" উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক 09 জুলাই সংখ্যা "
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-09/07/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- বিকাল 3 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আজকে যারা কলম ধরেছেন👇👇👇
ইংরেজি কবিতা:-
••সিদ্ধার্থ সিংহ,
••মহীতোষ গায়েন,
••শ্যামসুন্দর মন্ডল
গল্প:-
• শ্যামাপ্রসাদ সরকার
ছোটোগল্প:-
• আব্দুল রাহাজ
অনুগল্প:-
• অগ্নিমিত্র
প্রবন্ধ:-
• রাজা দেবরায়
কবিতা:-
• রঞ্জন চৌধুরী ,
• হামিদুল ইসলাম,
• মিনতি গোস্বামী
• নৈর্মিষা প্রামানিক,
• কাশীনাথ সাহা,
• সৌম্য ঘোষ
• বিমান প্রামানিক,
• রুহুল আমিন,
• বিপ্লব গোস্বামী
দুটি কবিতা:-
• অনাদি মুখার্জী
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
Master's son
Siddhartha Singha
master's son sleeps, sit by him.
should be not suddenly roll and fall down
if it is hot, fan him forcefully
if the ants engage in tete-a-tete, kill them immediately.
master's son sleeps, sit by him,
Lots of food remain as left over on his plate.
Hopefully
Mahitosh Gayen
The night is increasing, the night is increasing, the fear is silent at night
Water wind wind water fear night victory,
The clouds in the sky are dark, the clouds are pure air
There is no rain, the light of hope is still faint.
The dawn has blossomed in the sky
Come on in, take a look and enjoy yourself!
Bhairabi laughs today while Mohan is playing the flute
Radhika is by his side in Krishna Gopal farming.
Happiness is not in the empty pocket of the last pocket of the month
Don't cut day don't cut night,dry face,
The dream life is lost, the book is cracked with difficulty
Happiness is lost when no one sees the tears in the eyes.
Where there is happiness, where there is no address
Victory happiness chariot, not known world pair
That day was blue in the sky, that day was good
There is a lot of trouble on the horizon today. The horizon is black today.
People want to see good people
Let the language of the heart be with you,
The disease germs go away and the trouble goes away
The dream of living a working life will never be ruined.
Birds are singing victory songs on the branches of Krishnachura tree,
Paran Majhi riding the ferry, like the wave.
The green tree swayed and touched the soul
Happiness will come before the good days have passed.
Be A Rising River
S. Sundar Mondal
Sprout in silence on the shore of pebbles.
Pleasantness comes alone pushing, and
Pushing waves. You can flow,you can glow
Like a sprouting river.All you doesn’t deserve,
You,a river can dissolve and take away forever--
If you are nothing else but you within you.
There is a river in everyone, waits to sprout,
So,you must be a river rising too. And much
More you want to be, go ahead towards sea.
যযাতি
শ্যামাপ্রসাদ সরকার
রাখহরি পোদ্দার একজন নির্ভেজাল গৃহস্থ। বেচারামপুর স্টেশনের বুকিং ক্লার্কের চাকরিটার মেয়াদ ফোরাতে আর ছ'মাস বাকি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা এখন তিন থেকে দুই এ নেমেছে। একটি মাত্র কন্যা মঞ্জুলার গত বৈশাখে বিয়ে হয়েছে কাসুন্দেপুরের নিবারণ ডাক্তারের ছোট ছেলে নির্মলের সাথে। ডাক্তারির পাশাপাশি নিবারণের দুটো চালকল আর কোল্ড স্টোরেজ আছে। তার দুই ছেলেই বাপের ব্যবসা সামলিয়ে তাদের সিংহদুয়ারে মা লক্ষ্মীকে বেঁধে রেখেছে।
রাখহরি পোদ্দারের স্ত্রী বিজলীবালা তাঁর হাই প্রেশারের অসুখ আর সাথে বাতের ব্যথায় প্রায়ই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন । ঠিকে ঝি মালতীর মা' না থাকলে দুজনে যে চোখে সর্ষেফুল দেখতেন সেটা আর নতুন করে বলবার অপেক্ষা রাখেনা।
************
এরই মধ্যে চাকরির মেয়াদশেষের বছরটার গোড়া থেকে নিজের মধ্যে একটা অদ্ভূত পরিবর্তন দেখলেন রাখহরি বাবু।
তাঁদের তেত্রিশ বছরের দাম্পত্যের শুরুর দিকে ওঁরা দুজনেই বেশ ইয়ে ইয়ে টাইপের ছিলেন। মাসের প্রথমে মাইনে পেলেই এটা ওটা শৌখিন জিনিস টিনিস নিজেই কিনে এনে বিজলীবালাকে উপহার দিতেন। স্নো পাউডার ছাড়াও একবার একরকম চিকন কাপড়ের বডিস কিনে এনে বিজলীকে পড়তে বলে খুব ইয়ে মানে লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন। তখন দুজনের মধ্যে সপ্তাহে দু একবারের বেশী একটু ভালোবাসা -বাসি হয়েই যেত। ফলে খুকু চলে আসে তারপরে পরেই। সেই থেকে আস্তে আস্তে ওদের মধ্যে ওই ইয়েটাই কমতে থাকে। মেয়ে যত বড় হতে লাগল বিজলী রাতে মেয়েকে নিয়েই একাই শুতে লাগলেন। নাইট ডিউটি না থাকলেও বাইরের ঘরের তক্তোপোশে আলাদা শোওয়াটাই রাখহরিবাবুর কেমন যেন রুটিন হয়ে গেল আস্তে আস্তে।
এই গত কয়েকমাস ধরে রাখহরি টের পাচ্ছেন তাঁর ওইসব ইচ্ছেগুলো ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতের বেলায় একাই শুতে গিয়ে হঠাৎ বিজলীবালার ঘরে গিয়ে জড়িয়ে তাঁকে ধরলেন আচমকা। সেদিন ছিল অমাবস্যা। বাতের ব্যথায় ছটফট করতে করতে বিজলীবালার সবেমাত্র চোখটা লেগেছিল এমন সময় আচমকা ভীম আলিঙ্গনে তিনি চমকে উঠে হাউমাউ করে চেঁচিয়ে স্বামীকে শাপান্ত করে উঠলেন। রাখহরি বুঝলেন বিশেষ সুবিধা হবেনা। লজ্জায় অধোবদন হয়ে চোরের মত তক্তোপোশে গিয়ে শুয়ে পড়লেন।
*************
কদিন পর আবার টের পেলেন বিগতযৌবনের অবাধ্য ইচ্ছের তাড়নাটিকে। কোনওমতে এপাশ ওপাশ করে রাত কাটিয়ে পরদিন ডিউটিতে চলে গেলেন।
ওভারব্রিজের নীচে ক্ষয়াটে চেহারার লোকটা যার মুখের ডানপাশটা বসন্তের দাগে গর্ত গর্ত হয়ে গেছে ডালায় করে ইঁদুরের বিষ বা বাতের তেল এসবই এদ্দিন বেচত। একদিন রাখহরি বাবু লক্ষ্য করলেন লোকটা গোলাপী আর হলদে রঙের ইস্তেহার বিলি করছে। টিফিনের সময় তার কাছ থেকে একটা কাগজ চেয়ে আনলেন। জ্যালজ্যেলে সস্তার ছাপা কাগজটায় একটা বিজ্ঞাপন ছাপা আছে। সেটার বক্তব্য হল একাকীত্ব দূরীকরণের বিভিন্ন উপায় ও তার সাথে নানা প্রকার মালিশের খোঁজখবর। আপাতদৃষ্টিতে বিজ্ঞাপনটা নিরামিষ নিরামিষ দেখতে হলেও রাখহরিবাবু কিন্তু ওতে বেশ পেঁয়াজ রসুনের গন্ধই পেলেন।
ডিউটি সেরে ওই গোলাপী কাগজটায় লেখা ঠিকানাটার দিকে সাইকেলে চেপে চললেন। সবে দুদিন হল মাইনে হয়েছে। এখানে কিছু বাড়তি খরচাপাতি হলে বাড়িতে না হয় বলে দেবেন পকেট ছিঁড়ে পড়ে টড়ে গেছে।
একটা হলদেটে ম্যাদামার্কা একতলা বাড়ি। তারই একপাশে একটা সাইনবোর্ড ঝুলছে। তাতে অবশ্য অবিনাশ কোবরেজের তোবড়ানো নামটার সাথে ঔষধালয়(ঢাকা) এটুকুই পড়া যাচ্ছে। রাখহরি বাবু ভাবলেন নির্ঘাত ঠিকানা ভুল করেছেন। মনটা দমে গিয়ে সাইকেলটা ঘোরাচ্ছেন এমন সময় কোত্থেকে মাটি ফুঁড়ে একটা চ্যাংড়া ছোকরার উদ্ভব হল।
- " কি দাদু চা চলবে তো? মুচমুচে নিমকি দিয়ে?" এই বলে ফিচেল হাসি হেসে সে তাঁর কানের কাছে মুখ নিয়ে আসে।
- "নিমকি' এখন ফাঁকা আচে দাদু! পঞ্চাশটা টাকা বুকিং মানি আমায় দিয়ে টুক করে ওই পদ্দাটা ঠেলে ঘরে ঢুকে যান। আর কাজ শেষ হলে ওর হাতে আরো চারশো দিয়ে আসবেন.. যান"
রাখহরি বাবুর কানটা গরম হয়ে গেল। বুকের ধুকপুকুনিটা এবার যেন নিজেই যেন শুনতে পাচ্ছেন।
- "না মানে ইয়ে!" আমতা আমতা করে বললেন ঠিকই , কিন্তু ততোক্ষণে ছোকরার হাতে পঞ্চাশ টাকাটা বাড়িয়েও দিয়েছেন।
*************
মেয়েটার বয়স পঁচিশের বেশী হবেনা। আঁটো গড়নে চটক একটু বেশীই। দেখেশুনে রাখহরি বাবু এবার বেশ কনফিডেন্স ফিরে পাচ্ছেন মনে মনে।
- " মাল টাল আনাবো..?" ছেনালী গলায় মেয়েটা বলে উঠলো।
- " নাহ! মানে ইয়ে..আমি আবার ওইসব ঠিক.."
ব্লাউজের হুকটা খুলতে খুলতে নিমকি নামের মেয়েটা অশ্লীল ভ্রূভঙ্গীতে বলে ওঠে,
- "নিন্! চলে আসুন তবে..."
রাখহরি উদগ্রীব নয়নে দেখলেন নিমকির ব্লাউজের ভিতরের বডিস্ টা ঠিক সেইরকম চিকন কাপড়ের। বিজলীবালার জন্য একবার কিনে এনেছিলেন, কিন্তু সে একবারও সেটা পড়েনি। ধপাস্ করে তাঁকে বিছানায় শুইয়ে সে সুগন্ধী তেল দুহাতে মেখে তৈরী হয় মালিশের জন্য।
এমন সময় রাখহরি বাবুর হঠাৎ মাথাটা ঘুরতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর কেন্দ্রীভূত উত্তেজনা শিথিল হয়ে আসতে থাকে। মেয়েটা...এএএই মেয়েটা যেন নিমকি নয়। তাঁদের গাঁয়ের সদু। কি এক কারণে সে মণিসায়রের জলে পেটে বাচ্চা নিয়ে ডুবে মরে। তিনি তখন দশ বারো বছরের হবেন। এখনো জলে ডুবে পচে ফুলে ওঠা সদুর লাশটা চোখ বন্ধ করলে মনে করতে পারবেন।
হঠাৎ খুব ঘাম দিচ্ছে সারা শরীরে। নিমকি নাকি সেই সদু কে বসে আছে তাঁর সামনে।
কে? কে ও ?
অনেকক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে নিমকি তাঁকে ধাক্কা দিচ্ছে
-" ও মশাই! শুনছেন..... কি হল.. যাঃ শালা!"
রাখহরি বাবু ততোক্ষণে ফুরফুরে হাওয়ার মতন হাল্কা হয়ে ঘরটার গুমোট দেওয়াল ভেদ করে বাইরে এসে বাতাসের সাথে মিশে গেছেন। কারণ এখন আর তিনি আর বেঁচে নেই। অতিরিক্ত উত্তেজনায় হার্টফেল করে খানিক আগেই মারা গেছেন। এবারে আর ঠান্ডা শিরশিরে হাওয়া হয়ে জানলা দিয়ে ঢুকে বিজলীবালাকে জড়িয়ে ধরলে আর সে চমকে উঠে ভয় পাবেনা। ভালোই হল। পেনশনের টাকায় বিজলীবালাই এখন থেকে সংসারটা চালিয়ে নেবে না হয়।
******************
ছোটোগল্প
শেষ বিদায়
আব্দুল রাহাজ
গ্ৰামের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ নিমাই সাধু খাঁ বয়স প্রায় নব্বই ছুঁয় ছুঁয় প্রতিদিন তার বড়ো বাড়ির পিছনে একটা ছোট্ট বাগানে বসতেন আর ভাবতেন অতীত দিন গুলোর কথা । তিনি ছিলেন একসময়কার মানুষের কাছে প্রভুর মতো বিপদে আপদে এগিয়ে আসতেন আর ছিল শহরে ব্যবসা বয়স হওয়ার কারণে এখন সবকিছু ছেড়ে একাকী মন নিয়ে বসে থাকে শেষ বিদায় এর দিকে। নিমাই সাধু খাঁ তিনি এই বড়ো বাড়িতে একা থাকেন আর চাকর হাবুল সর্দার নিমাই বাবু ছোট্ট ছেলে মেয়ে দের খুব ভালোবাসতেন কিন্তু কেউ তার কাছে আসেনা সবাই জানে ওটা ভূতোরে বাড়ি একাকী মন নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন । একদিন বিকাল বেলায় গ্ৰামের নস্কর চাট্যুজের ছেলে হরিহর সহ তার বন্ধুরা এসেছেন চুরি করে ফুল পারবে বলে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো হরিহর প্রথমে ঢুকে দেখলো কোথায় কোথায় ফুল গাছ আছে হরিহর দেখল এক দাদু চেয়ারে বসে আসে তার সামনেই সব ফুল গাছ কী সুন্দর হরিহর আস্তে আস্তে গিয়ে বললো দাদু কটা ফুল নেবো এ কথা বলা মাএই হো হো হো করে হেসে উঠলো হ্যাঁ নেবে তখন হরিহর তার কথা শুনে হেসে উঠলো তারপর নিমাই বাবু বললো তাও তুলে নিয়ে এসে আমার এখানে বসে একটু গল্প করি হরিহর বললো আমার বন্ধুরা সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে ওদের ডাকি নিশ্চয় ওদের ডাকা মাএই ওরা চলে এলো নিমাই বাবু ওদের সাথে বেশ গল্প করলো ওই দিন মনটা যেন হালকা হয়ে গেলো নিমাই বাবু র তখন সূর্যের ক্ষীণ আলো নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে আছড়ে পড়ছে তখন দাদু বললো ডুবন্ত সূর্যের দিকে ফিরে তাকালে মনে হয় জীবন থেকে একটা দিন শেষ দাদু ওদের বললো সন্ধ্যা নামবে বাড়ি যাও আবার কাল এসো কিন্তু। এই ভাবে বেশ কয়েকদিন ভালোই কাটছিল একদিন ঘুমের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন শান্তির দেশে । তার জীবনের শেষ দিন গুলো কাটলো বাচ্চাদের সাথে এক আনন্দ মন নিয়ে ওইসব বাচ্চাদের মাঝে থেকে শেষ বিদায় নিয়েছিলেন। সেইসব বাচ্চাদের কাছে তিনি হয়ে রইলেন এক চিরবন্দিত নায়ক।
অণুগল্প
সাহিত্যিক হওয়া
অগ্নিমিত্র
মদনবাবুর ইচ্ছা, বড় সাহিত্যিক হবেন। ...লিখবেন গল্প, কবিতা; নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপবে। লোকে আগ্রহ নিয়ে পড়বে ।
কিছুতেই কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা। মদনবাবু চাকরিজীবী মানুষ, এখনো বিয়ে থা করেননি । একাই থাকেন এখানে ।
হচ্ছে না, কিছুতেই কবিতার ভাব আসছে না । ...গল্পও কিছু মাথায় আসে না।
বন্ধুদের কথা শুনে একটু আদিরসাত্মক লিখতে গেলেন। আর একটু খিস্তি খেউড় মেশানো কবিতা ও গল্প ।..নিয়ে গেলেন ছাপাখানায়, প্রকাশক তাড়া করলো। ..পাড়াপড়শি মুচকি হেসে বা ফিকফিক করে হেসে চলে যায় ।
প্রিয় সহচর নকুল বলল, একটু গাঁজা খা।..মনে ভাব আসবে !
আগে কখনো গাঁজা খাননি মদনবাবু । খেয়ে তো মাথা বনবন ঘুরছে ! ..তবে কোনো লাভ হলো না।
এদিকে তাঁর নিজের জীবনটাও এত সাদামাটা যে তার কোন অংশ নিয়ে সাহিত্য চলে না।
এই যখন অবস্থা তখন পাশের বাড়িতে মধুরা চ্যাটার্জি থাকতে এলেন । স্কুলের শিক্ষিকা তিনি।
সেদিন সকালে এক ঝলক মধুরাকে দেখে কী যেন হলো মদনবাবুর!...
মনে হলো, কী সুন্দর এই সুনীল আকাশটা! ..ঐ পাখিটা এমন করে ডাকছে কেন ?! কী এত বেদন ওর !?..
সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ভাব এল, তরতর করে তিনটে কবিতা লেখা হয়ে গেল । ..
ধীরে ধীরে আলাপ হলো মধুরার সাথে।..মদনবাবু মনে মনে ওর নাম রাখলেন, বসন্ত । মনে বসন্ত এসেছে যে, লেখাতেও!
সত্যিই ও যেন মধুরা! ..ওর পাশে থাকলে সবই যেন মধুর হয়ে যায় ।
একদিন ওর সাথে এক ছেলেকে কথা বলতে দেখলেন মদনবাবু।
সেদিন খুব রাগ হলো, হলো দুঃখ। লেখা হলো বেদনাবিধুর এক কবিতা , এক গল্প!
প্রকাশক খুব খুশি; মদনবাবু খুশি হয়েও যেন খুশি নন !
এক সন্ধ্যায় বাড়ির দরজায় টোকা পড়লো।..
খুলে দেখেন, দরজায় মধুরা!
' আপনি..?!' মদনবাবু যেন অবাক!
' আপনাকে আর দেখা যায় না কেন ?'
' মানে...'
' অমিতাভ আমার মাসতুতো ভাই । ..আপনি যা ভাবছেন তা না । '
তখন মদনবাবু আর কী বলেন ?! ..আকাশে বাতাসে যেন তখন কবিতারা উড়ছে !
মধুরার পদবী পরিবর্তন হলো শীঘ্রই! বিয়ের সানাই বেজে উঠল ।
মদনবাবু আর মধুরা, মানে বসন্ত মিলে এখন খুব লিখছেন !!
রবি ঠাকুর উমাকান্তে তিনবার এসেছেন !
রাজা দেবরায়
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রায় ১৫৮ বছরের পুরোনো রাজন্য স্মৃতি বিজরিত বিদ্যালয় 'উমাকান্ত একাডেমী'তে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনবার এসেছিলেন ।
১৩১৫ ত্রিপুরাব্দের (১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের) ১৭ই আষাঢ় আগরতলা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে (বর্তমান 'উমাকান্ত একাডেমী') সাহিত্য সভা স্থাপন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অভিনন্দন জানাতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সভাপতি পদে বরণ করা হয় ।
১৩২৯ ত্রিপুরাব্দের (১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের) কার্ত্তিক মাসে (১০ই নভেম্বর) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'উমাকান্ত একাডেমী' পরিদর্শন করেন এবং ভিজিটিং বুকে মন্তব্য সহ স্বাক্ষর করেন ।
১৩৩৫ ত্রিপুরাব্দের (১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের) ১২ই ফাল্গুন কিশোর সাহিত্য সমাজ দ্বারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় । 'উমাকান্ত একাডেমী'তে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজকুমার ব্রজেন্দ্রকিশোর ।
সবগুলো সভাই 'উমাকান্ত একাডেমী'র হলঘরে অর্থাৎ পূর্বের লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত হয় ।।
শ্রীচরণেষু মা
রঞ্জন চৌধুরী
ক্রমশীতল জলে স্নান সেরে নিয়েছি।
পথচূত হইনি বলে, পথেই আছি।
প্রচ্ছদের মলাটের ন্যায় ছলাকলায় পারদর্শী নই বলে
স্বভাবচূত হইনি, স্বভাবেই আছি।
হে প্রসঙ্গ শহরবাস
নকল গয়না পরিনি বলে
যারা বিচারে বসেছো, ভাবখানা এই
রূপমতি কি রূপমতি নই
তারা পিঞ্জর ভেঙে ময়না হতে পারো নি।
কিশোরী চৌকাঠ পেরিয়ে
অবিন্যস্ত পীঠে বেণীর মত ছড়িয়ে রেখে কেশপাশ
লাল-নীল-হলুদ-সবুজ এই শহরে আজ
প্রথম এলাম মহামান্য নাগরিক।
বন্ধুর হাত ধরে শপিংমলে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম
ছায়ার পঞ্চমে ঘোরা তোমাদের, অপ্সরা পরী
কাঁচের শীষমহলে এ বাঁকে ও বাঁকে ধাক্কা খেতে খেতে
হারিয়ে যাচ্ছ জলবিন্দুর মত জনস্রোতে.....
শেষবেলায় শান্ত চিঠির শেষ পাদাংশে
তোমাকে লিখতে বসে শ্রীচরণেষু মা, লিখছি
জানিনা দহন চক্রে কেমন আছে আমার গাঁয়ের আয়নাটি!
তাকে বধিরে বেঁধো না
গ্রহণে রেখো একাকী, কল্যাণ ও অকল্যাণে।
তবু জীবন
হামিদুল ইসলাম
জীবন ---------
কখনো উচ্ছল। মোহনায় উপছে পড়া প্রাণকোষ
কখনো উদ্বেলিত বেলাভূমি
কখনো পাহাড় কিংবা সমুদ্র সফেন
কখনো পায়ের ধূলো সংগ্রামে অটল ।।
তোমাকে আঙুলের পেটে পেটে খুঁজি
বৈশাখী রাত
গিরিখাতের ভাঁজে ভাঁজে নিষ্ঠুর অনুভূতি সব
হামাগুড়ি দেয়
তবু হাতের মুঠোয় রাখি এক অঞ্জলি জল ।।
বিকেলের কচি কচি পদ্মবীজে জন্ম নেয়
অবাঞ্ছিত ভ্রূণ
পথের ধূলোয় মিশে যায় হাজার সংগ্রামী বার্তা
তবু যুদ্ধে মুখরিত জীবন
তাই রেখে দিই হাতের তালুতে মৃত্যুবাণ ।।
প্রতিপদে দস্যুরা হুঙ্কার ছাড়ে
রাত্রি জাগর
দিন বদলায় ইতিহাস পাল্টায়
গরমিলে ভরে ওঠে হিসেবের খাতা
আতঙ্কে ছেয়ে যায় কবিতার আসমান ।।
শ্রাবণ মানে
মিনতি গোস্বামী
এরপর আর অক্ষরের চাষ করার মত
জমি খুঁজতে ইচ্ছে করেনা
শবগন্ধী জমিতে এ ফসল
হবার নয়, হবার নয়।
অথচ মহেঞ্জোদারোর শস্যাগার
থেকে উঠে আসে কান্না
যা শুনে দুলাইন দোঁহা
আজ ও লেখা যায়,
কলিঙ্গযুদ্ধের পরেও
প্রবাসে পাঠানো যায়
ধর্মের বাণী।
ধ্বংস,অতিমারী পেরিয়ে
যুগ যুগ ধরে হয়তো তাই
ঘুরে ঘুরে আসে শ্রাবণ
শ্রাবণ মানেই তো অক্ষরের প্লাবন।
"কেমন আছো বন্ধু"
নৈর্মিষা প্রামানিক
কেমন আছো বন্ধু?
এই দূর্যোগ কতটা ছুঁয়েছে তোমায়?
আমাদের কি আর দেখা হবে?
সেই আগেকার মতো,
সুস্থ সবল নীল পৃথিবীর মাঝে।
কয়েক হাজার প্রেমের স্বাক্ষী কৃষ্ণচূড়া,
তুমি কেমন আছো?
সব প্রেমের অভিমান হয়ে ঝড়ে পড়তো,
তোমার হৃদয় আগুন রঙ্গের ফুল ধরেছে?
আমাদের কি আর দেখা হবে?
কংক্রিটে মোড়া শহুরে গলি নিয়ন আলোর নদী,
তুমি কেমন আছো?
নিঃসঙ্গতা বুঝি ঘিরে ফেলেছে তোমায়?
তাই বহু বছরের জমানো অবসাদে মগ্ন হয়েছো।
আমাদের কি আর দেখা হবে?
ঘুম ভাঙ্গানো ভোরের পাখি,
তুমি কেমন আছো?
গৃহ সন্তান হারানোর শোকে নিয়ম ভেঙ্গেছো,
নাকি ছেড়ে চলে গেছো এ বন্দর!
আমাদের কি আর দেখা হবে?
আমার এজন্মের প্রেমের প্রথম পুরুষ,
তুমি কেমন আছো?
এই নির্বাশনে নিয়মের উষ্ঠে বিষ ছুঁয়েছো,
পৃথিবীর দুঃখ-কষ্ঠ-বিরহের নীল রংটা আঁকড়ে ধরেছো হয়তো,
আমাদের কি আর দেখা হবে প্রিয়তম?
আলো
কাশীনাথ সাহা
তুমি তো ছুঁড়েছ লক্ষ্যভেদী তীর
মরিনি তাতেও। চেয়ে দেখ বেঁচে আছি
শব্দের ভিতর।
বেঁচে আছি পাতার আড়ালে
কবিতার আলোকিত পথে।
কতোবার মারবে তুমি! আমি জানি
দহন থেকে আত্মশুদ্ধি পথ
আমি জানি প্রথম প্লাবিত হওয়ার
অলীক কাহিনী।
তুমি তো কথা ছুঁড়ে দাও
আমি দেখি পদ্মপাতায় জলবিন্দু আয়ু!
জ্যোৎস্নার মাদলে তুমি ভ্রুভঙ্গিতে ডাক
আমি, শুধু আমি জানি সেই অকাল বৈভব।
নির্মেঘ প্রহরে তুমি শরীর ভাসিয়ে দাও
নক্ষত্র চরাচরে।
সে তো এক মৃত্যুলোকে জীবন প্রবাহ!
সহস্র জীবন আমি মৃত্যু নিয়ে বাঁচি
সংগম সংরাগে থাকে জলবিম্ব আলো
কি ভাবে মারবে তুমি?
অনিঃশেষ আয়ুতে আমি
প্রতিক্ষায় স্থির।
মায়াবী রাত
সৌম্য ঘোষ
মধ্যে মধ্যে ডাক শুনি , দয়াবান হলুদ রোদ্দুরের
গাঢ় সেই ডাক শুনি স্বপ্নের গভীর
স্তব্ধতায় নৈ:শব্দের দিকে ।
আঁধারের রহস্যময় প্রাচীন তারা স্বপ্নে উজ্জ্বল ,
নৈকট্যের স্মৃতিতে উষ্ণ ! চিরকাল !
রাত্রি তন্ময় হয়ে চাদর বিছিয়ে দেয় বিছানায়
নিবিড় একাত্ম ,
পূর্ণিমার দয়ালু প্রভা আসে ঘরে
এক অলৌকিক বিভাবরী
ফুলের পাপড়ির মতো নির্মল তরঙ্গ হয়ে
ছড়িয়ে পড়েছিলো সমগ্র সত্তায় ;
সেই রহস্যময় ডাক সঙ্গীতের মতো
ছড়িয়ে পড়ে এই মায়াবী রাতে ।
বনবাসী সীতা
বিমান প্রামানিক
আজ্ঞা দিল দশরথ রাজ, জ্যোষ্ঠ্যপুত্র রামে,
চোদ্দ বছরের বনবাসে পত্নী সীতার সনে।
ভরত জননীর বাক্যে রামের হইল বনবাস,
ভাই লক্ষ্মণও হইল সাথী, সীতা রামের সাথ।
ত্যাজিল অযোধ্যা ভূমি দুই পুত্র, সাথে বধূ এক,
কৈকেয়ী ভাবিল স্বপুত্রের এবার রাজ্যপ্রাপ্তি হোক।
বনমাঝে তিনজন নিল ঠাঁই ছোট্ট কুটীর এক,
মারীচ সাজিল মায়াবী সুন্দরী মৃগ এক।
ইহা রাবণ রাজের ছল, সীতা নাহি বুঝিল,
সীতা তারে দেখে হইল ভীষণ মুগ্ধ, বায়না ধরিল। রাম তারে করিতে শিকার, ধাইল বন পানে,
মায়াবী মৃগ ছুটিল শুধুই গহন অরন্যে।
অবশেষে মায়াবীর রাম স্বরে চিৎকার সীতার কর্নে,
শুনিয়া কহিল সীতা ভ্রাতার বিপদ যাও সেখানে।
বুঝিল লক্ষণ তাহা নয় ভ্রাতার স্বর, মায়াবীর ছলনা,
বাধ্য করিল তারে সীতা, যাও তুমি, আমার জন্যে ভেবো না।
বাধ্য হয়েই লক্ষণ সীতার আদেশে যেতে হইল উদ্যত,
কুটীর ঘিরে এক রেখা টানিয়া সীতাকে নিষেধিল।
লঙ্কাধিপতি আসিল কুটীর দ্বারে ভিখারীর সাজ,
সীতার নিকট ভিক্ষা মাগিল নাহি কোনো লাজ।
দেবী অনুরোধিল আমি গন্ডি ঘেরা এক নারী,
ডিঙিয়ে তাহা, ভিক্ষাটুকু দিতে নাহি পারি।
ভিক্ষাবেশী কহিল অভুক্ত আমি,মাগিল ভিক্ষা,
দেবী তুল্যা সীতা গন্ডিখানি লঙ্ঘিতে না করিল দ্বিধা।
যেই মাত্র সীতা ভিক্ষা দিতে গন্ডি ছাড়িল,
মায়াবী রাবণ স্বরুপে তারে দেখা দিল।
সূর্পনখা নামে এক রাবণের ভগিনী ছিল,
লক্ষণ নিজ তীরে তার নাসিকা ছেদিল।
রাবণ রাজ এই দোষের প্রতিশোধের আগুনে
খুঁজিয়াছিল সুযোগ এক, তাই সীতা হরণে।
ভ্রাতা দ্বয় ফিরিল সেই মৃগ শিকার লইয়া পর্ণকুটিরে,
সীতাকে না দেখিতে পাইয়া খুঁজিল চতুর্ধারে।
সীতা পথে পথে ফেলিল শরীরে ছিল যত ভূষণ,
জটায়ু পক্ষীও দেখিল সীতাকে হরিল রাবণ।
পারিত গ্রাসে রথখানি সহ রাবণও নিঃশেষ,
ছিল সীতা তারই মাঝে, রাবণ রক্ষা পেল অবশেষ।
কিন্তু জটায়ু শেষে মৃত্যু পথে পড়ে রয় ডানা ছেটে,
পথে পতিত ভূষণ দেখে ভ্রাতাদ্বয় পারিল চিনিতে
একটু আগাইয়া যাইতেই দেখা জটায়ু পক্ষীর সাথে
শুনিল সীতাকে হরণ করিয়া রাবণ চলিয়াছে এই পথে।
ভাবিল ভাতৃদ্বয় তবে, কি করি এখন উপায়,
রাবণ চলিয়াছে সীতাকে লইয়া তবে কোথায়?
বিবাহ
রুহুল আমিন
বিবাহ আসে বিধাতার নিয়মে
ঘরের বাইরে জনমানবের ভীড় লক্ষ করি
তাহার অভ্যন্তরে এমন করে দেখো না আমায়
বিবাহ মানে অনন্ত কালের প্রতিক্ষা
বিবাহ মানে চার হাতের এক স্বপ্ন
বিবাহ মানে দুটি দেহের একটি আত্মা
বিবাহ মানে অপ্রকাশিত কথা বোঝা
তুমি অভিমানে সাঁতার দিওনা
নিরাশার চাদরে মুড়ে থেকো না
আমার ভালোবাসা আছড়ে পড়ুক তোমার তীরে
তোমার মতের বহিঃপ্রকাশে
নতুন সম্পর্কের সুতা বাঁধা
তুমি কি চাওনা সে সম্পর্কের মাঝে
ছোট্ট সংসার গড়তে
সবার কথা মেনে নাও প্লিজ
নতুন করে নতুন সম্পর্কে চাই তোমায়।
পতিতা বলছি
বিপ্লব গোস্বামী
বাবুরা কেবল শরীর দেখে
দেখে না বুকের চিতা ,
কেনইবা ওরা দেখবে ওসব
আমি তো এক পতিতা।
ওরা দিবালোকে দেখলে আমায়
থু থু ফেলে মুখে,
আঁধার রাতে সোহাগ ভরে
টেনে নেয় বুকে।
বাবুরা আমায় ছিড়ে খায়
শুনতে পায় না কান্না,
ওদের কেবল দেহ চাই
দেখে না অশ্রু বন্যা।
আমিও তো একটা মানুষ
রক্তে মাংসে গড়া,
আমারও দেহে প্রাণ আছে
বুঝে না তো ওরা।
আমারও একটা মন আছে
আছে কিছু চাওয়া,
মনের চাওয়া মনে মরে
হয় না কভু পাওয়া।
আমাকেও কেউ বাসত ভালো
দেখাত রঙ্গিন স্বপ্ন,
তার প্রেমেতে দিবা রাতি
হয়ে থাকতাম মগ্ন।
আমারও একটা পরিবা ছিল
ছিল মা ভাই,
সেসব কথা মনে হলে
ভীষণ কষ্ট পাই,
বাবা নেই ভাই ছোট
বোন ছোট সাত,
অন্ন বিনা, বস্ত্র হীনা
কাটত দিন রাত।
শহরে এসে টাকা কামাবো
স্বপ্ন ছিল বুকে,
মিথ্যা প্রেম,ছল,প্রতারণায়
ঠাঁই হলো নরকে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম দুই বিখ্যাত ক্রিকেটার কে নিয়ে তাদের জন্মদিন উপলক্ষে
অনাদি মুখার্জী কলমে লেখা দুটি কবিতা
তুমি সেরা খেলোয়াড়
আমার চোখে রিয়েল হিরো মহেন্দ্র সিং ধোনি,
তার খেলা দেখে আমি হতাম খুব খুঁশি !
ভারতের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় ছিলে তুমি ,
অসাধারণ ক্রিকেট খেলায় মাতিয়েছো ভারত ভূমি !
বিশ্বের সেরা বলারদের বলে হাঁকিয়েছো বিশাল ছক্কা ,
বাইশ গজে টিকে থাকতে তাতে পেতাম আমরা ভরসা !
আমরা কি তোমার অবদান ভুলতে কি পারি ?
অধিনায়ক হয়েও দেশ কে জিতিয়ে ছো তুমি !
তুমি ও তোমার সাথি দের হাত ধরে আনলে বিশ্বকাপ ,
ভারতের সন্মান রাখলে ছড়িয়ে পড়ে তোমার নাম!
আজ এই জন্ম দিনে তোমাকে খুব মিস করি,
ভালোবাসার গোলাপ দিয়ে তোমাকে সেলাম করি !
তুমি মহারাজ
বেহেলা ছেলে সৌরভ তুমি
ছিলে বাংলার গৌরভ,
বাতাসে বাতাসে কানে বাজে শুধু তোমার নাম সৌরভ!
1972 সালে এই দিনে তুমি জন্ম নিলে ,
সব সময় মাথা উঁচু করে ভারতীয় দলে এসেছিলে !
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ফিরে এসে বার বার ,
তোমার ঝলসিত ব্যাটে জবাব দিয়েছো বহুবার !
তুমি হলে বাঙালি তাই তোমার জাত চিনিয়েছো ,
সেই লডসের জার্সি খুলে উড়িয়ে তুমি যোগ্য জবাব দিয়েছো !
যখন তুমি হলে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ,
দেখেছে বাঙালি গোটা ভারতীয় হয়েছে আনন্দিত!
বাঁহাতে তুলে ব্যাট চালিয়ে দিয়েছো কত ছক্কা ,
শুধু বাংলার নয় সারা ভারতবর্ষের ছিলে তুমি ভরসা!
ক্রিকেটের পাশাপাশি এখন দাদাগিরি তে আছো ,
বতর্মানে বি ,বি,সি আই এর সভাপতি পদে আজ রয়েছো !
তুমি হলে বাঙালির দাদা হে মহারাজ ,
তোমার এই জন্ম দিনে সাজালাম শব্দ মালার ঝঙ্কার !
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
*** 7 ও 8 জুলাই internet ব্যাবস্থার অসুবিধা এর জন্য উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ প্রকাশিত হয়নি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
© সেক আসাদ আহমেদ
সম্পাদক , উপকণ্ঠ
সমৃদ্ধ পত্রিকা । লেখাগুলো পাঠকের হৃদয় ছোঁয়া ।
উত্তরমুছুন