"উপকণ্ঠ 11 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-11/07/2020, শনিবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
ধারাবাহিক প্রবন্ধ
প্রাথমিক শিক্ষাঃ কিছু প্রস্তাব
~ রাজা দেবরায় (আগরতলা, ত্রিপুরা)
১) শুনতে অন্যরকম মনে হলেও বাস্তবতা এবং পরিস্থিতির নিরিখে বিচার করলে বোঝা যাবে যে একইরকম সিলেবাস সর্বত্র পড়ালে সামগ্রিকভাবে খুব একটা সাফল্য আসবে না বা আসেও না । যে স্কুলের অধিকাংশ স্টুডেন্টরা তুলনামূলকভাবে পড়াশুনায় দুর্বল, তাদের যেকোন বিষয়েরই তৈরী করে দেওয়া বা চাপিয়ে দেওয়া সিলেবাস কোন কাজে আসে না । পড়ানোর জন্যই শুধুমাত্র পড়ানো হয়ে থাকে ।
যে স্টুডেন্টরা সঠিকভাবে অ-আ, ক-খ, A-B-C-D, ০-৯ এগুলো ঠিকঠাকভাবে পারে না বা শেখে নি, তাদের বাংলা ও ইংরেজী গল্প, কবিতা, প্রশ্নের উত্তর বা গণিতের যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ ক্লাসে করিয়ে দিলে কী লাভ হবে ?
আর লেসন প্ল্যান, টিচারস ডাইরী, সর্বোপরি সিলেবাস শেষ করার চাপ শ্রদ্ধেয় টিচারদের থাকায় তারাও অসহায় হয়ে পড়েন এই ক্ষেত্রে ।।
(চলবে)
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
May Only Tattered Tongue Drink Red Claws
A poem by S. Sundar Mondal
I see mouse in clashy claws of tunnel
I see green in the black bite of venoms
Of the autocrat whom you know your lover,well-wisher.
Even I see stone not excused from the kiss of mad vixen,
That makes the stone stuffed with clotted blood of mud.
Everything from the tongue of mud to that of stone,
From the farming lips of grass to that of cloud, all is now in claws of female wine.
Hitler,blood-monger never dies but comes out in caterpillar's coat,
To make meal the leaves tatters the grass' tongue.
And the grass that is generous a monk like sky can be hard like stone too,,
can be all-devouring like sea to drink the lees of organic red row by tattered tongue.
Sometimes may mean be greater than great,
Weak may be stronger than strong
And may be Mahakal to drink the red claws by flickering tattered tongue on the feet of civilization.
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
সঞ্জীবনী
অর্পিতা ঘোষ
গোধূলির অস্তরাগে চারিদিকে তামাটে রঙের জৌলুস
সূর্যের বিদায় নেবার পালা এলো...
গাঙচিলগুলো সূর্যকে নিজের ভেবে
ওকে কাছে পেতে, ওর দিকে উড়তে লাগলো।
ওরা যতই ধরতে যায়–
সূর্য ও আরও আরও দূরে সরে...
ধরতে না পেরে গাঙচিলেরা একসময়
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পরে।
মিলনের যে বীজ পুতেছিল মনের কোণে
ধীরে ধীরে তা শুকোয় আঁধারের তটে...
পরদিন প্রভাতে সূর্যের দেখা পেয়ে
তা আবার সঞ্জীবনী হয়ে ওঠে।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
মিথ্যা ধর্ম নয়
অশোক কুমার রায়
পৈতে ধারি টিকি ধারি
টুপি ধারি চাচা ।
পৃথিবীতে মরছে যারা
একটা প্রাণ বাঁচা !
দেখবো তোদের ধম্ম কত-
মিথ্যা করিস বড়াই ।
ধর্মটাকে রাখ- না মনে
কর-না এখন লড়াই !
আল্লা- হরি কেউ বলেনি
অন্ধ হয়ে ডাকো -
কর্ম কর.ভালবাস
এক হয়ে সব থাকো ।
তবে কেন মিথ্যা বুলি
জ্বালাস মনে আগুন ।
সকল ধর্ম ঊর্ধ্বে রেখে
চল্-না আনি ফাগুন !
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
মনের কথা
রুহুল আমিন
বাক্যটিকে প্রকাশিত করার সময় এসেছে
বসন্তের ফুল ফুটেছে ডালে ডালে
ক্রন্দন ছেড়ে সাহস বিকশিতের সময় এসেছে
লাল পদ্ম দুলে চলেছে বাতাসে
রুপের লাবনীতে মুগ্ধ হয়ে নয়
ভালোবাসার গৌরব মহিমায়
বীরত্বের ইতিহাসে অক্ষয়
বিস্ময় বিশ্বের দলপতির সম্মুখে
সমস্ত গ্লানির আবছায়া ছেড়ে
স্বপ্ন সহচরী বালুচরের বুকে
সঙ্গিনী তোমার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছি
তুমি অপ্রকাশিত বাক্য প্রকাশিত করো
বৃষ্টিতে ভেজা তৃপ্ত হৃদয়
তোমায় খোঁজে শতবার
তোমার আলিঙ্গনে চুম্বন করি
তুমি প্রকাশিত করো ভালোবাসার তরে ।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
স্মৃতিহীন
শিবপ্রসাদ গরাই
স্মৃতিগুলো ভাসিয়ে দিচ্ছি একেকটা করে জলে।
মরার পর চিতায় তোলার আগে
যেমন করে একেকটা করে বস্ত্র খুলে রাখা হয়,
তেমন করেই খুলে রাখছি সব,
সমস্ত স্মৃতি ।
এখন শুধুই হাড় জিরজিরে নগ্ন আমার শরীর, স্মৃতিহীন।
সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া, যারঅন্য কোন গতি নেই
পিছনে ফেরার রাস্তা সে কবেই ভুলে গেছে।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
বাস্তবতার আঙিনায়!
বিশ্বজিৎ কর
আমি এখন হেঁটে বেড়াই-
জীবনপথের অলিগলিতে,
হ্যাঁ, মানুষ খুঁজি!
দেখা মেলে,প্রাণ ভরে দেখি -
ওদের মনের বাসায় ঢুকতে যাই,
কত চোখ উৎসুক হয়ে ওঠে....
একদিন তুমিও এসো,
আমার চলার পথের সাথী হবে!
পথের দু'ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠা ভালবাসার গাছ,
ফুল তুলে মালা গাঁথব!
মালা হবে জীবন-বন্ধন,
সময় হলে এসো কিন্তু!
আমি গাছে জল দিয়ে চলেছি,
বাঁচিয়ে রাখতে হবে যে...
কুনজর পড়তে পারে গো!
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
বাঁচার লড়াই
বিমান প্রামানিক
কেউ রয়েছে প্রাসাদ চুড়ায় কেউ আবার রাস্তার মোড়ে,
কারও ঘরে রাশি রাশি খাবার কেউ ছুটছে আস্তাকুড়ে।
বিশ্ব জুড়ে এলো মহামারি সবাই আজ কর্ম হারা,
কেউ আবার অহংকারী কেউ হচ্ছে দিশেহারা।
ফুটপাতে থাকে যারা অন্ন তাদের জোটে না,
গ্রামের মানুষ অসহায় তাদের কর্মস্থল আজ অচেনা।
বিশ্ব এখন যুদ্ধ করে অদেখা এক কীটের সাথে,
আমরা সাধারন, ঘরে ঘরে প্রাণ বাঁচানোর লড়াইতে।
অর্থ আছে সেই লোকটি নিজের ঘরে দরজা এঁটে,
রাশি রাশি খাবার জমিয়ে মান্যতা দেয় লকডাউনকে।
আর এক শ্রেণীর আছে যারা সকাল হলেই চিন্তা করে
দুপুরবেলা জুটবে কি পাতে? দিশেহারা সন্তানদের অন্ন জোগাড়ে।
যদিও কোথাও দিচ্ছে খাবার শুনেই ছুটে ভিড়াভিড়ী,
পথের মাঝে সেই তো আবার খাবারের জন্য মারামারি ।
দোষ কিসের তার? বাড়িতে নেই এক মুঠি চাল,
চিন্তায় মাথায় আগুন জ্বলে আজ যদিও হলো, কি হবে কাল?
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
আড়ি
অঞ্জলি দে নন্দী
মাছের গোঁফ।
মাছের দাড়ি।
বড্ড কাঁটা।
আড়ি আড়ি আড়ি।
আমার বাড়ি
রোজ রোজ রোজ হয়
মাছের তরকারী।
আমার বড় ভয় হয়।
মা তো দেবেই দেবে পাতে।
আবার খেতেও হবে নিজের হাতে।
এতো কাঁটা!
আমি কি আর বাছতে পারি?
মা তা কিছুতেই বোঝে না।
শুধু বলে,
নিজের হাতে
বেছে কাঁটা
খেতে শেখো!
তবে খুব সাবধানে!
গলায় আটকায় না যেন, দেখো!
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
ট্যাম্বরিন ম্যান
মৌসুমী গুহ রায়
বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু, তিল তিল করে তিলোত্তমা।
প্রবাদ বাক্য গুলি মনে পড়ে যায়।
রাজারহাট নিউটাউনের একটি হোটেল প্রাইড।
পাঁচতারা হোটেল।
দু'দিন ছিলাম সপরিবারে।
রাজস্থানের উদয়পুরে লাল মাস খেয়েছিলাম।
ওখানকার স্পেশ্যাল রেসিপি।
রোনাল্ডো বলে একজন ওয়েটার
আমাদের জোর করে গরম গোলাপ জামুন খাইয়েছিল।
মেঘাকে সে বলেছিল- আলিয়া ভাটের মতো দেখতে।
মেঘা খুশি হয়ে সাজগোজ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল।
উদয়পুরে পিছোলা লেকে বোটিং করেছিলাম।
বোটে একজন রাজস্থানী পোশাক পরা লোক
একটা যন্ত্র বাজিয়ে সুর তুলেছিল।
আমার তখন বব ডিলানের ট্যাম্বরিন ম্যান
গানটার কথা মনে পড়ছিল।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
অনুকবিতা
কুকুর
জহরলাল দাস
আমরা করি ঘেউ ঘেউ
পথে ঘাটে দুর,
ভোটের বেলায় আবার আস
তোমরাও বেহায়া কুকুর!
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
জেগে ওঠো নারী
শুভঙ্কর দাস
হে নারী তুমি কখনও কন্যা, কখনও অর্ধাঙ্গিনী,
কখনও বা মমতাময়ী 'মা' আবার কখনও বা শত কষ্টের জননী।
নারী, তুমি আর কতকাল সহ্য করবে পুরুষের অনবিরত শোষণ,
লাঞ্জনা - বঞ্চনা, ক্রোধ আর ধর্ষণ ;
সেই শৈশব - কৈশোর পার করেছো আপন পিতৃলয়ে,
বিয়ের পর সব ছেড়ে হয়েছো আজ পুরোপুরি অসহায়।
আর চিরনিদ্রায় মগ্ন নয়, জেগে ওঠো তোমরা ;
সময় এসেছে আজ.... জাগ্রত হতে হবে তোমাদের-ই।
তোমাদের মধ্যে আছে নিগূঢ় শক্তি, অগ্নির দাবানলের মতন জ্বালাও
সত্ত্বাকে, ভেঙ্গে শোষণের শিকল।
খুলে দাও আজ খুলে দাও শয়তানের মুখোশ,
যারা করেছে তোমাদের ধর্ষণ, সস্তার বাজারের ভোগের পণ্য,
খুঁজে নাও আজ তাঁদের তন্ন তন্ন করে, বন্দী করো বন্দীশালায়।
যারা এখনো হয়ে আছে অসহায়, সঙ্গী করে নাও তাদের,
হে নারী, জেগে ওঠো, জেগে ওঠো.... মুক্তির পথে আর থাকবে না কোনো
অন্যায় - অবিচার, ধর্ষণ - ধর্ষিতা,
হৃদয়ে জ্বালাও দাবানল, তোমাদের শক্তিতে-ই সব হবে জয়জয়কার।
তাইতো বলি, হাতে হাত রেখে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখে,
তবেই পাবে আত্মমর্যদার অধিকার, জানাই সকল নারীকে।
🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵
© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক, উপকণ্ঠ
নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 👇👇👇
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা
0 comments: