সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-17/08/2020

        "উপকণ্ঠ 17 আগষ্ট সংখ্যা "
         "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-17/08/2020,সোমবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

সবুজের দেশে
                আসমত আলী

সবুজের মেলা সেতো আমাদের দেশ
কাল কাটে তবু থাকে ষোড়শীর রেশ,
মায়া মাখা মাঠ তার ফসলেতে ঘেরা
দিক তার জলাধার নদী পথে ফেরা।
ভাটিয়ালী সুর ধরে মাঝি তরী বায়
চাষী ভাই গান গেয়ে ফসল ফলায়,
পাখিদের কলতান মধু মাখা সুর
কোকিলের কুহু ডাকে ভরে হৃদপুর।
মাঠ জুড়ে ফলে সেথা সোনার ফসল
দখিনা বাতাস এসে  জুড়ায় ধকল,
সোনা মাখা রোদ ছায়া রাখালের বাঁশি
আম জাম সব ফল ফলে রাশি রাশি।
পশুপাখি ফলফুলে মায়া ভরা দেশ
মানুষের মাঝে আছে মমতার বেশ,
মাটির সুবাস লেগে নেচে ওঠে মন
নদীর দুপাশ জুড়ে আছে কাশবন।
দেবালয়ে পূজাপাঠ বাড়ে দেশ মান
মানুষের বুকে বাজে একতার গান,
দূর থেকে শোনা যায় ভোরের আযান
মানবতা দিয়ে গড়া দেশটা মহান।।






    মাতৃ বন্দনা
            বিপ্লব গোস্বামী

গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
অশুভ শক্তি নাশিয়া যাহারা
     সত‍্য করিলা জয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
  যাহার স্তন‍্যে বাঁচিয়া নর
   মানব মহামানব হয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
সন্তানের কষ্ঠে রাত জাগিয়া
     শিয়রে যাহারা রয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
শত যাতনা হাজার লাঞ্ছনা
    নীরবে যাহারা সয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
  শত বেদনা গোপনে সহে
     সন্তানের কথা কয়।
গাহি আমি জয় মায়েরি জয়
যাহার আঁচলে থাকিতে মোদের
নেইতো কোন ভয়।








প্রবন্ধ
বর্তমান সময়ের পরিবেশ
       আব্দুল রাহাজ

সময়টা বয়ে চলেছে কালো অন্ধকারের এক সুড়ঙ্গের এর মধ্য দিয়েহলে অনেক কিছু আর আগের মত নেই সব যেন ওলটপালট হয়ে গেছে তেমনিই পরিবেশ এক ধ্বংসের কালো আভার দিকে এগোচ্ছে কিন্তু মানুষ তার বিবেক জ্ঞান হীন হয়ে বর্তমান সময়ে যে আধুনিক মায়াজাল তা গা ভাসিয়ে দিয়ে এক অন্য রকম পরিবেশ নিয়ে আবদ্ধ আছে। বাস্তব পরিবেশে এক কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে বয়ে দিয়ে চলেছে পরিবেশ যেন অসহায় প্রান্তিক মানুষের মতো তাকিয়ে আছে মানব জাতির সামনে ‌। প্রকৃতির মা সবুজ রংঙের রাঙা হলেও তার মধ্যে আছে দূষনের বিশ ভরা ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে সেই সবুজ সেই মনোরম পরিবেশ থাকলেও কোথাও যেন কোন কিছুর অভাব বোধ করে চলেছে। পাখিদের কুজন আস্তে আস্তে যেন কমে যেতে শুরু করেছে পরিবেশকে আর তারা মাতিয়ে দিচ্ছে না আর। সত্যিই পরিবেশ এক অদ্ভুত মায়া জালে জড়িয়ে পড়েছে যা থেকে বের হওয়া খুব কঠিন কষ্টসাধ্য সেই অবস্থাকে মাথায় রেখে আমাদের পরিবেশ বয়ে চলেছে এখন অন্য মাত্রা নিয়ে যার মধ্যে রয়েছে বিষে ভরা পাত্রের মতো আকাল অবস্থা যা থাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কিন্তু মানুষের এর উপর কোন ভাবনা চিন্তা নেই কোন সজাগ নেই আগ্রহ নেই আমাদের পরিবেশ তারপরে আজ রসাতলে অবস্থান করছেন ধ্বংসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এক কাল অন্ধকার জগত আমাদের সামনে তুলে ধারার অপেক্ষায় আছে। পরিবেশের সেই মায়াভরা দৃশ্য আর নেই থাকলেও অনেকটা যেন সূর্যের নিস্তেজ আলোর আলোর মতো নুইয়ে পড়ছে ক্ষীন হয়ে যাচ্ছে চারিদিকে অন্যরকম পরিবেশের মধ্যে মানুষ বসবাস করছেন। গাছগুলো প্রকৃতির মায়ের কাছে আত্মসমর্পনের মত হয়ে পড়ে আছে তারা যেন সবুজের যেন মানব জাতির সামনে উপহার হিসেবে তুলে ধরতে রাজি হচ্ছেন না তবে কি বর্তমান সময়ে সবুজে রাঙানো পরিবেশ বিষে ভরা এ প্রশ্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী মহলে ঘোরাফেরা করছে কিন্তু মানুষের বিবেক আজ কোথাও এ বিষয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই শুধু নিজেদের আরাম বিলাসিতা ভোগবিলাসী তোকে জড়িয়ে ধরে এখনো বসে আছে আর পরিবেশ এক গভীর সংকটের মুখে তা কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই ফলে বর্তমান পরিবেশ এক কঠিন ও তম অবস্থার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক কালো অন্ধকারে দিন হিসেবে রাঙিয়ে উঠছে।






মানুষটা ছিলেন বড় ভালো
            শিবব্রত গুহ

মানুষটা ছিলেন বড় ভালো,
নাম তাঁর শম্ভু নস্কর,
একজন মানুষের মতো মানুষ,
ছিলেন তিনি।
নস্করপাড়া গ্রামে, সবাই তাঁকে,
বাসতেন ভালো,
তিনি ছিলেন, তিনি ছিলেন, একজন,
পরোপকারী মানুষ।
মানুষের বিপদে - আপদে,
তিনি দাঁড়াতেন গিয়ে তাদের পাশে,
তাদের বুকে দিতেন,
সাহস ও আত্মবিশ্বাস।
একজন সৎ মানুষ,
ছিলেন তিনি,
কাজের প্রতি ছিল,
তাঁর গভীর নিষ্ঠা।
মানুষকে খাওয়াতে তিনি,
বাসতেন বড় ভালো,
মানুষকে নিয়েই তিনি,
চলেছেন সারাজীবন।
এক দুর্ঘটনা, হ্যাঁ, হ্যাঁ, এক দুর্ঘটনা, কেড়ে নিল,
কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ,
অল্পবয়সে, চলে গেলেন তিনি,
সবাইকে ছেড়ে।
করা হল হাজারো চেষ্টা,
কিন্তু, কিন্তু, তাঁকে গেল না,
বাঁচানো।
আজ, তিনি আর নেই,
কিন্তু, রয়ে গেছে চারিদিকে তাঁর,
হাজারো স্মৃতি।
তাঁর পরিবার ও
নস্করপাড়া গ্রামের
মানুষদের হৃদয়ে তিনি থাকবেন,
তিনি থাকবেন, চিরকাল,
জীবন্ত,
জীবন্ত,
অবশ্যই জীবন্ত।







                       যুদ্ধ
      হামিদুল ইসলাম

     
যে কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
জমি করে চাষ
তার মর্যাদা নেই এখানে
এখানে সে অবহেলিত বারোমাস  ।
অথচ তার শ্রমে প্রতিদিন তৈরি হয়
হাজারো উৎপাদন
তারা আজ দুবেলা দুমুঠো খেতে পায় না ভাত
তাদের পোড়া কপাল, শুকনো বদন ।
তারা এখন ধীরে ধীরে জোট বাঁধে
জোটবদ্ধ হতে চায়
স্বৈরশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা
হাজার শ্রমিকের মুষ্টিবদ্ধ হাতের সহায়তায়  ।
তারা বলে, এসো জোট গড়ি
আমরা সমান সবাই
আমাদের অধিকার লুটে খায় লুটেরা
এসো হাজারো  শক্ত হাতে এদের শ্মশানে পাঠাই ।
আজ তাই ঘরে ঘরে তৈরি কিষান শ্রমিক
চারদিকে যুদ্ধের কাড়া নাকাড়া
ইতিহাস ক্ষমা করে নি এই দস‍্যুদের
এদেরকে ভিটে ছাড়া করবো আমরা ।









       গান
         সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

তুমি কি তেমনই আছো
নাকি ভুলে গেলে
আগের সব?
স্বপ্নের জাল বুনে বুনে
কত আশা জেগে ছিল বুকে
কতদিন কত ঝামেলায়
নিয়েছিলে  টেনে কাছে
আজ কী হোল
বলো সেসব?
যন্ত্রনা কি শুধু আমারই?
ব্যথা সইবো  বাকি জীবন
তুমি তবুও বলবে ক্ষমতাহীন
রোদ্দুর কিংবা মেঘলা যাই হোক
তুমি থাকলে নীরব!
ভুলে গেলে আগের সব!
এই কথাটিও বললে না
বেঁচে থাকতে রইলে নীরব।









কবিতা :
         এত নীরবতা কেন!
                           বিশ্বজিৎ কর
তোমার নীরবতা,
ভালবাসার ঠিকানা জানায়!
চিঠি লিখে ফেলি,
তোমার অবুঝ মনের ঠিকানায়!
মেঘবালিকা চিঠি নিয়ে যায়,তোমার খোলা জানালায়!
তুমি তখন আনমনা দিগবালিকা-
বুঝে ফেলি,রাগ নয়, এ তোমার অভিমান!
ভালবাসায় নত হওয়া কঠিন কাজ,হারতেও জানতে হয়!







          হৃদয়ের সীমানা
                  জুয়েল রূহানী

হৃদয়ের সীমানার প্রাচীর ভেদে
গল্প-কাহিনী ও কাব্য লেখা,
নয়নে চয়ন মোর প্রিয়সীর মুখ-
সদা উৎসুক পাবো তাঁহার দেখা!
আনমনে গান গাই বেসুরে গলায়
আনন্দে নাচে মন তাঁহার তরে,
যাঁহার তরে নিশী ও দিবসে-
কাব্য লিখি বড় যতন করে!








অজানাচারী
আরশাদ আল গালিব

জীবনের এই খেরোখাতা মেলে দেখি আজ,
চেয়ে দেখি আছে হেথায় শূন্য এক তাজ।
ধুলোয় মলিন স্বপ্নগুলো
একে একে পড়েছে খসে,
আছে আজ শুধু তার স্পর্শগুলো।
ভালোলাগার এক শ্রান্ত প্রহর আজো ছুয়ে যায় আমায়
মনে করিয়ে দেয় রিক্তের বেদন।
ক্লান্ত নিস্বঃ এক পথিকরূপে
হাটছি আমি এক অনন্তের পথে।
এ পথে আছে আনন্দ আছে বেদনা
এ পথ যে আমার সকল প্রত্যাশার আশা নীরাবতার ভাষা
এই পথের বুকে দাড়িয়ে গড়ছি আমার তাজবন্দনা ।







বিভাগ - গদ্য কবিতা
*অন্তরের শ্লীলতাহানি*
      নব কুমার

বাস্তবতার পৈশাচিক ধর্ষণে হচ্ছে অন্তরের শ্লীলতাহানি!
তবু মুছে যাবেই জেনো দুঃখের কালসিটে দাগ কোনো- অজানা মলমের ক্রমাগত লেপনে।
কিছু স্মৃতি চোখেই হবে বিলীন-
কপোল বেয়ে বৃষ্টি নামার আগেই।
দুঃখের ঢোক গিলেই এগিয়ে যাবে জীবন...
নিস্তব্ধতাও মিশবে কোলাহলে!
শুধু জানার পথটুকু খুলে রেখো আনমনে।

বিশ্বাসের মৃত্যুমিছিলে চাপা বিদ্রুপের সাথে-
হার-জিতের অঙ্ক কষবে পরিচিত মুখগুলো।
ফিসফিসানি শব্দে মনের উঠোনে ব্যর্থ নাভিশ্বাস।
ক্ষয়ের কারণ খুঁজে দেখবে না কেউই!
কেবল কুঁড়িয়ে এনে অজস্র ব্যর্থতার নুড়ি-
চুপিসারে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিরা দিয়ে যাবে সুরসুরি!

বিশ্বাসের ছুরিতে কমলে ধার
তুলোও লাগে ভীষণ ভার!
অবশেষে বিলিয়ে অনুভূতি ওজন মেপে
যুদ্ধও থামে মৃত্যুশোকে!

বসন্তের ছোঁয়ায় শ্যাওলা ধরা পথের ধারে আবারও মাথা দোলায় ঘাসফুলের দল,
স্বপ্নের রোদে ভরে ওঠে অতৃপ্ত মনের আকাশ!
হাজার ব্যস্ততার মাঝে আবারও কেউ খোঁজ নিয়ে যায় কিছু গোপন চাওয়া-পাওয়ার..
হৃৎপিণ্ড নিঙড়ে চলে অনুভূতির লেনদেন।

আর জীবন শুধুই চুপটি করে বসে
আপন খেয়ালে মিটমিটিয়ে হাসে!










কবিতা - 
         সাহিত্যের কথা 
নাসরাতুল হোসাইন নিশান 

সাহিত্যের কথা বলছো তুমি
এ সম্পর্কে আমি কি বা জানি?

না আমি করতে পারি নজরুলের মতো প্রতিবাদ
না আমি হতে পারি আধ্যাত্মিক রবীন্দ্রনাথ।
আমি কবি জসিমের মতো দেশকে ভালোবাসিনা
আমি  জীবনানন্দের মতো বাংলার কবি না।

রোকেয়া শাখাওয়াতের মতো নয় আমি নারীবাদী
নইতো মধুসূদনের মতো মাইকেল নামধারী।
নই শামসুল হকের মতো সব্যসাচী
নই বা সুকান্তের মতো তরুণ চেতনার অধিকারী।

যদি নাম তুলো সাহিত্যের
আসবে কথা এসব কবিজনের,
অসংখ্য কবিজন আরো হয়নি তাদের কথা
যাদের জন্য আজ এই সাহিত্যের প্রথা।

আমি কি বা জানি এই সাহিত্য নিয়ে?
আমি শুধুমাত্র একজন কলম ধারী,
যে লিখে যায় আবেগ দিয়ে
শুধু আবোল তাবোল লিখতে পারি।








প্রিয় শৈশব   
সায়ন প্রামানিক 


অন্ধকারের শিরা কেটে
ছুটছে নিয়ন আলো ,
তোমার প্রেমে অনায়াসে
রঙিন হচ্ছে কালো ।

ব্যস্ততা যত বেড়েছে রোজ
বড়ো হওয়ার মিছিলে হেঁটে--
শান্তির খোঁজে ঘুরেছি তত ,
তোমার হাতে হাত রেখে ।
পেরিয়ে যাচ্ছি আলোকবর্ষ দুজনে --
বোঝাপড়ার সমুদ্দুরে ।

দেখা হয়নি বহুদিন
কেমন আছো প্রিয় ?
আবদার করছি শেষবারের মতো ;
পারলে আরও খানিকক্ষন থেকে যেয়ো ।


   

🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥

#Upokontha_Sahitya_Patrika
#উপকণ্ঠ_সাহিত্য_পত্রিকা









0 comments: