"উপকণ্ঠ 20 আগষ্ট সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-20/08/2020,বৃহস্পতিবার
সময় :- বিকাল 4 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
ছোটোগল্প
আমার স্বপ্ন
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট্ট গ্রাম নাম তার বনপুর প্রকৃতির মায়া মায়া করেছিল এক চির সুন্দর উজ্জল রূপলাবণ্যে ছিল এক অনন্য প্রতীক। গ্রামটিতে বসবাস করত প্রান্তিক মানুষেরা গ্রামের চারিদিকে ছিল প্রকৃতির দান বন নদী দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ সবারই প্রায় এখান থেকেই জীবিকার উৎস। মেলবন্ধন পারস্পরিকতা ছিল দেখার মতো এসবের মধ্য দিয়ে গ্রামটি রয়েছে বিশ্ব মায়ের কোলে দেখলে মনে হয় রূপকথার দেশ। গ্রামটিতে বাড়িগুলো ছিল ঘরের চাল আর মাটির দেওয়াল গুটিকয়েক লোকের বসবাস হিন্দু মুসলিম ধর্মের মানুষেরা এখানে বসবাস করতো। ও পাড়ার নরেন কাকু থেকে রহিম চাচা সবাই মিলে মিশে থাকতো। গ্রামটির ছেলেমেয়েরা খুব ভালো কিন্তু অভাবের তাড়নায় তাদের যে স্বপ্ন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। হরি দাদার ছেলে চঞ্চল রহমান চাচার ছেলে আলী দুজনেই খুব ভালো বন্ধু ভালো পড়াশোনা করে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ায় গ্রামের মানুষের ওরা এখন গ্রামের পাঠশালায় পড়ে প্রায় শেষের পথে গ্রামের পাঠশালায় পড়া কিন্তু তাদের ভাবনাচিন্তা অন্য সকলের থেকে আলাদা তারা ভাবে তাদের কিছু করতে হবে দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগাড় করে নিজেদের ও গ্রামের মানুষের অভাবতাকে বাঁচাতে হবে এইসব ভেবে তারা এগিয়ে চলতে দিনের পর দিন।কিন্তু দারিদ্রতা তাদের বাধা দেয় প্রতি বারে বারে গ্রামের পাঠশালায় শেষ হওয়ার পর বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয় এই একটা সুযোগ চঞ্চল আলীর কাছে পাস করতে পারলেই শহরে পড়ার সুযোগ হবে হলে তাদের যে স্বপ্ন তারা সেটা পূরণ করতে পারবে দুজনেই জোরকদমে পড়াশোনা করেন পাশে ছিলেন গ্রামের প্রবীণ পন্ডিত অজয় বাবু সব সময় পাশে থাকতেন সাহস দিতেন। দেখতে দেখতে বৃত্তি পরীক্ষা চলে এলো গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঠিক হলো কানু মাঝির নৌকা চলে প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে পরীক্ষা দিতে যাবে কিন্তু পোশাক পাবে কোথায় ওরা পণ্ডিত অজয় বাবু তার ছেলেদের ছেলেবেলার পোশাক দিলেন তাই দিয়ে পরীক্ষা দিলো ওরা পরীক্ষা শেষের দিন কানু মাঝি সেই গান আমরা আসবো আমরা আসবো আবারো সেই দেশে তোমার এই মায়ের কোলে এই গানটা খুব ভালো লাগলো ওদের স্বপ্নের সাথে কোথাও যেন এই গান জড়িয়ে আছে সেদিন ওরা কানু মাঝি কে দশ টাকা বকশিশ দিয়েছিল বেশ কয়েকদিন পর রেজাল্ট বেরোলো প্রভুর ইচ্ছায় নিজেদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের বিনিময়ে তারা পাশ করল পণ্ডিত অজয় বাবু সেদিন খুব খুশি গ্রামের চারিদিকে খুশির হিমেল বাতাস বয়ে চলেছে উৎসব উৎসব আমেজ চারিদিকে তারপর স্কুল থেকে পেল বৃত্তি পরীক্ষার পাস করার দরুন কিছু অর্থ পেল সুযোগ হয়ে গেল শহরে পড়ার খুবই খুশি হলো কানু মাঝি ওদের এই সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হয়েছিল। এরপর আলি আর চঞ্চল তাদের স্বপ্নের পিছনে পড়ে রইল এবং তা পূরণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে লাগল তাদের মন বলছিল পূরণ হবেই একদিন না একদিন ওদের স্বপ্ন।
প্রবন্ধ
' অতিমারী ও সাহিত্যের উপর প্রভাব'
- অগ্নিমিত্র
এই প্রসঙ্গটি খুব ভালো ও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ । প্রত্যেক একশো বছরেই বিশ্বে একটি মহামারী বা অতিমারী আসে। এর ফলে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক, আশঙ্কা, কর্মহীনতা, খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ । এর সরাসরি ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে জনমানসে, জীবনযাপনে ও অবশ্যই সাহিত্যে । একশো বছর আগের বাংলা সাহিত্যেও এমন দেখা গিয়েছিল । সেই সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনও চলছিল। অনেক বড় বড় ঘটনা উপর্যুপরি ঘটার ফলে বাংলা সাহিত্যে তখন এক গভীর ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল ।
এখন এই সাম্প্রতিক কোভিড ১৯ নামক অতিমারীর জন্যও একই অবস্থা হবে ও হচ্ছেও । মানুষ বিচলিত, তার মন বিক্ষিপ্ত! সাহিত্যে লকডাউন, কোয়ারান্টাইন ইত্যাদির প্রভাব পড়ছে ও ভবিষ্যতে আরো পড়বে । এটি বলা যেতে পারে এক রকম অবশ্যম্ভাবী । তবে আশাকরি নান্দনিক রূপেই এর প্রভাব পড়বে । .. সাহিত্যে সব সময়েই জীবনযাত্রার প্রতিফলন ঘটেছে ও ঘটতেই থাকবে । দেখা যাক কী হয় ।।
ক্ষুধাতুর বার্তা
বিমান প্রামানিক
পথের ধারে কারা যেন চিৎকার করছে
কান খাড়া করে বুঝলাম এরা কারা?
পথে পথে কেন তারা ঘুরছে
আজ তারা যেন আপন হারা।
আমি দুই পা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম
আমার খুব পরিচিত চেনা সেই মুখগুলো
ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার তাদের বুঝলাম
স্বজনহারা সন্তানদের এই সমাজ কি দিল?
আপন বলতে তাদের পাশে কোথায় স্বজন?
পিতৃকুল হতে বঞ্চিত ক্ষুধাতুর শিশু
জীবন যন্ত্রণার যুদ্ধে জয়ী হবে তারা কখন?
একদিন তারাই সেজে উঠবে সমাজের যীশু।
মানহারা সেই ছোট্ট শিশু,তার মনেও সাধ
গ্রামের ইতিহাস বদলে দেবে তারা
যদি পায় বাঁচার জন্য সকলের সাথ।
অভাব, ক্ষুধা তুচ্ছ সেদিন সবারকে ছাড়া।
তাদের কান্না মোটেই কান্না নয়,চিৎকারও নয়
এ যেন এক পরিবর্তনের ভয়ানক বার্তা
তাদের ক্ষুধা মোটেই অন্নের অভাব নয়
তাদের জোটবদ্ধতায় হার মানবে একদিন বিধাতা।
যত অভাবের ভাব সৃষ্টি করেছে যুগের ইতিহাস
শান্তির জীবন একদল মানুষের রকমারী আয়োজনে
অন্যদিকে ক্ষুধাতুর মুখে অন্নের অভাব বারোমাস
এই শিশু-সন্তানদের ডাকে তারা নিজের প্রয়োজনে।
ইতিহাস
হামিদুল ইসলাম
জীবন বন্ধুর পথ
ইতিহাস মানে এ সত্য কথা
মেহেরগড় সভ্যতা কিংবা হরপ্পা সভ্যতা
জানান দিয়েছিলো একদিন
ঐতিহাসিকতা ।
ইতিহাসও বন্ধুর পথ
এই বন্ধুর পথে কাজ করেন যারা
তাঁরা ইতিহাসবিদ
চির শ্রদ্ধায় আমরা স্মরণ করি তাদের
তারা দেন কালের স্মরণীয় বার্তা ।
কথায় ও কাজে মিল খোঁজেন যাঁরা
তাঁরা অনুঘটক
শশাঙ্কের বঙ্গ বিজয় সর্বদাই কঠিন রুঢ় কাজ
তবু তিনি শত্রুর কাছে নিধন হন
অসংখ্যবার ।
ইতিহাস কারুকে ক্ষমা করে না
হিটলারেরও হয় নি ক্ষমা
ইতিহাস কঠিন বিষয়
যুদ্ধ আর ধ্বংস যার লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য
সে-ই মূর্খ বরাবর ।
কবিতা :
অভিযান!
বিশ্বজিৎ কর
একদিন চলে যাব বন্ধন ছিন্ন করে,পরপারের ঠিকানায়-
মনুষ্যত্বের সন্ধানে!
আশা-নিরাশার দোলায়,
তুমি চৌকাঠে প্রদীপ হাতে প্রতীক্ষায়!
চাঁদের আলোয়,হাসনুহানার গন্ধে যদি মনে পড়ে আমাকে,
চৌকাঠে শেষ পায়ের চিহ্ন খুঁজে প্রদীপ নিভিয়ে দিও,
হয়তো আসব না ফিরে!
ঢোল গোবিন্দ
মম
ঢোল গোবিন্দ নাম তার।
কপালে তিলক আঁকা।
বাড়ি দামোদর পাড়।
বেচে সে শাঁখা।
আবার বাজিয়ে ঢোল
শ্রী রাধাগোবিন্দের নাম গানও গায়।
বড় মধুর তার
ঢোলের বোল।
নামাবলি জড়ানো তার গায়।
সারাটা দিন
সারাটা সন্ধ্যা ধরে
গাঁয়ের পথে পথে পথে ও ঘোরে।
এসব করে
রাতে সে ফেরে তার
মাটির ছোট্ট ঘরে।
ও চির অকৃতদার।
ও বড় দরিদ্র - দীন।
তবে শ্রী রাধাগোবিন্দের বরে
ওর খাবার অভাব নাই।
ওর খড়ের চালের ঘরে আছে বেশ সুখ!
ওর যে সুখী, তা ওকে দেখলেই বোঝা যায়।
ও সুখী, কারণ, তৃপ্ত ও অল্পেতে তো, তাই।
ও সদাই মিষ্ট, হাস্যমুখ।
খুব আনন্দেই ওর প্রতিটি দিন কেটে যায়।
অনুগল্প
মিনতি গোস্বামী
ভালো আছি
'কেমন আছো? অনেকদিন পর ম্যাসেঞ্জারে দেখলাম।'
"আছি।"
"একি জয়িতা, এমন করে বলছো কেন?
আছি মানে! তোমাকে তো থাকতেই হবে।
থাকবে শুধু আমার জন্য।
দাঁড়াও কল করি।কি হল?রিং বেজে গেল, ফোনটা ধরলেনা?"
" আজ সারাদিন বৃষ্টি পড়ছে, ফোনে চার্জ ছিলনা।
এইমাত্র কারেন্ট এলো।ফোনটা চার্জে বসিয়েছি,
তাই ধরলাম না।"
"জয়িতা তোমাকে পাঁচমাস দেখিনি।আমার পাগল পাগল লাগছে।তুমি কেন ফোন ধরোনা ?
দেখেছো, কতগুলো মিসডকল?
তোমার শরীর ভালো আছে তো?"
"ভালো আছে।"
"তুমি এত নিরুত্তাপ কেন?
সত্যি করে বলো, শরীর ভালো তো?"
"ভালো আছি।"
"এককথা বারবার বলছো কেন!আর কোন কথা নেই? আমাদের নিজেদের একটা ছোট্ট জগত ছিল, তোমার মনে পড়েনা?"
"মনে পড়ে।একটা ব ইভর্তি ছোট্ট ঘর।
টেবিলে চা রেখে, দুজনে দুটো চেয়ারে
বসে আছি মুখোমুখি।তুমি নীল সমুদ্রে ডুবে মণিমুক্তা খুঁজছো, আমি খুঁজছি শিকড়।"
" শুধু এইটুকু?"
"না, একটার পর একটা কবিতা শোনাচ্ছো।
নিজেকে দেখছি নতুন রূপে।"
"তোমার কষ্ট হয়না?"
"রূপ,কষ্ট হতে নেই।মেনে নিতে হয়।
পৃথিবীজুড়ে মানিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ।
তোমার ছোট্টঘরের ফ্রেমে উষ্ণ মূহুর্তগুলোতে
ডুব দিয়ে ভালো থেকো।
স্মৃতির চাদর গায়ে জড়িয়ে ভালো আছি।"
বর্ষারাণী
বদরুদ্দোজা শেখু
বর্ষা আসে প্রকৃতি হাসে, হাসে অরণ্য ডাঙাডহর
ভাসে পুকুর খানাখন্দ কাঁদর নদী বস্তি শহর,
কখনো হাসে কখনো কাঁদে বসুন্ধরার জনজীবন
ভুবনজোড়া একই মহড়া ভাঙাগড়ার কাজকীর্তন,
মনের মহল উথলে উঠে কৃষিজীবি শষ্যচাষীর--
তখন তাদের কাজ অফুরান , নাই ফুরসৎ মেয়ে- বৌ-ঝির,
ঝির ঝির কি মুষলধারা-- যা হোক তাকে নামতে হবে
কাদামাটির জমিন চাষে, অঘ্রাণ মাসে ভরবে তবে
বাড়ির উঠান, ধান শুধু ধান আজন্মকাল স্বপ্নফসল
জোতজমিতে ফললে তবেই গেরস্থ ঘর সুখের মহল।
লাঙল বলদ বদলে' যাচ্ছে এখন কলের লাঙল এসে--
তবুও চাষীর কমেনি খাটনি ঝড়বাদলের শ্যামল দেশে ।
বর্ষা আসে, ধরিত্রী হাসে ,হাসে জীবন জন্মান্তর
বর্ষারাণীই বাঁচিয়ে রাখে সভ্যতাকে নিরন্তর।।
একতরফা প্রেম ২
আব্দুল রহিম
আজ খুব কষ্ট হয় তোমার কথা ভাবলে,এ ভাগ্যকে জানাই বারবার ধিক্কার,আর শুধু মনে হয়
কেন হতে পারিনি তোমার প্রেমী,
কেন হতে পারিনি তোমার নিষ্পাপ চোখের কাজল
কেন হতে পারিনি তোমার গল্পের একটা অবুঝ পৃষ্ঠা
আজ নিজের ভুলগুলি নিজেকে কুঁড়ে কুঁড়ে মারে
আর নিজেই নিজের প্রতি ঘৃণা ধরে,আর মনে হয়
কেন বলতে পারেনি একবার তোমাকে ভালোবাসি
কেন হতে পারিনি পাঁচ জনের মতো মিথ্যাবাদি
কেন লিখতে পারিনি তোমার নামে রক্তরাঙা চিঠি।।
এভাবেই দেখতে দেখতে বিশটা বছর কেটে গেল
কিন্তু বলতে পারেনি আজও ,আমি তোমায় ভালোবাসি, আজ কবিতার খাতায় হিজিবিজি কাটতে কাটতে আবার মনে পড়ে গেল তোমাকে,তাই আজ লিখলাম মনের কথা ছন্দ আকারে।।
আজ হয়তো অবুঝ তুমিটা বদলে গিয়ে হয়েছে দায়িত্ববান, বেঁধেছো বিরাট নিজ ঘর সংসার
হয়তো ফুটফুটে হয়ছে খোকা খুকি,
পেয়েছো কোন চাকরিজীবি স্বামী,
হয়তো ভুলে গেছে চিকন করে তোমার পিছু নেওয়া
উন্মাদ ছেলেটির কথা,কিন্তু সে আজও তোমার অপেক্ষায় ।।
আসলে কি জানা"তো সে লাজুক ছেলেটি ভালোবাসা কি সেটা হয়তো আজও জানে না
তাই তার কাছে কাউকে গোলাপ ফুল দিয়ে হাজার মিথ্যে বলে ভালোবাসি কথাটা মানে পাগলামি, সে আজও যাচ্ছে দূর থেকে একতরফা ভালোবেসে
আর প্রতিদিন ভালোবাসাকে নিত্য নতুন প্রাণ দিচ্ছে কবিতা আকারে,তুমি আজীবন বেঁচে থাকবে ব্যর্থ প্রেমির কবিতা জুড়ে।।
প্রশ্ন
বিপ্লব গোস্বামী
যুগ এখন আধুনিক
শতক একবিংশ।
সভ্য যুগের ভদ্র মানুষ
কারা তবে হিংস্র ?
বরবরতার আদি যুগ
কবে গেছে অস্ত।
আধুনিক যুগের আগুয়ান মানুষ
সবাই স্ব স্ব ব্যস্ত।
অরাজকতার রাজ্য নয়
স্বাধীন দেশ সত্য।
কম্পিউটারের জিজিটাল যুগে
ঠিকঠাক সব তথ্য।
তবে কারা করে জাতি হিংসা
কোন মহা রোগে ?
বিবস্ত্র লক্ষ্মী কেন সভ্যতার যুগে ?
কবিতা :
শেষ চিঠি
সায়ন প্রামানিক
যদি আমি যাই চলে
ভেবনা গেছি ছেড়ে
মিশে গেছি ভুবনে
শান্তি জমানোর টানে।
আসিব আবার ফিরে
এই অপরূপ প্রকৃতির বুকে
নতুন নামের খোঁজ করিয়া
নতুন মায়ের কোলে ।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥😁😁🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥😁😁😁😁😁😁😁😁😁🔥🔥🔥
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-20/08/2020,বৃহস্পতিবার
সময় :- বিকাল 4 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
ছোটোগল্প
আমার স্বপ্ন
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট্ট গ্রাম নাম তার বনপুর প্রকৃতির মায়া মায়া করেছিল এক চির সুন্দর উজ্জল রূপলাবণ্যে ছিল এক অনন্য প্রতীক। গ্রামটিতে বসবাস করত প্রান্তিক মানুষেরা গ্রামের চারিদিকে ছিল প্রকৃতির দান বন নদী দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ সবারই প্রায় এখান থেকেই জীবিকার উৎস। মেলবন্ধন পারস্পরিকতা ছিল দেখার মতো এসবের মধ্য দিয়ে গ্রামটি রয়েছে বিশ্ব মায়ের কোলে দেখলে মনে হয় রূপকথার দেশ। গ্রামটিতে বাড়িগুলো ছিল ঘরের চাল আর মাটির দেওয়াল গুটিকয়েক লোকের বসবাস হিন্দু মুসলিম ধর্মের মানুষেরা এখানে বসবাস করতো। ও পাড়ার নরেন কাকু থেকে রহিম চাচা সবাই মিলে মিশে থাকতো। গ্রামটির ছেলেমেয়েরা খুব ভালো কিন্তু অভাবের তাড়নায় তাদের যে স্বপ্ন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। হরি দাদার ছেলে চঞ্চল রহমান চাচার ছেলে আলী দুজনেই খুব ভালো বন্ধু ভালো পড়াশোনা করে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ায় গ্রামের মানুষের ওরা এখন গ্রামের পাঠশালায় পড়ে প্রায় শেষের পথে গ্রামের পাঠশালায় পড়া কিন্তু তাদের ভাবনাচিন্তা অন্য সকলের থেকে আলাদা তারা ভাবে তাদের কিছু করতে হবে দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগাড় করে নিজেদের ও গ্রামের মানুষের অভাবতাকে বাঁচাতে হবে এইসব ভেবে তারা এগিয়ে চলতে দিনের পর দিন।কিন্তু দারিদ্রতা তাদের বাধা দেয় প্রতি বারে বারে গ্রামের পাঠশালায় শেষ হওয়ার পর বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয় এই একটা সুযোগ চঞ্চল আলীর কাছে পাস করতে পারলেই শহরে পড়ার সুযোগ হবে হলে তাদের যে স্বপ্ন তারা সেটা পূরণ করতে পারবে দুজনেই জোরকদমে পড়াশোনা করেন পাশে ছিলেন গ্রামের প্রবীণ পন্ডিত অজয় বাবু সব সময় পাশে থাকতেন সাহস দিতেন। দেখতে দেখতে বৃত্তি পরীক্ষা চলে এলো গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঠিক হলো কানু মাঝির নৌকা চলে প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে পরীক্ষা দিতে যাবে কিন্তু পোশাক পাবে কোথায় ওরা পণ্ডিত অজয় বাবু তার ছেলেদের ছেলেবেলার পোশাক দিলেন তাই দিয়ে পরীক্ষা দিলো ওরা পরীক্ষা শেষের দিন কানু মাঝি সেই গান আমরা আসবো আমরা আসবো আবারো সেই দেশে তোমার এই মায়ের কোলে এই গানটা খুব ভালো লাগলো ওদের স্বপ্নের সাথে কোথাও যেন এই গান জড়িয়ে আছে সেদিন ওরা কানু মাঝি কে দশ টাকা বকশিশ দিয়েছিল বেশ কয়েকদিন পর রেজাল্ট বেরোলো প্রভুর ইচ্ছায় নিজেদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের বিনিময়ে তারা পাশ করল পণ্ডিত অজয় বাবু সেদিন খুব খুশি গ্রামের চারিদিকে খুশির হিমেল বাতাস বয়ে চলেছে উৎসব উৎসব আমেজ চারিদিকে তারপর স্কুল থেকে পেল বৃত্তি পরীক্ষার পাস করার দরুন কিছু অর্থ পেল সুযোগ হয়ে গেল শহরে পড়ার খুবই খুশি হলো কানু মাঝি ওদের এই সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হয়েছিল। এরপর আলি আর চঞ্চল তাদের স্বপ্নের পিছনে পড়ে রইল এবং তা পূরণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে লাগল তাদের মন বলছিল পূরণ হবেই একদিন না একদিন ওদের স্বপ্ন।
প্রবন্ধ
' অতিমারী ও সাহিত্যের উপর প্রভাব'
- অগ্নিমিত্র
এই প্রসঙ্গটি খুব ভালো ও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব গুরুত্বপূর্ণ । প্রত্যেক একশো বছরেই বিশ্বে একটি মহামারী বা অতিমারী আসে। এর ফলে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক, আশঙ্কা, কর্মহীনতা, খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ । এর সরাসরি ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে জনমানসে, জীবনযাপনে ও অবশ্যই সাহিত্যে । একশো বছর আগের বাংলা সাহিত্যেও এমন দেখা গিয়েছিল । সেই সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনও চলছিল। অনেক বড় বড় ঘটনা উপর্যুপরি ঘটার ফলে বাংলা সাহিত্যে তখন এক গভীর ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল ।
এখন এই সাম্প্রতিক কোভিড ১৯ নামক অতিমারীর জন্যও একই অবস্থা হবে ও হচ্ছেও । মানুষ বিচলিত, তার মন বিক্ষিপ্ত! সাহিত্যে লকডাউন, কোয়ারান্টাইন ইত্যাদির প্রভাব পড়ছে ও ভবিষ্যতে আরো পড়বে । এটি বলা যেতে পারে এক রকম অবশ্যম্ভাবী । তবে আশাকরি নান্দনিক রূপেই এর প্রভাব পড়বে । .. সাহিত্যে সব সময়েই জীবনযাত্রার প্রতিফলন ঘটেছে ও ঘটতেই থাকবে । দেখা যাক কী হয় ।।
ক্ষুধাতুর বার্তা
বিমান প্রামানিক
পথের ধারে কারা যেন চিৎকার করছে
কান খাড়া করে বুঝলাম এরা কারা?
পথে পথে কেন তারা ঘুরছে
আজ তারা যেন আপন হারা।
আমি দুই পা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম
আমার খুব পরিচিত চেনা সেই মুখগুলো
ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার তাদের বুঝলাম
স্বজনহারা সন্তানদের এই সমাজ কি দিল?
আপন বলতে তাদের পাশে কোথায় স্বজন?
পিতৃকুল হতে বঞ্চিত ক্ষুধাতুর শিশু
জীবন যন্ত্রণার যুদ্ধে জয়ী হবে তারা কখন?
একদিন তারাই সেজে উঠবে সমাজের যীশু।
মানহারা সেই ছোট্ট শিশু,তার মনেও সাধ
গ্রামের ইতিহাস বদলে দেবে তারা
যদি পায় বাঁচার জন্য সকলের সাথ।
অভাব, ক্ষুধা তুচ্ছ সেদিন সবারকে ছাড়া।
তাদের কান্না মোটেই কান্না নয়,চিৎকারও নয়
এ যেন এক পরিবর্তনের ভয়ানক বার্তা
তাদের ক্ষুধা মোটেই অন্নের অভাব নয়
তাদের জোটবদ্ধতায় হার মানবে একদিন বিধাতা।
যত অভাবের ভাব সৃষ্টি করেছে যুগের ইতিহাস
শান্তির জীবন একদল মানুষের রকমারী আয়োজনে
অন্যদিকে ক্ষুধাতুর মুখে অন্নের অভাব বারোমাস
এই শিশু-সন্তানদের ডাকে তারা নিজের প্রয়োজনে।
ইতিহাস
হামিদুল ইসলাম
জীবন বন্ধুর পথ
ইতিহাস মানে এ সত্য কথা
মেহেরগড় সভ্যতা কিংবা হরপ্পা সভ্যতা
জানান দিয়েছিলো একদিন
ঐতিহাসিকতা ।
ইতিহাসও বন্ধুর পথ
এই বন্ধুর পথে কাজ করেন যারা
তাঁরা ইতিহাসবিদ
চির শ্রদ্ধায় আমরা স্মরণ করি তাদের
তারা দেন কালের স্মরণীয় বার্তা ।
কথায় ও কাজে মিল খোঁজেন যাঁরা
তাঁরা অনুঘটক
শশাঙ্কের বঙ্গ বিজয় সর্বদাই কঠিন রুঢ় কাজ
তবু তিনি শত্রুর কাছে নিধন হন
অসংখ্যবার ।
ইতিহাস কারুকে ক্ষমা করে না
হিটলারেরও হয় নি ক্ষমা
ইতিহাস কঠিন বিষয়
যুদ্ধ আর ধ্বংস যার লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য
সে-ই মূর্খ বরাবর ।
কবিতা :
অভিযান!
বিশ্বজিৎ কর
একদিন চলে যাব বন্ধন ছিন্ন করে,পরপারের ঠিকানায়-
মনুষ্যত্বের সন্ধানে!
আশা-নিরাশার দোলায়,
তুমি চৌকাঠে প্রদীপ হাতে প্রতীক্ষায়!
চাঁদের আলোয়,হাসনুহানার গন্ধে যদি মনে পড়ে আমাকে,
চৌকাঠে শেষ পায়ের চিহ্ন খুঁজে প্রদীপ নিভিয়ে দিও,
হয়তো আসব না ফিরে!
ঢোল গোবিন্দ
মম
ঢোল গোবিন্দ নাম তার।
কপালে তিলক আঁকা।
বাড়ি দামোদর পাড়।
বেচে সে শাঁখা।
আবার বাজিয়ে ঢোল
শ্রী রাধাগোবিন্দের নাম গানও গায়।
বড় মধুর তার
ঢোলের বোল।
নামাবলি জড়ানো তার গায়।
সারাটা দিন
সারাটা সন্ধ্যা ধরে
গাঁয়ের পথে পথে পথে ও ঘোরে।
এসব করে
রাতে সে ফেরে তার
মাটির ছোট্ট ঘরে।
ও চির অকৃতদার।
ও বড় দরিদ্র - দীন।
তবে শ্রী রাধাগোবিন্দের বরে
ওর খাবার অভাব নাই।
ওর খড়ের চালের ঘরে আছে বেশ সুখ!
ওর যে সুখী, তা ওকে দেখলেই বোঝা যায়।
ও সুখী, কারণ, তৃপ্ত ও অল্পেতে তো, তাই।
ও সদাই মিষ্ট, হাস্যমুখ।
খুব আনন্দেই ওর প্রতিটি দিন কেটে যায়।
অনুগল্প
মিনতি গোস্বামী
ভালো আছি
'কেমন আছো? অনেকদিন পর ম্যাসেঞ্জারে দেখলাম।'
"আছি।"
"একি জয়িতা, এমন করে বলছো কেন?
আছি মানে! তোমাকে তো থাকতেই হবে।
থাকবে শুধু আমার জন্য।
দাঁড়াও কল করি।কি হল?রিং বেজে গেল, ফোনটা ধরলেনা?"
" আজ সারাদিন বৃষ্টি পড়ছে, ফোনে চার্জ ছিলনা।
এইমাত্র কারেন্ট এলো।ফোনটা চার্জে বসিয়েছি,
তাই ধরলাম না।"
"জয়িতা তোমাকে পাঁচমাস দেখিনি।আমার পাগল পাগল লাগছে।তুমি কেন ফোন ধরোনা ?
দেখেছো, কতগুলো মিসডকল?
তোমার শরীর ভালো আছে তো?"
"ভালো আছে।"
"তুমি এত নিরুত্তাপ কেন?
সত্যি করে বলো, শরীর ভালো তো?"
"ভালো আছি।"
"এককথা বারবার বলছো কেন!আর কোন কথা নেই? আমাদের নিজেদের একটা ছোট্ট জগত ছিল, তোমার মনে পড়েনা?"
"মনে পড়ে।একটা ব ইভর্তি ছোট্ট ঘর।
টেবিলে চা রেখে, দুজনে দুটো চেয়ারে
বসে আছি মুখোমুখি।তুমি নীল সমুদ্রে ডুবে মণিমুক্তা খুঁজছো, আমি খুঁজছি শিকড়।"
" শুধু এইটুকু?"
"না, একটার পর একটা কবিতা শোনাচ্ছো।
নিজেকে দেখছি নতুন রূপে।"
"তোমার কষ্ট হয়না?"
"রূপ,কষ্ট হতে নেই।মেনে নিতে হয়।
পৃথিবীজুড়ে মানিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ।
তোমার ছোট্টঘরের ফ্রেমে উষ্ণ মূহুর্তগুলোতে
ডুব দিয়ে ভালো থেকো।
স্মৃতির চাদর গায়ে জড়িয়ে ভালো আছি।"
বর্ষারাণী
বদরুদ্দোজা শেখু
বর্ষা আসে প্রকৃতি হাসে, হাসে অরণ্য ডাঙাডহর
ভাসে পুকুর খানাখন্দ কাঁদর নদী বস্তি শহর,
কখনো হাসে কখনো কাঁদে বসুন্ধরার জনজীবন
ভুবনজোড়া একই মহড়া ভাঙাগড়ার কাজকীর্তন,
মনের মহল উথলে উঠে কৃষিজীবি শষ্যচাষীর--
তখন তাদের কাজ অফুরান , নাই ফুরসৎ মেয়ে- বৌ-ঝির,
ঝির ঝির কি মুষলধারা-- যা হোক তাকে নামতে হবে
কাদামাটির জমিন চাষে, অঘ্রাণ মাসে ভরবে তবে
বাড়ির উঠান, ধান শুধু ধান আজন্মকাল স্বপ্নফসল
জোতজমিতে ফললে তবেই গেরস্থ ঘর সুখের মহল।
লাঙল বলদ বদলে' যাচ্ছে এখন কলের লাঙল এসে--
তবুও চাষীর কমেনি খাটনি ঝড়বাদলের শ্যামল দেশে ।
বর্ষা আসে, ধরিত্রী হাসে ,হাসে জীবন জন্মান্তর
বর্ষারাণীই বাঁচিয়ে রাখে সভ্যতাকে নিরন্তর।।
একতরফা প্রেম ২
আব্দুল রহিম
আজ খুব কষ্ট হয় তোমার কথা ভাবলে,এ ভাগ্যকে জানাই বারবার ধিক্কার,আর শুধু মনে হয়
কেন হতে পারিনি তোমার প্রেমী,
কেন হতে পারিনি তোমার নিষ্পাপ চোখের কাজল
কেন হতে পারিনি তোমার গল্পের একটা অবুঝ পৃষ্ঠা
আজ নিজের ভুলগুলি নিজেকে কুঁড়ে কুঁড়ে মারে
আর নিজেই নিজের প্রতি ঘৃণা ধরে,আর মনে হয়
কেন বলতে পারেনি একবার তোমাকে ভালোবাসি
কেন হতে পারিনি পাঁচ জনের মতো মিথ্যাবাদি
কেন লিখতে পারিনি তোমার নামে রক্তরাঙা চিঠি।।
এভাবেই দেখতে দেখতে বিশটা বছর কেটে গেল
কিন্তু বলতে পারেনি আজও ,আমি তোমায় ভালোবাসি, আজ কবিতার খাতায় হিজিবিজি কাটতে কাটতে আবার মনে পড়ে গেল তোমাকে,তাই আজ লিখলাম মনের কথা ছন্দ আকারে।।
আজ হয়তো অবুঝ তুমিটা বদলে গিয়ে হয়েছে দায়িত্ববান, বেঁধেছো বিরাট নিজ ঘর সংসার
হয়তো ফুটফুটে হয়ছে খোকা খুকি,
পেয়েছো কোন চাকরিজীবি স্বামী,
হয়তো ভুলে গেছে চিকন করে তোমার পিছু নেওয়া
উন্মাদ ছেলেটির কথা,কিন্তু সে আজও তোমার অপেক্ষায় ।।
আসলে কি জানা"তো সে লাজুক ছেলেটি ভালোবাসা কি সেটা হয়তো আজও জানে না
তাই তার কাছে কাউকে গোলাপ ফুল দিয়ে হাজার মিথ্যে বলে ভালোবাসি কথাটা মানে পাগলামি, সে আজও যাচ্ছে দূর থেকে একতরফা ভালোবেসে
আর প্রতিদিন ভালোবাসাকে নিত্য নতুন প্রাণ দিচ্ছে কবিতা আকারে,তুমি আজীবন বেঁচে থাকবে ব্যর্থ প্রেমির কবিতা জুড়ে।।
প্রশ্ন
বিপ্লব গোস্বামী
যুগ এখন আধুনিক
শতক একবিংশ।
সভ্য যুগের ভদ্র মানুষ
কারা তবে হিংস্র ?
বরবরতার আদি যুগ
কবে গেছে অস্ত।
আধুনিক যুগের আগুয়ান মানুষ
সবাই স্ব স্ব ব্যস্ত।
অরাজকতার রাজ্য নয়
স্বাধীন দেশ সত্য।
কম্পিউটারের জিজিটাল যুগে
ঠিকঠাক সব তথ্য।
তবে কারা করে জাতি হিংসা
কোন মহা রোগে ?
বিবস্ত্র লক্ষ্মী কেন সভ্যতার যুগে ?
কবিতা :
শেষ চিঠি
সায়ন প্রামানিক
যদি আমি যাই চলে
ভেবনা গেছি ছেড়ে
মিশে গেছি ভুবনে
শান্তি জমানোর টানে।
আসিব আবার ফিরে
এই অপরূপ প্রকৃতির বুকে
নতুন নামের খোঁজ করিয়া
নতুন মায়ের কোলে ।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥😁😁🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥😁😁😁😁😁😁😁😁😁🔥🔥🔥
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
0 comments: