সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-31/08/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/08/2020  Upokontha sahitya patrika 31/08/2020

          "উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
              (ওয়েব ম্যাগাজিন)
            
প্রকাশ কাল:-30/08/2020, রবিবার 
               সময় :- দুপুর 12 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577



🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆

 ধারাবাহিক গল্প
 সিদ্ধিলাভ
          (শেষ পর্ব )

            🖊🖊 শাশ্বতী দাস

        "ওরে, কুমারী মায়ের সন্তানকে যে এই সমাজ মেনে নিত না। তাই বাধ্য হয়েই তোকে অনাথ পরিচয়ে বড়  করেছি। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতেেই বলেন প্রজ্ঞা দেবী।
        মোবাইল রিং হওয়ায় সম্বিত ফেরে দুজনের। হাসপাতাল থেকে অদিতির ফোন। "হ‍্যালো", গম্ভীর কন্ঠে উত্তর দেয় সৃজা। "ম‍্যাডাম, আমি অদিতি বলছি। মিঃ নিলয় সেনের জ্ঞান ফিরেছে, উনি একবার আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।"
         "ওকে, আমি আসছি।" বলে ফোনটা কেটে দেয় সৃজা। "মা, চলো।" প্রজ্ঞা দেবীর হাত ধরে উঠে দাঁড়ায় সৃজা। "কোথায়"?  প্রজ্ঞা দেবী অবাক হন মেয়ের কথায়। "হাসপাতালে। নিলয় সেনের জ্ঞান ফিরেছে, উনি আমার সঙ্গে  দ‍্যাখা করতে চাইছেন। চলো মা। আজ যে সময় হয়েছে নিলয় সেনের মুখোমুখি দাঁড়ানোর, আজ সিদ্ধিলাভ করেছো তুমি। তোমার দয়াতেই, তোমার সন্তানের হাত ধরেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন বিজনেস ম‍্যাগনেট নিলয় সেন। আজ তুমিই জয়ী। নিলয় সেন হেরে গেছেন তোমার কাছে। এই কথা তাঁকে নিজের মুখে জানাবেনা তুমি! আজ যে সময় হয়েছে মা, এসো আমার সঙ্গে।" প্রজ্ঞা দেবীর হাত ধরে গাড়িতে ওঠে সৃজা। "ড্রাইভার, হসপিট‍্যাল চলো।" বলে মায়ের কাঁধে মাথা রাখে সৃজা। মেয়ের মাথায় পরম মমতায় হাত রাখেন প্রজ্ঞা দেবী। সত্যিই আজ পূর্ণ হয়েছে তাঁর সাধিকার জীবন। আজ তিনি সিদ্ধিলাভ করেছেন।

                ( সমাপ্ত )







এক অদ্ভুত পরিচয়
         আব্দুল রাহাজ

অনেকদিন পর শীতের শুরুতে ওরা মামার বাড়ি যাচ্ছে পৌষ সংক্রান্তি মেলা দেখতে গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শুশুক রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে বেশ আরামদায়ক জায়গা পেল মামার বাড়ি যেতে বেশ অনেকক্ষণ লাগবে সৈকত একা পাশে বসে আছে সব বয়স্ক মানুষ সামনে বসে আছে সম বয়সী একজন মেয়ে একবার চোখ পড়লেও সামনের স্টেশনে নেমে যায় সেই মেয়েটি তারপর বেশ অনেক্ষণ বাইরের দিকে ফিরে দেখল মানুষের ব্যস্ততার জীবন পাশে বসে থাকা লোক গুলো সবাই নেমে গেল পাশে এসে বসলো একজন প্রবীণ মানুষ তিনি খুব আলাপ প্রিয় খুব হাসতে থাকে পাশে বসে। বয়স ওই
ষাটের উপরে মনে হয় তারপর ওর সাথে কথা বলতে শুরু করল সৈকত অবাক হয়ে গেল বাড়ি থেকে বলে দিয়েছে অচেনা মানুষের সাথে কথা বলতে বারণ করতে সৈকত একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য সেই প্রবীন মানুষের সাথে কথা বলল সৈকত বলল দাদা আপনার নামটা কি বলল জগমোহন চাটুজ্জে সৈকত বলল আচ্ছা তারপর জগমোহন বাবু সৈকতকে বললো কোথায় যাওয়া হচ্ছে রে সৈকত বলল মামার বাড়ি যাচ্ছি নিশ্চয়ই পৌষ সংক্রান্তিতে জগমোহন বাবু বললো আপনি কি করে জানলেন আরে এতো বয়স হয়েছে জানবো না। বেশ খোলামেলা লোকটি সৈকতের সাথে বেশ মিশে গেল মনে হয় কোনো সমবয়স্ক এরপর জগমোহন বাবু বললেন বাছা তোমার নামটা কি বললেন আমার নাম সৈকত বারুজ্জি ও আচ্ছা পড়াশোনা কোথায় হয় ওই তো আমাদের গ্রামের বাড়িতে টেংরা কাটি হাই স্কুল আচ্ছা। সৈকত বলল দাদু আপনি এরকম অভিনয় এর মতো কথা বলো কেন বাসের যাত্রীরা সবাই ওদের দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিল কেউ কেউ হাসছিল তারপর দাদু বলল আমি টিভিতে একটু অভিনয় করি এই যা সৈকত বলল তাহলে তো আমি আপনি গণ্যমান্য ব্যক্তি তাহলে আমাদের সাথে কেন আরে সৈকত এখান থেকেই তো আমাদের উঠে আসা সেজন্যই যাতায়াত করি এইতো একটু পরেই টালিগঞ্জ নেমে পড়বো দেখবি আমার একটা বইতে অভিনয় চলছে এখন সেটা বার হলে দেখিস কেমন লাগে আমার অভিনয় সৈকত বলল আপনি যে কথা বলছেন তা দেখে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে গেছি সেগুলো আপনার ফোন নাম্বারটা একটু দেবেন ডায়েরিতে নোট বুক করে নিল এরপর সামনে টালিগঞ্জ প্লেস্টেশন আসতেই মোহন বাবু নেমে গেল পাশের লোকেরা বলল তুমি খুব ভাগ্যবান ছেলে এরপর সৈকত ভেসে গেল এক অন্য জগতের অন্য পৃথিবীতে আসছে মামার বাড়ি চলে গেল। বেশ আনন্দে পৌষ সংক্রান্তি মেলা কাটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামে ফেরি ঘাটে এসে মন মাঝি কে বলল যেন আমি না টিভিতে অভিনয় করার একজনের সাথে পরিচয় হয়েছে মনো আছে বলে বাহ বেশ ভালো ভালো এরপর ওরা নিজেদের গ্রামের ফেরি ঘাটে এসে বাড়িতে চলে এলো সৈকত ওই কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল ওর কাছে এরপর থেকে তার কাছে জগমোহন বাবুর পরিচয় হয়ে উঠল এক অদ্ভুত এক অদ্ভুত আজীবন মনে রেখেছিল ওপাড়ার সৈকত ‌।









উপকন্ঠ " মহরম সংখ্যা ২০২০" র অসাধারণ প্রচ্ছদ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এই কবিতায়:

         মুক্তির বার্তা
            সৌম্য ঘোষ


  আকাশ বাতাস জুড়ে এতো শোক
দেখিনি কোনদিন কেউ,
শোনেনি  এমন  মর্মবিদারী কান্না ,
শোনেনি এমন ধ্বনি , "  হায় হাসান! হায় হোসেন!"
যে ধ্বনিতে মিশে যায়
মানবতার ক্রন্দন !
কারবালার প্রান্তর রঞ্জিত হলো
শহীদের রক্তে---
ইমাম হোসেনের পবিত্র দেহ !
লুটিয়ে পড়ল সেদিন ইসলামের
সাম্য ও মৈত্রীর সবুজ ঝান্ডা !
শোক হলো পাথর ,
নিভলো পরমত সহিষ্ণুতার বাণী !

সেই শোক  বুকে নিয়ে যাব --
মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে
জনপদ ছেড়ে দূরে বহুদূরে ।।









কবিতা
    আমার শহর
              মিনতি গোস্বামী

আমার
শহরে রোজ
বাড়ছে সংক্রমণের গ্ৰাফ
সন্ধ‍্যেতে দেখি পৌরসভার চার্ট হিসেব কষতে কষতে দেওয়ালে পিঠ
জানিনা শেষ কবে মৃত্যুর লুকোচুরি খেলা।

দিন গুজরাতে গুজরাতে কেটে যায় বেলা।
কবে খুলবে এই গন্ডীর গিঁট
ধুকপুকুনিতে বন্ধ হবে হার্ট?
লেখা হবেনা এপিটাফ !
মানুষ নিখোঁজ
দেদার।








      সাক্ষী ইতিহাস
                 হামিদুল ইসলাম
                 
 একদিন এসো
কবিতার ছন্দ তুলে রাখি বুকে
তোমার জন‍্যে  ।

তোমাকে ভালোবাসি
তুমি আমার
তোমার সাথে প্রেম, হে প্রেম কন‍্যে  ।

আর কতোদিন অপেক্ষা
মনের গভীরে উদ্বেগ
তোমাকে নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিই ।

ধরে থাকি নৌকোর হাল
চাঁদনি রাতে তুমি আমি দুজনে এক আকাশ
প্রেম দিয়ে তোমাকে সাজাই  ।

তোমার জন‍্যে ভাঙি জলকাদা
পাহাড়ি চাঁদ
তুমি আমার মনে শরতের আকাশ  ।

এখন আকাশে তুমি আর আমি
ভুলে যাই পৃথিবীর রূপ
আমরা দুজন দুজনের জন‍্যে সাক্ষী ইতিহাস ।








কবিতা:
      আমার কবিতার প্রতি
                      বিশ্বজিৎ কর

আমার সকালের বাতাস এনে দাও-
স্বচ্ছ,হিমেল,তোমার গন্ধমাখা!
কতদিন দেখিনি তোমায়,
কত হাসি স্বস্তি দেয়নি,
কত ছোঁয়া ছটফট করছে,
কত দেখা ডুঁকরে কাঁদছে!
কত যত্ন আলোর অপেক্ষায়,
কত কথা সুর-তালহীন,
উঠোনে এসে দাঁড়াও,কবিতা!
আমার বাতাস ছুটছে তোমাতে.....
গায়ে মেখে নিও,আমি আসছি!








 নিঃস্বার্থের অর্থ
       জুয়েল রূহানী

অর্থ-বিত্ত প্রাচুর্যতায়
কি হবে ভাই এই দুনিয়ায়?
কর্মে যদি না হয় ভবে-
এই দুনিয়ার স্রষ্টা সহায়!

কি হবে আর প্রাচুর্যতায়?
জীবন গড় দানশীলতায়,
মুক্তি পাবে পরকালে-
আল্লাহ মহান হবেন সহায়।

সবাই আপন জীবন গড়
স্বার্থ ভূলে এই দুনিয়ায়,
নিঃস্বার্থের অর্থ বুঝে-
নাযাত পাবে প্রভূর দয়ায়।











বিদ্রোহী নজরুল
            বিপ্লব গোস্বামী

বিদ্রোহী নজরুল
সঙ্গীতের বুলবুল
গেয়েছো সাম‍্যের গান‌।
চির নির্ভীক
ন‍্যায় সৈনিক
করেছো সত‍্যের জয়গান।

কবিতা ছড়া
বিদ্রোহে ভরা
বাজিয়েছো বিষের বাঁশি।
পালটাতে ধারা
কেটেছো কারা
মা মানুষেরে ভালোবাসি।

হে নারীবাদী
হে সাম‍্যবাদী
গেয়েছো সম্প্রীতির গান
হে ধুমকেতু
সাম‍্যের হেতু
প্রণম‍্য তোমার অবদান।








শরৎ এলে
     চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

শরৎ এলে দোল খেয়ে যায়
সাদা কাশের বন,
তুলোর মত মেঘ গুলো সব
উদাস করে মন।

শরৎ এলে শিশির ভেজা
ঘাসের ডগাই হাসে,
মাঠে মাঠে পাগলা হাওয়ায়
সবুজ ফসল ভাসে।

শরৎ এলে শাপলা শালুক
নদীর জলে ফোটে,
দুষ্টু ছেলে সাঁতার কেটে
অমনি সেদিক ছোটে।

শরৎ এলে পাখীর গানে
জুড়ায় সবার প্রান,
আকুল করে শিউলী টগর
জুঁই চামেলীর ঘ্রান।

শরৎ এলে জোনাক মেয়ে
ছড়ায় শুধু আলো,
এই শরতে আনন্দ ঢেউ।
তাইতো লাগে ভালো।






To Kite
A poem by S. Sundar Mondal 

Up above the blue sky,
Oh Kite ! Only You can soar high.
None can ever touch You,
As You're big, boundless too.
When You bring a sudden flight,
Everyone becomes fright a slight.
Make everything seen,
Still You stay unseen.
We all preys so feel always suspense
And spend time counting every moment.
Oh,Kite,come with no fright but love bright
In Your nest within our heart-lite.









অনুকবিতা 
            প্রেমহীন শিমূল
                   ডঃ রমলা মুখার্জী

তোর জন্যে গেঁথেছি দেখ, প্রেমের ফুলের মালা-
ভালোবাসায় সাজিয়েছি আমার অর্ঘ্য ডালা।
কেন তুই ফিরিয়ে দিস আমায় বারে বারে,
কালো গাত্রবর্ণে আমার কি দোষ ওরে?

এই দেখ, আমি করেছি ডাক্তারিটা পাশ-
শিমূশ ফুল তুই, এপাশ, ওপাশ, ধপাস।
এবার কেন এসেছিস আমার কাছে তুই?
এই প্রেম তো চাই নি আমি, স্পষ্ট কথা কই।










একটা এমন কিছু
                  শুকদেব পাল

একটা ঝরা পাতা হাজারো অজানা কাহিনীকথা ,
একটা অনুভুতি মৃত্যুর সমান গভীর জখম ,
একটা দুঃখ চিরকালের নিস্তব্ধ নিরবতা ...
একটা শর্ষেরদানা চাষীর অকান্ত পরিশ্রম ।
একটা পৃথিবী একটা মানুষের একগ্রাস খাদ্য পিন্ড ,
অসীম বেদনার পুঞ্জীভূত ক্ষোভেপূর্ন একটা কালো রাত্র ,
একটা ন্যায় বিচার লক্ষ যুবকের মানদন্ড ।
এক কোটি তারা একটুকরো আকাশের ক্ষীণ আলো মাত্র !
একটা তারাখসা অসংখ্য মানুষের জমানো বিশ্বাস ।
একটা ইচ্ছা কোটি কোটি মানুষের আশা - ভরসা - জীবন ।
একটা ভাতের খণ্ড শত পিপড়ের একদিনের উল্লাস।
একটা কবিতা সহস্র ভাবনার মিশ্রণ ...... ।
একটা সুযোগ বানাতে পারে তোমায় মহান ।
ছোটো ছোটো খড় কুট সঞ্চয়ে তৈরি হয় একটা নীড়।
একটা শব্দ হাজারো স্বপের অবসান !
একটা সিদ্ধান্ত ভাঙতে পারে প্রচলিত অভেদ্য প্রাচীর ..
একটা কণা চক্ষুশূল করে তা হোক না ধানের তুষ !
একটা ক্ষমা দুর করে দেয় রাগের পাহাড় ।
একটা অনুপ্রেরণা নির্বোধ কেও করে তোলে মানুষ ।
একটা ছোটো হাসি লুকিয়ে রাখে দারিদ্রতা অনাহার ....









    ফুলদানি
         সত্যেন্দ্রনাথ পাইন


     আমি ফুলদানি।
কেন আজ রিক্ত নিশীথে
কেন শুধু পড়ে অশ্রুজল?

মনে পড়ে,  কত না বিচিত্র  ফুল
একদিন সাজানো হোত
    আমার বুকের মাঝখানে।
ছিল পরিপূর্ণ সে,  রজনী, গোলাপ, জুঁইয়ের
   ভালোবাসায় পরিপাটি আকর্ষণে ছিল মোহিনী রূপা
     ক্ষণিক বিরহে
      ব্যাকুলতায়
ভরে যেত হৃদয়ের কানন।

 হাসি কান্না বেদনায়
   সতত শুনে নিত
মিলনের প্রান্তদেশে নয়নের নেশা
    জীবনের বসন্ত বেলায়।

আজ বুক ফেটে যায়
   চোখে ঝরে অনাবিল অশ্রু
মলিন হয়ে পড়ে আছি-----
কেউ আসেনি ধুলো ঝেড়ে
   দেখাতে নিখিলের  শোভা!

কেউ ভাবেনি আমার ফুল হীন জ্যোতি
        অনন্ত সজ্জায়
    কেন আজ শয্যা হীন

কোথায় আমার দেবতা
   কোথায় পাব তারে?

এ তর্ক নয়, এ হৃদয়ের  ফেটে পড়া
             হাহাকার।
কে বুঝবে এ শুধু চোখের জল নয়
   নয় অনন্ত ভর্ৎসনা!

চাই কিঞ্চিৎ অনুগ্রহ।
 অপবিত্র আমি  নই
আমার  চাহিদা তোমাদের
  বসন্ত সমীরণশুধু
আর কুসুমের প্রবাহে
 সৌরভের শুভ্রতনু।










রাজপথ 
------- শক্তিপ্রসাদ ঘোষ

অন্ধকার থেকে কিছুটা দূরে দাড়িয়ে
রুগ্ন আলোর দিকে চেয়েছিলাম
দূরের কোন হলুদ চিঠির অপেক্ষায়
বৃষ্টির জলে ধোয়া ঘুমন্ত রাজপথ
তোর্ষার জলে স্নান সেরে নেয়
রাজপথ লাল সুরকি মেখে ইতিহাস
জীবনের সুগন্ধ মাখে চিতার আগুনে
স্মৃতি ঘরে জমে থাকা চাবিকাঠি
ঋতুবদলের দিনে অঝোরে বৃষ্টি নামে।



0 comments: