"উপকণ্ঠ 31 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-31/07/2020,শুক্রবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আগামীকাল শনিবার এর জন্য বকর ঈদ (কুরবানী) উপলক্ষে লেখা পাঠান ।
বিষয়:- বকর ঈদ বা কুরবানী ঈদ
লেখা পাঠান আগামীকাল সকাল 11টার মধ্যে
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
রাখী-পূর্ণিমা
কনিকা রায়
রাখী-পূর্ণিমা এলেই আমার মনটা কেমন করে,
একটি ভাই থাকতো যদি আজ আমাদের ঘরে।
আদরে সোহাগে আমি রাখতাম তাকে,
নিজে আমি থাকি যতই দুঃখ- কিংবা শোকে।
তিন টি বোনের মাঝে একটি ভাই চাই,
ভগবানের কাছে আমি দিন-রাত্রি এই প্রার্থনা করে যাই।
ভাই ফোঁটাতে দেবো ফোঁটা,
জম দুয়ারে পরবে কাঁটা।
আর রাখী-পূর্ণিমায় পরাবো রাখী,
হাজারও বিপদ থেকে আগলে রাখবো তাকে-
হে ভগবান তোমায় রেখে সাক্ষী।
তাই কাকুতি ,মিনতি
করি আজ তোমার চরণে,
একটি আমায় ভাই যদি দাও-
রাখবো তোমায় সারা জীবন স্মরণে।
সন্ত নির্জন
সৌম্য ঘোষ
নিস্তব্ধতার বেদনা শুনি কান পেতে ,
কখনো কখনো ক্ষীণ ভাবে ধরা দেয়
তার বুকের ঘ্রাণ ;
পাতার মর্মর ও জানে সে কথা !
নীড় ভাঙ্গা উড়ে যাওয়া সেই পাখিটি
কেবলই ক্লান্তিহীন অবিশ্রাম ভ্রমণ !
সকল নির্জনতা বোধের গোচরে নেই ,
দৃশ্যমানেও নেই ।
নিঝুম নিস্তব্ধতায় শুরু হয় অনন্ত ক্ষরণ !
কবিতার সঞ্জীবনী সুধা মেখেছি দু হাতে
আমাকে ভেতরে যেতে হবে
যেখানে সন্ত নির্জনবেলায় নীড় ভাঙ্গা
পাখি গান গায় ।।
সাথী
আব্দুল রাহাজ
দিনটা ছিল হীরালাল এর কাছে বিষন্নের দিন মনমরা হয়ে বসে আছে নদীর ধারে পাশ দিয়ে গ্রামের ছেলেরা হই হই করে ধুলো উড়িয়ে খেলা করছে সামনে শুধু মাঝির নাও চলেছে মাছ ধরতে আর ফুরফুরে বাতাস যেন অনেকটা আমাকে হালকা করে দিয়েছে মনটা যেন ছুয়ে গেলো। সূর্য পশ্চিম আকাশে নারকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে এক নিস্তেজ ক্ষীণ
সূর্যের আলো পড়ছে জলে বীরেন মাঝি গান করতে করতে নদীর তীরে এসে আমাকে বলল কিগো খোকা বাড়ি যাইবা না সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো হীরালাল বললো যাইতেছি তো মাঝি তুমি যাও কিছুক্ষণ পর হীরালাল বাড়িতে এসে কিছু খেয়ে পড়তে বসল। হীরালাল এর একটা দুঃখ তার কেউ খেলার সাথী নেই সমবয়স্ক কেউ নেই ইস্কুলে আছে বন্ধু কিন্তু তার গ্রাম থেকে বেশ কিছু দূরে একা একা নদীর ধারে গিয়ে বসে বিকাল বেলা কাটে একাকী মন। গ্রামটা বৈচিত্র্যে
ভরা প্রান্তিক মানুষের জীবন সংগ্রাম দেখতে দেখতে হীরালাল এখন হাই স্কুলে পড়ছে আর তার কাছে সেই নদীটি কোথাও যেন বন্ধু হয়ে উঠেছে। একদিন স্কুল থেকে বাবার সাথে বাড়ি ফিরতে ফিরতে পথের ধারে ছোট্ট শিশু জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আমি আর বাবা কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে কিছু খাবার খাইয়ে দিতেই পশ্চিমদিকে বনের মধ্যে দৌড়ে চলে গেল আর খুঁজে পাওয়া গেল না তারপর হাঁটতে হাঁটতে দেখা হল বাবার গ্রামের বন্ধু হরিশ এর সাথে বাবা ওদের চিনতে পারেনি কিন্তু বাবার বন্ধু হরিশ চিনতে পারল হীরালাল দেখতে পেলে ওদের সঙ্গে পুরো পরিবারটা এসেছে মনে হয় বাবার বন্ধু চাকরি করে সঙ্গে ছেলে ও স্ত্রী এসেছে ছেলেটা মনে হয় আমাদের সমবয়সী। এর কিছুক্ষণ পর হীরালাল যা ভেবেছিল তাই হলো বাবার বন্ধু পথ দিয়ে যেতে যেতে কথা বলতে লাগলো হীরালাল ওদের লক্ষ্য করেছে কিন্তু ওরা ওকে এখনো দেখতে পাইনি তারপর বাবা জিজ্ঞাসা করলো কোথায় বদলি হয়ে এলি এইতো বামুনহাট স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক মশাই হিসেবে আগে ছিলাম বীরভূম তখন হীরালাল বলল কাকু আমাদের ইস্কুলে তা তো খুব ভালো হবে। তখন বাবা জিজ্ঞাসা করল কোথায় থাকবি ওরা বললো এখনো ঠিক হয়নি তবে কি দুই-একদিনের মধ্যে হয়ে যাবে তখন বলল চল আজকে আমার বাড়ি থাকবি এই বলে বাড়িতে চলে এলো। বাড়ির সামনে এসে হীরালাল মা মা বলে ডাকলো ঘর থেকে বেরিয়ে এলো হীরালাল এর মা কী হয়েছে আমার গুণধর ছেলে বলল বাবার বন্ধুসহ তার পরিবার এসেছে তিনি আমাদের স্কুলের শিক্ষক মশাই ওমা তাই তাহলে উপরের ঘরটা খুলে দে যা যা ওরা বাড়িতে ঢুকে বললো কি সুন্দর বাড়ি বানিয়েছিস রে খুব ভালো লাগছে ওরা ঘরে ঢুকতেই মা নমস্কার করে বললেন কোন অসুবিধা নেই ওমা এটা আবার কে আমার হীরালাল এর মত প্রণাম করে বলল আমার নাম সায়ন মজুমদার এবার ছেলেটা আমার একটা জুড়ি পেল এদিকে হীরালালের বাবা সুশান্তবাবু বলল হীরালাল আর সায়ন হীরালাল এর ঘরে থাকবে যতদিন না পর্যন্ত কোন কিছু বন্দোবস্ত না হয় ততদিন এখানে থাকবি। এইবার যা দেখি নি তোরা হাত মুখ ধুয়ে একটু বিশ্রাম নে এদিকে হীরালাল ঘরে বসে গল্পের বই পড়ছে হীরালাল এর মা ঘরের টোকা মেরে বললো সায়ন তোমার কাছে থাকবে তোমার কোন অসুবিধা নেই তো না না আমার কোন অসুবিধা হবেনা আমার আরো ভালো হবে একটা তো বন্ধু পেলাম আরে হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা আমরা একসাথেই পড়বো বাবা আসার পথে স্কুল থেকে আমার ভর্তি করেই এসেছে তোদের স্কুলে একই ক্লাসে বাহ বেশ ভালো হবে খুব আনন্দ হবে মজা হবে হীরালাল বললো সায়ন দেখ তো কটা বাজে এখনতো ঘড়িতে পাঁচটা চল নদীর ধারে গিয়ে বসে ভালো লাগবে মাকে বলে হীরালাল আর সায়ন নদীর ধারে গেল ফুরফুরে বাতাসে ওদের মনটা হালকা হয়ে গেল এইভাবে ওরা দিনের পর দিন একসাথে থাকতে লাগল। হীরালাল এই বন্ধু পেয়ে খুব ভালোই লাগছিল এইভাবে দিন চলে আনন্দে সুখে-শান্তিতে হীরালাল এর অবশেষে সাথী খুঁজে পেয়ে ঠান্ডা হিমেল বাতাসের মতো হীরালাল আর সায়ন আজীবন হাত ধরাধরি করে বেঁচে থাকে।
The young man
Anjali Denandee, Mom
The young man.
He ran ran and ran...
On the wet sand.
On the grassy land.
On the shallow water.
On the narrow lane.
Under the rays of sun.
Under the rays of moon and stars.
Under the cloudy sky.
On the snow at winters.
Under the rain.
He ran at all seasons.
Sometimes he ran behind of running hen.
When he ran
Then he made too fun.
How? Yes, made sound with the toy gun.
And simultaneously then
He jumped too high.
Sometimes he competed with running train.
At his running times
He recited nursery rhymes.
Then hee laughed without any reason.
Ultimately he became global runner.
The prizes winner.
Then he had many fans.
They were all young humans.
Who were his followers and also learners.
এক জ্যোতির্ময় আলোক পিন্ড
মৌসুমী গুহ রায়
ক্যানভাসে এক শিল্পীর আঁকা নীল আকাশ।
কতগুলো কালো পাখি বৃত্তাকারে উড়ছে।
নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে আছে।
কোথায় ঈশ্বর ? ঈশ্বর আছেন চেতনায়।
চোখ বন্ধ করি । এক জ্যোতির্ময় আলোক পিন্ড
বুকের ভেতরে। সূর্যের মতো।
চোখ বন্ধ করে নিজের ভেতরের দিকে তাকাই
বায়বীয় আমিকে দেখতে পাই। নির্লিপ্ত।
কবিতা নিয়ে দিন কেটে যায়। কবিতার কত শক্তি।
এই জীবন
হামিদুল ইসলাম
মর্গ থেকে তুলে আনি নিঃসাড় জীবন
বড়ো মায়া
প্রতিদিন গুণি লাশ
ইচ্ছেগুলো আকাশে বিলীন ।।
মরা চাঁদ ফিরে আসে
বরাবর
ক'দিনের উচ্ছল জীবন
খোঁজ রাখি না আর জীবন যখন বেরঙিন ।।
কবিতা :
তোমার আশংকা!
বিশ্বজিৎ কর
চাঁদের আলোয় তুমি,
নিজেকে লুকিয়ে রাখো-
সংকোচে, লজ্জায় হয়তো বা এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতায়!
সোহাগের আশংকাও তোমার পিছু নেয়,
ভালবাসার ছবিই আঁকতে পারলে না,শুধুই প্রাপ্তির যোগ-বিয়োগ!
নিস্তব্ধ রাতে জড়সড় হয়ে যাও-
নীরবতার ভাষা বুঝতে পারো না,
মিলনের স্পন্দন অপেক্ষায় কেঁপেই চলে!
তুমি এখন বিস্মৃতির অন্তরালে ,
মুছে যাওয়া এক কবিতার মুখ!
অনলাইনের কথা
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
এখন জীবন যাত্রা অনলাইনের পথে,
স্কুল কলেজ বা অফিস মিটিং যত;
মুখোমুখি বসা নিষেধ, তাই
নেটে হচ্ছে আদান প্রদান শত।
গুগল মিট,গুগুল ডুও, জুমে,
কত যে ক্লাস চলছে সারাক্ষণ;
নেট তাই সদা ব্যস্ত থাকে ,
অনলাইনে পড়ে আছে মন।
ফেস বুক, হোয়াটআপ এর ঘরে কত যে প্রেম,কত ছাড়াছাড়ি,
আজকে হল হয়ত কত ভাব?
কালকে দেখি হয়েছে তাদের আড়ি।
অনলাইনে চোরও ঢুকে গেছে,
হ্যাক করে পাসওয়ার্ড চুরি করে;
কত তথ্য হ্যাকিং করে নেয় ,
চোর আজকাল এত বুদ্ধি ধরে ?
সিনেমা টিকিট অনলাইনে কেনা,
খাবার অর্ডার অনলাইনে হয়;
কেনা কাটা ফ্লিপকার্ট, আমাজনে,
জয় জয় অনলাইনের জয়।
যতই চল অনলাইনের পথে,
বিবেক যায় না অনলাইনে কেনা;
ভালবাসা, বিশ্বাস আর হৃদয়,
অনলাইনে যায়না কারও চেনা।
অনলাইনে বাবা মাকে সেবা,
আদৌ কি সত্যি করা যায়?
তাইতো এখন বৃদ্ধ পিতা মাতা,
বৃদ্ধাবাসে অন্তিমে ঠাঁই পায়।
মুল্যবোধ আগের মতই আছে,
মনুষ্যত্ব একই যুগে যুগে ;
প্রযুক্তি যত উন্নত হোক,
মানুষ থাকবে সবার পুরোভাগে।
কবিতা
বিরহ কথা
মিনতি গোস্বামী
সারাটা মাস. ঝড়ছে বৃষ্টি
তবু ও মনে খরা
জানিনা তুমি. আর কদিন
থেকে যাবে অধরা।
জমছে কথা. বুকের মাঝে
মনেতে অভিমান
বাতাস ছাড়া. এই ব্যথায়
দেয়নি কেউ কান।
আঁধার রাতে. জানালা ধরে
চুপটি করে দেখি
শুনলে কোন. পায়ের শব্দ
ভাবি এলো সেই কি ?
বাসের সিটে. ট্রাম লাইনে
খুলে কথার ডালা
জুড়িয়ে ছিলে. তুমি সেদিন
বুকের যত জ্বালা।
কোন ছলনা কোন বাসনা
পায়ে পড়ালো বেড়ি
জানি তোমাকে. ঘিরে ধরেছে
সুন্দরী সব চেড়ি।
আজ ও জেনো বসেই আছি
তোমার অপেক্ষায়
মোহ ঘুচলে আসবে ফিরে
আমার দরজায়।
স্বাধীনতা সংগ্ৰামী
সোহিনী শবনম
সুভাষচন্দ্র বসু গঠিত আজাদ হিন্দের ক্যাপ্টেন,
লক্ষী সেহগাল তৈরী করলেন ঝাঁসির রানী রেজিমেন্ট।
লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এগিয়ে এলেন ভিকাজি কামা,
জার্মানির সোশ্যালিস্ট কনফারেন্সে উত্তোলন করলেন পতাকা।
অরুনা আসাফ আলি,মহাত্মা গান্ধীর সহযোগিনী,
পত্তি শ্রীরামুলুকে একনিষ্ঠ ভক্ত বলেই চিনি।
প্রথম মহিলা,কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়কে ব্রিটিশ করল গ্ৰেফতার,
থিয়েটার ও হ্যান্ডলুমে নারী জাতিকে করলেন স্বনির্ভর।
মেদিনীপুরে গুলির আঘাত সহ্য করলেন মাতঙ্গিনী হাজরা,
তিরুপুর কুমারন করলেন দেশবন্ধু অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা।
অন্ধ্রে স্বাধীনতার লড়াই লড়লেন গরিমেল্লা সত্যনারায়ণ,
কূলপতি, ভারতীয় বিদ্যাভবন গড়ার ভার নিলেন।
সূর্যসেন আর প্রীতিলতার সেই দুঃসাহসিক কর্ম,
ভারতকে স্বাধীন করাই ছিল এনাদের একমাত্র ধর্ম।
ভুলিনি যে বিনয়-বাদল-দীনেশের বলিদান,
আজও কানে বাজে ক্ষুদিরামের ফাঁসির গান।
স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন ভেদাভেদ ভুলে,এক হয়ে,
তাদের সকল বলিদান এর মূল্য যেতে দেবো না হারিয়ে।
বিভাগ- কবিতা
কোথায় মাতৃভাষা
আব্দুল রহিম
বুকের তরতাজা রক্ত ক্ষরণে এসেছে....
মোদের প্রাণের এ বাংলা ভাষা..........
কিন্তু আজ'কে কি বাঙালি ভুলে গেছে.....?
কলঙ্ক ইতিহাসের সে ভয়াবহ পাতা ......
তবে কি আজ সালাম রফিক বরকতের রক্ত মিথ্যা ?
আজ বাঙালিকে গ্রাস করেছে আধুনিক সভ্যতা....
তাই কিছু আর বেচেঁ নেই বাংলা ভাষার স্পর্শতা ...
আজ দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত জাতি....
কোথায় বাঙালি কোথায় বাংলার সংস্কৃতি ....
কজন বলে মোরা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি।।
কিন্তু মনে রাখা দরকার বাংলা ছাড়া......
বাঙালির সুখের জীবন হাহাকার.....
মোদের বাংলা ভাষা স্বপ্ন দেখায়.......
মোদের বাংলা ভাষা বাঁচতে শেখায়.....
কিন্তু সব আবদ্ধ স্মৃতির জরাজীর্ণ পাতায়.....।।
আজ আর নেই নবজাতকের প্রথম ডাক মা....
আজ আর নেই কাজী রবি বিবেকের কালি....
আজ আর নেই দাদা দাদু বাবা মা নামের শব্দ....
আমরা সবাই সভ্যর আড়ালে ভয়ঙ্কর বিপদ গ্রস্থ.
তাই চল চল এগিয়ে চল ২১-এর ভাষা দিবসে।।
বন্ধু দিবস
অগ্নিমিত্র
বন্ধু মানে মনের কোণে
গোপন কত কথা ...
বন্ধু ছাড়া জগতে যেন
অশেষ নীরবতা !
আসল বন্ধু সঙ্গে থাকে
কঠিন সময় এলে ;
কখনো যায় না বন্ধু জেনো
এমন দশায় ফেলে ।
তেমন বন্ধু ভাগ্যবানেই
জেনো ক্বচিৎ পায় ..
মনের সেতার বেজে ওঠে
বন্ধুতা গান গায় !!..
বনধু আমার
অনাদি মুখার্জি
তোর মন খারাপের রাতে,
যখন একলা বসে আকাশ দেখিস ,
খুবই কাছেই আমি আছি,
তোর ইচছে হলে আমায় ডাকিস !
তোর রঙিন স্বপ্ন সব,
যদি হারিয়ে ফেলে রং,
গোধূলির আবির মেখে,
রাঙ্গিয়ে দেবো তোর মন !
তাই তো আমরা এখনো বনধু আছি বাধা সয়ে,
আকাশ বাতাস বলছে যেন এমন বন্ধুত্ব থাকে কয়জনে !
অনুভবি
অলোক রায়
স্বপ্নে এসে দেবী দিলো মোরে বর,
কবি হয়ে লিখে যাও সারাজীবন ভর।
পড়াশোনা করলে অনেক
এবার রাস্তা ধরো,
জেনো তবে আবেগ নয়
বিবেকই যে জীবন পথে বড়ো।
সুন্দর হবে চিন্তনে মননে,
জেনো তবে মান পাবে
জগতের সবখানে।
কবি হলে তবে জেনো,
দৃঢ় হয়ো শব্দচয়নে।
দীন দুঃখী অভাগীর কথা বলো শব্দের খেলায়,
পূর্ণ সুখের দেখা পাবে তবে
জীবনের শেষ বেলায়।
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-31/07/2020,শুক্রবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আগামীকাল শনিবার এর জন্য বকর ঈদ (কুরবানী) উপলক্ষে লেখা পাঠান ।
বিষয়:- বকর ঈদ বা কুরবানী ঈদ
লেখা পাঠান আগামীকাল সকাল 11টার মধ্যে
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
রাখী-পূর্ণিমা
কনিকা রায়
রাখী-পূর্ণিমা এলেই আমার মনটা কেমন করে,
একটি ভাই থাকতো যদি আজ আমাদের ঘরে।
আদরে সোহাগে আমি রাখতাম তাকে,
নিজে আমি থাকি যতই দুঃখ- কিংবা শোকে।
তিন টি বোনের মাঝে একটি ভাই চাই,
ভগবানের কাছে আমি দিন-রাত্রি এই প্রার্থনা করে যাই।
ভাই ফোঁটাতে দেবো ফোঁটা,
জম দুয়ারে পরবে কাঁটা।
আর রাখী-পূর্ণিমায় পরাবো রাখী,
হাজারও বিপদ থেকে আগলে রাখবো তাকে-
হে ভগবান তোমায় রেখে সাক্ষী।
তাই কাকুতি ,মিনতি
করি আজ তোমার চরণে,
একটি আমায় ভাই যদি দাও-
রাখবো তোমায় সারা জীবন স্মরণে।
সন্ত নির্জন
সৌম্য ঘোষ
নিস্তব্ধতার বেদনা শুনি কান পেতে ,
কখনো কখনো ক্ষীণ ভাবে ধরা দেয়
তার বুকের ঘ্রাণ ;
পাতার মর্মর ও জানে সে কথা !
নীড় ভাঙ্গা উড়ে যাওয়া সেই পাখিটি
কেবলই ক্লান্তিহীন অবিশ্রাম ভ্রমণ !
সকল নির্জনতা বোধের গোচরে নেই ,
দৃশ্যমানেও নেই ।
নিঝুম নিস্তব্ধতায় শুরু হয় অনন্ত ক্ষরণ !
কবিতার সঞ্জীবনী সুধা মেখেছি দু হাতে
আমাকে ভেতরে যেতে হবে
যেখানে সন্ত নির্জনবেলায় নীড় ভাঙ্গা
পাখি গান গায় ।।
সাথী
আব্দুল রাহাজ
দিনটা ছিল হীরালাল এর কাছে বিষন্নের দিন মনমরা হয়ে বসে আছে নদীর ধারে পাশ দিয়ে গ্রামের ছেলেরা হই হই করে ধুলো উড়িয়ে খেলা করছে সামনে শুধু মাঝির নাও চলেছে মাছ ধরতে আর ফুরফুরে বাতাস যেন অনেকটা আমাকে হালকা করে দিয়েছে মনটা যেন ছুয়ে গেলো। সূর্য পশ্চিম আকাশে নারকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে এক নিস্তেজ ক্ষীণ
সূর্যের আলো পড়ছে জলে বীরেন মাঝি গান করতে করতে নদীর তীরে এসে আমাকে বলল কিগো খোকা বাড়ি যাইবা না সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো হীরালাল বললো যাইতেছি তো মাঝি তুমি যাও কিছুক্ষণ পর হীরালাল বাড়িতে এসে কিছু খেয়ে পড়তে বসল। হীরালাল এর একটা দুঃখ তার কেউ খেলার সাথী নেই সমবয়স্ক কেউ নেই ইস্কুলে আছে বন্ধু কিন্তু তার গ্রাম থেকে বেশ কিছু দূরে একা একা নদীর ধারে গিয়ে বসে বিকাল বেলা কাটে একাকী মন। গ্রামটা বৈচিত্র্যে
ভরা প্রান্তিক মানুষের জীবন সংগ্রাম দেখতে দেখতে হীরালাল এখন হাই স্কুলে পড়ছে আর তার কাছে সেই নদীটি কোথাও যেন বন্ধু হয়ে উঠেছে। একদিন স্কুল থেকে বাবার সাথে বাড়ি ফিরতে ফিরতে পথের ধারে ছোট্ট শিশু জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আমি আর বাবা কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে কিছু খাবার খাইয়ে দিতেই পশ্চিমদিকে বনের মধ্যে দৌড়ে চলে গেল আর খুঁজে পাওয়া গেল না তারপর হাঁটতে হাঁটতে দেখা হল বাবার গ্রামের বন্ধু হরিশ এর সাথে বাবা ওদের চিনতে পারেনি কিন্তু বাবার বন্ধু হরিশ চিনতে পারল হীরালাল দেখতে পেলে ওদের সঙ্গে পুরো পরিবারটা এসেছে মনে হয় বাবার বন্ধু চাকরি করে সঙ্গে ছেলে ও স্ত্রী এসেছে ছেলেটা মনে হয় আমাদের সমবয়সী। এর কিছুক্ষণ পর হীরালাল যা ভেবেছিল তাই হলো বাবার বন্ধু পথ দিয়ে যেতে যেতে কথা বলতে লাগলো হীরালাল ওদের লক্ষ্য করেছে কিন্তু ওরা ওকে এখনো দেখতে পাইনি তারপর বাবা জিজ্ঞাসা করলো কোথায় বদলি হয়ে এলি এইতো বামুনহাট স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক মশাই হিসেবে আগে ছিলাম বীরভূম তখন হীরালাল বলল কাকু আমাদের ইস্কুলে তা তো খুব ভালো হবে। তখন বাবা জিজ্ঞাসা করল কোথায় থাকবি ওরা বললো এখনো ঠিক হয়নি তবে কি দুই-একদিনের মধ্যে হয়ে যাবে তখন বলল চল আজকে আমার বাড়ি থাকবি এই বলে বাড়িতে চলে এলো। বাড়ির সামনে এসে হীরালাল মা মা বলে ডাকলো ঘর থেকে বেরিয়ে এলো হীরালাল এর মা কী হয়েছে আমার গুণধর ছেলে বলল বাবার বন্ধুসহ তার পরিবার এসেছে তিনি আমাদের স্কুলের শিক্ষক মশাই ওমা তাই তাহলে উপরের ঘরটা খুলে দে যা যা ওরা বাড়িতে ঢুকে বললো কি সুন্দর বাড়ি বানিয়েছিস রে খুব ভালো লাগছে ওরা ঘরে ঢুকতেই মা নমস্কার করে বললেন কোন অসুবিধা নেই ওমা এটা আবার কে আমার হীরালাল এর মত প্রণাম করে বলল আমার নাম সায়ন মজুমদার এবার ছেলেটা আমার একটা জুড়ি পেল এদিকে হীরালালের বাবা সুশান্তবাবু বলল হীরালাল আর সায়ন হীরালাল এর ঘরে থাকবে যতদিন না পর্যন্ত কোন কিছু বন্দোবস্ত না হয় ততদিন এখানে থাকবি। এইবার যা দেখি নি তোরা হাত মুখ ধুয়ে একটু বিশ্রাম নে এদিকে হীরালাল ঘরে বসে গল্পের বই পড়ছে হীরালাল এর মা ঘরের টোকা মেরে বললো সায়ন তোমার কাছে থাকবে তোমার কোন অসুবিধা নেই তো না না আমার কোন অসুবিধা হবেনা আমার আরো ভালো হবে একটা তো বন্ধু পেলাম আরে হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা আমরা একসাথেই পড়বো বাবা আসার পথে স্কুল থেকে আমার ভর্তি করেই এসেছে তোদের স্কুলে একই ক্লাসে বাহ বেশ ভালো হবে খুব আনন্দ হবে মজা হবে হীরালাল বললো সায়ন দেখ তো কটা বাজে এখনতো ঘড়িতে পাঁচটা চল নদীর ধারে গিয়ে বসে ভালো লাগবে মাকে বলে হীরালাল আর সায়ন নদীর ধারে গেল ফুরফুরে বাতাসে ওদের মনটা হালকা হয়ে গেল এইভাবে ওরা দিনের পর দিন একসাথে থাকতে লাগল। হীরালাল এই বন্ধু পেয়ে খুব ভালোই লাগছিল এইভাবে দিন চলে আনন্দে সুখে-শান্তিতে হীরালাল এর অবশেষে সাথী খুঁজে পেয়ে ঠান্ডা হিমেল বাতাসের মতো হীরালাল আর সায়ন আজীবন হাত ধরাধরি করে বেঁচে থাকে।
The young man
Anjali Denandee, Mom
The young man.
He ran ran and ran...
On the wet sand.
On the grassy land.
On the shallow water.
On the narrow lane.
Under the rays of sun.
Under the rays of moon and stars.
Under the cloudy sky.
On the snow at winters.
Under the rain.
He ran at all seasons.
Sometimes he ran behind of running hen.
When he ran
Then he made too fun.
How? Yes, made sound with the toy gun.
And simultaneously then
He jumped too high.
Sometimes he competed with running train.
At his running times
He recited nursery rhymes.
Then hee laughed without any reason.
Ultimately he became global runner.
The prizes winner.
Then he had many fans.
They were all young humans.
Who were his followers and also learners.
এক জ্যোতির্ময় আলোক পিন্ড
মৌসুমী গুহ রায়
ক্যানভাসে এক শিল্পীর আঁকা নীল আকাশ।
কতগুলো কালো পাখি বৃত্তাকারে উড়ছে।
নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে আছে।
কোথায় ঈশ্বর ? ঈশ্বর আছেন চেতনায়।
চোখ বন্ধ করি । এক জ্যোতির্ময় আলোক পিন্ড
বুকের ভেতরে। সূর্যের মতো।
চোখ বন্ধ করে নিজের ভেতরের দিকে তাকাই
বায়বীয় আমিকে দেখতে পাই। নির্লিপ্ত।
কবিতা নিয়ে দিন কেটে যায়। কবিতার কত শক্তি।
এই জীবন
হামিদুল ইসলাম
মর্গ থেকে তুলে আনি নিঃসাড় জীবন
বড়ো মায়া
প্রতিদিন গুণি লাশ
ইচ্ছেগুলো আকাশে বিলীন ।।
মরা চাঁদ ফিরে আসে
বরাবর
ক'দিনের উচ্ছল জীবন
খোঁজ রাখি না আর জীবন যখন বেরঙিন ।।
কবিতা :
তোমার আশংকা!
বিশ্বজিৎ কর
চাঁদের আলোয় তুমি,
নিজেকে লুকিয়ে রাখো-
সংকোচে, লজ্জায় হয়তো বা এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতায়!
সোহাগের আশংকাও তোমার পিছু নেয়,
ভালবাসার ছবিই আঁকতে পারলে না,শুধুই প্রাপ্তির যোগ-বিয়োগ!
নিস্তব্ধ রাতে জড়সড় হয়ে যাও-
নীরবতার ভাষা বুঝতে পারো না,
মিলনের স্পন্দন অপেক্ষায় কেঁপেই চলে!
তুমি এখন বিস্মৃতির অন্তরালে ,
মুছে যাওয়া এক কবিতার মুখ!
অনলাইনের কথা
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
এখন জীবন যাত্রা অনলাইনের পথে,
স্কুল কলেজ বা অফিস মিটিং যত;
মুখোমুখি বসা নিষেধ, তাই
নেটে হচ্ছে আদান প্রদান শত।
গুগল মিট,গুগুল ডুও, জুমে,
কত যে ক্লাস চলছে সারাক্ষণ;
নেট তাই সদা ব্যস্ত থাকে ,
অনলাইনে পড়ে আছে মন।
ফেস বুক, হোয়াটআপ এর ঘরে কত যে প্রেম,কত ছাড়াছাড়ি,
আজকে হল হয়ত কত ভাব?
কালকে দেখি হয়েছে তাদের আড়ি।
অনলাইনে চোরও ঢুকে গেছে,
হ্যাক করে পাসওয়ার্ড চুরি করে;
কত তথ্য হ্যাকিং করে নেয় ,
চোর আজকাল এত বুদ্ধি ধরে ?
সিনেমা টিকিট অনলাইনে কেনা,
খাবার অর্ডার অনলাইনে হয়;
কেনা কাটা ফ্লিপকার্ট, আমাজনে,
জয় জয় অনলাইনের জয়।
যতই চল অনলাইনের পথে,
বিবেক যায় না অনলাইনে কেনা;
ভালবাসা, বিশ্বাস আর হৃদয়,
অনলাইনে যায়না কারও চেনা।
অনলাইনে বাবা মাকে সেবা,
আদৌ কি সত্যি করা যায়?
তাইতো এখন বৃদ্ধ পিতা মাতা,
বৃদ্ধাবাসে অন্তিমে ঠাঁই পায়।
মুল্যবোধ আগের মতই আছে,
মনুষ্যত্ব একই যুগে যুগে ;
প্রযুক্তি যত উন্নত হোক,
মানুষ থাকবে সবার পুরোভাগে।
কবিতা
বিরহ কথা
মিনতি গোস্বামী
সারাটা মাস. ঝড়ছে বৃষ্টি
তবু ও মনে খরা
জানিনা তুমি. আর কদিন
থেকে যাবে অধরা।
জমছে কথা. বুকের মাঝে
মনেতে অভিমান
বাতাস ছাড়া. এই ব্যথায়
দেয়নি কেউ কান।
আঁধার রাতে. জানালা ধরে
চুপটি করে দেখি
শুনলে কোন. পায়ের শব্দ
ভাবি এলো সেই কি ?
বাসের সিটে. ট্রাম লাইনে
খুলে কথার ডালা
জুড়িয়ে ছিলে. তুমি সেদিন
বুকের যত জ্বালা।
কোন ছলনা কোন বাসনা
পায়ে পড়ালো বেড়ি
জানি তোমাকে. ঘিরে ধরেছে
সুন্দরী সব চেড়ি।
আজ ও জেনো বসেই আছি
তোমার অপেক্ষায়
মোহ ঘুচলে আসবে ফিরে
আমার দরজায়।
স্বাধীনতা সংগ্ৰামী
সোহিনী শবনম
সুভাষচন্দ্র বসু গঠিত আজাদ হিন্দের ক্যাপ্টেন,
লক্ষী সেহগাল তৈরী করলেন ঝাঁসির রানী রেজিমেন্ট।
লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এগিয়ে এলেন ভিকাজি কামা,
জার্মানির সোশ্যালিস্ট কনফারেন্সে উত্তোলন করলেন পতাকা।
অরুনা আসাফ আলি,মহাত্মা গান্ধীর সহযোগিনী,
পত্তি শ্রীরামুলুকে একনিষ্ঠ ভক্ত বলেই চিনি।
প্রথম মহিলা,কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়কে ব্রিটিশ করল গ্ৰেফতার,
থিয়েটার ও হ্যান্ডলুমে নারী জাতিকে করলেন স্বনির্ভর।
মেদিনীপুরে গুলির আঘাত সহ্য করলেন মাতঙ্গিনী হাজরা,
তিরুপুর কুমারন করলেন দেশবন্ধু অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা।
অন্ধ্রে স্বাধীনতার লড়াই লড়লেন গরিমেল্লা সত্যনারায়ণ,
কূলপতি, ভারতীয় বিদ্যাভবন গড়ার ভার নিলেন।
সূর্যসেন আর প্রীতিলতার সেই দুঃসাহসিক কর্ম,
ভারতকে স্বাধীন করাই ছিল এনাদের একমাত্র ধর্ম।
ভুলিনি যে বিনয়-বাদল-দীনেশের বলিদান,
আজও কানে বাজে ক্ষুদিরামের ফাঁসির গান।
স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন ভেদাভেদ ভুলে,এক হয়ে,
তাদের সকল বলিদান এর মূল্য যেতে দেবো না হারিয়ে।
বিভাগ- কবিতা
কোথায় মাতৃভাষা
আব্দুল রহিম
বুকের তরতাজা রক্ত ক্ষরণে এসেছে....
মোদের প্রাণের এ বাংলা ভাষা..........
কিন্তু আজ'কে কি বাঙালি ভুলে গেছে.....?
কলঙ্ক ইতিহাসের সে ভয়াবহ পাতা ......
তবে কি আজ সালাম রফিক বরকতের রক্ত মিথ্যা ?
আজ বাঙালিকে গ্রাস করেছে আধুনিক সভ্যতা....
তাই কিছু আর বেচেঁ নেই বাংলা ভাষার স্পর্শতা ...
আজ দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত জাতি....
কোথায় বাঙালি কোথায় বাংলার সংস্কৃতি ....
কজন বলে মোরা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি।।
কিন্তু মনে রাখা দরকার বাংলা ছাড়া......
বাঙালির সুখের জীবন হাহাকার.....
মোদের বাংলা ভাষা স্বপ্ন দেখায়.......
মোদের বাংলা ভাষা বাঁচতে শেখায়.....
কিন্তু সব আবদ্ধ স্মৃতির জরাজীর্ণ পাতায়.....।।
আজ আর নেই নবজাতকের প্রথম ডাক মা....
আজ আর নেই কাজী রবি বিবেকের কালি....
আজ আর নেই দাদা দাদু বাবা মা নামের শব্দ....
আমরা সবাই সভ্যর আড়ালে ভয়ঙ্কর বিপদ গ্রস্থ.
তাই চল চল এগিয়ে চল ২১-এর ভাষা দিবসে।।
বন্ধু দিবস
অগ্নিমিত্র
বন্ধু মানে মনের কোণে
গোপন কত কথা ...
বন্ধু ছাড়া জগতে যেন
অশেষ নীরবতা !
আসল বন্ধু সঙ্গে থাকে
কঠিন সময় এলে ;
কখনো যায় না বন্ধু জেনো
এমন দশায় ফেলে ।
তেমন বন্ধু ভাগ্যবানেই
জেনো ক্বচিৎ পায় ..
মনের সেতার বেজে ওঠে
বন্ধুতা গান গায় !!..
বনধু আমার
অনাদি মুখার্জি
তোর মন খারাপের রাতে,
যখন একলা বসে আকাশ দেখিস ,
খুবই কাছেই আমি আছি,
তোর ইচছে হলে আমায় ডাকিস !
তোর রঙিন স্বপ্ন সব,
যদি হারিয়ে ফেলে রং,
গোধূলির আবির মেখে,
রাঙ্গিয়ে দেবো তোর মন !
তাই তো আমরা এখনো বনধু আছি বাধা সয়ে,
আকাশ বাতাস বলছে যেন এমন বন্ধুত্ব থাকে কয়জনে !
অনুভবি
অলোক রায়
স্বপ্নে এসে দেবী দিলো মোরে বর,
কবি হয়ে লিখে যাও সারাজীবন ভর।
পড়াশোনা করলে অনেক
এবার রাস্তা ধরো,
জেনো তবে আবেগ নয়
বিবেকই যে জীবন পথে বড়ো।
সুন্দর হবে চিন্তনে মননে,
জেনো তবে মান পাবে
জগতের সবখানে।
কবি হলে তবে জেনো,
দৃঢ় হয়ো শব্দচয়নে।
দীন দুঃখী অভাগীর কথা বলো শব্দের খেলায়,
পূর্ণ সুখের দেখা পাবে তবে
জীবনের শেষ বেলায়।
কি বলবো এক ডালি সুগন্ধি পুস্প দিয়ে নিবেদিত মোট ১৪টি কবিতা ও লেখা এক আলাদা আনন্দ পাইয়ে দেয়। কাকে বাদ দিয় কাকে বলবো তবুও বরাবরের মত যারা ভালো লেখেন বিশ্বজিৎবাবু, হামিদুলদা, আব্দুল, মিনতিদি, সৌম্যবাবু, অগ্নমিত্রবাবু, নরেন্দ্রনাথবাবু, মৌসুমীদি, সোহিনী, কনিকা ও অন্যান্যরা ও একটি ইংরেজী কবিতা এক কথায় আমি পড়ে তৃপ্তি পেলাম। এটা একেবারে মন থেকে বললাম। আগামীতেও আপনাদের লেখা এভাবেই শুদ্ধ স্বর রচনা করুক এই চাহিদা আমার রইলো। পত্রিকা পরিচালক সমিতিকে ধন্যবাদ খুব নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সাথে এইভাব প্রতিদিন আমাদের সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দেবার জন্য।
উত্তরমুছুনসুন্দর মতামত দিলেন রঞ্জন চৌধুরী