উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/09/2020Upokontha Sahitya Patrika web megazine - 04/09/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/09/2020 |
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-04/09/2020, শুক্রবার
সময় :- সকাল 10:30 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
The song of rising sun
Mahitosh Gayen
The fear of this life decays like incense,
The fire of incense gets back to the past,
The smoke of the past comes,
The mind floats in the smoke,
The language that loses,mind is hope in love.
That hope flies away and burns the mind secretly,if the mind burns,
The ashes want this life.
The days will change,
The shelves will change,
The wind will change.
Happiness comes to life,heart bursts,
new sun rises,
when flowers bloom in the trees.
If I Ask You
By Sabir Ahmed
Have you e'er caught still or moving shadow
Before, behind, beside ?
Maybe you'll say no or never.
For this is mightier than you.
Have you e'er touched your reflection
Inside the glass or mirror or on crystal water?
Maybe you'll say no or never.
For this is your own duration.
Have you e'er withheld the bubbles of water
Inside any kind of container?
Maybe you'll say yes but it's for short-time.
For they are transitory.
Have you e'er seen the wind
Hither and thither?
Maybe you'll say no or never.
For this is invisible.
Would you e'er detain your admirable beauty
Lying on your oily dust and natural elements ?
Maybe you'll say no or never.
For beauty would be faded away.
Would you think yourself to be powerful
After ascending on the throne?
Maybe you'll say yes.
For your post about you would change you.
Do you know that everything is destructible
Upon this dwellable earth?
Maybe you'll say yes.
For this is real and true o'er whole things.
আলো
তন্ময় বিশ্বাস
বেদনার মধ্য থেকে খুঁজে নিই আলো।
পাতাঝরার পর নতুন পাতা অদ্ভুত পেলব
মনে হয়।
আসলে মানি আর নাই মানি,
পৃথিবীর সমস্ত বেদনার মধ্যে-
অদ্ভুত এক ভালো লাগা আছে
যা আমাদের হাত ধরে টেনে আনে
গভীর খাদ থেকে।
শোন,
পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ-হতাশার পর
বরাবর আমাদের জন্য-
ভালোবাসা অপেক্ষা করে।
অনুকবিতা :
বৃষ্টি
সায়ন প্রামানিক
বৃষ্টি এসে তোমায় আবার
ভিজিয়ে দিয়ে যায়,
বন্ধ শহরে প্রেমিক আজও
তোমার অপেক্ষায় ।
বৃষ্টি যেন চুপিচুপি তারই কথা
তোমায় বলে গেলো ,
মনখারাপের বৃষ্টি আজ
তোমার আঙুল ছুলো।
জীবন
হামিদুল ইসলাম
কবিতার ছন্দ ভাঙি
রাত্রি গভীর
তুমি পাশে নেই
নির্ঘুম রাত
কেটে যায় মনের দরজায় ।
আর কতোদিন
বন্দি জীবন
বেরিয়ে আসো
কবরের মাটি ছেড়ে
বুকে রাখো অদম্য সাহস ।
জলের জন্যে উন্মুখ প্রাণ
পিপাসা প্রতিদিন
হারিয়ে যাই জলে
চিনে নিই তোমার আশ্রম
জানি তোমাকে পাবো না অনায়াসেই ।
কষ্টের জীবন
ভরে ওঠে মাঠ
মাঠের শেষে অরণ্যের বশংবদ শ্বাস
চলো ফিরে আসি মাতলা থেকে ।
যেখানে স্বপ্নগুলো কখনো হয় না শেষ ।
আমরা তিনজন
আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল হাই স্কুলে পড়ার সময় আমার মনে আছে সেবার আমরা সবে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠি তখন বন্ধু বলতে কাইফ মইফুল এরা একদিন ওরা আসেনি আমি বসলাম দ্বিতীয় বেঞ্চে ঘরটার নাম্বার আমার স্পষ্ট মনে আছে আট ঘরে বসতাম। পাশে একজন বসলো হালকা ফিনফিনে আমার ছাড়া একটু লম্বা আমি বাইরে গিয়েছি এসে দেখি আমার ব্যাগ দ্বিতীয় বেঞ্চের শেষের দিকে দিয়ে দিয়েছে আমি ওকে বললাম এই তুই এটা আমার লাস্ট দিয়েছিস কেন আমিতো ফাস্টে ছিলাম কিছু কথা নেই ও আমাকে একটা চড় মেরে বসলো আমি একটু চুলির মুঠি ধরে ঘুরিয়ে দিলাম একটু হাতাহাতি হলো তারপর টিফিন বেলায় হঠাৎ পাশে এসে বসলো তারপর ওর নামটা বলল বলল আমার নাম সানোয়াজ আমি বললাম আচ্ছা আমি আমার নামটা বললাম তারপর থেকে আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম খুব অদ্ভুত ভাবে আমাদের বন্ধুত্ব টা হল এরপর ওর সাথে খেলাধুলা হলো মনে আছে একদিন ওদের মাঠে ফুটবল খেলা হয়েছিল আমি জানতাম না স্কুলে গিয়েছি ও এসে বলল রাহাজ রাহাজ তুই আমার সঙ্গে একটু খেলতে যাবি আমাদের মাঠে আমি বললাম কি খেলা ফুটবল আমি বললাম আমি ক্রিকেটটা ভালো পারি ফুটবল পারিনা বলে তাতে কি হয়েছে চল না ও সাথে ওদের বাড়ি গেলাম গিয়ে ওর খেলা জামা পড়লাম হোবলা সে কি হাসি এবার খেলা শুরু হল দিকে বৃষ্টি পড়ছে সেই আনন্দ হচ্ছিল তারপর আর একটা গোল দিলাম ওদের সে কি আনন্দ লাস্ট পর্যন্ত আমরা হেরে গিয়েছিলাম এটা হাস্যকর ব্যাপার হয়েছিল আমার বন্ধু সানোয়াজ ছিল গোলকিপার তোর প্যান্টটা খুলে যায় তা দেখে আমরা সবাই হাসতে থাকি সেই ফাঁকে কোথা থেকে কি হয়ে গেল গোল হয়ে ওঠা জিতে গেল এরকম অনেক স্মৃতি নিয়ে ওর সাথে সময় কাটানো ঘোরা সবই চলে তারপর স্কুল শেষ হলে দু'বছর তাও যেন সেটা কোথাও থামেনি অল্প হলেও একটু কমেছে মুঠোফোন ছাড়া আর দেখা হয়না সত্যি এখান থেকেই যেন জীবনটা ঘুরে গেল ওদের সাথে ঘুরে। এরপর আরেকজনের কথা বলবো এই হচ্ছে আমাদের লাস্ট ম্যান যেখানে আমরা তিনজন ঘুরতাম ষষ্ঠ শ্রেণীর পর থেকে এর সাথে পরিচয় হয় ইতিহাস-ভূগোল প্রাইভেট টিউটরের কাছে তখন আমরা সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছি কি লম্বা ছিল সে দেখতে খুব সুন্দর ছিল বেশ আমি প্রথমে নামটা জানলাম হল ফারিকুল ইসলাম তো কোন স্কুলে পড়া হয় ও বলল মেটিয়া হাই স্কুল আমি বললাম আমাদের স্কুলে কোনদিন দেখিনি তো আমি চিনতাম না তোমায় ঠিক আছে তাহলে কালকে স্কুলে গিয়ে দেখা হবে দেখতে দেখতে ওদের সাথে কেমন বন্ধুত্ব আমি স্কুলে গিয়ে অবাক শানোয়াজ দেখি ওর সাথে খুব ঘুরছে আমি আজকে বললাম তুই ফারিকুল কে চিনি সানোয়াজ হ্যাঁ ওরা তো আমার গ্রামের পাঠশালার বন্ধু ও আচ্ছা আচ্ছা ওখান থেকেই কোথাও যেন আমি পরিবর্তন হয়ে গেলাম পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক বাড়লো তার আগে মোটামুটি ছিলাম পড়াশোনায় এরপর ওদের সাথে খেলাধুলা ঘোরাঘুরি প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম ইস্কুলে ওদের সাথে আমরা তিনজনেই ছিলাম বেশ আনন্দে হঠাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার চলে গেল দুজনে বেশ কষ্ট লাগছিল প্রভু লীলাখেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সেই একই ঘরে পড়ে ছিলাম আমরা আবারও যেন মনে হচ্ছিল আমরা তিনজনে একত্র হয়েছি আবার এখনো ওদের সাথে কথা হয় দেখা হয় কিন্তু সেই আগের আনন্দটা আর ফিরে পাওয়া যায় না এই ভাবে আমরা আজও মুঠোফোনের মাধ্যমে কিংবা কখনো কখনো সময় পেলে দেখা করার সুযোগ পাওয়া যাবে সত্যিই আমরা তিনজন এক অনন্য প্রতীক মেলবন্ধন যা থাকবে আজীবন মনের মনিকোঠায় সেইসব দিনগুলো থাকবে স্মৃতি বিজড়িত হিসেবে আজীবন আজীবন।
অকৃত্রিম ভালবাসা
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
ভালোবাসা পাপ নয় যদি তাতে মন ও হৃদয় দুইই থাকে।
দুজনের নির্ভয় ও আনন্দের সম্মতি ছাড়া ভালবাসা একপ্রকার অত্যাচার।
সত্যিকারের ভালবাসা কোন জাত,ধর্ম,বর্ন,ধনী,দরিদ্র,দেশ বোঝে না।
সত্য ভালবাসা আনন্দে চোখে জল আনে।
সত্যি ভালবাসলে অনেক সময় অনেক দু:খ সইতে হয।
সত্যি ভালবাসায় আনন্দ যেমন আছে,তেমনি বেদনাও কম নয়।
অর্থের দ্বারা সত্যি ভালবাসা কিনতে পারা যায় না।
সত্য ভালবাসা যেমন অনেক অধমকে ভালো পথে নিয়ে যায়, তেমনি ভালবাসার মোহ অনেক তথাকথিত নর নারীকে নরকে নিয়ে যেতে পারে।
মোহগ্রস্ত ভালবাসায় ভেজাল থাকে।
সত্য ভালবাসা একেবারে বিশুদ্ধ।
বাইরের রূপের দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়া সত্য ভালবাসা নয়, একপ্রকার মোহ।
সত্য ভালবাসতে হলে মন ও হৃদয় এক হতে হয়।
সত্য ভালবাসা মন ও হৃদয় চায় বেশি। শরীর এখানে গৌন।
মন ও হৃদয় এক না হলে সত্য ভালবাসা আসেনা।
সত্যি ভালবাসা যেমন গ্রহণ করে,তেমনি ত্যাগও করতে পারে।
সত্য ভালবাসা কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না।
সত্য ভালবাসা চিরদিনের। বয়স এখানে হার মানে।
সত্য ভালবাসা নেবার থেকে দেয় বেশি।
সত্যি ভালবাসা নি:স্বার্থ ও অকৃত্রিম।
কবিতা :
সতর্কবার্তা!
বিশ্বজিৎ কর
পেছনে তাকাও,শক্তি পাবে!
পাশে তাকাও,সতর্ক হবে!
ওপরে তাকাও,আশা দেখবে!
নিজের দিকে তাকাও,শুধরে যাবে!
সামনে তাকাও,পথ পাবে!
হাত বাড়াও,হাত পাবে কি?
কবির অবয়ব
অনিন্দ্য পাল
এত বড় চেহারা নিয়ে কি কবি হওয়া যায়
কবি বা কবিতার দেহ হতে হবে কৃশকায়
তোমার কাজ অন্য কিছু, এসব আমাদের
এ লাইনে এসো না, এ কবি দল তাদের
বড় ঝুঁটি চুল নেই, একমুখ দাড়ি নেই
কাঁধে নেই সাইড ব্যাগ, পাঞ্জাবিও বাড়ন্ত
চপ্পল পরা নেই, বুট পায়ে লেখালেখি?
কবি আর কবিতার মরে গেল "--" একি!
এভাবেই একদিন আমার প্রাপ্তি ছিল
কবি অগ্রজ , পকেটে গুঁজে দিয়েছিল
সেঁকোবিষ , চামড়ার নীচে জমেছিল নীল
ভাড়া করা তলোয়ারে কেটে ফেলেছিল প্রায়
আমার কবিতা নাড়ী,
তারপরেও হইনি একান্ত রক্তশূন্য
আবার যখনই ছিঁড়েছে আমাকে,
নকল বাঘনখ
তখনই উদার হয়েছে কবিতা সংক্রমণ
শব্দ অক্ষররা অনুভূতির খাঁড়িজল বেয়ে
আবার ভূমিষ্ঠ হয়, যদিও তিরস্কার জীবন
যদিও জরায়ুতে বাড়তে থাকে কবিতার মন
প্রসব যন্ত্রনাও সুখের হয়, পার হয়ে যাই কাঁটাবন
তারপর আবার চেয়ে দেখি চেহারা- আকার
কবিজন্ম শরীরে এবার হয়নি আমার
পোষাক বদলাতে কি পারবো এত তাড়াতাড়ি?
নাই পারি, একলাই থেকে যাব,
ভেঙেচুরে গড়ে নেব দেহগত কবিতার ঘরবাড়ি।
প্রভূর বিধান
জুয়েল রুহানী
কোরআনের পথে চলো
প্রভূর বিধান মেনে,
ন্যায়ের কথা বলো
নবীর হাদিস জেনে।
সদা সত্যের হাল ধরে
চলো ন্যায়ের পথে,
ঈমানের পাল তুলে
মূল্য বুঝে পেতে।
সব ধর্মীয় বিভেদে
ভূলে রেষারেষি,
ধর্ম যে যার মতো
স'বে ভালোবাসি।
যদি
মিনতি গোস্বামী
তুমি যদি নদী হ ও
ঝরতে পারি বৃষ্টি হয়ে
হলে তুমি সুগন্ধী ফুল
কাঁটা হয়ে থাকবো রয়ে
ঘুড়ি হয়ে উড়লে তুমি
হতেই পারি লাটাই সুতো
বাতিল খাতায় রাখতে পারো
পেয়ে গেলে কোন ছুতো
হতে পারি লাল কাঁকড়া
হলে তুমি বালির চরা
বলেছিলে এসব কথা
যখন বুকে ছিল খরা।
বৃষ্টি চাই
শুভ্রাংশু কুম্ভকার
পাগল হাওয়ায় শরৎ মেঘ
ঝরছে অঝোর ধারায়,
ভোর থেকে সেই হয়েছে শুরু
থামবার নেই বালাই।
এঘর থেকে ওঘর যাবার
পথের মাঝে জল,
ঝাপসা চোখ, ঝালাপালা কান
একটানা কোলাহল।
লকডাউনের পরের দিন তাই
বাজারে যেতে হবে,
বৃষ্টি ভয়ে থাকলে ঘরে
শুধু ভাত খেতে হবে।
আমি ভাবি, মেঘের কি দোষ?
দোষী তো সেই বায়ু,
মেঘের দলে ওড়ায় জোরে,
বৃষ্টিতে শেষ আয়ু।
বাতাস ভারী বাস্পভারে
জমে আকাশ পানে,
মাটির জলে সৃষ্টি হয়ে,
পড়ে মাটির টানে।
বাতাস জলে বৃষ্টি আনে
ভরায় নদীনালা,
অসময়ে আসলে পরে
পোয়াতে হয় জ্বালা।
আবার যদি ,সে না আসে
খরায় কাঁপে ধরা,
শস্যাভাবে,অনাহারে
মানুষ পড়ে মারা।
তাই,কষ্ট হলেও মিষ্টি লাগে
বৃষ্টি তোমার ছোঁয়া,
সময়মতো এসো ধরায়
তৃপ্ত করো হিয়া।
0 comments: