"উপকণ্ঠ 30 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-30/07/2020,বৃহস্পতিবার
সময় :- সন্ধ্যা 6:30 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
ক্ষনিকতার আবর্ত
রঞ্জনা রায়
নক্ষত্রজীবী হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম
বিরোধাভাসের মায়া জড়ানো নক্ষত্র আলোয়
একটি স্ফটিক উজ্জ্বল প্রাণের অভিযান।
মহানির্বাণের অনন্ত পথে
এক তথাগত বহন করে অন্য তথাগতের
বোধিচেতনার উত্তরাধিকার
রাত্রি নিজস্বতায় অন্ধকারের সংকেত
জ্ঞানের অন্তরে অনির্বাণ মোক্ষশিখা।
নক্ষত্রের শুদ্ধ আলোয়
জীবনকে চিনে নেবার মহাজাগতিক উল্লাসে
ক্ষনিকতার আবর্তে পথ হাঁটা।
নয়তো আমি কবি
বিপ্লব গোস্বামী
বন্ধুরা বলে শোন কবি ভাই
আজ হতে মোদের মাঝে নেই তব ঠাঁই।
তোর কি খেয়ে দেয়ে নেই কোন কাজ ;
তোই আর আসিস না আমাদের মাঝ।
বড্ড বিরক্তিকর ,তোর কি মাথা নষ্ট ;
কেবল লেখিস কবিতা আর কবিতা !
সত্য কথা বললে পাবে তোই কষ্ট।
আরে ভাই,ছেড়েদে এ সব পাগলামি ;
এসব ছাই লিখি কখনো হবে না নামী।
কবিতা লিখে কে আর কখন পেয়েছে দাম ;
কজন আর মনে রাখে কবিদের নাম ।
কবিতা লিখে আর কত টাকা মিলে ?
অনেক টাকা ইংকাম হবে মোদের মতো হলে।
আমি বলি শোন বন্ধুরা সঙ্গ ছাড়ব ,তবে
শেষ বেলা আমার কথা শোনে রাখ সবে।
কবিতা লেখা আমার নয়তো পেশা ;
না লিখলে আর বাঁচব না ভাই
হয়েগেছে ঘোর নেশা।
নয়তো আমি কবি
লেখি কেবল অন্যায় অবিচার,
অধর্মের প্রতিবাদ লিপি
আর আঁকি দীন জনের ছবি।
আমার লেখা তোরা ভাবিস না পদ্য ;
এসব শুধু প্রতিবাদ লিপি, নয়তো প্রবন্ধ।
নাইবা হলো পদ্য গদ্য না হলো প্রবন্ধ
তবু এ লেখায় যেন হয় তাদের মুখ বন্ধ।
যারা অধর্মে করে শুধু অন্যায়
তাদের যেন হয় সর্ব নাশ
আমার প্রতিবাদের বন্যায়।
দামের আমার নেই কাজ
তবু এ লেখায় যেন তারা পায় লাজ।
যাহা অন্যায়ী অহঙ্কারী
আমার কবিতা দিয়া তাহাদেরে মারি।
আমি নয়তো কবি
আমি বিপ্লব,মহা বিপ্লবী
আমি অঁকে যাই তার ছবি।
ভালোবাসার রামধনু
✍✍ শাশ্বতী দাস
তুমি বলেছিলে, ভালোবাসো -
ভালোবাসো আমার "আমি" টাকে -
আমার চোখে নাকি তোমার মুক্তি দেখেছিলে!
আমার চোখের তারায় দেখেছিলে,
রামধনুর সাতরং!!
ভেসে গেছিলাম আমি -
ভেসে গেছিলাম তোমার মিথ্যা ভালোবাসার জোয়ারে -
হারিয়েছিল আমার ভাষা,
তোমার মিথ্যা স্তোক বাক্যে।।
জিতেছিল তোমার পুরুষকার,
জিতেছিল তোমার অহংকার।।
কিন্তু সত্যিই কি জিতেছিলে তুমি?
পৌরুষ লাভের প্রথম দিন থেকে -
বলেছো সহস্রবার এই একই কথা
একই অনুরাগে আমরই মতো
কত নারীর কানে কানে,
মিথ্যা প্রতিস্রুতির জাল বুনেছো বারে বারে।
খেলেছো হাজার হাজার ফুলের মতো
নিস্পাপ মন নিয়ে নিরন্তর -
কিন্তু বলতে পারো,
দিন শেষে কি রইলো তোমার হাতের মুঠোয়?
মনের কারবারি তুমি রয়ে গেলে নিঃস্ব, রিক্ত।
চোখ মেলাতে পারবেতো
বেলা শেষে নিজের প্রতিবিম্বের সাথে?
একবারও কি মনে হবে না?
যে রামধনুর সাত রং নিয়ে খেলা করেছো,
প্রতিদিন, প্রতি মূহুর্ত, তা ছেড়ে গেছে
চিরকালের মতো তোমাকেও!
তুমি আজ নিঃস্ব, রিক্ত, যন্ত্রণাবনত,
একটি অতি সাধারণ মানুষ,
বা হয়তো মনুষ্যেতর।।
বিভাগ- কবিতা
ভালোবেসেছি তাই হেরেছি
অলোক রায়
কী ভুলে বলো আজ মন হল মৃত লাশ,
মনে যে শুধু বইছে প্রেম হারানোর দীর্ঘশ্বাস।
এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজার পর সিক্ত চুম্বন,
কোন নেশায় মেতে উঠতো মন তখন।
ধানসিঁড়ির নীচে বসে কত কথালাপ,
আমবাগানে হেঁটে চলা কত দৌড়ঝাঁপ।
প্রতিটি ক্ষণ যে আজ স্মৃতির পাতায়,
ভেসে ওঠে শুধু তোমার মুখ কথায় কথায়।
আজও তো আকাশের নীলে ওঠে কত তারা,
একলা নিবিড়েও জ্বল জ্বল করে দেয় যে সাড়া।
তুমি বিহনে আজ অন্ধকার করেছে আমায় গ্রাস,
ধরা দিয়েও এলেনা কাছে দিয়েছো শুধুই আশ্বাস।
প্রেম আমার তোমাকে যে ভীষণ প্রয়োজন,
চলে গেছো বহুদূর তবুও খুঁজি তোমায় সারাক্ষণ।
ভালোবাসি তোমায় শুনেছো অনেকবার,
কথা তো ছিলনা এভাবে চলে যাওয়ার।
তোমার সেই চেনা নাম শুনে আজও পিছু ফিরে তাকাই,
যদিও জানি একই নামে কত ফুল ফোটে বনে বনে তবুও স্মৃতিতে তোমাকেই পাই।
মনের ক্যানভাসে চলে তোমার হাঁটাচলা,
তখন মনে পড়ে তোমার হাসিমুখে কথা বলা।
বুকে যখন বই নিয়ে হাতছানি তে ডাকতে,
পারতাম না যে রেগে আর একলা থাকতে।
তুমি নেই আজ বহুদিন,
তবুও কেন তোমাকেই মনে পড়ে বারবার,
ভুলিনি তোমার মুখোচ্ছবি,
আজও কল্পনায় বিচরণ করো প্রেম আমার।
শত কোটি মানুষের ভীড়ে,
কতবার আর দেখবো ফিরে ফিরে।
স্বপ্নেরা তবু জীবিত আজ তোমায় ঘিরে।
আমি অন্ধকারের যাত্রী হয়েও আজ বেঁচে আছি ,
আপশোস এই তোমায় ভালোবেসেছি তাই হেরেছি।
বিদ্যাধরী নদীর তীরের মানুষের জীবনযাএা (ছোট গল্প)
আব্দুল রাহাজ
দুটো ছোট্ট গ্ৰামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে বিদ্যাধরী নদী নীল দিগন্তের মাঝে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে আদি দিগন্তের পথ ধরে। প্রকৃতির মা তার শোভা দিয়ে আঁকড়ে রেখেছে বিদ্যাধরী নদীকে। এই নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটা পরিবারের বসবাস এই নদী আর প্রকৃতি মাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে এই সব মানুষ গুলো । সরল মন পারস্পরিক মেলবন্ধনে ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ নিয়ে ওরা বসবাস করে। পাশেই আছে ছোট্ট বন বাবলা ওখান থেকেই রান্নার কাঠ সংগ্রহ করে ওরা আর নদীর মাছ ধরা নৌকা নিয়ে মানুষ পারাপার এই সবের মধ্য দিয়ে ওরা অর্থ উপার্জন করে হরিহর বাবু থেকে শুরু করে রহিম চাচারা নদীতে নাও নিয়ে একসাথে মাছ ধরে সে এক মেলবন্ধন ওদের মধ্যে অপরূপ ভাবে ফুটে উঠেছে। ওরা প্রান্তিক হলেও ওদের মধ্যে আছে শান্তি আর শান্তি দুবেলা দুমুঠো ভাত আধপেটা খেয়ে বেঁচে থাকে ওরা পরব পার্বনে এক সম্প্রতির মেলবন্ধন ফুটে উঠেছে অনন্য রূপে। সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় চারদিকে আলোকিত করে বিদ্যাধরী নদী আপন বেগে চলে যাচ্ছে তার ঢেউ যেন কত যুগের স্মৃতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওখানকার মানুষের সাথে এক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে নদী যেন এক অপরূপ মায়াবী আলোয় ওদেরকে আগলে রেখেছে । সবমিলিয়ে বিদ্যাধরী নদীর তীরের মানুষের জীবধযাএা এক অনন্য রূপে ফুটে উঠেছে যদিও ওরা প্রান্তিক তবুও নদীর প্রাকৃতিক শোভা তাদের এক বিশেষ মর্যাদা ও আগলে ধরে আছে চিরজীবন সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয়ে বেঁচে আছে সবার মাঝে আর বিদ্যাধরী নদী সে আপন বেগে চলছে।
কবিতা
হৃদয় নি:সৃত
মৌসুমী গুহ রায়
সারাদিন কেটে যায়। বসে থাকি চুপচাপ।
সারাদিন বৃষ্টি পড়ে। অন্ধকারে আকাশ।
কোথায় জীবন, কোথায় জীবন ?
এই স্থির হয়ে বসে থাকার মধ্যেই জীবন।
মিশ্র অনুভূতি জাগে মনে। মন খুশি আনন্দে।
কোথায় যাও পথিক ? ইঙ্গিত পথিকের।
মনে মিশ্র অনুভূতি। মন বলে - ভালো লাগে না কিছু।
বেঁচে থাকাটাই বড় ধর্ম। হৃদয় নি:সৃত প্রজ্ঞা।
কবিতা
তোমার স্মরনে
রুহুল আমিন
তোমাকে জানাই হাজার সালাম
তুমি বিদ্রোহী হয়ে জেগে ওঠো অত্যাচারীর মাঝে
ভালোবাসা ছড়িয়ে দেও অনাথদের সাথে
অন্যের কষ্ট ভাগ নেও, সুখ দেউ বিলিয়ে
তোমার মতো রাষ্ট্র নায়কের অভাব আজ রাষ্ট্রে
তুমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা কভু
তোমার বিরোধিতা যতই হোক সমাজে
তুমি নিরাশা মুছে ফেলে
আশার প্রদীপ জ্বেলেছো
তুমি কাফের দের পাশে দাঁড়িয়ে
ন্যায়ের পথ দেখিয়েছো
তোমাকে জানাই হাজার সালাম
কবিতা :-
শুধু কবিতার জন্য!
বিশ্বজিৎ কর
শুধু কবিতার জন্য -
আমি আকাশ হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি তোমাকে ভাবতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি সবার হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি পাগল হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি নিঃশেষ হতে পারি!
খুনি
হামিদুল ইসলাম
এখন গাছেদের জন্ম নেবার সময়
ভ্রূণগুলো জরায়ুর ওমে
উজ্জীবিত প্রতিটি সময়
জীবন যুদ্ধ
এক একটি ইতিহাস ।।
খুনিরাও জন্ম নেয় এখন
খুন করে প্রাণ
রক্তপাত সারা দুনিয়ায়
সম্ভব অসম্ভবের জগৎ উড়ে যায় হাওয়ায়
হাজারো লাশ ।।
আর কতোদিন খুন হবে গাছ ও মানুষ
গাছ ও মানুষের জন্ম তবু নৈরাজ্যের বিভীষিকায় ।।
সবুজ বালিকা
সৌম্য ঘোষ
উদাস দুপুর কখন গেছে চলে
এখন বিকেল অস্ত মুখী ;
নিভৃত পদ্মপুকুর আর হলুদ জলঢোঁড়া সাপের
সখ্যতা সবুজ বালিকার সাথে ।
মায়া গুলো হয়ে ওঠে মিলনার্থময় !
সু -কাতর বাঁশির টানে রাধারানী আসে ;
মায়াকে কাছে ডাকি ,
অস্ত মায়ার বিকেলে কিছুটা আঁধার ছায়া ফেলে ,
তার নিঃশ্বাসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় হৈমন্তিক বাতাস !
মায়াকে কাছে ডাকি , নীল চোখে আসে সবুজ বালিকা ।
মনের জানালা খুলে দেখি
সেই চেনা পাখি ,
তার ডানায় ভালোবাসার সোনালী রোদ্দুর ।
কবিতা
ঢেউ
মিনতি গোস্বামী
ঢেউ
আছড়ে পড়ে
শূন্য বালুচর জুড়ে।
এখন এখানে আসেনা কেউ
স্বপ্নমাখা মখমলি ওড়না তুলে নিয়ে
ঢেউ ফিরে যায় নীল সমুদ্রের বুকে।
সমুদ্র জানে শূন্যচরা পূর্ণ হবে সুখে
আসবে কপোত কপোতীরা ডানা উড়িয়ে
নীলজলে আবার উথালপাথাল ঢেউ
প্রেম হবে ভবঘুরে
থাকবেনা ঘরে
কেউ।
জাতির মৃত্যু
আব্দুল রহিম
দু'চোখ খুলতে না খুলতে
মৃত কঙ্কালের কান্না আর ভাল লাগেনা
কোথায় জীবনের হাসি কান্না হীরা পান্না।
দু'কান!রাখতে না রাখতে
বাতাসে জীবন্ত লাশের শুধু বাঁচার আর্তনাদ
কিন্তু নেই কোনো সাহায্যের জন্য বাড়ানো হাত।
আজ পৃথিবী মানে শকুনে'র বিছানো হিংস্র ফাঁদ
আজ পৃথিবী মানে উলঙ্গ নারী'র রণ নৃত্যতা
আজ পৃথিবী মানে কুকুরে'র ঘেউ ঘেউ আর্তনাদ
আজ পৃথিবী মানে রক্তে'র লাল কালো দাগ ।।
আজ জাতির পতাকা মানে ধর্ষিতা এক নারী
আজ জাতির সভ্য সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলগামী
তবু আজ বেড়েই চলে কালো বাজারে'র ভন্ডামী
তবু আজ কালো মুখোশে'র রক্ত মাখা শাসন কমেনি।
আজ শুধু বেঁচে
জাতির লাল রক্ত মাংস মাখা উলঙ্গ দোলা
আজ শুধু বেঁচে
মৃত লাশের উপর যৌবনের অতৃপ্ত কাম চিন্তা।
কোথায় আজ কাজী,রবি, বিবেকের বাণী
তবে কি কবি রুদ্রের কথায় সত্যি হল?
জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী।।
বিষয় : কবিতা
"সে"
রিকি ঘোষ
কতদিনই না ভুলে ছিলাম জানালার ওপারের
সেই ভালোবাসায় জড়িত দেহটাকে আবেগে,
শতসহস্র ধিক্কারে বর্জিত আমি ভাবী
সে হঠাৎই মনে পড়ল অবসাদের বিবেকে।
সে এখনো রয়েছে আমার
উষ্ণ রক্তের তীক্ষ্ম স্রোত জুড়ে,
তার নামটা এখনও কানে বেজে ওঠে
অত্যন্ত মধুর শান্ত বাঁশির সুরে।
সে হয়ত নতুন অলোর আবেশে
রয়েছে নতুন কোন নতুনভাবে,
আমি নিচে তারে নিয়ে ভাবী
সে তো বেঁচে রয়েছে নতুনত্বে স্বাধীনভাবে।
সে কি ভুলে গেছে?
আমি কেন পারলাম না তবে?
তার স্মৃতির কাহিনী ফেলে দিতে চাই
যা প্রতিক্ষণ আমায় নিয়ে ভাবে।
যেদিন মুখোমুখি হব, প্রশ্ন করবো
"তুমি কি ভুলে গেছো?"
শুনতে চাইবো তার উত্তর যদি বলে
সে, না তুমি এখন রয়েছো।
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-30/07/2020,বৃহস্পতিবার
সময় :- সন্ধ্যা 6:30 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
ক্ষনিকতার আবর্ত
রঞ্জনা রায়
নক্ষত্রজীবী হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম
বিরোধাভাসের মায়া জড়ানো নক্ষত্র আলোয়
একটি স্ফটিক উজ্জ্বল প্রাণের অভিযান।
মহানির্বাণের অনন্ত পথে
এক তথাগত বহন করে অন্য তথাগতের
বোধিচেতনার উত্তরাধিকার
রাত্রি নিজস্বতায় অন্ধকারের সংকেত
জ্ঞানের অন্তরে অনির্বাণ মোক্ষশিখা।
নক্ষত্রের শুদ্ধ আলোয়
জীবনকে চিনে নেবার মহাজাগতিক উল্লাসে
ক্ষনিকতার আবর্তে পথ হাঁটা।
নয়তো আমি কবি
বিপ্লব গোস্বামী
বন্ধুরা বলে শোন কবি ভাই
আজ হতে মোদের মাঝে নেই তব ঠাঁই।
তোর কি খেয়ে দেয়ে নেই কোন কাজ ;
তোই আর আসিস না আমাদের মাঝ।
বড্ড বিরক্তিকর ,তোর কি মাথা নষ্ট ;
কেবল লেখিস কবিতা আর কবিতা !
সত্য কথা বললে পাবে তোই কষ্ট।
আরে ভাই,ছেড়েদে এ সব পাগলামি ;
এসব ছাই লিখি কখনো হবে না নামী।
কবিতা লিখে কে আর কখন পেয়েছে দাম ;
কজন আর মনে রাখে কবিদের নাম ।
কবিতা লিখে আর কত টাকা মিলে ?
অনেক টাকা ইংকাম হবে মোদের মতো হলে।
আমি বলি শোন বন্ধুরা সঙ্গ ছাড়ব ,তবে
শেষ বেলা আমার কথা শোনে রাখ সবে।
কবিতা লেখা আমার নয়তো পেশা ;
না লিখলে আর বাঁচব না ভাই
হয়েগেছে ঘোর নেশা।
নয়তো আমি কবি
লেখি কেবল অন্যায় অবিচার,
অধর্মের প্রতিবাদ লিপি
আর আঁকি দীন জনের ছবি।
আমার লেখা তোরা ভাবিস না পদ্য ;
এসব শুধু প্রতিবাদ লিপি, নয়তো প্রবন্ধ।
নাইবা হলো পদ্য গদ্য না হলো প্রবন্ধ
তবু এ লেখায় যেন হয় তাদের মুখ বন্ধ।
যারা অধর্মে করে শুধু অন্যায়
তাদের যেন হয় সর্ব নাশ
আমার প্রতিবাদের বন্যায়।
দামের আমার নেই কাজ
তবু এ লেখায় যেন তারা পায় লাজ।
যাহা অন্যায়ী অহঙ্কারী
আমার কবিতা দিয়া তাহাদেরে মারি।
আমি নয়তো কবি
আমি বিপ্লব,মহা বিপ্লবী
আমি অঁকে যাই তার ছবি।
ভালোবাসার রামধনু
✍✍ শাশ্বতী দাস
তুমি বলেছিলে, ভালোবাসো -
ভালোবাসো আমার "আমি" টাকে -
আমার চোখে নাকি তোমার মুক্তি দেখেছিলে!
আমার চোখের তারায় দেখেছিলে,
রামধনুর সাতরং!!
ভেসে গেছিলাম আমি -
ভেসে গেছিলাম তোমার মিথ্যা ভালোবাসার জোয়ারে -
হারিয়েছিল আমার ভাষা,
তোমার মিথ্যা স্তোক বাক্যে।।
জিতেছিল তোমার পুরুষকার,
জিতেছিল তোমার অহংকার।।
কিন্তু সত্যিই কি জিতেছিলে তুমি?
পৌরুষ লাভের প্রথম দিন থেকে -
বলেছো সহস্রবার এই একই কথা
একই অনুরাগে আমরই মতো
কত নারীর কানে কানে,
মিথ্যা প্রতিস্রুতির জাল বুনেছো বারে বারে।
খেলেছো হাজার হাজার ফুলের মতো
নিস্পাপ মন নিয়ে নিরন্তর -
কিন্তু বলতে পারো,
দিন শেষে কি রইলো তোমার হাতের মুঠোয়?
মনের কারবারি তুমি রয়ে গেলে নিঃস্ব, রিক্ত।
চোখ মেলাতে পারবেতো
বেলা শেষে নিজের প্রতিবিম্বের সাথে?
একবারও কি মনে হবে না?
যে রামধনুর সাত রং নিয়ে খেলা করেছো,
প্রতিদিন, প্রতি মূহুর্ত, তা ছেড়ে গেছে
চিরকালের মতো তোমাকেও!
তুমি আজ নিঃস্ব, রিক্ত, যন্ত্রণাবনত,
একটি অতি সাধারণ মানুষ,
বা হয়তো মনুষ্যেতর।।
বিভাগ- কবিতা
ভালোবেসেছি তাই হেরেছি
অলোক রায়
কী ভুলে বলো আজ মন হল মৃত লাশ,
মনে যে শুধু বইছে প্রেম হারানোর দীর্ঘশ্বাস।
এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজার পর সিক্ত চুম্বন,
কোন নেশায় মেতে উঠতো মন তখন।
ধানসিঁড়ির নীচে বসে কত কথালাপ,
আমবাগানে হেঁটে চলা কত দৌড়ঝাঁপ।
প্রতিটি ক্ষণ যে আজ স্মৃতির পাতায়,
ভেসে ওঠে শুধু তোমার মুখ কথায় কথায়।
আজও তো আকাশের নীলে ওঠে কত তারা,
একলা নিবিড়েও জ্বল জ্বল করে দেয় যে সাড়া।
তুমি বিহনে আজ অন্ধকার করেছে আমায় গ্রাস,
ধরা দিয়েও এলেনা কাছে দিয়েছো শুধুই আশ্বাস।
প্রেম আমার তোমাকে যে ভীষণ প্রয়োজন,
চলে গেছো বহুদূর তবুও খুঁজি তোমায় সারাক্ষণ।
ভালোবাসি তোমায় শুনেছো অনেকবার,
কথা তো ছিলনা এভাবে চলে যাওয়ার।
তোমার সেই চেনা নাম শুনে আজও পিছু ফিরে তাকাই,
যদিও জানি একই নামে কত ফুল ফোটে বনে বনে তবুও স্মৃতিতে তোমাকেই পাই।
মনের ক্যানভাসে চলে তোমার হাঁটাচলা,
তখন মনে পড়ে তোমার হাসিমুখে কথা বলা।
বুকে যখন বই নিয়ে হাতছানি তে ডাকতে,
পারতাম না যে রেগে আর একলা থাকতে।
তুমি নেই আজ বহুদিন,
তবুও কেন তোমাকেই মনে পড়ে বারবার,
ভুলিনি তোমার মুখোচ্ছবি,
আজও কল্পনায় বিচরণ করো প্রেম আমার।
শত কোটি মানুষের ভীড়ে,
কতবার আর দেখবো ফিরে ফিরে।
স্বপ্নেরা তবু জীবিত আজ তোমায় ঘিরে।
আমি অন্ধকারের যাত্রী হয়েও আজ বেঁচে আছি ,
আপশোস এই তোমায় ভালোবেসেছি তাই হেরেছি।
বিদ্যাধরী নদীর তীরের মানুষের জীবনযাএা (ছোট গল্প)
আব্দুল রাহাজ
দুটো ছোট্ট গ্ৰামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে বিদ্যাধরী নদী নীল দিগন্তের মাঝে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে আদি দিগন্তের পথ ধরে। প্রকৃতির মা তার শোভা দিয়ে আঁকড়ে রেখেছে বিদ্যাধরী নদীকে। এই নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটা পরিবারের বসবাস এই নদী আর প্রকৃতি মাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে এই সব মানুষ গুলো । সরল মন পারস্পরিক মেলবন্ধনে ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ নিয়ে ওরা বসবাস করে। পাশেই আছে ছোট্ট বন বাবলা ওখান থেকেই রান্নার কাঠ সংগ্রহ করে ওরা আর নদীর মাছ ধরা নৌকা নিয়ে মানুষ পারাপার এই সবের মধ্য দিয়ে ওরা অর্থ উপার্জন করে হরিহর বাবু থেকে শুরু করে রহিম চাচারা নদীতে নাও নিয়ে একসাথে মাছ ধরে সে এক মেলবন্ধন ওদের মধ্যে অপরূপ ভাবে ফুটে উঠেছে। ওরা প্রান্তিক হলেও ওদের মধ্যে আছে শান্তি আর শান্তি দুবেলা দুমুঠো ভাত আধপেটা খেয়ে বেঁচে থাকে ওরা পরব পার্বনে এক সম্প্রতির মেলবন্ধন ফুটে উঠেছে অনন্য রূপে। সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় চারদিকে আলোকিত করে বিদ্যাধরী নদী আপন বেগে চলে যাচ্ছে তার ঢেউ যেন কত যুগের স্মৃতি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওখানকার মানুষের সাথে এক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে নদী যেন এক অপরূপ মায়াবী আলোয় ওদেরকে আগলে রেখেছে । সবমিলিয়ে বিদ্যাধরী নদীর তীরের মানুষের জীবধযাএা এক অনন্য রূপে ফুটে উঠেছে যদিও ওরা প্রান্তিক তবুও নদীর প্রাকৃতিক শোভা তাদের এক বিশেষ মর্যাদা ও আগলে ধরে আছে চিরজীবন সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয়ে বেঁচে আছে সবার মাঝে আর বিদ্যাধরী নদী সে আপন বেগে চলছে।
কবিতা
হৃদয় নি:সৃত
মৌসুমী গুহ রায়
সারাদিন কেটে যায়। বসে থাকি চুপচাপ।
সারাদিন বৃষ্টি পড়ে। অন্ধকারে আকাশ।
কোথায় জীবন, কোথায় জীবন ?
এই স্থির হয়ে বসে থাকার মধ্যেই জীবন।
মিশ্র অনুভূতি জাগে মনে। মন খুশি আনন্দে।
কোথায় যাও পথিক ? ইঙ্গিত পথিকের।
মনে মিশ্র অনুভূতি। মন বলে - ভালো লাগে না কিছু।
বেঁচে থাকাটাই বড় ধর্ম। হৃদয় নি:সৃত প্রজ্ঞা।
কবিতা
তোমার স্মরনে
রুহুল আমিন
তোমাকে জানাই হাজার সালাম
তুমি বিদ্রোহী হয়ে জেগে ওঠো অত্যাচারীর মাঝে
ভালোবাসা ছড়িয়ে দেও অনাথদের সাথে
অন্যের কষ্ট ভাগ নেও, সুখ দেউ বিলিয়ে
তোমার মতো রাষ্ট্র নায়কের অভাব আজ রাষ্ট্রে
তুমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা কভু
তোমার বিরোধিতা যতই হোক সমাজে
তুমি নিরাশা মুছে ফেলে
আশার প্রদীপ জ্বেলেছো
তুমি কাফের দের পাশে দাঁড়িয়ে
ন্যায়ের পথ দেখিয়েছো
তোমাকে জানাই হাজার সালাম
কবিতা :-
শুধু কবিতার জন্য!
বিশ্বজিৎ কর
শুধু কবিতার জন্য -
আমি আকাশ হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি তোমাকে ভাবতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি সবার হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি পাগল হতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি!
শুধু কবিতার জন্য -
আমি নিঃশেষ হতে পারি!
খুনি
হামিদুল ইসলাম
এখন গাছেদের জন্ম নেবার সময়
ভ্রূণগুলো জরায়ুর ওমে
উজ্জীবিত প্রতিটি সময়
জীবন যুদ্ধ
এক একটি ইতিহাস ।।
খুনিরাও জন্ম নেয় এখন
খুন করে প্রাণ
রক্তপাত সারা দুনিয়ায়
সম্ভব অসম্ভবের জগৎ উড়ে যায় হাওয়ায়
হাজারো লাশ ।।
আর কতোদিন খুন হবে গাছ ও মানুষ
গাছ ও মানুষের জন্ম তবু নৈরাজ্যের বিভীষিকায় ।।
সবুজ বালিকা
সৌম্য ঘোষ
উদাস দুপুর কখন গেছে চলে
এখন বিকেল অস্ত মুখী ;
নিভৃত পদ্মপুকুর আর হলুদ জলঢোঁড়া সাপের
সখ্যতা সবুজ বালিকার সাথে ।
মায়া গুলো হয়ে ওঠে মিলনার্থময় !
সু -কাতর বাঁশির টানে রাধারানী আসে ;
মায়াকে কাছে ডাকি ,
অস্ত মায়ার বিকেলে কিছুটা আঁধার ছায়া ফেলে ,
তার নিঃশ্বাসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় হৈমন্তিক বাতাস !
মায়াকে কাছে ডাকি , নীল চোখে আসে সবুজ বালিকা ।
মনের জানালা খুলে দেখি
সেই চেনা পাখি ,
তার ডানায় ভালোবাসার সোনালী রোদ্দুর ।
কবিতা
ঢেউ
মিনতি গোস্বামী
ঢেউ
আছড়ে পড়ে
শূন্য বালুচর জুড়ে।
এখন এখানে আসেনা কেউ
স্বপ্নমাখা মখমলি ওড়না তুলে নিয়ে
ঢেউ ফিরে যায় নীল সমুদ্রের বুকে।
সমুদ্র জানে শূন্যচরা পূর্ণ হবে সুখে
আসবে কপোত কপোতীরা ডানা উড়িয়ে
নীলজলে আবার উথালপাথাল ঢেউ
প্রেম হবে ভবঘুরে
থাকবেনা ঘরে
কেউ।
জাতির মৃত্যু
আব্দুল রহিম
দু'চোখ খুলতে না খুলতে
মৃত কঙ্কালের কান্না আর ভাল লাগেনা
কোথায় জীবনের হাসি কান্না হীরা পান্না।
দু'কান!রাখতে না রাখতে
বাতাসে জীবন্ত লাশের শুধু বাঁচার আর্তনাদ
কিন্তু নেই কোনো সাহায্যের জন্য বাড়ানো হাত।
আজ পৃথিবী মানে শকুনে'র বিছানো হিংস্র ফাঁদ
আজ পৃথিবী মানে উলঙ্গ নারী'র রণ নৃত্যতা
আজ পৃথিবী মানে কুকুরে'র ঘেউ ঘেউ আর্তনাদ
আজ পৃথিবী মানে রক্তে'র লাল কালো দাগ ।।
আজ জাতির পতাকা মানে ধর্ষিতা এক নারী
আজ জাতির সভ্য সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলগামী
তবু আজ বেড়েই চলে কালো বাজারে'র ভন্ডামী
তবু আজ কালো মুখোশে'র রক্ত মাখা শাসন কমেনি।
আজ শুধু বেঁচে
জাতির লাল রক্ত মাংস মাখা উলঙ্গ দোলা
আজ শুধু বেঁচে
মৃত লাশের উপর যৌবনের অতৃপ্ত কাম চিন্তা।
কোথায় আজ কাজী,রবি, বিবেকের বাণী
তবে কি কবি রুদ্রের কথায় সত্যি হল?
জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী।।
বিষয় : কবিতা
"সে"
রিকি ঘোষ
কতদিনই না ভুলে ছিলাম জানালার ওপারের
সেই ভালোবাসায় জড়িত দেহটাকে আবেগে,
শতসহস্র ধিক্কারে বর্জিত আমি ভাবী
সে হঠাৎই মনে পড়ল অবসাদের বিবেকে।
সে এখনো রয়েছে আমার
উষ্ণ রক্তের তীক্ষ্ম স্রোত জুড়ে,
তার নামটা এখনও কানে বেজে ওঠে
অত্যন্ত মধুর শান্ত বাঁশির সুরে।
সে হয়ত নতুন অলোর আবেশে
রয়েছে নতুন কোন নতুনভাবে,
আমি নিচে তারে নিয়ে ভাবী
সে তো বেঁচে রয়েছে নতুনত্বে স্বাধীনভাবে।
সে কি ভুলে গেছে?
আমি কেন পারলাম না তবে?
তার স্মৃতির কাহিনী ফেলে দিতে চাই
যা প্রতিক্ষণ আমায় নিয়ে ভাবে।
যেদিন মুখোমুখি হব, প্রশ্ন করবো
"তুমি কি ভুলে গেছো?"
শুনতে চাইবো তার উত্তর যদি বলে
সে, না তুমি এখন রয়েছো।
প্রতিটি কবিতা বাছাই করা কিন্তু আজ বিশেষ করে বলবো রঞ্জনাদি, মৌসুমীদি, মিনতিদি ও শাশ্বতীদির কবিতাগুলো পড়লাম আলাদা করে যদি আলাদা করে কোন পৃথক নারীস্বর পাওয়া যায়। পেলাম এবং নিজেদের কলমেতে তারা মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো। ভালো লাগলো আমার বন্ধুবর পুরুষ কবিদের লেখাও। এরাও প্রতিবারের মত এবারও নিজ নিজ ক্ষেত্রে কলমের ধার বুঝিয়েছেন। সকলকেই ধন্যবাদ এভাবেই লিখুন আর প্রকাশকদের ধন্যবাদ বিনামূল্যে আমাদের লেখাগুলো আপনারা পাঠকের দরবারে হাজির করেন। রঞ্জন চৌধুরী
উত্তরমুছুন