"উপকণ্ঠ 02 & 03 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-02 & 03 /07/2020, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
I am not one of your humbers running
By Siddhartha Singha
run, if you wish, I am mot one of your numbers running
for running away, many tricks to overtake the first knock at the door
if one reaches after the third sleep vanishes bidding the eyes 'ta ta'
one has to engage his mind in all the news of all channel on the TV.
I am not one your numbers running
Now I shall sit by the lake a little alone...
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
গুড নাইট
সত্যব্রত ধর
প্রাক্তনী পুল শটে মনের বাউন্ডারি পার করে,
পরকীয়ার স্কোরবোর্ড বাড়িয়েছিলো।
তারপর সালফিউরিক অ্যাসিডে ধোয়া হৃৎপিণ্ডে,
পুঁতেছি নতুন প্রেমের বীজ।
এখন রাতের খিল আটতেই ভালোবাসার প্যাকেট খুলে,
শখের স্বাদ চাটি বিছানায়।
এরপর দুটি মনের গভীর বিক্রিয়ায় শতশত শুক্রাণু,
আশ্রয় খোঁজে ডিম্বাশয়ে।
হঠাৎ তৃণসম ধারণায় বিরোধী সম্পর্কের বিতর্ক বসে,
কিশোরীর নরম স্তনের উপর।
সবশেষে অভিমান মিটলে অবৈধ যৌনতা ঘুচতেই,
ফিসফিসিয়ে শুধুই...গুড নাইট!
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
কবিতা ( প্যারডি)
কলকাতার এটিএম
- অগ্নিমিত্র
কারো সময় বেশি, কারো সময় যে কম,
কেউ নিশ্চিন্ত যে, কারো চিন্তা হরদম ...
আমি বলি সবাই সাবধান! ..
আমি কলকাতার এটিএম!
হাঁদু, তুমি যে হাঁদু,
রাখোনা আমার কোনো খবর...
ঝানু, আমি যে ঝানু..
টাকা রাখি না নিজের ভিতর!
আমি এটিএম, পাজি আমি বড়!
কখনো লেক মার্কেটে,
কখনো হগ মার্কেটে ।
কখনো আনন্দপুরে
বা দুঃখপুরে ...
উৎকন্ঠায় করি টানটান..
আমি কলকাতার এটিএম!!
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
প্রশ্ন
✍বিপ্লব গোস্বামী✍
যুগ এখন আধুনিক
শতক একবিংশ।
সভ্য যুগের ভদ্র মানুষ
কারা তবে হিংস্র ?
বরবরতার আদি যুগ
কবে গেছে অস্ত।
আধুনিক যুগের আগুয়ান মানুষ
সবাই স্ব স্ব ব্যস্ত।
অরাজকতার রাজ্য নয়
স্বাধীন দেশ সত্য।
কম্পিউটারের জিজিটাল যুগে
ঠিকঠাক সব তথ্য।
তবে কারা করে জাতি হিংসা
কোন মহা রোগে ?
বিবস্ত্র লক্ষ্মী কেন সভ্যতার যুগে ?
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
" চাঁদের আলো "
জুয়েল রুহানী।
সৃষ্টি তোমার কত অপরূপ
নেই কোন সীমা তার,
চাঁদের আলোয় পৃথিবী ভরা
আলো রয় তারকার!
ভূবন যখন আঁধারে ঢাকে
উদীত কর চাঁদ,
সৃষ্টি তোঁমার অতুলনীয়-
নেই কোন প্রতিবাদ!
রূপালী চাঁদের ঝলসানিতে
ঝলসানো পৃথিবী,
সৃষ্টি তোমার কত অপরূপ-
কত যে মায়াবী!
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
স্পর্শের অনুভব
বাপন দেব লাড়ু
তোমায় ধরতে গিয়ে স্পর্শে,
অনেকবার, অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি পথ।
মোমরঙা মিহি সংলাপ,
ছড়িয়ে পড়েছিল ধূলো পথে সময়,
কথারা ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে জমাট বাঁধে,
ক্রমশ গভীর হয় তার ঘনত্ব,
জোনাকির আলোতে ঠিক তখন
আলোকিত হয়,
হারিয়ে যাওয়া ষোড়শীর বুক্,
ছন্দোবদ্ধ তালে ঢেউয়ের ছটফটানি,
দৈনিক রূপকের পালক
খসে যায় বিরোধিতায়,
প্রেম তখন মহাজাগতিক হয়,
তারাদের আলোতে দেখলে তখন বোঝা যায়
সুন্দর স্পর্শের অনুভব ।।
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
কবিতা
স্বপ্ন
মিনতি গোস্বামী
সব কিছু ভুলে
আমি এখন বসে আছি গ্যাংটকে
ড্যাফোডিল রেষ্টুরেন্টে বসে
গরম গরম চিকেন স্যুপ দিয়ে
মোমো খাচ্ছি তাড়িয়ে তাড়িয়ে।
আমার প্রেমিক বন্ধুটি দরাজ
ঘুরে ঘুরে কিনলাম
ব্যাগ,ছাতা, একগাদা
পশমের পোষাক আর কানের দুল।
সন্ধ্যায় ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে এম, জি রোডে
দুজনে ছাতাবিহীন হাঁটছি
হাত ধরে স্বর্গীয় আলোর রাস্তাতে।
শুধু কি হাঁটা!
প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী
একেই বোধহয় বলে
সময়ের থেকে এগিয়ে যাওয়া।
দাঁত বের করা সকালটা এসে
স্বপ্নটা ভেঙে চুরমার করে দিলো।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
অসহায় মানুষ
ছোট গল্প
আব্দুল রাহাজ
একদিন গুটিকয়েক ছেলে একসাথে ঘুরতে বেরিয়ে ছিল তারপর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে অনেক দূরের পথ অতিক্রম করে তারপর দেখতে পাই একটি গ্রাম। গ্ৰামটি অবশ্য সবুজায়নেভরা রূপকথার দেশ। গ্রামটির মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি সূদুর মেঠোপথ। গ্রামটির পূর্ব পাশে ইটভাটা বিদ্যাধরী নদী মানুষের বসতি। সেই গুটিকয়েক ছেলের মধ্যে একজন বলল কি সুন্দর ভাবে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত । প্রকৃতির হাওয়ায় চারিদিকে যেন বাতাস বইছে এরপর দেখা গেল সেখানকার জীবনযাত্রা। আপনি ভাবতে পারবেন না যে পরিবেশে এতটা সুন্দর হলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা পুরোটাই বিপরীত দুর্বল আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে দারিদ্রতার কারণে বাচ্চা থেকে পুরুষ থেকে মেয়েরা কোন না কোন কাজে যুক্ত আছে তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল বর্তমানে সরকারি সুবিধা থাকা সত্ত্বেও অবস্থা। সেই স্থানটির নাম ছিল বেলগ্রাম। সেখানকার জীবনযাত্রা শিশুদের দেখলে মনে হয় কতদিন যে নাকি আছে তা ঠিক নেই মনে হয় আফ্রিকার কোন একটা প্রদেশ। সেখানে বেশির ভাগ শিশু অপুষ্টির শিকার। এরপর যতই ঘনবসতিরভিতরে যাওয়া যায় ততই খারাপ অবস্থা ঘনবসতির ভিতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শিশুদের যা অবস্থা তা দেখে সত্যিই করুণা হয়। পর্যাপ্ত পানীয় জল শিক্ষার অভাব তাছাড়া বউ সমস্যা ছিল তাদের মধ্যে। স্বাধীনতার পরে এরকম আছে হোতা দারিদ্রতা এখনো দেশে আছে তা দেখে সেই ছেলেগুলো খুবই অবাক। তারপর দিন যায় দিন আসে কোনো পরিবর্তন নেই তাদের ছেলে দেখা থেকে শুরু করে রোগের প্রকোপ মানুষের প্রাণহানি হতে থাকে কিন্তু বর্তমান সময় সভ্য হলেও মানুষ উন্নত হলেও মানুষের মানবিকতা নেই কেউ ফিরে তাকায় নি তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়নি যা মানব জাতির কাছে খুবই লজ্জাজনক। তারপর এই ছোট্ট বসতি গুলি পাশে ইটভাটা সেখানে কাজ করে জীবিকা উপার্জন করতো জায়গায় ছিল তাদের সম্বল। তবে কয়েক বছর কেটে গেল এই সমস্যা আরো বেড়ে গেল তখন একজন ইট ভাটার মালিক তাদের সমস্যার কথা শুনলাম তা সাধ্যমত কিছুটা চেষ্টা করে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেল পরিবর্তন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই মালিকের মৃত্যু হলো। এই সমস্যা আবার পুনরায় দেখা দিতে শুরু করলো তারপর শিশু থেকে শুরু করে সেখানকার বসতিগুলির দেখা যায় আরো করুণ অবস্থা ভাবুন তো মানুষ মালিক কে দেখে ও শিখতে পারল না একজন নিঃস্বার্থ পরায়নতা মন। তারপর সেখানকার শিশুদের গায়ে কোন বস্ত্র নেই ধুলোমাখা ঘুরে বেড়াচ্ছেন অসহায়দের মতো রাস্তার ধারে ধারে ভিক্ষা করছে জীবনে তাদের শিক্ষা সামাজিক অন্যান্য পারিবারিক সাধারণ জ্ঞান শিখবে সেই সময় তারা ভিক্ষা করছে ধুলো মাখা গায়ে খালি হাতে সবার সামনে বলছে পথচলতি মানুষের সামনে বলছে ভাইয়া ভাইয়া এক টাকা দেবে খাবার কিনে খাব এমন অবস্থা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারলাম না তখন ভাবলাম এটা কোন সময় এসে পড়েছি আমরা এখানে মানুষ মানুষকে সাহায্য করছে না দুর্বলতাকে আরো সরিয়ে দিচ্ছে তাহলে মানুষের মন কি এতটাইপাষান হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা কি কখনোই দূর হবে না এটাই ছিল? এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কিছুটা পরিবর্তন হলো মাটির বাড়ির ছেলে উঠতে শুরু করলো সুন্দরভাবে ঘর গুলি করে উঠলো জীবিকার সন্ধান হলো কিন্তু কোথাও যেন সেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নেই। এভাবে দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েকটা বছর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয় না। সেখানকার ছেলেমেয়েদের দিন কাটে দারিদ্র্যতায় অভাব ও তাই জীবিকার সন্ধান পেলে এই অবস্থা। ছোট্ট শিশুরা নদীর ধারে খেলা করে কিন্তু যারা জানেনা তাদের ভবিষ্যৎ কি ভবিষ্যতের পথ কি হবে? সেই সময় তাদের শিক্ষার জন্য এত যুবক শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করলো দিন যায় দিন আসে কিছুটা পরিবর্তন হয় কিন্তু বাচ্চা বেলায় তাদের সেই অবস্থা তাদের মনকে এখনো ভুলতে পারিনি। এতকিছু করেও সেই অসহায় মানুষগুলোকে পরিবর্তন করা যায়নি সেই আগের জগতে অসহায় দিনগুলির ভেতরে মন পড়ে আছে। দিনের পর দিন সমাজের মানুষের কাছে আস্তে আস্তে ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠলো। তারপর শিশুদের যে অবস্থা চোখে দেখলে বিশ্বাস করা যায় না তাহলে একটা সময় থেকে যায় এই সভ্য সমাজে এখনো মানুষ অসহায় হয়ে গেছে তাদের দিকে কেউ ফিরে তাকায় নি মানুষ এতটাই নিঃস্বার্থপরতা পাষান মন নিয়ে বেঁচে আছে বর্তমানে
"হে মানুষ
তাদেরকে কাছে টানো
সমাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো
পাশে দাঁড়াও সাহায্য করো
আধুনিক জগতের সাথে তাদেরকে সামিল করো
আর শিশুদের সাহায্য করো"
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
" মায়াবী নগর "
হামিদুল ইসলাম
এখন তোমার বয়েস একুশ
বয়েসটা বড়ো বেশি
কঠিন ভয়ংকর
এ বয়েসে সমুদ্র পাড়ি দেয়া যায়
অনায়াসে। পাহাড় ভাঙে কঠিন হাত ।।
নিষ্ঠুর সময় পেরিয়ে যায়
মেঘের সামিয়ানায় ঢাকা পথ
বোগেনভেলিয়ার শহর
ফুলে ফুলে আচ্ছাদিত
ফুলের কাঁটায় জীবনের নিত্য পরবাস ।।
একে একে পাখিরা ফিরে আসে নীড়ে
মস্ত সে আড্ডা
ঠিক যেনো কফি হাউস
সকাল থেকে সন্ধ্যা মুখরিত জীবন
পলকের সময় শিরায় শিরায় লেখে ইতিহাস ।।
মৃত্যুর করাল গ্রাস
টেনে নিয়ে যায় মেঘেদের কচি কচি শরীর
বৃষ্টি ধারায় ঝরে পড়ে রক্ত
সমুদ্র স্নান প্রতিদিন
লোনা জলে বিধৌত জীবন হালকা করে ক্ষণিক অবসর ।।
তবু ফিরে আসে মায়া
মায়াবী নগর ভেসে যায় সমুদ্রের জলে ।।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
হার আমি মানবো না
- ইউসুফ মোল্লা
হার আমি মানবো না!
কাঁটাতারের ওপারে দাঁড়িয়ে চিনা সৈনিক,
এপারে আমি দাঁড়িয়ে বল্লকী হাতে পাশে বল্মীক।
হার আমি মানবো না!
তুমি দখল করেছো আমার মাতৃভূমি,
তাই মাতৃজঠর থেকে বেরিয়েও...
থাকবো বেঁচে লড়াই করে।
হার আমি মানবো না!
তোমার রক্তে আছে হিংসার আগুন,
কিন্তু আমি একতারা বাজাই গান্ধীজির অহিংসার বাণীই...
তবুও বলছি অনেক সয়েছি, এবার ভাগুন।
হার আমি মানবো না!
যুগে যুগে জয়ী হয়েছে হিংসা নয়; হিংসা বিনাশকারী।
ভালো চাও তো এখনি ভাগো,
নাহলে হারবে নিশ্চয় জেনে রেখো অহংকারী।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
মার্জনা
রুহুল আমিন
মার্জনা করো মোরে মার্জনা করো
বসন্তের বাতাসের বর্হিঃমুখি হইয়া
তুমি এসেছিলে আমার প্রান্ত সীমায়
পাতাঝরা মরসুমের ন্যায়
তোমায় হারিয়ে ফেলেছিলাম
মরুভূমির বালু ঝড়ের মাঝে
নতুন করে বাসা বেঁধেছি
প্রখর শীতের বরফ স্তুপের মাঝে
সে বরফ গলেছে অগোচরে
আমি ফিরবোনা তোমার প্রান্ত সীমায়
দিনের পর দিন তুমি ছিলে প্রতিক্ষায়
আমি তোমার মূল্যায়ন করতে পারিনি
আমি ঘর ভেঙ্গেছি,
বাহির হয়েছি দূর দেশের পথিক সেজে
বাঁধা দিওনা তুমি মাঝ পথে
আজ সমাজ, পরিবার নতুন করে সেজেছে
নতুন সম্পর্কের বাঁধা হীন আবহাওয়াতে
চার হাতের মিলনে নাকি
পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন আঁকা যায়
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
নবীন প্রেম
রঞ্জনা রায়
অজানা গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে
নিশাচরের মতো রয়েছি জেগে।
শরীরের বৃন্তে ধরেছে কামনার কুড়ি
রোজই ঢালছি জল ,হয়তো কোনদিন ফুটবে
কোন শরতের স্নিগ্ধ সন্ধ্যায়
হাসবে গোলাপ পাপড়ি!
কামনার অন্তঃপুরে আভাসে বৃষ্টির লুকোচুরি
ভোরে শিশির ভেজা ঘাসের শরীরে, চঞ্চল মোহন বাঁশরি
প্রতীক্ষায় দিন গোনা,কামনার ধারা জলে আসবে নবীন প্রেম।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
করোনাকালের বইপড়া-২
প্রশান্ত ভৌমিক
সাম্প্রতিক সময়ে পড়া পাঁচটি বই নিয়ে আলোচনা করলাম আজ। গৃহবন্দীত্বে পাঠ সুখ নাম দেয়া যেতে পারে ব্যাপারটার। তবে সবসময়েই বই পড়া আমার পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে।
১। ইমরানের দেশে
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখক যখন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিষয় যখন পাকিস্তান ভ্রমণ, তখন বইটা উপভোগ্য না হওয়ার কোন কারণ নেই। রঞ্জনের পাকিস্তান ভ্রমণের মূল কারণ ছিল ক্রিকেট। কিন্তু বইতে সম্পূর্ণটা জুড়ে খাবার, নারী! কিছু অংশে অবশ্য পাকিস্তানের সামাজিক এবং ভৌগোলিক বিবরণ ছিল। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য। রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম জানে কীভাবে যে কোন বর্ণনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়। লেখকের সাথে সাথে যখন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে রসনার বর্ণনার সাথে শহরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা, ইতিহাস পাওয়া যায়, তখন ব্যাপারটা সত্যিই এক অন্যরকম ব্যঞ্জনা পায়। রঞ্জনের সাথে পাকিস্তান ভ্রমণ তাই যেকোন পাঠকের কাছেই কাঙ্ক্ষিত। ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে ‘ইমরানের দেশে’ সত্যিই সুখপাঠ্য বই।
২। দেখা পড়া
অংশুমান কর
‘দেখা পড়া’ অংশুমান করের স্মৃতিচারণ মূলক গ্রন্থ। লেখক এই গ্রন্থে ১৫ জন কবিকে এবং সাহিত্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্মরণ করেছেন দেখায় এবং পড়ায়। তাঁদেরই স্মৃতিচারণ করেছেন যারা চলে গেছেন। অংশুমান করের পড়ার ব্যপ্তির কিছুটা নমুনা পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মল্লিকা সেনগুপ্ত, বাদল বসুসহ অনেকের সম্পর্কে অজানা কিছু জানতে পারলাম। অন্যান্য লেখকদের সম্পর্কেও অনেক অজানা কথাই লেখক উল্লেখ করেছেন। অংশুমান এই বইতে এমন কিছু ভাষা ব্যবহার করেছেন যেটা সাধারণত পশ্চিম বাংলার লেখকেরা করেন না। যেমন- বাসা, বউ। বইটি সুখপাঠ্য এবং তথ্যবহুল। কবি অংশুমান করের স্বাদু গদ্য খুবই সুখপাঠ্য। আমি রীতিমত ভক্ত হয়ে গেছি গদ্যকার অংশুমানের। বরং এতদিন কেন ওঁর লেখা গদ্য পড়লাম না ভেবে বিরক্ত হচ্ছি। অবশ্য কবি অংশুমানের ভক্ত আমি অনেক দিনই।
৩। আলো আঁধারি
সিজার বাগচী
সিজার বাগচীর উপন্যাস পড়েছিলাম আগে। গল্পও বিচ্ছিন্নভাবে পড়া। কিন্তু টানা চৌদ্দটি গল্প একত্রে পড়ে অন্যরকম একটা অনুভূতি হল। ১৪টি গল্প। ১৪ রকম স্বাদ। একেকটি গল্পে একেক রকম ভাবে জীবনকে দেখেছেন লেখক, এঁকেছেন জীবনের ছবি। সবগুলো গল্পই হৃদয়স্পর্শী। তবে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে ‘টাকাটা’ এবং ‘বসন্তের অপেক্ষায়’ গল্প দুটি। এই বইটিই সম্ভবত সিজার বাগচীর প্রকাশিত প্রথম বই। কিন্তু প্রথম প্রকাশিত হলেও বইটি কাঁচা হাতের লেখা নয়। গল্পগুলো যথেষ্ঠ ম্যাচিওর। ‘বেড়াল ছানার গল্প’ যেমন বেড়ালের প্রতি মমতা প্রকাশ করে, তেমনি অন্য গল্পতে মানব-মানবীর প্রেম, সম্পর্কের টানাপোড়েন এসবই মুখ্য হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে ঠিক যেন জীবনের আলো আঁধারি রূপ।
৪। নিষিদ্ধ দ্বীপ
ইসমাইল আরমান
অয়ন জিমি সিরিজের গল্পগুলো পড়তে ভালই লাগে। এই গল্পটাও সুখপাঠ্য। ইদানীং এই সিরিজের গল্পগুলোতে প্রথম দিকের তিন গোয়েন্দার একটা স্বাদ পাওয়া যায়। একজন গল্প লেখককে নিয়ে এই কাহিনি এগিয়েছে। লেখক গল্প লেখেন ভিন্ন রকম ভাবে। গল্পের সাত অংশ সাত জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এটা নিয়েই এগিয়েছে কাহিনি। গল্পে স্বাভাবিকভাবেই এসেছে নানা চরিত্র। অবশ্য থ্রিলার গল্পের যে মৌলিক ব্যাপার, থ্রিল বা নাটকীয়তা, সেই ব্যাপারটা তেমন ছিল না বলেই আমার মনে হয়। অয়ন জিমির সাথে তৃতীয় চরিত্র হিসেবে রিয়াকে মিস করেছি এই বইতে। বিদেশি কাহিনির ছায়া অবলম্বনে রচিত বইটি কিশোরদের উপযোগী হলেও আমার বিশ্বাস যেকোন পাঠকই মজা পাবেন বইটি পড়তে।
৫। প্যাকেট নিয়ে পাগলামি
মোস্তফা মামুন
বইটি যদিও কিশোরদের জন্য রচিত, তথাপি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে বইটি বড়দের জন্য। স্কুলের এই ধরনের ভিতরের ব্যাপার নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ একাধিক উপন্যাস লিখেছেন। তবে মোস্তফা মামুন চেনা পথে হাটেননি। তিনি ব্যতিক্রমী সংলাপ, কাহিনির চিত্রণ এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উইটের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন কাহিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে সময়কে প্রাধান্য দিয়ে সেটাকে রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য লেখককে বাহবা দিতেই হয়। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে রূপ নিয়েছে। কিশোর উপন্যাস হিসেবে বইটি খুবই ভাল লাগল। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হল, উপন্যাসটি শিশু কিংবা কিশোরদের জন্য রচিত হলেও সম্পূর্ণ উপন্যাসে কোন শিশু কিংবা কিশোর চরিত্র নেই। সব চরিত্রই প্রাপ্তবয়স্ক। প্রাপ্ত বয়স্ক লোকদের ঘটনা নিয়ে সেটাকে কিশোর উপযোগী করে লেখা সত্যিই কঠিন কাজ।
এখানে যে বইগুলোর কথা লিখলাম, সেগুলো পড়ে আমার ভাল লেগেছে। লেখা শেষ করার পর মনে হচ্ছে পড়ে ভাল লাগেনি এমন বইয়ের কথাও নির্দ্বিধায় লেখা উচিত। নাহলে ভাল মন্দের তফাৎ বোঝা যাবে কী করে? তবে উল্লেখ্য যে, আমার ভাল লাগা কিংবা না লাগাতেই কোন বইয়ের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়না।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
©সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক উপকণ্ঠ
গাংপুরা সাগরেশ্বর রামনগর পূর্ব মেদিনীপুর
03/07/2020
0 comments: