উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika web Megazine- 09/09/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 09/09/2020 |
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-09/09/2020, বুধবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
প্রবন্ধ
সংসারে সুখ ও শান্তি পাবার কিছু গ্রহণ যোগ্য উপায়
ড. নরেন্দ্রনাথ নস্কর
ড. নরেন্দ্রনাথ নস্কর
দুটো মানুষের বৈশিষ্ঠ,তাদের চিন্তা ধারা,তাদের খাবারের রুচি,তাদের লাইফ স্টাইল ,তাদের শারীরিক গঠন,এমনকি চালচলনও ভিন্ন হয়।
তবু দুটো নর ও নারী কিভাবে বিয়ের পর একই সংসারে সারা জীবন কাটায় এটা আশ্চর্য নয় কি?
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে বিয়ের পর অনেকেই তো সুখি হয়। কিন্তু সবাই সুখি হয় না কেন?
তবু দুটো নর ও নারী কিভাবে বিয়ের পর একই সংসারে সারা জীবন কাটায় এটা আশ্চর্য নয় কি?
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে বিয়ের পর অনেকেই তো সুখি হয়। কিন্তু সবাই সুখি হয় না কেন?
উত্তর এই ভাবে দেওয়া যেতে পারে।
যারা বা যে স্বামী স্ত্রী দুজনেই স্যাকরিফাইস করে বা অ্যাডজাস্ট বেশি করে সেই দম্পতি তত বেশী সুখি বা বলা যায় শান্তিতে থাকে।
যারা বা যে স্বামী স্ত্রী দুজনেই স্যাকরিফাইস করে বা অ্যাডজাস্ট বেশি করে সেই দম্পতি তত বেশী সুখি বা বলা যায় শান্তিতে থাকে।
তাহলে সুখের মুল চাবি কাটি হল দুজনের বোঝাপড়া বা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে জীবন যাপন করা।
সেখানে ঘাটতি হলেই অশান্তির উত্পত্তি হতে পারে।
সেখানে ঘাটতি হলেই অশান্তির উত্পত্তি হতে পারে।
দেখা গেছে দুজনের মধ্যে সাধারণত একজন বেশি ডোমিনেটিং বেশি হয়। অন্য জন যদি সেটাকে হাসি মুখে একটু অ্যাডজাস্ট করে নেয়,তাহলে জীবন শান্তিতে কাটে।
অন্যজন যদি ভাবে আমি ওর থেকে কম কিসে,তাহলে মনে বিদ্রোহ ও অশান্তির উত্পত্তি হয়।
অন্যজন যদি ভাবে আমি ওর থেকে কম কিসে,তাহলে মনে বিদ্রোহ ও অশান্তির উত্পত্তি হয়।
আর দুজনেই যদি দুজনের মতামতের গুরুত্ব সমান দেয় ও সেইমত কাজ করে তাহলে তো সোনায় সোহাগা,মানে একেবারে সুখি দম্পতি হয়।
আমাদের ভারতবর্ষে যেহেতু প্রধানত পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থা , সেহেতু নারীরা যদি সামান্য হলেও পুরুষদের একটু গুরুত্ব দিয়ে চলে বিশেষ করে বাইরের কাজে ও পুরুষরা যদি সাংসারিক ক্ষেত্রে মেয়েদের মতামত একটু গুরুত্ব দেয় তাহলে অনেক সমস্যা এড়ানো যায়।
অবশ্য কয়েকটি রাজ্য যেমন কেরালা,মেঘালয় ও আরো দু একটি রাজ্য প্রধানত নারী শাসিত। সেখানে মহিলাদের মতামত বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে।
সেখানে সেই মত চলা উচিত।
সেখানে সেই মত চলা উচিত।
মহিলাদের মত পুরুষদের দায়িত্বও এখানে কম নয় সংসারে শান্তির জন্য।
পুরুষদের বোঝা উচিত যে মহিলারা অনেক এগিয়ে গেছে, কি শিক্ষায় কি উপার্জনের পরিপ্রেক্ষিতে। সুতরাং তারাও যেন নারীদের উপযুক্ত সম্মান দিয়ে থাকে।
পুরুষদের বোঝা উচিত যে মহিলারা অনেক এগিয়ে গেছে, কি শিক্ষায় কি উপার্জনের পরিপ্রেক্ষিতে। সুতরাং তারাও যেন নারীদের উপযুক্ত সম্মান দিয়ে থাকে।
কোন কিছুর জন্য সেটা শারীরিক, মানসীক, বা সমাজিক যাইহোক তার জন্য আর একজনকে বেশি দায়ি না করে,বরং দুজনে মিলে বুদ্ধি দিয়ে ও প্রয়োজন হলে কোন ভাল বিশেষজ্ঞএর পরামর্শ নিয়ে কোন সমস্যার সমাধান করলে সেই সংসার শান্তিতে থাকে।
সবার থেকে বড় হল ভালবাসা।সেটা আসে হৃদয় থেকে। সেটা যদি দুজনের প্রতি দুজনের থাকে, তারা সুখি ও আনন্দদায়ক দম্পতি হয়।
ঈশ্বর তা সে যে ধর্মেরই হোক তিনি অনান্য জীবের মত মানুষও সৃষ্টি করেছেন বেশি বুদ্ধি দিয়ে।
সেই মানুষের আবার অর্ধেক পুরুষ ও অর্ধেক নারী। একের ছাড়া আর একজন অচল।
সুতরাং কারো গুরুত্ব তিনি কম বা বেশি দেন নি।
এই সংসারে পুরুষ ও নারী দুজনের সমান গুরুত্ব দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন।
আমরা যেন সেটা ভুলে না যাই।
এই সংসারে পুরুষ ও নারী দুজনের সমান গুরুত্ব দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন।
আমরা যেন সেটা ভুলে না যাই।
নর ও নারী দুজনে যদি দুজনকে সম্মান করে ও বিশ্বাস করে, বিশ্বাসের মর্যাদা দেয় ও সর্বোপরি ভালবাসে তাহলে সংসারে শান্তি আসবেই । এটা চির সত্য।
লিমেরিক
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
থুতথুরে এক স্বাধীন দেশ,
ভগ্ন শরীর আলুথালু কেশ
ক্ষিদে আছে কর্ম নাই
জাতের নামে বজ্জাতিটাই
লাজ লজ্জার নেই তো লেশ।
ভগ্ন শরীর আলুথালু কেশ
ক্ষিদে আছে কর্ম নাই
জাতের নামে বজ্জাতিটাই
লাজ লজ্জার নেই তো লেশ।
আধুনিকা
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
পার্কের দুর্বোধ্য ভাষার সংস্করণ--
জোসিকা বসেছে রডরিগোর
গায়ে গা এলিয়ে----
অসম্ভব এসেন্সের গন্ধ নাকে ভেসে ওঠে.... আহা কী সুন্দর
গাছের পাতার আওয়াজ খসখস গজগজ শিমশিম
কার যেন পায়ের আওয়াজ
পাতা ঝরা শিশির নাকি বুনো খেঁকশিয়াল
রাত বাড়ছে-- জোসিকা ফিরতে চায়
অনুসারী রডরিগো তখনও মশগুল জোসিকার সুদীর্ঘ মোহে
রূপে আবির্ভূত রূপান্তরিত সুন্দরী নারী
বড় ই সুন্দরী।শরীরে যৌনতার গন্ধ আবছা জামার ভিতরে
কেউ তাকে ছুঁতে পারনি এখনও
ছুঁড়েও ফেলেনি।
গায়ে গা এলিয়ে----
অসম্ভব এসেন্সের গন্ধ নাকে ভেসে ওঠে.... আহা কী সুন্দর
গাছের পাতার আওয়াজ খসখস গজগজ শিমশিম
কার যেন পায়ের আওয়াজ
পাতা ঝরা শিশির নাকি বুনো খেঁকশিয়াল
রাত বাড়ছে-- জোসিকা ফিরতে চায়
অনুসারী রডরিগো তখনও মশগুল জোসিকার সুদীর্ঘ মোহে
রূপে আবির্ভূত রূপান্তরিত সুন্দরী নারী
বড় ই সুন্দরী।শরীরে যৌনতার গন্ধ আবছা জামার ভিতরে
কেউ তাকে ছুঁতে পারনি এখনও
ছুঁড়েও ফেলেনি।
পথিক থমকে যায়
বাতাস হেসে ওঠে খিলখিলিয়ে
বাতাস হেসে ওঠে খিলখিলিয়ে
ঘণ হচ্ছে নিশ্চুপ রাতের কান্না
হাড়হিম হয়ে যাচ্ছে জোসিকার
আড়ষ্ট ঘুম গ্রাস করছে তাকে
হাড়হিম হয়ে যাচ্ছে জোসিকার
আড়ষ্ট ঘুম গ্রাস করছে তাকে
রডরিগো বেমালুম অস্বীকার করে অযথা আতঙ্ক
বিদ্রুপ করে একাকী থাকার বিভৎস আনন্দ
প্রেম যৌনতায় আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে
ঝিলিক দেয় ঝিল্লির বিকট আওয়াজে
বিদ্রুপ করে একাকী থাকার বিভৎস আনন্দ
প্রেম যৌনতায় আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে
ঝিলিক দেয় ঝিল্লির বিকট আওয়াজে
জোসিকার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়
প্রেম অবিভক্ত অবিচ্ছিন্ন জুটি গ'ড়ে
পৃথিবীর বুকে আঁকে দুঃস্বপ্নের
এক আবছায়া পরিমন্ডল।
জীবন ও শিক্ষা
ফিরোজ হক্
জীবনের প্রতিটি দিন শিক্ষা
গ্রহণ ও বর্জন।
আমাকে শিক্ষা দেয়
রাস্তার সেই অনাহারে থাকা শিশুটি,
লড়াই শিখতে হয়
প্রতিদিন জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া
গৃহবধূটির কাছ ...
সহ্যের বাঁধ ভেঙে
তৈরি করে প্রতিবাদ...
আমি ক্রমশ হাঁ করে তাকিয়ে থাকি
আর ভাবি লড়াই কাকে বলে
কাকে বলে জীবনের সহজীয়া!
পৃথিবীর বুকে আঁকে দুঃস্বপ্নের
এক আবছায়া পরিমন্ডল।
জীবন ও শিক্ষা
ফিরোজ হক্
জীবনের প্রতিটি দিন শিক্ষা
গ্রহণ ও বর্জন।
আমাকে শিক্ষা দেয়
রাস্তার সেই অনাহারে থাকা শিশুটি,
লড়াই শিখতে হয়
প্রতিদিন জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া
গৃহবধূটির কাছ ...
সহ্যের বাঁধ ভেঙে
তৈরি করে প্রতিবাদ...
আমি ক্রমশ হাঁ করে তাকিয়ে থাকি
আর ভাবি লড়াই কাকে বলে
কাকে বলে জীবনের সহজীয়া!
কবিতা : এক নদীর কথা!
বিশ্বজিৎ কর
বিশ্বজিৎ কর
আমি এক নদীকে জানি -
মজে যাওয়ার পথে,
এখনও ঢেউ ওঠে!
ভাসমান শ্যাওলায় বাতাস লাগলেই আমাকে কাছে চায়,
বেশ বুঝতে পারি!
নদীর বুকের তাপ নিতে,
আমি এখন আনমনা!
নদীর ঢেউ ওঠার অপেক্ষায়,
তীরে আছি, জড়িয়ে ধরব....
কবিতা আমার সেই নদী!
মজে যাওয়ার পথে,
এখনও ঢেউ ওঠে!
ভাসমান শ্যাওলায় বাতাস লাগলেই আমাকে কাছে চায়,
বেশ বুঝতে পারি!
নদীর বুকের তাপ নিতে,
আমি এখন আনমনা!
নদীর ঢেউ ওঠার অপেক্ষায়,
তীরে আছি, জড়িয়ে ধরব....
কবিতা আমার সেই নদী!
জানি আমি কেন তুমি
বিপ্লব গোস্বামী
বিপ্লব গোস্বামী
জানি আমি কেন তুমি
চলে গেছো দূরে ;
মন তোমার হারিয়ে গেছে
নুতন গানের সুরে।
চলে গেছো দূরে ;
মন তোমার হারিয়ে গেছে
নুতন গানের সুরে।
জানি আমি কেন তুমি
কহ না কথা ;
মম সনে কইলে কথা
তব সখায় পায় ব্যথা।
কহ না কথা ;
মম সনে কইলে কথা
তব সখায় পায় ব্যথা।
জানি আমি কেন তুমি
করো আমায় হেলা ;
আজি নুতন সখার সনে
নুতন কত খেলা।
করো আমায় হেলা ;
আজি নুতন সখার সনে
নুতন কত খেলা।
জানি আমি কেন তুমি
আসিবে না ফিরে ;
গড়েছো আজি স্বপ্ন বাসর
নতুন গাঙ্গের তীরে।
আসিবে না ফিরে ;
গড়েছো আজি স্বপ্ন বাসর
নতুন গাঙ্গের তীরে।
কবিতা :
নতুন বাংলা
সায়ন প্রামানিক
নতুন বাংলা
সায়ন প্রামানিক
সন্ধ্যা নামে সূর্য ডোবে ,
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলে,
ঘরে ঘরে শঙ্খ বাজে -
বাংলা আজ এসব খোঁজে।
কোন অচেনা জ্ঞানের শিখা,
চুরি করে এসব কথা,
গড়েছে এক নতুন বাংলা।
ভুলেছে মানুষ আকাশ প্রদীপ জ্বালা,
খুঁজেছে আকাশে ওড়ার প্লেনের আলোটা।
লোডশেডিং এর সেই আনন্দটা, ভুলেছে আজ তালপাতার পাখিটা।
ভুলেছে মানুষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটা।
কাছে টেনে নিয়ে পাশ্চাত্য শিক্ষা, গড়েছে এক নতুন বাংলা।
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলে,
ঘরে ঘরে শঙ্খ বাজে -
বাংলা আজ এসব খোঁজে।
কোন অচেনা জ্ঞানের শিখা,
চুরি করে এসব কথা,
গড়েছে এক নতুন বাংলা।
ভুলেছে মানুষ আকাশ প্রদীপ জ্বালা,
খুঁজেছে আকাশে ওড়ার প্লেনের আলোটা।
লোডশেডিং এর সেই আনন্দটা, ভুলেছে আজ তালপাতার পাখিটা।
ভুলেছে মানুষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটা।
কাছে টেনে নিয়ে পাশ্চাত্য শিক্ষা, গড়েছে এক নতুন বাংলা।
অজানা ঠিকানা
আব্দুল রাহাজ
আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল এক রৌদ্রোজ্জ্বল খোলামেলা দিন সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় চারদিকে যেন বৈচিত্র্যময় ফুটে উঠেছে ঠিক এই সময় শান্তি রঞ্জন গোপাল আর মধুমিতা ঠিক ঠিক করল আমরা এবার এক জায়গায় যাব শান্তি বললো কোথায় রে বলল সে এক জায়গায়। ওদের অবশ্য কাল থেকেই স্কুলে ছুটি পড়ে যাচ্ছে ওরা বেশ আনন্দে আছে মনে হচ্ছে ওদের কাছে সামনের দিনগুলো খুশির হিমেল বাতাসের মতো ফুটে উঠছে। ওরা সবাই একটা ছোট্ট উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে প্রত্যেক দিন বিকাল বেলায় তাদের খেলার স্থান ছিল নদীর ধার সেদিন খেলতে খেলতে মধু বলল তাহলে আমরা কাল রওনা হই বেশ ওরা সবাই বলল হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ। কাল এখান থেকে নৌকায় উঠবো এদিকে সন্ধ্যার কালো অন্ধকারে নেমে এসেছে সবাই বালি উড়িয়ে হৈহৈ করতে করতে বাড়ি চলে গেল। পরের দিন সকাল বেলা মধুমিতা সবাইকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে নদীর ধারে চলে গেল সবাই বাড়ি থেকে খাবার-দাবার নিয়ে এসেছে এবার ওদের যাত্রা শুরু হয় এদিকে ওরা মুখার্জীবাবুর ডেরা থেকে নৌকা চেয়ে নিল রঞ্জন আর গোপাল নৌকা চালানোয় খুব পারদর্শী ওরা সবাই নৌকায় উঠলো নৌকা চলতে থাকলো শান্তিপূর্ণ এই মধু আমরা কোথায় যাচ্ছি রে আরে যাচ্ছি এক অজানা দেশে সেখানে শুধু শান্তি আর শান্তি। গাছপালা সবুজে ভরা সেখানে কোনো মানুষ নেই ওরা হাঁ হয়ে গেল তারপর মধু একটা গান ধরল হারে রে রে রে রে আমরা যাচ্ছি এক দেশে সেই জায়গা অজানা সেই জায়গা অজানা আস্তে আস্তে অনেক সময় হয়ে গেল ওরা নৌকায় বসে রইল অনেক্ষণ। শান্তি বলল আর কতদূর সূর্য তো মাথার উপর মধুমিতা বলল ওই দূরে দেখ গাছপালা ঘেরা একটা বন দেখা যাচ্ছে হ্যাঁ ওটা তো দ্বীপ তবে ওখানে আমরা কি করব জন্য অচেনা জায়গায় অচেনা জিনিস দেখতে পাব। মধুমিতা বলল রঞ্জন গোপাল নৌকাটা ওখানে নিয়ে চল ওরা নৌকাটাকে কাছে নিয়ে গিয়ে একটা গাছের গায়ে বেঁধে রাখলো এদিকে শান্তি অজানা ঠিকানা অচেনা জায়গায় এসে ভয় ভয় করতে লাগলো। ওরা দ্বীপ টিতে পা দিতেই দেখতে পেল রংবেরঙের পাখি রাতে বেশ মজা পেয়েছিলো প্রথমেই ওরা দেখল বিভিন্ন ফলের গাছ ফুলের গাছ ভর্তি গোপাল বললো ও মধু কি জায়গা একদম মনোরম পরিবেশ রঞ্জন তো ফল খেয়ে ছিল অনেক শান্তি বলল শোন শোন দেখ দেখ বিভিন্ন রঙের মাছ মনে হচ্ছে ধরে নিই।সবকিছু জেনেও বৈচিত্র্য নিয়ে তাদের সামনে ফুটে উঠেছিল সবুজে আবৃত এক মহামায়া পরিবেশে এক অজানা ঠিকানা ওরা বেশ মজা করলো। ওরা সবাই মিলে এই জায়গাটার নাম দিলেও মায়াময় দ্বীপ এক অনন্য বৈচিত্র্য ছাদে প্রকৃতির মায়ের কোলে খোলা আকাশের নিচে এক রূপকথা দ্বীপ নিয়ে আছে। তখন পড়ন্ত বিকেল ওরা সারাদিন এই অজানা ঠিকানা এসে বেশ আনন্দে দিন কাটালো অনেক অচেনা জিনিসের সঙ্গে পরিচয় হলো এইভাবে ওরা মা মায়াময় দ্বীপ আর অজানা ঠিকানায় বেশ মজা করে নৌকায় উঠে বাড়ির পথে রওনা দেয়। তাদের মনে মাঝে এই অজানা ঠিকানা ও তাদের নাম দেওয়া এই মায়াময় দ্বীপ সবার মনের মাঝে ওদের মনের মনিকোঠায় স্মৃতি বিচারক হয়ে থাকবে আজীবন।
অকল্যাণ
উমর ফারুক
উমর ফারুক
কল্যাণীর পাশবিক অত্যাচার
একজন আদর্শবান
প্রতিভাবান ছাত্রের জীবনের
উল্টো দিকে বাঁক নেয়।
নেপথ্যে পরীক্ষার ট্রামগাড়ি
দূর-দূরান্তে অসহায় ছাত্রের আহাজারি
কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
কল্যাণী যেখানে দিশেহারা
সেখানে পড়ূয়াদের কি বা করার।
মাঝখানে নেতা-মন্ত্রীদের উদ্যমী কর্মপন্থা জীবনের ধারে একটি মৃত্যুকে ভিড়িয়ে দেয়।
কণ্টকাকীর্ণ গলিপথে ধাক্কা দেয়
আবার পিছনে টানে
আবার ধাক্কা দেয় এবং পিছু টানে
অতঃপর.....
ব্যতিক্রমী ভাবনার শিড়দাঁড়া খাড়া হয়
পায়ের নিচের মাটি পায়
কিন্তু আবার নেতা-মন্ত্রীদের উদ্যমী কর্মতৎপরততা মৃত্যুর দিকে ঠেলবে কি
ঠেলবে না এখনো অস্পষ্ট ।
একজন আদর্শবান
প্রতিভাবান ছাত্রের জীবনের
উল্টো দিকে বাঁক নেয়।
নেপথ্যে পরীক্ষার ট্রামগাড়ি
দূর-দূরান্তে অসহায় ছাত্রের আহাজারি
কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
কল্যাণী যেখানে দিশেহারা
সেখানে পড়ূয়াদের কি বা করার।
মাঝখানে নেতা-মন্ত্রীদের উদ্যমী কর্মপন্থা জীবনের ধারে একটি মৃত্যুকে ভিড়িয়ে দেয়।
কণ্টকাকীর্ণ গলিপথে ধাক্কা দেয়
আবার পিছনে টানে
আবার ধাক্কা দেয় এবং পিছু টানে
অতঃপর.....
ব্যতিক্রমী ভাবনার শিড়দাঁড়া খাড়া হয়
পায়ের নিচের মাটি পায়
কিন্তু আবার নেতা-মন্ত্রীদের উদ্যমী কর্মতৎপরততা মৃত্যুর দিকে ঠেলবে কি
ঠেলবে না এখনো অস্পষ্ট ।
বৃষ্টি
হামিদুল ইসলাম
হামিদুল ইসলাম
তোমার মতোই ছিলো
সেদিনের বৃষ্টি
ঠিক যেনো অবিকল তুমি
বৃষ্টি হয়ে পড়ছো তুমি আমার গায়ে
আহা ! কী অপরূপা সৃষ্টি ।।
সেদিনের বৃষ্টি
ঠিক যেনো অবিকল তুমি
বৃষ্টি হয়ে পড়ছো তুমি আমার গায়ে
আহা ! কী অপরূপা সৃষ্টি ।।
বৃষ্টি হলে কার না ভালো লাগে
তুমি বৃষ্টি হলে আমার লাগে বেশ
মনে মনে ভাবি মেঘ হই
তোমার মতোই বৃষ্টি হয় ঝরে পড়ি
একমুঠো ভালোবাসা পেয়ে যাই অবশেষ ।।
তুমি বৃষ্টি হলে আমার লাগে বেশ
মনে মনে ভাবি মেঘ হই
তোমার মতোই বৃষ্টি হয় ঝরে পড়ি
একমুঠো ভালোবাসা পেয়ে যাই অবশেষ ।।
বৃষ্টি হলে শান্ত পৃথিবীর জমিন
বৃষ্টি হলে ঢেকে যায় আকাশ
ফুলে ফুলে পৃথিবী হয়ে ওঠে রঙিন
এই শোভার নেই শেষ
আমার মনের জমিনে তুমি শরতের একমুঠো শুভ্র কাশ ।।
বৃষ্টি হলে ঢেকে যায় আকাশ
ফুলে ফুলে পৃথিবী হয়ে ওঠে রঙিন
এই শোভার নেই শেষ
আমার মনের জমিনে তুমি শরতের একমুঠো শুভ্র কাশ ।।
বৃষ্টি হলেই তুমি আসো
ঠিক যেনো অবিকল মেঘভাঙা ঝড়
কখনো রোদ
বৃষ্টি হলেই প্রেমটা জমে ওঠে আমাদের
দূরেতে মেঘ ডাকে কড়কড় কড় ।।
ঠিক যেনো অবিকল মেঘভাঙা ঝড়
কখনো রোদ
বৃষ্টি হলেই প্রেমটা জমে ওঠে আমাদের
দূরেতে মেঘ ডাকে কড়কড় কড় ।।
প্রভূর দয়া
জুয়েল রূহানী
জুয়েল রূহানী
কী অপরূপ সৃষ্টি তোমার-
প্রভূ দয়াময়,
চতুর্দিকে যা আছে সব
তারি পরিচয়।
প্রভূ দয়াময়,
চতুর্দিকে যা আছে সব
তারি পরিচয়।
আকাশ-বাতাস, পাহাড়, নদী-
সাগর সীমানায়,
যা আছে সব তোমার দয়ায়-
সৃষ্টি সু-নিশ্চয়!
সাগর সীমানায়,
যা আছে সব তোমার দয়ায়-
সৃষ্টি সু-নিশ্চয়!
গাছ-গাছালি, পাখ-পাখালি
মানব পরিচয়,
তোমার দয়া ছড়ানো যে-
নিখিল বিশ্বময়।
মানব পরিচয়,
তোমার দয়া ছড়ানো যে-
নিখিল বিশ্বময়।
সকল কিছু সৃষ্টি তোমার
প্রভূ দয়াময়,
তোমার দয়ায় বেঁচে আছি
নেই কোন সংশয়।
প্রভূ দয়াময়,
তোমার দয়ায় বেঁচে আছি
নেই কোন সংশয়।
অনুগল্প
পূজো
মিনতি গোস্বামী
পূজো
মিনতি গোস্বামী
ছ'মাস হল তাতান গৃহবন্দী।
বাড়ির বাইরে বেরোয়না।বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়না বহুদিন।রাস্তাঘাট দোকানপাট তার কাছে স্মৃতি হয়ে গেছে।তার কাকা, পিসি,দিম্মা তারাও বাড়িতে আসেনা।ম্যাডাম বাড়িতে পড়াতে এলে কত গল্প হত,ম্যাডামের কাছে পড়াও বন্ধ।তাতান ক্লাস সিক্সে পড়ে, এখন অনলাইনে ক্লাস করে, নিজের মনে ছবি আঁকে আর দোতলার বারান্দার গ্ৰীল থেকে সবাইকে দেখে।
বাড়ির বাইরে বেরোয়না।বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়না বহুদিন।রাস্তাঘাট দোকানপাট তার কাছে স্মৃতি হয়ে গেছে।তার কাকা, পিসি,দিম্মা তারাও বাড়িতে আসেনা।ম্যাডাম বাড়িতে পড়াতে এলে কত গল্প হত,ম্যাডামের কাছে পড়াও বন্ধ।তাতান ক্লাস সিক্সে পড়ে, এখন অনলাইনে ক্লাস করে, নিজের মনে ছবি আঁকে আর দোতলার বারান্দার গ্ৰীল থেকে সবাইকে দেখে।
মা আজ সকালে বলেছে,"আর দেড়মাস বাদে দুর্গাপূজো।" বিকেলে বারান্দা থেকে সে তাদের চারমাথার মোড়ের দিকে তাকায়।এখনো শুনশান।
অন্যবার এতদিন বাঁশ পড়ে যায়।থিমের পূজো বলে অনেক বড় প্যান্ডেল হয়।বিচিত্রানুষ্ঠানের জন্য আলাদা প্যান্ডেল হয়।প্যান্ডেল শুরু হলেই মায়ের সঙ্গে বিকেলে রোজ দেখতে যেত।প্যান্ডেলে কাপড় পরলে মা পাতা চেয়ারে পাড়ার আন্টিদের সঙ্গে গল্প করতো,আর তাতান ওদের বন্ধুদের সঙ্গে ছুটে ছুটে খেলা করতো।পূজোর পাঁচদিন তো বেশীরভাগ সময় প্যান্ডেলেই কাটতো।এবার রাস্তা শুনশান।
করোনার বন্দী অবস্থার চেয়ে ও পূজোর জন্য তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
বাবা বললো," এবার ছোট করে একচালার
পূজো হবে, কিন্তু ভিড় করা যাবেনা।
হয়তো গিয়ে একবার ফাঁকায় ফাঁকায় দেখে আসা যাবে।"
তাতান বসে বসে পূজোর জন্য দিন গোণে।
অন্যবার এতদিন বাঁশ পড়ে যায়।থিমের পূজো বলে অনেক বড় প্যান্ডেল হয়।বিচিত্রানুষ্ঠানের জন্য আলাদা প্যান্ডেল হয়।প্যান্ডেল শুরু হলেই মায়ের সঙ্গে বিকেলে রোজ দেখতে যেত।প্যান্ডেলে কাপড় পরলে মা পাতা চেয়ারে পাড়ার আন্টিদের সঙ্গে গল্প করতো,আর তাতান ওদের বন্ধুদের সঙ্গে ছুটে ছুটে খেলা করতো।পূজোর পাঁচদিন তো বেশীরভাগ সময় প্যান্ডেলেই কাটতো।এবার রাস্তা শুনশান।
করোনার বন্দী অবস্থার চেয়ে ও পূজোর জন্য তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
বাবা বললো," এবার ছোট করে একচালার
পূজো হবে, কিন্তু ভিড় করা যাবেনা।
হয়তো গিয়ে একবার ফাঁকায় ফাঁকায় দেখে আসা যাবে।"
তাতান বসে বসে পূজোর জন্য দিন গোণে।
হৃদয় মুছে যায়
বিকাশরঞ্জন হালদার
বিকাশরঞ্জন হালদার
চূড়ান্ত কোনো ঝুঁকে পড়ায় চোখ রেখে হৃদয় মুছে যায়
দূরের ডাকে সাড়া দেয় ঘরের সমারোহ
মনোভূমি শুনশান রহস্যের ভিড়
অকাতরে খরচ হয় আপাত নম্রতা
বহাল ছক্ পাঁজর মটকায় !!
দূরের ডাকে সাড়া দেয় ঘরের সমারোহ
মনোভূমি শুনশান রহস্যের ভিড়
অকাতরে খরচ হয় আপাত নম্রতা
বহাল ছক্ পাঁজর মটকায় !!
Often We Mistake
By Sabir Ahmed
By Sabir Ahmed
Often we mistake a lot
Understand or not.
Say those are yours
These are ours.
Understand or not.
Say those are yours
These are ours.
We make a rampart of difference
For blood between life and death,
By balance between balance and imbalance,
Not to mix else we take an oath.
For blood between life and death,
By balance between balance and imbalance,
Not to mix else we take an oath.
For assets brother murders brother,
Where son doth with father.
Wrath and lust
Amidst our mind knit a knot.
Where son doth with father.
Wrath and lust
Amidst our mind knit a knot.
To have a few brief chances,
We befool the fools.
We don't expose our hesitance
To take away 'eir happiness of living goals.
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
লেখা আহ্বানWe befool the fools.
We don't expose our hesitance
To take away 'eir happiness of living goals.
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 08 Sep 2020 থেকে 16 Sep 2020 এর মধ্যে
শারদীয়া সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ শারদ সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 17 Sep 2020 , বিকাল 3টা (মহালয়ার দিন)
0 comments: