সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 06/07/2020

       
          "উপকণ্ঠ 06 জুলাই সংখ্যা "
           "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)
        প্রকাশ কাল:-06/07/2020, সোমবার
                    সময় :- বিকাল 3 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
         
         আজকে যারা কলম ধরেছেন
ইংরেজি কবিতা:-
    সিদ্ধার্থ সিংহ, শ্যাম সুন্দর মন্ডল

প্রবন্ধ:- 
      রাজা দেবরায়,  তৃণা মুখার্জী
অনুগল্প:-  
       আব্দুল রাহাজ
কবিতা:-
      বিমান প্রামানিক, বিপ্লব গোস্বামী, 
      তাপস বর্মন, হামিদুল ইসলাম
কাব্যগ্রন্থ সমালোচনা:- 
         সেক আসাদ আহমেদ
  কাব্যগ্রন্থ:- নীল মলাটের খামের চিঠি
   কবি - ইউসুফ মোল্লা
      

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥


     Bite with venoms
                 ✒✒✒  Siddhartha Singha
one can not step out so much waterfully

who has planted where the sapling of pear basket
after spreading the paddy who has hold the basket string hiding
after much cooking whose eyes are heavy with sleep just now

one can not step out after so much calculation..

if the foot tramples the tail, bite with venoms.

🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

       আরো সচেতনতা দরকার !
    ✒✒✒ রাজা দেবরায়
ইদানীং একটি ছবি ভাইরাল । একজন মহিলা শাড়ি ও নীচে হাফ প্যান্ট পরে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন, এরকম একটি ছবি ট্রোলড হচ্ছে খুব ।

আমরা যারা সমাজ সচেতন নাগরিক (কবি, গল্পকার, সাহিত্যিক বা লেখক ইত্যাদি) আছি, আমাদের বিষয়টা বন্ধুবান্ধবদের বোঝাতে হবে তারা যেন এগুলো শেয়ার না করে ।

আর বিষয়টা খুবই সহজ । শুধু বোঝার চেষ্টা করতে হবে মাত্র ।

কারোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে চলে এলো বলেই আমি সেই ছবি শেয়ার করার অনুমতি পেয়ে গেলাম, বিষয়টি এরকম নয় । কেউ অনুমতি নিয়ে বা না নিয়েও যদি মুখ সহ ছবি পোস্ট করে মজা করার জন্য, তাহলে সেই ছবি আমিও শেয়ার করার অনুমতি পেয়ে যাই নি । যার ছবি তার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা অনুচিত ।

ধরুন, কেউ তার স্বামীর মজার ছবি বা স্ত্রীর মজার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিলো । তার মানে এই নয় যে আমরা সেই ছবি বিনা অনুমতিতে শেয়ার করার ছাড়পত্র পেয়ে গেলাম । শেয়ার করতে ইচ্ছে করলে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই সেই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে ।

অনেকের বিষয়টি বুঝতে একটু অস্পষ্টতা ছিলো, তাই বোঝানোর চেষ্টা করলাম । ভুল কিছু বলে থাকলে মার্জনা করবেন ।।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

                       Mirror
      A poem by S. Sundar Mondal 

We had a mirror in dinning. It is there till now. Though its colour has become ripe and grow
It has never forgotten to reflect from inner.
My grandpa saw himself on the mirror daily.
My papa also.I also saw myself on his breast.
And the mirror did never forget to reflect.
Now, my son sees himself on the mirror,
And this time too the mirror doesn’t forget.
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
বিভাগ- প্রবন্ধ 
লেখিকা - তৃণা মুখার্জী
শিরোনাম- একটু , অন্য রকম 
 'জানি না আমি আধুনিক ছিলাম
নাকি ওরা আমাকে আধুনিক করলো '
চলতে চলতে অনেকটা বছর কাটলো, নানান অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় হলো‌ । এখনো হয়তো ঝুলি পরিপূর্ণ হতে অনেক দেরী। এখনো পদোন্নতি হয়নি আমার।এমন গতানুগতিক জীবনে একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। আশেপাশে নিষ্পাপ কিছু শিশুর সংস্পর্শে এসে নিজেকে চেনার সুযোগটা হঠাৎ করেই হাতে এলো । প্রথম প্রথম একটু দোলাচলে ছিলাম নিজেকে গুটিয়ে রাখব, নাকি মিশে যাবো ওদের জগতে। ভাবনায় নিমজ্জিত হলো মন। কিন্তু ভাবনাটাকে বেশি পাত্তা দিলে ,সে আবার আমার মাথায় উঠে নেত্য শুরু করে দেয় ,তাই বেরিয়ে পড়লাম ওদের সঙ্গে, ওদের জগতকে চিনতে। এতদিনকার, বড় হয়ে ওঠার জগতের সঙ্গে যেন নিজেকে মানাতে পারছিলাম না । হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । তাই সামাজিক বিরতির সঙ্গে সঙ্গে ‌ নিজের মনের বিরতিটাও নিয়ে ফেললাম । এই তো সুযোগ । দৌড়ানো ও চলমান জগতের প্রতিযোগিতায় এই তো সুযোগ পাওয়া গেছে। একে হাতছাড়া করলে হয়তো মনটা সারা জীবনের জন্য আর আমার বশ মানতে চাইবে না। ওদের জগত টা একটু আলাদা। ওরা ওদের ভাষায় কথা বলে। আমাদের তথাকথিত আধুনিক ভাষা ওদের লাগেনা । আধো ভাষা, নিষ্পাপ স্বর আর পবিত্র চাওনি। আর কিছু লাগে না ওদের। বেড়াতে বেড়াতে ওদের আবেগের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। অনেক অবাঞ্ছিত কথা , যেগুলি বড় ও আধুনিক মানুষেরা পাত্তা দেয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, ওদের কথার মারপ্যাঁচ নেই বলেই হয়তো আমার সঙ্গে ওদের এত ভাব।আমিও যে কঠিন ভাষা, কঠিন শব্দ বুনতে পারি না । ওদের জগতকে মানিয়ে নিতে আমার এক মিনিট সময় লাগল না।হাসি, ঠাট্টা ,ছোটাছুটি গান ,কবিতা ,এমনকি রাস্তার মাঝখানে নাচ ও করে ফেললাম ওদের সঙ্গে ।বিকাল ঠিক পাঁচটায় ওরা আসে আমার কাছে ।আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে বলে- ‌' কি রে তুই জানিস না, আমরা বেড়াতে যাব। তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস '। উঠে পড়ি , ওই সুন্দর, পবিত্র ,আন্তরিক ডাক শুনে। এই ডাকে কোনো প্রলোভন নেই। রাস্তায় আমি যখন হাঁটি, আমার পিছন পিছন ছোট্ট ছোট্ট পা রাও হেঁটে বেড়ায় । পড়ে গেলে ‌'লাগেনি' বলে নিজেরাই জামা পরিষ্কার করে। সত্যিই ওদের জগত অনেক আলাদা। হয়তো এখন এমন এক সংকটময় পরিস্থিতি, যেখানে আমরা মানব জাতিরা নিজেদেরকে আধুনিক ও উন্নত করার লড়াইয়ে এতোটাই ডুবিয়ে রেখেছি যে, ওদের ডাক আমাদের কানে এসে পৌঁছায় না। খেলার মাঠ পড়ে থাকে। বল, ব্যাট আর সেই ছোট্ট ছোট্ট নিষ্পাপ মন গুলো পড়ার চাপে হারিয়ে যায়। ওদের হাসফাসানি আমাদের মত স্বার্থপর মানুষের চিৎকার চাপা পড়ে যায়। আমরা লক্ষ্য করি না ওদের। ওরাও রাস্তায় হাত ধরে চলার সময় ওদেরই ছোট্ট বন্ধুকে আধো গলাই বলে- 'কাঁদিস না ,আমি তোকে বাড়ি পৌঁছে দেব। কে শিখিয়েছে ওদের এতো আন্তরিকতা ? কেউ না। ওরা শেখে আমাদের দেখে। আমরা ওদের সামনে খারাপ চরিত্রটাকে তুলে ধরি ,চাপিয়ে দি বোঝা । বোঝার ভারেও ওরা বলতে পারে না, আর পারছি না ,এবার আমাকে একটু খেলতে দাও ।আমিও মিশে গেলাম ওদের সাথে, ওদের সমাজে ।ওরা আমাকে আধুনিক করল পোশাকে নয়, আচরণে।


🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

অনুগল্প
এক চিলতে হাসি 
       আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল পড়ন্ত বিকেল ভুবন আর সুরেশ পাশের গ্রাম মণিরামপুরে বেড়াতে গেলো প্রকৃতির মহামায়া পরিবেশে গ্রামটি ছিল এক প্রতীক।আমরা হেঁটে হেঁটে যেতে গিয়ে দেখলাম সেখানকার মানুষগুলো অভাবের তাড়নায় তাকিয়ে আছে পথের দিকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খাদ্যের অভাবে অপুষ্টির শিকার ভুবন আর সুরেশ সেই অবস্থা দেখে তাদের চোখে অশ্রু ঝরে পড়তে থাকে। তখন ওরা এক গাছ তলায় বসে কিছুক্ষণ ভাবল সুরেশ বলল এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে চল আর দেরি করা যাবে না আমাদের কাজে লেগে পড়তে হবে কাল বিকালে আমরা আসবো কিছু খাবার নিয়ে।ওরা বাড়ি এসে তাদের জমানো টাকা যা ছিল তাই দিয়ে কিছু খাবার কিনে পরের দিন বিকাল বেলা মনিরামপুরে হাজির হলো গ্রামের মানুষগুলো ঘিরে ধরে তাদের খাবার দেখে অত্যন্ত আনন্দ হলো ওদের চাল ডাল আলু তেল এসব হাতে পেয়েই তাদেরকে এক চিলতে হাসি ফুটেছিলো তা ভুবন ও সুরেশের কাছে এবং প্রকৃতির মায়ের কাছে এক অনন্য রূপে উদ্ভাসিত হয়েছিল।


🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
     শ্রমজীবী সমাজ
                বিমান প্রামানিক
  


হে বিশ্ববাসী! তোমারে সেলাম
আজকে শ্রমদিবসে তাদের প্রণাম।
যারা চিরকাল শুধু বঞ্চনার শিকার
কখনও পাইনা তারা নায্য অধিকার।
বিধাতার কি করুন সৃষ্টি!

সারা বিশ্বময় রয়েছে ছড়িয়ে যত শ্রমজীবী
তাদের শ্রমের মুল্য দিতে কি আমরা ভাবি?
নিজের আখের গোছানো হলেই ব্যাস!
পালিয়ে যায় আপন পথে, তাদের করে হতাশ।
আমাদের মানবিকতা কোথায়?

ইট ভাটার শ্রমিক বন্ধু, কিংবা কারখানার
ততক্ষনই ভালোবাসী, যতক্ষণ তাকে দরকার।
ঠিক তার পরেই ভুলে যায় তার যত অবদান,
পারিশ্রমিক চাইলে পরে, করি তাদের অপমান।
আমাদের মানসিকতা এমনই?

বারবার কেন আমরা ভুলে যায়?
আমরাও তো শ্রমিক, তারা একা নয়।
তাহলে কেন তাদের প্রতি অবহেলা?
আমাদের সুখের আশায় তাদের এগিয়ে চলা।
এটাই কি স্বাধীনতা?

গ্রাম থেকে শহর জুড়ে কত শ্রমিক ভাইএর বাস
অবহেলার পদতলে পদদলিত তারা বারোমাস।
যত সভ্যতা সৃষ্টির কারিগর তারাই,
অথচ একটুও জায়গা হয়নি ইতিহাসের পাতায়।
এমনই আমাদের ইতিহাস।

অর্থের অহংকারে আমরা সবকিছু ভুলে গেছি
অর্থ আসে কার পরশ্ পেয়ে মনে কি রেখেছি?
আমাদের বিলাসিতায় তাদের করি অবহেলা?
শ্রমিকের অবদানে আমরা সুখি চারবেলা।
একথা ভোলার নয়।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

              খোকন সোনা
                   বিপ্লব গোস্বামী
সকাল সন্ধ‍্যে খোকন সোনা
নিয়ম করে পড়তে বসে,
বাংলা,বিজ্ঞান,সমাজ,ভূগল
ধারাপাত আর অঙ্ক কষে।

রোজ বিকেলে খোকন সোনা
সখার সনে খেলতে যায়,
ঊষা কালে শয‍্যা ছাড়ে
ব‍্যায়াম করে মুক্ত বায়।

স্কুল কখনো করে না কামাই
স্কুলে যায় সে প্রতিদিন,
সাগর দেখতে বাবার সাথে
ঘুরতে যায় ছুটির দিন।

নিত‍্য পড়া নিত‍্য শিখে
লেখাপড়ায় নেই তো হেলা,
রুটিন মাপিক জীবন যাপন
লেখা,পড়া,ঘুরা,খেলা।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
   
          সুজন তুমি আসবে কবে?
                 তাপস বর্মন

তোমার আসায় পথ চেয়ে রই
    আসবে তুমি কবে?
ও পারেতে আঁধার নামে
    সূর্য গেছে ডুবে।
এক ফালি চাঁদ শান্তনা দেয়
    ম্লান আলো ছড়িয়ে,
অভিমানরা খস খস করে
   ঘাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে।
ছলাৎ ছলাৎ নেই তটিনীর
   আমার দুঃখে দুঃখী,
সুজন তুমি কবে এসে
    করবে আমায় সুখী?
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
       
                 " পায়ে পায়ে "
              হামিদুল ইসলাম।
           

তোমার সাথে পথ হেঁটেছি
কাশ্মীর থেকে কন‍্যাকুমারী
হে কন‍্যা ! তোমার মুখে এখনো নকল মুখ
কথার ছলনায় ধরে ফেলি মনের বিস্তার ।।

সুপ্ত রজনী পায়ে পায়ে হেঁটে আসে
গভীর আঁধারে ভরে দুকূল
ইতিহাস ভুলে যাই
পথের মাঝে আটকে যায় পথ
মনেতে আগুন জ্বলে ওঠে সর্বনাশা ব‍্যথাতুর ।।

ঈশ্বরের পৃথিবী ভাগ করে নিই
আপন আপন অংশ নিয়ে দাঙা চিরন্তন
হাতের নাঙা অসি গ্রাস করে রক্তের ময়াল তৃষা
বিদেশ বিভুঁইয়ে জীবন
তবু ধরে রাখি শ্বাস দিব‍্য চরাচর ।।

হৃদয়ে গাঁথি প্রতিবিম্বের মারণ পাহাড়
পূজোর নৈবেদ‍্যি ছুড়ে দিই
প্রতিমার পায়ে
মৃত‍্যু অবধারিত
জীবন মৃত‍্যুর পায়ে পায়ে ফিরে আসে বিক্ষুব্ধ নিশুতি রাত ।।
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

কাব্যগ্রন্থ সমালোচনা 👇👇👇

         নীল মলাটের খামের চিঠি
                ইউসুফ মোল্লা
            বর্ণিক প্রকাশনী
                 ৫০.০০
       প্রচ্ছদ :- মৌমিতা মজুমদার

" কিছুই ফেলিনা আমি, 
এমনকি সিনেমার টিকিট মুড়ির ঠোঙা
তাই যত্ন করে খোলা থাক নীল মলাটের খামের চিঠি। "
কিছুটা আদর মাখানো আবেগের মধ্য দিয়ে প্রেমের অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে তরুণ কবি 'ইউসুফ মোল্লা' এর কাব্যগ্রন্থ " নীল মলাটের খামের চিঠি " তে।
বিরহের ভাষায় প্রেমের কথা বলেছেন, নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন -
" তবুও তোমার শরীরীগন্ধ আমাকে বাঁচতে শেখায়"
"বর্ণিক প্রকাশনী" থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ "নীল মলাটের খামের চিঠি" তে মোট 31 টি কবিতা রয়েছে। বেশিরভাগ কবিতা গুলি প্রেমকেদ্রিক আবেগে বিরহের আবহে মাখা।
এছাড়াও কাস্তে কবি দীনেশ দাস ও সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী কে উৎসর্গিত কবিতা দুটি ও সুখপাঠ্য।
কল্পনার আঙিনায় সামাজিকতার বাস্তব রূপ তুলে ধরেছেন। সমাজের নোংরামির বিরুদ্ধে বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কবিতা গুলি এককথায় অন্যবদ্য। সর্বোপরি বইটির প্রচ্ছদ নামকরণের সাথে মাননসই।
 শুধু স্মৃতি নয়, বাস্তবের কলমও কবির কবিতায় ছুঁয়ে গেছে। আশা করছি বইটি একবারে নিঃশেষ না করে থাকতে পারবেন না। বইটি নিতে যোগাযোগ করুন এই হোয়াটসঅ্যাপে-8436871092 

   




কবি পরিচিতি:- 
                ইউসুফ মোল্লা

জন্ম ১৯৯০ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং-এ। বর্তমানে ঝাঁপবেড়িয়া হাইস্কুলের ডেপুটেট শিক্ষক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ,এম.এ.(প্রথম শ্রেণী), বি.এড.(প্রথম শ্রেণী) । "বাংলার পাঠাভ্যাস" নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের ক্রিয়েটর। নিজস্ব নামে একটি ব্লগ আছে, যেখানে বাংলা সাহিত্যের নানা গবেষণাধর্মী লেখা পোস্ট করা হয়। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ট্যাংরাখালী হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকার সহযোগিতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "কৃত্তিবাস" পত্রিকায় "হাঁদাভোঁদা" নামে একটি ছড়া প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যে প্রবেশ। তারপর একে একে দেশ, আনন্দবাজার, একদিন, প্রতিদিন, কলম, বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখে চলেছে। "বর্ণিক" এবং "স্বপ্ন সন্ধানী" নামে দুটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক। ছড়ার জন্য জেলার প্রথম হওয়াতে "অজগর সন্মান" দেওয়া হয়েছে। "মনোজ মিত্র: পাখি" এবং "থার্ড থিয়েটারে বাদল সরকার" নামক দুটি বই প্রকাশ। বাংলা উইকিপিডিয়ায় নিয়মিত লেখালেখির জন্য "উইকি পদক" পদক লাভ। কবিতার পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, ডায়েরি, নাটক নানাধারায় নিয়মিত লিখে চলেছেন। যৌথ সম্পাদনায় অনেক বই প্রকাশ করতে চলেছেন।

        আলোচক - সেক আসাদ আহমেদ


🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥

       © সেক আসাদ আহমেদ
         সম্পাদক উপকণ্ঠ
   গাংপুরা সাগরেশ্বর রামনগর পূর্ব মেদিনীপুর
  তাং- 06/07/2020


0 comments: