রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-23/08/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব  বিভাগ 23/08/2020, রবিবার 

 "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-23/08/2020,রবিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵


My futile love is not trivial 
                By Sabir Ahmed

                          One decade is crossed,
                  Yet seems to me it's a little interval
                   Since those days till these days.
             For my love with you was from soul to soul,
                 Not physical, not fickle, not verbal.
                           Though we're now long in distance,
                                  So far and so far,
                 We're side by side and ever bonded.
       Without the moon beam where the night is futile;
        Where the day's beauty belongs to the sun light,
             We are akin like the moon and night,
                       And like the sun and day.
The stars of the sky that are without winking,
                 Stared at us merrily,
     And the flight of black headed orioles
            Of that bulky tree beside that kiln
             Would watch our love making
        And went away without annoying us.
   Both she and the birds
Are seen no more today !
Only I am solitary,not my love.
                                   If the river flows into estuary
                  And wishes to return from it,
              The briny feels the pain of parting.
       My belief and my hope,my dreams and my love,
                          All are like before !
     You kept your head upon my lap,
          I placed my palms on your round face,
             When the soft twilight penetrates
       Through  the cracked leaves
And fell upon your blue eyes.
              You'll never come back at my thatched hut,
                     For you've been taken away.
                   I ne'er blame you, I blame my fate.
                  I'm happy with your happiness !
You knew,
                 My love was white and touchless !








সুইসাইড নোট
            স্বপন কুমার রায়
            
আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি |
এমাসের ইলেকট্রিক বিল,জলের বিল দিয়ে দিয়েছি
খোকার স্কুলের বেতন ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া আছে
মুদির দোকানে সামান্য কিছু বাকি আছে বেশিরভাগটাই দেওয়া আছে
খোকার এমাসের দুধের পয়সাটা দিতে পারিনি
তুমিই বলো, টিউশন পড়িয়ে  সব ধার দেনা কি দেওয়া সম্ভব ?
তবুও তো এমাসে এতো কিছু সম্ভবপর হয়েছে
সন্ধ্যার পর বাড়তি একটা কাজ করছি বলে |
সে কথা তোমাকে বলা হয়নি,
বলবো কি করে ?
কাদম্বীনির আদিবাসি হাট থেকে হাড়িয়া খেয়ে টলতে টলতে রাত বারোটায় বিছানা নিতাম
তখন তুমি গভীর ঘুমে
তাছাড়া আর কেউ না জানুক ,তুমি তো জানো,
খোকার জন্মের পর থেকে তুমি আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করেছ,
আজ সাত বছর একাকিত্ব  !
এই সাত বছরে কতবার আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে এসেছি
ফিরে এসেও তোমার অত্যাচার কমেনি বরং বেড়েছিল
কাউকে বলিনি সে কথা,ভয়ে ,আত্মসন্মানের ভয়ে
যদি আমাকে দোষি মনে করে আমার কাছে কেউ পড়তে না আসে |
তোমার জন্যই মায়ের জায়গা হয়নি শহরের ভাড়া ঘরে
বলিনি সে কথা ,কাউকে বলিনি |
আমি কতবার আত্মহত্যা থেকে ফিরে এসেছি
ফিরে এসেছি ----
তোমার ভালোবাসার স্মৃতির সুখ হাতরে হাতরে
আমরা তখন একি কলেজে একি ডিপার্টমেন্ট
টিফিন ভাগ করে নেওয়া
রুটির সাথে নিয়ে আসতে আলু দিয়ে তৈরী কি একটা জানি !
কি সুস্বাদ, আমি কিন্তু একদম ভুলিনি !
আমাদের ডিপার্টমেন্টে কানুর তোমার কথা মনে আছে ?
তোমাকে দেখলেই আমার কথা জিজ্ঞাসা করত |
তোমার হাসি খুব শুনতে পারছি --
তোমার সুগন্ধি চুলে ঢেকে নিয়েছে
তোমার চোখ,নাক মুখ ;
ও হ্যাঁ ,আলমারির ডয়ারে পঞ্চাশ হাজার রেখে এসেছি !
মাকে মাসে মাসে যে টাকা পাঠাতাম
মা তা থেকে খরচ বাঁচিয়ে খোকার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে
তুমি খোকার নামে রেখে দিও ,
আমি এবার আর ফিরবো না
কখনও ফিরবো না ---





সৃষ্টি প্রক্রিয়া
          সায়ন প্রামানিক

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা,বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকণা,সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পলিমাটি
সৃষ্টি করে দেশ-অঞ্চল-এলাকা পরিপাটি।
অতিক্ষুদ্র বাষ্পকণা জমে জমে মেঘরাশি
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে নিসর্গ প্রকৃতির হাসি।
অল্প অল্প যত্ন দিয়ে ভালোবাসার সৃষ্টি হয় ,
মৃদু মৃদু অবহেলাতে সম্পর্ক বেদনাময়।
       


করোনা সচেতনতা
                বিপ্লব গোস্বামী

শোন দেশের জনগণ
করি এক নিবেদন,
ঠেকাতে হলে সংক্রমণ
হতে হবে সচেতন।
সহকর্মী, সহপাঠী
বন্ধু,বান্ধব যত,
কর মর্দন,কোলিকুলি হতে
থাকতে হবে বিরত।
বন্ধুত্ব,ভালোবাসা,সম্পর্ক
থাকুন নিজের মত,
একে অন‍্যের মধ‍্যে থাকবে
এক মিটার দূরত্ব।
হাঁচি-কাশি দিতে করো
রুমাল ব‍্যবহার,
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ে
থাকবে পরিষ্কার।
আপন মনে আপন ধর্ম
থাকুক সবাকার,
উপাসনালয়,সভা-সমিতি
করতে হবে পরিহার।
স্বাস্থ‍্য বিশেষজ্ঞ জন
বলছেন বার বার,
নিয়ম মেনে চলতে হবে
থাকতে হবে পরিষ্কার।





বন্ধ তালার দ্বার খোলো
            মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।
কাঁদনের হার ধুকে ধুকে  বেড়ে যায়।
মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে যায়
সমাজ অথবা মানবজাতির গায়।
মুখতালার চাবি কি সবাই,
দিলো অন‍্যের হাতে,প্রশ্ন জাতির কাছে?
বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।।
শত্রুর যদি হওগো গোলাম
তার থেকে শান্তি, মৃত্যু তোমার।
মরচা যদি চাও পরিষ্কার
ঘোটাও বিস্ফোরণ মুখের হুংকার।
জ্বলবে আগুন,ছুটবে তারাই
যতসব বন্ধ তালার মালিকানা।
এতে পাবে মুক্তিপনের,একরাস চাবিখানা।
বন্ধ কেনো আজ সমাজ তালার
দ্বার খোলো দ্বার করবো খেলা।







ডুয়ার্সের চা বাগানের অধিবাসীদের জীবনযাত্রা
       আব্দুল রাহাজ

মৈরাং অদিতি বিনয় ওদের বাড়িগুলো ডুয়ার্স অঞ্চলে ওরা সবাই সেই ছোট্ট থেকে চা বাগানে কাজ করে পড়াশোনা করে। ওরা খুবই প্রান্তিক দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যায় তবুও ওরা জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে ডুয়ার্সের চা বাগান কে ঘিরে। ওদের হাতের কাজ ছিল খুবই সুন্দর ওদের বাড়ির সবাই চা বাগানে কাজ করে জীবিকা অর্জন করে তা দিয়ে ওরা সংসার চালান। পাহাড় ময় মনোরম পরিবেশে চা বাগানগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগতো মেঘলা পরিবেশেও তার চারপাশে পাহাড়ময় কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে ডুয়ার্সের এই মানুষগুলো যেন এক অনন্য সৌন্দর্যের অধিকারী। মানুষ গুলো সারাদিন ডুয়ার্সের চা বাগানে কাজ করে যা উপার্জন করে তাই দিয়ে সংসার চালান সুখে-শান্তিতে পাহাড়ময় অতুল পরিবেশে বসবাস করে। মৈরাং অদিতি বিনয় একটা স্কুলে পড়তো তাদের বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। পুরা বর্ষার দিনে ইস্কুলে যায় না ধসের ভয়ে। ওরা বর্ষার শুরুতে একদিন স্কুলের পথে ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে ওইদিনই তাদের সেই স্কুল তারপর সারা বর্ষাকাল জুড়ে স্কুল ছুটি থাকবে আহা ওদের কী আনন্দ ওরা গল্প করতে-করতে ইস্কুলে পৌঁছলো। স্কুলে ভালোভাবে পড়াশোনা করলঝ ছুটি ঘোষণা হয়ে আমাদের তাড়াতাড়ি স্কুল শেষ হলো ওরা আনন্দে হাসিমুখে বাড়ির পথে রওনা দিল ‌। বেশি জোরে বৃষ্টি পড়ছে মৈরাং হঠাৎ দেখল তাদের সামনে ধ্বস নেমেছে একটু হলেও বেঁচে ফিরেছি অদিতি বলল মহিলাদের অন্য পথ ধরে যেতে হবে কিন্তু এখন যে বিকাল হয়ে গেছে একটু পরেই তো সন্ধে নামবে কিভাবে যাব বাসস্টপে কিছুক্ষণ বসে ভাবতে লাগলো। তারপর মৈরাং বলল ওই দেখ পাহাড় ওর পাশ দিয়ে একটা ঘন জঙ্গল সেটা পার হলেই আমাদের বাড়ি এসে যাবে তাই চল চল এই পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ঘন ভবনের ভিতর ঢুকলো প্রথমে একটু ভয় ভয় করছিল তারপর ওরা দ্রুত পা চালিয়ে বাড়ির কাছে ডুয়ার্সের চা বাগানে এসে পৌঁছল তারপর যে যার বাড়িতে চলে গেল ওরা বললো কাল দেখা হবে চা বাগানে ও বললো হ্যাঁ হ্যাঁ। ডুয়ার্সের চা বাগান বর্ষার মরশুমে যেন তার শোভা অপরূপ মহামায়া পরিবেশ নিয়ে ফুটে উঠেছে। ডুয়ার্সের চা বাগান যেন এসব মানুষগুলোর কাছে জীবিকা উপার্জনের এক অন্যতম প্রাণের স্থল। ডুয়ার্সের চারিধারে চা বাগান কেজির এইসব মানুষগুলো বসবাস করে আছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর সুখে-শান্তিতে পারস্পারিক মেলবন্ধনে সহজ-সরল ভাবে বসবাস করে ওরা।ডুয়ার্সের চা বাগানে কাজ করে যা উপার্জন করে তাই দিয়ে দু'বেলা দু'মুঠো ভাতের জোগাড় করে ছেলে মেয়ের মুখে অন্ন তুলে দেয় তাদের মুখে হাসি ফোটায়। ডুয়ার্সের চা বাগান যেন তাদের সাহায্য করছে এখন অন্য রূপে ডুয়ার্সের চা বাগান যেন তাদের কাছে অন্যমাত্রার পাওনা হয়েছে। তাদের কাছে ডুয়ার্সের চা বাগান অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতির মহামায়া পরিবেশে ডুয়ার্সের চা বাগানের গাছগুলো সবুজ প্রতীক হিসেবে সবার মনে মাঝে গেঁথে আছে




                   " এই জীবন "
             
                  হামিদুল ইসলাম

                    
চোখের সামনে এখন জীবন  সমান্তরাল
তবু খুঁজি তোমায়
হৃদয়ে পেয়ে যাই এক একটি সাগর ।
গাছের শেকড়ে বিশ্বাস রাখি
পাখিগুলো ফেরে নীড়ে
জীবন এই জীবনের অনন‍্য আখর  ।
তোমার জন‍্যে হাতে রাখি ঝড়
ভাঙুক চিলেকোঠা
পেরিয়ে যাবো তবু বৈতরণী  ।
জগৎ সংসার
এখন অশুভ ইঙ্গিত বহন করে
তবু মনে রাখি তুমি জীবন সঙ্গিনী ।





কবিতা :
      অবুঝ মনের কথা!
                         বিশ্বজিৎ কর

তোমার আঙিনায় যে পাখিটা ছটফট করে শেষ হল-
সে'টা আমার পাঠানো ছিল!
ওর কন্ঠে সুর ছিল,ভালবাসার!
ওর হৃদয়ে কোমলতা ছিল,
সহমর্মিতার !
তোমার উদাসীনতায় ওর দমবন্ধ হয়ে গেল!
ওর ঠোঁটে শেষ কথা ছিল -
"আসি, বন্ধু "!
তুমি বুঝতেই পারোনি!
আসলে সবাই বুঝতেও পারে না!








বিনিময়ে
       অঞ্জলি দে নন্দী, মম


১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দ। তখন আমি ভাড়া বাড়িতে। খুব বেশি দিন হয় নি দিল্লীতে। জবের চেষ্টা করছি। পাশের বাড়ীতেও বাঙালী ভাড়া ছিল। ওই বৌদীই আমাকে এই বাড়ীটি ভাড়া থাকার জন্য খুঁজে দিয়েছিল। একটি বিরাট দোতলা বাড়ী। বাড়ীর মালিক এক্সটারন্যাল এফেয়ার্সে জব করে। বিদেশে বদলী হয়ে চলে যাচ্ছে স্ব-পরিবারে। তাই এক বিশ্বাসী ভাড়াটে চায়। তিন বছর পর ওরা আবার দিল্লীর এই বাড়ীতে ফিরে আসবে। তো বৌদীকে আন্টি বলায়, আমাকে এনে দিল। আমিও তখন হন্যে হয়ে খুঁজছিলুম। অন্য একটি বাঙালী বাড়ীতে ভাড়া আছি। ওখানটা খুব একটা সুবিধার নয়। তাই শিফট করতে চাইছিলাম। ভালো পেয়েও গেলুম।  তো আছি। জবের জন্য বৌদীর দেওরকে বলায় সে আমাকে বেশ অনেকগুলি প্লেসমেন্টের কার্ড দিল। আমি গিয়ে দেখাও করলাম। এরপর ইন্টারভিউ দিয়ে একটি খৃস্টান চার্চে জব পেলাম। ধর্মীয় আর্টিকেল লিখতে হবে। ডিজিটালে। ভালো স্যালারী। তাছাড়াও দেশ-বিদেশে যাওয়ারও সুযোগ। যেদিন জয়েন করব। তার আগের দিন ওই দেওর প্লেসমেন্টের অফিসে গিয়ে বলেছে যে সে ক্যান্ডিডেট জোগাড় করে দিয়েছে তাই তাকে এক মাসের মাইনেটা দিতে হবে বিনিময়ে। তো প্লেসমেন্টের ম্যাডাম আমাকে বললেন যে আমি যেন আগে ওর সাথে কথা বলে ক্লীয়ার করি। উনি ওকে ওই রূপীয়া দেবেন না। আমি ওকে বললুম। ও বলল তাহলে যেন আমিই ওকে তা দিয়ে দিই। আমি বললাম ঠিক আছে। ও যেন ওই ম্যাডামের থেকে আর না নেয়। ও বলল যে ঠিক আছে, ও এর ওনার থেকে নেবে না। এবার আমি সঠিক দিনে বেরোতে যাচ্ছি এমন সময় ওই ম্যাডাম ফোন করলেন আর বললেন, " আপনি ওর সাথে ক্লীয়ার কথা বলেন নি তো। ও তো আমাকে কিছুই বলল না। তা হলে আপনি ওই জব করতে যেতে পারবেন না।" আমি সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পাশের বাড়ী গিয়ে ওই দেওরকে বললাম, " তুমি ভাই ওনাকে বল!" ও বলল, " আমি তোমার ও ওনার দুজনের কাছ থেকেই এক মাসের করে স্যালারী নব।" আমি অনেক বোঝালাম। ও শুনলো না। আমি তো আর ওকে দুমাসের মাইনে দিতে পারি না। এতো উদারতা আমার নেই। তা আমার ওই জব করা তাই আর হল না। তার পরের দিন আমি ঐ দেওরকে নেমন্তন্ন করে পোলাও, ডাল, মাছের কালিয়া, ভাজাভুজি, তরকারী, চাটনী নিজের হাতে রেঁধে খাওলাম, বিনিময়ে।




মেঘজন্ম
       মিনতি গোস্বামী


বুকের ভেতর অজস্র মেঘ
দমকা হাওয়ায় উড়ে উড়ে চলে
চাতক দৃষ্টি দেখলে মায়ায়
ঠোঁটের উপর পড়ে গলে গলে।
যার জন্য কেটে রেখেছো খাল
মাটি কোপাও সারাটা দিন ধরে
একটুখানি ভালোবাসা পেলে
বৃষ্টি হয়ে আসবে তোমার ঘরে।
অজস্র তাপ বুকে নিয়ে
মেঘজন্ম হয়েছে আজ
পাঁজি পুঁথির হিসেব এড়িয়ে
ঝড়তে তাই নেই কোন লাজ।






   নারী জন্ম অপরাধ
           রুহুল আমিন


(পর্ব-১)
বৈশাখীর নারী হয়ে জন্মানো অপরাধ ছিল। ছোট বেলায় বাবার আদর, মায়ের ভালোবাসা তার কপালে জোটেনি কখন। অভাব অনটনের সংসার। বলা বাহুল্য ' নুন আনতে পান্তা ফুরায়'। এর মাঝেই এই সুন্দর সবুজ পৃথিবীতে বৈশাখীর ভাই চোখ মেললো। দুটো সন্তান কে বড়ো করে তোলার মতো সামর্থ্য বৈশাখীর বাবা রমেনের ছিল না। তাই বৈশাখীকে রেখে আসলো মামার বাড়ি।
বৈশাখী সেখানে ছোট্ট এক স্কুলে ভর্তি হলো। বাবা মা তার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতেন না। ছোট্ট মেয়েকে মামার বাড়ির সব সাংসারিক কাজ সামলাতে হতো। সমস্ত খুঁটিনাটি কাজ ছিল তার নিত্য দিনের রুটিন।
সব কিছুর পর সময় পেলে সে বই নিয়ে বসতো। পড়াশুনা নিয়ে পরিবারের কারুর ভিতর কোনো মাথাব্যথা ছিল না। সে জানে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার ক্ষমতা তার নেই। তাই সে নিজের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে। মানসিক ভাবে অনেকটাই দূর্বল সে।
রমেনের আর্থিক অনটনের সুযোগ নিয়ে বাবা বয়েসী এক মানুষ তাকে রাতের পর রাত শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। ছোট বৈশাখী তখন শারীরিক নির্যাতন সম্পর্কে অবগত ছিলনা। শুধু এতটুকু জানতো সেই সময়টা খুব কষ্টের ও যন্ত্রনা দায়ক। তার সাথে চলতো অমানুসিক অত্যাচার। সিগারেটের আগুন দিয়ে ঝলসে দিতো পেটের পাতলা চামড়া ব্লেট দিয়ে কাটতো হাতের বিভিন্ন স্থান।
মামা বাড়ির এক সদস্য কে সব জানালে তিনি বলে উঠেন কাউকে কিছুই বলবি না।
বৈশাখী ভয়ে চুপ হয়ে যায়।
মুখ বন্ধ করে নিজের অন্তরালে সব বন্দি করে রাখে।তার উপর ঘটা অমানুসিক অত্যাচারের কথা।
কেউ শুনতেও চায়না।
অবশেষে মনের আশা নিয়ে সে মায়ের সাথে সব কথা খুলে বলে।
মা বলে উঠে আমরা গরীব এমন একটু সইতে হয়।
বৈশাখী বলে গরীব হয়ে জন্মানো বুঝি অপরাধ ?
বৈশাখীর মা নিলা দেবি চুপ করে থাকে।
আজ ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুটির চরিত্রে কালির দাগ পড়লো। বন্ধ জানালা খুলে চমকে উঠে শহরের ইটের অট্টালিকা ঝাপসা হয়ে আসছে। সবুজ বনানি গ্রাম অবলুপ্তের পথে। লম্বা লম্বা বাঁশ বন‌ তার ফাঁকে সূর্যের স্থির আলো। এঁকেবেঁকে সরু রাস্তা গ্রামের বুক চিরে হারিয়ে গেছে। নিজের ভালোবাসার মানুষের বাসস্থান ভুলতে বসেছে। কোনো অনুমতি না নিয়ে চোখের বৃষ্টি মেঝেতে পড়ে।
আশাবাদী না নৈরাশ্যবাদী, অন্তর্মুখী বা বহির্মুখী সমস্ত আশা আজ মাটিতে মিশে যায়। ব্যাক্তিত্বের মাপ কাঠি নষ্ট হয় আয়েশি জীবন পরিশ্রমে পরিনত হয়। তার সঙ্গে চলতে থাকে অত্যাচারের খেলা। অভিনয়ের চরিত্রের তালমিল বাবা বয়েসি ওই মানুষটাকে দেখে শিখতে হয়।  অহেতুক আত্মতৃপ্তি হতো তার যন্ত্রনায় ছটফট করতো। বৈশাখীর মতো নিষ্পাপ মেয়ে গুলোকে দেখে স্মৃতি যদি অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় না হতো সৃজনশীল কল্পনা যদি ক্রমাগত অন্তর থেকে বিনাশ হতো। পুনরুদ্রেকের রাস্তা যদি বন্ধ হতো কখন।
তুলনামূলক ভাবে মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টি কোন থেকে বিচার করলে এমন নর-পশুকে সমাজের ক্ষেত্র সীমার বাইরে হত্যা করাই শ্রেষ্ট।
চালাকচতুর চোখ মুখ গুলি নিজেদের স্বার্থে ছোট মেয়েকে ধর্ষিতার খবরে মজা অনুভব করে। অন্যায় নিরবে গিলে ফেলা মানুষ গুলিও অন্যায় কারির মতো অপরাধী। কৌতুকাভিনেতা বাবা বয়েসী ওই মানুষ। দুটি চরিত্রে জীবন-যাপন করে।
জীবনটার একটা পরিবর্তন ঘটানোর দরকার। সত্যি এমন ভাবে অত্যাচারের মাঝে বাঁচা চলেনা। ভবঘুরে জীবনের মতো এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ভালোবাসার নামে নাটকের বহিঃ প্রকাশ ঘটে আত্মীয়দের মাঝে। ঈশ্বরপ্রেরিত প্রেম জাগে মানব সমাজের অন্তরে। তবে কেন জন্ম দেওয়া বাবা মায়ের মাঝে প্রেমের ঘাটতি ঘটে।
নিজের জীবনের উপর তিতিবিরক্ত আসে বৈশাখীর। অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে বিষ পান করে। কোনোক্রমে ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরে আসে সে।
কথায় আছে বিপদে পড়লে সমসাময়িক মানুষটাকে চেনা যায়। ধারাবাহিক ভাবে টেলিভিশনে ধর্ষণের সিরিয়াল গুলি বৈশাখীর জীবনের সাথে মিলতে শুরু করে। এদিকে বাবা বয়েসী এই মানুষটি সবার সাথেই বলতে শুরু করে বৈশাখী প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে মরতে চাইছিল।
শুরু হয় নতুন করে আবার সেই অত্যাচার। তার সাথে যুক্ত হয় লোক মুখে প্রচারিত এই মিথ্যা গল্প। লজ্জায় বার হতে পারে না সে। নিজের অন্তরে হাজার কষ্টের বাসা বেঁধেও কৌতুকের ভঙ্গিতে মুখে হাসি ফোটাতে অসুবিধা হতো না তার। দুঃখ লুকাবার ক্ষেত্রে  আজ সে বড়ো অভিনেত্রী।
বৈশাখীর এক বান্ধবী ছিল যার নাম স্বপ্না। বলা যায় দুটি দেহে এক আত্মার মিলন। খুব মিলছিল দুজনার মধ্যে, একদিন স্বপ্না বৈশাখীর মামার বাড়িতে বেড়াতে যায় রাতে সেখানেই থাকে। কে জানতো আজ বৈশাখীর মতো স্বপ্নাকেও নষ্ট হতে হবে। মাঝে রাতে সেই বাবা বয়েসী নর-পশু আসবে আর ফুলের মতো শিশুকে ভোগ করবে।
এ কারনেই এক আত্মার ফাটল ঘটে। বহিঃ প্রকাশ ঘটে পৃথক মানুষের। বন্ধুত্ব সেদিন অভিশাপে পরিনত হয়। বৈশাখীর অভ্যন্তরে কষ্টের স্রোত খেলে। আশ্চর্য সৃজনশীল মন শিউরে উঠতো অত্যাচারের কথা ভেবে গঠনমূলক কল্পনার জগৎকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে। বৈশাখী মামা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রেহাই পায় ওই নর-পশুর হাত থেকে। শয়নে-স্বপনে চমকে উঠে সে ভয়ংকর চিত্র আসে তার মনে।
পুরানো বইয়ের পাতা খুলতেই চমকে উঠলো বৈশাখী। তার হাতের আঙ্গুল গুলো থরথর করে কাঁপছে। সারা শরীরে ঘাম জমাট বাঁধছে। আবার একবার ফটোটা ভালো করে দেখে নিলো সে। হঠাৎ যেনো তার শরীরে থাকা কোনো গোপন যন্ত্রনা শিরদাঁড়া দিয়ে প্রভাবিত হলো। ফটোটা ছুড়ে ফেলে দিলো সে।
এখন সে সব কথা বৈশাখী মনে রাখতে চায় না। পুকুর পাড় ঘেঁষে একটা বট গাছ আছে। সেটা পুকুরের দিকে ঝুঁকে গেছে। বৈশাখী দূর থেকে গাছটা দেখতে পেয়ে থমকে দাঁড়ালো, মনে পড়ে গেলো রতনের কথা। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ছেলেটির প্রেমে কখন যে পড়ে গেলো তা বোঝার উপক্রম করেনি কখনও। কিন্তু সে প্রেম অকালে ঝড়ে পড়ে গেলো।
একটু উদার ভালোবাসা অপমানকে উপেক্ষা করে হাসতে শিখিনি। রতনকে বৈশাখী ভালোবাসতো কাঙ্গলের ন্যায়। আর্তনাদে ফাটে মনের রক্ত কনিকা।
পরমুহূর্ত্বে বিশাল জলস্রোত মনকে আন্দোলিত করে ভাসিয়ে দিলো দু'চোখ। বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট মতো আক্রমনের প্রতিচ্ছুবি দেখে বৈশাখী। আজ প্রতিহিংসায় জ্বলছে ভালোবাসা। পৃথিবীর ঘুম চোখ ছানাবড়া হয়ে যাচ্ছে। ধ্বংস প্রায় মনের বাসস্থান।
চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই অপমানের কথা ঘটনাটা ঘটেছিল স্কুলে। বুক কেঁপে ওঠে বৈশাখীর। সেই প্রথম সে নিজের মন থেকে বুঝতে পেরেছিল রতনকে ছাড়া কতটা অসহায় তার মন। সম্মান শ্রদ্ধা মিলিন করে সে আসলে শরীর পেতে চেয়েছিল। কিন্তু এ সর্বনাশ থামানোর আপ্রান চেষ্টা করে বৈশাখী সফল হয়। খিল খিল শব্দ করে হাসতে লাগলো রতন। পুর্নিমার রাতে নির্জন পুকুর পাড়ে সে হাসি এক ভয়াবহ রুপ নিলো।
হাসি থামিয়ে রতন বললো আজ থেকে আমাদের এক সঙ্গে থাকা শেষ এখন আমরা দুজন দুই রাস্তার পথিক মাত্র। বৈশাখী মন্ত্রমুগ্ধের মতো রতনের কথা গুলো শুনেই চলেছে। আর তার চোখ দিয়ে তখন বাঁধ ভাঙ্গা অশ্রু জল প্রবাবিত হতে শুরু করেছিল। আগুন জ্বলে উঠলো লেলিহান শিখায়। রতনের হাসির শব্দ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু হলো।
বৈশাখীর জীবনের ঘড়িটা স্তব্ধ সেদিন থেকেই। জানালা বন্ধকরে দেয়। বৃষ্টির ছিটেফোঁটা ঘরের ভিতরে চলে আসছে। চিন্তিত মুখ নিয়ে সোফায় এসে বসে। সামনে রাখা আজকের কাগজে চোখ বুলাতে শুরু করে। কিন্তু মন তার কোনো কিছুর ভিতর অনেক দিন হলো নেই।
রতন আজ অনেক দূরে। নিশ্চিন্তের ঘুম চোখের পাতায় নেই। গরীবের মেয়ে পরাজয় বরন করতে হয় তাকে। পরিতৃপ্ত হয় রতনের নতুন সম্পর্ক।
একের পর এক আঘাত নামে মনের উপর। ভালোবাসার নামে রাক্ষস হয়ে উঠে রুপের দেহ। জলবর্ষনের জন্য আকাশও শুকিয়েছে। এক স্পর্শ শিখার অনুভবে লজ্জায় ভালোবাসা গেলো পালিয়ে।
অসহ্য যন্ত্রনায় বৈশাখীর বুক কেঁপে উঠতো কিন্তু চিৎকার করে কাঁদতে পারতো না সে। মনটা যেনো চিৎকার করে বলতে চাইছে কেনো এমন হলো।
প্রেম আর দেহের মাঝে ক্ষীন সীমারেখা। ভালোবাসা বলতে যারা শুধু রোমান্টিকতা বোঝে। তাদের কাছে কেয়ার অবশ্যই বিরক্তিকর হবে এটাই স্বাভাবিক। ভালোবাসার অন্তরালে বাস করা, বিষধর সাপের ছোবল কি পরাস্ত করতে পারে পূর্নবয়স্ক যুবতীকে? জ্যোৎস্নার থাবা পড়ে তার চরিত্রের উপর। শরমহানি ঘটে ভালোবাসার মোহ মায়া জালে। নির্লজ্জের মতো কাঁদতে থাকে চোখ। একাকিত্বের যন্ত্রনা বৈশাখীকে ঘিরে বাস করে। প্রিয় মানুষের হারানোর ভয়ে থরথর কাঁপে অন্তর। দুজনের কাছে দুজনের প্রতিশ্রুতি আজ অসমাপ্ত চিঠির ন্যায়। একটাই বাক্য লেখা 'আই ডোন্ট কেয়ার ফর লাভ'।








বিভাগ -গদ‍্য কবিতা
     চোখ_কান_মুখ_বন্ধ_করো
                  আব্দুল  রহিম


আজকের দিনে বাঁচতে হলে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বাঁচতে শেখো,না হয় অনাহারে মরতে হবে
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে পাথর বানাতে শেখো তবেই তুমি হবে একজন দেশের সাচ্চা নাগরিক,
মুখে বোবা,কানে কালা,চোখে অন্ধ, হলে আরো ভালো।।
কেননা আজকের দিনে
অন্যায় অত্যাচার অবিচারের প্রতিবাদ করলে তুমিই দোষী,
ধর্ম হোক বর্ণ হোক জন্ম হোক ভুল ধরলে তুমিই মহাপাপী
একটু সাহায্যর হাত চাইলে তুমি গণ‍্য হবে  ভিখারি।।
তাই বলি চোখ কান মুখ বন্ধ করো।।
আজ আমার দেশে সামান‍্য ঋণের জন‍্যে  হাজার কুমোর,কামার,শ্রমিক,চাষি ভাইদের ঝুলতে হয় ফাঁসির দরবারে ,আবার এ দেশেরই কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালাচ্ছে কত ব্যবসায়ী  কত নেতা কিন্তু আঙুল তুললেই তুমি দোষী,তাই বলি চোখ-কান-মুখ বন্ধ  করো।।
আজ আমার দেশে ধর্মের নামে ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা কিন্তু কেউ দেখেনা অনাহারে না খেতে পাওয়া ক্ষুদার্থ মা,শিশুর কান্না, আবার ধর্মের নামে কথা উঠলে সবাই দেয় বড়ো বড়ো মুখের বাণী ,তবে কোথায় জীব সেবা,তবে কোথায় জীবনের সার্থকতা
আজ মানুষ একহাতে ধরে মুক্তির পূজা,আর একহাতে মানব হত‍্যা,এই বুঝি ধর্ম,এই বুঝি ধর্মের শিক্ষা কিন্তু আঙুল  তুললেই তুমিই দোষী,তাই বলি চোখ কান মুখ বন্ধ করো।।
আজও আমার দেশে পুরুষ বা নারীর কালো  জন্মনো মানেই মহা অপরাধ,কিন্তু এই দেশেই পালিত হয় ঘটা করে কালীপূজো,,কিন্তু আঙুল তুললেই তুমিই দোষী,তুমিই মহাপাপী,এই তো আমার দেশ,তাই বলি চোখ কান মুখ বন্ধ করো।।
বছরের পর বছর বদলাই,বড়ো বড়ো শহর গড়ে
হাজার যন্ত্র হয় আবিষ্কার কিন্তু বদলাই না ব‍্যাবিচার
বেড়ে চলে সভ‍্যের আড়ালে অসভ‍্যের অত‍্যচার,
মহৎ মহৎ মানুষের হয় জন্ম কিন্তু মানুষ মানুষের রক্ত ঝরানোই হল প্রধান কর্ম,এই তো আমার দেশ
কিন্তু আঙুল তুললেই তুমিই দোষী,তাই বলি চোখ-কান-মুখ বন্ধ করো।।
তাই আজকের দিনে বাঁচতে হলে চোখ কান মুখ বন্ধ করে বাঁচতে হয়,জীবনটা গড়তে হলে জীবনের
রঙ্গমঞ্চে করতে হবে নায়ক খলনায়কের অভিনয়
তবে তুমি হবে দেশের একজন সাচ্চা নাগরিক
তাই বলি বাঁচতে হলে,জীবন গড়তে হলে,চোখ কান মুখ বন্ধ করো।।
তাতে হোক না কেন তোমার চোখের সামনে ধর্ষণ, অত‍্যচার, অবিচার বেভিচার,চোখের সামনে পড়ুক শত শত লাশ,হোক না কেন চোখের সামনে হাজার জাতি ধর্মের ভেদাভেদ তাতে তোমার কি আসে যায়,আজ জীবন গড়তে হলে,দেশের সাচ্চা নাগরিক হতে গেলে চোখ কান মুখ বন্ধ  করো,
চোখ কান মুখ বন্ধ করো  ।। 









প্রভূর বিধান
             জুয়েল রুহানী


সুস্থ থাকিতে করো আল্লাহকে ভয়!
বয়স বাড়িলে কভূ পাবে না সময়
সময় থাকিতে করো প্রভূকে স্বরন,
তবে মরন হলেও হবে নাজাত বরন।
মরনের স্বাদ ভোগ করতে হবেই হবে,
ক্ষণিকের ভবে কেন হিংসে তবে?
হও ইবাদতে মশগুল ক্ষণিকের ভবে,
তাহার মূল্য বুঝে ওপাড়ে পাবে।
নামায কায়েম কর, কর যাকাত প্রদান
মরন হলে হবে আল্লাহর মেহমান।
থাকিতে সামর্থ কর হজ্জ- ওমরা
নাজাতে অর্থ এর বুঝে পাবে তোমরা।
রোযা রাখো উপবাসে প্রভূর বিধান,
স্বয়ং আল্লাহ দিবেন রোযার প্রতিদান।
হৃদয়ে গেঁথে রাখো কালিমার বাণী,
হারাবে না কখনো সু-পথ জানি।







তরঙ্গ
উমর ফারুক

উঠেছে তরঙ্গ নদে
আষাঢ় মেখেছে কালি
ভরেছে পথের নালি 
গগনে গরজে খালি
দীপেতে ওড়েনা বালি।

নাও পারাপার নদে
ওঠেছে তরঙ্গ জল
আমি হব কী বাদল !
নেমেছে সেপাই দল।
ছন্দে ফিরেনি জল।

তরঙ্গ ওঠেছে ফুলি
বিজয় কেতন ওড়ে
মূখ কি রে তোর পুড়ে
বাতাস ওঠেছে ভোরে
ধীর পায়ে যাও দোরে।

🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
           "মহরম সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে

যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত 

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা 

0 comments: