল।এই ম্যাজিক তুই ছাড়া কেউ পারবে না।
এবার নীল হাসে আর উদারকণ্ঠে উত্তর দেয়,আরে ভাই এটা খুব সহজ একটা অনুমান।
তুই ঘামছিলি অর্থাৎ অনেক দূর থেকে বাইকে ফিরছিস।পকেট থেকে নতুন নীল
রুমাল বের করে মুখ মুছলি যার কোনায় 'S' লেখা।যেহেতু কেবল বান্ধবীরাই রুমাল
দিয়ে থাকে আর সবচেয়ে বেশি বাঙালি নাম 'S' দিয়ে শুরু হলেও এখানে 'S' আদ্যক্ষরযুক্ত
কোনো বান্ধবী তোর নেই।তাহলে কে হতে পারে?সে হোলো মিত্রা।
-- মিত্রা নামটা কি 'S' দিয়ে শুরু নাকি? -- তার গলায় উকিল হাসি।
-- মিত্রার পুরো নাম সুমিত্রা,সে বাঁকুড়ার একটি গ্রামের মেয়ে যেখানে তোর দিদির বাড়ি,
লালমাটির দেশ,পাশে বইছে দ্বারকেশ্বর নদ।
-- কিন্তু...... রাজু কিছু বলতে যায়,থামিয়ে বলে নীল, আরও শোন,তোর জুতো ও
বাইকের টায়ারে মোরাম আর বালি দেখ জ্বলজ্বল করছে।
-- ওঃ!আমি কী...... বলতে গিয়েও থেমে যায় রাজু জোড় হাতে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি
করে হাসে।তারপর ওয়াটসনের মতো বলে ওঠে,তোর দাদার শ্বশুরবাড়িও তো
ওখানেই।অর্থাৎ মিত্রাকে তুই ভালোই চিনিস?
-- তা চিনি।তোর পছন্দের তারিফ করি ভাই,সত্যিই ও খুব ভালো মেয়ে।নীলের
কণ্ঠস্বর ম্লান।
আনন্দে চিকচিক করে ওঠে ওয়াটসনের চোখ অথচ হোমসের উদাস মুখের
অন্ধকার তার চোখে পড়ে না।
0 comments: