"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-24/08/2020,সোমবার
সময় :- সকাল 8 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
বড্ড ভালো
মৌসুমী মৌ
জানি তুমি এক
— ছন্নছাড়া খুব উদাসীন! টুপ করে ঝরা চাঁপার সুবাস, হয়তো গরম ভাতের গন্ধে মিঠে আশ্বাস| শব্দে আখরে মিশে যাওয়া কোনো স্বপ্নের ট্রেন-- প্ল্যাটফর্মগুলো নীরব ঠিকানা! সুখ খুঁজে ফেরা| হয়তো কখনো খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হওয়া| তবুও তোমায় ছুঁয়ে থাকে জেনো বাধ্য মেয়ে|
দুর্বল হাত হোক তবুওতো বড্ড কাছের! সব বলা যায়-- সব বলি আমি
ক্ষিধে-ঘাম-প্রেম-বিষন্নতা শত অপমানে আশ্রয় খোঁজা বুকের নরমে মুখ গুঁজে দেওয়া অভিমানী ঠোঁট|
শব্দের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে শান্তির খোঁজ|
গভীর বিষাদ খুব চেনা স্বাদ পান করি রোজ|
খুব প্রিয়জন, ভীষণ আপন, তুলসী তলায় প্রদীপ যেমন-- হয়তো বা কোনো সোহাগের তারা, কবিতা মেয়ের ক্লান্ত ডানায় আদর বোলানো…
শেষ হয় দিন| কাকের ডানায় রোদ ঘরে ফেরে...
রুটিরুজি খুঁটে আমিওতো ফিরি …
হয়তো কখনো প্রেম গিলে ফেলি!
ছিঁড়েখুঁড়ে যাওয়া অচল জীবনে কলঘরে জলে কবিতায় ভাসে চোখের কানাচ,
ময়লার দাগ, স্বপ্নের দাগ-- ঘষে ঘষে তুলি নরম ফেনায়۔۔۔ সাময়িক ভুলি কবিতার স্নানে
কলঘরে জল۔۔চোখের কাজল ভুল করা মন
খিদের আগুন জাল খোলা ড্রেনে হু হু ভেসে যায় নানা বর্ণে ফেনায় ফেনায়|
দরজা আঘাতে সৌখিন স্নান বিরত থাকি|
একা চাঁদ ওঠে তারাদের পাশে অসহায় হাসি|
জনক জননী মানি ব্যাগে খোঁজে পয়লা আধুলি| হিসেবের ভাত প্রেম বাদ থাক কবিতার পাশে|
দিন যায় আসে শিরা ওঠা হাত চওড়া কপাল
ভাইয়ের হাঁড়িতে কম পড়ে ভাত| তারাদের পাশে বাবা ভেসে আসে| মায়ে আর মেয়ে নোনা ধরা ঘরে চাপা নিঃশ্বাসে...
কবিতা এখনো ছাড়েনি সে মেয়ে| রোজ লেখে কিছু জীবনের কথা, ফেলে আসা স্মৃতি| লোডশেডিংয়ের আকাশে এখনো মরা চাঁদ হাসে| শরীরের ঘাসে রুখাসুখা জমি |
একটাই নেশা চাঁদের আলোতে অক্ষরে মন
দিন শেষে তার এইটুকুই শুধু বিলাস যাপন
কবিতা :
এ কেমন তুমি!
বিশ্বজিৎ কর
এ তুমি কেমন তুমি -
ভালবাসায় পাগল করো,
সেই তুমি মাঝে মাঝে -
অবহেলার পথটিও ধরো!
এ তুমি নও সেই তুমি -
ভালবাসার ছবি আঁকতে,
এ তুমি নও সেই তুমি -
আবেগে জড়িয়ে ধরতে!
" আশি "
হামিদুল ইসলাম
বাবা বয়েসের ক্যালেণ্ডার পেরিয়ে যাচ্ছেন
আশির ক্যালেণ্ডার বাবার চোখের সামনে ঘুরছে
বাবা সেটা ছিঁড়ে দেন
অর্থাৎ আশিতে বাবা কোথাও আসতে চান না
আশি মানে আসি ।
ঠিকানাবিহীন এক পথ
হাঁটছি আমরা সবাই
বাবাও হাঁটছেন আমাদের আগে থেকে
পায়ে ফোসকা
আর বেশিদিন হাঁটা যাবে না আশির ক্যালেণ্ডার তবু পার ।
বৃষ্টি পড়লে
মনটা ঝিরঝিরে লাগে। অসময়ে ধরে রাখি জীবন
ইতিহাসের পাতায় ছেঁড়া ছেঁড়া রঙ
সেটাও আশি
আঃ ! আশির কথা শুনলে আমারও মেদিনী কাঁপে ।
আমিও পেরিয়ে যেতে চাই আশি ।
মেঘবালিকার গান
ডঃ রমলা মুখার্জী
পুব আকাশেে ছাড়ল সবে
রঙিন মেঘের নাও-
মেঘের রঙে রঙ ভাসিয়ে
প্রাণের গানটি গাও।
গানের নাও হৃদয় মাঝে
আনে খুশির পরশ-
আকাশের কানে কানে
মেঘবালিকার হরষ।
মেঘের মেলা রঙের খেলা
মনের বুকে ছন্দ,
কবিতার কলি ফোটে
ঘোচে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব।
রাঙা রঙের আলোর ভেলায়
মেঘবালিকার স্নান-
পাখ পাখালি ভোরের বেলায়
ধরে মিঠে গান।
ফুরায় বেলা গোধূলি গগন
পাখিরা ফেরে নীড়ে,
সাগর মাঝে ডুবলে তপন
মেঘবালিকা ঘুমের দেশে
স্বপন আঁকে চোখে-
খোকাখুকু ঘুমিয়ে পড়ে
রাতপরিদের দেখে।
মধ্যবিত্তের ঘেরাটোপ
মিনতি গোস্বামী
মধ্যবিত্ত শঙ্কিত চিত্ত,মান নিয়ে বাঁচে
মান হারালে লুকোয় আত্মহননের ধাঁচে
সবার মন রেখে চলে থাকলেও মাপা টাকা
ধুঁকে ধুঁকে এগোয় পকেট ফাঁকা।
পুষে রাখে সংস্কার চালিয়ে যায় পরম্পরা
গোল্লায় সংসার চরিত্র তবু ধামাধরা
বাজারে হোক ঋণ বিকোক জমিজমা ঘরবাড়ি
হাবেভাবে ঠাটেবাটে অভিমানে ঐতিহ্যের অনুসারী।
ঘটি ডোবেনা তালপুকুরে জরাজীর্ণ সংসার
ছিন্নবস্ত্রে শীর্ণদেহে রূপের বাহার
চৌকাঠ ডিঙিয়ে আসেনা ঘরের বাইরে
মান বুঝি যায় ভাইরে।
রবিবাসরীয় ছোটগল্প
কায়দা
অগ্নিমিত্র
বিপিনবাবু চাকরি করেন। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তিনি নানা রকম কান্ড ও কায়দা করেন। বউ আর ছেলেমেয়েকে নানা ভাবে নিরস্ত করার জন্য তাঁর এই প্রচেষ্টা ।..
স্ত্রী খালি গয়না বা শাড়ি কিনে দেবার কথা বলেন। তাই বিপিনবাবু বললেন যে তিনি মাত্র তিরিশ হাজার টাকা মাস মাইনে পান ; এসবে কী বা হবে ?!... একটু তখন কম হল আবদার।
আসলে মাইনে ছিল সত্তর হাজার টাকা । পরে তা আরো বাড়লো। অনেকদিন তা লুকিয়ে ছিলেন বিপিনবাবু ।
ছেলে সুকমল ও মেয়ে কমলিনীও খুব বায়না করতো। তাই অফিস থেকে ফিরেই উনি ক্লান্ত-ক্লান্ত চেহারা করে এসে শুয়ে পড়তে লাগলেন । ..মাথায় হাত দিয়ে শুয়ে পড়তেন । তখন আর ওরা কী বলে ?
তাড়াতাড়ি বেরিয়ে সময়ের আগেই তিনি অফিসে পৌঁছে যেতেন । ..আর অফিসে গিয়ে বিশ্রাম নিতেন, খেতেন। অফিস তাঁর কাজের জায়গা ও বিশ্রামের জায়গা, দুটিই হয়ে দাঁড়ালো ।
গিন্নী বলতেন -' কাজ নেই এই চাকরি করে। অন্য চাকরি নাও গো। '
বিপিনবাবু বলতেন -'আর এই বয়সে কে আমাকে চাকরি দেবে বলো ?..
সব ঠিকঠাক চলছিল। অসুবিধা হলো একদিন, যেদিন বিপিনবাবু অবসর নিলেন। মানে তার পরে ।
সেদিন বিপিনবাবু খুব অসুস্থ ছিলেন। ..তাই সুকমল গেল পেনশনের ব্যাপারে ব্যাঙ্কে ।
গিয়ে তো সে অবাক । তার বাবা তো আশি হাজার টাকা মাসে মাইনে পেত। তবে কেন সে এমন বলতো ?
বাড়ি ফিরে আর মা বা বোনকে কিছু বলে নি সুকমল ।
বাবাকে কাগজগুলো দিয়ে বললো-' পরের সপ্তাহ থেকে তোমার পেনশন আসবে বাবা।'
বিপিনবাবু বললেন -' তুই কি ...? মানে আমি মাইনের ব্যাপারটা .... ।'
সুকমল হেসে বলল -'আমি একটু একটু বুঝছি বাবা। ...তবে খুব একটা ঠিক কাজ করোনি।.. '
বিপিনবাবু শুকনো হেসে বললেন-'বাবা হ, তবে পুরোটা বুঝে যাবি।। '
আমাদের দেশ
আব্দুল রাহাজ
আমাদের দেশ ভারত বর্ষ
বিশ্বের মঞ্চে বৃহৎ গণতন্ত্র ।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে থাকি
মোরা মোরা নেই ভেদাভেদ নেই হিংসা নেই ঝগড়া মিলেমিশে থাকি আমরা।
হিমালয় থেকে সমতল প্রকৃতির বৈচিত্র্যে ভরা
নানা ভাষা নানা পরিধান এ দেশ যেন মিলন মহান।
কিন্তু বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির দেশকে যেন এক ছাদের তলায় আবদ্ধ রেখে অপূর্ণ করছি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষকে
চারিদিকে উত্তপ্ত অশান্তির আগুন জ্বলছে
অর্থনীতি বিশ্বের দরবারে মুখ থুবরে পড়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা কৃষি গবেষণা সব যেন স্তব্ধতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে আমাদের দেশ ভারত বর্ষ শান্তি নেই সবসময় উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে শহর থেকে গ্রাম গ্রাম থেকে গোটা দেশ।
শান্তি ফিরবে কবে আমাদের দেশে এ প্রশ্ন প্রত্যেক ভারতবাসীকে মনে।
নবজন্ম
সুব্রত সামন্ত
অতীত যখন শেখায়
আদিমতার গন্ধ কীভাবে এড়িয়ে চলতে হয়
ঠিক তখনই নবজন্মের ঠিকানা খুঁজি...!
একটা প্যারাসুট যখন সারা বিশ্ব চেনায়
উদাসীন এ জগত অভিমান করে ঠিক
শুধুমাত্র অপেক্ষার নির্যাস দিইনি বলে,
চলার পথ যখন মেলায় কল্পনাতে
নতুন করে ভাবি আবারও তোমায়।
অনুকবিতা :
মিছে ভাবনা
সায়ন প্রামানিক
শব্দ সাজাই শব্দ ভাঙ্গি
নিজেকে কেবল কবি ভাবি,
যতই বলি, আদতে সবই
শুধু অন্তমিল খো৺জার বায়না
কি জানি কেনো,
আমার ঠিক কবিতা লেখা হয়না।
আজ কলকাতার জন্মদিন
মম
জন্ম নিল কলকাতা।
কোল আলো করা ও সে।
ওকে কোলে নিয়ে আছেন বসে
চির বহমতী, পুণ্যবতী,
দেবী, শ্রী গঙ্গা মাতা।
কত মহা জীবন থেকেছেন কলকাতায়।
কীর্তি তাঁদের বিশ্ব ইতিহাস, গাথায়।
স্মৃতির পাতায় পাতায় পাতায়...
কলকাতার মাটি বড় গুণবতী!
কলকাতা ঘোরে মহা বিশ্বের দোরে দোরে দোরে।
ওর আনন্দ আত্মিক প্রেম বিলি করে।
ও বৃদ্ধ হয়।
আবার ওর নব দন্ত বিকশিত হয়।
হয় ফের অন্নপ্রাসন-মুখেভাত।
ও পুনরায় হয়ে যায়
দেব শিশু ঠিক যেন।
ওর প্রতিটি দিনরাত
অনন্তে মিশে যায়।
কেউ জানে না কলকাতা আমার কেন?
এক যে ছিল নদী
উমর ফারুক
একটি যে ছিল নদী
বর্ষা নেমে আসার আগেই
চলত নিরবধি।
দুষ্টু ছিল কত!
ক্ষিপ্ত নদীর পাগলামী তে
গ্রামবাসী শাঙ্কিত।
মাতাল হয়ে ছুটে
উতাল ঢেউয়ের তালে তালে
গিলতো শত ভিটে।
বর্ষা নেমে আসে
ক্রমশ তার বাড়ছে ক্ষিদে
মৃত্যুগুলো ভাসে।
আবাদ জমি খায়
বক্ষ যেন একটি আকাশ
চাষীরা নিরূপায়।
ধারাবাহিক
----নারী জন্ম অপরাধ----
--------রুহুল আমিন-------
(পর্ব-২)
মাধ্যমিকে উত্তির্ন হলো বৈশাখী। ফিরে এলো নিজের বাড়িতে। এলোমেলো চালচুলোহীন স্বপ্ন গুলো অসম্পূর্ন থেকে যায়। সেলাই ছেঁড়া পকেটে টাকা খোঁজার উপহাস মাত্র। বিবাহ নামক সুন্দর চমৎকার সম্পর্ক নামে তার কপালে ষোলো বছর বয়েসে লাল টকটকে বেনারসী পড়ে সদরে দাঁড়াতে হলো স্বপনের সাথে। এই সম্পর্ক অনির্দিষ্টের অন্ধকার গর্ভে তার নিক্ষেপ করছে না তো। সত্য বলতে মনে মনে ভয় হয় বৈশাখীর। আবার সে ভাবলো আদর স্পর্শে সত্যি ভালোবাসা হয়তো পাবে সে। হয়তো অত্যাচারের পর্ব শেষ হবে এখানে। কিন্তু পকেট থেকে উড়িয়ে দেওয়া টাকা নামক কাগজের দাম মনুষ্যত্বের থেকে অনেক দামী তার শ্বশুর বাড়িতে।
জীবনের বুক চিড়ে আঁকাবাঁকা পথে ছুটতে ছুটতে শরীর ভেঙ্গেছে অনেক আগে। হোঁচট খেয়ে আছড়ে পড়েও শক্ত মাটির বুকে পরক্ষণেই উঠে দাঁড়িয়েছে। তবে সে জানেনা সে সফল হয়েছে কি না। আকাশে কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। চারপাশের পরিবেশটা কেমন যেনো নিস্তব্ধ। মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙ্গে এখুনি প্রলয় ঘটবে। জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বৈশাখীর দুঃখী মুখ যেনো ধংস হওয়া প্রলয়ের প্রতিক্ষা করছে।
আমাবষ্যার মতো ঘন কালো সন্ধ্যেহ তার নতুন সম্পর্ক, নতুন ভালোবাসাকেও ভেঙ্গে চুরমার করে দিল।
তবে সে চিন্তা করে ফেলেছে। তার ভাগ্যে কখনও সুখ নামীয় পাখি ডানা মেলবে না। ভালোবাসাতো অনেক দূরের কথা। সুন্দরী সে নয় বান্দরী তো বটেই, কজন রুপ ছেড়ে মনের মূল্য দেয় এ সমাজে। দু্ঃখকে সে আপন করে নিয়েছে। সুখ তার কাছে ঘৃনার রুপ কথা। একাকিত্ব তাকে গিলে গিলে খাচ্ছে। ডিমেনসিয়াতে ভুলতে ভুলতে আজ সে মানসিক অবসাদের রুগি। মাঝে মাঝে তার খুব ইচ্ছা করে আত্ম হত্যা করে এ পৃথিবী থেকে সুখ টাকে মুছে ফেলতে।
বন্ধুদের মাঝে আসা এবং যাওয়ার ছোট ছোট স্মৃতি গুলো আদৃশ্য ফটো ফ্রেমের আলপিন দিয়ে আটা সব দৃশ্য আজকাল বৈশাখীকে খুব টানে। অত্যান্ত ইন্টারেস্টিং বা অস্বস্তিকর দুটোকেই তখন যদি ডায়েরির পাতায় আবদ্ধ করে রাখতে পারতো তাহলে হয়তো ফটো ফ্রেমের সামনে বসে বিস্মৃত হতো না। অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার যে পথ হিসাবে বিয়েটা কে সে কল্পনা করেছিল। আজ সেই অত্যাচারই নতুন করে নতুন ভাবে শুরু হয়েছে।আতঙ্কে ওটা সেই বাস্তব জীবন আজ থরথর শব্দে গল্পে লিপ্ত হলো। বিধস্ত মনে চিলিকোঠা তলতুলে আরাম প্রহীর গুন গুন করে বলা সেই আদর্শ বাক্য আজ কোথায় যে হারিয়ে গেছে। এই তালে মনুষ্যত্বের বেঁচে থাকার তিন অধ্যায় রাগ, অভিমান, ভালোবাসা তার মাঝে বিলুপ্ত।
গরিবের মেয়ে বলে খুটিনাটি সহ, হজম অযোগ্য কথা গুলিও মাথা পেতে মেনে নিতে হয়। মৌখিক কথপকথনও বিরক্তির আচারনে মেশে স্বপনের কাছে। সেই অর্থে বৈশাখী স্বামীর থেকে তেমন স্নেহ পাইনি, পাইনি পরিবারের অন্য কোনো সদস্যদের থেকেও। তার মনের শূন্যতায় ধ্যানে বসে কুয়াশা আচ্ছান্ন আকাশ।
এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব যে আসেনি তা নয়। ভয়, লজ্জা সব মিলিয়ে সে মাথা নাড়তে পারনি কখন। ইচ্ছাও ছিলনা তার। কিন্তু তাই বলে মানুষ ললুপ দৃষ্টিতে তাকে এঁটো করতে চাইনি তা নয়। একেতে স্বামী থেকেও না থাকার মতো অবস্থা। তাতে বৈশাখীর কম বয়েস। সহায়তার নাম করে যদি কিছু.....। এই সব মানুষ গুলোর জন্য বৈশাখীর শুধু ছিল দাঁত ভাঙ্গা জবাব।
তীব্র আকাঙ্খা দুটি মানুষের মনকে পৃথক করে দেয়।বৈশাখী আর ফিরতে চাইনি কখন ওই বিন্দুতে। পরিবারকে নিজের হাতে গড়েও সভ্যতার চিহ্ন দিয়ে বিশেষ পাল্টাতে পারিনি।মেয়ে হয়ে জন্মালেও বৈশাখীর স্বপ্ন ছিল নিজের পায়ে দাড়ানো। সে বিয়ের পরও রীতি মতো কষ্ট করে পড়াশুনা বজায় রাখতে চাইছিল। কিন্তু ভাগ্য তার সঙ্গ দেয়নি।
স্বামীর আগে স্রী ভাত খেলে নাকি স্বামীর অমঙ্গল হয়। এই কুসংস্কারের বাহানাতে বৈশাখীকে এক নতুন নির্যাতন দিতে শুরু করেছে। গর্ভবতী অবস্থাতে সংসার ঠেকিয়ে পড়াশুনা চালানো খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তাতে যদি বেশির ভাগ রাত স্বপনের জন্য অপেক্ষা করে করে না খেয়ে ঘুমাতে হয়। তাহলে দূর্বলতা ঘাড়ের শিড়াতে চেপে বসে।
অন্যের ভুলের মাসুল গুনতে হয় বৈশাখীকে সপাং করে একটা বাসের কূঞ্চি আছড়ে পড়ে গায়ের উপর, মাথা ধরে কখন বা ঠুকে দেয় দেওয়ালে তাতেও যদি বৈশাখীর পতিদেবতার রাগ না কমে তাহলে গরম খুনতির ছাঁকাতো লেগেই আছে।
বৈশাখী টিভিটা চালালো এখন আর কিছু দেখতে ইচ্ছা করে না। ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে প্রিয় সিরিয়াল দেখতেও না। বৈশাখী চ্যানেল পাল্টাতে থাকে এক এক করে। চোখটা অজান্তে ঝাপসা হয়ে যায় তার। অত্যাচারের কথা সর্বদাই মনের কিনারায় অভিশপ্তের মতো বিঁধে যায়। চোখ মুছে জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টি অবিরাম ধারায় পড়ে চলেছে। জানালাটা খুলে বৃষ্টির জলের সাথে দুঃখ মিশিয়ে দেয় বৈশাখী।
জীবন যখন শেষ মূহুর্ত্বের পদক্ষেপে ব্যাস্ত ঠিক সেই সময়। ছায়ার মতো কল্পনা শক্তিতে অনুভব করতে পারছে একটা শরীর। যা নিস্তব্ধ নয় কিন্তু নিস্তব্ধের থেকেও বৈশাখীর কাছে ভয়াবাহ। নার্সের মুখে মেয়ে হওয়ার কথা শুনে সে ভীতু হয়ে যায়। জল ও ঠান্ডা তৈল সমন্বয় ঘটয়ে মাথায় দিয়ে দেয় একটা মাসি। বৈশাখীর মনে হল মাথা থেকে হিমশীতল অনুভূতি শিরদাঁড়া ভেদ করে নেমে গেলো। কী এক অজানা ভয়ঙ্কর আশঙ্কা তাকে অস্থির করে তুলেছে। সে নিথর হয়ে যায়।
এ দেশে মেয়ে হয়ে জন্মানো যত অপরাধের তার চেয়ে হয়তো কোনো অপরাধে কম নয় মেয়ের মা হওয়া। এটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বৈশাখী। এমনিতে তার কাছে মেয়ে বা ছেলে সন্তানের কোনো ভেদাভেদ নেই।
হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে যখন বৈশাখী শ্বশুর বাড়ি যায় তখন থেকে শুরু হয় এক অন্য রকম অত্যাচারের অধ্যায়। মেয়ে সন্তান জন্ম নিয়েছে বলে সবাই তাকে কোনঠাসা করে দিল। ভেঙ্গে পড়ে নিজের অজান্তে। বিনা পয়সায় জ্ঞান দেওয়া মানুষের অভাব নেই এই সমাজে। পরিবারের সবাই বললো এক অপয়া আর এক অপয়ার জন্ম দিয়েছে।
বৈশাখী মেয়েকে জানালার ধারে দুই হাতে তুলে ধরে। তার নিষ্পাপ মুখের হাসি আর মুখ ভর্তি মায়াতে অবাক হলো, এ কি অপয়া? তার ভাগ্যের জন্য কি এই দায়ি? চোখের জল মুছল বৈশাখী। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো। না ভাঙ্গলে হবে না তাকে উঠতেই হবে গর্জে। এই অত্যাচার রুখতে হবে। আজ সমস্ত অপয়া কন্যা সন্তানের প্রতিনিধি সে। তাকে হার মানলে চলবে না।
একটা অলৌকিক ঘটনা একটু জানিয়ে রাখি, বেশ কিছু দিন পর বৈশাখীর ছোট্ট কন্যা রত্না হঠাৎ রাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। স্বপন ঘুমের বিরক্তির ভঙ্গিতে কন্যা সন্তানের পা ধরে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলতে যাচ্ছিল। বলতে পারো কন্যা সন্তানকে মেরে ফেলতে পারলে সে এক অমানসিক আনন্দ পাবে। অন্যমনস্ক চোখে মেয়ের দিকে তাকাতেই বৈশাখী স্তম্ভিত হয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ওঠে তার মন। বৈশাখীকে আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে স্বপন বলল, "কিছু হবে না, আমি তো মেয়ের সাথে খেলছি" কিন্তু মেয়ের সেই আচম্কা মরন চিৎকার বৈশাখীর কানে আ্যলার্ম ঘড়ির মতো বেছে চলেছে।
মর্মান্তিক সেই চিৎকারে সমস্ত শরীর কাঁপছে বৈশাখীর উম্মাদের মতো ছুটে গেলো মেয়ের কাছে। তৎক্ষনাৎ মেয়েকে বুকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বৈশাখী। মানুষ যে কত নিচে নামতে পারে তার কিছু বাকি রাখেনি স্বপন। সেই রাতে ঘরে আসলেও সারা রাত মেয়েকে বুকে নিয়ে ঘরের কোনে বসে ছিল বৈশাখী। সে বেদনায় চোখের জল লুকাতে পারছে না। আজ তার মন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে।
সকালে অনুতপ্তের ভঙ্গিতে রন্তাকে কোলে নিতে যায় স্বপন। বৈশাখী দৌড়ে এসে মেয়েকে এক টানে ছিনিয়ে নেয়। জিজ্ঞাস্যুভাবে তাকায় স্বপনের দিকে। তারপর কদাচিৎ অভিনয় দেখে স্বপনের। রাগ অভিমান মৃদু হেসে সম্পর্ক ছিন্নের অভ্যার্থনা জানায় বৈশাখী। রুষ্ট চোখে বলল," তুমি জানো এটা কে? আমার জীবন"। তোমার অত্যাচার এতদিন মুখ বন্ধকরে সহ্য করেছি কিন্তু আজ না হয় মেয়ের জন্য প্রতিবাদ করতে শিখলাম।
শুনেই তার বুক ধুকপুক করতে লাগলো। লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়ালো স্বপন। ঈষৎ মনঃক্ষুন্ন গলার ভঙ্গিতে বলল, " তোমার কপালে কালো মেঘ ছেয়ে গেছে শনির দেখা পাচ্ছি আমি"।
বৈশাখীর মন যে ভেঙ্গে যাচ্ছে তা বোধায় স্বপনের খেয়াল করা হয়নি। স্বপনের কথার উওর না দিয়ে চুপ হয়ে যায় বৈশাখী। বৈশাখীর ভালোবাসা দিয়ে গড়া সংসারে প্রোমোশন না হয়ে দিন দিন মন থেকে ডিমোশন হতে শুরু হয়। ভেতরে মনোমানিল্যের এক বিষ্ফরক বোম বিষ্ফরিত হতে চলেছে।
নীলা দেবীর ফোন বাজতে শুরু হলো-
- তোমার সাথে খুব দরকার আছে। আমি আজ দুপুরে তোমাদের সাথে খাবো মা।
- আরে অসুবিধা কোথায়? কি হলো সেটা বল?
এই প্রশ্নে হাজার উত্তরের ঝংকার তুললো বৈশাখী।
ফোনটা হঠাৎ কেটে গেলো।
নিলাদেবি জানেন আসলে সমস্যা কোথায়। মেয়ে আর জামাই দুজনা দুই প্রান্তের মানুষ এখন। জামাই বৈশাখীকে মানিয়ে নিতে পারেনি। বলা চলে সে খুব সন্দেহ বাতিক। নিজের স্ত্রিকে কখনও বিশ্বাস করতে পারেনি। বৈশাখীর উপর চলে অমানুষিক অত্যাচার। কিল-ঘুসি তার নিত্য দিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্য মাথার উপর উঠতেই বৈশাখী এসে হাজির হলো বাপের বাড়ি। সঙ্গে তার একমাত্র ছোট্ট মেয়ে রত্না।
- রমেন বাবু নাতনিকে নিয়ে আড্ডাতে বসে যায়।
- নিলাদেবি মেয়েকে রান্না ঘরে ডেকে বললো আবার কি হলো বলতো মা?
- আমার পক্ষে আর এভাবে বাঁচা সম্ভব হচ্ছে না। কোনো মতেই অ্যাডজাস্ট করতে পারছিনা নিজেকে। এবার ডিসিশন নিতেই হবে আমাকে।
- নিলাদেবি ভ্রু কুঁচকে বলেন মাথা ঠান্ডা রাখ মা। এমন একটু হয় সংসার জীবনে।
- বৈশাখী জল ভরা চোখ মুছে বলে। আর কত অত্যাচার সহ্য করতে বলছো। পরিবারের সবার সাথে যত অ্যাডজাস্ট করছি। তত বেশি সবাই আমাকে এক কোনে ঠেলে দিচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব আজ কুনো ব্যাঙের শীত ঘুমের মতো মনে হয়।
- নিলাদেবি একটু অগুছালো ভাবে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলো। কিন্তু তাতে লাভ হলো কই।
- আমার জীবন শুধু আমার। চুপ করে সহ্য করেই আজ নারী জাতির এই অবহেলা। বলতে বলতে বৈশাখী উঠে চলে যায়।
মেয়ে শিক্ষিত তাকে বোঝানো এত সহজ নয়। এক পলক নজর কাড়ার মতো মায়াবী মুখটা রাগে লাল হয়ে গেছে ঠিক যেনো পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয় লগ্ন। বৈশাখীর কচি মনে প্রেমের বৃক্ষ রোপনের পরিবর্তে বিষ ঢালছে স্বপন। দাম্পত্য জীবনের সুখ কোথায় যেনো এন্টি ভাইরাসের মতো লুকিয়ে আছে। চুপচাপ ভাত বেড়ে নিলাদেবি মেয়েকে ডাকে ডাইনিং টেবিলে।
- তোমাদের নিশ্চিন্ত দেখে আমার মাথা জ্বলে যাচ্ছে। কোনো ভ্রুক্কেপ নেই আমার প্রতি। বাপের বাড়ি না এলেই ভালো হতো।
- রমেন বাবু মেয়ের অভিমান জড়িত রাগ দেখে হাসতে শুরু করলেন।
- বৈশাখী বাবার হাঁসি দেখে রাগে অভিমানে নিজের মুখে নিজেই চড় মেরে ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে যায়। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নাইটির হাতায় মুখের ঘাম মছে সে।
- রমেন বাবু বুঝলেন মেয়ে একেবারেই ভিতর থেকে ভেঙ্গে মুচড়ে গেছে।
- ফোনের পর ফোন বাজতে শুরু হয় বৈশাখীর। সে বুঝতে পারছে না বলে শ্বশুর বাড়ী থেকে চলে আসার জন্য স্বপন তাকে ফোন করছে। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ফোন বার করে বৈশাখী। সুইচ অফ করে রেখে দেয়।
- নিলাদেবি বললেন ফোনটা একবার তুললে পারছিস না।
- কেন তুলবো? কোন সম্পর্কে তুলবো? সব শেষ।
এই সমাজের বুকে আমি একটা প্লাটফর্ম খুজবো যেখানে আমি আর মেয়ে খুব শান্তিতে থাকবো।
- মেয়ের কথা শুনে নিলাদেবি চুপসে যায়। সে এখন নতুন করে তার জীবন শুরু করতে চায়।
আকাশে সদ্য জন্ম নেওয়া সূর্য টা। পূর্ব দিকের গাছ গুলির ফাঁক দিয়ে। তার নরম আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীকে। অবশেষে রক্ষা করতে পারলো না স্বপন। সমস্ত ভয় ভিতি উপক্ষা করে রাগে ঘৃণাতে বৈশাখী স্বপনের ভালোবাসার জগৎ থেকে সরে এলো। ডিভোর্স পেপার নিজের নাম লেখার সময় বৈশাখী একটুও কষ্ট অনুভব করেনি।
একতরফা_প্রেম_৪
কলমে-আব্দুল_রহিম
আমার মৃত্যুর পরে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি"টা কি নদী হয়ে আঁছড়ে পড়বে আমার বুকের উপরে
না তখনও মান অভিমান নিয়ে নিজ অহংকারে আমাকে দিবে জ্বলন্ত চিতার আগুনে ছুঁড়ে।।
আমার মৃত্যুর পরে তুমি এসো আগ্নেয়গিরি হিসাবে না,একটা নদী হয়ে ,একবার দিয়ো তোমার কমল হাতে আমার মৃত শরীরটাকে ছুঁয়ে,আমি তাহলেই পাবো প্রেমের অমৃত।।
আমার মৃত্যুর পরে তোমার চোখো নদীর একবিন্দু অশ্রু দিয়ো ভিক্ষা,না হলে তখনো জ্বলবে আমার শরীরটা,তোমার চোখের উষ্ণ অভিমানী অহংকারী আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবে।।
আমার মৃত্যুর পরে তুমি একবার মনে করে একটু বিষাদ নিয়ে এসো আমার বাড়িতে,দেখবে তখনো আমি হতে পারেনি তোমার প্রেমী,তবু তুমি যেন আসবে মৃত্যুর পরে আমার বাড়ি।।
আমি তোমার নামে রক্ত বিন্দু দিয়ে লিখে দিয়েছি হাজার হাজার বছর ধূসর পান্ডুলিপির প্রতি পাতায় প্রতিটি শব্দে,প্রতিটি অনুভূতিতে তবু আমি হতে পারিনি প্রেমী।।
বদলা চাই
বিপ্লব গোস্বামী
দেশের হিতে শক্র হাতে
শহীদ হলো বীর জোওয়ান।
বীরের জাতী বীর লড়াইয়ে
করে গেলো জান বলিদান।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই এ বলিদানের।
সুদ আসলে বদলা চাই
বীর শহীদের আত্মদানের।
বদলা চাই,বদলা চাই
বদলা চাই সারা দেশ।
অমনি করে আর কত কাল
সৈন্য সইবে দুঃখ ক্লেশ।
বাজাও রণ ভেরী
ধর অস্ত্র সৈন্য দল।
ঝাপিয়ে পড়ো শক্র নাশো
আমরা কেবল চাই বদল।
রণ ঝংকারে ঘন হুংকারে
জেগে উঠো বীর জোওয়ান।
অসুর রাজ্যের অসুর নাশো
করে দাও কবর স্থান।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"মহরম সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 18 Aug 2020 থেকে 29 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
বিষয়:-কারবালার ঘটনা ও মহরম সম্পর্কীত
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "মহরম সংখ্যা"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 30 Aug 2020 , বিকাল 3টা
সবাইকে পড়ার ও মতামত দেওয়ার অনুরোধ রইল
উত্তরমুছুন