উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/08/2020
Upokontha Sahitya Patrika
Upokontha Web Megazine
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-27/08/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-27/08/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
প্রবন্ধ
বাংলা সাহিত্যে ভিনদেশি চরিত্র
অগ্নিমিত্র
বাংলা সাহিত্যে ভিনদেশি চরিত্র অনেক গল্প ও কবিতায় দেখা যায় । যদিও সেই সংখ্যা যে খুব বেশি তা বলা যাবে না।
এদের মূলতঃ দুভাবে দেখতে পাই । এক, ভিনদেশি অনূদিত বা ভিনদেশে ভিত্তি করে লেখা গল্পে, এবং দুই, এদেশি গল্পে আগত ভিনদেশি চরিত্র । প্রথমটির উদাহরণ হলো যেমন ধরুন: গোয়েন্দা বা অভিযাত্রী ফ্রান্সিস । এটি জনপ্রিয় লেখক অনিল ভৌমিকের সৃষ্ট; নরওয়ে দেশের লোক । অথবা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' বিদেশিনী'কে নিয়ে লেখা কবিতা ও গানটি । এই দলে রাখা যেতে পারে ' চাঁদের পাহাড়'-এ আলভারেজকেও, যদিও এটি একটি পার্শ্বচরিত্র । শঙ্করের বিশ্বস্ত সঙ্গী ও পথপ্রদর্শক ছিলো সে। .. আর দ্বিতীয়টির উদাহরণ হলো , যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' কাবুলিওয়ালা' গল্প, বা বিখ্যাত এক লেখকের লেখা ' গোয়েন্দা হুকাকাশি' চরিত্র । ' কাবুলিওয়ালা'তে রহমত আফগান ও ' হুকাকাশি'তে প্রমুখ চরিত্র হুকাকাশি
জাপানী । এই সব চরিত্রগুলি বাংলা সাহিত্যকে যুগে যুগে দারুণভাবে বিকশিত এবং সমৃদ্ধ করেছে। এতে বাঙালি পাঠক বিদেশের ভূগোল ও পরিবেশ সম্বন্ধে দারুণ ভাবে অবগত হয়ে ওঠেন । তাঁর কল্পনাপ্রবণ মন আনন্দ পায়। তবে সম্প্রতি এরকম চরিত্র কমে এসেছে; তেমন দেখা যায় না । আরো এরকম গল্প বা লেখা চাই।।
আজব গ্রাম
আব্দুল রাহাজ
পাকা রাস্তা থেকে একটা ইটের রাস্তা শুরু হয়েছে চারিদিকে গাছপালা পরে বিস্তীর্ণ মাঠ মাঝে মাঝে সারি সারি বাড়ি চারিদিকে যেন সবুজ রঙে রাঙানো মানুষগুলো সহজ সরল প্রকৃতির কি সুন্দর তারা পারস্পারিক মেলবন্ধনে বসবাস করে । চার রাস্তার মোড়ে একটা পোস্টার পাতা ছিল সেখানে সকালবেলা সবাই একসাথে বসে গল্প করতো কি সুন্দর তাদের মেলবন্ধন একে অপরের বিপদে পাশে থাকা সাহায্য করা এসব চলত তাদের মধ্যে। গ্রামটির মানুষগুলো সবাই চাষী বাসি খুব কষ্ট করে ওরা জীবন যাপন করে পান্তা ভাত খেয়ে ওদের কাটে দিন তবে কি কোথাও যেন ওরা আধুনিক কত্বের ছায়া থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে কিন্তু হ্যাঁ তাদের মধ্যে শান্তি আছে। একবার ওপাড়ার রহিম চাচার বাড়িতে আগুন লেগেছিলো গ্রামের সাবু বকুল জসিম গফফার কে কোথায় ছিল নিজেদের স্বার্থ কে ভুলে সবাই যে যার বাড়ি থেকে বালতি নিয়ে দৌড় হলো এর থেকে বোঝা যায় ওদের মেলবন্ধন ওদের পারস্পরিকতা কতটা সুন্দর আজব গ্রাম হলেও ওরা বেশ প্রকৃতির সবুজ মায়া কোলে আধুনিকতার মায়াকে না পেয়ে কোথাও কোথাও যেন চাষবাস করে দু'বেলা দু'মুঠো ভালোভাবে খেতে পেয়ে বেঁচে আছে। গ্রাম থেকে হাট-বাজার টা বেশ দূরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্কুল-হাসপাতাল বেশ দূরে ওদের পড়া-শোনা টা ঠিক তেমন হয় না ও পাড়ার হাজী মোহাম্মদ বেশ মানুষদের সুস্থ করে তুলতেন তার ওপরই ভরসা ছিল গ্রামের মানুষের উৎসবের দিন গুলো যেন মাথা কোন রঙে রাঙানো দিনে সত্যিই সূর্যের আলো তার বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তোলে প্রকৃতি ঠিক তেমনি সেখানকার মানুষগুলোর জীবনযাত্রা বৈচিত্র্যময় রূপে ফুটে ওঠে আজীবন।
ধারাবাহিক
সিদ্ধিলাভ
( প্রথম পর্ব )
🖊🖊 শাশ্বতী দাস
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে সবেমাত্র কফিতে চুমুক দিয়েছে কার্ডিওলজিস্ট সৃজা মিত্র এমন সময় বেজে উঠলো তার সেলফোনটা। হাসপাতালের ফোন। " ডক্টর সৃজা মিত্র হিয়ার "। একটু বিরক্ত ভাবেই বলে সৃজা। অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল, "ম্যাডাম, আমি অদিতি বলছি,আপনি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসুন। বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে এইমাত্র একজন পেশেন্ট এসেছেন। খুব সিরিয়াস মনে হচ্ছে। প্লিজ ম্যাডাম আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।" ফোনটা রেখেই সৃজা ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বলে। সৃজার গলা শুনে তার মা প্রজ্ঞা দেবী নিজের ঘর থেকে জিজ্ঞেস করেন "কি হয়েছে টুসি? হাসপাতাল থেকে সিরিয়াস কল? " "হ্যাঁ মা, একজন পেশেন্ট এসেছেন সিরিয়াস চেস্ট পেইন নিয়ে। আমাকে এখনই হাসপাতাল যেতে হবে। আর হ্যাঁ, তুমি কিন্তু ডিনার করে নিও মা, আমি হয়তো আজ রাতে বাড়ি নাও ফিরতে পারি।" বলতে বলতে সৃজা দরজার দিকে এগোতে থাকে। "সেসব তোকে ভাবতে হবেনা। তুই সময়মতো একটু কিছু খেয়ে নিস কেমন, আর কিছু চিন্তা করিসনা সব ঠিক হয়ে যাবে। তোর পেশেন্ট সুস্থ হয়ে যাবেন দেখিস।" মেয়ের কাছে এসে আশ্বস্ত করেন প্রজ্ঞা দেবী। সৃজা মৃদু হেসে মাকে প্রণাম করে তাড়াতাড়ি গাড়িতে গিয়ে ওঠে।
হাসপাতালে পৌঁছতেই স্টাফ নার্স অদিতি এগিয়ে আসে। "পেশেন্টের কি খবর? " অদিতিকে প্রশ্ন করে সৃজা। "পেশেন্টকে আই. সি. ইউ. তে নেওয়া হয়েছে ম্যাডাম। পেশেন্টের কন্ডিশন সিরিয়াস।" অদিতি সৃজার হাত থেকে ব্যাগ নিতে নিতে বলে। সৃজা আর কোনো কথা না বলে তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে সোজা আই. সি. ইউ. তে গিয়ে ঢোকে। বছর ষাটেকের এক সৌম্যকান্তি ভদ্রলোক শুয়ে আছেন। সৃজা ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়। ভদ্রলোককে তার খুব চেনা মনে হয়। কোথায় যেন দেখেছে সে ভদ্রলোককে!
( ক্রমশ )
ছোটোগল্প
সঞ্চয়
শুকদেব পাল
পাড়ার গোবিন্দ কাকা সঞ্চয় করতে ভালোবাসতেন ,অবশ্যই সেটা অর্থ -- ইচ্ছে ছিল তিনি সমাজের সেবা করবেন ..তবে আগে একজন প্রতিষ্ঠিত ধনীর আসনে বসেই যা করার করবেন এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থ সঞ্চয় ।
সারাদিনের রোজগার মোটামুটি খারাপ নয়, রসনার বন্ধন মনকে বশ এমন ভাবে করেছিল যে তার আত্মসংযম জিহ্বা কে স্বাদের প্রলেপ থেকে অনেকদূরে মাছ মাংসের ঘ্রাণে সক্রিয় করতে পারেনি । ভোজনের ইচ্ছাগুলো ও নিভৃতে জমতে থাকে ।
কিন্তু একটা পাউরুটি আর কলা খেয়ে উদরের বাকি স্থান জলেই পূর্ণ করে খিদে প্রশমিত করতেন।
হিসেবটা ছিল অতিমাতৃক তাই ,আয়ের বেশির ভাগটাই যেত সঞ্চয়ের জন্য সরকারি অর্থ তহবিলে অর্থাৎ ব্যাংকে । আধ পেটা অবস্থায় স্বপ্নটাকে জিইয়ে রেখেছিল ভবিষ্যতের জন্য হয়ত অজানতেই যক্ষ ভর করেছিল তার উপর , কিন্তু স্বপ্ন ধরা কি মুখের কথা ?
কিছু বছর পর অর্থ সঞ্চয়ের পরিমাণ বেশ ভালো রকম হল ,শুধু তাই নয় কৃপনতা বেড়ে উঠল চরম শিখরে , অভ্যেসটা এতোটাই ভীষণ হয়েছিল যে এখন দুবেলা না খেতে পেলেও কোনো অসুবিধে হয় না । সঞ্চয়ের নেশা আরো তীব্র হয়ে উঠল এ নেশা জুয়ার থেকেও ভয়ংকর আর নিষ্ঠুরতায় পূর্ণ । ধীরে ধীরে কিছু বছরের মধ্যে তিনি লাখপতি , এবার তার কোটিপতি হবার স্বপ্ন মনের ভিভরে দানা বাঁধতে থাকে । কিন্তু সামাজিক কল্যাণের ইচছা অভ্যাসের দাস হয়েই তার আস্তে আস্তে মুছে যেতে থাকে নিজের অজান্তে জীবন প্রচুর রোজগার কাজ আর টাকা এই নেশায় কালো সাদার হিসেবটা তিনি ভুলে গেলেন সততার মাপকাঠিতে কে আর ধরে রাখতে পারলেন না, ঈর্ষা ,অহংকার তাকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে তুলেছে । ভাগ্য তার সাথেই তার লাখপতি থেকে কোটিপতির স্বপ্ন পূরন হতে থাকে ভাগ্যের চাকা তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগোচ্ছে । তার ছেলেমেয়েরা যদিও তার কৃপণতার জন্য সন্তুষ্ট ছিল না । অর্থ যখন ভান্ডার ছাপিয়ে উপচে পড়ছে সেই সময় আকাশে মেঘ জমেছে । সময়ের কাটা টিকটিক শব্দে বিদ্রুপের সঙ্গে এক বিপদের আভাস বহন করছে অর্থ রোজগার মত্ত বিশ্বনাথ বাবুর অনেক দিকে দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে , হঠাৎ বিশ্বনাথ বাবুর পেটের ভেতর আলসার ধরা পড়ে ,কিছু দিন কবিরাজি ঔষুধ খাবার পর ভালো থাকে আবার একদিন জোরালো ব্যথায় কাতর হলে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি তে ক্যান্সার ধরা পড়ে ।
বাবার অসুস্থতার মধ্যে তার ছেলে মেয়েদের নজর পরে ভান্ডারে । অধিক বিলাসিতায় মুড়ি মুরকির মতো খরচ হতে থাকে টাকা । টাকা উড়ে বাতাসে ,অপচয়ের খবর আসে বিশ্বনাথ বাবুর কানে দুশ্চিন্তার করাল গ্রাসে মধুমেহ রোগ এসে থাবা বসায় ,ধীরে ধীরে জীর্ণতা বাড়তে থাকে,রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় হঠাৎ একদিন ব্রেইন স্ট্রোক হয় , এবার অর্থ জলের মতো খরচ হতে থাকে । হাসপাতালে বেডে বিশ্বনাথ বাবু ,তার পেটে একটা দানাও সহ্য হয় না । আস্তে আস্তে তার শরীরটা অসার হলে তার স্ত্রী ও সন্তান বড়ো বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করে ,কিন্তু লাভের লাভ কিছু হলো না অর্থ ব্যয় । একদিন শরীরটা থেকে ধুকপুকানি বন্ধ হয়ে যায় নিথর দেহটা পরে থাকে হাসপাতালের বেডের উপর -- তার শ্রাদ্ধ কর্মে হাজারো লোক ভোজন করে তার প্রেতআত্মার উদ্দেশ্যে মাছ সহ রকমারি সমস্ত ব্যঞ্জন নদীর ধারে রাতের অন্ধকারে উৎসর্গ করা হয় , অকস্মাৎ এক কালো কুকুর এসে খেতে শুরু করে দাঁত বের করে , সে দাঁতের ছেদনে কতকালের ক্ষুধার তাড়নায় ছিল চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না । রাতের মিট মিট তারারা যেন কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে রইলো ,জমানো সঞ্চয় হয়ত তাদেরও ছিল ......
কবিতা
দীঘা
মিনতি গোস্বামী
আবার
দীঘা ফিরছে
নিজের চেনা ছন্দে।
মানুষ আসছে অল্প অল্প
নিজের মত স্পর্শ বাঁচিয়ে ঘুরছে
উত্তাল সমুদ্রকে দেখছে আবার দুচোখ ভরে।
প্রকৃতির কাছে এলেই জমা ভয় মরে।
বন্দী দরজা মুক্ত আলোয় পুড়ছে
লিখছে নতুন নতুন গল্প
মন নাচছে আনন্দে
রূপের ধরছে
বাহার।
প্রভূর নেয়ামত
জুয়েল রুহানী
প্রভূর এত নাজ-নেয়ামত
মানবজাতীর তরে,
তবু কেন হিংসে-বিবাদ-
মানবজাতীর ঘরে?
রিযিক দানে ফল-ফলাদি
মানবজাতীর তরে,
রূপে ভরা চরনভূমি-
দেখলে হৃদয় ভরে।
সৃষ্টি প্রভূর শ্রেষ্ট অতি
নেই কোন তার ত্রুটি,
ভূবন মাঝে আছে ঘেরা-
রূপ যে পরিপাটি!
আল্লাহ তোমার সৃষ্টি মহান
স'বি মোদের তরে,
নেয়ামতের শুকরিয়া তাই
স'বি তোমার তরে।
অনুকবিতা :
লড়াই
বিশ্বসংগ্ৰামে দিশেহারা হয়ে
অস্তিত্ব কে আজ খুঁজে বেড়াই
সংগ্রাম যে তবুও থামবেনা
এ আমার একার লড়াই।
সায়ন প্রামানিক
মেঘ বৃষ্টি মন
উমর ফারুক
ঝুমুর গানে বাদ্য বাজে
দুইটা ঠোঁটে মিলন হল
নীল আকাশ বৃষ্টি চষে
মধুর সুরে মন মাতালো।
ডুমুর গাছের সিক্ত শাখা
শিল্পীরা গায় গভীর সুরে
মন খুঁজে পায় দুটি পাখা
আকাশ পথে যাব উড়ে।
মেঘের গায়ে জ্বলে আলো
ছাতার গায়ে বৃষ্টি ঝরে
বাদল দিনের অন্তরাল
বিচিত্র রূপ আজ নগরে।
ঘুম গিয়েছে অন্য দেশে।
পাড়ার দিকে চোখটা মেলি,
ক্ষুধার আকাশ বৃষ্টি চেয়ে...
ছুঁড়ছে বুলেট পাথর গুলি।
কবিতা :
আমার বিপ্লব!
বিশ্বজিৎ কর
অবচেতন মনে তোমায় ভাবতে গিয়ে মহার্ঘ্যভাতা উঁকি দেয়!
সাঁওতাল রমণীদের খোঁপার লাল পলাশে বিপ্লব খুঁজি!
দলবদলের সরগরম মঞ্চে সুবিধাবাদ সোচ্চার হয়!
সমবেত সংগীত চলে -
"আখের গোছাও!আখের গোছাও"!
চোরেদের ভিড়ে এখনও মানুষ নজরে পড়ে !
তুমি উপন্যাস পড়েই চলেছ -
সুনীলবাবুর "মনের মানুষ"!
এসো করি রক্ত দান
বিপ্লব গোস্বামী
এসো করি রক্ত দান
বাঁচাই অন্যের প্রাণ।
এসো হই রক্ত দাতা
দেখিয়ে দেই মানবতা।
রক্ত দান মহান কর্ম
দাতা জানে দানের মর্ম।
আপনার একটু রক্ত দানে
মুমূর্ষূ রোগী বাঁচবে প্রাণে।
প্রণম্য তুমি রক্ত দাতা
প্রণম্য তোমার মানবতা।
নারী শক্তি
কনিকা রায়
মাতৃ রূপীনি জগত্ জননী,
অশুর নাশিনী মহিস্বাসূর মোর্দিনী-
এক নারী হয়ে করেছো তুমি পুরুষেরা যা পারেনি।
তোমায় দেখে পেয়েছি বল,
তুমিই মোর বেঁচে থাকার সম্বল।
কোটি সন্তানের জননী তুমি,
নারী শক্তির উৎস তুমি-
রুপে গুনে উর্বষী
হও তুমি মহাদেবর প্রাণ শশী।
জগতে পূজিত হও তুমি মানবের মাঝে,
একই সমাজে মাগো নারী দের রাখে কেনো পাছে।
নারীরা সমাজে লাঞ্ছিত হয়,
গঞ্জনা সহ্যে পথে ঘাটে।
এমন কী কভু আসবে না দিন ফিরে,
পুরুষ সমাজ আনন্দে মুখরিত হবে নারী সমাজ ঘিরে।
" এই জীবন "
হামিদুল ইসলাম
জীবনের জন্যে
জীবন উৎসর্গ করি
প্রেমের জন্যে একবুক প্রেম ।
শৈশবের স্বপ্নগুলো
ধীরে ধীরে দানা বাঁধে
মনের অজানতে ভেঙে পড়ে চশমার ফ্রেম ।
কথকতা থেকে যায় বুকে
লুফে নেয় জীবন
ধন্য জীবনের প্রতিটি অনুভূতি এখন ।
তবু বয়ে চলি জীবন নৌকা
পথে দেখা শৈশব
স্বপ্নগুলো এখনো সাজানো ঠিকঠাক জীবন।
বেতাল মন
রাজকুমার ঘোষ
তাল কাটলো হঠাৎ করে
দমকা হাওয়ার তোড়ে
মন দেওয়া নেওয়ার খেলা,
আছিস তো হাতজোড়ে।
মেজাজ কি তোর মানে কথা!
সে তো গগনচুম্বি--
নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে
করিস হম্বিতম্বি।
ভাবনাগুলো রুদ্ধ তোর
মন খারাপের ঘরে
নিজের জ্বালায় নিজে জ্বলিস
দ্বন্দ্ব আপন-পরে।
ঠিক বেঠিকের প্রশ্নচিহ্ন,
মনে যত সংশয়
বিচারধারার মানদন্ডে
অবিচারের কি ভয়?
দ্বিধা হয়ে শত্রু আঁকিস,
মনগড়নের কাহিনী
বন্ধু তখন হয়না কেউ,
মানবাঁচানোর গ্লানি
নিজের সাথে লুকোচুরি,
হয়তো মরণফাঁদ
বিধান দেবার তিনিই দেবেন,
ছেড়ে দেবেন সাথ।
এখনো হাতে আছে সময়,
মিলে থাক সজ্জনে
ফিরে আয় সবার মাঝে,
নিজেরই আনমনে।
এ তুমি কেমন তুমি
অলোক রায়
বিষন্নতার কালো মেঘে ঢেকেছে তোমায় পুরোপুরি,
পুরোনো স্মৃতিরাও আজ হৃদয়ে দাগ কাটে না
যেন হৃদয়ে নেই কোন কড়াকড়ি।
কিছু অদ্ভুত মানুষের ভিড়ে বেঁচে আছো একাকী,
এ তুমি কেমন তুমি একটু ভালো থাকার আশায় জীবনকে দিলে ফাঁকি।
পেয়েছো কী আজ নিজেকে আড়ালে লুকিয়ে রেখে,
তুমিই ধরেছিলে হাত একদা বিকেলে কত সোহাগ মেখে।
কী ভুলে তবে আজ বিষন্নতা করেছে তোমায় গ্রাস,
কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে জীবন আর তুমি ফেলছো দীর্ঘশ্বাস।
হৃদয়ের কান্নায় চোখের জলে আজ বানভাসি মন ভূমি,
মনের গভীরতাই বুঝলে না এ তুমি কেমন তুমি।
প্রেমাসক্তে পারতে তো তুমি ব্যভিচারিণী হতে,
হলে হতো তোমার চরিত্রের কাটাছেঁড়া নানা মতে।
তাও ভালো হতো বিষন্নতায় তো পেত না,
দেখতে হতো না শুষ্ক ঠোঁটের চাপা হাসি আর হৃদয়ের যন্ত্রণা।
এ তুমি কেমন তুমি আজ যে হলে ব্যস্ত নিঃসঙ্গ যাপনে,
ভেবেছো কি সেই পুরোনো প্রেমিক এখনো হয়তো দেখে তোমায় নিত্য স্বপনে।
দেখোইনা একবার সব ভুলে হাতটি বাড়িয়ে যদি ধরেন,
শেষ হোক না হয় এভাবেই কিছু সম্পর্কের টানাপোড়েন।
হয়তোবা বেঁচে যাবে দগ্ধ হৃদয় ক্ষণিকের আশায়,
ক্ষতি তো নেই
নতুন করে ডুববে না কেউ আর বিষন্নতার নেশায়।
এরাই নাকি আসল ভারতবাসী!
সেক আসাদ আহমেদ
সেক আসাদ আহমেদ
মিথ্যার অপশাসন ;
সত্যের যুগে অসত্যের আসন - দুই তন্ত্রে
কেন্দ্রীয় তন্ত্র আর বিপরীতে রাজ্যে তন্ত্র।।
সত্যের যুগে অসত্যের আসন - দুই তন্ত্রে
কেন্দ্রীয় তন্ত্র আর বিপরীতে রাজ্যে তন্ত্র।।
নির্বোধ চিত্তে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা
নির্লজ্জ সুরে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ।।
নির্লজ্জ সুরে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ।।
ক্ষমতার অপব্যবহার
ধর্মে রাহাজারি ,
হিন্দুত্বের নামে আস্ফালন
তিরঙ্গা নয় গেরুয়া হোক প্রশাসন
এরাই নাকি আসল ভারতবাসী !
ধর্মে রাহাজারি ,
হিন্দুত্বের নামে আস্ফালন
তিরঙ্গা নয় গেরুয়া হোক প্রশাসন
এরাই নাকি আসল ভারতবাসী !
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
Upokontha Little Megazine
Upokontha sahitya patrika
Upokontha Web megazine
Upokontha Little Megazine
Upokontha sahitya patrika
Upokontha Web megazine
27 August 2020
Editor by Sk Asad Ahamed
Editor by Sk Asad Ahamed
0 comments: