উপকণ্ঠ 18 জুলাই সংখ্যা, 2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ
"উপকণ্ঠ 18জুলাই সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-18/07/2020, শনিবার
সময় :- সন্ধ্যা 7 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
করোনা কালে নারীর ফ্যাশন ও সাজসজ্জা
পার্থ প্রতিম হালদার
প্রকৃতি বা নারী কে দেখার আগ্রহ ও পাওয়ার আগ্রহ সমস্ত মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। শুধু তাই নয়, নারী তে বা প্রকৃতি তে একাত্ম হয়ে যাওয়ার ভাবনাও মানুষের মধ্যে কাজ করে। তাছাড়া মানব জগতে সবচেয়ে সুন্দর হলো নারী। তাই নারীর সেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে রূপকথার রাজপুত্রের মতো রাজকন্যা কে পাওয়ার আশায় মানুষ বেরিয়ে পড়ে। যে কারণে বোধ হয়, সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে এই নারীই হয়ে উঠেছে কবি সাহিত্যিক দের সাহিত্য রচনার প্রেরণা। এই নারী তাই কখনও রূপে লক্ষ্মী গুনে সরস্বতী থেকে শুরু করে কখনও বা দশভুজা মহামায়া। কোন উৎসব উপলক্ষে, বিয়ে বাড়িতে বা মেলায় মেয়েরা যেভাবে সুন্দর করে সেজে যায় তা দেখার জন্য ছেলেরা অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে। আর তখন সুন্দর করে সেজে আসা সেই চেনা পরিচিত মেয়ে গুলো কে যেন অচেনা সুন্দরী মেয়ে বলে মনে হয় । কিন্তু বর্তমানে করোনা কালে যে আতঙ্কিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে মেয়েরা পার্লারে যেতে পারে নি বা লকডাউনে অনেক দিন পার্লার বন্ধ থাকার কারণে সেইভাবে সুন্দর করে তারা নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারে নি । তারওপর বিভিন্ন শপিং মল বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন রকমের পোশাক কেনাও হয়ে ওঠেনি । তাই বলে মেয়েরা না সেজেগুজে, ভালো স্টাইলিস্ট পোশাক না পরে যে বাড়িতে কাটিয়েছে তা নয়। তারা এই গরমের সময়ে হালকা রঙের সুতির মলয়েম হালকা ড্রেস পরে বাড়িতে কাটিয়েছে। বাইরে বেরোতে না পারলে কি হলো সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছে আর ছেলেদের লাইক কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। সেইসঙ্গে আগের জমানো সেই সমস্ত কসমেটিক ক্রিম মেখে, পাউডার মেখে সুন্দর করে সেজেও বাড়িতে বসে থেকেছে। বিশেষ করে এই লকডাউন তে যেসব মেয়েরা বিয়ে করেছে তাদের কে কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি তে খুব সুন্দর ভাবে কনের সাজে সাজানো হয়েছে - মাথায় ঘোমটা, কপালে সিঁদুর, হাতে শাঁখা পলা, গলায় সোনার গহনা দিয়ে কনে কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
এখানে কনের সাজে যে নববধূ কে কল্পনা করা হয়েছে তা যেন বাঙালি এক নারীর চিত্র। যদিও বিয়ের সময় টা বাদ দিলে বর্তমান সময়ে বাঙালি নারীরও বসনে এসেছে নানান বৈচিত্র্য। তবে চোখ বন্ধ করে আমরা যদি বাঙালি নারীর কল্পনা করি তাহলে চোখের সামনে অনায়াসে ভেসে আসবে শাড়ি পরিহিতা পবিত্র শান্ত 'বুক ভরা মধু বঙ্গের বধূ'র চিত্র ।তবে শুধু বাঙালি নারীর কথাই বা বলি কেন- যে কোন নারী কেই শাড়িতে খুব সুন্দর লাগে। তবে যদিও বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে মেয়েরা শাড়ি পরতে ততটা পছন্দ করে না। যতটা কুর্তি, সালোয়ার, টপ, টি শার্ট, ফতুয়া পরতে পছন্দ করে ততটা আগ্রহী তারা শাড়িতে নয়। একমাত্র বিশেষ দিন গুলি তেই তাদের কে শাড়ি পরতে দেখা যায় - না হলে তারা যেন শাড়ি থেকে দূরে দূরে থাকতে চায়। এর অনেক কারণ ও আছে। যা তাদের ভাবভঙ্গি দেখে বোঝা যায় । তারা মনে করে শাড়ি মানেই ঝামেলা । তাছাড়া অনেক মেয়ে তো শাড়ি পরে ভালো করে হাঁটতেই পারে না, ট্রেনে বাসে ভালো ভাবে যাতায়াত করতে পারে না, কেউ কেউ শাড়ি পরতেই জানে না, কখনও কখনও নাকি তাড়াতাড়ির সময় শাড়ি পরাও তাদের হয়ে ওঠে না, আবার একগাদা পিন দিয়ে সুন্দর করে শাড়ি পরতে পরতে তাদের নাকি অনেক সময়ও লেগে যায় । তাই তারা শাড়ি কে ততটা পছন্দ করে না। এগুলো ছাড়াও শাড়ি পরার আরও অনেক ঝামেলা রয়েছে বলে তারা মনে করে - যেমন শাড়ির রঙ এর সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্লাউজ লাগবে, না হলে নাকি তাদের কে ভালো লাগবে না, বা অনেক সাজগোজ ,গহনা , হিল তোলা জুতো, চুলে খোঁপা, হাতের চুড়ি, গলায় হার , নাকে নথ বা নাকের নথ টিকে লম্বা চেন দিয়ে কানের কাছে আটকে দিলে অর্থাৎ শাড়ির সঙ্গে এগুলো পরলেই নাকি তবে তাদের কে সুন্দর লাগবে - না হলে নয় । যদিও এগুলো না পরেও অনেক কেই সুন্দর লাগে। সাধারণত কোথাও যেতে গেলে শাড়ির সঙ্গে এগুলো পরে গেলে মেয়েদের কে বেশি ভালো লাগে। তবে গরমের সময়ে হালকা রঙের শাড়ি , হালকা ওজনের সুতির বা মখমলের শাড়ি পরলেই ভালো - কারণ তা আরামদায়ক । সবচেয়ে বড় কথা হলো এই শাড়ি পরা দ্বারা তাদের ব্যক্তিত্ব টাও অনেক টাই ফুটে ওঠে। আর তখন এমন সৌন্দর্যের প্রতিমার দিকে তাকিয়ে কবি সাহিত্যিক গন লিখে যান গান - কবিতা। সর্বোপরি এই সমস্ত সুন্দর নারী দের কাছ থেকে পেয়ে যান সাহিত্য রচনার প্রেরণা। আর আমাদের কাছে সেই সব নারী তখন হয়ে ওঠে রূপকথার ঘুমন্ত রাজকন্যা বা স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা।
এটা ঠিক যে, এই অত্যাধুনিক যুগে বেশিরভাগ মেয়েরা পার্লারে গিয়ে সেজে আসে। তবে এমনও অনেক মেয়ে আছে যারা বাইরে বের হতে পছন্দ করে না , তাই হয়তো তাদের পার্লারে যাওয়া হয়ে ওঠে না কিংবা অনেকের বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভালো না থাকার কারণে তারা পার্লারে যায় না। তাই তারা সাধারনত ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতি তে সাজে। এবং তাতেও কিন্তু তাদের কে অনেক অনেক সুন্দর লাগে। ঘরোয়া পদ্ধতি তেই সেজে তারা হয়ে ওঠে সৌন্দর্যের প্রতিমা । ঘরোয়া পদ্ধতি তেই তারা অনেকে নিজের মাথার চুল টাকেও খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারে। যেমন অনেকে চুলের সামনের দিক ফাঁপিয়ে দিয়ে ঘাড়ের কাছে কী সুন্দর করে খোঁপা করে নেয় বা অনেকে চুলের দুপাশ ফাঁপিয়ে দিয়ে খোঁপা করে। তারপর খোঁপা টিকে বিভিন্ন ফুলের মালা বা ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলে। যদিও নতুন কনে বউ বা অনেক হিন্দু বাড়ির বউ খোঁপা টিকে ঘোমটা দিয়ে ঢেকে রাখে। তাই ঘোমটা দিয়ে যারা ঢেকে রাখে তারা সাধারনত খোঁপা টিকে অত সুন্দর করে সাজায় না । কিন্তু অবিবাহিতা মেয়েরা খোঁপা টি কে সাধারণত খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে।
ফুল, ডিজাইনার কাঁটা, ক্লিপ, বিভিন্ন রঙের স্টোন বা কৃত্রিম ফুল দিয়েও খোঁপা টি কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে। যেমন করেই তারা খোঁপা করুক না কেন দেখতে তো অসাধারণ লাগে। কেউ আবার চুল টাকে খুলে রাখে তাতেও খুব সুন্দর লাগে - এমন ঢেউ খেলানো চুল দেখলে মনে হয় 'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য।' সুতরাং তাদের কে , খোঁপা তে কি এলোচুলে খুব সুন্দর ই লাগে। কেউ কেউ তো আবার মাঝে সিঁথি রেখে চুল টাকে বিনুনি করে নেয় তাতেও ভালো লাগে। সবথেকে বেশি ভালোলাগে কপালের উপর কেউ কেউ যখন কয়েক গাছি চুল ফেলে রেখে দেয় - আর মৃদু মন্দ বাতাসে সেই অবাধ্য নরম চুল গুলো বারবার তাদের চোখের ওপর পড়ে আর তারা তখন সেই সুন্দর রঙিন বা কালো চুলের গাছি টা কে বারবার কানের কাছে আটকে দেওয়ার মিথ্যা চেষ্টা করে - তখন দেখতে অসাধারণ লাগে। বা যখন তারা বাসে ট্রেনে বসে থাকে আর চুল গুলো মুখে চোখে বারবার পড়ে তখনও তাদেরকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
মেয়েদের মুখের সবচেয়ে সুন্দরতম অঙ্গ হলো তার চোখ। তাই এই চোখ কে তারা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে। যাতে করে তাদের কে দেখতেও খুব সুন্দর লাগে । এই চোখে তারা কখনও সরু করে আইলিনার লাগায় কখনও বা চোখের নীচে কাজল লাগিয়ে চোখের মধ্যে একটা মায়াবী ভাব নিয়ে আসে । আবার অনেক সময় চোখের পাতায় আলতো করে একটু কাজল লাগিয়ে দেয় । তবে শুধু কালো কাজল নয়, বর্তমানে রঙিন কাজলও অনেক মেয়েকে পরতে দেখা যায়। এই রঙিন কাজল বা আই শ্যাডো দিয়ে চোখ কে সাজালে বেশ ভালো লাগে। এইভাবে মেয়েদের সারা মুখ জুড়েই তো থাকে সাজসজ্জা । যত সাজে ততই যেন তারা সুন্দর হয়ে ওঠে। অনেকে কপালে একটা টিপ পরে তার চারিদিকে আল্পনা এঁকে রাখে । কখনও কখনও এই আল্পনা দুই গালে , চিবুকেও দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়া হাতে পায়ে আল্পনার মতো মেহেন্দি তো আছেই। হাতের আঙুলে আংটি নেলপালিশ আর পায়ে নুপুর আলতা তে নারীর হাত পা গুলো অসাধারণ হয়ে ওঠে। এছাড়া সারা শরীরে কত যে অলঙ্কার থাকে তার নেই ঠিক। যেমন নেকলেস, সীতাহার, টিকলি, নথ, কঙ্কণ, চুড়ি, দুল ইত্যাদি। আর একটা কথা বলা হয়নি তা হলো, মেয়েদের মুখের আর একটা সুন্দরতম অংশ হলো তাদের ঠোঁট। এই ঠোঁট কেও মেয়েরা লিপস্টিক দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলে । যাতে করে, কি বিয়ের কনে বা অবিবাহিতা মেয়ে - সবার ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি তেই সেজে তারা এইভাবে হয়ে ওঠে অপরূপা , অনন্যা , তিলোত্তোমা।
তবে লকডাউন বা করোনার আতঙ্ক বলে যে শুধু পার্লারে যাওয়ার দরকার নেই তা নয়। অনেক সময় বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণেও অনেকের পার্লারে যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে যে কারণেই হোক, যারা পার্লারে কখনও যায় নি তারা একদিক থেকে কিন্তু খুব ভালো করেছে। কারণ বারবার মেক আপের ফলে মুখের ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বর্তমানে ভেজালের যুগে বাজারের ওই সব ক্রিম না ইউজ করাই ভালো। ওই সমস্ত কেমিক্যাল ক্রিম সুন্দর মুখের চামড়া টা কে প্রাণহীন করে তোলে এবং নিয়ে আসে বয়সের ছাপ। তাই ত্বক কে সুন্দর সতেজ রাখতে হলে ঘরোয়া পদ্ধতি তে সাজা টা খুব জরুরী। তবে আজকাল কার মেয়েরা এসব ব্যবহার না করে কখনো থাকতেই পারবে না। যারা বাজারের কসমেটিক ক্রিম কম ইউজ করে তারাও কিন্তু মিনিমাম এইসমস্ত জিনিস গুলো ব্যবহার করেই । যেমন ফেস পাউডার, আই শ্যাডো, আইলিনার, কাজল, লিপস্টিক ইত্যাদি । তবে যারা এসব ব্যবহার না করেই অনেক সুন্দর তাদের তো আর এসবের কোনো দরকার নেই। দরকার নেই সতেজ প্রাণবন্ত সুন্দর ত্বক টাকে মেরে ফেলার।
ধারাবাহিক প্রবন্ধ
প্রাথমিকে ব্যাকরণে লিঙ্গ অধ্যায়
বাদ দেওয়া উচিত ?
(তৃতীয় পর্ব)
রাজা দেবরায়
৩) বাংলা বা ইংরেজী ব্যাকরণে 'লিঙ্গ' অধ্যায় বা 'লিঙ্গ' পরিবর্তন কি 'লিঙ্গ বৈষম্য' বা 'লিঙ্গ' ভেদাভেদকে আরো প্রজ্জ্বলিত করে ?
বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর থেকেই তার 'লিঙ্গের' কারণে পোশাক থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় । সমাজও 'লিঙ্গ' পার্থক্যের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় । কোনো কোনো বাড়িতে পোশাকের তারতম্য না থাকলেও বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট পোশাকের মাধ্যমে 'লিঙ্গ' পার্থক্যের জানান সুস্পষ্টভাবে দেয় । তারপরে পড়াশোনার মাধ্যমেও তা সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে । যেমন - 'লিঙ্গ' অধ্যায় বা 'লিঙ্গ পরিবর্তন' ।
কিন্তু একটি শিশুকে ন্যূনতম বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছনোর আগে 'লিঙ্গের প্রকারভেদ' সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি ? সে মনখুলে সবার সাথে মিশবে, খেলবে ইত্যাদি করবে । তার মনে এই 'বৈষম্য' ঢোকানোর খুব প্রয়োজনীয়তা আছে কি ?
(চলবে)
কবিতা
প্রথমা
অগ্নিমিত্র
সাহসিনী মেয়ে কাদম্বিনী
অদ্ভুত জেদ তোমার ..
পুরুষশাসিত সমাজে আনলে
নতুন প্রাণের জোয়ার!
মেয়েদের পথ দেখালে তুমি
চিকিৎসা- পাঠ পড়ে,
করলে নবযুগের শুরু
সাহসে ভর করে ।
জন্মলগ্নে তোমার আমি
প্রণামে হই রত ..
তোমার পথেই এগিয়ে যাক
মেয়েরা শত শত !!
ধর্ষণ
সত্যব্রত ধর
নেশাতুর তরুণ আলাদা জাতের রঙ দিয়ে,
বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন আঁকে নারী শরীরে!
এরপর কালো মুখোশের আড়াল থেকে ভেসে আসে,
জীবন্ত কঙ্কালের হাড় কাঁপানো উল্লাস!
তখন রক্তাক্ত উলঙ্গ কিশোরীর মৃত লাশ,
আকাশের নীচে খোলা মঞ্চে নীরবে কাঁদে!
আমি কঠিন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে,
অবসাদের মৃদঙ্গ ধ্বনি শুনে চমকে উঠি!
গাঁয়ের বধূ
বিমান প্রামানিক
সকাল হলেই উঠে পড়ে পাড়া গাঁয়ের বধূ
একহাতে সব কাজটি সারে কতই জানে যাদু।
সবার আগে উঠান ঝাটাই, সারে বাসী কাজ
সবাই যখন বিছানা ছাড়ে, সামনেই চায়ের সাজ।
একটু পরেই কলশি কাঁখে বধূ ঘাটের পানে,
জল ভর্তি কলশ কাঁখে ফেরে বাড়ির কাজের টানে।
রাতের যত এঁটো বাসন, গুছিয়ে আবার পুকুরঘাটে
চরম কাজের ব্যস্ততায় বধূর নিত্য সকাল কাটে।
সারা দুয়ার ঘর ঝাটানো সাথে মোছার কাজের ব্যস্ততা
একটু যে বসে গল্প করে সেই সময় তার কোথা?
ছেলে মেয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সেবা, নিত্য দিনের রুটিন
এখন নয়, তখন নয় এমনি করেই কাটে সারাদিন।
সকাল যায় গড়িয়ে, বধূ চলে স্নানের জন্য ঘাটে
পাড়ার যত বধূগন স্নানের ঘাটে একসাথেই জোটে।
স্নান সেরে বধূ যখন ভিজে কাপড়ে ফিরে বাড়ির পানে
পথের কল হতে বালতি বা ঘটি ভরে জল সাথে আনে।
ঠাকুর ঘরের ঠাকুর সেবা আর হরিমন্দিরে প্রদীপ,
সারা ঘরে আরাধনা,সাথে জ্বালিয়ে একটুখানি ধূপ।
পরে পরেই আবার বধূ সবার খাবারের ব্যবস্থায়,
এতই কাজে ব্যস্ত ,একটুও ফুরসত নাই।
নীল কন্ঠ পাখির খোঁজে
অশোক কুমার রায়
যা পাখি তুই উড়ে যা--
নীল সীমানার.গায়. !
ভালবাসার খবর নিয়ে
তবেই ফিরে আয় !
ফিরবি যখন খবর নিয়ে
হলুদ রাঙ্গা আঁখি ।
তোকে সবাই ডাকবে তখন-
নীল কন্ঠ পাখি ।
উড়ে গেল সেই পাখিটা--
ঘুম ভাঙ্গিল না ।
স্বপ্ন ভাঙ্গল বর্ষিতা তোর
বুঝতে পারলি না !
অনেক কথা অনেক ভাষায়
হিজিবিজি আসে নেমে ।
বর্ষিতা তো সর্ষে খেত
বর্ষিতা তো ক্লাস টেনে ।
শরীর বেয়ে শিরায় শিরায়
উঠতে থাকে সর্র-লতা ।
উরু বেয়ে বিজলী নামে
ওচান বুকে অনেক কথা !
ট্রেনে বাসে পাড়ায় পাড়ায়
বাতাস আসে খবর নিয়ে ।
বর্ষিতা তোর অনেক কিছু
বর্ষিতা তো ক্লাস বিএ ।
রাস্তা-ঘাটে ছড়িয়ে.থাকা
জঙ্ঘা দেশে ক্ষত চিহ্ন !
চুপি চুপি হাওয়ায় ভাসে--
বর্ষিতা তুই নয়কো ভিন্ন ।
বর্ষিতা তোর স্বপ্ন ফাঁকি ,
তাকাস কেন ফ্যালফ্যালিয়ে ?
জড়িয়ে ধরা চক্র-ব্যূহ
মিছিমিছি তোর যে বিয়ে !
হায়-হুতাশে ছুটতে থাকে
আৎকে ওঠে বর্ষিতা !
খবর পাতায় প্রথম ছাপা--
বর্ষিতা নয় ধর্ষিতা !
নীল কন্ঠ পাখির খোঁজে
বর্ষিতা তো কেঁদেই সারা !
হার মেনে তুই কাঁদিস কেন ?
বজ্র হাতে ঘুরে দাঁড়া
সমাজ-সংসার-মায়া
শংকর হালদার
সংসার মায়া সংসারে রেখে
গোধূলির পড়ন্ত বিকেল দু'মুঠোয় পুরে,
চৌকাঠ ডিঙিয়ে ছিন্ন করেছি মায়া।
ভেসে আসা কান্না, সম্পর্কের বন্ধন, রক্তের টান
বেড়ি বাঁধে দু'পায় ।
আর ছোঁয়াচে অসুখগুলো জাপটে থাকে আমার শরীরে।
ডায়েরীর উল্টানো পাতায় জমাট ইতিহাস,
আমাকে চায় তাদের-ই পাশে। ।
শৈশব থেকে যৌবন, যৌবন থেকে বার্ধক্যের বারাণসী
জীবনের প্রতি পলে ফেলে আসা সব রঙ
বিবর্ণ হয়ে নামে দুই চোখে ।
সমাজ শিরায় শিরায় গোপন সংবাদ-
পরিযায়ী পাখির মতো আসে আর নিঃশব্দে চলে যায় ।
খুব অদ্ভূত লাগে, মানুষ হয়েও মানুষের গন্ধ আসে না নাকে!
পোশাকের সব রঙ, রঙ-ই আছে
বদলে গেছে পোশাকের মানুষটি।
ভাবছি স্বার্থের বর্ম গায়ে লেপে
সংসার মায়া পশ্চাতে রেখে কাটাবো আজীবন গেরুয়া বসনে...
কোনোকিছুই ভ্রুক্ষেপ না করে গৃহছেড়ে যাব অনেক দূর।
পিছু ছাড়েনা মায়া...
বিশুদ্ধতা
- গণেশ দেবরায়
আকাশ মেঘলা
বৃষ্টি নেই
তবুও -
যত্রতত্র নোংরা জল
সমাজের চারদিকে
হাঁটতে গেলে কেবলই
পায়ে লাগে!
চলো আজ
বিশুদ্ধ জলের খুঁজে
বেড়িয়ে পরি আমরা।
বর্ষার দিন
আব্দুল রাহাজ
সকাল থেকে হচ্ছে বৃষ্টি
ঝম ঝম শব্দ করে
বাচ্চারা আজ বেজায় খুশি
বর্ষার আবহে।
সারাদিন নেই পড়া নেই স্কুল নৌকা বানিয়ে খেলা খেলা
সময় যে কখন পার হয়
তা সেদিন কেউ যে খবরই রাখেনা।
দুপুরে গরম খিচুড়ি আর বেগুন ভাজা খেয়ে একটু ঘুমের দেশে পাড়ি।
বিকাল বেলায় ব্যাংঙেদের ডাক মেঘের গর্জনে সবাই একজায়গায় ভয়ে ভয়ে মন্ত্র পাঠ করি
কেউ আবার ভাবুক হয়ে ফিরে থাকে বাইরের অঝরে পড়া বৃষ্টির দিকে
মনে হয় কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে তার সাথে
মনে পড়ে যায় সেদিন বহু স্মৃতি
হই হই করে কাটে বিকাল বেলায়। সন্ধ্যার পরে এবার দাদু ঠাকুমার কাছে রূপকথার রাজকন্যার গল্প শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়া হয় সেটা মনেই থাকেনা
বর্ষার দিন বর্ষার দিন এক আনন্দের দিন
কারও কাছে বড়ই দুঃখের দিন।
চেষ্টা করি
✍সুচরিতা পাটারী
চেষ্টা করি,
খোলা আকাশের নীচে তোমার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভুলে যেতে,
ভুলে যেতে চাই তোমার সাথে আকাশের সেই সৌন্দর্য অনুভব করার মুহূর্ত।।
চেষ্টা করি,
তোমার চোখে চোখ রাখার সেই লাজুক স্মৃতি ভুলে যেতে,
ভুলে যেতে চাই সেই নদীর তীরে পাশাপাশি বসার মুহূর্ত।।
চেষ্টা করি,
তোমার দেওয়া সেই মধুময় কথাগুলো জীবন থেকে মুছে দিতে,
মুছে দিতে চাই তোমায় আমায় মিলে মন্দিরে ঘুরতে যাওয়ার সেই স্মৃতি।।
চেষ্টা করি,
তোমায় নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো স্বপ্নের তালিকা থেকে মুছে দিতে,
মুছে দিতে চাই তোমার সাথে আঁকা সেই স্বপ্নের স্মৃতি।।
চেষ্টা করি,
জীবনটা থেকে তোমায় চিরতরে বিদায় দিতে,
বিদায় দিতে তোমার প্রতিটি আবেগের কথা।।
চেষ্টা করি,
আমার সমস্ত ভালোলাগা, স্বপ্ন দেখা কে বিদায় দিতে,
বিদায় দিতে সমস্ত নীরব, নিশ্চুপ যন্ত্রনাদায়ক ভালোবাসার কথা।।
জানি জীবনটা বদলাতে খুবই কষ্ট হবে,
তবুও মনের জোর দিয়ে প্রতিনিয়ত,
চেষ্টা করি, চেষ্টা করি, চেষ্টা করি।।
*****************
⛓️ পরাধীনতার শেকল⛓️
অন্তরা
ভূমিষ্ট হবার পরই শুনলাম,
আমি নাকি ফেলনা,,
ছেলেবেলাতেই হাতের কাছে,
খুন্তি কড়াই ছিল আমার খেলনা।
কৈশোরে পা দিতেই,
ছেলে-মেয়ের পার্থক্য বোঝালে,
পায়ে এক খানা ভারী,
পরাধীনতার শেকল পরিয়ে দিলে।
খুবই কষ্ট হতো,
এটা বহন করতে,,
সেই কথা কি,
আদো তোমরা জানতে?
যৌবন দোরগোড়ায় এসে,
কড়া নাড়ল যখন,,
পাঁচ দিন নাকি,
আমি অশুচি জানলাম তখন।
ভীষন ইচ্ছে ছিল যে,
বিমানটা আমার হাত ধরে উড়বে,,
ইচ্ছে ছিল সীমান্তে আমি দাঁড়াবো,
আর রাইফেলটা কাঁধে থাকবে।
আশা ছিল বাকি পথটা,
স্ব- ইচ্ছায় করবো পার,,
এবং স্বাধীনতা হবে,
পরম বন্ধু আমার।
বদলে আরেক খানা,
পরাধীনতার শেকল পরিয়ে দিলে,,
শশুরালয়ই নাকি,
জীবনের মূলমন্ত্র জানালে।
এখন আমার সাথে আর,
কথা বলে না ইচ্ছেগুলো,,
নির্বাক নামের বন্ধুটি,
আমার খুব আপন হলো।
সন্তান টাকে আমার,
অন্ধের যষ্ঠি ভেবেছিলাম,,
বৃদ্ধাশ্রম নামের শেকলটা শুধু,
পড়ার বাকি ছিল,সেটাও পরলাম।
অবশেষে জং ধরল,
শেকল গুলিতে যখন,,
ওই নীল দিগন্তে গিয়ে,
পরাধীনতা হাত ছাড়লো তখন।
মৃত্যু তুমিই আজ শেখালে,
প্রকৃত স্বাধীনতা কাকে বলে।
একদিন নিজেকে বাঁধনহীন করে দেখো
নিকিতা দত্ত
একদিন নিজেকে বাঁধনহীন করে দেখো,
নিজের সাথে নিজেই কথা বলে দেখো,
পৃথিবীর সাথে লড়াইটা না হয় কাল লড়ে নিও,
আজকে শুধুমাত্র সুখের মুহূর্তগুলোকে হৃদয়ে স্থান দিয়ে দেখো।
আজকের দিনটার প্রতিটা মুহূর্ত হবে শুধু তোমার,
আমি বলি কি,
নিজের সাথে আত্মপরিচয়ের শুধু যে একটা বাহানা থাকা দরকার।
অন্যের জন্য প্রতিদিন জীবনযুদ্ধে নামো,
কেনো যে তুমি কখনো নিজের জন্য বাঁচো না?
জীবনের অংকের সমাধানটা না হয় কাল করে নিও,
আজকের দিনটায় তুমি প্রাণখুলে হাসো না!
আজকের দিনটার জন্য তুমি কৃত্রিম দুনিয়া থেকে ফিরে এসো,
লগ আউট থাকুক ফেসবুক, মোবাইলটাও রেস্টে থাক...
আজকের দিনে শুধু আপনজনদের পাশে বসে না হয়
কয়েকটা আষাড়ে গল্পই বোনা যাক।
একটাদিন নিজেকে বাঁধনহীন করে দেখো,
দুঃস্বপ্নগুলোকে মনের খাতা থেকে মুছে দেখো,
মাঝে মাঝে নিজের সাথে সময় কাটানোটাও তো জরুরি,
তাই একদিন না হয় নিজের সাথে মুহুর্ত বিনিময় করে দেখো।
বর্তমানে থেকে ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় ভুগছো,
দায়দায়িত্ব গুলো আজ এতই গুরুত্বপূর্ণ যে,
আজকাল নিজের মনকেও শিকল পড়িয়ে রাখছো।
নিজের জন্যে যে তোমার সময়ই মেলে না,
তাই তো প্রতিটা নির্ঘুম রাতে বালিশে মুখ বুজে কাঁদছো।
আজ নিজের সাথে পরিচয় করে দেখো,
খুশি থাকার অধিকারটা তোমারও আছে,
সবার জন্য তো সবসময় করেই থাকো,
আজকে না হয় নিজের জন্য কিছু করে দেখো,
একদিন নিজেকে বাঁধনহীন করে দেখো।
কবিতা
তুমি
সৌরভ পুরকাইত
মনে হয় যেন ছুটে যাই তবু
পারি না বাঁধা যে আছি
কাছে আছো তবু মনে হয় যেন নেই তুমি কাছাকাছি।
তোমাকেই শুধু চাই কি কেবল
নয় শুধু নয় তাতো
আরো নানা কিছু ভালো লাগে
তুমি তাই বুঝি দূরে থাকো।
জীবনের নানা মায়াময় পথে
ভুল করে পাড়ি দিই
আঘাতে আঘাতে বিক্ষত হলে
তোমারই স্মরণ নিই।
আমি আছি পড়ে বাসনা দ্বেষেতে
তাই হয় নাকো চাষ
পতিত জমিতে আবাদ করিয়ে
নাও তুমি বারোমাস।।
সুখ
মৌসুমী গুহ রায়
নেই কর্ম জীবনের চাপ, নেই উচ্চাকাঙ্খার ছোবল।
রানীর মতো আমি সারাদিন শুয়ে থাকি।
যোগীর মতো বসে থাকি।
এই কি সুখ ?
এই কি সার্থকতা ?
কবিতা : অণুকবিতা!
বিশ্বজিৎ কর।
কেমিস্ট্রির অণুর মতো,
সংসার ভাঙছে -
টুকরো হয়ে যাচ্ছে ভালবাসা,
বৃদ্ধাশ্রমের চার দেওয়ালে !
পরমাণুর মতো ক্যাপসুল ফ্যামিলি-
ইগোর ফরমূলায় ধুঁকছে!
হৃদয় ভাঙছে হিসেব বুঝে নেওয়ার খেলায়!
নিউক্লিয়াসই আক্রান্ত,
জীবনটা কেমন যেন অণুকবিতা!
____________________________________
ভালোবাসার তাস
হামিদুল ইসলাম।
____________________________________
সময় সময় বন্ধুরা আসে প্রতিদিন
এখন বন্ধু নেই
মনের মাঝে বিস্ময়ের স্মৃতিগুলো সব
জেগে আছে বিনে আয়েসেই ।।
মনের মাঝে নৌকো বাইচ
কানায় কানায় জল ভরা
ঈশান কোণে মেঘের ঘনোঘটা
মন ছুঁয়ে যায় প্রতিদিন কুচ্ছিৎ মেয়ে নয়নতারা ।।
তবু তার প্রেমে পড়ি
জীবনে দুঃখ অসীম
হৃদয়ের তীরে তাকে নিয়ে গড়ি বাসর বাড়ি
কেবল ত্রিনয়নে হয় না দেখা কোনোদিন ।।
মিথ্যের বেসাতি দিয়ে টেনে তুলি
জীবন সন্ধ্যা
অন্ধকার পাহাড়ের দেশে ফিরে যায় মন
যখন ঋতুমতী নারী হয়ে ওঠে বন্ধা
।।
পতিত জমিতে হয় না দুগ্ধবতী ফুল ও ফল
এখানেই বন্ধা নারীর বাস
মৃত্যুঞ্জয়ী প্রতিটি শিরা তার
যখন মনের গভীরে সে খেলে ভালোবাসার তাস ।।
__________________________________
স্বপ্ন-সৌধ
তাপসী প্রামাণিক
নতুন ভোরে নতুন সুরে
গাইব বলেই গান
সারাদিন নানান কাজে
সঁপে দিলাম প্রাণ।
শরীর-মনে চাঙ্গা থাকা
দু:সময়ে দরকার
মনের জোর নষ্ট হলে
বাঁচাবে কোন্ সরকার?
কাজে ব্যস্ত থাকলে পরে
মনের চাপও কমে
শত্রুরাও হতাশ হয়ে
শক্তি হারায় দমে।
স্বপ্ন দেখতে দেখতে দিন
কেটে যে যায় বেশ
ধৈর্য্য ধরলে দেখতে পাব
পুরানো দিনের শেষ।
তাইতো আমি সংগোপনে
রোজ নামচাই পড়ি
নতুন দিনের প্রত্যাশাতে
স্বপ্ন-সৌধ গড়ি।
0 comments: