মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-04/08/2020

  "উপকণ্ঠ 04আগষ্ট সংখ্যা "
          "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-04/08/2020,মঙ্গলবার
               সময় :- দুপুর 2টা 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇




 
       একটু জানাবেন
                    সিদ্ধার্থ সিংহ

যদি জানেন, প্লিজ একটু জানাবেন?

সেই কোন ছোট্টবেলা থেকে শুনে আসছি---
তেত্রিশ কোটি দেবতা।
এখনও নাকি তেত্রিশ কোটি!
আরে বাবা, তাঁরা কি কেউ কিছু করেন না?
নাকি দেবীরা সব বাঁজা হয়ে গেছেন
দেবতারা ইমপোটেন্ট
এত সব জাপানি-টাপানি বেরিয়েছে
এত সব মেশিনপত্র
তাতেও কোনও কাজ হচ্ছে না, না?

যদি জানেন, দয়া করে একটু জানাবেন প্লিজ
আসলে বহু দিন দেবতাদের কোনও বাচ্চা-কাচ্চা দেখছি না তো...
খুব চিন্তায় আছি
ভয়ে ভয়েও
এত দানব গজাচ্ছে চারিদিকে!







     চিরকিশোর
             অগ্নিমিত্র

মিলনতিথির পূর্ণিমা চাঁদ
মোছালো অন্ধকার ।
ওপারে থাকবে চিরকিশোর,
থাকবে হৃদয়ে আর ! ..
আজ মনের ময়ূরমহলে
তারই অধিষ্ঠান,
অমর শিল্পী কিশোর তুমি;
গাই তোমারই যে গান ।
এই দিনটাকে মনের খাতায়
লিখে রাখলাম আজ ,..
 পৃথিবী বদলে গেছে, তাও
অটুট তোমার তাজ ।
 গানের জগতে তুমিই সেরা ..
 জীবনের তরী বেয়ে
 নয়ন সরসী ভরছে যে জলে
 তোমারই গান গেয়ে ।।






ওরা দুই ভাই
            আব্দুল রাহাজ

আলি হাসান থাকতো এক অজ পাড়াগাঁয়ে তাদের বাবা নেই মা নেই সেই কষ্ট কে সামনে রেখে জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সমাজে সবার চোখে লাঞ্চিত বঞ্চিত অপমানিত হয়ে গ্রামের পঞ্চানন তলা সেই দিকে বিচালি আর মাটির ছোট্ট বাড়িটায় ওরা দুই ভাই থাকে। ওদের কষ্ট কেউ বোঝে না কিন্তু ওরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ায় সাহায্য করে কিন্তু ওরা যেন কোথাও লাঞ্চিত বঞ্চিত একবার ঝড়ের রাতে গ্রামের চাটুজ্জে বাবু খুব শরীর খারাপ ওদের বাড়ির চাকর অমরেন্দ্র গ্রামের মানুষকে ডাকছে বাবুর খুব অসুখ অসুখ এর বাড়ির সামনে দিয়ে যেতেই আলীয়ার হাসান শুনতে পেল ওরা সবে সারাদিন পর দুটো গরম ভাত জল দিয়ে মাখিয়ে সবে মুখে তুলেছে আলিয়ার হাসান কে বলল আমাদের চাটুজ্জে বাবুর শরীর খারাপ চলতো গিয়ে দেখি ওরা না খেয়ে চলে গেল ওদের বাড়িতে গিয়ে সেই অপমানিত হলো ওরা গ্রামের মানুষ বলতে লাগল দেখ দেখ অপায়া দুটো কি রকম ভাবে ছুটে যাচ্ছে ওরা চাটুজ্জে বাবুর বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে দেখে করুন অবস্থা চাটুজ্জে বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ওরা নদী ঘাটে এসে দাঁড়ালো আলী ডাকলো মাঝি মাঝি ওদিকে পরান মাঝি বলল কি হয়েছে রে এদিকে একবার আসবে চাটুজ্জে বাবুর শরীর খারাপ হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি পরান মাঝি নৌকা নিয়ে আসতে ওরা নৌকায় চড়ে চলে গেল শহরে গিয়ে চ্যাটুজ্জে
 বাবুকে ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে দেখালেন সে রাতে ওখানেই থাকলেন সকাল হতেই চাটুজ্জে বাবুর একটু হুঁশ ফিরল আলিয়ার হাসান একটু স্বস্তি পেল চাকর অমরেন্দ্র ওদের খুব খুব ধন্যবাদ জানালো তারপর আস্তে আস্তে চ্যাটুজ্যে বাবু সুস্থ হয়ে উঠলো ওরা বাড়িতে এল চাটুজ্জে বাবু এখনো হাসপাতলে ঠিক আছে বিকালে ছুটি দেবে ওরা গ্রামের সবাইকে এটা বলে দিলো। গ্রামের লোক ওদের যেন একদমই দেখতে পারে না ওদের ছেলেবেলার শিক্ষক নরেন চন্দ্র খাঁ গ্রামে এসেছে দেখতে পেয়ে বলল আলিয়ার হাসান তোরা ভালো আছিস তো ওরা বলল হ্যাঁ আছি বেশ ভালো চাটুজ্জে বাবু বাড়িতে এলেন ওদের এবার ডাক পড়ল চাটুজ্জে বাবু ওদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করল আর চাটুজ্জে বাবুর বাড়িতে ওদের হিসাব নিকাশের কাজ দিল ওদের খুব আনন্দ হচ্ছিল দিন যায় দিন আসে কোথাও যেন তাদের দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ঘুচতে থাকে তারা একটু দু'মুঠো ভাত খেতে পারছি এবার এটাই তাদের কাছে বড় পাওনা ছিল। একদিন বিকাল বেলায় হঠাৎ আলিয়ার হাসান ওরা গ্রামের ছেলে মেয়েদের বই খাবার পোশাক দিচ্ছে গ্রামের ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমারি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে কারণ কালকে ঈদ তারপরেই দুর্গাপূজা তাই এই আনন্দ গুলো ওরা সবার সাথে ভাব করতে চেয়েছিল কিন্তু তা আর হলো না প্রচন্ড ঝড় আর বিদ্যুতের ঝলকানি আকাশে ওরা চাটুজ্জে বাবুর বাড়ি থেকে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফিরছে এই সময় আমাদের পুকুর পাড়ের বড় গাছটা ওদের মাথার ওপরে পরলো মুহুর্তের মধ্যে সব শেষ গ্রামে শোকের ছায়া নামল সকাল হতেই মনে হচ্ছিল যেন কালো অন্ধকার সূর্যের আলোয় বিচিত্র হয়ে উঠেছে চারিদিকে ওরা দুই ভাই আজ আর নেই চলে গেছে অনেক দূরে শুধু শান্তি আর শান্তি সেখানে ওরা দুই ভাইয়ের এই যে চলে যাওয়া চাটুজ্জে বাবুর বড় ক্ষতি হয়েছিল গ্রামের মানুষ বুঝেছিল তাদের কথা তারাই এখন আফসোস করে যাচ্ছে। ওরা দুই ভাই এর এই যে জীবন সংগ্রাম আজীবন মনে রেখেছিল ওরা কিন্তু ওরা যে একটা তারা নক্ষত্র আকাশে ভেসে বেড়াবে আজীবন।







                   সংগ্রাম
                হামিদুল ইসলাম।

দ্বান্দ্বিক জীবন
তোমার আমার
আমরা দজনে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদে বিশ্বাসী
তাই সংগ্রাম আমাদের জীবন
সংগ্রাম করেই আমরা বাঁচি ।

সংগ্রাম ইতিহাস
সংগ্রাম নিয়ে আসে লড়াই
আমরা লড়াইয়ের পথে পথে দাঁড়াই
ঐক‍্যবদ্ধ দাবীতে শ্রমজীবী মানুষ হই উত্তাল
প্রতিদিন দাবীগুলো শানাই ।

আজ দাবী পুরণের সংগ্রাম
 দাবীগুলো ঝাণ্ডায় পরপর তুলে ধরি
রাস্তায় মিছিল
প্রতিবাদ
তবু পুলিশের লাঠিচার্জ বারবার গর্জায় ।

সংগ্রাম মানে বিপ্লব
বিপ্লব পাল্টে দেয় জীবন
দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষ বিপ্লবের ডাক দেয়
স্বৈর শক্তির বিষদাঁত ভাঙতে চায় হাতের মুঠোয়
এসো আজ ঝাণ্ডায় তাড়াই দেশের শত্রুদের ।
______________________________________





  তৃতীয় নয়নে জাগো
          মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

দেশ আজ সন্ত্রাসীর তান্ডবে
মানব সমাজকে করছে গ্রাস।
গোটা বিশ্বটাকে মুক ঢাকছে তারা
মোটা কালো চাঁদরে আজ।
একের পর এক,চালাচ্ছে রীতিনীতি
চাইছে মানব সমাজের বিন‍্যাস।
তারা শুধু মানবের শত্রু নয়
দেশও বাসী তথা,মাতৃভূমির শত্রু।
সুন্দর দেশের কলঙ্কিতো দের
কাটবো বড়ো ডানা।
পিছনে থাকনা, যত লম্বা কালো হাত
কেটে দেবো,আমি আমরা সবাই।
হাতে হাত রেখে,দু'কদম এগিয়ে এসে
হুংকার দিয়ে বলো,আছি আমরা সজাগ
নিপাত যাবি,সয়তান মুখোশধারীর দল।
দু-নয়নে যখন পাচ্ছিনা রুখতে তোদের
মোরা ডাক ছেড়ে বলছি শোন
জাগচ্ছি তৃতীয় নয়নে।
ধংস হয়ে যাবি,ধংস হয়ে যাবি
মুখোশধারী সয়তানের দলেরা
সময় থাকতে,মুখ বদল কর।





জলের কাছে হরিণ
         মৌসুমী গুহ রায়

জলের কাছে হরিণ আসে।
দাবার ছকে মানুষ সাজায় ঘুঁটি।
পরিশ্রমে জোটে ভাত, রুটি।

ক অক্ষর গোমাংস যার
সেও বলে প্রত‍্যুৎপন্নমতি ।
কবিতায় ছন্দ, যতি।

নির্বিবাদী মানুষ থাকে সুখে, ভাতে।
ভবঘুরে হাড় হাভাতে।

ঈশ্বর আছেন নিঃশ্চিন্তে।
আকাশ, পৃথিবী দিগন্তে।

কবিতায় ফোটে কমলে কামিনী
গান গেয়ে ওঠে যামিনী।
               




    একটু সরে দাঁড়ান!
                বিশ্বজিৎ কর

আমার পথের মেরামতের প্রয়োজন!
দীর্ঘদিন ব্যবহারে জীর্ণ!
আরও কিছু পথ যেতে বাকি,
অন্যদের আসা-যাওয়া চলে!
কেউ অযথা ঢুকে পড়ে,
কেউ বা দেয় হাত বাড়িয়ে!
খামোকা ভিড় করে সুবিধাবাদীর দল!
আমি এখন ব্যস্ত,রাস্তা মেরামতে!
একটু সরে দাঁড়ান সবাই!




      কি মজা
             রুহুল আমিন

মনে পড়ে তোমার
একদিন পূর্ণিমার রাতে
আমি আর তুমি পাশাপাশি বসে
পূর্ণিমার উজ্জ্বল আলোয়
পৃথিবী যেন নতুন করে সেজে উঠেছিল
কি মজা না হয়েছিল সেদিন
যেন পৃথিবীর একমাত্র জী ব আমরা
যখন আমার বাহুতে মাথা দিয়ে ছিলে
তখন বিশ্ব ভালোবাসা থ মকে দাঁড়িয়েছে
পূর্ণিমার চাঁদ আড়াল করে
তুমি আমার কাছে আবদার করে বসলে
 তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ
আমার কানে বাজতে শুরু হল।





    ফিরে পেতে চাই
                আব্দুল রহিম

এ মন আর চায়না চার দেওয়ালের আবদ্ধতা
এ মন চাই স্বাধীন ভাবে ডানা মেলে বাঁচতে।।

 চোখ বুজলে মনে পড়ে আমার গ্রাম বাংলা
মনে পড়ে বাবা মায়ের স্মৃতির তৈরি কুঁড়ে ঘর
 মনে পড়ে বাল‍্যবেলার নদী নালা খাল বিল।।

 কিন্তু চোখ খুলতে না খুলতে সব লণ্ডভণ্ড
মনের মাঝে লাগে আবার পরাধীনতার দ্বন্দ্ব।।

মোটা প্যান্ট-শার্ট ঘড়ি পড়ে আবার ছোটাছুটি
এ জীবন আজ স্বার্থের সাথে রাত দিন লুটোপুটি।।
 হারিয়ে ফেলেছি জীবনের বাঁচার সে খুঁটি

আজ আমি চাই বুক ভরা শান্তি স্বস্তি সততা
ফিরে যেতে চাই গ্রাম বাংলার মায়ের আঁচলে
যেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ
রেখে চলে।।

নিজেকে বদলাতে বদলাতে আজ আমি কোথায়
পড়ে শুধু রক্ত-মাংসহীন ব‍্যর্থ শরীরটায়।।

তবু আমি বাঁচতে চাই জীবনের ঝরাপাতায়
ফিরে যেতে চাই মায়ের আলতা আলপোনায়
শুনতে চাই পাখির ডাক,সুরতোলা বাউল
 ভাটিয়ালি গান ।।

কিন্তু খেয়া নৌকার মাঝি আর আসেনা দ্বারে
হৃদয় আজ জ্বলে পুড়ে ছাড়খার এ বদ্ধ শহরে ।।

বাঁচিতে চাই আমি বাংলার সুগন্ধ মাটি জুড়ে
জীবনটা দিতে চাই শস‍্য শ‍্যমলা নদী নালায় ভরে
কিন্তু আমি গ্রাম বাংলা থেকে শত শত মাইল দূরে।।






1 টি মন্তব্য:

  1. সবাই পড়ুন আজকের উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 04/08/2020
    এবং মতামত দিন
    ভালো খারাপ সব ধরনের মতামত গ্রহণযোগ্য

    উত্তরমুছুন