উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 28/08/2020 Upokontha Sahitya Patrika web Megazine
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-28/08/2020, শুক্রবার
সময় :- সকাল 11 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-28/08/2020, শুক্রবার
সময় :- সকাল 11 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
Upokontha Web megazine
🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥🍥
ধারাবাহিক গল্প
সিদ্ধিলাভ
( দ্বিতীয় পর্ব )
🖊🖊 শাশ্বতী দাস
সৃজাকে দেখে সার্জেন অভিক মুখার্জী এগিয়ে আসে। "বিজনেস ম্যাগনেট নিলয় সেন, সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যাটাক, হাতে সময় খুব কম।" অভিক চাপা স্বরে বলে। "টেস্ট হয়েছে?" প্রশ্ন করে সৃজা। অভিক টেস্টের রিপোর্ট সৃজার দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলে "ইমিডিয়েট অপারেশন হওয়া দরকার। নাহলে পেশেন্টকে বাঁচানো যাবেনা। " দ্রুত রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে নিয়ে সৃজা বলে ওঠে, " তাড়াতাড়ি ও.টি. রেডি করো, কুইক।" প্রায় ছ'ঘন্টা পর ও.টি. থেকে বেরিয়ে আসে বিখ্যাত কার্ডিওভাসকুলার সার্জেন ডঃ সৃজা মিত্র। অপারেশন সাকসেসফুল। নিজের কেবিনে এসে একটু ফ্রেস হয় সৃজা। অদিতি কেবিনে এসে ঢোকে। "পেশেন্টকে বেডে দেওয়া হয়েছে?" অদিতিকে প্রশ্ন করে সে। "হ্যাঁ ম্যাডাম, আমি আপনাকে সেই কথাই বলতে এলাম।" অদিতি স্মিত হাস্যে উত্তর দেয়। "আপনি কফি নেবেনতো ম্যাডাম? সারারাততো আপনার কিছুই খাওয়া হয়নি। " "না, এখন আর কফি খাবনা। পেশেন্টকে দেখে বাড়ি ফিরবো।" মুখ মুছতে মুছতে অদিতির প্রশ্নের উত্তরে বলে সৃজা।
পেশেন্টের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই সিস্টার অমৃতা এগিয়ে আসে রিপোর্ট নিয়ে। রিপোর্ট চেক করে পেশেন্টকে ভালো করে পরীক্ষা করে সৃজা। পেশেন্টের কন্ডিশান অনেকটা ভালো, রিপোর্টও ঠিক আছে। পরবর্তী করনীয় অমৃতাকে বুঝিয়ে পেশেন্টের কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসে সৃজা। বাড়ি ফেরার আগে অদিতিকে বলে আসে কোনওরকম সমস্যা হলে তাকে ফোন করতে।
বাড়ি ফেরার পথে সৃজার মাথায় আবার একটা চিন্তাই ঘুরেফিরে আসে। কে এই বিজনেস ম্যাগনেট নিলয় সেন, এঁকে এর আগে কোথাও দেখেছে সে, কিন্তু কোথায়? কিছুতেই মনে করতে পারছেনা সৃজা। এইসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি পৌঁছে যায় সে। কলিংবেল বাজাতেই প্রজ্ঞা দেবী নিজেই দরজা খুলে দেন। "একি, মা! তুমি সারারাত ঘুমোওনি?" ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলে সৃজা। "তুই অপারেশন করছিস আর আমি ঘুমোচ্ছি, এটা হয়েছে কোনোদিন!" সৃজার হাত থেকে ব্যাগ নিতে নিতে বলেন প্রজ্ঞা দেবী। "সত্যি মা, তুমি না!" সৃজা হেসে ফেলে মা'র কথায়। হ্যাঁরে, তোর পেশেন্ট কেমন আছেন? অপারেশন সাকসেসফুলতো? " মেয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন প্রজ্ঞা দেবী। "হ্যাঁ মা। তুমি সারারাত জেগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে, আর আমার অপারেশন সাকসেসফুল হবেনা, তাও আবার হয়!" সৃজা হাসতে হাসতে বলে বাথরুমে ঢুকে যায়। স্নান সেরে কফি খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। কিন্তু একটা প্রশ্ন কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারেনা সে। কে এই বিজনেস ম্যাগনেট নিলয় সেন! কেন এঁকে এতো চেনা লাগছে তার! এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসে সৃজার। ঘুম ভাঙ্গে মা'র ডাকে। "একটু খেয়ে নে বাবু, সারারাততো কিছু খাওয়া হয়নি তোর।" বলে মেয়ের সামনে খাবারের প্লেট রাখেন প্রজ্ঞা দেবী। খেতে খেতেই সৃজা বলে, জানো মা, কাল যাঁর অপারেশন করলাম তিনি বিজনেস ম্যাগনেট 'নিলয় সেন'। প্রজ্ঞা দেবী যেন একটু চমকে উঠলেন। "কি হলো মা!" সৃজা তাড়াতাড়ি মা'র হাত ধরে। "কই কিছুনাতো।" প্রজ্ঞা দেবী মেয়ের হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলেন। "কি হয়েছিল ঐ নিলয় সেনের?" কথাটা যেন আনমনেই বলে ফেলেন প্রজ্ঞা দেবী। "সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যাটাক। আমার পৌঁছতে একটু দেরী হলেই ওনাকে আর বাঁচানো যেত না। " সৃজা কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলে। "এখন কেমন আছেন?" দরজার কাছে যেতে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন প্রজ্ঞা দেবী। " বিপদ কেটে গেছে। এখন অনেকটাই ভালো।" বলে সৃজা মেডিকেল জার্নালটা টেনে নেয়। প্রজ্ঞা দেবী আর কিছু বলেননা। চুপ করে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেন, "আজ আমাকে একটু বেরোতে হবে। তুমি সময়মতো লাঞ্চ করে নিও।" " হুঁ"। সৃজা কিছুটা আনমনেই উত্তর দেয়। মেডিকেল জার্নালের পাতাতে হঠাৎই ভেসে ওঠে একটা মুখ, 'নিলয় সেন'। না, ঠিক এখনকার মুখ না, যদি এই নিলয় সেনকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাঁর যৌবনে, তবে যেমন দেখতে লাগবে, ঠিক সেইরকম। হ্যাঁ তাইতো যৌবনের নিলয় সেনকেইতো সে যেন কোথায় দেখেছে। কিন্তু কোথায়? সেটাযে কিছুতেই মনে করতে পারছেনা! টিভির নিউজ চ্যানেলে? না তাও না। তবে কোথায় দেখলো সৃজা যৌবনের নিলয় সেনকে!
পেশেন্টের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই সিস্টার অমৃতা এগিয়ে আসে রিপোর্ট নিয়ে। রিপোর্ট চেক করে পেশেন্টকে ভালো করে পরীক্ষা করে সৃজা। পেশেন্টের কন্ডিশান অনেকটা ভালো, রিপোর্টও ঠিক আছে। পরবর্তী করনীয় অমৃতাকে বুঝিয়ে পেশেন্টের কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসে সৃজা। বাড়ি ফেরার আগে অদিতিকে বলে আসে কোনওরকম সমস্যা হলে তাকে ফোন করতে।
বাড়ি ফেরার পথে সৃজার মাথায় আবার একটা চিন্তাই ঘুরেফিরে আসে। কে এই বিজনেস ম্যাগনেট নিলয় সেন, এঁকে এর আগে কোথাও দেখেছে সে, কিন্তু কোথায়? কিছুতেই মনে করতে পারছেনা সৃজা। এইসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি পৌঁছে যায় সে। কলিংবেল বাজাতেই প্রজ্ঞা দেবী নিজেই দরজা খুলে দেন। "একি, মা! তুমি সারারাত ঘুমোওনি?" ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলে সৃজা। "তুই অপারেশন করছিস আর আমি ঘুমোচ্ছি, এটা হয়েছে কোনোদিন!" সৃজার হাত থেকে ব্যাগ নিতে নিতে বলেন প্রজ্ঞা দেবী। "সত্যি মা, তুমি না!" সৃজা হেসে ফেলে মা'র কথায়। হ্যাঁরে, তোর পেশেন্ট কেমন আছেন? অপারেশন সাকসেসফুলতো? " মেয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন প্রজ্ঞা দেবী। "হ্যাঁ মা। তুমি সারারাত জেগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে, আর আমার অপারেশন সাকসেসফুল হবেনা, তাও আবার হয়!" সৃজা হাসতে হাসতে বলে বাথরুমে ঢুকে যায়। স্নান সেরে কফি খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। কিন্তু একটা প্রশ্ন কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারেনা সে। কে এই বিজনেস ম্যাগনেট নিলয় সেন! কেন এঁকে এতো চেনা লাগছে তার! এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসে সৃজার। ঘুম ভাঙ্গে মা'র ডাকে। "একটু খেয়ে নে বাবু, সারারাততো কিছু খাওয়া হয়নি তোর।" বলে মেয়ের সামনে খাবারের প্লেট রাখেন প্রজ্ঞা দেবী। খেতে খেতেই সৃজা বলে, জানো মা, কাল যাঁর অপারেশন করলাম তিনি বিজনেস ম্যাগনেট 'নিলয় সেন'। প্রজ্ঞা দেবী যেন একটু চমকে উঠলেন। "কি হলো মা!" সৃজা তাড়াতাড়ি মা'র হাত ধরে। "কই কিছুনাতো।" প্রজ্ঞা দেবী মেয়ের হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলেন। "কি হয়েছিল ঐ নিলয় সেনের?" কথাটা যেন আনমনেই বলে ফেলেন প্রজ্ঞা দেবী। "সিভিয়ার কার্ডিয়াক অ্যাটাক। আমার পৌঁছতে একটু দেরী হলেই ওনাকে আর বাঁচানো যেত না। " সৃজা কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলে। "এখন কেমন আছেন?" দরজার কাছে যেতে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন প্রজ্ঞা দেবী। " বিপদ কেটে গেছে। এখন অনেকটাই ভালো।" বলে সৃজা মেডিকেল জার্নালটা টেনে নেয়। প্রজ্ঞা দেবী আর কিছু বলেননা। চুপ করে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেন, "আজ আমাকে একটু বেরোতে হবে। তুমি সময়মতো লাঞ্চ করে নিও।" " হুঁ"। সৃজা কিছুটা আনমনেই উত্তর দেয়। মেডিকেল জার্নালের পাতাতে হঠাৎই ভেসে ওঠে একটা মুখ, 'নিলয় সেন'। না, ঠিক এখনকার মুখ না, যদি এই নিলয় সেনকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাঁর যৌবনে, তবে যেমন দেখতে লাগবে, ঠিক সেইরকম। হ্যাঁ তাইতো যৌবনের নিলয় সেনকেইতো সে যেন কোথায় দেখেছে। কিন্তু কোথায়? সেটাযে কিছুতেই মনে করতে পারছেনা! টিভির নিউজ চ্যানেলে? না তাও না। তবে কোথায় দেখলো সৃজা যৌবনের নিলয় সেনকে!
( ক্রমশ )
অণু গল্প
কল্পনার জগৎ
কনিকা রায়
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এক অপূর্ব দৃশ্য।
থোকা থোকা পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আকাশের বুকে উরে বেরাছিল।মেঘ গুলো কখনো জমাট বেঁধে,কখনো হাল্কা,নানা আকৃতি নিচ্ছিল মেঘ গুলো।আর আমি তখন নানা রুপ ঢালছিলাম তাতে।কখনো মনে হচ্ছিলো থোকা থোকা কাঁঠ করবি আমি তুলে এনে সেগুলো দিয়ে মালা গেঁথে খোঁপায় গুজব।আবার কখনো দেখি ঘোড়ার মতো টগবগিয়ে ছুটছে মেঘ গুলো।পাশের থেকে আরো এক ঝাঁক মেঘ সিংহের মতো কেশর ফুলিয়ে আসছে আমার দিকে তেরে।আমি মা দশোভূজার মতো তার পিঠে চরে বসলাম। তাঁর পিঠে করে ঘুরে বেড়ালাম সমস্ত আকাশ।তারি মাঝে এক ঝাঁক পাখি এলো আমার সঙ্গী হবে বলে।আমিও তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে উরে বেড়াতে লাগলাম। এসব ভাবতে ভাবতে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম।হারিয়ে গেলাম আমি এক স্বপ্নের দেশে। নরম তুলোর মধ্যে উরে বেড়াচ্ছিলাম আমি।উন্মুক্ত হয়ে আমি উরে বেড়াচ্ছিলাম। সেখানে ছিল না কোন বাঁধন ছিল না কোন পিছু টান ।সেখানে ছিলাম শুধু আমি ,মেঘ আর দিলা খোলা আকাশ আর ছিল কিছু আমার বন্ধু পাখি।এমন সময় হঠাৎ আমার খোকা ঘরের থেকে ডেকে ওঠে মা --
মনে হলো আমি আছড়ে পড়লাম মাটিতে।কল্পনার জগৎ ছেড়ে আমি আবার
ফিরে এলাম বাস্তবে।
অণু গল্প
কল্পনার জগৎ
কনিকা রায়
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এক অপূর্ব দৃশ্য।
থোকা থোকা পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আকাশের বুকে উরে বেরাছিল।মেঘ গুলো কখনো জমাট বেঁধে,কখনো হাল্কা,নানা আকৃতি নিচ্ছিল মেঘ গুলো।আর আমি তখন নানা রুপ ঢালছিলাম তাতে।কখনো মনে হচ্ছিলো থোকা থোকা কাঁঠ করবি আমি তুলে এনে সেগুলো দিয়ে মালা গেঁথে খোঁপায় গুজব।আবার কখনো দেখি ঘোড়ার মতো টগবগিয়ে ছুটছে মেঘ গুলো।পাশের থেকে আরো এক ঝাঁক মেঘ সিংহের মতো কেশর ফুলিয়ে আসছে আমার দিকে তেরে।আমি মা দশোভূজার মতো তার পিঠে চরে বসলাম। তাঁর পিঠে করে ঘুরে বেড়ালাম সমস্ত আকাশ।তারি মাঝে এক ঝাঁক পাখি এলো আমার সঙ্গী হবে বলে।আমিও তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে উরে বেড়াতে লাগলাম। এসব ভাবতে ভাবতে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম।হারিয়ে গেলাম আমি এক স্বপ্নের দেশে। নরম তুলোর মধ্যে উরে বেড়াচ্ছিলাম আমি।উন্মুক্ত হয়ে আমি উরে বেড়াচ্ছিলাম। সেখানে ছিল না কোন বাঁধন ছিল না কোন পিছু টান ।সেখানে ছিলাম শুধু আমি ,মেঘ আর দিলা খোলা আকাশ আর ছিল কিছু আমার বন্ধু পাখি।এমন সময় হঠাৎ আমার খোকা ঘরের থেকে ডেকে ওঠে মা --
মনে হলো আমি আছড়ে পড়লাম মাটিতে।কল্পনার জগৎ ছেড়ে আমি আবার
ফিরে এলাম বাস্তবে।
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
নারীকে দেখতে ভালো
ফুল যেমন দেখতে ভালো
আচার বিচার ধারণাগুলো
প্রকৃতি গুণে পাই যে আলো
স্বাদে গন্ধে কোমল তনু
ক্রিয়াকর্মের পরাগরেণু----
ফুল যেমন দেখতে ভালো
আচার বিচার ধারণাগুলো
প্রকৃতি গুণে পাই যে আলো
স্বাদে গন্ধে কোমল তনু
ক্রিয়াকর্মের পরাগরেণু----
সে হেন নারী হোল মাতৃ স্বরূপা। মা দশভূজা, মা কালী, মা লক্ষী, মা সরস্বতী সকলেই নারী।সেই নারী ফুলের মতো ই কমল ও কোমল, রমণীয় এবং বরণীয়। সেই নারীর গর্ভেই আমার মত সকলেই জন্ম লাভ করেছিলেন। তবু তারা নিজেদের কে বড্ড সহজলভ্য করে ফেলছে। লোভাতুর দৃষ্টি তাই যুপকাষ্ঠে বলি দেবার অভিপ্রায়ে নারীজাতির প্রতি টলমল, জিভে জল নিয়ে হয়তোবা নানান শ্লীলতাহানির জন্য সচেষ্ট। ধর্ষণ বা বলাৎকার তারই অন্যতম ফসল।
ফুল বাগানেই সুন্দর। সেই ফুলকে তুলে বাজারে বিক্রি করার সময় তার সেই অসীম সৌন্দর্য ও মাধুর্য নষ্ট হয় যেমন তেমনই লোভাতুর শয়তান পুরুষকূল মাঝে মাঝেই গোলাপ খাস, হিমসাগর ইত্যাদি ভেবে চেটে পুটে খুঁটে খায় নারীর নরম তুলতুলে শরীর। সতর্কতা র সব প্রাচীর তাই অসম্ভব নির্লিপ্ততা য় গোল করে যাচ্ছে, এবং এর জন্য দায়ী বোধকরি নারীরা ই বেশি।
সমানাধিকার পেতে চেয়ে আজকের নারীরা রাতজাগা পাখিদের মতো পুরুষদের টেক্কা দিতে প্লেট সাজাচ্ছে। না, তাই বলে নারীদের অধিকার কে আমি ছোট করছি না। তারা খেলুক, বিমান চালিকা, বিমান সেবিকা, মন্ত্রী, অভিনেত্রী, সৈনিক সব ই হোক-- আমার তাতে বিন্দু মাত্র এ্যালার্জি নেই।।
কিন্তু পুরুষ যেমন সন্তান জন্ম দিতে গর্ভ সঞ্চার করতে পারে না (প্র কৃতির নিয়মে) তেমনি ই নারীদের দ্বারা ও পুরুষের যাবতীয় কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে চাইলে পদ স্খলন ঘটবেই।
আজকের ফুল জানেনা কাল সকালে সে শ্মশানে যাবে না মন্দিরে। কী অসম্ভব প্রাকৃতিক ঘুর্ণন। নারীজাতি ফুলের মত ই পবিত্র এবং আরাধ্যা দেবী মাতা। তাদের বেআব্রু পোশাক এবং যথেচ্ছভাবে বিচরণ সমাজের বুকে ধোঁয়ার কুন্ডলী তৈরি করছে। তাই নারী, তুমি সাবধান।
খেয়াল করলে বোঝা যাবে নারী নিজেকে নিয়ে বড্ড বেশি মৌ সহযোগে রাস্তায় রাস্তায় এক্কাদোক্কা খেলতে ব্যস্ত। অপলক খাড়া চোখে যা দেখা যায় সেটা হোল--- নিরপরাধ সতী সাধ্বী কে নিষ্ঠুর স্নেহের শাসনে পীড়িত হতে হচ্ছে যত্রতত্র এবং যখন তখন। অবশ্যই নিন্দনীয় এবং দন্ডনীয় অপরাধ নিঃসন্দেহে।
কিন্তু সর্বোৎকৃষ্ট স্তূপের, আদরের, পবিত্রতা য় ভাস্বর নারীদেহ বারবার কেন বিপদগ্রস্ত হবে? কে ও কারা দায়ী এর জন্যে?
আজকের বাংলায় মদ সড়জলভ্য হবার ফলেই মদের প্রতি আসক্তি বেড়েছে। ভয় লজ্জা আতঙ্ক ধুলিসাৎ হয়েছে শুধু সহজলভ্যতা র কারনেই। আগে মদের ঠেকে বিক্রেতা ও ক্রেতার ভয় ছিল। এখন সেই ভয় না থাকার কারণে মদের প্রতি আসক্তি ও যৎপরোনাস্তি উর্ধমুখী। তেমনই নারী কূল যেখানে সেখানে কর্মে নিযুক্ত হতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনছে।
দেবীর পায়ে ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে আমরা অঞ্জলি দিই। সেটা ধর্ষণ নয় বলেই মেনে নেওয়া হয়েছে। অতএব ফুলের মতো পবিত্র নারী র দেহ বা শরীর কে ছিঁড়ে ছিঁড়ে পর পুড়িয়ে দিয়ে যে কাজটা শয়তান পুরুষ করেন সেটায় অঞ্জলি? না না না। মোটেও না।
মাতৃ স্বরূপা, ভগ্নী স্বরূপা, কন্যা সমান নারীদের উদ্দেশ্যে আমার সবিনয় নিবেদন তাই বেশভূষা পোশাক পরিচ্ছদ সহ আচার আচরণের প্রতি বিশেষ নজর দিতে।
কৈ নারী তো মা দুর্গার মতো রনচন্ডি মূর্তি ধরে মহিষাসুর নামক শয়তান পুরুষকে ধ্বংস করতে পারছে না! তাই নারী তুমি সহজলভ্য না হয়ে একটু দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করবে-- আশা করি।
আজও
পতিতালয় সমাজ থেকে দূরে অন্ধ গলিতে বিরাজিত। সেই পতিতালয় যদি রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকতো তাহলে তার ফল কী হোত??? কল্পনা করুনঃ ভাবুন, ভাবুন একবার
অতএব কবির কথায় বলি--------
বন্যেরা বনে সুন্দর/ শিশুরা মাতৃক্রোড়ে যেমন নারীদের শোভাও বোধকরি অন্দরে ই বেশি।
ফুল বাগানেই সুন্দর। সেই ফুলকে তুলে বাজারে বিক্রি করার সময় তার সেই অসীম সৌন্দর্য ও মাধুর্য নষ্ট হয় যেমন তেমনই লোভাতুর শয়তান পুরুষকূল মাঝে মাঝেই গোলাপ খাস, হিমসাগর ইত্যাদি ভেবে চেটে পুটে খুঁটে খায় নারীর নরম তুলতুলে শরীর। সতর্কতা র সব প্রাচীর তাই অসম্ভব নির্লিপ্ততা য় গোল করে যাচ্ছে, এবং এর জন্য দায়ী বোধকরি নারীরা ই বেশি।
সমানাধিকার পেতে চেয়ে আজকের নারীরা রাতজাগা পাখিদের মতো পুরুষদের টেক্কা দিতে প্লেট সাজাচ্ছে। না, তাই বলে নারীদের অধিকার কে আমি ছোট করছি না। তারা খেলুক, বিমান চালিকা, বিমান সেবিকা, মন্ত্রী, অভিনেত্রী, সৈনিক সব ই হোক-- আমার তাতে বিন্দু মাত্র এ্যালার্জি নেই।।
কিন্তু পুরুষ যেমন সন্তান জন্ম দিতে গর্ভ সঞ্চার করতে পারে না (প্র কৃতির নিয়মে) তেমনি ই নারীদের দ্বারা ও পুরুষের যাবতীয় কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে চাইলে পদ স্খলন ঘটবেই।
আজকের ফুল জানেনা কাল সকালে সে শ্মশানে যাবে না মন্দিরে। কী অসম্ভব প্রাকৃতিক ঘুর্ণন। নারীজাতি ফুলের মত ই পবিত্র এবং আরাধ্যা দেবী মাতা। তাদের বেআব্রু পোশাক এবং যথেচ্ছভাবে বিচরণ সমাজের বুকে ধোঁয়ার কুন্ডলী তৈরি করছে। তাই নারী, তুমি সাবধান।
খেয়াল করলে বোঝা যাবে নারী নিজেকে নিয়ে বড্ড বেশি মৌ সহযোগে রাস্তায় রাস্তায় এক্কাদোক্কা খেলতে ব্যস্ত। অপলক খাড়া চোখে যা দেখা যায় সেটা হোল--- নিরপরাধ সতী সাধ্বী কে নিষ্ঠুর স্নেহের শাসনে পীড়িত হতে হচ্ছে যত্রতত্র এবং যখন তখন। অবশ্যই নিন্দনীয় এবং দন্ডনীয় অপরাধ নিঃসন্দেহে।
কিন্তু সর্বোৎকৃষ্ট স্তূপের, আদরের, পবিত্রতা য় ভাস্বর নারীদেহ বারবার কেন বিপদগ্রস্ত হবে? কে ও কারা দায়ী এর জন্যে?
আজকের বাংলায় মদ সড়জলভ্য হবার ফলেই মদের প্রতি আসক্তি বেড়েছে। ভয় লজ্জা আতঙ্ক ধুলিসাৎ হয়েছে শুধু সহজলভ্যতা র কারনেই। আগে মদের ঠেকে বিক্রেতা ও ক্রেতার ভয় ছিল। এখন সেই ভয় না থাকার কারণে মদের প্রতি আসক্তি ও যৎপরোনাস্তি উর্ধমুখী। তেমনই নারী কূল যেখানে সেখানে কর্মে নিযুক্ত হতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনছে।
দেবীর পায়ে ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে আমরা অঞ্জলি দিই। সেটা ধর্ষণ নয় বলেই মেনে নেওয়া হয়েছে। অতএব ফুলের মতো পবিত্র নারী র দেহ বা শরীর কে ছিঁড়ে ছিঁড়ে পর পুড়িয়ে দিয়ে যে কাজটা শয়তান পুরুষ করেন সেটায় অঞ্জলি? না না না। মোটেও না।
মাতৃ স্বরূপা, ভগ্নী স্বরূপা, কন্যা সমান নারীদের উদ্দেশ্যে আমার সবিনয় নিবেদন তাই বেশভূষা পোশাক পরিচ্ছদ সহ আচার আচরণের প্রতি বিশেষ নজর দিতে।
কৈ নারী তো মা দুর্গার মতো রনচন্ডি মূর্তি ধরে মহিষাসুর নামক শয়তান পুরুষকে ধ্বংস করতে পারছে না! তাই নারী তুমি সহজলভ্য না হয়ে একটু দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করবে-- আশা করি।
আজও
পতিতালয় সমাজ থেকে দূরে অন্ধ গলিতে বিরাজিত। সেই পতিতালয় যদি রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকতো তাহলে তার ফল কী হোত??? কল্পনা করুনঃ ভাবুন, ভাবুন একবার
অতএব কবির কথায় বলি--------
বন্যেরা বনে সুন্দর/ শিশুরা মাতৃক্রোড়ে যেমন নারীদের শোভাও বোধকরি অন্দরে ই বেশি।
বিশ্ব নবী (সাঃ)
জুয়েল রুহানী
জুয়েল রুহানী
ত্রিশ পারা কোরআন নাযিল
বিশ্ব নবীর শানে,
সেই নবী রই উম্মত মোরা-
প্রভূর মেহেরবানে!
বিশ্ব নবীর শানে,
সেই নবী রই উম্মত মোরা-
প্রভূর মেহেরবানে!
মহান প্রভূর বন্ধু যিঁনি -
মোহাম্মাদ রাসুল, (সাঃ)
মরুর বুকে ফুটলো গোলাপ
নেই কোন তাঁর ভূল।
মোহাম্মাদ রাসুল, (সাঃ)
মরুর বুকে ফুটলো গোলাপ
নেই কোন তাঁর ভূল।
প্রভূর কাছে মিনতী মোর
এ ভব সংসারে,
নিয়ে যেও নবীর রওজা-
তোঁমার কাবা ঘরে।
এ ভব সংসারে,
নিয়ে যেও নবীর রওজা-
তোঁমার কাবা ঘরে।
স্বপ্নচারিণী সকাল
ড.মহীতোষ গায়েন
ড.মহীতোষ গায়েন
স্বপ্ন সকাল
রৌদ্র মেঘে ঢাকা,
স্বপ্ন সকাল
বেঁচে থেকেও মরা।
রৌদ্র মেঘে ঢাকা,
স্বপ্ন সকাল
বেঁচে থেকেও মরা।
স্বপ্ন সকাল
কোথায় গেছে সুখ,
স্বপ্ন সকাল
ফাটে হৃদয় বুক।
কোথায় গেছে সুখ,
স্বপ্ন সকাল
ফাটে হৃদয় বুক।
স্বপ্ন সকাল
ফলসা রঙ শাড়ি,
স্বপ্ন সকাল
তোমার সঙ্গে আড়ি।
ফলসা রঙ শাড়ি,
স্বপ্ন সকাল
তোমার সঙ্গে আড়ি।
স্বপ্ন সকাল
কৃষ্ণচূড়ার ফুল,
স্বপ্ন সকাল
ভালোবেসেই ভুল।
কৃষ্ণচূড়ার ফুল,
স্বপ্ন সকাল
ভালোবেসেই ভুল।
স্বপ্ন সকাল
অভিন্নতায় মিল,
স্বপ্ন সকাল
স্বপ্নচারিণী নীল।
অভিন্নতায় মিল,
স্বপ্ন সকাল
স্বপ্নচারিণী নীল।
স্বপ্ন সকাল
সুখ সাগরে ঢেউ,
স্বপ্ন সকাল
বাসছে ভালো কেউ।
সুখ সাগরে ঢেউ,
স্বপ্ন সকাল
বাসছে ভালো কেউ।
স্বপ্ন সকাল
ফিরছে নব আশা,
স্বপ্ন সকাল
পূর্ণ প্রেমের বাসা।
ফিরছে নব আশা,
স্বপ্ন সকাল
পূর্ণ প্রেমের বাসা।
রাত যত গভীর হয়
সৌম্য ঘোষ
সৌম্য ঘোষ
যদি সহসা
এই পৃথিবীর
মধ্যরাতে মেঘে ঢাকা চাঁদের
ফিকে আলোয়
মনে পড়ে , এই কবির কথা
অপেক্ষায় থেকো শেষরাতের ।
এই পৃথিবীর
মধ্যরাতে মেঘে ঢাকা চাঁদের
ফিকে আলোয়
মনে পড়ে , এই কবির কথা
অপেক্ষায় থেকো শেষরাতের ।
যদি কখনো
ইচ্ছা হয় কবিতার অতলে ডুব দেওয়ার
শেষরাতের শীতল বাতাস ও ফুলের গন্ধ
গায়ে মেখে , কান পেতো
কবিতা র হিয়ার নীরব ক্রন্দনে ।
ইচ্ছা হয় কবিতার অতলে ডুব দেওয়ার
শেষরাতের শীতল বাতাস ও ফুলের গন্ধ
গায়ে মেখে , কান পেতো
কবিতা র হিয়ার নীরব ক্রন্দনে ।
সন্ধ্যার কফির আসরে , কোলাহলে
তুমি কখনো পাবেনা কবিকে
রাত যত শান্ত হয় নিমগ্ন ধ্যানে
তোমার দুয়ারে তখন কবি-র নি:শব্দ পদধ্বনি..
তুমি কখনো পাবেনা কবিকে
রাত যত শান্ত হয় নিমগ্ন ধ্যানে
তোমার দুয়ারে তখন কবি-র নি:শব্দ পদধ্বনি..
দক্ষিণের বারান্দা
মিনতি গোস্বামী
মিনতি গোস্বামী
আমার
দক্ষিণের বারান্দা
আজো খোলা আছে
চায়ের কাপ নিয়ে বসি
শুনশান রাস্তায় লোকের মুখ খুঁজি
পড়শিদের জানালায় চোখ রেখে চোখ মেলাই।
দক্ষিণের বারান্দা
আজো খোলা আছে
চায়ের কাপ নিয়ে বসি
শুনশান রাস্তায় লোকের মুখ খুঁজি
পড়শিদের জানালায় চোখ রেখে চোখ মেলাই।
ছিন্ন সময়কে নিপুণতায় রিফু করে চালাই।
নিঃসঙ্গতাই অতিমারীতে জেনো মহার্ঘ্য পুঁজি
বেখেয়ালে তারারা যায় খসি
আসেনা কেউ কাছে
দেখি নিশিন্দা
বাহার।
নিঃসঙ্গতাই অতিমারীতে জেনো মহার্ঘ্য পুঁজি
বেখেয়ালে তারারা যায় খসি
আসেনা কেউ কাছে
দেখি নিশিন্দা
বাহার।
তোমাকে
হামিদুল ইসলাম
কবিতার জন্যে তোমাকে সাজাই
তুমি আমার কবিতা
তোমাকে ছাড়া কবিতা লেখা যায় না
তোমাকে ছাড়া যেনো আসে না সন্ধ্যা ।
হামিদুল ইসলাম
কবিতার জন্যে তোমাকে সাজাই
তুমি আমার কবিতা
তোমাকে ছাড়া কবিতা লেখা যায় না
তোমাকে ছাড়া যেনো আসে না সন্ধ্যা ।
তুমি দিগন্ত বিস্তীর্ণ মেঘ
গর্ভবতী ধানক্ষেতে বৃষ্টিধারা
তোমাকে ছাড়া সংসার হয় না সুখের
তুমি হৃদয়ের বন্ধনে বন্ধনহারা ।
গর্ভবতী ধানক্ষেতে বৃষ্টিধারা
তোমাকে ছাড়া সংসার হয় না সুখের
তুমি হৃদয়ের বন্ধনে বন্ধনহারা ।
তোমার জন্যে নিয়ে আসি
পাহাড় থেকে পারিজাত ফুল
তুমি মেঘ বালিকা
তুমি হৃদয়ে আমার পলাশ বকুল ।
পাহাড় থেকে পারিজাত ফুল
তুমি মেঘ বালিকা
তুমি হৃদয়ে আমার পলাশ বকুল ।
তোমার জন্যে অপেক্ষা করি সারাটা জীবন ।
কবিতা :
কথা দিলাম!
বিশ্বজিৎ কর
কথা দিলাম!
বিশ্বজিৎ কর
আমি তোমাকে স্বপ্ন দেখার মানসিকতা দিতে পারি -
পারো যদি একটু উষ্ণতা আমায় দিও!
আমি তপ্ত হয়ে তোমায় তৃপ্তির কম্পন দেব-
একটু চুম্বন,ক্ষণিকের উষ্ণতার!
আমি তোমায় খাঁচায় ভরা সুখপাখি দিতে পারি,
পারো যদি খাঁচার দরজা খুলে দিও -
মুক্ত আকাশে ডানা মেলা পাখির গানে গানে,
এক আঁচল সুখ দেবই!
পারো যদি একটু উষ্ণতা আমায় দিও!
আমি তপ্ত হয়ে তোমায় তৃপ্তির কম্পন দেব-
একটু চুম্বন,ক্ষণিকের উষ্ণতার!
আমি তোমায় খাঁচায় ভরা সুখপাখি দিতে পারি,
পারো যদি খাঁচার দরজা খুলে দিও -
মুক্ত আকাশে ডানা মেলা পাখির গানে গানে,
এক আঁচল সুখ দেবই!
নারী সর্ব ত্যাগী
বিপ্লব গোস্বামী
বিপ্লব গোস্বামী
নারী সর্ব ত্যাগী ;
নিজের সর্বস্ব করে সে ত্যাগ
জগত হিতের লাগি।
আদিকাল হতে একাল অবধি
কত নারী করেগেছে কত বলিদান
নিজের সর্বস্ব করিয়া ত্যাগ
যুগে যুগে নরেরে করেছে মহীয়ান।
পৃথিবীতে যত বড় মহা যজ্ঞ, মহা অনুষ্ঠান
তাতে শুধু নর নয় রয়েছে নারীর অবদান।
এ ধরা মাঝে যত হয়েছে মহা মানব,অবতার,যত মহান
খুঁজে দেখো তাতে রয়েছে নারীর আত্ম বলিদান।
দেশ স্বাধীনতায় আত্ম দান করেছে কত নারী
যুগে যুগে শত্রু নাশে ধরেছে তরবালি।
নিজের সর্বস্ব করে সে ত্যাগ
জগত হিতের লাগি।
আদিকাল হতে একাল অবধি
কত নারী করেগেছে কত বলিদান
নিজের সর্বস্ব করিয়া ত্যাগ
যুগে যুগে নরেরে করেছে মহীয়ান।
পৃথিবীতে যত বড় মহা যজ্ঞ, মহা অনুষ্ঠান
তাতে শুধু নর নয় রয়েছে নারীর অবদান।
এ ধরা মাঝে যত হয়েছে মহা মানব,অবতার,যত মহান
খুঁজে দেখো তাতে রয়েছে নারীর আত্ম বলিদান।
দেশ স্বাধীনতায় আত্ম দান করেছে কত নারী
যুগে যুগে শত্রু নাশে ধরেছে তরবালি।
দেশের দুরাবস্তা
হরিহর বৈদ্য
হরিহর বৈদ্য
ভয় দেখালো বিশ্বটাকে এক করোনা জ্বর-
কাজ-কর্ম বন্ধ সবই বন্ধ অফিস ঘর।
বাঁচায় এখন জব কার্ডের আয় আর রেশনের চাল
পায়নি যারা দিচ্ছে তারা পার্টির গালাগাল।
পড়াশুনা শিকেয় তুলে ছেলে-মেয়ের দল,
ব্যস্ত সবাই মোবাইলে আর সবই অচল।
বাজার হাটে, রাস্তা- ঘাটে দেখছি এখন যা,
কাপড়ের মাক্স বাঁধা আছে সবারই মুখটা।
এ যেন এক আজব ব্যাপার হল যে কি দশা,
পশুরা আজ মানুষ দেখে হচ্ছে ভ্যাবাচ্যাকা!
অমূল্যধন সবার জীবন যে যার কাছে তার,
একবারটি চলে গেলে যায়না পাওয়া আর।
বন্ধু স্বজন, বাড়ির লোকজন আপন ছিল সবাই,
দেখা হলে কারোর সাথে বলে এখন চশে যাই।
আতঙ্ক আজ সবার মনে সন্দেহ তাই করে,
মিছেই করি অবহেলা কেবল পরস্পরে।
সচেতন থেকে নিয়ম মেনে সামাজিকতা মানো,
কিসের ভয়ে কি করতে হবে আসল ব্যাপার জানো।
এমনি ভাবে নিয়ম মেনে সবাই যদি চলে,
করোনা রোগ যাবে দূরে সবার বুদ্ধিবলে।
স্কুলের প্রথম বন্ধুত্ব
আব্দুল রাহাজ
আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল ভুবনের প্রথমদিন গ্রামের পাঠশালায় যেদিন পড়তে যায় সেই দিন ও বেশ কান্না করছিল কিছুক্ষণ পর পাশে বসে থাকা একটি ছেলে তার একটি খাতা ছিঁড়ে দিল এরপর দুজনেই সেকি মারপিট স্কুলের শিক্ষকেরা এসে ওদেরকে খুব বকলো গ্রামের পাঠশালায় প্রথম দিনটা ভুবনের কাছে এভাবেই কেটে গেল। নদীর ধার দিয়ে হেঁটে হেঁটে আসার সময় সে দেখল মনু মাঝিরা গান শুনিয়ে নৌকা নিয়ে যাচ্ছে ফুরফুরে বাতাস এ ভুবন নিজের ব্যাগটা রেখে রহিম করিম সরেন নরেন দের ফুটবল খেললো কাদা জলে । বাড়ির পাশে হরিহর দাদুর মেয়ে ছুটকি দৌড়ে গিয়ে ভুবনের মায়ের সাথে বলল লাঠি নিয়ে চলে এলো নদীর ধারে ভুবন মায়ের দেখে নদীতে ঝাঁপ মারলো বেশ হইহুল্লোড় করে স্নান করে চুরি চুরি করে বাড়িতে চলে এলো গ্রামের পাঠশালায় স্যারেদের সে কাজ সেগুলো করে রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল পরের দিন সকালবেলা একা একা স্কুলে যেতে লাগলো পেছনে ছুটকি বলল ভুবন দাঁড়া দাঁড়া ছুটকি ভবনের ছাড়া বেশ বড়ো ছুটকি দি মায়ের সাথে বললে কেন তোমার সাথে আর কথা বলবো না মুখ গম্ভীর করে দৌড়ে চলে গেলো স্কুলে। কী অদ্ভুতভাবে যে ছেলেটির সাথে মারপিট করেছিল ভুবন তারা পাশাপাশি বসল আবার ঠিক ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওরা বন্ধু হয়ে গেল আস্তে আস্তে ভুবনের সবাই বন্ধু হয়ে গেলো। এইভাবে স্কুলে অনেক বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল সবার সাথে ছুটকি দির সাথে সব বলল সেদিন নদীর পাড়ে বসে হো হো করে হেসে উঠলো ছুটকি দি। তারপর দিন যায় দিন আসে ভুবনের গ্রামের পাঠশালা সূর্যের আলোর উজ্জ্বল বৈচিত্র্য এর মত ছড়িয়ে পড়ে তারপর পড়াশোনা খেলাধুলায়। এইভাবে ভুবনের গ্রামের পাঠশালায় বহু স্মৃতি নিয়ে বন্ধুত্বের সমাহার নিয়ে শেষ করে।
বিশ্বজয়ী
ডঃ রমলা মুখার্জী
ডঃ রমলা মুখার্জী
ভাগ্যজয়ে দুর্ভাগা তুই পিছিয়ে পড়া দল-
শাঁখা-সিঁদুর লেবেল সাঁটা, পায়ের বেড়ি মল।
মেঘ ভীষণ গর্জে উঠে করে প্রতিবাদ -
"ওপরে আয় আছি আমি, মুঠোয় ধরি চাঁদ।
দেখ রে চেয়ে অসীম, অবাধ, খোলা নীলাকাশ...
ঘুঙুর পায়ে তাথৈ তাথৈ নারীর হোক প্রকাশ।"
ঝড় বলে,"বাতাসেতে ওড় না সন্ সন্......
ভয় ভেঙে ভয়ঙ্করী, ঝঞ্ঝা, মহারণ।
উড়তে উড়তে পেরিয়ে যা অন্ধ সংস্কার -
ছাতা পড়া নিয়ম-নীতি উড়িয়ে পগার পার।"
সাগর ডাকে,"আয় ছুটে আয় ভেঙে ঘরের তালা-
বিশ্বজয়ী বিশ্ব ঘুরে আন রে জয়ের মালা।"
শাঁখা-সিঁদুর লেবেল সাঁটা, পায়ের বেড়ি মল।
মেঘ ভীষণ গর্জে উঠে করে প্রতিবাদ -
"ওপরে আয় আছি আমি, মুঠোয় ধরি চাঁদ।
দেখ রে চেয়ে অসীম, অবাধ, খোলা নীলাকাশ...
ঘুঙুর পায়ে তাথৈ তাথৈ নারীর হোক প্রকাশ।"
ঝড় বলে,"বাতাসেতে ওড় না সন্ সন্......
ভয় ভেঙে ভয়ঙ্করী, ঝঞ্ঝা, মহারণ।
উড়তে উড়তে পেরিয়ে যা অন্ধ সংস্কার -
ছাতা পড়া নিয়ম-নীতি উড়িয়ে পগার পার।"
সাগর ডাকে,"আয় ছুটে আয় ভেঙে ঘরের তালা-
বিশ্বজয়ী বিশ্ব ঘুরে আন রে জয়ের মালা।"
অনুকবিতা :
আগুন তবুও নিভাইবনা
সায়ন প্রামানিক
আগুন তবুও নিভাইবনা
সায়ন প্রামানিক
বেদনা ভেজা মনে
ক্লান্তি জড়ানো আগুন
বসন্ত আজ চারিদিকে
ছড়াইয়াছে ফাগুন।
মনের মাঝে রঙ টুকু আজ
হইয়া গিয়াছে ফিকে
আগুন তবুও নিভাইবনা
ছড়াইয়াব চারিদিকে।
ক্লান্তি জড়ানো আগুন
বসন্ত আজ চারিদিকে
ছড়াইয়াছে ফাগুন।
মনের মাঝে রঙ টুকু আজ
হইয়া গিয়াছে ফিকে
আগুন তবুও নিভাইবনা
ছড়াইয়াব চারিদিকে।
পাপ
বাপন দেব লাড়ু
হাত বাড়িয়েছি বাড়ানো হাতের দিকে ;
সে হাতেই দিয়েছি ভবিষ্যৎ।
ম'নের ভেতরে জমেছে কিছু এলোমেলো কথা,
ম'ন খুলে দিলেই খুঁজে নেবে খেয়ালী পথ।
এ ভাষায় চিনেছো তুমি প্রেম ;
ঘুমের শর্ত হারিয়ে ফেলেছি তাই...
চুম্বনে জেগে উঠেছে কবিতা,
স্পর্ধায় প্রকাশে বানালো তারা কবি।
অন্ধ চোখে ফিরেছে দৃষ্টি শক্তি,
জানি এ হয়তো পাপ,
না হয় গেলাম নরকে,
তুমি ছাড়াতো হারাবে সব পরিপাটি।।
😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁
মহরম সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান
আগামীকাল শেষ তারিখ 29/08/2020
উপকণ্ঠ মহরম সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান |
0 comments: