বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 23/07/2020

 

       "উপকণ্ঠ 23জুলাই সংখ্যা "
          "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-23/07/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇






  Sword and the monkey
                          Siddhartha Singha
Never put a sword in the hand of a monkey

how the sun reflect on the sword
he is charmed and watch all the morning
he wants to test what can be cut down by that
so make blows at random on plants and tree brunches
he has open sword in his hand, so nobody even mumbles in protest
he enters abruptly this or that house, pluck banana or radish, eat and throw away

Never put a sword in the hand of a monkey

if you must, then before thus please at least once sit in meditation.







বৃষ্টি ভিজে গোলাপ কুঁড়ি
                    রঞ্জনা রায়

 অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম শীতল রাতের অন্ধকারে
 ভোরের আলো ধরেনি হাত সূর্য দেখার অবসরে।
 নিয়ম চাকায় ঘুরছে জীবন লক্ষ সুতোয় গ্রন্থি বাঁধা
 ছলচাতুরির মুন্সিয়ানায় সাদা চোখে লাগে ধাঁধা।
 সকাল দেখার ইচ্ছেগুলো মর্ম হিয়ার মধ্যিখানে 
চুপ কথারই বসত গড়ে অতল কালোর ঘূর্ণি টানে।
 দুরবিনে যে চোখ রেখেছি খুঁজছি একটা স্বপ্ন ঘুড়ি
 আগুন হয়ে জ্বলছে শুধু বৃষ্টি ভিজে গোলাপ কুঁড়ি।




    জননী তোমার জন্য
                               বিমান প্রামানিক

আজকে সবার পড়েছে মনে আপন জননীর কথা,
তাই তো সবাই করছে পালন মাতৃদিবস।
কিন্তু দেখি এ ধরায় অনেক মাতা পায় দুঃখ ব্যথা
সন্তান সকল কি গিয়েছে ভুলে মায়ের পরশ্ ?
সারা বছর পেরিয়ে যায়, মায়ের খেয়াল নেই
অধম সন্তান যত নিজের ব্যস্ততায় অজুহাতে
মায়ের কাছে থেকেও যেন মুখ ফিরিয়ে নেয়
আর এদিনেই যত ভালোবাসা, ছবিও মায়ের সাথে।
মাতৃদিবস পালনে যদি মায়ের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে,
মায়ের জন্য আসন পেতে রাখি তবে হৃদ মাঝারে
হোক পালন তবে প্রতিদিন সবার ঘরে ঘরে।
কোনো মাকে তবে আর যেন ডুবতে না হয় দুঃখ সাগরে।







বিভাগ -ছোটগল্প
                     অন্য মা
                              তৃণা মুখার্জী
........….
 অনেকদিন থেকেই মনমরা অমিত। ছেলে আজ পাঁচ বছরে পড়ল। এতদিন ঘরে বসে বসে দিন কাটছিল তার। অনেক দিন পর আজ সকালে ছেলের জন্য বাজার থেকে একটা কেক আনতে‌ গেল। এবারের জন্মদিনে তেমন ধুম নেই, শুধু ওই কেক টুকু ছাড়া। কাজেও অনেকদিন যায়নি অমিত, তাতে দিন কাটেনা এমনটাও নয় কিছু জমি আছে , তাতে যা হয় সংসার ভালোই চলে। বাড়ি ফিরতেই বউ ধমক দিল।
-- কাউকে কিছু না বলে কোন আক্কেলে বাজারে গেছো তুমি।(বলল অমিতের বৌ)
-- আরে কিছু হবে না বলল অমিত।
 --আমি ঠিক আছি বলে, ছেলেকে হাঁক দিল। বাবার হাতে কেক দেখে বাবু মানে ,অমিতের একমাত্র ছেলে হাসি আনার চেষ্টা করলো।
--- আয়, কেকটা কাট । দাদু ঠাকুমা কই ?ওদের ডাক, অমিত বলল।
-- ওরা তো চাঁদা তুলতে গেছে বাবা বললো বাবু। --এইতো এসে গেছি বলতে বলতেই অমিতের বাবা ঘরে ঢুকলো।
 সবাই মিলে কেক কাটা হল। অন্যবারের মতো রবি ,লতা ,কনা, সাহেব কেউ নেই ।কেক‌ খেয়ে বাবু বাইরে খেলতে গেল।
অমিত বাবাকে জিজ্ঞাসা করল -- কত টাকা উঠল আজ?
-- গ্ৰামের মানুষ ভালো , অনেকেই সাহায্য করেছে, মনে হচ্ছে হয়ে যাবে বলল বাবা কিন্তু চিন্তা তো অন্য জায়গায় ,এখনও ডোনার পাওয়া যায়নি।
চিন্তার ছাপ সবার চোখে।রাত জেগে অনেক কিছু ভাবে অমিত ।কত স্বপ্ন ,কত ইচ্ছা ভিড় করে আসে। কষ্ট হয় কিন্তু প্রকাশ করে না। সব কিছুকে প্রাণভরে উপভোগ করার চেষ্টা করে। সময় হয়তো কম তাই ঘড়ি দেখা এখন নিছক হাস্যকর। বাঁচা আর মরার দ্বন্দ্বে হারবে না ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে। এখন‌ দেরি করেই ওঠে অমিত। সকালে ঘুম ভেঙ্গে অনেক গলার স্বর শুনতে পায়। স্বরগুলো যে আনন্দের তা বুঝতে পারছে । আজ সাতমাস এমন আনন্দের স্বর শোনা যায়নি এই বাড়িতে। সবাই এলো বাইরের ঘর থেকে অমিতের কাছে।
-- দেখ কে এসেছে বলল বাবা ।
অমিত চিনতে পারল তার অন্য মাকে। ছোট থেকে পিসিকেই অন্য মা বলে ডাকত। পিসির কাছেও অমিত ছিল নিজের সন্তানের থেকেও আপন। যোগাযোগ নেই অনেকদিন ।বিয়েতেও আসেনি অন্য মা। রাগ করেছিল অমিতের ওপরে। ভেবেছিল নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অমিতের বিয়ে দেবে ,কিছুই হয়নি। এতদিন পর অন্য মাকে দেখে কেঁদে ফেলল অমিত। অন্য মার কোলটা কি নিজের, কি আপন । মনের সব কষ্ট দূর হয়ে গেল ।
---আমি বাঁচবো না অন্য মা, বলল অমিত ।
--আমি বেঁচে থাকতে তুই মরবি ,এটা আমি হতে দেব না, অন্য মা বলল।
-- (হেসে) আর পারবেনা, এতদিনকার ঘর, আসোনি বলে জঙ পড়ে গেছে বলল অমিত।
--সেই জঙে তেল দিয়ে, পরিষ্কার করে আবার তাকে বাসযোগ্য করে তুলবো ....অন্য মা বলল। --অমিত ,আমি একটা কিডনি তোকে দেবো বলে ঠিক করেছি অন্য মা বলল।
--বললেই তো দেওয়া যাবে না, অনেক ব্যাপার আছে, অমিত বলল ।
-- জানি অনেক ব্যাপার কিন্তু এও জানি আমিই দেব । তোকে নতুন জন্ম দিয়ে আসল মা হওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করব না। অন্য মা ছিলাম এবার নিজের মা হব......বলল অন্য মা।
 .......…......
হ্যাঁ , অমিতের সঙ্গে অন্য মার কিডনি ম্যাচ হয়েছিল। অমিত এখন সুস্থ , জীবনটা যে কত মূল্যবান এখন সে জানে।
আর অন্য মা?
শুনেছিলাম ,তার অবস্থা নাকি খুব খারাপ। হয়তো বাঁচবেন না। যদি মরে যান তাহলে তার আর একটা কিডনিও যেন অমিত পায় সে কথা বলে গেছেন । এই কদিন অমিত তাকে শুধুই মা বলে ডেকেছে। শুধুই মা, অন্য মা নয়।






এক বনের কথা
(ছোট গল্প)
            আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট পাহাড় তার গাঁ ঘেঁসে একটা ছোট্ট বন ছিল নাম তার গোলপাতার বন কারন এখানে গোল পাতার গাছ বেশি ছিল তাই এর বনের নাম গোলপাতার বন। চারিদিকে নির্জন শান্ত পরিবেশ সবুজে রাঙানো বন প্রকৃতির ছায়াতলে নীল আকাশের নীচে রয়েছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর এখানে ওই বনের মধ্যে সাঁওতাল ও মুন্ডা আদিবাসী মানুষেরা বসবাস করতো সুখে শান্তিতে একটা আলাদা সমাজ পরিবেশ সৃষ্টি করে ওরা বসবাস করছে যুগ যুগ ধরে । এই বন ওদের মায়ের মতো ওরা এই বনকে প্রানের চেয়েও ভালোবাসে একে ওপরের পারস্পারিক মেলবন্ধন পারস্পারিক সম্পর্ক ছিল দেখার মতো তাদের সংস্কৃতি যেন এক অন্য মাত্রায় উপাস্থপন করতো এই বন নিজের চোখে সব সময় উপভোগ করতো আর তার মনকে শান্ত রাখতো এইসব মানুষগুলোর বিপদে আপদে সাহায্য করতো । একবার দুলাই চন্ডি ভগত চন্ডি দুই বন্ধু এই বনের ইতিহাস জানতে ইচ্ছা করলো ওরা বিকাল বেলায় নিম গাছের মগ ডালে বসে গান গাইছে ওরে আমার মন এই বনের ইতিহাস জানতে চাইরে এ এ জানতে চাইরে এ এ ওরা দেখতে পেল একটা বৃদ্ধা মানুষ বনের ভিতরে একা একা থাকে তার কাছে জিজ্ঞেস করলে কি হয় দুলাই হ্যাঁ তো ঠিক বলেছিস কিন্তু এখন তো সন্ধ্যা নামবে চল কাল সকালে আসবো আচ্ছা তাই হবে এবার ওরা বাড়ি এসে সরেন মান্ডি টুডুদের সব কথা বললো ওরা হ্যাঁ হ্যাঁ যাবো তাহলে তোরা সবাই কাল সকালে সিধু কানু ক্লাবের ওখানে চলে আয় একসাথে যাবো পরেরদিন সকালে সবাই দশটা নাগাদ রওনা দিল দাদুর বাড়িতে বনের ইতিহাস শুনবে বলে ওরা দাদুর কুটিরে যাওয়া মাএই এক পলকে দাদু আমাদের দিকে দেখল চাপা গলায় বললো কি চাও তোমরা দুলাই চন্ডি বললো বনের ইতিহাস জানতে যায় হো হো হো করে হেসে উঠলো তাই তাহলে এসো এসো বসো এটাই তো আমি চেয়েছিলাম বনের ইতিহাসের কথা কেউ জানুক সবাই কে একটু বনের মধু খেতে দিলো খাওয়া দাওয়ার পর গোল ভাবে বসে দাদু এবার গল্প শুরু করলো
এক আমি বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে পড়েছিলাম তারপর পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখি এই বন আমি বনের মধ্যে ঢুকলাম কী বৈচিত্র্য সবুজ রাঙানো আমি এখানে থেকে গেলাম তখন বনের ভিতর গাছপালা ফাঁকা ফাঁকা ছিল এখন তো অপরূপ দৃশ্য ডাকাত দল বনের গাছ কাটছে কিন্ত মজার ব্যাপার হলো যত কুঠারের আঘাত হানে ততই যেন গাছের ছাল ওঠেনা ওরা বাধ্য হয়ে ফিরে যায় আমি দেখলাম অদ্ভুত ভাবে গাছ জন্মাতে দেখা যায় এই ছিল ছোট্ট বনের ইতিহাস প্রথম পর্যায়ে এই বন ছিল পাথুরে এলাকা প্রকৃতির লীলাখেলায় এই অদ্ভুত বন গড়ে ওঠে এই ইতিহাস শুনে ওরা সবাই সবাই হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরে গ্ৰামের লোকের সামনে সব বলে তারপর বনকে আগলে রাখে মনে প্রানে এই বন হয়ে ওঠে তাদের কাছে প্রান চলার পথে সাথি এই বনকে আঁকড়ে ধরে এক মনোরম পরিবেশ নিয়ে বেঁচে থাকে প্রকৃতির মায়ের কোলে আজীবন। এই বন তাদের সঙ্গী হয়ে তাদের মনে প্রাণে।





💐💐দীনবন্ধু💐💐

          ✍✍ শাশ্বতী দাস

      "হ‍্যাঁরে, এই মেয়েটা কেরে?" " কার কথা বলছিস! কোন মেয়ে?" অরূপের কথায় একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করে পার্থ।
     
        "আরে ঐ মেয়েটা, ঐ যে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছে, সাইকেলের দুদিকে বড় বড় ভারী বাজারের ব‍্যাগ ঝোলানো! ব‍্যাগ ভর্তি মনে হচ্ছে প্রচুর জিনিসপত্র আছে। দেখতে পাচ্ছিস না?" একটু বিরক্ত হয়েই বলে অরূপ। এইবার পার্থ লক্ষ‍্য করে বলে," হ‍্যাঁ, তাইতো। একেতো এর আগে দেখিনি কখনও।"

         " না কিছুদিন যাবৎ দেখছি। দু চারদিন পর পর এই ভারী ভারী ব‍্যাগ সাইকেলে নিয়ে পাড়ায় আসে। কিছু কিছু বাড়ি যায়। "

        অরূপের কথায় অবাক হয়ে পার্থ বলে, "তাই নাকি? কই আগে বলিসনিতো!"

         " হুঁ, বলা হয় নি।আরে ঐ দেখ, মালা মাসিমার বাড়ি ঢুকলো মেয়েটা। চলতো দেখি কি ব‍্যাপার।" বলেই অরূপ এগোতে যায়। পার্থ ওর হাত ধরে থামিয়ে দেয়। " দাঁড়া অরূপ, এখন যাস না। মেয়েটা বেড়িয়ে যাক, তারপর সোজা গিয়ে মালা মাসিমার বাড়ি ঢুকে যাবো মেসোমশাইয়ের খোঁজখবর নেওয়ার ছুতোয়।" "ঠিক আছে।" পার্থর কথায় সম্মতি জানায় অরূপ।

         মিনিট দশেক পরে মালা মাসিমার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় মেয়েটি। অরূপ আর পার্থও তক্কে তক্কেই ছিল। মেয়েটি বেড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মালা মাসিমার বাড়িতে ঢোকে ওরা। " মেসোমশাই কেমন আছেন মাসিমা?" অরূপ জিজ্ঞেস করে। মালা মাসিমা রান্নাঘরে কিছু করছিলেন। হাত মুছতে মুছতে বেড়িয়ে এসে যুগলমূর্তি দেখে একটু অবাক হয়েই বলেন, "তোমরা কি ব‍্যাপার!"

          " এই এলাম আপনাদের খোঁজখবর নিতে। কেন মাসিমা, আসতে নেই?" বলতে বলতে অরূপ দ্রুত একবার চোখ বুলিয়ে নেয় ঘরের ভেতর। "কেন আসতে নেই বাবা, নিশ্চয়ই আসতে হয়। তবে তোমরাতো এর আগে কখনও এমন খোঁজখবর নিতে আসোনি কোনোদিন, তাই জিজ্ঞেস করলাম। তা বোসো বাবারা, এখানে বোসো।" " আসলে মাসিমা এই লকডাউনের মধ্যে আপনারা কেমন আছেন, আপনাদের কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা এসব জানতেই এসেছিলাম আমরা।" ভাঙা তক্তপোশে বসতে বসতে বলে পার্থ।

          " না বাবা এখন আর কোনো কিছুর তেমন প্রয়োজন নেই আমাদের। খুব অসুবিধেয় পড়েছিলাম প্রথম দিকে। বোঝোইতো আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। তোমার মেসোমশাই অসুস্থ। তিনকূলে এমন কেউ নেই আমাদের যে একটু সাহায্য করে। ভগবান ভালো করুক এই সীমার। আজ ওরজন‍্যই আমাদের আর কোনোও অসুবিধা নেই।" একশ্বাসে এতগুলো কথা বলে একটু দম নেন মাসিমা।

         " সীমা! সীমা কে মাসিমা? আপনাদের মেয়ে?" অরূপ একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করে। "না না বাবা। মেয়ে না। ভগবানতো সে সুখ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন আমাদের। তবে সীমা আমার মেয়ের থেকেও অনেক বেশি। আজ আমার পেটের মেয়েও হয়তো আমাদের জন্য এতোটা করতো না, সীমা যা করছে।আর শুধু আমাদের জন্যেই কেন, আমাদের মতো অসহায় সব মানুষের জন্যেই সীমা যা করছে, তা কোনোদিন ভোলার না। "

         " আচ্ছা! তা কে এই সীমা? আর কী এমনইবা সে করছে আপনাদের মতো সকলের জন্য!" পার্থ প্রশ্ন করে।

          " সীমা পাশের পাড়ায় থাকে। সেও আমাদের মতোই দিন আনে দিন খায়। স্বামীটা টোটো চালাতো, এই লকডাউনে আজ প্রায় দুমাস বাড়িতে বসা। ত্রাণের দয়ায় সংসার চালায়। কিন্তু এর মধ্যেই শুধু নিজের কথা সে ভাবেনি। সারাদিন যেখানে ত্রাণ দেওেয়ার খবর পায়, সেখানেই সাইকেল নিয়ে ছুটে যায়। তারপর সেই ত্রাণের চাল, ডাল, আলু পৌঁছে দেয় আমাদের মতো যারা তেমন হাঁটতে চলতে পারে না, দূরে দূরে যেতে পারেনা ত্রাণ নিতে, তাদের বাড়িতে। আজ ওর জন্যেই আমরা দুবেলা দুমুঠো খেতে পাই বাবা। না হলে আজ আমাদের এই বুড়োবুড়ি দুটোকে না খেয়ে মরতে হোতো।

          "আচ্ছা!! তার মানে এই ত্রাণের চাল, ডাল এসব ও আপনাদের কাছে বিক্রি করে তাইতো? তা বেশ তা বেশ, এতে আপনাদের মতো অসহায় মানুষের দু বেলা দু মুঠো অন্ন সংস্থানও হয়, আর এই লকডাউনের বাজারে ঐ সীমারও দু পয়সা রোজগার হয়। বাঃ বেশ বুদ্ধিমতি মেয়ে!!!" কথাগুলো একটু তাচ্ছিল্য ভরেই বলে পার্থ।

         " না না বাবা, এসব কি বলছো!! বিক্রি করবে কেন! আর বিক্রি করলে আমরা কিনবইবা কি করে!! তোমার মেসোমশাইতো আজ দু বছর হোলো বিছানায়। স্টেশনের ধারে রোজ একটু ফুল, বেলপাতা নিয়ে বসতাম তাতেই যা রোজগার হোতো বুড়ো বুড়ির কোনোমতে চলে যেত। যেদিন থেকে এই লকডাউন শুরু হল, সব বন্ধ হয়ে গেল। হাতেতো একটা পয়সা নেই বাবা, চাল, ডাল কিনবো কোথা থেকে!!!" বলতে বলতে গলা বুঁজে আসে বৃদ্ধার। " তাহলে?" আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করে অরূপ।

         "সীমা এই ত্রাণের চাল, ডাল আমাদের মতো অসহায় মানুষদের বিলি করে। সারাদিন ধরে কাছে,দূরে যেখানে যা পায়, নিজেদের প্রয়োজনের সামান্য কিছু রেখে সব ঘুরে ঘুরে আমাদের মতো মানুষদের বিলি করে। ও যে আমাদের ভগবান, আমাদের দীনবন্ধু।" বলতে বলতে দু হাত কপালে ঠেকান মাসিমা। আনন্দে, আবেগে বৃদ্ধার ম্লান মুখটা কেমন যেন জ্বলজ্বল করে ওঠে।

           অরূপ আর পার্থর মাথা নুয়ে আসে লজ্জায় নিজেদের স্বার্থপর চিন্তার জন্য।






গদ্য
আমার চোখে স্বাধীনতা
               অগ্নিমিত্র

  স্বাধীনতার মানে কী?
 আমার মতে স্বাধীনতা মানে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারা ; নিজের মতামত নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারা । কোন অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা । ..আজ সত্তর বছর পর কি আমরা সত্যিই স্বাধীন?
  স্বাধীনতা মানে কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা নয় , লোককে লাগামছাড়া ভাবে উত্যক্ত করা নয়।
  স্বাধীনতার মানে দায়িত্ব, নৈতিকতাবোধ! ..শুধু পতাকা ওড়ানো আর ভাষণ রাখা বা শোনা স্বাধীনতা নয় ।
  একলা অন্ধকার রাস্তায় যুবতীর শ্লীলতাহানি করা বা তার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারা স্বাধীনতা নয়, মনোবিকার । তেমনি ঈর্ষান্বিত হয়ে অন্যের ক্ষতি করতে যাওয়া বা করে যাওয়াও স্বাধীনতা নয়, মানসিক অসুস্থতা মাত্র! সঠিক স্বাধীনতা কাকে বলে, বুঝতে গেলে আগে পরোপকারী, সৎ ও সুশৃঙ্খল হতে হবে ! .. সত্যিই আমরা স্বাধীন না বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, ভাবতে হবে! ...
   হয়তো আমার এই ভাবনা সবার ভালো লাগবে না; হয়তো তা একটু বেশি ভাবাবেগপূর্ণ!






          নতুন পৃথিবী
                              পার্থ প্রতিম হালদার

তোমার সেইসব ইচ্ছে গুলো কখনও কি
নতুন করে তোমাকে ভাবিয়ে তোলে ।
নাকি নতুন পৃথিবীর চাপে গেছ সব ভুলে।
খুব জানতে ইচ্ছে করে। ভাবতে ইচ্ছে করে ,
তোমার সঙ্গে কাটানো সেই সুন্দর মুহুর্ত গুলো ,
স্মৃতি গুলো , যা আমার মনের মধ্যে নিত্য
আসা - যাওয়া করে।
এমন করে অনেক ক্ষণ ধরে , ভাবতে ভাবতে
কোন এক আবেগ ঘণ মুহূর্তে কানে বেজে ওঠে
তোমার গভীর সেই নিশ্বাস, বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস -
যা আমাকে , এখনও পাগল করে তোলে ।

তবুও মনে হয় , এত বছরের পরিচয়েও তুমি
এখনও কত অজানা, কত অচেনা ।
কত বছর হয়ে গেল, ফেসবুকে দেখা ছাড়া
তোমাকে আর দেখতেও পাই না। তাই ইচ্ছে হয়
জোর গলায় বলতে, আমার প্রতি তোমার ভালবাসা আদর কখনই ছিল না । নাহলে এই পৃথিবী ছেড়ে
অন্য পৃথিবীর দিকে কখনও যেতেও চাইতে না।

কিন্তু মনকে সান্ত্বনা দিই
প্রাণ ভরে, এই বলে - তুমি আছো
বছরের পর বছর ধরে , আমার হৃদয় জুড়ে ।
আবার কখনও মনে হয়, তুমি বদলে গেছো , ভুলে গেছো আমাকে । নতুন পৃথিবীর মায়ায়
দূরে সরে গিয়ে , তুমি আছো হাসি খুশি তে
ভরপুর হয়ে। তোমার মুখে নেই তাই আগের মতো বেদনার হাসি। কিন্তু আমি সেই আগের মতোই আছি।
নিজেকে বদলাই নি ।
বদলাই নি আমার পৃথিবী টা কে।
তবে কেন জানি না এখন করে , মাঝে মধ্যে
নতুন পৃথিবীর মায়া আমাকেও যে হাতছানি দিয়ে
ডাকে বারে বারে । হয়তো এই নতুন পৃথিবীর মায়ায় আমিও ভেসে যাবো একদিন । সেদিন সহ্য করতে পারবে তো ? তাই ভাবি , বসে বসে সারাদিন।






লিমেরিক
                শংকর হালদার

লিমেরিক-০১

মশক দিয়ে গড়বো আমি মস্ত সেনাদল
কামান বন্দুক চাইনা ড্রোন চাইনা বাহুবল ।
ঘরে আছে এ্যানোফিলিস
আছে কিউলেক্স আর এডিস,
এদের নিয়ে ভাবছি বসে পৃথিবী জয়ের কৌশল ।

লিমেরিক-০২

দাঁত নেই রক্ত চুষে জীবাণু দিয়ে যায়
মরে মরুক বাঁচে বাঁচুক বলো কার দায় ?
তাদের কামোড়ে মানুষ মরে
দাঁত নেই কেমন করে !
আজব নয় সত্যি খবর ভেবে দ্যাখো ভাই ।





মায়ের দেওয়া শিক্ষা
                   বিপ্লব গোস্বামী
মায়ের কাছে শিক্ষা পেলাম
সত‍্য কথা বলতে,
অসৎ সঙ্গ ত‍্যাগ করে
সৎ পথে চলতে।

মায়ের কাছে শিক্ষা পেলাম
শিক্ষা গুরু ভজতে,
মানী জনে মান দিতে
সত‍্য নিষ্ঠায় মজতে।

মায়ের কাছে শিক্ষা পেলাম
স্বচ্ছ হয়ে থাকতে,
ঘর,দোর,বিদ‍্যালয় গৃহ
সাফ সাফাই রাখতে।

মায়ের কাছে শিক্ষা পেলাম
স্বাস্থ‍্য বিধি মানতে,
যোগ,ব‍্যায়াম,শরীর চর্চা
নিয়ম নীতি জানতে।

মায়ের কাছে শিক্ষা পেলাম
দীনের দুঃখ বুঝতে,
অসহায়,আর্তে সাহায‍্য করতে
অশুভের সাথে যোধতে।






কল্পনা শক্তি
           মৌসুমী গুহ রায়


নাম না জানা লতা, গাছ গুলোকে ঢেকে দিয়েছে।
গাছের পাতা গুলো হলুদ, লতানো গাছের শরীরে কালো ছোপ, শীর্ণ, বাঁকা অংশ। কেমন ভয় লাগে।
কল্পনা শক্তি জমাট বাঁধে, ভয় দেখায়।

কবির অনেক সমস‍্যা। কল্পনাশক্তি টেনে নিয়ে যায় অন্ধকারে। কালো ছোপ দাগ, আম গাছের বাঁকা ডাল, গোবর, কাদা, শেওলা এসব মনের মধ‍্যে অন্ধকার ও ভয় সৃষ্টি করে। কবি অসহায় বোধ করে।

ভগবান যেন একটু একটু করে আমাকে ঘটনার দিকে ঠেলে দেন। আমি ডায়েরি ও পেন নিয়ে বসি। মনের অবস্থা, মাথায় আসা শব্দ নিয়ে কবিতা লিখি। মন পরিষ্কার হয়। ঈশ্বর কি এই চান ? হয়ত তাই। বুঝতে পারিনি।
                 






প্রিয় বন্ধু
      সত্যব্রত ধর

আমার সেই বন্ধু আর নেই...
যার সাথে অনেক আড্ডা হতো রোজ।
দিনের শেষে সন্ধ্যা নামলে বসতাম দুজনে।
রোজ খাচ্ছি, কাজ করছি, ডিপ্রেশনে ভুগছি,
কিন্তু শান্ত হ বলে কাঁধে হাত রাখা সে আর নেই!
আমার সেই বন্ধু আর নেই...
বিপদে পড়লে ছুটে যেতাম, একে অপরের কাছে।
দুজন দুজনকে ভরসা দিতাম,
গোপন সব গল্প শেয়ার করতাম।
আমার ফ্রাসট্রেশনের ওষুধ নিয়ে যত্ন করে বলত,
সব ঠিক হবে একদিন এগিয়ে যা।
আমার সেই বন্ধু আর নেই...
হাজারো যন্ত্রণা গুলো যার কাছে জমা রাখতাম,
আর ফিরিয়ে নিতাম ভালোবাসা।
যার ফোন আসত রোজ, আর বাজে না সে ফোন!
সে হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে মারণ অসুখে।
সবাইকে কাঁদিয়ে একা করে দিয়ে সে ফিরে গেছে।
আমার সেই বন্ধু আর নেই...





ইনবক্স
দেবাশীষ সরখেল

রুমির ফোনে দেবপ্রিয় র মেসেজ/ মেসেজটা ভালোনা। লিখেছে, সে নাকি প্রায়শই রাতে স্বপ্নে রুমিকে স্নানঘরে দ্যাখে। রুমির কাছেই এই সমস্যার সমাধান চেয়েছে।
রুমি অন্ততঃ দশজন বান্ধবীকে মেসেজটা ফরওয়ার্ড করেছে। দ্যাখ না, দেবপ্রিয় র কান্ড।
দেবপ্রিয় ব্রাইট। মাল্টিন্যাশনাল এ আছে। মোরওভার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সলিড।
মেয়ে বন্ধুরা অনেকেই এরকম কনফার্ম সিগন্যাল প্রত্যাশা করে। রুমির মেসেজ তাদের হতাশ করে দিল।
দেবপ্রিয় কে লিখলো, এরকম আর কক্ষনো পাঠিও না। যা বলার সামনে বা ইনবক্সে বলো।
রুমির গোপন ইচ্ছে দুজনেরই প্রোফাইলে লেখা হোক, ইন এ রিলেশনশীপ।






                      " খবর "
               
                 হামিদুল ইসলাম


ফিরে আসি জীবন তীরে
ইতিহাসের নদী
পেরিয়ে যাই জীবন রেখা বরাবর
ভাবি স্বপ্নগুলো ফিরে আসে যদি ।

সে স্বপ্নগুলো আর ফিরে আসে না
আসে না এখন
এ জীবন বয়ে বেড়াই তবু
মাতলার জলে ভেসে যায় খরাক্লিষ্ট মন ।

কাকে সান্ত্বনা দেবো
কে আমার আপন জন
সংসারে কাউকে পাই না কোনোদিন
যে হতে পারে আমার বিশ্বাস ভাজন ।

অতিকষ্টে ফিরে আসি বাড়ি
পড়ে থাকে মাতলা দূরে বহুদূরে
 হৃদয়ে জমে ওঠে মেঘ
এক ঘর ছেড়ে আসি আর এক ঘরে ।


মনের মাঝে আজ ভীতি
আতঙ্কের ঝড়
মাতলার বন‍্যায় ভাসে ঘর বাড়ি
আদতে মাতলায় বন‍্যা আসে নি, মিথ‍্যে খবর।






কবিতা
             আকাশ ও আমি!
                              বিশ্বজিৎ কর

আকাশ সেদিন বলল -
ভাবো কখন আমার কথা?
আমার উত্তর অকপটে -
পাই যখন মনে ব্যথা!
আকাশ চাইল জানতে -
কি পাও আমায় ভেবে,
বললাম খোলা মনে -
তুমিই যে শান্তি দেবে!
আকাশ শুধায় বিস্ময়ে-
কি দেখ আমার দিকে?
আন্তরিক জবাব আমার -
খুঁজি আজও বাবা-মা'কে!






তুমি বিহনে
  রাহাত জামিল
তুমি বিহনে এ শহর আঁধার।
এখন আর সন্ধ্যা-প্রদীপ
জ্বলে না, সন্ধ্যা হলে এ গৃহে।

তুমি বিহনে এ শহর নিস্তব্ধ।
প্রাকসন্ধ্যায় পাখিদের কোলাহলে,
নিঝুম এ শহর আজ ভীষণ শান্ত।

তুমি বিহনে এ শহর নিরালা।
ব্যস্তময় জগতের বিশাল জনপদে,
নিঃসঙ্গ এ জীবন আজ ভীষন একলা।

তুমি বিহনে এ শহর নিস্পন্দ
রাতের আঁধারে,ভীষণ নিস্তব্ধতায়,
তোমার উপস্থিতির শুন্যতা আজ অনুভাবিত।

তুমি বিহনে এ শহর বে-রঙিন,
স্বপ্নের ভানু আর উদিত হয় না,
রঙিন কল্পনাগুলো আজ অস্তগামী।





 মনটা হঠাৎ
 মিনতি গোস্বামী

মনটা হঠাৎ লাগছে খারাপ
চতুর্দিক ঘিরছে বাঁশের ম‍্যারাপ

হঠাৎ লাগছে খারাপ মনটা
বুঝছি ফুরিয়ে আসছে দিনটা

লাগছে খারাপ মনটা হঠাৎ
রোজের খবর উল্কাপাত

খারাপ হঠাৎ মনটা লাগছে
চেনা মানুষেরা পালক ঝাড়ছে।




      বিদেশিনী
             আব্দুল রহিম


ওহে বিদেশিনী আমি আজও বুঝিনি
         হৃদয়ের মাঝে শুধু তুমি
লিখেছি তোমার নামে শত শত ছন্দ কবিতা
         আজ তুমি ছাড়া জীবন বৃথা
ওহে বিদেশিনী ভাবেনি ক্ষণিকের মেলামেশা'ই
      বাঁধবে হৃদয়ে'র মাঝে প্রেমের বাসা।।

 
 ওহে বিদেশিনী তুমি থাকো সপ্ত সিন্ধু পারে
      তবু কেন শিহরণ জাগে হৃদয় জুড়ে
    তোমার মিষ্টি ঠোঁটের ছোট্ট ছোট্ট দুষ্ট কথা
      আজও আমায় স্মৃতির পাতায় তাড়া করে
   ওহে বিদেশিনী তোমার নিষ্পাপ চোখের চাহনি
       আজ আমি কিছুতেই বুঝে উঠেনি।।


   ওহে বিদেশীনি তোমার কোমল ঠোঁটের স্পর্শে
         আমি গেছি অবুঝ প্রেম সাগরে ভেসে
    তোমার সুগন্ধ ভরা ভিজে চুলের অজস্র ঝাপটা
            লিখতে শেখাই ব‍্যর্থ কবির কবিতা
    ওহে বিদেশিনী তোমার চোখের কালো কাজল
              আমাকে করে তোলে মস্ত উন্মাদ।।


   ওহে বিদেশিনী তোমার ঝুমুরে'র ঝুম ঝুম শব্দে
          বাঁচতে শিখেছি নিজের জীবন যুদ্ধে
   তুমি আজ সুখের সংসার করো সপ্ত সিন্ধু পারে
         তবু বেঁচে তুমি ব‍্যর্থ কবির কবিতা জুড়ে
    শত শত বার চাই তোমার প্রেমী হয়ে বাঁচতে
        মৃত্যুর আগে একবার এসো দেখতে।।






কবিতা
          গোলাপি মানুষ
           মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ


হে ত্রিভুবনের মানুষ
ভাবিয়া করছোটা কি?
দাঁড়িয়ে যা একটু খানি
দাঁড়িয়ে আছো যে ত্রিভুবনে
ভাববার সময় কিনি তাকে নিয়ে?
পৃথিবীর মানুষ যেইখানে
ত্রিভুবনীই আছে সেইখানে
কি অপোরাধ ত্রিভুবনীর?
ভাববার সময় কিনি তাকে নিয়ে?
জীবনকে করে তুলুন
গোলাপের মতো সৌন্দর্য করে।




0 comments: