সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 14/09/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 14/09/2020
Upokontha Sahitya Patrika Web Megazine- 14/09/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 14/09/2020

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
              (ওয়েব ম্যাগাজিন)
            
প্রকাশ কাল:-14/09/2020, সোমবার
               সময় :- দুটি 12 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577


💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫💫

লিমেরিক
অর্থ
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

রেশনেতে চাল পেয়েছি, গম -ময়দা-সূজী
করোনা ত্রাসে বন্দী ঘরে, নিঃশেষ তো পুঁজি, 
অর্থ বিনা জীবন
কেমনে যাবে সহন
জীবনটা তাই বাজী রেখে, অর্থ বেড়াই খুঁজি। 
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়





মাটি 
দীপাঞ্জন ভট্টাচাৰ্য


আকাশ পথে আর কত 
এবার তোমার মাটিতে নামার পালা 
যদি খাঁটি হও নামো এইবার 
আকাশ থেকে কি দেখলে 
কত টুকুই বা শিখলে? 
মাটি দেখো স্থির অহর্নিশ 
তুমি বলবে ভূমিকম্পেও মাটি কাঁপে 
আমি বলবো এখনো তুমি কাঁপো।।।।




দূরত্ব
        ফিরোজ হক্

বিশ্বব্যাপী এক মৃত্যুসভ্যতা
                    অপেক্ষারত।
সম্প্রদায়ের মুখোশে পড়েও
মানুষ ভুলতে শিখেছে সম্প্রদায়।
সন্দেহের বশে স্বজনকে দেখা
লক্ষ যোজন দূরত্ব বজায়।
হৃদয়ের দূরত্ব।
হৃদয় আজ মৃত্যুভয়ে জাগ্রত
সন্দেহের বশে আমি আপনি তুমি।

এখন আর কেউ বলেনা প্রকৃতির‌ কোলে আশ্রয়ের কথা
কেউ বলেনা প্রাতঃভ্রমণের কথা
মানুষ আজ নিজেকে বন্দি করেছে
নিজেরই দোষে কিংবা গুণে।

মানুষ ভুলতে শিখেছে মানুষকে
আজ তোমার-আমার মধ্যে দূরত্বের জন্যই
মৃত্যুভয় গ্রাস করছে তোমাকে।







ভালোবাসা মানে ...
              শাশ্বতী দাস

ভালোবাসা মানে একটা আকাশ,
   একটাই চাঁদ তাতে -
ভালোবাসা মানে আমার দু চোখ 
    শুধু তোমাকেই খোঁজে।

ভালোবাসা মানে শ্রাবণ দিনের 
    প্রথম কদম ফুল!
ভালোবাসা মানে হাতে হাত রেখে
    এগিয়ে চলা বহুদূর,

ভালোবাসা মানে ভরা বরষায় 
    দু কূল ছাপানো নদী -
ভালোবাসা মানে আমার আমিকে
       তোমাতেই হারিয়ে খুঁজি।।








 বৃষ্টি
      মিনতি গোস্বামী

বৃষ্টি আনন্দ দেয় সবার মনে
বৃষ্টি ফুল ফোটায় বনে বনে
বৃষ্টি মাটির বুকে দেয় প্রাণ 
বৃষ্টি প্রকৃতির সেরা দান।

বৃষ্টি ভরিয়ে দেয় নদীনালা
বৃষ্টি সাজিয়ে দেয় গাছপালা
বৃষ্টি আনে চিরদিন প্রেমের জোয়ার
বৃষ্টিসুরেই বাঁধি মনে মনে দোহার।







প্রশ্ন
      বিপ্লব গোস্বামী

যুগ এখন আধুনিক
শতক একবিংশ।
সভ‍্য যুগের ভদ্র মানুষ
কারা তবে হিংস্র ?
বরবরতার আদি যুগ
কবে গেছে অস্ত।
আধুনিক যুগের আগুয়ান মানুষ
সবাই স্ব স্ব ব‍্যস্ত।
অরাজকতার রাজ‍্য নয়
স্বাধীন দেশ সত‍্য।
কম্পিউটারের জিজিটাল যুগে
ঠিকঠাক সব তথ‍্য।
তবে কারা করে জাতি হিংসা
কোন মহা রোগে ?
বিবস্ত্র লক্ষ্মী কেন সভ‍্যতার যুগে ?









ইশানদের পুরানো বাড়ি 
      আব্দুল রাহাজ

কালু ঈশান বুলু অনিমা অনিমা রা একই গ্রামে থাকতো বেশ ভালোভাবে আনন্দ করে দিনগুলো কাটতো। তাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট নদী চিত্রা তার পাশে ঈশান দের বহুকালের পুরানো বাড়ি ইট বালি সব খসে খসে পড়ছে ওরা ওখানে সবাই খেলা করে বেশ আনন্দ হয় ওদের। ঈশান ওর দাদুর কাছ থেকে পুরানো বাড়ির গল্প শুনেছিল। সেদিন ছিল রবিবার ঈশান বলল এই কালু বুলু অনিমা অনিমা তনিমা রা শোন আমাদের এই পুরানো বাড়ির গল্প শুনবি আমি কাল দাদুর কাছ থেকে শুনেছি কালু বলল হ্যাঁ শুনবো শুনবো শুনবো ওরা সবাই হ্যাঁ হ্যাঁ বলে চিত্কার করে উঠলো তাহলে চল ওই গাছ তলায় বসি সবাই ওরা দৌড়ে গিয়ে বসলো এরপর ঈশান বলতে শুরু করে ঈশান বলল অনেক বছর আগে চিত্রা নদীর পাড়ে আমার বাবার দাদুরা এই পুরানবাড়ি টি বানিয়েছিল তখন এই এলাকায় জমিদার ছিল আমার দাদুর বাবারা এখন অবশ্য আছে ওরা বললো ওরা হেসে উঠলো ইশান বললো না বলবো না তোদের মন নেই বুলু বল বল বল বল তারপর বেশ সুখে শান্তিতে সবাই বাস করতে লাগলো গ্রামের মানুষদের সুখে-দুঃখে আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়াতো শান্তিময় পরিবেশ নিয়ে আমরা চিত্রা নদীর পাড়ে বসবাস করতাম গ্রামের মানুষদের সঙ্গে আজও আমাদের সু-সম্পর্ক আছে। কিন্তু দশ বছর পুরানো বাড়িতে থাকার পর জোয়ারের নোনা জল ঢুকে সব যেন নড়বড়ে করে দিয়েছে দেখেছিস আমাদের পুরানো বাড়ির পশ্চিম দিকটা একেবারে ভগ্নস্তূপ হ্যাঁ হ্যাঁ ওটা চিত্রা নদীর জলে সলিল সমাধি হয়েছিল আমার বাবার দাদুর ভাই ওই ঘরে থাকতো তিনি সলিল সমাধি হয়ে গেছে ওই চিত্রা নদীতে ওরা বলল তাই ইশান বললো হ্যাঁ হ্যাঁ তারপর থেকে আমরা যেখানে আছি যেখানে আমাদের বাড়ি করেছে ওখানে আমরা থাকতে শুরু করি । তারপর থেকেই বাড়ি সবার কাছে পুরনো বাড়ি হয়ে আছে। এইভাবে এখনো আমাদের এই পুরানো বাড়ি প্রায় ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে সত্যিই তাই। অনেক সময় মনে হয় এই বাড়ি যেনো কত স্মৃতির অধিকারী কত লড়াইয়ে সাক্ষী এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেল সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢুকতে শুরু করলো ওরা সবাই বাড়ি চলে গেল আরিশ আমদের পুরানো বাড়ি আবারো চেয়ে রইলো তাদের দিকে এইভাবে গ্রামের সকলের কাছে ঈশানের বাড়ি হয়ে রইল ঐতিহ্য রূপে।










অণুগল্প

ভাতের ব‍্যথা
মহীতোষ গায়েন

মহিম অভাবের তাড়নায় দিদির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে।সেদিন রোববার,আকাশে কালো মেঘ,বিকেলে মাঠে খেলা সেরে দিদিকে বলে,'খুব খিদে পেয়েছে,এক মুঠো ভাত দিবি?',দিদি বলে,'দুপুরে অতটা গিলে আবার খিদে?' অভিমানে সারাটা বিকেল খিদের জ্বালায় গাছে উঠে সে তেঁতুল খেয়েছে আর ডুকরে ডুকরে কেঁদেছে,অঙ্গীকারের লড়াই সেই শুরু।

মহিম আজ কলেজের অধ‍্যাপক,সেদিন বাড়ি ফেরার পথে স্টেশনের কাছে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলে বলে,'বাবু,খুব খিদে পেয়েছে পাঁচটা টাকা দেবেন? মহিমের চোখে জল,সে ছেলেটিকে পেট ভরে খাওয়ায়,ছেলেটির মুখে তখন চাঁদের হাসি।আজ মহিমের পরম তৃপ্তি,তার শৈশবের ব‍্যথা,অভুক্ত ছেলেটির পরম তৃপ্তির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়।পাশের কদম গাছের নীচে পড়ে থাকা সব ফুল যেন সাদা ভাত,চরাচরে তখন বেজে চলেছে আগমনী সুর।






কবিতা : আমার উষ্ণতা !
             বিশ্বজিৎ কর

বুকভরা নিঃশ্বাস দিতে পারি আমি, 
যদি আমায় স্বস্তি দাও! 
স্বস্তিও দিয়ে দিতে পারি, 
যদি সৌজন্য দাও! 
সৌজন্যও তোমায় দেবো, 
যদি আমায় উষ্ণতা দাও! 

না,উষ্ণতা দিতে পারব না -
আমারই থাকুক-
মননে,ভালবাসায়,কবিতায়!







কালো মেঘের ভেলা
      জুয়েল রূহানী

মেঘলাকাশে মন উদাসে
একলা পথের ধারে,
স্বপ্ন রুপের হাত ছানিতে-
হৃদয় আমার কাড়ে!

কালো মেঘের ভেলায় ভেসে
ইচ্ছে মত ঘুরে,
বিচরিত রুপ দেখে সব-
যাবে দু'চোখ জুড়ে!

শূন্য পথের পথিক হয়ে,
একলা থাকাই ভালো,
মাথার উপর ছাঁয়া দানে-
রয় যদি মেঘ কালো।










                      স্মৃতি
                 হামিদুল ইসলাম

সব স্মৃতিগুলো 
ভাসিয়ে দিয়েছি সমুদ্রের জলে 
নতুন স্মৃতিগুলো পুরোনো পাতায় 
ইতিহাস হয়ে আছে 
কতোদিন আগে ।

ভাবি নি স্মৃতিগুলো 
আবার ফিরে আসবে 
সমুদ্র ভরে উঠবে 
স্মৃতিগুলো ভেসে বেড়াবে হৃদয় কাননে  
সব যেনো ভাবনার অতীত ।

তবু ভাবি
নতুন স্মৃতিগুলো মাথা তোলে 
নদীগুলো খরস্রোতা হয়ে ওঠে 
ফিরে পাই আশা 
স্মৃতিগুলো নিয়ে আবার বেঁচে থাকতে চাই ।

স্মৃতির পাহাড় জমে ওঠে বুকে 
স্মৃতিগুলো এখন শিফনবাড়ির শান্ত জল ।








(ছড়া) 
প্রকৃতি প্রেমিক 
        শংকর হালদার

পড়াশোনায় মন বসে'না
এদিক ওদিক ধায়,  
একলা হলে আপনি হারায়
মন যেখানে চায়।

পায়ে পায়ে বেজায় হাঁটে
আপন সুরে গায়,
ইচ্ছে পূরণ হলে তবেই
গৃহ পানে ধায় ।

সাগর তীরে বেলা কাটে
তরঙ্গ নাচন দেখে,
আলো শেষে আঁধার নামে
রাতের কালি মেখে ।

নুড়ি-পাথর, গাছ-গাছালি
নয়ন তারায় ভাসে,
স্বপ্ন কোলে ধরা দেয়
কবিতা হয়ে ঘাসে ।

বিদ্যে-বুদ্ধি শিকেয় তুলে
হরেক রকম আঁকে,
প্রজাপতি আজ ডানা পেয়ে
তার-ই যেন ডাকে ।

ভাষার কুঁড়ি দু'হাত ভরে
ছন্দের মালা বুনি,
বাতায়নে তাদের কথা
কান পেতে শুনি ।

সৃজন দেখায় বাঁচার স্বপন 
হারিয়ে গেলেও দূর,
গানের মতো শক্তি কার
বেদনা ভোলায় সুর ।

প্রকৃতি আমায় হাতছানি দেয়
ইঙ্গিতে তার নেশা,
আপন জনের মায়া যেন তার
আপনি কাছে আসা ।










আকাশ 
       নরেন্দ্র নাথ নস্কর

তুমি এত বড় যে তোমাকে ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা এক প্রকার ছেলেমানুষি মনে হয়।

একটা পৃথিবীর এত গুলো দেশকে,এত বৈচিত্র সত্বেও একই ছাতার তলায় রেখে দিয়েছ।

এত গুলো মহাসাগর,সাগর,নদী,লেক, বা অন্য জলাশয়গুলোকে একটা আকাশের তলায় আশ্রয় দিয়েছ।

এতগুলো অরন্যকে , সবুজ বনানিকে তোমার নীল গগনের তোলায় বাঁচতে শিখিয়েছ। অথচ সামান্য সেই সবুজ টুকু ও মানুষ কেমন স্বার্থপরের মত অবলীলায় ধংস করে চলেছে।

এত পর্বত, গিরি মরু, সবাইকে কেমন তুমি নিজের বুকে স্থান দিয়েছ।

মেঘ সৃষ্টি করে জল দিয়ে কেমন ভাবে তুমি 
পৃথিবীতে প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করে চলেছ। 

তোমার সঙ্গে মানুষ বৃহতের তুলনা করে। তোমার মত উদারতা আর কার আছে?
ষড় ঋতুতে তুমি কতবার ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টাও । রামধনু এনে অপুর্ব রঙের বৈচিত্র দেখাও।
যতই তোমাকে বর্ণনা করি না কেন যে কন পুরো বর্ণনাকরা এক প্রকার দু:সাধ্য।

তোমাকে প্রণাম।




লেখা আহ্বান নিউজপিডিয়া 
শারদ সংখ্যা- ১8২৭
নিউজপিডিয়া শারদ সংখ্যা- ১৪২৭লেখা আহ্বান

1 টি মন্তব্য: