শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 08/08/2020

     
             "উপকণ্ঠ 08 আগষ্ট সংখ্যা "
              "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-08/08/2020,শনিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇






   রবির আলোয়
                        বিমান প্রামানিক

রবির আলোয় রাঙা আজও সাহিত্য দর্পন
তুমি মোদের ছেড়ে গেলে ২২শে শ্রাবণ
নানা ভাবে শ্রদ্ধা জানাই, চরণে করি পুষ্প অর্পণ
মোদের হৃদয় জুড়ে আছো তুমি ,থাকবে সারাজীবন
তোমার সৃষ্টি যত পেয়ে মোরা করি জ্ঞানার্জন।






     মরনখেলা
                  রঞ্জনা রায়

 সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে বসে আছি আঁধারে
 এসো তুমি রাজা -
 চোখের আলোয় দেখবো তোমায় আমার হৃদয়পুরে।

 মৃত্যু হবে শ্যামের সমান
 ঝুলন খেলায় মাতবো দুজন
 জীবনের ধন সোনার ফসল
কোথায় হারায় ? কে নিয়ে যায়?

 মুক্তি খুঁজি, মুক্তি কোথায়?
 সৃষ্টির মাঝে বাঁধনের জয়
 খেলা ঘরের খেলা শেষে
 অভিসারিণী দাঁড়ায় এসে
 তোমার মতো সহজ সুরে তখন হৃদয় বেজে ওঠে -
পরানের সাথে খেলবো তখন মরন খেলা
দে দোল  দোল, দে দোল দোল






কবিতা
           মিষ্টি বৃষ্টি
                   ডঃ রমলা মুখার্জী

 ধুৎ তেরি, অঝর ধারায় হঠাৎ এল বৃষ্টি....
কি করি এখন, কোথায় যাই, একি অনাসৃষ্টি!
অগত্যা একটু দাঁড়াই ঐ পাশের দোকানে-
কত টুকরো কথা আসছে ভেসে দু কানে।
বড় চেনা একটা আওয়াজ যেন কানে আসে......
চকিতে তাকাই আমি এ পাশ ও পাশে।
ওকে দেখেই হৃদয়-মাঝে লাগল খুশির দোল-
স্নায়ু-স্পন্দনে বয়ে গেল আনন্দের হিল্লোল।
ও বললে," বৃষ্টি থামতে হবে হয় তো দেরি -
চল আজ আমরা দুজন অকাজেতেই ঘুরি"।
বৃষ্টি তুমি বড় মিষ্টি প্রিয়কে দিলে এনে-
টিপ্ টিপ্ পড়বে যখন ভিজবো তাতে দুজনে।
মনের কথা বলবো আজ বৃষ্টি জলে ভাসি.....
ও কি বলবে আমায়,"তোমায় ভালোবাসি"?








ভাবনার বিষয় !
           রাজা দেবরায়

আরেকটি চকলেটের বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম আমরা দুই/তিন বছর আগে । বিজ্ঞাপনটি মোটামুটিভাবে এইরকম ছিলো -

দুই বান্ধবীর একটি জনপ্রিয় চকলেট খেয়ে মজা করার ইচ্ছে জেগেছে । তারা একইরকম ড্রেস পরে একজন টেইলরের কাছে গেছে । এক বন্ধু তুলনামূলক একটু মোটা । একজন (আরেকজন লুকিয়ে আছে) টেইলরের কাছে গিয়ে জামার ডিজাইন দেখাতে বলছে । টেইলর পেছন ফিরতেই লুকিয়ে থাকা (মোটা) বন্ধু সামনে দাঁড়িয়ে গেছে আর অন্য বন্ধু লুকিয়েছে । টেইলর যেই ডিজাইনটা দেখাতে যাবে অমনি দেখে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুর শরীরের মাপের সাথে জামার সাইজ মিলছে না । এবার বড় সাইজের জামা যেই দেখাতে গেছে দেখছে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুর শরীরের মাপ জামার সাইজ থেকে কম । তারপরে দুইজনই একসাথে দাঁড়িয়ে থাকলে টেইলর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে । তারা খুব মজা পেয়েছে এটা করে ।

আসলে এই চকলেটটা খেয়ে তাদের মজা করাটা বা দেখানোটা একটি সম্মানের পেশাকে এবং একজন লোককে অসম্মান করার সামিল । অনেক বিজ্ঞাপনই ভালো কিছু দেখায় বা অন্তত কোন পেশাকে বা কাউকে অসম্মান করে না । বিজ্ঞাপন সঠিক অর্থে ভাবাতে শেখাবে । বিজ্ঞাপন একটি শিল্প । তার সঠিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা ও কোন পেশা বা কাউকে অসম্মান না করা বিজ্ঞাপনদাতার কর্তব্য ।

আসলে আমরাও মেনে নিই বা এইসব ভাবিও না । আসলে প্রকারান্তরে যে আমরাই অসম্মানিত হচ্ছি আমরা বুঝতে পারছি না ।।








লাঠি
         অগ্নিমিত্র

ভগবানের মার যায় না তো ফাঁকা..
শাক দিয়ে কি আর যায় মাছ ঢাকা ?
আজকাল লোকজন ভালো সাজে বেশি,
বরের ঘরের পিসী, কনের যে মাসী!
বাজে লোক তরে যায় , ভালো লোক ফাঁসে ..
তাও বলি, ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে ।..
এক মাঘে কি আর শীত বলো যায় ?!
বিপদে পড়লে ওরে, কী হবে উপায় ..!?
রাখে হরি মারে কে, মনে তা রাখিস ..
ধর্মের কল নড়ে বাতাসে, জানিস?
অতি চালাকের গলে দড়ি লেখা আছে !
আপাতত গপ্প- গরু চড়া গাছে ।।







কবিতা :
           নেই মুক্ত আকাশ!
                          বিশ্বজিৎ কর

আমি তো দেখতে চাই -
প্রেমের আলাপন!
কে আঁকবে? তুলি কোথায়?
শিল্পী দ্বিধাগ্রস্ত,
সকাতর আবেদন-
"মুক্ত আকাশ চাই!প্রেমের আলাপন আঁকব!"
আকাশের দিকে চেয়ে বললাম-
"এই যে আকাশ,তুমি কি মুক্ত?"
শুরু হল গর্জন,বিদ্যুতের ঝিলিক!
শিল্পীর তুলি ছিটকে গেল!








এক বিচিত্র গ্রাম
                আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট বন তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটা নদী চারিদিকে সবুজ শ্যামল এক অপরূপ সৌন্দর্য প্রভাব বিস্তার করে চলেছে সেখানে ।সেখানে গুটিকয়েক লোকের বসবাস তাদের জীবিকা ছিল ওই বনের
ফলমূল কাঠ সংগ্রহ করা আর নদীর মাছ ধরা সেখানকার বাড়িগুলোর ছিল গাছের মাথায় মাচা করা কারণ জোয়ার উঠার কারণে ওখানকার ছেলেমেয়েরা সবাই বাড়িতে প্রকৃত শিক্ষা পায় এ যেন তাদের এক অন্য জীবন কাটে আজীবন। বনের পশু পাখির সাথে তাদের ভাব বেশ ভালো ওরা সবাই সহজ-সরল ভাবে বসবাস করে প্রকৃতি মা যেন তাদের অপরূপ ভাবে সাহায্য করে আসে তাদের সুখে শান্তিতে বসবাস একত্রে মিলেমিশে থাকা এই ছোট্ট বিচিত্র গ্রামের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। গ্রামের মোড়ল রাই বাবু খুব ভালো মানুষ ওদেরকে মনোরঞ্জন করার জন্য প্রত্যেকটা সন্ধ্যাবেলায় গান-বাজনা বসতো নিজের বাড়িতে বছরের পর বছর দিনের পর ওরা ওই ছোট্ট বন টাকে আগলে ধরে রাখে সবুজ শ্যামল এই পরিবেশে তাদের মেলবন্ধন খেলা দেখার মত যখন পৃথিবী আধুনিক মায়াজাল এ
 পৃথিবী আবৃত হয়ে দৌড়াচ্ছে এ তখন এই গ্রাম বিচিত্র হয়ে বিচিত্র রূপে লাবণ্য ফুটে উঠে প্রকৃতি মাকে রক্ষা করছে নদী যেন চির দিগন্তের মাঝে আজীবন বয়ে চলেছে হেলিয়ে দুলিয়ে। সত্যিই ওরা যেন এক বিচিত্রময় দেশে বাস করছি যেখানে শান্তি আর শান্তি রূপকথার দেশ বলা বাহুল্য। ওরা একসাথে বনটাকে তাদের নিজেদের মতো করে সুরক্ষিত করে রাখছে ফলে দিনের পর দিন প্রকৃতির শোভা ছড়িয়ে পড়ছে হচ্ছে এই বিচিত্র গ্রামে। এই বিচিত্র গ্রাম ঐসব মানুষগুলো দাঁড়ায় গড়ে উঠেছে যারা আধুনিকতাকে না ছুঁয়ে বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করে চলেছে আজীবন। আর এই বিচিত্র গ্রাম বছরের পর বছর দিনের পর দিন সূর্যের উজ্জ্বল আলোর মত এক বিচিত্র রূপ নিয়ে প্রকৃতির মায়ের কোলে ফুটে উঠেছে যা ঐসব মানুষগুলো মুক্ত নিঃশ্বাসে অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে।






A Fly In A Cobweb
              by S. Sundar Mondal

What an unsolved maze a cobweb !
Out of it spread undefined divergent loops.
A spider swings softly in amazed wave,
And a wanton fly moves its wings in hooks.

Spider comes slowly from that immortal focal point
To give the fly an unavoidable love-bite,
As he gives a dot-blow against Herculean fight,
Just then all efforts of fly go in vain.

None can escape this state of fight,
As it's eternal and we're the fly.








         করো প্রতিবাদ
                     নন্দিনী সাহা

সত্য বলার জন্য যাদের বুকে সৎসাহস নেই
তাঁরাই করে অপরাধীর অপরাধের স্তাবকতা,
মানুষ বলে তাঁরা জনসমাজে পরিচিতি পেলেও
হারিয়ে ফেলেছে তাঁরা তাঁদের মনুষ্যত্ব,মানবতা।

অন্যায় করেও বিকৃত অট্টহাসি হাসছে অপরাধী
উঠেছে জেগে তাঁর মনের মধ্যে বিধর্মী,দুঃশাসন,
অন্যায় করে কেউ কখনো পরিত্রাণ পেয়ে যায় না
ইতিহাস সাক্ষী আছে,অপরাধীর হয় বিনাশ,দমন।

অন্যায়কে কোনোদিন দিও না প্রশ্রয়ের আশ্রয়
তোলো অস্ত্র,করো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,
কি হয়েছে,অস্ত্র যদি হাতে নাই বা তুলতে পারো
আছে তো কলম,করো কলমের জোরে বেত্রাঘাত!

অন্যায়ের সাথে কখনো কোরো না আপোষ
বিবেকের দরজায় খিল এঁটে বসে থেকো না ঘরে,
গিরিগিটির মতো রং বদলায় যে বিড়াল তপস্বীরা
তাঁদের স্বরূপ করো উন্মোচন,মুখোশটা দাও ছিঁড়ে।

যুগে যুগে এসেছে কত অত্যাচারী দুরাচারী শাসক
চালিয়েছে জোর জুলুম,করেছে শতাধিক অন্যায়,
অতীতে স্তাবকতা করার বদলে মানুষ উঠেছিল গর্জে
তাই দেশ আজ স্বাধীন,জিতে গেছে সত্য আর ন্যায়।





তুই সুখে থাকিস
                   বিপ্লব গোস্বামী

 আমায় তুই করে পর
নতুন নিয়ে গড়ছিস ঘর !
আমায় মনে নাইবা রাকিস
   তবু তুই সুখে থাকিস।

আমিতো তোর যোগ‍্যই নই
নতুন কই আর আমি কই !
তোর কাছে আমার শুধুই দেনা
নতুন মিটাবে তোর সব বাহানা।

এতদিনে তোর মিটল আপদ
নতুনতো তোর স্থায়ী সম্পদ !
আমিতো রেখেছি কেবল দুখ
    নতুন রাখবে খুব সুখে।

       দোহাই তুই সত‍্য বল
আমার মত সেও কি পাগল!
ফোন না করলে রাগ কি করে
   রাগ করলে কি দুষ্ট বলে।

 তুই ভালো নাইবা বাসিস
আমায় ভালো বাসতে দিস !
আমায় মনে নাইবা রাকিস
   তবু তুই সুখে থাকিস।








লক ডাউনের জীবন
                   মম

সকাল যাচ্ছে আসছে সাঁঝ।
নাই ত্যামন কোনও জরুরী কাজ।
জীবনের ফোরণে নাই কোনও ঝাঁজ।
কপালে বাড়ছে খাঁজ।
নিদ্রা আঁখিতে করছে রাজ।
বেড়েছে মুখে রং মাখা সাজ।
খুলছি আবার করছি তোয়ালে ভাঁজ।
কোরোনা এখন বিশ্ব জাজ।
নিষ্ঠুর বিচারবাজ।
গভীর রাত্রি, রাত্রি মাঝ।
জাগা মন বলছে, পকোড়া ভাজ!
খা! এখনই আজ!
তাই খাচ্ছি, নাই আদৌ লাজ।








জাহাজ গুলি বন্দরে
            মৌসুমী গুহ রায়

সাতাশ বছর ধরে কবিতায় থাকা,
উজ্জ্বল নিমেষ গুলি কবিতায় আঁকা।

কবিতা ছাড়া পারি না থাকতে,
ইচ্ছে করে কবিতাকে কাছে রাখতে।

জোয়ার ভাঁটা খেলে মনের অন্দরে,
জাহাজ গুলি ভিড়েছে বন্দরে।

জীবন এখন ঘরের ভেতর আবদ্ধ,
মাঝে মাঝে মন হয় তাই সংক্ষুব্ধ।

বাইরে বেরলে মানুষ করে উৎপাৎ,
ঘরের ভেতরে তাই কবিতায় চিৎপাৎ।

মাথার উপর শান্ত, নীল আকাশ,
বিকেল বেলায় মৃদু মন্দ বাতাস।
                   






পিতা-পুত্রের সম্পর্ক
                হরিহর বৈদ‍্য
 


আজ যারা বাবা, তারাও একদা
    ছিল যে বাবার ছেলে।
তবে, বিপদে আপদে কখনোও তারা
  যেতনা তাদের ভুলে।
কেন দুঃখের সাথে ঘোরে পথে ঘাটে
   এখন লাখো ছেলেদের বাবা?
ছেলের প্রকৃত ভালোবাসাটুকু
   কেন আজও পেলনা তারা।
তবু সারা জীবন ধরে পরিশ্রম করে
    সেই কষ্টের ধনে,
সন্তানদের মানুষ করিতে
  কত স্বপ্নের জাল বোনে।
একবেলা ছাতু,শুখনো মুড়ি
   কখনোবা না খেয়ে,
.বই খাতা তার কিনে নিয়ে আসে
   বন্ধুর কাছে চেয়ে।
এত ব‍্যথা বুকে,তবু হাসিমুখে
   ছেলেকে ডাকিত কাছে,
যাতে বাবার কষ্ট কিছুতেই যেন
     বুঝতে না পারে পাছে।
ভাবতো সে মনে মনে
  আর দিন শুধু যায় গুনে,
ছেলে মোর কবে বড় হবে
   সেই সুখময় ফাল্গুনে।
মুর্খ পিতা তাই স্বপ্ন দেখে
   ছেলে উচ্চ শিক্ষাতে,
বড় হয়ে ঠিক একদিন সে
   প্রকৃত মানুষ হবে।
অনেক বড় মানুষ হয়েছে
   ছেলে একদিন তার।
তবু বাবার দুঃখ এতটুকু ও
   ঘুচলোনা কভু আর।
কি দাম আছে ঐ শিক্ষাতে
   যেথা মনুষ‍্যত্ব নেই।
বিয়ে করে আজ ছেলেরা তাহার
   ভুলে যায় বাবাকেই।
বুঝবে সেদিন, সেও যেদিন
   হইবে বাবার পারা,
কিংবা যেদিন চিরতরে সে
   হইবে পিতৃহারা।
বাবা মানে এক ঘন সবুজ
   বটবৃক্ষের ছায়া,
বাবা মানে অগাধ স্নেহের
   আদর জড়ানো মায়া।
বাবা মানে বিশ্বাস ভরা
   অফুরন্ত চাওয়া পাওয়া,
বাবা মানে যার কাঁধে চড়ে                                 
    স্বপ্নের পথে যাওয়া।
জগতের মাঝে শ্রেষ্ঠ যিনি
   তিনি জগৎ মাতা।
ভগবান বলে  কিছু যদি থাকে
   তিনিই মোদের পিতা।







                      তুমি নদী
                  হামিদুল ইসলাম
         
       
বুকের কোণে এসে জমে ছিলো নদী
কি করে তাকে বিদায় দিই
ধীরে ধীরে নদী উঠে আসে চোখে
নোঙর করে জীবনের মাঝ দরিয়ায়   ।

তুমি একদিন এসেছিলে নদী হয়ে
ফেরাতে পারি নি তোমাকে
তুমি রয়ে গেলে সেই থেকে
তোমার বুকের মাঝে জড়ালে আমাকে  ।

আমার বুক বরাবর তুমি
তোমার বুক আমার বুকে
যতো দুঃখ একদিন তুমি সয়ে গেছো নদী
আজ স্বচ্ছ জলে আঁকি তোমার ছবি, তুমি থাকো সুখে  ।

তুমি নদী ইতিহাস
চলার পথে তোমার পা ধুয়ে দিই নদীর জলে ।







"তৃষ্ণা"
জুয়েল রুহানী

আপন প্রাণের তৃষ্ণা মেটাতে
দাও এক ফোটা জল,
বিনিময়ে করো কর্মে নিয়োগ
বিলাবো দেহের বল!

দেহে যত বল আছে সঞ্চয়
সব করিবো ক্ষয়,
তৃষ্ণার চোটে বুক ফেটে যায়
প্রাণে নাহি মোর সয়!

দাও মোরে শুধু এক ফোটা জল
তৃষ্ণা মেটাতে,
আপনার কাজে করবে না হেলা-
এ দেহ খাটাতে।





       || বাইশে শ্রাবণের কথা ||
              সৌম্য ঘোষ
       
 রোদেরা কোথায় যায় ? ছদ্মবেশী বিকেল হয়ে ?
সন্ধ্যা সাজিয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার আশাবরী
শোনায় !
ছন্দের দাসত্ব ছেড়েছি বহুকাল
নাকখত্ দিয়ে তাকে তাড়িয়েছি,
দেশান্তরে !
ঝিঁঝিঁদের সুরে কিছু কাতরতা আছে.....
বখাটে বারুদ জানে
আগুনে কতখানি নিঃস্ব হতে হয় ।

নীড়ে ফেরা পাখির ডানায় রোদের
রং মাখা.......
রাতের যতই বয়স বাড়ে, ততই
সে নদীচরায় ছবি আঁকে জোনাকি র
প্রজ্ঞায়......

ওর চোখের কাজলে ছিলো
বাইশে শ্রাবণের কথা ।।







আমি একজন ভারতবাসী
         সেক নুরুল হুদা
 

আমি একজন ভারতবাসী
তাই দেশকে ভালোবাসি
দেশের মানুষকে ভালোবাসি।
মানুষ, মানুষ হয় ভালোবাসায়
মানুষ, পশু হয় শুধু হিংসায়
মানুষ, দেবতা হয় সহনশীলতায়।
সব মানুষ, মানুষ হয় না
বনের পশু, মানুষ হয় না
স্বর্গের দেবতা, মানুষ হয় না।
মানুষকে নিয়ে দেশ হয়
দেশকে ভালোবাসতে চাইলে
দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হয়।



👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
           "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"

লেখা পাঠান :- 01 Aug 2020 থেকে 13 Aug 2020 এর মধ্যে

যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা" 
লেখক তালিকা প্রকাশিত হবে 14 Aug 2020

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 15 Aug 2020 

              প্রচারে :- সম্পাদক, উপকণ্ঠ

0 comments: