"উপকণ্ঠ 07 আগষ্ট সংখ্যা "
ইতি- আপনার প্রিয় পাঠিকা
'কনিকা রায়'
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-07/08/2020,শুক্রবার
সময় :- সকাল 10:30 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-07/08/2020,শুক্রবার
সময় :- সকাল 10:30 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত সেক আসাদ আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প.... আজ দ্বিতীয় অংশ প্রকাশিত হল
নিজের পরিচয়
সেক আসাদ আহমেদ
নিজের পরিচয়
সেক আসাদ আহমেদ
(দ্বিতীয় অংশ)
বাবার ইচ্ছা না থাকলে ও বিমাতার লাঞ্ছনা থেকে রেহাই পেতে খালেক কলকাতায় চলে এল। বিমাতার মামাতো ভাই কাজের কথা বলে আসলে এক বিহারীবাবুর বাড়িতে কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিল। এসব কিছুই বুঝতে পারেনি খালেক।
তবে বিমাতার লাঞ্ছনা থেকে নতুন শহরে বেশ ভালো লাগছে। সন্তানহীন বিহারীবাবুর বাড়িতে ছেলের মতো থাকে আর পুরো বাড়িটি দেখাশোনা করে,
জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখে,
পরিষ্কার করে।
নিজের হাতে ইচ্ছে মতো খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু একটা পরাধীনতাও ছিল। কখনও গেটের বাইরে বেরুনো যাবে না।
গ্রামের মুক্ত পরিবেশের ছেলে হয়েও মেনে নিয়েছিল খালেক — এটাই সে জীবনে চরম ভুল করে ফেলে ছিল। চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে জীবন্ত আত্মার কবর দিয়েছে সে। জীবনটাকে নিসঙ্গ একগুঁয়েমি করে তুলেছে পৃথিবীর কেউ যেন এই প্রথম জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। কলরবপূর্ণ শহরে থেকেও কলরব শুনতে পায়নি। বুঝতে পারেনি চার দেওয়ালের ভেতরকার স্বার্থের কলরব।
কাটিয়েছে জীবনের পরবর্তী ৭টা বছর...
খালেক এখন ১৮ বছরের।
তবে শরীরে যৌবনের ছাপ নেই, লম্বা ও শীর্ণ দেহ। উসকু-খুসকু চুল। শরীরটা বুড়োর মতো সামনে দিকে ঝুঁকে পড়েছে ।
এখনও ছেলেবয়েসী স্বভাব কাটেনি, কথা বলতে ও শেখেনি।
তবে একদিন ভোর প্রায় তিন টা। দরজায় কেউ টোক্কা দিচ্ছে।
কী ব্যাপার? এত তাড়াতাড়ি সকাল হয়ে গেল নাকি?
ঘড়ির দিকে তাকাল খালেক — না তো। কোন রকম চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল।
সামনে বিহারীবাবু দাঁড়িয়ে , কিছুটা অচকিত লাগছিল তাকে। কিন্তু কিছু না বলার আগে সহেব বললেন - আমি তিন দিনের জন্য দিল্লি যাচ্ছি ব্যবসার কাজে। এই কদিন তুই একা সাবধানে থাকিস।
—ঠিক আছে বাবু
তারপর বিহারীবাবুকে গেটের কাছে পৌঁছে দিয়ে এসে শুয়ে পড়ল খালেক।
চলবে.......
বাবার ইচ্ছা না থাকলে ও বিমাতার লাঞ্ছনা থেকে রেহাই পেতে খালেক কলকাতায় চলে এল। বিমাতার মামাতো ভাই কাজের কথা বলে আসলে এক বিহারীবাবুর বাড়িতে কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিল। এসব কিছুই বুঝতে পারেনি খালেক।
তবে বিমাতার লাঞ্ছনা থেকে নতুন শহরে বেশ ভালো লাগছে। সন্তানহীন বিহারীবাবুর বাড়িতে ছেলের মতো থাকে আর পুরো বাড়িটি দেখাশোনা করে,
জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখে,
পরিষ্কার করে।
নিজের হাতে ইচ্ছে মতো খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু একটা পরাধীনতাও ছিল। কখনও গেটের বাইরে বেরুনো যাবে না।
গ্রামের মুক্ত পরিবেশের ছেলে হয়েও মেনে নিয়েছিল খালেক — এটাই সে জীবনে চরম ভুল করে ফেলে ছিল। চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে জীবন্ত আত্মার কবর দিয়েছে সে। জীবনটাকে নিসঙ্গ একগুঁয়েমি করে তুলেছে পৃথিবীর কেউ যেন এই প্রথম জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। কলরবপূর্ণ শহরে থেকেও কলরব শুনতে পায়নি। বুঝতে পারেনি চার দেওয়ালের ভেতরকার স্বার্থের কলরব।
কাটিয়েছে জীবনের পরবর্তী ৭টা বছর...
খালেক এখন ১৮ বছরের।
তবে শরীরে যৌবনের ছাপ নেই, লম্বা ও শীর্ণ দেহ। উসকু-খুসকু চুল। শরীরটা বুড়োর মতো সামনে দিকে ঝুঁকে পড়েছে ।
এখনও ছেলেবয়েসী স্বভাব কাটেনি, কথা বলতে ও শেখেনি।
তবে একদিন ভোর প্রায় তিন টা। দরজায় কেউ টোক্কা দিচ্ছে।
কী ব্যাপার? এত তাড়াতাড়ি সকাল হয়ে গেল নাকি?
ঘড়ির দিকে তাকাল খালেক — না তো। কোন রকম চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল।
সামনে বিহারীবাবু দাঁড়িয়ে , কিছুটা অচকিত লাগছিল তাকে। কিন্তু কিছু না বলার আগে সহেব বললেন - আমি তিন দিনের জন্য দিল্লি যাচ্ছি ব্যবসার কাজে। এই কদিন তুই একা সাবধানে থাকিস।
—ঠিক আছে বাবু
তারপর বিহারীবাবুকে গেটের কাছে পৌঁছে দিয়ে এসে শুয়ে পড়ল খালেক।
চলবে.......
বাংলা সাহিত্য ও সংঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অনস্বীকার্য। তারই প্রচেষ্টায় বাংলা সাহিত্য বিশ্বের প্রতিটি দরবারে পেয়েছি অনন্য স্বাদ রূপে লাবণ্যে ফুটে উঠেছে যে আমরা বাঙালি হিসেবে ধন্য। তার লেখনীর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে অসহায় মানুষের কথা বাস্তব জীবনে জ্বলন্ত ছবি এছাড়া আরও নানা বিষয় নিয়ে লেখা বাঙালির মনেপ্রাণে আছে তিনি নেই তবুও বাঙালির প্রতিটি মনে প্রাণে তার সাহিত্য সৃষ্টি কে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথমে দিয়েছে নোবেল যা বাঙালি হিসেবে আমাদের কাছে খুব গর্বের । সত্যিই তিনি বীর তিনি মহান তিনি সেই রবীন্দ্রনাথ যা বাংলা সাহিত্যকে তার লেখনীর মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন যা প্রতিটি বাঙালির কাছে চির সম্পদ। তিনি হয়েছেন এই পৃথিবীর জগত সভায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এই সম্মান গোটা বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত গর্বের। সত্যিই তিনি শ্রেষ্ঠ আপামর বাঙালীর কাছে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে। তার সংগীত মানুষের কাছে মনেপ্রাণে হয়ে উঠেছে সুখ-দুঃখের কান্ডারী এ যেন এক মিলন তার সংগীত গুলো ফুটে উঠেছে সবার মাঝে বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতি যেন চোখের সামনে ভাসে তার সংগীত লেখনীর মধ্য দিয়ে সত্যিই তিনি অনন্য ব্যক্তিত্ব আমাদের রবীন্দ্রনাথ। সত্যি তাকে বাংলা সাহিত্যে বীর বললেও বলা ভুল হবে না সত্যিই তিনি আজ প্রতিটি বাঙালির কাছে অমর অমর
"তুমি বীর তুমি মহান তুমি সেই রবীন্দ্রনাথ
সাত কোটি বাঙালির মনে প্রাণে তুমি অমর
তুমি বাংলা সাহিত্য কে এনে দিয়েছো চির সম্মান যা প্রতিটি বাঙালির কাছে হয়ে উঠেছে চির সম্পদ
রবে নীরবে তুমি রবীন্দ্রনাথ তুমি সবার মনে মাঝে অমর অমর হয়ে থাকবে আজীবন"
চিঠি
"তুমি বীর তুমি মহান তুমি সেই রবীন্দ্রনাথ
সাত কোটি বাঙালির মনে প্রাণে তুমি অমর
তুমি বাংলা সাহিত্য কে এনে দিয়েছো চির সম্মান যা প্রতিটি বাঙালির কাছে হয়ে উঠেছে চির সম্পদ
রবে নীরবে তুমি রবীন্দ্রনাথ তুমি সবার মনে মাঝে অমর অমর হয়ে থাকবে আজীবন"
চিঠি
পরম পূজনীয় ঠাকুর,
প্রথমেই আপনাকে জানাই শতকোটি প্রণাম।কোন এক নিরীখে বহু দিনথেকেই আপনাকে চিঠি লিখবো ভাবিয়া ছিলাম।তাই আজ বসিয়া পরিলাম।আপনি আমার কাছে এক মহান বেক্তি,এক মহান পুরুষ,এবং কবি শ্রেষ্ঠ।ভুল বললাম শুধু আমার কাছেই নন আপনি সমগ্রো বিশ্বের কাছে কবি গুরু নামে পরিচিত।স্কুলের প্রথম গণ্ডিতে আপনার লিখা "সহজ পাঠ" পড়িয়ায় শুরু আমাদের জীবন।তার পর থেকেই বহু গল্প, নাটক,গান,কবিতা ইত্যাদি পড়িয়াছি।মায়ের মুখে শুনিয়াছি আপনার গল্প।ব্যাকারনে পরিয়াছি আপনার জীবনি।২৫শে বৈশাখ আপনার জন্ম দিন।তাই আমারা আজও আপনাকে স্বরন করিয়া চলিয়াছি।এই দিন টি তে সজ্জিত হয় কত শত মঞ্চ। আপনার গান,কবিতা, নাটকে মুখরিত হয় গ্রাম গঞ্জ।
নতুন প্রজন্মে অনেক কবির আবির্ভাব ঘটিয়াছে চলিয়াছে।হাজারো কবির মাঝেও আপনিতো আপনিই-
আপনার কোনো বিকল্প নেই ঠাকুর।তাই আপনার সম্পর্কে যতই লিখি না কেন , লিখা কম পরিয়া যাইবে।
আপনার কোনো বিকল্প নেই ঠাকুর।তাই আপনার সম্পর্কে যতই লিখি না কেন , লিখা কম পরিয়া যাইবে।
২২শে শ্রাবন দিনটি বরই দুঃখের-তাই আমি করিবো না তাহার বয়ান। কারণ ঠাকুর সেদিন ঘটিয়াছিল যে আপনার মহাপ্রয়ান। তবুও দুঃখের সহিত আমরা আজও
আপনাকে স্বরণ করিয়া দিন টি পালন করিয়া চলিয়াছি।
আপনি ভারত মায়ের বুকে এক অমূল্য রত্ন।
ভালো থাকিবেন ঠাকুর।আমি আজ এখানেই শেষ করিতেছি কবি গুরু।
আপনাকে স্বরণ করিয়া দিন টি পালন করিয়া চলিয়াছি।
আপনি ভারত মায়ের বুকে এক অমূল্য রত্ন।
ভালো থাকিবেন ঠাকুর।আমি আজ এখানেই শেষ করিতেছি কবি গুরু।
ইতি- আপনার প্রিয় পাঠিকা
'কনিকা রায়'
একটি ইন্টারভিউতে নচিকেতা চক্রবর্তী বলেছিলেন - নোবেল প্রাইজ না পেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সিরিয়্যাল লিখতে হতো । আসলে কথাটা বলেছিলেন এই অর্থে যে রবি ঠাকুরকে মারাত্মক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিলো । কেউ নিজের মতো করে বুঝে, কেউ না বুঝে আবার কেউ ঈর্ষায় । সদ্য বিলেত ফেরত রবি ঠাকুর যখন বাল্মীকি প্রতিভা করলেন তাতে বিদেশী সুরের স্পষ্ট ছোঁয়া পাওয়া গেলো । এছাড়াও প্রচুর গানে তিনি ফিউশন সৃষ্টি করেছেন । আবার তাঁর কথাও বোঝা যায় না এই সুবাদে সমালোচনা । নোবেল পাওয়ার পর মোটামুটিভাবে মুখ বন্ধ হয়েছিলো সমালোচকদের । তবে রবি ঠাকুরের গানের পরিবেশনা আজকের মাটিতে দাঁড়িয়ে করলে ভালো । যদিও এখন বা আগেও নানান এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে তাঁর গান নিয়ে । সম্ভবত পীযূষকান্তি সরকার নতুন আঙ্গিকে গাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রথম । তবে ছোটবেলায় যাদের গলায় রবি ঠাকুরের গান শুনেছি সেটা আমার মতো বহুজনকেই হয়তো সেরকমভাবে প্রভাবিত করেনি মানে গানের পরিবেশনাটা । আমার মতো বহু মানুষের বিশ্বাস যে রবি ঠাকুর আজ বেঁচে থাকলে তিনিই তাঁর গানে অক্টোপেড, গিটার ইত্যাদি আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করতেন । আগামী একশো বছর রবি ঠাকুরের আধুনিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না । কিন্তু আমাদের অনাধুনিক চিন্তাধারার জন্যই বোধহয় রবি ঠাকুরের আধুনিকতা সেভাবে পৌঁছাচ্ছে না বর্তমান প্রজন্মের কাছে । সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দেওয়া দরকার ।
তবে রবি ঠাকুর আমাদের অজ্ঞতার জন্য বা দৈন্যতার জন্য বা অনাধুনিক মনোভাবের জন্য অথবা 'হ্যারিটেজ' বানিয়ে রাখার জন্য সীমিত হয়ে আছেন চিরাচরিত গাওয়া কয়েকটি গানে, কয়েকটি কবিতায়, কয়েকটি নাচে ! রবি ঠাকুরের এত এত বিশাল গবেষণা, বিজ্ঞান, আধুনিক চিন্তাধারা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সেরকমভাবে চর্চা করছি না আমরা । শুধু ফুলের মালা দিয়েই রবি 'ঠাকুর' বানিয়ে রাখছি !!
22শে শ্রাবন কভূ বরষণ, পুণ্যের তিরোধানে;
চির মুখরিত,বঙ্গ গগন তোমার উজ্জ্বল গানে।
রবি আলো দেয় গানের আকাশে,শত তারকার মাঝে ;
তব সৃষ্টিতে বন্দনা তব,
সুরে আর গানে বাজে।
চির মুখরিত,বঙ্গ গগন তোমার উজ্জ্বল গানে।
রবি আলো দেয় গানের আকাশে,শত তারকার মাঝে ;
তব সৃষ্টিতে বন্দনা তব,
সুরে আর গানে বাজে।
প্রণাম তোমায় কবি সম্রাট,
ক্ষমা করো ক্রুটি যত ;
সাহিত্য গগনে আলো দিয়ে যেও,
বাংলা হোক আলোকিত।
ক্ষমা করো ক্রুটি যত ;
সাহিত্য গগনে আলো দিয়ে যেও,
বাংলা হোক আলোকিত।
চেতনার মহানিশা ছিঁড়ে
তোমার সুরে , তোমার গানে
জ্বেলে নেব আমার আনন্দ ।
একবার, শুধু এক মুহূর্তের অমৃতের
স্বপ্ন দাও !
তোমার সুরে , তোমার গানে
জ্বেলে নেব আমার আনন্দ ।
একবার, শুধু এক মুহূর্তের অমৃতের
স্বপ্ন দাও !
হিয়ার মাঝে এসো
প্রেম স্বপ্ন মৃত্যুর অবচেতনায় ;
আমার যন্ত্রণার তিমির ভাবনায়
এই বিষন্ন প্রাণে
তোমার আবহসঙ্গীতে জ্বলে উঠুক আনন্দ
প্রদীপ ।
প্রেম স্বপ্ন মৃত্যুর অবচেতনায় ;
আমার যন্ত্রণার তিমির ভাবনায়
এই বিষন্ন প্রাণে
তোমার আবহসঙ্গীতে জ্বলে উঠুক আনন্দ
প্রদীপ ।
খোয়াই র পথ ধরে রাঙ্গামাটির বীরভূম
পলাশের রক্তিম আমন্ত্রণে, শিশুর মতো
এক অবাক বিস্ময়ে দেখতে পাই নবজন্ম ।।
পলাশের রক্তিম আমন্ত্রণে, শিশুর মতো
এক অবাক বিস্ময়ে দেখতে পাই নবজন্ম ।।
আজ এই কঠিন দিনে
তোমাকে জানাই শতকোটি প্রণাম
হৃদয় যখন ক্ষতবিক্ষত
সংক্রমণের ভয়ে শঙ্কিত প্রাণ
অভয় দেয় শুধু তোমার গান।
তোমাকে জানাই শতকোটি প্রণাম
হৃদয় যখন ক্ষতবিক্ষত
সংক্রমণের ভয়ে শঙ্কিত প্রাণ
অভয় দেয় শুধু তোমার গান।
নতুন আলোর দিশা তুমি
অন্ধকারের পথে আলোকবর্তিকা
যে আলোয় পথ দেখে
পেরোনো যায় মৃত্যু উপত্যকা।
অন্ধকারের পথে আলোকবর্তিকা
যে আলোয় পথ দেখে
পেরোনো যায় মৃত্যু উপত্যকা।
আজ প্রয়াণ দিবসে তোমাকে স্মরি
শয়নে স্বপনে চিন্তনে মননে
যেন তোমাকে ধারণ করি,
তোমার পথে হেঁটেই যেন
মৃত্যুকে জয় করতে পারি।
রবি প্রণাম
✍বিপ্লব গোস্বামী✍
ছন্দ গানের হে মহান ঋষি
তোমায় নমস্কার।
বন্দিতে তোমায় জানি না মন্ত্র
ধ্যান প্রণাম তার।
বিশ্বের কবি তুমি সর্বশ্রেষ্ট
কালি বাল্মীকি সম।
হৃদয়ের কবি পরাণের কবি
বন্দনা লহ নমঃ।
বীণা দিলা যারে বাণী
সবটুকু আশিস দানি।
তাইতো তুমি বিশ্ব কবি
হে মহান জ্ঞানী।
লিখলে তুমি অমর লিখা
জ্ঞান অমৃত পিয়া।
ভাসালে তুমি অখিল জগত
মধু মাখা গীতি দিয়া।
বন্দনা লহ,বন্দনা হল
তোমার চরণে লুটি।
মনে বড় সাধ পদ্ম হয়ে
চরণ যোগলে ফুটি।
আমাদেরই রবি
আভা সরকার মন্ডল
ঠাকুর বাড়ির রবীন্দ্রনাথ
সবার প্রিয় অতি,
সাহিত্যের সব পর্বে আছে
তাঁর ছড়ানো জ্যোতি।।
কবিতা, গান গল্প লিখে
আঁকলেন আবার ছবি,
সকল কবির গুরু তিনি
আমাদের ই রবি।।
চলার পথের মন্ত্র তিনি
দিলেন ভালোবেসে,
শিশু মনের খোরাক দিলেন
সহজ পাঠে এসে।।
সাহিত্যে এক নোবেল দিলেন
বাংলা মাকে এনে,
তাঁর কারণে বাংলা ভাষা
বিশ্ববাসী চেনে।।
গর্ব তিনি,প্রেরণাও
বিশ্বকবি নামে,
মূল্যায়ন তাঁর হয় যে শুধু
শ্রদ্ধা ভক্তির দামে।।
শয়নে স্বপনে চিন্তনে মননে
যেন তোমাকে ধারণ করি,
তোমার পথে হেঁটেই যেন
মৃত্যুকে জয় করতে পারি।
রবি প্রণাম
✍বিপ্লব গোস্বামী✍
ছন্দ গানের হে মহান ঋষি
তোমায় নমস্কার।
বন্দিতে তোমায় জানি না মন্ত্র
ধ্যান প্রণাম তার।
বিশ্বের কবি তুমি সর্বশ্রেষ্ট
কালি বাল্মীকি সম।
হৃদয়ের কবি পরাণের কবি
বন্দনা লহ নমঃ।
বীণা দিলা যারে বাণী
সবটুকু আশিস দানি।
তাইতো তুমি বিশ্ব কবি
হে মহান জ্ঞানী।
লিখলে তুমি অমর লিখা
জ্ঞান অমৃত পিয়া।
ভাসালে তুমি অখিল জগত
মধু মাখা গীতি দিয়া।
বন্দনা লহ,বন্দনা হল
তোমার চরণে লুটি।
মনে বড় সাধ পদ্ম হয়ে
চরণ যোগলে ফুটি।
আমাদেরই রবি
আভা সরকার মন্ডল
ঠাকুর বাড়ির রবীন্দ্রনাথ
সবার প্রিয় অতি,
সাহিত্যের সব পর্বে আছে
তাঁর ছড়ানো জ্যোতি।।
কবিতা, গান গল্প লিখে
আঁকলেন আবার ছবি,
সকল কবির গুরু তিনি
আমাদের ই রবি।।
চলার পথের মন্ত্র তিনি
দিলেন ভালোবেসে,
শিশু মনের খোরাক দিলেন
সহজ পাঠে এসে।।
সাহিত্যে এক নোবেল দিলেন
বাংলা মাকে এনে,
তাঁর কারণে বাংলা ভাষা
বিশ্ববাসী চেনে।।
গর্ব তিনি,প্রেরণাও
বিশ্বকবি নামে,
মূল্যায়ন তাঁর হয় যে শুধু
শ্রদ্ধা ভক্তির দামে।।
সন্ধ্যায় শাঁখ বাজে
ধূপ জ্বলে
কী সুন্দর সন্ধ্যা রাত
ভালো লাগে খুব
দেওয়ালে রঙীন ছবি
বন বাংলো ও জংগল
শিল্পীর আঁকা।
রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি,
গনেশ।
রাত গড়িয়ে চলে গভীরের দিকে।
ধূপ জ্বলে
কী সুন্দর সন্ধ্যা রাত
ভালো লাগে খুব
দেওয়ালে রঙীন ছবি
বন বাংলো ও জংগল
শিল্পীর আঁকা।
রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি,
গনেশ।
রাত গড়িয়ে চলে গভীরের দিকে।
দেহগত বিলীন হয়ে যাওয়া মা'কে আমি হারাইনি!
অন্তরাত্মার আবেগঘন ক্যানভাসে এঁকে রেখেছি!
হতাশার মাঝদরিয়ায় -
জীবনতরী হামেশাই টলমল করে,
তখন মা'কে খুঁজে বেড়াই!
সুবিধাবাদের ঝোড়ো হাওয়ায় মা'কেই যে খুঁজতে হয়!
মা আমার প্রেরণার খড়কুটো,
তা' আঁকড়েই তো বেঁচে থাকা!
অন্তরাত্মার আবেগঘন ক্যানভাসে এঁকে রেখেছি!
হতাশার মাঝদরিয়ায় -
জীবনতরী হামেশাই টলমল করে,
তখন মা'কে খুঁজে বেড়াই!
সুবিধাবাদের ঝোড়ো হাওয়ায় মা'কেই যে খুঁজতে হয়!
মা আমার প্রেরণার খড়কুটো,
তা' আঁকড়েই তো বেঁচে থাকা!
কি লিখবো কেন লিখবো ভাবিনি কখনো,
সত্যি বলতে কি তোমাকে চিনি না এখনো।
বড়োই সংশয় হয় ভেবে তোমায়।
হঠাৎই এলে এক রাতে,
যখন ছিলাম বারান্দায় বসে চলভাষ হাতে।
হাই!হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন জ্বলে উঠলো,
মনে তখন ভাবছি এই রাতে আবার কি বিপত্তি ঘটলো।
তখন ছিলাম চিন্তিত মানছি এবেলা।
অ্যাপ লকটি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছি,
দেখলাম অচেনা মতো একটি নাম্বার,
বার্তা তো দেখে নিলাম
এবার প্রত্যুত্তরে কি বলবো তাই ভাবছি বারংবার।
সত্যি বলতে কি তোমাকে চিনি না এখনো।
বড়োই সংশয় হয় ভেবে তোমায়।
হঠাৎই এলে এক রাতে,
যখন ছিলাম বারান্দায় বসে চলভাষ হাতে।
হাই!হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন জ্বলে উঠলো,
মনে তখন ভাবছি এই রাতে আবার কি বিপত্তি ঘটলো।
তখন ছিলাম চিন্তিত মানছি এবেলা।
অ্যাপ লকটি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছি,
দেখলাম অচেনা মতো একটি নাম্বার,
বার্তা তো দেখে নিলাম
এবার প্রত্যুত্তরে কি বলবো তাই ভাবছি বারংবার।
হু আর ইউ!
চিন্তিত মাথায় বার্তা দিলাম।
হঠাৎ লেখার পাশের
সবুজ চিহ্ন দুটি জ্বলে উঠল।
কিছুটা হলেও মনের সংশয় দূর হল।
নাম কি? চিনতে পারছিনা যে,
আরে, আমি সুজাতা উত্তর এল।
চিন্তিত মাথায় বার্তা দিলাম।
হঠাৎ লেখার পাশের
সবুজ চিহ্ন দুটি জ্বলে উঠল।
কিছুটা হলেও মনের সংশয় দূর হল।
নাম কি? চিনতে পারছিনা যে,
আরে, আমি সুজাতা উত্তর এল।
বিদ্যুৎ বেগে হৃৎপিন্ডের ওপর দিয়ে,
একটি শীতল স্রোত বয়ে গেল।
ঘুম ঘুম চোখ তার ওপর ঐ নাম,
আমি যে হতভম্ব হয়ে গেলাম।
হওয়ারই কথা তা তো ঠিক,
আমার স্কুলে তো কাউকে নাম্বার দিইনি তখনও,
আবার এ কথাও সঠিক।
খুব যে চেনা চেনা মনে হল,
হঠাৎই কেন আবার কল্পনায় মিলিয়ে গেল।
একটি শীতল স্রোত বয়ে গেল।
ঘুম ঘুম চোখ তার ওপর ঐ নাম,
আমি যে হতভম্ব হয়ে গেলাম।
হওয়ারই কথা তা তো ঠিক,
আমার স্কুলে তো কাউকে নাম্বার দিইনি তখনও,
আবার এ কথাও সঠিক।
খুব যে চেনা চেনা মনে হল,
হঠাৎই কেন আবার কল্পনায় মিলিয়ে গেল।
সেই হারানো সম্পর্ক
এখন কেবল তালি দেয়া
জীর্ণ বিছানা। গভীর রাত। একাকী রাত্রি যাপন
দিনগুলো মনে পড়ে সব ঠিকঠাক
কেবল তুমি নেই পাশে ।।
এখন কেবল তালি দেয়া
জীর্ণ বিছানা। গভীর রাত। একাকী রাত্রি যাপন
দিনগুলো মনে পড়ে সব ঠিকঠাক
কেবল তুমি নেই পাশে ।।
অভিমানিনী হয়ে একদিন চলে গেলে
সাজানো সংসার ছেড়ে
এখন এসেছো ফিরে
এবার পালাবার নেই কোনো পথ
জলে নামলে কাপড় ভেজে নিশ্চয় ।।
সাজানো সংসার ছেড়ে
এখন এসেছো ফিরে
এবার পালাবার নেই কোনো পথ
জলে নামলে কাপড় ভেজে নিশ্চয় ।।
এসেছো যখন
পিঁড়ি আছে এখনো ফাঁকা
চারদিকে আজ আবর্জনার স্তুপ
ভোরের দোয়েল পাখি বৃষ্টিতে ভেজে
প্রাণেতে আমার বড়ো দুখ ।।
পিঁড়ি আছে এখনো ফাঁকা
চারদিকে আজ আবর্জনার স্তুপ
ভোরের দোয়েল পাখি বৃষ্টিতে ভেজে
প্রাণেতে আমার বড়ো দুখ ।।
আজিজ সাহেব সমাজ পতি
অঢেল টাকা, বাড়ি, গাড়ি,
ত্রাণের নামে নাটক সাজায়-
চলুন দেখি তারাতারি।
অঢেল টাকা, বাড়ি, গাড়ি,
ত্রাণের নামে নাটক সাজায়-
চলুন দেখি তারাতারি।
আপন নামের গুন বিচারে
ত্রাণ বিলাবেন, ফন্দি করে,
এই করোনায় গরীব মানুষ-
আছেন যারা বন্দি ঘরে।
ত্রাণ বিলাবেন, ফন্দি করে,
এই করোনায় গরীব মানুষ-
আছেন যারা বন্দি ঘরে।
ফন্দি মত আজিজ সাহেব
চাল ডাল আর ক্যামেরা নিয়ে,
ত্রাণের নামে তুলেন ছবি-
গরীব লোকের বাড়ি গিয়ে!
চাল ডাল আর ক্যামেরা নিয়ে,
ত্রাণের নামে তুলেন ছবি-
গরীব লোকের বাড়ি গিয়ে!
এসব দানের মূল্য কিসে?
লোক দেখানো দান যদি হয়,
নাম ফাটানো এসব লোকের
শিক্ষা দেয়া উচিৎ কী নয়?
লোক দেখানো দান যদি হয়,
নাম ফাটানো এসব লোকের
শিক্ষা দেয়া উচিৎ কী নয়?
বন্ধ করুন আজিজ সাহেব
ভন্ডামি এ দানের নামে,
খবর কিন্তু খারাপ আছে-
এমন দানের পরিনামে!
ভন্ডামি এ দানের নামে,
খবর কিন্তু খারাপ আছে-
এমন দানের পরিনামে!
শুষ্ক সবুজ গাছগুলো আজ
দেখাচ্ছে নতুন সাজের সাজ
পুরান পাতা সব ঝরিয়ে দিয়ে
শিশুর মতো হচ্ছে নিষ্পাপ।
দেখাচ্ছে নতুন সাজের সাজ
পুরান পাতা সব ঝরিয়ে দিয়ে
শিশুর মতো হচ্ছে নিষ্পাপ।
শুষ্ক সবুজ মাঠগুলো আজ
ভরলো বৃষ্টির জলে থৈ থৈ
আয়নার মতো করছে চকচক
মুখ দেখছি তাতে বারে বার।
ভরলো বৃষ্টির জলে থৈ থৈ
আয়নার মতো করছে চকচক
মুখ দেখছি তাতে বারে বার।
চারি দিকে তাকিয়ে আছি
পুকুর পাড়ে বসে
বাতাসরা সব বলছে কানে কানে
আছি আমরা মহা আনন্দে।
পুকুর পাড়ে বসে
বাতাসরা সব বলছে কানে কানে
আছি আমরা মহা আনন্দে।
মাঠ ভর্তি নানান পাখি
আসছে উড়ে অজানার-দেশ থেকে
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি
মুখ ফেরাতে হয়না ইচ্ছে।
আসছে উড়ে অজানার-দেশ থেকে
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি
মুখ ফেরাতে হয়না ইচ্ছে।
পাড়া গাঁয়ের শিশুরা সব
জাল হাতে ছুটছে মাঠে
তাইনা দেখে প্রকৃতি নাচন
দিচ্ছে হা হা রে।।
জাল হাতে ছুটছে মাঠে
তাইনা দেখে প্রকৃতি নাচন
দিচ্ছে হা হা রে।।
বিয়ে করব না করব না করে করে
অবশেষে বিয়েটা ফেলল করে
আমাদের প্রিয় মিষ্টার অশেষ।
প্রথম ক'টা মাস কাটল সুখেই বেশ।
তারপর আবার উঠল নড়ে
আগের সেই সে যত
ওর মাথার ঘুরঘুরে পোকা।
বৌয়ের পক্ষে সম্ভব নয় আর ওকে রোখা।
বউ রইল পড়ে
একা ঘরে
ও চলল আবার সেই সে আগের মত
মহাসমুদ্র অভিযানে।
বউয়ের কথা কি আর ও মানে?
মহাসাগর যে ওকে বড় টানে!
কেঁদে পড়ে
ওর বউ বলে,
আমিও যাবো তোমার সাথে!
আশেষের আপত্তি নাই তাতে।
ওরা দুজনে মহাসাগর অভিযানে চলে
হেসে হেসে হেসে একসাথে।
ভেসে ভেসে ভেসে জলে
ওরা নৌকোয় করে
দূর থেকে যায় আরও দূরে........
জীবনগুলিকে উপভোগ করে
ওরা জলে ঘুরে ঘুরে ঘুরে.......
থাকে না ওরা খিল আঁটা বন্ধ ঘরে।
ওরা জলপথেই সংসার গড়ে।
অবশেষে বিয়েটা ফেলল করে
আমাদের প্রিয় মিষ্টার অশেষ।
প্রথম ক'টা মাস কাটল সুখেই বেশ।
তারপর আবার উঠল নড়ে
আগের সেই সে যত
ওর মাথার ঘুরঘুরে পোকা।
বৌয়ের পক্ষে সম্ভব নয় আর ওকে রোখা।
বউ রইল পড়ে
একা ঘরে
ও চলল আবার সেই সে আগের মত
মহাসমুদ্র অভিযানে।
বউয়ের কথা কি আর ও মানে?
মহাসাগর যে ওকে বড় টানে!
কেঁদে পড়ে
ওর বউ বলে,
আমিও যাবো তোমার সাথে!
আশেষের আপত্তি নাই তাতে।
ওরা দুজনে মহাসাগর অভিযানে চলে
হেসে হেসে হেসে একসাথে।
ভেসে ভেসে ভেসে জলে
ওরা নৌকোয় করে
দূর থেকে যায় আরও দূরে........
জীবনগুলিকে উপভোগ করে
ওরা জলে ঘুরে ঘুরে ঘুরে.......
থাকে না ওরা খিল আঁটা বন্ধ ঘরে।
ওরা জলপথেই সংসার গড়ে।
তোদের সাথে সেই ছোট্ট থেকেই মেলামেশা,
সুখ দুঃখের সাথী আমরা, কত না ভালোবাসা!
তোদের সাথে কখনও খেলা, কখনও ঝগড়া
আজ আপন আপন কাজে ব্যস্ত সবাই আমরা।
আমরা কেউ দিদির আঙুল ধরে, কেউবা দাদার
যেতাম স্কুলে প্রথম প্রথম পথ যে ছিল অজানার।
একটু বড়ো হলাম যখন আর সাথে নয় দাদা দিদি
তোরা আমরা নিজেরাই হিরো, করতাম ডাকাডাকি।
স্কুলের দিন নয়টা বাজলেই স্নান করতে পুকুর পাড়ে
কারও আসতে দেরি হলে হাক জুড়তাম সজোরে।
ছুটির দিনে স্নানের বহর হত যে আরও বাহারি
কেউ গাছ থেকে, কেউ ঘাট থেকে লাইন ধরে ঝাপ মারি।
বন্ধু তোদের মনে আছে তো সেই সব দিন গুলি?
গামছা লুকিয়ে রাখতাম যেই শুরু হত দলাদলি।
জলের মধ্যে দাপাদাপি, সাঁতরে এপার ওপার,
ঘাটের জল ঘুলিয়ে তুলতাম, আনন্দে মন উঠত ভরে সবার।
আমরা যেন আজ সবাই একলা, হারিয়ে গেছে ছোট্টবেলা,
স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে যতই ব্যস্ত কাজে দুইবেলা।
লুকিয়ে লুকিয়ে আম পারা, জাম-খেজুর কুড়ানো
বলতে গেলে আরও আছে মনের কোঠায় জড়ানো।
আপন আপন ঘুড়ি বানিয়ে যেই উড়াতাম আকাশে
কে পারে কার কাটতে ঘুড়ি বন্ধু সকল একসাথে।
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বন্ধু তোদের সাথে খেলা,
বন্ধু দিবসের দিনে তাই তো ফিরেছি নিয়ে স্মৃতির ভেলা।
সুখ দুঃখের সাথী আমরা, কত না ভালোবাসা!
তোদের সাথে কখনও খেলা, কখনও ঝগড়া
আজ আপন আপন কাজে ব্যস্ত সবাই আমরা।
আমরা কেউ দিদির আঙুল ধরে, কেউবা দাদার
যেতাম স্কুলে প্রথম প্রথম পথ যে ছিল অজানার।
একটু বড়ো হলাম যখন আর সাথে নয় দাদা দিদি
তোরা আমরা নিজেরাই হিরো, করতাম ডাকাডাকি।
স্কুলের দিন নয়টা বাজলেই স্নান করতে পুকুর পাড়ে
কারও আসতে দেরি হলে হাক জুড়তাম সজোরে।
ছুটির দিনে স্নানের বহর হত যে আরও বাহারি
কেউ গাছ থেকে, কেউ ঘাট থেকে লাইন ধরে ঝাপ মারি।
বন্ধু তোদের মনে আছে তো সেই সব দিন গুলি?
গামছা লুকিয়ে রাখতাম যেই শুরু হত দলাদলি।
জলের মধ্যে দাপাদাপি, সাঁতরে এপার ওপার,
ঘাটের জল ঘুলিয়ে তুলতাম, আনন্দে মন উঠত ভরে সবার।
আমরা যেন আজ সবাই একলা, হারিয়ে গেছে ছোট্টবেলা,
স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে যতই ব্যস্ত কাজে দুইবেলা।
লুকিয়ে লুকিয়ে আম পারা, জাম-খেজুর কুড়ানো
বলতে গেলে আরও আছে মনের কোঠায় জড়ানো।
আপন আপন ঘুড়ি বানিয়ে যেই উড়াতাম আকাশে
কে পারে কার কাটতে ঘুড়ি বন্ধু সকল একসাথে।
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বন্ধু তোদের সাথে খেলা,
বন্ধু দিবসের দিনে তাই তো ফিরেছি নিয়ে স্মৃতির ভেলা।
(১) নিষ্কর্মার ঢেঁকি
চা-এর ভাড়ে ঢেউ
ভিড় জমালো.ফেউ ।
চা-এর ভাড়ে ঢেউ
ভিড় জমালো.ফেউ ।
( ২) ওমা কি বলে !
প্রতিবাদী নিপাত যাক্
শোষনকারী দিচ্ছে ডাক।
প্রতিবাদী নিপাত যাক্
শোষনকারী দিচ্ছে ডাক।
ফেসবুকের সেই লাল শাড়ি পড়া মেয়েটি
অরুপ দাস
অরুপ দাস
ফেসবুকের সেই লাল শাড়ি পড়া মেয়েটিকে
প্রথম যেদিন বলেছিলাম- 'ভালোবাসি'
কোনো উত্তর দেয়নি ,
শুধু মুচকি হেসে বলেছিল- 'পড়ে বলব' !
প্রথম যেদিন বলেছিলাম- 'ভালোবাসি'
কোনো উত্তর দেয়নি ,
শুধু মুচকি হেসে বলেছিল- 'পড়ে বলব' !
তারপর কেঁটে গেছে কত দিন কত রাত
কত জল বয়ে গেছে নদীতে ,
কত ঢেউ খেলেছে সাগরে ,
তার হিসেব কেউ রাখেনি ।
কত জল বয়ে গেছে নদীতে ,
কত ঢেউ খেলেছে সাগরে ,
তার হিসেব কেউ রাখেনি ।
কত রাত স্বপ্নে আমি ছুঁয়েছি তাকে !
আমি দেখেছি তাকে আকাশে বাতাসে ,
মেঘেদের ফাঁকে তারাদের পাশে
কত শীতের রাত কেটেছে তার বুকের উষ্ণতা মেখে
আমি দেখেছি তাকে আকাশে বাতাসে ,
মেঘেদের ফাঁকে তারাদের পাশে
কত শীতের রাত কেটেছে তার বুকের উষ্ণতা মেখে
কিন্তু ঘুম ভাঙল যখন সবকিছুই হাহাকার
কোথায় সেই কাজল চোখের মায়াবী চাহনি!
কোথায় সেই খোলা চুলের ঢেউ!
কোথায় সেই লাল শাড়ির আচল!
কোথায় সেই কাজল চোখের মায়াবী চাহনি!
কোথায় সেই খোলা চুলের ঢেউ!
কোথায় সেই লাল শাড়ির আচল!
জাতির সূর্য অস্তাচলগামী
আব্দুল রহিম
আব্দুল রহিম
রাজনীতির কুটনৈতিক আর ছলনাই কতবার দেখতে হবে জাতির মৃত্যু,
কতবার জ্বলতে হবে চিতার আগুনে লেবানন,ইরাক
ইরান,মায়ানমার
কীসের জন্য মানুষ হিংস্র কুকুরের মতো রক্তের পিপাসায় মগ্ন
এভাবে কি মানুষ শান্তি পায় না স্বস্তি পায় আবার তো শুরু হয় স্বার্থের যুদ্ধ লড়াই
আজ মনু্ষ্যজাতির একটা বাঁচার একটা ঠিকানা চাই কিন্তু কোথাও স্বাধীনতা মেলেনা ভাই
কেননা আজ নিজ রক্তে জন্মায় বিসমার্ক হিটলার তবে কি করে কয় ধর্ষিতা দেশ মায়ের বেদনা ।।
কতবার জ্বলতে হবে চিতার আগুনে লেবানন,ইরাক
ইরান,মায়ানমার
কীসের জন্য মানুষ হিংস্র কুকুরের মতো রক্তের পিপাসায় মগ্ন
এভাবে কি মানুষ শান্তি পায় না স্বস্তি পায় আবার তো শুরু হয় স্বার্থের যুদ্ধ লড়াই
আজ মনু্ষ্যজাতির একটা বাঁচার একটা ঠিকানা চাই কিন্তু কোথাও স্বাধীনতা মেলেনা ভাই
কেননা আজ নিজ রক্তে জন্মায় বিসমার্ক হিটলার তবে কি করে কয় ধর্ষিতা দেশ মায়ের বেদনা ।।
ইরাক ইরান মায়ানমারের রক্তে কেঁদেছে সারা বিশ্ব
আজ লেবানন বিস্ফোরণ নতুন কিছু না
কিন্তু এভাবে আর কতদিন কুকুরের মুখের খাবার ছিঁড়ে খাওয়া আর রক্তের সাথে যুদ্ধ করা
আর সয়তে পারছিনা ঘাত প্রতিঘাত,চাই প্রতিবাদ, চাই স্বস্তি,চাই শান্তি,চাই সততা, চাই স্বাধীনতা
হে মনুষ্যজাতি তুমি একবার বিবেকের দিকে চেয়ে দেখ যাদের রক্তে তুমি স্নান করেছো,তারা তোমার ছেলে মেয়ে বাবা মা ভাই বোন
কত আর চলবে কলমের খোঁচায় মিথ্যা মিথ্যা রক্ত- মাখা রাজনীতি,
নিশ্চয় একদিন লেগে যাবে নিষ্পাপ মৃত্যু কঙ্কালের অভিশাপ।।
আজ লেবানন বিস্ফোরণ নতুন কিছু না
কিন্তু এভাবে আর কতদিন কুকুরের মুখের খাবার ছিঁড়ে খাওয়া আর রক্তের সাথে যুদ্ধ করা
আর সয়তে পারছিনা ঘাত প্রতিঘাত,চাই প্রতিবাদ, চাই স্বস্তি,চাই শান্তি,চাই সততা, চাই স্বাধীনতা
হে মনুষ্যজাতি তুমি একবার বিবেকের দিকে চেয়ে দেখ যাদের রক্তে তুমি স্নান করেছো,তারা তোমার ছেলে মেয়ে বাবা মা ভাই বোন
কত আর চলবে কলমের খোঁচায় মিথ্যা মিথ্যা রক্ত- মাখা রাজনীতি,
নিশ্চয় একদিন লেগে যাবে নিষ্পাপ মৃত্যু কঙ্কালের অভিশাপ।।
হে মনুষ্যজাতি তোমার যে জাতির পতাকার জন্যে গর্ব করো সেই পতাকায় রক্তের লাল কালো দাগ জমে,
যে মায়ের জন্যে তুমি জগৎ আলোর অধিকারী সে মা আজ তোমার জন্যে সমাজের কাছে ধর্ষিতা এক নারী।।
যে মায়ের জন্যে তুমি জগৎ আলোর অধিকারী সে মা আজ তোমার জন্যে সমাজের কাছে ধর্ষিতা এক নারী।।
এই তো তুমি মহান এই তো দেখ কালো ছাইয়ের মধ্যে থেকে মৃত কঙ্কাল গাইছে তোমার জয়গান।।
আজ সত্যই মনে হচ্ছে কবি রুদ্রের কথাই সত্যি হল জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী।।
-------------------------------------------------
#উৎসর্গ_লেবাননের_বিস্ফোরণে_মৃত_
জনগণ_বাসীকে
আজ সত্যই মনে হচ্ছে কবি রুদ্রের কথাই সত্যি হল জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী।।
-------------------------------------------------
#উৎসর্গ_লেবাননের_বিস্ফোরণে_মৃত_
জনগণ_বাসীকে
07-08-20 র পত্রিকা সুন্দর মনোরম পরিবেশনা । ভালো লাগলো । প্রিয় সম্পাদক আসাদ ভাই র গল্প দারুন হচ্ছে । পরের অংশ পড়ার আগ্ৰহ তৈরী হচ্ছে । রাজা দেবরায়ের লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগে । এই লেখা সাহসী এবং আমার পূর্ণ সমর্থন । কবিতা য় ভালো লাগে মৌসুমী গুহরায়ের কবিতা এবং হামিদুল ইসলাম সাহেবের কবিতায় আধুনিকতা ও উপস্থাপনা মন ছুঁয়ে যায় ।
উত্তরমুছুনআমাদের পত্রিকা উপকন্ঠের পরিবারের সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাই ।
শুভ রাত্রি ।🙏