"উপকণ্ঠ 14 জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-14/07/2020, মঙ্গলবার
সময় :- সন্ধ্যা 7 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
Benimadhab Boys' School
Mahitosh Gayen
Maltibala, Maltibala,I will go to you.
Malatibala,will I ever get back to you,
Malatibala,who are you with now?
Like before,do you dream of me anymore?
Maltibala,Maltibala,your color is black
Secret love was secret, light in the mind,
How much did you give me after seeing the shop?
At that time I understood the irritability of separation.
The henna blossoms in the garden
I can't find happiness even after bathing in the river of beauty,
Then I was in the twelfth grade with joy
The mind without an addressless future.
I like to study in Benimadhab school now
How many people came to read in the evening,
I am now the math teacher huge school house
When l sees a jasmine flower in her bangs, thinks it is that sari.
Maltibala,Maltibala,after a long time
Honestly,she still cries in love,
I told my girlfriend everything about you
That is why there is so much conflict in the heart.
I see you next to me after a long time
Is he your favorite man, is he your groom,
Life filled the mind, tears filled the corners of the eyes
I don't mind sitting at home anymore - Insant is not cutting.
In life I have established, flat cars
Eavesdropping on money, jewels, gold, wife
This river of life, which comes back every night, grazes
No one in the high-family sees the pain of the mind.
That song floats in the moonlight in the middle of the night
Wherever Maltibala goes, the tone is gone,
He wants to return to the rhythm and swear all night
No one gets first love without being ruined.
Gravitation
A Poem by S. Sundar Mondal
Bee, I mask ant for the trance of your honey.
I'm formed dictator on your yellow carpet.
In sprinkled chilli's fire by me
Your all careful stores are squeezed down.
I drink and am sprung into ghoul gradually.
Yet gravitation pulls you towards me
Resultant encourages you to make honey-comb again.
প্রাথমিক শিক্ষাঃ কিছু প্রস্তাব
(অন্তিম পর্ব)
~ রাজা দেবরায় (আগরতলা, ত্রিপুরা)
৬) শ্রদ্ধেয় টিচারদের পড়ানোর বিষয়ে অধিক স্বাধীনতা দিতে হবে ।
৭) শ্রদ্ধেয় টিচারদের নিজ বাড়ি থেকে খুব দূরবর্তী বিদ্যালয়ে যাতায়াতের খরচ সরকার বহন করলে ভালো । যেমন - বাস বা ট্রেনের খরচ ।
৮) স্কুলে অন্যান্য বিষয়গুলোর মতো আর্ট, গান, নাচ, আবৃত্তি, বিভিন্ন খেলাধুলা ইত্যাদি মূল বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হোক ।
৯) সপ্তাহে অন্তত একদিন বা এক পিরিয়ড 'ভাবনা-চর্চা' থাকুক । যেমন বাচ্চাদের বলা হলো - তোমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তুমি কী কী পরিবর্তন করবে বা কী কী সংযোজন করবে যার ফলে স্কুলের আরো ভালো হবে ইত্যাদি । তারা বলবে বা লিখবে ।
১০) প্রত্যেকটি স্টুডেন্টকে সম্মান দিতে হবে ক্লাসে । ক্লাসরুম ডেকোরেটিভ হতে হবে । জল, শৌচালয় ইত্যাদির সুবন্দোবস্ত থাকতে হবে । অসংখ্য টিচিং লার্নিং ম্যাটেরিয়েলস থাকতে হবে । খেলার সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে ।
তবেই উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে ।
পরিশেষে, মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী, সব রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাদপ্তরের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে শ্রদ্ধেয় টিচারদের অমূল্য অভিজ্ঞতা, যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবগুলো যেন লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলো যেন উপযুক্ত মর্যাদা পায় ।।
____________________________________
" টাকা "
______________
হামিদুল ইসলাম।
তাং=14/07/2020
____________________________________
কবিতা বিক্রি হচ্ছে বাজারে
হালকা পাতলা সস্তা দাম
জলের দর
জলের দরে বিক্রি হচ্ছে আমার কবিতারা
উল্টে আমাকেই টাকা ধরিয়ে দিতে হচ্ছে প্রকাশকদের হাতে ।।
বাজার এখন গরম
লেখা আহ্বান করছেন প্রকাশকরা
মাসিক লেখা, সাপ্তাহিক লেখা
এমন কি প্রাত্যহিক লেখা
কবির কাছ থেকে টাকা নিয়ে লেখা কিনছেন তারা ।।
সব লেখাই বিক্রি হচ্ছে জলের দরে
দু একজন আবার ব্যতিক্রমও আছেন
তাঁদের বিবেকে বাধে
তাঁদের মান সম্মান বোধ আছে
সাহিত্যে তাঁরা একটা নতুন কিছু করতে চান ।।
কোন জমানা এসে হাজির!
কবিতা বিক্রি হচ্ছে
কবিও বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন
কেবল টাকার বিনিময়ে
টাকা হলেই এখন সব পাওয়া যায় এখানে
এমন কি বাঘের দুধও ।।
____________________________________
দিঙনাদ
বদরুদ্দোজা শেখু
আকাশটা অন্ধকার হ'য়ে আসে , বর্ষা হবে জোর
মানুষ তৃষিত ভুখা স্বপ্নের আফিমখোর
পুরুষানুক্রমে, বস্তিতে কলহ বাধে, শিশুগুলো কাঁদে,
উলঙ্গ বেহায়া দেহ, গূঢ় গর্জন শুনছি ঘন দিঙনাদে
অবসাদে দেবতাও দয়া ভুলে , জ্বলে দাবানল
মনে মনে-- বনে নয় শুধু ।খুঁজে মধু পরিমল
বিলাসী লোলুপ চোখ । শোক তাপ ভয়
তুচ্ছ হয় ভাসানের বান-জলে,রিক্ত নিরাশ্রয়
শিকড়গুলোতে কাঁদে উন্মূলিত আর্ত বিভীষিকা।
খুড়কুটো আছে কি ধরার মতো ? শত মরীচিকা
দৃশ্যপটে দুলে উঠে, বলাই বাহুল্য।
শিশুরা কাঁদছে কেন ? নাচার উলঙ্গ ঘটে আগুনও দুর্মূল্য !।
তুল্যমূল্য বিচারের সময় এখন নয়, ক্রূর রাজনীতির
সময় এখন নয়, এখন বিপন্নকে উদ্ধার-ব্রতীর
দরকার আর্ত মহল্লায় বস্তিতে ভাসানের চরে,
কান্নাগুলো দিঙনাদে বেজে ওঠে প্রহরে প্রহরে ।।
মাতৃ বন্দনা
বিপ্লব গোস্বামী
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
অশুভ শক্তি নাশিয়া যাহারা
সত্য করিলা জয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
যাহার স্তন্যে বাঁচিয়া নর
মানব মহামানব হয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
সন্তানের কষ্ঠে রাত জাগিয়া
শিয়রে যাহারা রয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
শত যাতনা হাজার লাঞ্ছনা
নীরবে যাহারা সয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
শত বেদনা গোপনে সহে
সন্তানের কথা কয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
যাহার আঁচলে থাকিতে মোদের
নেইতো কোন ভয়।
বরের মায়ের ড্রামা
©মম
বরের মা।
শুধুই করে
বশে রাখার জন্য, ড্রামা।
ছেলে যেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়,
ওমনি মা ধমাস করে
অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
ছেলে যেই ঘর বন্ধ করে
বউকে নিয়ে শুতে যায়,
ওমনি মা চেঁচায়
ওঃ বড্ড যন্ত্রনা মাথায়!
ওরে ও আমার ছেলে!
একটু টিপে দে না রে,
আমার মাথাটা!
তখন মায়ের ছেলে
বউকে ফেলে
মায়ের মাথা টেপে,
দুতালু দিয়ে চেপে চেপে চেপে...
বউটি একদিন
বের হচ্ছে, বাবার বাড়ি যাবে।
বরও সঙ্গে যাবে।
ওমনি শ্বাশুড়ী অজ্ঞান হয়ে গেল।
মেঝেতে ধপাস করে পড়ে গেল।
আর তার একটু পরে
বউটি উঠলো চেঁচিয়ে-
কাঁকড়া বিছে! বিছে! বিছে!
ব্যাস! হা হা হা!!!...
ওমনি শাশুড়ী উঠে পড়লো,
ধড়ফড় করে।
বলল গর্জে উঠে, সব মিছে?
আমার সঙ্গে এ সব? হ্যাঁ!
বউ কিছু না বলে বেরিয়ে গেল।
শাশুড়ির ড্রামাটা গেল
এক্কেবারে কেঁচিয়ে।
এরপর থেকে আর কোনদিনই
শাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে না পড়লো।
"তবে ভুলিবে কি"
নৈর্মিষা প্রামানিক
দিনদিবসে কালের স্রোতে হারাই যদি পথ,
তবে ভুলিবে কি তোমার করা স্বপথ।
ভালোবাসার মায়াজালে বাঁধিবে না আর মোরে,
সেই প্রথম দিনের, প্রথম দেখা, প্রথম আলোর মতো।
স্বাক্ষী করি চন্দ্র-সূর্য-গ্ৰহ-তারা,
অজয়কুলে হাজার স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা,
ছোট্ট নীরের মধ্যে সাজানো সংসার,
তা আমার সোনার ঘর।
ছিন্ন করি চলে যদি যাবে,
পুরানো তবুও নতুন রথে,
কেনো তবে ভালোবাসার তরী করে
আমার অক্ষত যমুনায় ভেসে গেলে।
বরং এসো একই সাথে চলি মোরা,একই সাথে বলি,
একই পথ দেখি মোরা,একই ভালোবাসি।
যাই থেকে ওই টুকটুকে লাল গোলাপ হয়ে,
জানি উষ্ণ প্রেমিক-প্রেমিকার আবার আলাপ হবে।
বর্ষার ছবি
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ
বর্ষা এলে পানিতে ডোবে
পুকুর নদী খাল
মাঠের বুকে শ্যাপলা ফোটে
তোলে খুঁকির দল।
চারিদিকে থৈথৈ পানি
জেলে ধরে মাছ
রাখাল বালক গরু নিয়ে
বর্ষায় মাতে গান।
বর্ষা হলে বীজ রোপন
করতে হবে ভাই
কোদাল হাতে কাঁধে লাঙল
চলেছে চাষির দল।
নদীর বুকে নৌকা চলে
তুলে রঙিন পাল
বৃক্ষ রাজী ফিরে পায়
মুচকি হেসে কই।
আকাশ পানে বৃষ্টি হাসে
জগত যেন ডাকে
সকাল থেকে সন্ধ্যা বেলা
ঘরের কোনে রই।
পিতৃ পুরুষ
মৌসুমী গুহ রায়
মাথার ভেতর আলোড়ন ঘটে। শব্দ বন্ধ রা দিগবিদিগ ছুটতে থাকে।
প্ল্যানচেট করার কথা ভাবতে থাকে মানুষ।
অতৃপ্ত আত্মারা তৃষ্ণার জল খোঁজে।
সন্তানেরা পিতৃপুরুষ দের উদ্দ্যেশ্যে তর্পণ করে।
গঙ্গার ঘাট, হেমন্ত কাল। শিরশিরে হাওয়ায় শোক উঠলে ওঠে।
মানুষের দেহ চিতায় ছাই হয়ে যায়।
মৃত্যু শোক বয়ে আনে। কখনো কখনো মৃত্যু শোক ছোঁয় না মানুষ কে।
প্রস্তুত হয়ে থাকে সে।
মানুষ বৃদ্ধ হয়। বাস্তব জ্ঞান হয় না।
বৃদ্ধা কষ্ট পায় নিজের রুক্ষ ব্যবহারে।
কবির সবার জন্য কষ্ট হয়। শুধু অনুভব করতে পারে কবি।
এ জীবনে নির্লিপ্ত না হলে তার দুঃখ অনিবার্য। সংসারী মানুষেরা এসব বোঝে না।
কবিতা-শরৎ কাল
রুহুল আমিন
শরৎ আসে বাতাসে বেয়ে,
মুহূর্তে কলঙ্ক লুকায় কাশফুল,
রাশি রাশি কামিনীর স্রোত বেলফুলে মেশে।
ভ্রমর আসে ফুলের খোঁজে, কৌতূহলীর চোখে,
ক্লান্ত তার যাত্রাপথ দেশ থেকে দেশান্তরে।
কোকিল পাখি সুর ধরেছে নীল পদ্মের মাঝে,
পানকৌড়ি ডুবসাঁতারে শাপলাতে খেলে,
বিন্দু বিন্দু বেদনার মেঘ জল ছিটিয়ে হাসে।
পূব আকাশে সূর্য ওঠে রক্ত রাঙা হয়ে,
দুই কাফেতে শিশির ঢালি শরতের আহ্বানে,
সাদা হাসির প্লাবন মেশে কাশফুলের অন্তরে।
আকাশি রঙের জামদানি শাড়ি পড়ে মেঘ,
তার পাড়ে সূর্যি মামা জ্বলে।
বেলফুলের সৌন্দর্য মেশে জ্যোৎস্নার আলোতে,
নদীর ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে,
শরীরের সব যন্ত্রনা শরতে যায় মিশে।
কবিতা : নিঃসঙ্গতা !
বিশ্বজিৎ কর
হ্যাঁ,এখনও আমার জ্বর হয়!
শরীরের অতিরিক্ত উষ্ণতা বোধ হয় -
আসলে, আমার শীতলতা চুরি হয়!
এখনও কবিতা লিখি তোমাকে নিয়ে,
মেকি ভালবাসায় বিদ্ধ হয়ে!
নীরবতায় কষ্ট পেয়ে,
কবিতাগুলো রক্তাল্পতায় ভোগে!
বেপরোয়া হতে মন চায় -
বোধ ফিরিয়ে আনতে,তোমার!
তুমি এখন নিরালায় থাকো,
আমার উষ্ণতা চুরি করে।
উপকন্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
......................................
ঘ্রানেন অর্ধ ভোজনম"(রম্যগল্প)
লেখনীতে:ইন্দ্রাণী দও
আরে মশাই দিন না!দিন!!!;কে বারন করেছে বলুন তো?বাড়িটাকে চিনের প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলুন নইলে কর্তা আর গিন্নি মিলে একে অপরের নাকদুটি হালকা করে কেটে দিন তো বাপু!আমার বাড়ির ফোড়নের গন্ধ যেদিকে খুশি সেদিকেই যাবে..... বলে রাখলুম.!!!এই বলেই হন্তদন্ত হয়ে চললেন এক হাত চওড়া ভুঁড়ি নিয়ে গোবর্ধনবাবু।
খানিক পা এগোতেই পিছন দিয়ে নন্দুবাবু বললেন ,আরে যান যান,দেখে নেবো ,আপনাদের পুরো পরিবার কে যদি কৃষ্ণের জন্মস্থান না ঘুরিয়ে এনেছি তো এই পড়াতেই আর থাকবো না!
দেখি কার এতো খ্যামতা!!সরিয়ে দেখাক দেখি!আমার সবকটা বালতি ভর্তি না হলে কল আমি ছাড়াবো না.............এদিকে গোবর্ধনবাবুর গিন্নি সকাল সকাল গলায় শান্ দেওয়ার অভ্যেসটা নন্দুবাবুর গিন্নির সাথেই সারেন।নন্দুগিন্নিও নাছোরবান্দা মহিলা,শাড়িটাকে কোমরে গুঁজে হস্তির ন্যায় চেহারা নিয়ে গবু বাবুর পাঠকাটি গিন্নির শরীরে পিছন দিয়ে এমন এক ঠ্যালা দিলো যে পাঁচ হাত দূরে বালতির জল নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল!!!!ইতিমধ্যে দুই বাড়ির কর্তা এসে হাজির.।।।।।।।গবুবাবু স্ত্রীর উপর গুরুতর আক্রমন হয়েছে নির্ঘাত বুঝে একখানা মুড়ো ঝাঁটা বউ এর হাত দিয়ে বললো "Attack"...গিন্নি!!!!!দুই কর্তা-গিন্নিরে পিটাইয়া যমলোকে পাঠিয়ে দেও তো!!!!অতি উৎসাহিত হয়ে গবুগিন্নি ঝাঁটার মার গিয়ে পড়লো নিতুখুড়ির মুখে!তারপর এক তুলকালাম কান্ড!অঘোষিত যুদ্ধ বেধে গেল!!!যৌবন কালে নিতুখুড়ির সাথে মুখ লাগানোর দুঃসাহস কেউ দেখাতো না!
পাড়ার সকলে এই দুই প্রতিবেশীর সাপে-নেউলের সম্পর্কের কথা জানলেও ;কি কারনে এত অনাবশ্যক হানাহানি সেই রহস্যের পর্দা উন্মোচন করার প্রয়োজনীয়তা এযাবৎ কাল কেউ অনুভব করেনি।কে জানে হবে হয়তো একি ক্ষনে,শত্রুতা লগ্নে দুই পড়শির ধরাধামে আগমন!!!!
এদের জ্বালায় পাড়ার মায়া ত্যাগ করে কাকচিলেরাও অন্য স্থানে বহুদিন আগেই চলে গেছে।তবে পাড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ এই দুই প্রতিবেশী আজকাল আর কেউ কারো ছায়া পেরোয় না খুব একটা।
নন্দুনাল বাবুর একমাত্র ,উচ্চ শিক্ষিতা,সুন্দরী কন্যার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে ,পাত্র বেশ নামকরা বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত ;গাড়ি-বাড়ি র অভাব নেই। ।সারা এলাকা আলোতে সজ্জিত...সকলে আমন্ত্রিত ;শুধু বাধ পড়েছে লিস্টি দিয়ে গোবর্ধনবাবুর পরিবার।!তাতে অবশ্য গবুবাবুর খুব একটা যায়-আসে না!;ঠিক করেই রেখেছেন তিনিও ছেলের বিয়েতে সাত পাড়ার লোক কে গলা অবধি খাওয়াবেন শুধু ওই একটি পরিবার কে বাদ দিয়ে ।
ব্যস্ততা তুঙ্গে নন্দু পরিবারে;গোধূলিলগ্ন প্রায় আসন্ন....বিবাহ বাসর সানাই এর সুরে মুখরিত....আপ্যায়নের কোন খামতি রাখেন নি।সকল আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের আসা শুরু......
ওদিক গোবর্ধনবাবু খোশমেজাজে কাপে শেষ চুমুক দিয়ে ;গুনগুন করে গান গাইছেন ..."মন জানালা খুলে দে বাতাস লাগুগ প্রানে"হঠাৎ জানালার কাছে উকিঁচুকি দিয়ে দেখলেন নন্দুবাবুর বাড়িতে কিছু একটা ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে!!!! কৌতুহলবশত এর ওর কাছ থেকে জানতে পারলো পাত্র নাকি সন্ধ্যে থেকে বেপাত্তা!ছেলে নাকি যৌতুক হিসেবে মোটা টাকা,সোনার চেন;আংটি অনেক কিছুই নিয়ে ছিল আর পাত্র বিদেশে কর্মরত শুনেই নন্দুবাবুর বিচার বুদ্ধ লোপ পেয়ে এই যৌতুকের প্রতিবাদ না করে আনন্দে আটখানা হয়ে রাজি হয়ে গেছেন কন্যা দান করতে! আর এখন সে চমপট দিয়েছে !!আর কি করবেন নন্দু বাবুর তো মাথায় হাত!এত আয়োজন,খরচ খরচা;তারপর কিছু পুরাতনপন্থি মানুষের লগ্নভ্রষ্টা শব্দটির ব্যবহার মেয়ের নামের পাশে....এসব ভেবেই দাপুটে নন্দুবাবু একদম চুপ করে গেছেন যদিও তার স্বদেশী কন্যাটি বিদেশী পাত্রটিকে মোটেই পচ্ছন্দ করেন নি;বাবার মন রাখতেই অগত্যা........।নন্দুবাবুর গলুবলু গিন্নি তো বরপক্ষের কেউ আসবে না শুনে পাছে এই গরমে এতগুলা রসমালাইনের ভবিষ্যতের কথা গভীর ভাবে কিছুক্ষন চিন্তা কইরা নিজেই টপাটপ সাবাড় করা শুরু করলেন!!!!!
গোবর্ধন বাবুর ছেলে সবটা জেনে দু হাতে বাবা মাকে ধরে বললেন___নন্দুকাকু না আমাদের প্রতিবেশী!এর অর্থ জানো??কাছাকাছি...যারা সব বিপদে কাছাকাছি বা পাশাপাশি থাকে!পুরনো সব বিবাদ ভুলে চলো আমরা যাই আর আমি.......গোবুবাবু আর তার গিন্নি তার ছেলের ইচ্ছে বুঝতে পারলেন অতিসহজেই!!!!তারা সকলে বিবাহ আসরে এসে নন্দুবাবুকে বললেন ছেলে আমার বিদেশি নয় কিন্তু এরকম সুপাত্র স্বদেশে কিংবা বিদেশে আপনার দ্বারা খুঁজে পাওয়া বড্ড চাপের!কি বলো গিন্নি!!!!নন্দুবাবু চোখের জল মুছে বললো...."চুলোয় যাক বিদেশি;হোক না জামাই দেশি;কজনের বা ভাগ্যে জোটে এরম প্রতিবেশী!!" কই সব সানাই আরো জোরে বাজাও....প্যাপ্যপ্যাপা.......!!!!!নন্দুবাবুর গিন্নি তখন ও প্রায় রসমালাই খাওয়া সম্পন্ন করতে পারে নাই!!!!
মধুর এলো সমাপনে!!!অবশেষে দুই পরিবারের দীর্ঘ বিবাদ চার হাত মিলনের আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল...........বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণ চলছে.....এরমাঝে গোবর্ধন বাবু নন্দুবাবুর কানে গিয়ে আস্তে করে বললেন........"কি মশাই বলি এবার আপনার মেয়ের রান্নার ফোড়নের গন্ধ গেলে অসুবিধা নেই তো?????????নন্দুবাবু একটি লাজুক মুখেই বললেন .....কি যে বলেন....এবার দিয়ে আপনাদের খাবারে আমাদের ও অর্ধেক ভোজন.....!!!!গবুবাবু বললেন ঠিক বুঝলুম না...মানে????নন্দুবাবুর গিন্নি শেষ রসমালাই টা মুখে পুরে পাশ দিয়ে বললেন.............."ঘ্রানেন অর্ধ ভোজনম"।
হাহাহাহাহা!!!
(সমাপ্ত)
0 comments: