রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/07/2020


        "উপকণ্ঠ 26 জুলাই সংখ্যা "
          "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-26/07/2020, রবিবার
               সময় :- বিকাল 4 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇








     ব্ল্যাকমেইল
       সিদ্ধার্থ সিংহ
এ সব বলার কি খুব দরকার ছিল!
জন্মদিনের কেক কেটে আমি নিজে হাতে করে যাদের খাইয়েছিলাম
তুমি তাদের একজন
ছবি তোলা আছে।

বারবার করে তোমাকে আসতে বলেছিলাম দেখে
তুমি হোয়্যাটস অ্যাপে লিখেছিলে,
আপনার বাড়ি গেলে কী খাওয়াবেন?
আমি লিখেছিলাম, বলো কী খাবে?
তুমি লিখেছিলে শুধু একটি মাত্র শব্দ--- দুধ
আমি তো থ'।
সেটার স্ক্রিনশট তুলে রেখে দিয়েছি
অতি যত্ন করে বাদ দিয়ে দিয়েছি
সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো তার পরের লাইনটা---
লিকার আমার একদম ভাল লাগে না
তাই দুধ চা।

সে দিনও তুমি রাত দুটোর সময় বারবার ফোন করেছিলে
কল লিস্ট চেক করলেই পাওয়া যাবে।
কেউ বিশ্বাস করবে না তোমার কথা
তুমি যতই বলো---
অত‌ রাতে আমার মিস কল দেখে তুমি ভেবেছিলে
আমার বুঝি কোনও বিপদ হয়েছে
তাই আর সকলের জন্য অপেক্ষা করোনি।

এ সব তথ্য আমি তোমার বউ আর ছেলেকে পাঠাব, বুঝেছ?

এ সব বলার কি খুব দরকার ছিল?
যেটুকু ছিল, সেটাও তো গলা টিপে হত্যা করে দিলে।








লকডাউন হয় না যাদের
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
প্রত্যহ ভোরে সূর্যোদয়ের কোন লকডাউন নেই।
মানুষ তার কৃত কর্মের ফলে লকডাউনের ফাঁদে পড়েছে।

এই জীবজগত ও ও বিশ্ব প্রকৃতির  দিকে তাকিয়ে দেখুন যাদের কখনো লকডাউন হয় না।

পশ্চিম দিগন্তের সোনালী সূর্যাস্তের কোন  লকডাউন হয় না।

পাখিদের কাকলির কোন লকডাউন নেই।

ফুলের বনে মৌমাছিদের গুন গুন করে গান করার কোন লকডাউন হয় না।

বলাকাদের গগনে ভাসতে লকডাউনের বিধি নিষেধ নেই।

গ্রীস্মের গরম, বর্ষার বৃষ্টি,শীতের ক্ণকনে  ঠান্ডার কোন লকডাউন হয় না।

সমুদ্রের ঢেউ,নদীর প্রবাহে কোন লকডাউন দেখি না।

আকাশে মেঘের ভেসে বেড়ানো লকডাউনের কবলে পড়েনা।

জন্তু জানোয়ারদের গভীর বনে বিচরণে কোন লকডাউন নেই।

গাছেদের ফুল ফোটাতে কোন লকডাউনের বাধা নেই।

স্বার্থপর মানুষজাতি প্রকৃতির সৃষ্ট জীব হয়েও প্রকৃতির সাথে একাত্মতা না হয়ে , তাদের ধ্বংস করতে উদ্ধ্যত হয়েছে। তার অন্যতম ফল মনে হয় এই অতিমারী। এখন নিজেদের বাঁচাতে নিজেরাই  লকডাউনে আবদ্ধ হয়েছে।

প্রকৃতি মাকে যেদিন মানুষ সত্যি ভালবাসতে পারবে, সেদিন থেকে প্রকৃতির এই রোষে তাদের পড়তে হবে না। তখন লকডাউনেরও আর প্রয়োজন হবে না।
আপন ছন্দে তারা চলতে পারবে।



মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব
             শ্যামসুন্দর মন্ডল


পদার্থবিদ্যার ক্লাসে---
একটা আপেল আমার মধ্যে টুক করে ঢুকে পড়ল।
স্যার আমাকে ভূমাস ধরে
মাধ্যাকর্ষণ সূত্রে শুধু আপেল কেন দোষী হবে --
তাই বিচার করতে লাগলেন।
অনেক সাধ্যসাধনায়
স্যার আমাকে মাটি থেকে মানুষ বানালেন।
এখন ভাবছি,মাটি না হলে বুকে আপেল পড়তে দেবো কিভাবে !





বাঙালির প্রাণের উৎসব
                 মম

বাঙালির প্রাণের উৎসব।
রোজই তা অনুষ্ঠিত হয়।
কোথায়? ভোজনের পাতে।
দিনে ও রাতে।
         বড় সন্তুষ্টি ওদের, সাদা ভাতে।
ওরা খায় ডান হাতে।
কাঁটা, ছুরি, চামচে নয়।
        ওরা খাদ্য প্রিয় সব।
আজ রবিবার।
   ছুটির বার।
       আজ ওদের হয়
           কী কী কী খাবার?
শোনো তবে মন দিয়ে!
     একে একে একে বলি।
           আমি অঞ্জলি।
প্রথমেই ওরা যায় বাজার।
হাতে ইয়া বড় বড় বড় ব্যাগ নিয়ে।
        কেনে কত কিছুই দ্রব্য।
পকেটে টাকাও নেয়, হাজার হাজার হাজার।
          টাকা ছাড়া তো আর
নয় কিছুই সহজ লভ্য।
                হ্যাঁ, কেনে এবার।
হরেক রকমের মাছ, শাক, ফল, মিষ্টি, সব্জী
       ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি....
এরপরে
লোকগুলো ফেরে ঘরে।
      তারপরে
ঘরের বউ, রান্না করে।
এরপরে
ভোজন করে
ডুবিয়ে ডান কব্জি।
খাওয়াতেই ওদের সফল হয় সাদি।
আইবুড়ো লোকগুলো অতো খায় না।
আসলে ওরা রান্না করতে চায় না।
তবে যেই না হয় সাদি,
ওমনি বউকে দিয়ে রাঁধায়।
এটিই তো লাভ, সাত পাকে বাঁধায়।






সমাজ সাহিত্যে উৎসব অনুষ্ঠানে
 প্রবন্ধ
            আব্দুল রাহাজ


সমাজে ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠানে এক আলাদা আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফুটে উঠে এক পারস্পারিক মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়।বাঙালির উৎসব দুর্গাপূজা উৎসব কে কেন্দ্র করে বাঙালির আনন্দ উচ্ছ্বাস সর্ব ধর্ম নির্বিশেষে যে মেলবন্ধন চোখে পড়ার মতো সমাজের অন্দরে জনসম্মুক্ষে এই আনন্দটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া এক অনন্য রূপদান করে। শরৎতের নীল আকাশ জানান দেয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আসছে দেখায় খোলামেলা আকাশে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হিমেল বাতাসের মতো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে মহল্লা  থেকে শহর  থেকে সব জায়গায় কাশফুলের সাদা আস্তরণে নীল আকাশের নিচে বাঙালি যেন অন্য রূপে ফুটে ওঠে।আলোর রং মেশালে দৃশ্যের ঠাসা উৎসবমুখর সন্ধ্যায় জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে এক মহান মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই সব উৎসব যা দেখার মত। ও পাড়ার রহিম করিম রা এসে আনন্দে মেতে ওঠে ভেদাভেদ ভুলে এক মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে ফলে সমাজ পায় এক নতুন দিন স্বাদপায় অনন্য সমাজের চোখে এরকম অপরূপ দৃশ্য আর কোথাও পাওয়া যায় না যা সম্ভব হয় ধর্মীয় উৎসব এর ফলে এইসব এর ফলে বাঙালির মধ্যে গড়ে ওঠে অটুট সম্পর্ক যা প্রমাণিত করে ধর্মীয় উৎসব বাংলার সংস্কৃতিকে এক অনন্য রূপ দান করে।বাংলার সবুজ ঘেরা মনোরম পরিবেশ উৎসবমুখর বিভিন্ন পরিবেশে যে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয় তা অটুট থাকে সারা জীবন। একবার কুসুমপুর গ্রামে রহিম ওরাম বসবাস করত প্রকৃতির মায়াজালে অনন্য বৈচিত্র্য রূপে ফুটে উঠত এই গ্রাম সবুজের আচ্ছাদনে ছেলেকে রূপকথার দেশে পরিণত করে কুসুমপুর গ্রাম। এখানে দুই ধর্মের বসবাস হিন্দু মুসলিম ওরা যেন পারস্পরিক মেলবন্ধনে এখন অন্য সম্পর্ক গড়ে তুলেছে নিজেদের মধ্যে। গ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারা পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে সাহায্য করে পারস্পারিক মেলবন্ধনের সম্পর্ক করে তোলে। কুসুমপুর গ্রামে দুর্গাপূজা ও ঈদ হয় আরো অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় দুই ধর্মের মানুষের প্রচেষ্টায় জমজমাট হয় আলোর রশ্মির মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ফলে সমাজে এক মিলবন্ধন ও পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বাংলার ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখন অন্য রূপ দান করে সমাজের মানুষের কাছে। চারিদিকে আনন্দের মায়াজাল পরিবেশ সৃষ্টি হয় যেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলিত হয়ে প্রকৃতির মায়া কোলে চাঁদের হাট তৈরি করে। রহিম করিমরা অখিল নরেন দা ধর্মীয় উৎসবে এসে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে এক বাতাবরণ এর মধ্য দিয়ে সমাজ এইসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পায় অনন্য দিশা যা বাংলার সংস্কৃতিকে সুদূর করে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সমাজের এই ধর্মীয় মিলিত প্রবাহের এই অনুষ্ঠান ফলে সমাজ তথা বাংলার ধর্মীয় অনুষ্ঠান  এক অনন্য স্বাদ ও অনন্য রূপ দান করে। প্রমাণ করে ভাই ভাই আমি দিতে সমাহারে গড়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেখানে সবাই পায় এক উজ্জ্বল সম্মান রুপ-লাবণ্যে ফুটে ওঠে সমাজের ধর্মীয় উৎসব সম্প্রীতির মেলবন্ধনের অপরূপ দৃশ্য ফুটে ওঠে বাংলার সংস্কৃতি ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেখানে উচ্ছ্বাস আনন্দ মেলবন্ধন পারস্পারিক সম্পর্ক ফুটে উঠে সূর্যের উজ্জ্বল আলোর স্কুলের মত যা বাংলার সমাজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাহিত্যে যেমন প্রভাব সৃষ্টি করে তেমনি বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে এক অনন্য রূপে উপস্থাপিত হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাজে এক সম্প্রীতির বাতাবরণ আর মেলবন্ধন কে ফুটিয়ে তোলে নতুন সমাজের দিশা দেখা দেয়। বাঙালির ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাজকে অনন্য করে তোলে।






অণু কবিতা
শিরোনাম- সবুজের সাধ
                      কনিকা রায়

চলো বন্ধু যাবো মোরা চা বাগিচায়!
সবুজে সবুজে ঘেরা চারিদিক ছায়!!

তুলিব চা পত্র মোরা!
দেখিয়া মুগ্ধ হবে,ভ্রমণে আসিবে যারা!!

চা পত্রে হাতের যাদু ছোয়াব!
বিশ্বে মোরা চায়ের মুগ্ধতা ছড়াব!!

সুপ্রভাতে চাই তোমাদের চা!
পূর্ণ করবো আমরা তোমাদের মনোবাঞ্চা।





গল্প
একদিন
 -  অগ্নিমিত্র

  এখন চারদিকে তালাবন্ধ! ..অনেকদিন কোথাও বাইরে খেতে যাই না । তাই একদিন তালা খুলতেই মনে হল, যাই একটু রেস্তরাঁয় মুখ বদল করে আসি ! ..
  কাছাকাছি একটা ছোটখাটো ইটিং হাউস খুলেছিল; অতিমারীতে ব্যস্ত হয়ে বন্ধ করেছিল। এখন আবার খুলেছে।
 যেতেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ালো ও বন্দুকের মত দেখতে যন্তরটা দিয়ে তাপমাত্রা দেখলো। তারপর ঢুকলাম !
 ..ভিতরে দেখি, ব্যবস্থা বেশ আধুনিক । টেবিল পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে মশারির মতো ঘেরাটোপ করে ঘেরা। তার মধ্যে আমি বসবো!
  আপাদমস্তক নাকমুখ ঢাকা এখন ওয়েটার এল, তাকে বললাম, -'ভাই, এখন কী পাওয়া যাবে ?'
 ' ভেজ খাবেন না ননভেজ, স্যার?'
 'ভেজ কী আছে বলুন !'
 ' এই তো, লকডাউন লাউচিংড়ি, প্যান্ডেমিক পোলাও, মহামারী মিক্সভেজ ....।'
 মেনু শুনে আমার খিদের সূর্য তো অস্ত যাবার মতো অবস্থা!
 বলি -' আর ননভেজে কী থাকবে দাদা?'
 বলে -' তাতেও মস্ত ব্যবস্থা আছে। ...অতিমারী অজমাংস, মানে মটন, তারপর ব্যারিকেড বোয়াল, কোয়ারান্টাইন কাতলা, আইসোলেশন ইলিশ .....।'
 একটু ইতস্তত করেও না বলে পারি না :-' আচ্ছা, আপনাদের মেনুগুলির এমন নাম কেন ?'
 ' মানে, স্যর, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই নাম। ..আর একটু বৈশিষ্ট্যও আছে ! যেমন লকডাউন লাউচিংড়ি একটু কম মশলা দিয়ে তৈরী! ..মানে লকডাউনে লোকে ঠিকমতো মশলাপাতি না কিনতে পারলে যা হবে আরকি ! আর ছন্দ মিলিয়ে রেখেছি ! '
 শুনে আমি তো হতবাক! এ তো বেশ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি দেখছি । ..দারুণ কিস্তিমাত । রেস্তরাঁ না সাহিত্যের আড্ডা!
  কী আর করা? একটু ব্যারিকেড বোয়ালই খেলাম। সঙ্গে প্যান্ডেমিক পোলাও ।..
  পাশে সবজিওলা চওড়া হেসে সবজি বেচছে । মুখ আর ঢাকছে না ! এই কদিনে অনেক মুনাফা হয়েছে । রেস্তরাঁকে সে সস্তায় জিনিস বেচে! আর আমাদের টুপি পরায় !!..
  আস্তিনের নীচে চিমটি কাটলাম নিজেকে । নাহ্, সত্যিই তো, এ তো ঘোর বাস্তব  !!









কবিতা
পাহাড়ের গায়ে ঝর্ণা
               মৌসুমী গুহ রায়

রূপম ইসলামের "সেদিন‌ও ছিল দুপুর এমন"
গান টা মনের মধ‍্যে বেজে যায়। সুন্দর গান।
আকাশ কালো করে এসেছে। বৃষ্টি হচ্ছে।

অষ্টপ্রহর নাম সংকীর্তন হয় আখড়ায়।
ডাক্তার বাবুটি কৃষ্ণ ভক্ত। ভাগবত পাঠ করে শোনায়।

কবিতার ছন্দে ঝর্ণা নামে । পাহাড়ের গায়ে ঝর্ণার ছবি।
স্বামীজির ছবি কিনতে গিয়ে পাহাড়, জংগলের ছবি।

ঘুম ঘুম চোখ। আত্মীয়াটিকে ডিপ্রেশনের ওষুধ।
সবুজের সাজে সেসব দিন। সবুজ নামের গল্প পত্রিকায়।
সেদিন টা মনে পড়ে। সকাল বেলা খেমাশুলির বাসে।
                     





কবিতা :
        আমার বেলা অবেলা!
                     বিশ্বজিৎ কর

আমার সকাল এখন বার্তা-অপেক্ষার পাহারাদার!
আকুলতার-উত্তেজনার-ভাবনার!
মায়ের ডাকের স্মৃতির,তৃপ্ততার!
আমার দুপুর এখন নৈঃশব্দের গীতিকার,
অবসরকালীন সংগীতের -
জামরুল গাছের ডালের হলুদপাখিটার সুরে!
আমার বিকেল এখন তোমার গন্ধে মাতোয়ারা,
একটা ফোন আসার,একটু দেখা হওয়ার!
আমার রাত এখন বিনিদ্রতার কবিতা,
ঝরাপাতায় তোমার সুখশয্যার!





      মাথায় রেখো
           মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ


দেখেছি দুটি আঁখি খুলে
ইস্কুল কলেজের ভিতর ঢুকে।
আসিয়া কোরছোটা কি?
পিরিয়ডের শেষে, বসে যাও
গালফ্রেন্ডের সাথে।
টিফিনের শেষে, চলে যাও হোলে
এটার জন্য বুঝি ইস্কুল কলেজ?
শিক্ষা নিতে নাই পারো,
আসিয়োনা কেহ।
ইস্কুল কলেজে আনিয়োনা কলঙ্কো।
ভাবছো না কেন,
তোমারীই গুনধর পুত্র
আসবে আবার এই ইস্কুল কলেজে।
শুধু মিছে আনিয়োনা কলঙ্কো।
দেখেছি দুটি আঁখি খুলে
ইস্কুল কলেজের ভিতর ঢুকে।





পশুবলি
         হরিহর বৈদ‍্য

প্রাণহত‍্যা মহাপাপ জেনো
তাই জীবে দয়া কর ভাই,
আজও কেন মোরা দেবতার নামে
তবু পশুবলি দিয়ে যাই।
যখন যেখানে দেবতার নামে
যত হয়েছে পশুবলি,
অবলা পশুর ক্রন্দন ধ্বনি
ছড়িয়েছে ওলি-গলি।
লক্ষ লক্ষ অবলা জীবের
প্রাণ হয় সংহার,
এই ভাবে কতদিন রবে
জাতির এ কুসংস্কার!
নিজের কোন মঙ্গলার্থে
এমন জীবনপাত--
এই অহেতুক কাজ, বিধির বিধানে
হবেনা কি প্রতিবাদ।
তবু নিজেকে মানুষ শ্রেষ্ঠভাবে
প্রাণিজগতের মাঝে,
এতটুকু ব‍্যথা পায়না তথাপি
নির্মম এই কাজে।
আমরা যদি নাহি দিতে পারি
শবদেহে ফিরে প্রাণ,
নির্দয়ভাবে কেন করি তবে
পশুদের বলিদান।
যিনি ঈশ্বর আমরা কি তাঁকে
করিতে পারি দান,
ধর্মের নামে অধর্ম এযে
মানবতার অপমান।
ভালোবাসা আর জীবে দয়া
সদা করে যেই জন,
দেবতার করুণা ধারা
পায় সে সর্বক্ষণ।
করজোড়ে তাই শুধু বলি ভাই
দিওনা মৃত‍্যুঘাত,
পরহীত তরে জীব- কল‍্যাণে
কর হে আত্মত‍্যাগ।
নিজের কথা না ভেবে যেজন
ভাবে মানুষের কল‍্যাণে,
তুষ্ট হন দেবতা ভীষণ
তার সেই মহাদানে।
থেকে অনাহারে যে জীবে দয়া করে
সেই তো শ্রেষ্ঠ দানী,
তবে কেন মিছে পশুবলি দিয়ে
রেখে যাই দ্বেষ-গ্লানি।





বিভাগ _কবিতা

   আজ_আমি_গিরগিটি
             আব্দুল রহিম


সকালে চায়ের পেয়ালাই চমক দিতে না দিতে
চোখের সামনে গিরগিটির লাল নীল রং বদল
দু'চোখ করে উঠলো অগোচরে বড়ই ছলছল
তবু মুচকি হাসি হেসে গেলাম ঘড়ি নিয়ে বসে
 কাক শকুন সরাদিন কত না করে কোলাহল
তবু কে দেখে ময়না শালিকের চোখের জল।।

অবুঝ ঘড়ির ঢং ঢং শব্দ তবু প্রেম লুকানো অতৃপ্ত
চাঁদ সূর্য তারার  দেখা মেলে না আমার আকাশে
সময় কাটে আজীবন মিথ‍্যা  যুদ্ধের  অবকাশে
কাশ ফুল ফোটে না আর দূর্গার সমাবেশে
আর মন চাই না মায়ের  আঁচল তলে ঘুমাতে
জীবন'টা ঘুমন্ত লাল ডাইরি'র শেষ পাতাতে।।

 আজ আমি আবদ্ধ ইট কাঠ পাথরের মধ‍্যে
প্রত‍্যেক দিন  নিত্য-নতুন বদল এ জীবন যুদ্ধে
আর বেঁচে নেই উঠোন ভরা আলতা আলপনা
জীবনটা শুধু আজ মিথ‍্যা মিথ‍্যা বদলে'র কল্পনা
আর বেঁচে নেই মায়ের সে পূজার তুলসীগাছ
আজ আমি নিজে সেজেছি গিরগিটি'র সাজ।।







0 comments: