রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 16/08/2020


           "উপকণ্ঠ 16 আগষ্ট সংখ্যা "
         "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-16/08/2020,শনিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
               বিভাগ :---  প্রবন্ধ
     || পরাধীন ভারতের বীরাঙ্গনা ||
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
                    সৌম্য ঘোষ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
       
     ব্রিটিশরা সুদীর্ঘ ২০০ বছরের বেশি সময় ভারতের মাটিতে অনুশাসন চালিয়েছিল । ২০০ বছরের পরাধীনতার কঠিন জঞ্জির ছিন্ন করে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে যে স্বাধীনতার আলো এসেছিল , তা ছিল শত শত মানুষের ত্যাগ ও আত্ম বলিদানের ফসল । তাঁদের অবদানকে অস্বীকার করলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আজ সম্পূর্ণরূপে বৃথা হবে । দেশমাতাকে পরাধীনতার গ্লানি মুক্ত করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ - লিঙ্গ  নির্বিশেষে এগিয়ে এসেছিলেন । ভারতের প্রতিটি ধুলি কণায় রয়েছে এই শত সহস্র মানুষের ত্যাগের ইতিহাস ।
                 স্বাধীনতা আন্দোলনে আমরা বহু মহিলা স্বদেশী ক্রান্তিকারীর কথা ইতিহাসে জানতে পারি ।শুধু পুরুষরাই যে স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন এ কথা ভাবা ভুল। কাজী নজরুলের ভাষায় :
" কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি,
প্রেরণা দিয়েছে ,শক্তি দিয়েছে,  বিজয়লক্ষ্মী নারী । "
স্বাধীনতার ইতিহাসে অগণিত মুসলিম নারী স্বদেশী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন । আজ এই অবসরে এমনই কয়েকজন মহীয়সী নারীর কথা উল্লেখ করছি :
               ||  বেগম হজরত মহল  ||
                ---------------------------------
স্বদেশী আন্দোলনে মুসলিম মহিলাদের ভূমিকার কথা আলোচনা করতে গেলে প্রথমে যার নাম আসে , তিনি অযোধ্যার নবাব ওয়াজেদ আলী শাহের প্রিয়তমা স্ত্রী -------  বেগম হজরত মহল ।সিপাহী বিদ্রোহের সময় তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন । বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে অবশেষে পরাজিত হন এবং তিনি নেপালে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন ।
                 ||  রিজিয়া খাতুন  ||
                --------------------------------
রিজিয়া খাতুন হলেন বাংলার প্রথম মুসলিম নারী যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন যার ফলস্বরূপ তাঁকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কালাপানি নির্বাসন ভোগ করতে হয় ।
                ||  আবেদী বেগম  ||
               --------------------------------
আবেদি বেগম ছিলেন মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলীর বৃদ্ধ মাতা। আপামর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন " বি আম্মা " । স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি বড়োসড়ো ভূমিকা নিয়েছিলেন। স্বয়ং গান্ধীজী তাঁকে প্রশংসা করেছিলেন ।
                  ||  আজিজান  ||
                 --------------------------
আজিজান ১৪৩২ সালে লক্ষ্মৌ এ জন্মগ্রহণ করেন । তিনি উমরাও জান এর সঙ্গে  "সিরিঙ্গি মহলে " বসবাস করতেন । ১৪৫৭ খ্রিস্টাব্দে নানা সাহেব ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলে , আজিজান গৃহত্যাগ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।তিনি অস্ত্র চালনায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর অধীনে মহিলাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে। তিনি আমৃত্যু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন ।
                 শত শত বীরঙ্গনা স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন । তাঁদের কতজনের ইতিহাস আমরা খোঁজ রাখি ? জুবাইদা দাউদি , সাদাত বানু কিছলু , জুলেখা বেগম , নিশাতুন  নিশা বেগম, ফতেমা কুরেশি ইত্যাদি ইত্যাদি অগণিত মুসলিম বীরঙ্গনা দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার গ্লানি মুক্ত করতে গৃহ সুখ ত্যাগ করে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে শহীদ হয়েছিলেন । আজ  ৭৪ তম স্বাধীনতা র দিবসে  সেই বরেণ্য মহীয়সী মুসলিম বীরাঙ্গনাদের  সশ্রদ্ধ সালাম জানানোর সুযোগ পেলাম ।।








ছোটোগল্প
ভাঙা গড়া খেলা 
          আব্দুল রাহাজ

আমাদের জীবনটা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলে সময়টা যেন নদীর স্রোতের মতো এগিয়ে চলে কারো জন্য অপেক্ষা করে না সুখ দুঃখে কষ্টে আনন্দে হাসি কান্নার মধ্য দিয়ে আমরা জীবনটাকে উপভোগ করি। জীবনের এই চলার পথে কত ভাঙ্গা গড়া খেলার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে সেটা সবাই জানে আবার কেউ জানেই না। সেই রকম রহিম লাল্টু সেই ছোট থেকে খুব ভালো বন্ধু ওরা তখন  গ্রামের পাঠশালায় পড়ে ওরা তখন শুধু স্বাধীন আর খোলা আকাশে খোলা মনে ঘোরাফেরা করে ওদের বাড়ি পাশাপাশি ওরা দুজনে একসাথে খেলা করতো বিকাল বেলায় ওদের বাড়ির পিছনে বড় তেঁতুল গাছের তলায় খেলার জায়গা। ওর একদিন ঠিক করলো একটা মাটির ঘর বানাবে খুবই ভালভাবে যেন অনেক দিন থাকে রহিম বোলো তাই হবে চিত্রা নদী থেকে কাদা নিয়ে আসব ছুটির দিনগুলোতে আর বাকি দিনগুলো স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে একটু একটু করে তৈরি করব লাল্টু হ্যাঁ তাই হবে। রহিম আর লালটু সেই মাটির বাড়ির করার জন্য চিত্রা নদীর কাঁদতে আরম্ভ করলো গ্রামের লোকেদের উপহাস নানাবিধ প্রতি পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াতো মাটির বাড়ি তৈরি করতে সব হাসি-ঠাট্টা পাত্তা না দিয়ে বাঁশ গাছের ছায়ায় মাটির বাড়ি তৈরি করতে লাগলো বারবার ভেঙে যাচ্ছে তাদের সেই মাটির বাড়ি। একদিন রহিম বলল লাল্টু কঞ্চির ছিঁটে বেড়া দিলে কি রকম হয় ভালোই হয় তা তাহলে পাবি কোথায় লাল্টু বলল আরে আমাদের বাড়িতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওরা মাটির বাড়ি করল সেদিন ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি রাত দশটা বাজে রহিম আস্তে আস্তে খিরকি দরজা খুলে বাইরে এসে লাল্টুকে কে ডাকতে লাগলো আস্তে আস্তে লাল্টু লাল্টু বলে ডাকতে লাগলো রহিমের কথা কানে যেতেই বাইরে বেরিয়ে এলো কি হয়েছে দেখছিস না ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে চল দেখি ঘরের কি অবস্থা আরে ওখানে তো তোদের কবরস্থান ভয় লাগবে না আরে আরে না চলে আয় দুজন একটা হ্যারিকেন নিয়ে তাদের ঘরের কাছে গেল গিয়ে দেখলো ভিজে গেছে গোলপাতা দিয়ে বেশ দড়ি দিয়ে বেঁধে চলে গেল পরের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ভোরবেলা দৌড়ে চলে গেল তাদের বানানো ঘরের কাছে সব ঠিকঠাক তাদের মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠল। তারপর রহিমের আব্বা ডাকতে লাগলো রহিম রহিম রহিমের আব্বা ডাক শুনে রহিম বলল যাচ্ছি লালটু রহিম তাহলে আমি চলি আচ্ছা বাড়িতে এসে রহিমের বাবা বলল দেশের বাড়িতে কাজ পেয়েছি চলে যাব তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নে তাহলে আমাদের ভাঙা গড়া খেলা বাড়ি কি হবে রহিমের বাবা বলল স্মৃতি হয়ে থাকবে এদিকে লাল্টু দৌড়ে এসে বলল আমরা চলে যাচ্ছি রহিম বললো আমরাও চলে যাচ্ছি তাহলে ভাঙা গড়া খেলা আমাদের আর কি হবে না বলল নারে। তখন বেলা বারোটা ফেরি ঘাটে এসে ওরা যে যার বাড়ি চলে গেল সেই ভাঙা গড়া খেলা বাড়ি পড়ে রইল দিনের পর দিন বছরের পর বছর আর চেয়ে রইলো তাদের দিকে সূর্যের ক্ষীন আলোর মত ভাঙা গড়া খেলা বাড়ি আস্তে আস্তে ধ্বংসের মুখে ধাবিত হয়ে এক স্মৃতিময় পরিবেশ নিয়ে ভাঙা গড়া খেলা বাড়ি মাটির সাথে মিশে গেল।










এই শুনছো
               পার্থ প্রতিম হালদার


যে মেয়ে টি একসময় রাতদিন প্রতিদিন
ফেসবুক বা হোয়াটস আপ করতো।
সারাক্ষণ ফোনে কথা বলতো ।
বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে
কখনও বা ছেলে বন্ধু দের সঙ্গে
সিনেমা হলে যেত। সেই মেয়ে টি
এখন কিন্তু আর অমন না ।
সে এখন ভদ্র শান্ত পতিব্রতা স্ত্রীর মতো ।
সকাল সন্ধ্যা তে স্বামীর চরণ ধূলি
মাথায় নিয়ে, শ্রদ্ধা সম্মান জানিয়ে
আদর করে ডেকে বলে - 'এই শুনছো।'
কারণ এখন সে বিবাহিতা ।
আর তাই ফোনে কথা বলে না,
রাত জেগে অনলাইন ও থাকে না ।
পুরোনো মোবাইল, পুরোনো
সিম কার্ডের আর দরকার ও পড়ে না।
স্বামী তার কাছে
উত্তপ্ত সাহারা মরুভূমির বুকে
চেরাপুঞ্জির মেঘের মতো।
তৃষ্ণার্ত ধরিত্রীর বুকে
এক পসলা বৃষ্টির মতো।
তাই স্বামীর মঙ্গল কামনায় সে এখন
সিঁথি তে সিঁদুর পরে , স্বামী কে
পতি পরমেশ্বর মনে করে।
স্বামীর নাম ধরে না ডেকে ,
ঘোমটা তে মুখ ঢেকে , বিনা কারনে
হাসতে হাসতে বা কাঁদো কাঁদো ভাবে ,
লজ্জায় রাঙা হয়ে
আস্তে করে বলে ওঠে , 'এই শুনছো।'
কিন্তু তার সেই প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড টা ,
যে কিনা তাকে খুব ভালোবাসতো ।
কখনও বা সিনেমা হলের
নীল অন্ধকারে বা ঝোপে ঝাড়ে
তার বুকে মাথা রেখে
রঙিন স্বপ্ন দেখতো ।
কিন্তু তার ভাগ্যে থাকলো না ,
সোহাগের সেই ডাক ।
একরাশ হতাশা নিয়ে
পুরোনো স্মৃতি কে আঁকড়ে ধরে
কাটাচ্ছে দিনরাত।
তার কথা তাই একটি মুহূর্তের জন্য
ভাবে না কেউ। যে একটু আধটু ভাবতো ,
সে তো এখন ওই লোফার ছেলেটার বউ।
যে লোফার ছেলেটা একসময়
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মেয়ে দেখলে
সিটি মারতো,পড়াশোনা করতো না
বলে শিক্ষক মহাশয়ের কাছে
সারাক্ষণ অপমানিত হতো।
কিন্তু নেপোটিজমের বাজারে
কাটমানি দিয়ে চাকরি পেয়ে
সে এখন অসম্ভব ভদ্র ও শান্ত।
জ্ঞানী গুণী ও দক্ষ।
সবাই কে তাই জ্ঞান দিতে ব্যস্ত।
এমন কি বর্ষা ঘন শাওন রাতে ,
কৃতিত্ব দেখাতে , স্ত্রী কে
গল্প শোনাতেও থাকে মত্ত।
কিন্তু গল্প শোনাতে শোনাতে
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে -
রোমান্টিক ভাবাবেগে উত্তেজিত হয়ে
ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মতো রাগে
স্বামীর গায়ে আঁচড় কেটে, গভীর রাতে
ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে
বলে ওঠে - 'এই শুনছো' ।










ফরিয়াদ
           বিপ্লব গোস্বামী

নাইবা পেলো আমার লেখায়
কবিতার সম্মান !
নাইবা হলাম সম্মানিত ,পুরস্কৃত !
না হয় নাইবা পেলাম
কবি সভায় স্থান !
তবু আমি লিখে যাবো সদা
নিজেদেরি কথা,
যারা প্রতি পদে পদে হতে হয়
অপমানিত,অবহেলিত নয়তো
নির্যাতিত আর অপমান।
মোরা সর্বংসহা মৌন প্রজা
সুখে-দুঃখে, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়
ছলে-বলে, মানে-অপমানে
সদা করি মহারাজের জয়গান।
মোদের অন্তর বেদনা অন্তর তলে
লুপ্ত সদা রয়,
হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখি
সদা নিজেদের পরিচয়।
প্রথিতষশা কবিদের লেখায় নেই
মোদের কাহিনী কথা !
বিলাসী অট্টালিকার প্রাচীর ভেদিয়া
পৌছয় না আকুলতা !
যারা টিবির পর্দায় শ্রমিকের অভিনয়ে
অর্জন করে খ‍্যাতি
তাদের মরণে রাজা প্রজা কাঁদে ;
রাত দিন সাত দিন
মিডিয়া করে স্তুতি !
শ্রমিকের মরণে মিডিয়া নিশ্চুপ !
কার কি আসে যায় ?
দুয়ারে দুয়ারে সহায়তা লাগি
শ্রমিক পত্নী অশ্রু ঝরায়।
লোনের দায়ে গলায় দড়ি দিয়ে
আত্মহত‍্যা করে চাষী !
পেটের দায়ে সতী সাবিত্রী
হতে হয় যৌন দাসী।








রং ধনুর সাত রং
               জুয়েল রূহানী

গগন পানে চেয়ে দেখো
কালো মেঘের ঢং,
মেঘের কোলে স্বপ্ন আঁকা
রং ধনু'র সাত রং!
মেঘের কোলে মুচকি হাসে-
রং ধনু'র সাত রং,
রং ধনু থেকে রং এনে-
মন মাখে রং!
স্বপ্ন রূপের প্রতিচ্ছবি-
রং ধনু'র সাত রং,
মেঘের কোলে রূপের ঢলে-
প্রাণে জাগে ঢং!







Upon the Time
            By Sabir Ahmed

     I think, I guess ,I whisper, I puzzle.
     Much have I felt inarticulate pulse,
     O' er thy installation and extirpation.
            A brooklet flows,breeze blows,
             Light travels miles after miles,  
            And the directions they can change;
Through  thy fleeting passage is intricate and true.
            Thou art changeable but infinite,
             In the macro-multi universe,                                                                                                      
      Where all are perishable but thou art ever fresh,
           By the touch of natural raw elements,
     In  the stream of consciousness of existence.

          Thou ever come being a messenger,
           Of morn, of noon and of noon after,
     Being the forerunner of night,of daybreak,
  Upon the petals of night phlox,jasmine,tuberose,
                     In the eyes of dews.
  By thee the Almighty's creations are wheeled,
   In summer somewhere red krishnachura,
somewhere vaat flowers bloom,
     And salty aqua soup comes out from sedulous bodies !
                          Thou art varied
                     With the  serenity of Ashar,
                     With  Chill wind of winter
           And delighted with fluffy clouds of autumn,
             With the warmth and love of spring.
  By thy rules under this boundless sky,
                  Commotions are created,
In the wavy hair of vast oceans and the seas.
          And the woodland that is near us
Makes rustling sound in the friction of leaves,
Breathes out emotionally in the thorax of air
           What recalls me the past and future
             Time, the time and the time of life.
         Thou art without feelings,
      Yet thou art the feelings of feelings!
  






                    " নাগরদোলা "
                   হামিদুল ইসলাম 
                  

নাগরদোলায় ঘুরছে জীবন
একবার উপরে
একবার নীচে
এ জীবন নাগরদোলায় ভারি সুন্দর ।
নাগরদোলা মানে জীবন
আমাদের জীবন এখন নাগরদোলা
সারাদিন গতর  বিক্রি করি
শ্রমের পয়সায় জীবন ওড়াই নাগরদোলায় ।
আহা নাগরদোলা !
নাগরদোলা যখন নীচে নামে
মনে হয় পাহাড়ের উপর থেকে পড়ে যাচ্ছি
আর উপরে উঠলে মনে হয় স্বর্গে উড়ে যাচ্ছি ।
নাগরদোলার জীবন বড়ো ভয়
খাও দাও ফুর্তি করো তবু একটা ভয়
ভয়ে ভয়ে উঠি নাগরদোলায়
জীবনকে জেনে নিই এক লহমায়  ।
হে ঈশ্বর !
দেখে যাও আমাদের জীবন
আমরা এখন নাগরদোলা
দুলছি হাসছি গাইছি
দুহাতে ওড়াই জীবন, জীবনের ভীড়ে খুঁজে পাই প্রাণ   ।









In a Rainy Day
        Dr. Narendra Nath Naskar

You have come to my house on a Rainy day;
You remain calm and quiet, though you have something to say.
You seat beside me for a while, and then sing a song spontaneously of different kind,
When your song is over, we remain quite sometime in a sense of Joy with pleasant mind.
We wait for long, without uttering any word during the spell of rain;
You ask me silently to remain beside you,  to have a romantic gain.
You entreat me to recite a poem on love, after a while;
I begin to recite the poem written by you with an eternal smile.
By the time the Rain stops but the shower of our love continues endlessly,
In this pleasant environment  you creat a poem on romance spontaneously.
You speak slowly,  "like Rain Love is also a gift of God" without doubt,
Like water love keeps life viable and alive with joy, I shout.
The rain of of love will remain as a memorable day in life;
Everything is preplanned by God in different type.







কবিতা : জীবন-দর্শন!
                     বিশ্বজিৎ কর

ভালবাসার মাঝদরিয়ায়,
ঝড় দেখেছি বহুবার -
বিচ্ছেদব্যথায় বিপর্যস্ত!
ভালবাসার হৃদমাঝারে -
ঝড় তোলপাড় করেছিল,
মা-বাবার হারানোর দিন গুলোতে....
শোকে-বিহ্বলে-কাতরতায়!
সব ভালবাসার হীরক খন্ড,
হারিয়ে ফেলেছিলাম!
কবিগুরু দিয়ে ছিলেন অমোঘবাণী-
"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু"!








স্বাধীনতা
           কনিকা রায়

স্বাধীনতা তোমাকে পাওয়ার জন্যে!
কত বীর শহীদ হলো,কত মা তার পুত্র হারালো!!
কত সন্তান হারালো পিতা , কত স্ত্রীর সিঁথির সিদূর মুছে গেলো!
তোমাকে পাওয়ার জন্যে -
হে স্বাধীনতা শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য।
আজ মোরা স্বাধীন দেশের নাগরিক !
এই বিরাট পাওয়া তোমাদেরই জন্যে!!
তাই আজ বীর নেতাজীর চরণ ছুঁয়ে করছি অঙ্গিকার,
সারা জীবন রাখবো মান মোদের বঙ্গমাতার।






এক মুঠা ভাত
          আব্দুল রহিম

আমাদের মতো দিনআনা দিন খাওয়া মানুষের বাড়িতে নতুনের স্বপ্ন দেখা যে মহাপাপ,
কেননা যখন'ই স্বপ্ন দেখি সুন্দর এক সকালের
সেই সকালে'ই শুরু হয় পান্তা ভাতের লড়াই,
অসুস্থ বাবা মাকে নিয়ে ছুটাছুটি
না হয় ছোট্ট ভাই বোনের একটু দুধের জন‍্য কান্না
এইতো জীবন,তবে কি স্বপ্ন দেখা সাজে।।
যখন ভাবি অভিশপ্ত জীবনে কেও একজন  এসে
আলতা,আলপোনা,আর মিষ্টি কথায় ভরে দেবে
তখনই এ মাটিতে কঠিন বাস্তবটা আঁকড়ে ধরে  
মনে করিয়ে দেয় মায়ের  উস্কোখুস্কো চুলের কথা
বাবার বাঁক ধরা ধনুক আকৃতি পিঠের কথা
অভুক্ত ভাই বোনের ক্ষুধার কাতরতা,
না না আমাদের স্বপ্ন দেখা সাজে না।।
আমাদের জীবনটা যে গরম  শিকলে বাঁধা,
চোখের সামনে দেখতে হয় ধর্ষণ,
শুনতে হয় রাজনীতি'র মিথ‍্যা মিথ‍্যা ভাষণ,
বাবুদের মুখবাঁকানো অশিক্ষিত কটু কথা,
কেননা চাই আমাদের দু মুঠো পোড়া ভাত
তাই সয়তে হয় অসভ‍্য সমাজের ঘাত প্রতিঘাত
জীবটাতে আজীবন লেগে অম‍্যাবস‍্যার কালো রাত।
জীবনের চাওয়া পাওয়ার স্বপ্নগুলো কাফন পরে
শরীরের প্রতি বিন্দু তাজা রক্ত সঞ্চিত হিমঘরে
সভ‍্য সমাজে আমাদের  মানুষ ভাবে না
কুকুরের মতো সয়তে হয় লাঞ্ছনা বঞ্চনা
শুধুমাএ এক মুঠো পোড়া  ভাতের জন‍্য
হে  সভ‍্য মানব তোমার বিবেক,বিবেচনা'তো ধন‍্য
আর মনে হয়না এ পৃথিবী আমাদের জন‍্য।।
না না আমাদের নতুনের স্বপ্ন দেখা সাজে না
কেননা মন্দিরে আর শ‍্যাম সুন্দরের বাজনা বাজে না
স্বার্থছাড়া কেউ যে হাত বাড়াই না,
আমারতো সামন‍্য লোক,নেই বাপু নতুনের শোক
আমাদের জন‍্য পোড়া ভাতের ব‍্যবস্থা হোক
আর নেই কোনো স্বপ্ন, নেই কোনো আশা,প্রত‍্যশা
লিখে দিলাম এ জীবন দারিদ্র্যর এক মুঠা ভাতের জন‍্যে।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥




0 comments: