"উপকণ্ঠ 13 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-13/07/2020, সোমবার
সময় :- সন্ধ্যা 7 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
🎆🎆🎆✒🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆✒🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
I am seeing
Siddhartha Singha
Let me be free
you look-out for ascend covered with soft grass.
you seek everyday a pair of Moyna for viewing in the morning.
you seek the ultimate flower to appease every god.
release your hold on me
I am seeing
how the fished are borne by water currents like speeks of tinsel.
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
প্রাথমিক শিক্ষাঃ কিছু প্রস্তাব
(তৃতীয় পর্ব)
~ রাজা দেবরায় (আগরতলা, ত্রিপুরা)
২) অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্টুডেন্টরা ইমেজ হিসেবে কোন কিছু লিখতে শিখছে । আবার অনেক সময় দেখা যায় অ-আ, ক-খ, A-B-C-D, ০-৯ ইত্যাদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলতে পারলেও মাঝখান থেকে কোন বর্ণ বা সংখ্যা ব্ল্যাকবোর্ডে লিখলে বলতে পারে না । সঠিক শিক্ষার জন্য সেগুলোর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন ।
বাংলা ও ইংরেজী বর্ণমালা বা সংখ্যার বিভিন্ন ব্লক কিনতে পাওয়া যায় । সেগুলোকেও খুব ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় । অনেক স্কুল কাজে লাগায়ও ।
৩) সরকারী প্রাক-প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলোতে আরো বেশী তদারকির প্রয়োজন আছে । বেশী বেশী ট্রেনিংয়ের দরকার । এই সেন্টারগুলোতে খেলার ছলে পড়াশুনা শেখানোর সিস্টেমে ঘাটতি আছে বলেই মনে হয় ।
৪) শ্রদ্ধেয় টিচারদের কাছ থেকে নিয়মিত অভিজ্ঞতা এবং সাজেশন নিতে হবে । কারণ সম্মানিত টিচাররাই সবথেকে ভালো বলতে পারবেন স্টুডেন্টদের ব্যাপারে এবং শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে ।
৫) শ্রদ্ধেয় টিচারদের শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে বেশী বেশী ট্রেনিং দেওয়া প্রয়োজন । ডি.এল.এড. এবং বি.এড.-এ এই বিষয়ে পড়াশোনা থাকলেও নিয়মিত প্রয়োজন ।।
(চলবে)
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
ভয়
তৃণা মুখার্জী
ঠাকুমার সঙ্গে আজ প্রথম স্কুল যাচ্ছে ছোট্ট বিনি।বয়স্কা ঠাকুমা ও বালিকা বিনির আবেগ আজ এক। দুজনেই ভীত কারণ আজ প্রথম দুজনেই স্কুল দেখল।
শিক্ষিকাকে ঠাকুমা বলল-- না পড়ে বিধবা হয়েছি অনেক কাল আগে। তাই পড়ে বিধবা হয় কিনা
সেটাই দেখব বলে এলাম।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
পত্র
রাহাত জামিল
সেদিন সানসেট থেকে পেলাম
বহুদিন আগের লেখা,
জীর্ণ,ধুলাবালি আশ্রিত
মৃত কথাদের অাঁকড়ে রাখা
একখানা পত্র।
মৃদু স্পর্শে, অপসারিত ধুলি স্তরে
ঠিকানা অস্পষ্ট প্রতীয়মান।
চশমার ঝাঁপসা কাঁচে দেখলাম
নাম'টা আজও অমলিন।
আবছা মনে পড়লো,
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে,
অনাদরে, অবহেলায় প্রত্যর্পিত,
পত্রটি সযত্নে রেখে দিয়েছিলাম।
হয়তো জীবনের বৃদ্ধ বেলায়,
কোনো এক পড়ন্ত বিকালে
চায়ের কাপে চুমুক দিতে- দিতে,
স্মৃতি রোমান্থন করবো বলে।
একদা যৌবনে
তিল তিল করে জমানো অনুভুতির একত্রে,
একবুক আশা নিয়ে,লিখেছিলাম।
বহুদিনের অভিলাষিত কথা গুলো।
বিশীর্ণ কাগজের ভাঁজে ভাঁজে আজও,
উৎসুক দৃষ্টিতে কাঙ্খিত মানুষটির অপেহ্মায়।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
চাকরির বাজার
তাপস বর্মন
ষষ্ঠী বাবুর জ্যৈষ্ঠ ছেলে ডিগ্রি পাস করে,
চাকরির জন্য লাইন দিয়ে দিব্যি ফর্ম ভরে।
চাকরি খায় উই পোকাতে
ডিগ্রির ফাইল নিয়ে হাতে
ষষ্ঠী বাবুর জ্যৈষ্ঠ ছেলে হন্যে হয়ে ঘুরে।
হটাৎ সেদিন ডাক পড়লো প্রজা হিতৈষী থেকে,
'চাকরি তোমার হয়ে যাবে ফাইলটা যাও রেখে।
বাবুর হাত ধোয়াতে হবে
মাল্যু একটু বেশি দেবে
ষষ্ঠী বাবু আঁতকে ওঠে চাকরির বাজার দেখে।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
সবুজ রাঙানো দ্বীপ
আব্দুল রাহাজ
সুন্দরবনের একটা ছোট্ট দ্বীপ সেখানে বেশ কয়েকটা জনবসতি বসবাস করে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করে সহজ সরল মন নিয়ে দিনের পর দিন বসবাস করত বিপদে আপদে ওরা সবাই সংঘবদ্ধ ভাবে বসবাস করে । দ্বীপটির মানুষ গুলো বনের ফল মূল কাঠ মধূ এবং নদীর মাছ ধরে তা নিজেদের প্রয়োজন মতো রেখে পঞ্চানন হাঠে গিয়ে বেঁচে আসত যা উপার্জন হতো তা দিয়ে সংসার চালাতো খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। দ্বীপটি ছিল অতীব সুন্দর চারিদিকে ঘন সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশ নিয়ে ফুটে উঠেছে প্রকৃতির মায়ের কোলে এ যেন বিশ্ব জননীর কোলে এক রুপকথার দেশ। নদীর ফুর ফুরে হাওয়ায় প্রকৃতির সবুজে রাঙানো দৃশ্যে কাদামাটির খেলায় বেড়ে ওঠে সেখানকার ছোট্ট ছেলেমেয়েরা তারা খুবই ভালো প্রান্তিক হলেও তাদের মধ্যে যে শান্তি তা সবুজ দ্বীপের কোলে এক অনন্য রূপ নিয়ে গড়ে ওঠে। একবার বাইরের দস্যুরা তাদের সবুজ দ্ধীপকে আক্রমন করে তারা যেন বীরের মতো প্রতিরোধ করে তাদের স্লোগান ছিল আমাদের সবুজ দ্বীপ আমাদের মা আমরা তাকে বাঁচাবো
বীরত্বের মতো লড়াই করে এই মন্ত্র নিয়ে একমাস লড়াই চলে অবশেষে সবুজ দ্বীপ তারা রক্ষা করে তাদের সারা সবুজ দ্বীপ জয় গানে মেতে ওঠে। সবুজ দ্বীপ তাদের আপ্লুত হয়ে তাদের কে বিভিন্ন সাহায্য করে । এই ভাবে সবুজ দ্ধীপে র মানুষেরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। তাদের যেন সবুজ দ্বীপের সঙ্গে এক মেলবন্ধন পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি হয় যা তাদের কাছে সারা জীবন অটুট ছিল। সবুজ দ্বীপ তার মায়াময় পরিবেশ কে দিয়ে আগলে রাখতো দিনের পর দিন বছরের পর বছর দূর থেকে দেখলে মনে হয় এক এক অন্য রকম দেশ যেখানে মেলবন্ধন পারস্পারিক সম্পর্ক শান্তি আবহে অনন্য হয়ে উঠেছে যা দ্বীপের মানুষ এর কাছে এক বড়ো পাওনা হয়ে উঠেছে। সত্যি এক অনন্য সম্পর্ক নিয়ে সবুজ দ্বীপ গড়ে উঠেছে বিশ্ব প্রকৃতির মায়ের কোলে। এই সবুজ দ্বীপের সম্পর্ক সেখানকার মানুষের কাছে এক অনন্য প্রতীক রূপে গড়ে উঠেছে।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
প্রত্যয়
সৌম্য ঘোষ
ক্রুশবিদ্ধ হওয়াটা সব কথা হতে পারে না ,
তাতে একজন মানুষের , হোক্ সে ঈশ্বর পুত্র
রক্তে ভাসে শরীর ;
যাদের সারা জীবন পেরেকে শরীর
এফোঁড়-ওফোঁড় , রক্তে উত্তাল জীবন নিয়ে
বেঁচে থাকার চেষ্টায় ......
একজনের ক্রুশবিদ্ধ হওয়া , তাদের কাছে কিছু আসে যায় না ।
অসার রিক্ত , মৃত্যু সদাই যাদের জীবন বল্লভ
ঘৃণার আগুনে পুড়েও , পড়ে না তাদের জীবনের
জলপাই পল্লব ;
সময়ের চতুরালি জেনেও বাড়িয়ে দিয়েছে গলা
কুহকের ফাঁদে ; চিরকাল ।
শূন্যতায় কাটে শুধু কাল , অতীতের মায়াবী ট্র্যাপিজে !
কারখানা,খনি,শস্যক্ষেত থেকে মন্দির ও
রাজবাড়ী পর্যন্ত ;
মানুষের রক্ত ক্রমশ কালো হতে থাকে ।
আসলে ক্রুশবিদ্ধ হওয়া সব কথা হতে পারে না
ক্রুশ ভেঙে ফেলাই হলো বড় কথা
শৃংখল ছাড়া তো হারাবার কিছু নেই
কিন্তু অর্জন করার আছে সবকিছু
কোন নূতন প্রত্যয় , যা একদিন মানুষকে
সত্যিকারের জীবন শেখাবে ।।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
পাতালপুরী
মৌসুমী গুহ রায়
মাটির গভীরে যে সুপ্ত প্রাণ থাকে,
মনের গভীরে যে সুর থাকে ,
চোখের গভীরে যে কান্না,
জীবনের গভীরে বিষণ্ণতা,
আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে থাকি।
এসব আমাকে বর্ণময় করে তোলে সাত রং এর বর্ণালীতে।
জীবন কে কিছু দাও, জীবন তো এত দিয়েছে আমাকে।
রাত্রি যখন গভীর হয় এ পৃথিবীর প্রান্তে আমি তখন থাকিনা।
আমি চলে যাই ঘুম পরীর দেশে।
মধ্য রাতের নিদ্রাহীনতা আমি পেরিয়ে এসেছি।
ফোলা ফোলা চোখ, ঢোলা নাইটি
নিদ্রাহীন আমিকে শিখিয়েছে জীবনের অন্ধকার।
এক পাতালপুরীর নিকষ কালো অন্ধকার
আমার স্মৃতিতে ঘুমিয়ে আছে।
তাকে ঘুমিয়ে থাকতে দাও।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
একা
হামিদুল ইসলাম।
ফেসবুকেই তার সাথে প্রথম পরিচয়
ফ্রেণ্ডশিপ গড়ে ওঠে নি তখনো
তাই আগ্রহ প্রচুর
প্রথম কথা বললাম তার সাথে
" হ্যালো ম্যাডাম,কেমন আছেন ? "
" ভালো আছি। আপনি কে ? কোথায় লেখেন ? "
" ফেস বুকে "
"ধন্যবাদ " ।।
দ্বিতীয় দিনে আরো কাছাকাছি
" হ্যালো ম্যাডাম। ভালো আছেন তো ? "
হাঁ। অবশ্যই। আপনি ?"
" আপনার মতো "
" আজ লিখেছেন ? "
" হাঁ ।"
" আমার টাইম লাইনে পাঠিয়ে দিন "
" দিয়েছি "
" ও.কে. " ।।
তৃতীয় দিনে তার মনের গভীরে
" আপনার নাম জানতে চাই "
" লীমা সুলতানা "
" কী করেন ?"
" গৃহকর্ম "
" স্বামী ?"
" ব্যাঙ্ক ম্যানেজার "
মোবাইলের সুইচ অফ করে দিলাম
আমার সব ধারণা ভুল। নিঃসঙ্গ আমি। এখনো একা।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
কবিতা :
তুমি না থাকলে!
বিশ্বজিৎ কর
তুমি না থাকলে লেখা হ'তো না,
হৃদয়ের কবিতা -
তুমি না থাকলে চিনতাম না,
নিষ্প্রাণ ঝরাপাতা!
তুমি না থাকলে জানতাম না,
বঞ্চনা কা'রে কয় -
তুমি না থাকলে বুঝতাম না,
অপেক্ষায় কি না হয়!
তুমি না থাকলে জানা হ'তো না,
ভালবাসা এক আকাশ -
তুমি না থাকলে জানতামই না,
ঘনিষ্ঠতার সুবাস!
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
পথে হল বিভ্রাট
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
স্কুল ছুটির পরে, ওই স্কুলেই, ওই স্কুলেরই কেমিস্ট্রির স্যারের কাছ থেকে টিউসন পড়ে বাড়ি আসছে। ক্লাস টুএলভের ছাত্রী। ফার্স্ট গার্ল। সায়েন্স নিয়ে পড়ে।
ফেরার ও যাওয়ার পথে দামোদর নদের, এক হাঁটু করে দুকোলে দুবার জল ও বুকে বালি পার হতে হয়। এরপর নদের দুপাড়ে হাফ প্লাস হাফ কিলোমিটার করে জমীর আল পথে যেতে হয়। তারপর দু দিকে দুটি মাটির বাঁধ, হাফ প্লাস হাফ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি থেকে স্কুল ও স্কুল থেকে বাড়ি আসা ও যাওয়া করে সে। এপাড়ের এক গ্রামে বাড়ি, ওপাড়ের অন্য আরেক গ্রামে স্কুল।
নদের কোল দুটির জলের গা ঘেঁষে ভিজে বালি। তারপর বুকের শুষ্ক বালি। আর পাড়ের দিক দুটি মাটির ও খুব উঁচু। ভেতরের কিছুই দেখা যায় না।
একই এক কোলের ভিজে বালিতে একদল ডাকাত মুখে গামছা বেঁধে, হাতে ভজালি নিয়ে মেয়েটিকে ঘিরে ধরল। ওর কাঁধে বয়ের ব্যাগ। পরনে লাল পাড়, সাদা ধনেখালী তাঁতের শাড়ি। নিজেকে বাঁচাতে ও একজনের হাত থেকে একটি অস্ত্র হঠাৎ করে সজোরে কেড়ে নিয়ে, নিজের সব দিকে এলোপাতাড়ি ঘোরাতে লাগল। আক্রমণকারীরা পালালো। নিজের ডান হাতের কব্জি থেকে তাজা রক্ত ঝরছে। কখন কিভাবে কেটে গেছে সে আদৌ বুঝতে পারে নি। এভাবেই ও বাড়ি ফিরলো।
পরে সে বারো ক্লাসের বোর্ডের ফাইনালে খুব ভালো রেজাল্ট করল। আর কলকাতার কলেজে ডাক্তারী পড়ার সুযোগও পেয়ে গেল।
কয়েকবছর পরে সে লন্ডনে চলে গেল উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য। আরও পরে ও পাস করে, ওখানেই জব করতে লাগলো। পরে এক সাহেব ডাক্তারকে জীবনসঙ্গি করল। আর কোনদিনই নিজের ভারত দেশে ফিরে এলো না।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
আমার বন্ধু
রাজকুমার ঘোষ
মান অভিমান দূরে থাক, সেটাই বড় কথা
আপন জনের কাছে যেতে, যাই ভুলে সব ব্যথা
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
টানা পোড়েন, বাক বিতন্ডা রেখেছি সব দূরে
ছোট থেকেই বন্ধু তুই আছিস হৃদয় জুড়ে
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
ভাবনার ব্যাপার নেই কিছু বন্ধুদেরই মাঝে
পেশা নেশা যাদের সাথে তাদের কাছেই সাজে
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
হঠাৎ কোনো দমকা হাওয়া থাকবে নাকো রুখে
যেথাই থাকিস বন্ধু তুই, থাকিস পরম সুখে।
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
মনের মাঝে নয়কো দ্বিধা, থাকবে না কোনো দ্বন্দ্ব
ছোট থেকেই জানি তোকে, ভাবিনি কখনো মন্দ।
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
আবার যদি আসে কোনো অবাঞ্ছিত অশান্তি
মাথা পেতেই নেবো দায়, যতই আসুক ক্লান্তি
ছোট বেলার সাথী, ভুলিনি তোর কথা
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
মিলনের শেষ দ্বারে
উমর ফারুক
বিকেলবেলা ঝিমুচ্ছিল আকাশ
ডাক দিল সে একটি ডাকে সারা
নদী যখন শুষ্ক ঠোঁটে গায় ,
খাল পুকুর সব হল জলে ভরা।
বোটের নীচে জলের নাচন দেখি
নদীর বুকে ভাসল বিকেল ছায়া
সূর্য হাসে অস্ত যেতে যেতে
এই পৃথীবির কত আছে মায়া!
বজ্র ডাকে কাকের সুরে সুরে
ধীর লয়ে তার কন্ঠ শোনা যায়
নদীর আবেগ মধ্য রাতে দুরে।
এই শিহরনে সময়টা বদলায়।
এমন দিনে শুধু নয়ণ জুড়েছিল
বজ্র তখন তীক্ষ্ণ নজর কাড়ে
আমার হৃদয় কাব্য লিখছিল
অবশেষে মিলনের শেষ দ্বারে ।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
ফুঁ
বদরুদ্দোজা শেখু
কোকিল ডাকে ----কুহ্ কুহ্ কুহ্ কুহ্ , কুহ্ কুহ্ কুহ্ কুহ্ !
ঘুঘু ডাকে ----ঘুঘর্---ঘু , ঘুঘুর্--ঘু,ঘুঘুর্--ঘু ,
---ঘু !
----আমায় যেন জিজ্ঞেস করে, কী করছিস রে তু ?
আমি বলি, আমি নগণ্য
তোদের জন্য খুঁজি অরণ্য
তোদের বাঁচার দাবির জন্য
আকাশে দিই ফুঁ ।
কাকরা ডাকে----কা----কা-----কা-----কা---
ভাগায় সবাই , পালা---! পালা-----!
ক'টা চড়ুই বিজলি তারে করছে কিচিমিচি
বলছে যেন, তাদের জন্য কতোটুকু করিছি ?
আমি ভাবি, তাইতো তাইতো
কৈফিয়ৎ দেওয়ার কিছু নাই তো,
গাছগাছালি শেষ প্রায় তো
পুকুর ডোবাও তেমন নাই তো, কী ভয়ঙ্কর, উঃ !
পরিবেশবিদরা চেঁচান
কর্পোরেটরা গাত্র বাঁচান,
সমাজসেবীরা কড়া নাড়েন
ধর্মাবতার রুলিং ঝাড়েন,
মন্ত্রী সান্ত্রী বেজায় ব্যস্ত----
পাখিদের আবার কী দরখাস্ত !?
গভীর ভেবে হীরক রাজা মাথা নাড়েন---"হুঁ--উঁ-উঁ" !
আমি তো ওই হোমোস্যাপিয়েন
বড়োই লোভী অকবি ননসেন
হাতিয়ার এই খাতা ও পেন,---
তা দিয়ে তোদের বাঁচার জন্য সমাজে দিই ফুঁ ।
,তোদের অধিকারের জন্য
আকাশে দিই ফুঁ !!
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
হোলি
প্রশান্ত ভৌমিক
রঙের খেলায় মাতোয়ারা হতেই হবে,
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ হোলি খেলেছিলেন বলে।
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ মানুষ হতেও শিখিয়েছিলেন
সেসব কি অন্য জন্মের শিক্ষা?
আমরা কেবল আনন্দ করতে জানি,
জানি ধর্মের নামে উন্মত্ত হতে।
পারিনা কেবল ধর্মকে বুকে ধরে
সব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
পৃথিবীর সব মানুষের মন যেদিন
এক হয়ে সমস্বরে চিৎকার করবে,
সেদিনই হবে প্রকৃত রঙের খেলা
হোলি বেঁচে উঠবে সবার অন্তরে।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
প্রশান্ত ভৌমিক
রঙের খেলায় মাতোয়ারা হতেই হবে,
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ হোলি খেলেছিলেন বলে।
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ মানুষ হতেও শিখিয়েছিলেন
সেসব কি অন্য জন্মের শিক্ষা?
আমরা কেবল আনন্দ করতে জানি,
জানি ধর্মের নামে উন্মত্ত হতে।
পারিনা কেবল ধর্মকে বুকে ধরে
সব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
পৃথিবীর সব মানুষের মন যেদিন
এক হয়ে সমস্বরে চিৎকার করবে,
সেদিনই হবে প্রকৃত রঙের খেলা
হোলি বেঁচে উঠবে সবার অন্তরে।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
0 comments: