"উপকণ্ঠ 05 জুলাই সংখ্যা "
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন
প্রকাশকাল:- 05/07/2020, রবিবার
সম্পাদক:- সেক আসাদ আহমেদ
মুঠোফোন:- 9593043577
Let me be lost
By Siddhartha Singha
don't mark me out separate
don't mark me out by offering beautiful chair in the middle of the platform
don't mark out by building protective belt
don't mark out by focussing the camera
don't mark me out separately
Let me be just be lost in the crowd of the fair.
Poem
A stroll
- The Calcuttaman
A stroll down the cliffside
Will show you many things ...
The flowers blooming in bliss
Hear the birds ' chirpings...
The hill beckons, I must go
Hadn't been there a while;
I want to discover myself,
By travelling the extra mile!..
Don't miss me, o lonely hill..
I will answer your call
I still can see the hilly houses
Lighting up after nightfall !!
Suicide
by Sabir Ahmed
The tired atmosphere of the day spread,
Its arms and legs,still resting its head,
On the morning lazy pillow.
To the field with plows farmers go.
The silence of the soily smell breaking,
Someone has taken the song of relatives-losing.
Sun of the sun has just fallen,
In the chest,holding the unspoken pain;
Leaving his little daughters and son,
Silently crossing a mile,with a thick cord in hand;
By trees the secluded place is surrounded,
Illusions of life,grey dreams of surviving,
Had forgotten himself by hanging.
Leaving his torn shoes on trampled grasses,
He had drunk with his full-hearted,
To be elixir the suiside.
He hanged himself in the gap of hard branches.
May be, the poor passed away to wince,
Slowly with a pale appearance.
That day,his hanging,numb and blood frozen ;
Body by mosquitoes and flies was not eaten.
Now he is freed from,
The shadow of cursed smoke of mundane atom.
Birds,insects and trees of the field,
Prevented him from committed suicide.
The blind,dumb,black society,
Sees still the irony of fate's history.
The blood stained clothes of corpse,
Soaked by the loved one's tears,
Hundreds of thousands of lives are being lost,
In the womb of social stigma,insult,
And family squabbles,ah for a little fault !
Life is a journey not a destination !
It is for ecstasy not to by itself for destruction !
That life is this heart- language
Mahitosh Gayen
What do you need
Going to a different life!That was pretty good, tireless walking,
Backpacks, college hoaxes, hidden noon-pictures,
Eating cigarettes and puffs,on the way back
Looking for Trinayani Bhramar here and there.
What do you need
Going to another life!
In other life there is sorrow, there is suffering, there is happiness,
There is responsibility, there is politics and there is society,change of daysThere is violence, there is love, there is love, there is deception, there is murder, there is suffering.
That life was good, there was peace, there was happiness,There was a touch of sunny in the evening coaching class, with open hair on the back, the smell of woodpeckers.
The language of the eyes, in the land of poetry and sleep,
At the end of the night, looking for heart-palash, bakulmala ...That's pretty good,generous heart-language.
বাবুই পাখির বাসা
ছোটগল্প
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট্ট গ্রামে তুহিন আরফিন লাল্টু আর গোপাল থাকতো ওরা সবাই এবছর গ্রামের পাঠশালায় তৃতীয় শ্রেণীতে উঠেছে ওরা সবাই একসাথে খেলাধুলা করে পড়াশোনা করে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করে সবাই বেশ ভালো। তারা গ্রামের পশ্চিম দিকে একটা ছোট্ট মাঠ ছিল সেখানে শুধু গাছ আর গাছ সেখানে খেলা করতো ওরা প্রত্যেকদিন স্কুল ছুটির শেষে তাদের খেলা করার জায়গা ছিল সেখানে সবাই মিলে হৈ হৈ করতো দৌড়োদৌড়ি খেলা করতো ভালই কাটে ওদের দিনগুলি। একদিন তুহিন পুকুরপাড়ের গাছে একটা পাখির বাসা দেখলো তুহিন বুঝতে পারছিল না ওটা কিসের বাসা তুহিন আরফিন লাল্টু আর গোপাল ডাক দিলো ওরা ওইদিকে একটা ছোট্ট ঘর বানাচ্ছিল খড়কুটো দিয়ে ডাক শুনেই বলল আসছি আসছি। ওরা দৌড়ে এসে কিরে তুহিন কি হয়েছে তুহিন বলল দেখ দেখ তালগাছে ওটা কিসের বাসা রে আরফিন লাল্টু একটানা ফিরে রইল বুঝতে পারছি না তারপর গোপাল বলল আরে ওটা তো বাবুই পাখির বাসা সত্যিই হ্যাঁ আমার মামার বাড়ি দিনাজপুরে সেখানে এইসব বাবুই পাখির বাসা থেকে শুরু করে অনেক পাখি বাসা আছে আমি দেখেছি দেখ দেখ কি সুন্দর তাই না ওরা বেশ আনন্দে ফেটে পড়েছিল আরফিন তো নাচ শুরু করলো। তুহিন বলল আমরা বাসাটিকে দেখাশুনা করব বাবুই পাখির পুঁচকে বাচ্চাকে দেখাশোনা করব আচ্ছা তাই হবে। এদিকে বাবুই পাখি বাসায় ফিরল প্রায় কালো অন্ধকার নেমে এসেছে বাবুই পাখি তাদের দেখে একটু মুচকি হেসে দিল এদিকে তুহিন বললো বলে উঠলো আমাদের বন্ধু হবে বাবুই পাখি বলল হ্যাঁ আচ্ছা লাল্টু বলল আমরা এখানে খেলা করি তোমার বাসা আমরা রক্ষা করে রাখবো। বাবা কি কথা বলতে শুরু করল হ্যাঁ তুমি কথা বলো তুমি যে পাখি আরে আমি তো তোদের বন্ধু পুরো কিচির মা আমার মুখ খুলে দিয়েছে তাহলে তো বেশ হবে এদিকে ওরা বাবুই পাখিকে বলল আজ আমরা চলি সন্ধ্যা নেমে আসছে যাও কাল আসবে তো তোমাদের অপেক্ষায় থাকবো ঠিক আছে ওরা পা চালিয়ে হাটতে হাটতে বলল কি অদ্ভুত না আমাদের একটা নতুন বন্ধু পাখি হলো আবার কথা বলে। এদিকে লাল্টু বলল কাল পাঁচশালা হয়ে পুজোর ছুটি না হ্যাঁ তুহিন বলল এটাতো আমরা জানতাম না তাহলে তো ভালই হবে একসাথে চুটিয়ে খেলা যাবে ওরা যে যার বাড়িতে চলে গেল। হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে পাঠশালার পড়াগুলো তৈরি করল তুহিন গোপাল আরফিন এদিকে রাতের খাবার খেয়ে ওরা সবাই ঘুমাতে গেল। আরফিন ভোরবেলা উঠে বাবার সাথে মাঠে যাচ্ছিলো সেখানে বাবুই পাখির সাথে দেখা হল বললো কোথায় যাচ্ছো আরফিন বাবুই তুমি এখানে এই একটু খাবারের খোঁজে আসা আজকে যাবে তো হ্যাঁ যাবো আমি চলি আচ্ছা। ঘড়িতে তখন বেলা দশটা ওরা সবাই দিঘির ঘাট থেকে স্নান সেরে তড়িঘড়ি মুখে দিয়ে ওরা সবাই চলে গেল স্কুলে ফিরে আসার পথে তাদের সেই খালার স্থানে চলে গেল তখন প্রায় পড়ন্ত বিকেল ওরা প্রথমে যে ঘর বানিয়ে ছিল সেখানে কিছুক্ষণ খেলা করে তারা চলে গেল বাবুই পাখির বাসার কাছে দেখল এক অনন্য দৃশ্য তা দেখে ওরা আপ্লুত হয়ে উঠল। দৃশ্যটি ছিল বাবুই পাখির বাসায় দুইজন অতিথি এসেছে একেবারে ছোট ছোট তাদের কিচিরমিচির শব্দে প্রকৃতি যেন কোন স্বাদ পেয়েছিল। আস্তে আস্তে তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে প্রতিদিন খেলা করত ওখানে বাবুই পাখির খুবই আনন্দ হতো। এদিকে স্কুল ছুটি বলে ওরা সবাই সারাদিন খেলা করতো একদিন রাতে সেই পরিমাণে ঝড় উঠলো চারিদিকে গাছপালায় উতাল পাতাল করছে আরফিন লাল্টু এদের বাড়ি একেবারে পাশাপাশি। লাল্টু দের বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় রাত কাটানোর জন্য এসেছে আরফিন দের বাড়ি লালটু বললো কি জানি বাবা বাবুই পাখির বাসা কেমন আছে এরপর কাকভোরে আরফিন লাল্টু গোপালদের ডেকে নিয়ে তাদের সেই খেলার স্থানে চলে গেল সবাই দেখলো খরকুটোর বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ওরা দৌড়ে গেল তাল গাছের দিকে দেখে বাবুই পাখির বাসা গাছ থেকে পড়ে গেছে আর বাবুই পাখি সদ্যোজাত পুচকে গুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে ওরা তাদের কাছে গিয়ে দেখে মৃত্যু হয়েছেন তাদের আরফিন দের ও তাঁর বন্ধুদের খুব মন খারাপ। ওরা চার জন বন্ধু ওই তাল গাছের গুঁড়ির কাছে তাদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করল ওরা কান্না করতে করতে বাবুইপাখির জন্মানো ফুটফুটে ছানাদের কবর দিলো এইভাবে ওই স্থানে যে খেলাধুলা হতো তা ওরা নাম দিল বাবুই পাখির বাসার মাঠ। এইভাবে প্রকৃতির লীলাখেলায় মায়া কোলের মাঝে বাবুই পাখির সমাধি পড়ে রইল। যা আরফিন তুহিন লাল্টু গোপাল দের কাছে তাদের শৈশব কালের খেলার স্মৃতি হয়ে থাকবে তাদের মনের মাঝে। আর যতদিন এই সবুজ ভরা পৃথিবীর মায়া কোলে বাঁচবে তাদের এই বাবুর পাখির বাসা এক অন্যরকম স্মৃতি হয়ে থাকবে তাদের কাছে।
সুনামি
শোভা মন্ডল
ভয়ঙ্কর এক সুনামি এসে নাড়িয়ে দিয়ে গেল আপাদমস্তক ,
যে জীবন সজ্জিত ছিল ফুলের বাসরে,
বদলে গেল মুহুর্তেই , কন্টক শয্যায় ।
আনন্দের মুহূর্ত আর করেনা উদ্বেলিত,
দুঃখ পারেনা, ভাঙতে আমায়, সোনার তরণী ডুবে গেছে, ভাসবে না আর নীল যমুনায় ।
কথা দিলাম
বিশ্বজিৎ কর
আমার খেয়ালখুশির জগতে তোমার আমন্ত্রণ রইল!
সাথী হলে হতাশ হবে না-
একরাশ স্বস্তি আঁচল ভরে নিতে পারবে!
এখানে সুখ বাতাস হয়ে শিহরণ জাগায়,
ভাবনাগুলো গাছের ফলের মতো মিষ্টতা দেয়,
অনুশোচনা বৃষ্টি হয়ে ঝরে যায়,
ব্যর্থতা এখানে বিদ্যুতের ঝলকানি হিসাবে দেখা দেয়,
হতাশা এখানে ঝোড়ো বাতাস হয়ে উড়ে যায়,
দুঃখ এখানে জীবনের অর্থ বোঝায়,
প্রেম এখানে ফুলের সৌরভ দেয়!
তুমি একবার এসো, নিরাশ হবে না! কথা দিলাম!
বর্ষা
বিপ্লব গোস্বামী
আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা ঋতু
ফুটে নানা ফুল,
যৌবনেতে মেতে উঠে নদী
ভাঙে তার দু-কূল।
পেখম তুলে ময়ূর নাচে
ছন্দে তালে তালে,
বাউল গানে মজে মাঝি
নাও ধরে পালে।
বর্ষা কালে কবির মনে
ছন্দ তালের ঢেউ,
কাব্য পদ্যের অঝর ধারা
দেখে না তো কেউ।
সাহিত্যের বাসর
হামিদুল ইসলাম
মনের ভেতর
সাহিত্যের বাসর
কবিতাগুলো সাজাই ।।
কবিতার জগৎ
ভিন্ন স্বাদ
পড়ে থাকে জীবনের লাটাই ।।
তুলে আনি তাদের
বসতে দিই
পাতানো শোফায় ।।
রঙ বেরঙের জীবন
রামধনু যেনো
গুঁজে দিই ফুল কবিতার খোঁপায় ।।
মস্তবড়ো কোনো এক
রূপসী সে
ঠিক যেনো মল্লিকা দাস ।।
কবিতার লাইনে প্রতিদিন
সাজাই তাকে
তবু থাকে পরবাস ।।
হৃদয় তার রাতের আকাশ
তাকে নিয়ে লিখি
প্রতিদিন হিসেবের খাতায় ।।
হিসেব মেলে না কিছুতেই
বিদ্রোহ করে কবিতারা
হৃদয়ের পাতায় ।।
ও মেয়ে
রুহুল আমিন
ও মেয়ে তুই কাঁদিস কেনো
গায়ের রং কালো বলে বুঝি?
নাকি তেপান্তরের প্রান্তে হাত ছেড়েছি বলে?
যদি তোকে নিয়ে গগন পেড়িয়ে,
মহাকাশে দিতে চাই পাড়ি
তুই কি যাবি, যাবি আমার সাথে?
টগর, দোপাটি, বেল দিয়ে সাজাবো সে কুটির,
নতুন করে ঘর বাঁধবো শক্ত বাসের শিকলে।
বৃষ্টি হয়ে ঝড়বো আমি ছোট্ট নদীর বুকে,
আমি গ্রীষ্মের উত্তপ্ত রৌদ্র হয়ে,
মুছবো তোর আঁখি দুটি, তুই যাবি আমার সাথে?
সুখের নাকের দোলায় দুলছে ঘাসফুল,
হু-হু করে বাতাস বইছে তেপান্তরের শূন্য মাঠে,
ভিজে মেঘে দুঃখ মেশে অনন্তকালের প্রতিক্ষায়।
ও মেয়ে তুই কাঁদিস কেনো,
গায়ের রং কালো বলে বুঝি?
0 comments: