"উপকণ্ঠ 13 আগষ্ট সংখ্যা "
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-13/08/2020,বৃহস্পতিবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আজকে শেষ তারিখ
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখা পাঠান :- 01 Aug 2020 থেকে 13 Aug 2020 এর মধ্যে
যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখক তালিকা প্রকাশিত হবে 14 Aug 2020
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 15 Aug 2020
প্রচারে :- সম্পাদক, উপকণ্ঠ
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
হাজারো স্মৃতির মাঝে পূর্ণ মিলন
আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল ছেলেবেলার অনেক স্মৃতির মাঝে আর একটা স্মৃতি অনেকদিন আর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না পড়াশোনার ব্যস্ততার কারণে শহরেই রয়ে গেলাম বেশ কয়েক বছর রিয়াদ তার ছেলেবেলা কেটেছে প্রত্যন্ত এলাকায় খুব সুখে শান্তিতে আনন্দে তাদের দিনগুলো কেটেছে রিয়াদের বাড়ির পাশে বাড়ি রহিম চাচা তার একটা মেয়ে ছিল নাম তার মেহা আমরা দুজনেই সমবয়সী সেই ছোট থেকে একসঙ্গে খেলাধুলা ইস্কুল যাওয়া সবই হত। আমরা দুজন ছিলাম একে অপরের সাথী ছেলেবেলায় ব্যাপক দুষ্টু ছিলাম আমরা কত না মারখেয়েছি মায়ের
হাতে আমরা গ্রামের পাঠশালায় পড়তাম একদিন স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে হারু দাদু আম বাগান থেকে আম চুরি করেছিলাম কিন্ত হারু দাদু দেখে ফেলে জোর তাড়া করে নিয়ে যায় আমরা বাড়িতে এসে হাঁপাতে থাকি সন্ধ্যেবেলা হারুদা এসে বাড়িতে সব বলে দেয় কি মারটাই না খেয়েছিলাম সেবার আস্তে আস্তে আমরা বড়ো হলাম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফারিনের মামার বাড়ি যাওয়ার প্রস্তাব উঠলো সেখানেই যাওয়া হলো শেষ পর্যন্ত এবং সেখানেই হল এক ঘটনা পড়ন্ত বিকেলে আমরা ঘুরতে বেরিয়েছি এক নদীর ধারে বসে আছি হঠাৎ ফারিন রিয়াদের হাত ধরে বলল আমাকে তোমার কেমন লাগে রিয়াদ উত্তরে বলল ভালোই লাগে তুই তো আমার খেলার সাথী ফারিন ঠিক উত্তরটা মনের মত পেল না। এদিকে বাড়ি বাড়ি এসে রেজাল্ট বার হল খুবই ভালো নাম্বারগুলো দুজন পাশের গ্রামে উদয়নারায়নপুর স্কুলে ভর্তি হল ক্লাস একাদশ শ্রেণির মাঝামাঝি রিয়াদকে বলে ফেলল সেই কথা ফারিন হেসে বলল ওরে গাধা এর জন্যই তো আমি বসেছিলাম তারপর শুরু হলো এক অনন্য জগতের খেলা দেখতে দেখতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এসে গেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে লাগলো শেষমেষ পরীক্ষা দিলো বেশ ভালো হলো তারপর রেজাল্ট বার হল ঠিক হয়েছে রিয়াদ শহরে গিয়ে পড়াশোনা করবে আর ফারিন বাড়ি থেকে খুব কষ্ট লাগছিল চলে যাবার আগের দিন রাতের বেলা কত কথা কত গল্প হল ভোরবেলা রিয়াদ রওনা দেওয়ার আগে ফারিন এর কাছ থেকে দেখা করে গেল তারপর যা ছিল সব স্মৃতি এবার আমাদের বাড়ি যাওয়ার পালা অনেক বছর পর গ্রামের বাড়িতে আসছে বাড়ি এসে রিয়াদ যখন ফারিন বলে ডাকতে লাগল তখন ওদের যে দেখা তখন যেন মনে হলো হাজারো স্মৃতির এক পূর্ণ মিলন হয়ে গেল এইভাবে তারা তাদের ছেলেবেলার স্মৃতি নিয়ে সামনের দিনগুলো প্রেম রসে পরিপূর্ণ করল।
মল্লিকার প্রেম
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
নাম তার মল্লিকা
প্রতিটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গেই বিজলী র আহ্বান এখনও
সে বিয়ে করা একজনের স্ত্রী।
সন্তানের জন্মও দিয়েছে
সাতসকালেই।
খোঁপার নিচে বাঁধা প্রেমের
কপট বুদ্ধির চঞ্চলতা তবুও
বুকের মাঝখানে নিটোল বিল্ব দুটি
যেন আজও উদ্বেল
টইটম্বুর বর্ষার নদীর মতো।
বোঝাতে চায় তার প্রেম স্বচ্ছ
বৃষ্টি ধোওয়া বৈরাগ্য হীন
পুকুরের জলের মত বাঁধা নয়
উচ্ছৃঙ্খল স্পর্ধায়
আধুনিকা।
চাদর জড়ানো বোরখা ঢাকা নয়
খুল্লাম খুল্লা।
সে ক্ষুধার্ত----
সার্থকতায় কোমল স্পর্শে
সে বিভোর হতে চায়
জীবন সার্থক করতে চায়
সুকুমার মনের নির্মল যুবকের
দ্বিধাহীন যৌবনের আস্বাদে
বটগাছের মতো অসংখ্য ঝুরি নেমেছে যদিও
তার শরীর থেকে----
ঠেলাঠেলি পছন্দ করেনা
নিরালায় কাছে চায়
একান্তে
যৌবনভরা পুরুষকে।
যার তীরে ভেড়েনি আজও
কোনো নৌকা
অভুক্ত ভিখারির মতো।
যাকে ছুঁলে কানে বাজবে
স্বপ্নের মধুর বাঁশি
বীরত্বের মানুষ হয়ে
ফুটবল খেলবে
খেলবে হাডুডু
স্বামীর প্রেমকে বিদ্রুপে ভরিয়ে
জরুরি ট্রেনে বাড়ি ফিরবে,
শয্যা সঙ্গী হবে।
বুকের ওপর, মুখের ওপর ঝুঁকে
মেঠো ফুলের গন্ধ ছড়াবে
ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে
বলবে--- " তুমি
যদি এলেই
তবে এতো দেরি করলে কেন?! "
কেন-- কেন- কে---ন?
আমার খুকু
অমিতা মোড়ল সরকার
আমার খুকু মা' বলে যেই
ডেকে ওঠে;
দেখি হাজার ফুলের কুঁড়ি
অমনি ফোটে!
আমার খুকু কথা বলতে
মিষ্টি হাসে;
ঝরনা যেমন পাহাড় ছুঁতে
ভালোবাসে!
আমার খুকু হেসে ওঠে
ভোরের মতো;
আমার মনের দুঃখ ঘোচে
আছে যতো!
আমার খুকু স্বপ্ন দেখে
মানুষ হবার;
এর চেয়ে আর বড় কি সুখ
আছে পাবার!
আমার খুকুর চাঁদ মাখা মুখ
ভালোবাসি;
আমার খুকু আমার মনের
সবটা হাসি...!!
গাহি আমি তাহাদের গান
বিপ্লব গোস্বামী
গাহি আমি তাহাদের গান
দেশপ্রেম সেনানীতে আছে যার মান।
জন্মভূমির ভালোবাসায় করে যে সম্মান
গাহি আমি তাহাদের গান।
দেশ স্বাধীনতায় যারা করেছে সংগ্ৰাম
বুকের শোণিত যারা করে গেছে দান।
মাতৃত্বে এক হতে রচে যারা গান
গাহি আমি তাহাদের গান।
যাদের ভয়ে দূর হলো পৌষাহিত কাণ্ড
যাদের তেজে বাষ্প হলো দুষ্কৃতির ভাণ্ড।
যাহারা রক্ষা করে সভ্যতার প্রাণ
গাহি আমি তাহাদের গান।
যাহারা পথে পথে ঠেলে ঠেলাগাড়ী
যাহারা হাসিয়ে তোলে মুচীদের বাড়ি।
যাহাদের গৌরবে মাঠে ফলে ধান
গাহি আমি তাহাদের গান।
কল্পনায় তুমি~ ৩
অলোক রায়
বরাবরের মতো রাগ হলনা আর
আবেগী মন কেন যেন বলছিল বারবার,
ওর সাথে যেকোন ভাবেই হোক
কথা বলাটা ভীষণ দরকার।
মাথায় একটু ভাবনাও ছিল,
কেমন যে হবে প্রতিক্রিয়া তাঁর।
আজব কিসব ভাবতে ভাবতে,
শরণাপন্ন হলাম ভূতের দেবতার।
মনের ভিতর চলছিল দ্বন্দ্ব আর অন্তর্দ্বন্দের ভীষণ কারসাজি,
তাইতো ভালো ছেলের থেকে একটু অবসরে
না হয় হলাম একটু দুষ্ট বা পাজি।
কথায় আছে আশায় নাকি বাঁচে চাষী,
সত্যি তেমনটাই হল অবশেষে মুখে
যে আমার ফুটেছিল
এক অনামী যুদ্ধজয়ের হাসি।
কাজের সাথে নামের মিল তুমি যে সুজাতা,
মাঝে মাঝে কথাও শোনাও একেবারে যা তা।
মেয়ে তুমি অন্যরকম, ভীষণ রকম বুঝি।
ইচ্ছে করেই করো মাঝে মাঝে,
মনে হয় শয়তানি আর কারসাজি।
ডায়েরির অংশ
মৌসুমী গুহ রায়
আজ পয়লা জানুয়ারী। 2020. সকালে রোদ উঠেছিল। এখন মেঘলা। মনে হয় বৃষ্টি হবে। সারাদিন ঘরেই ছিলাম। কাল রাতে ঋতর সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলাম। মেঘাকে টিউশন থেকে নিয়ে এলাম।
মাঝে মাঝে ভয় ভয় করে। বাইরে বেরই না তখন। আজ নতুন বছরের প্রথম দিন। ডায়েরি লিখতে ইচ্ছে করল।
সুপ্রকাশ কে আর এস এম এস করছি না। টেনশন হয়। ভয় করে। মন যা চাইবে তাই করব। ভয় ভয় লাগলে ঘর থেকে বেরব না। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে ঋতর সঙ্গে বেরব। না হয় হোম বাউন্ড হয়েই রইলাম।
নিজেকে আর কবি বা লেখিকা বলে ভাবি না। মাঝে মধ্যে একপাতা ডায়েরি লিখি। মনের কথা প্রকাশ করে হালকা হওয়া।
এখন সন্ধ্যে। মেঘা টিভি চালিয়েছে। দিদি নাম্বার ওয়ান হচ্ছে। রূপঙ্কর গান গাইছে। আমি টিভির দিকে পিঠ করে বসে আছি। বালাপোষে পা ঢেকে।
এখন কিছুই করি না। শুয়ে বসে দিব্যি সময় কেটে যায়। ঋত যথারীতি কাজ করে যায়। চেম্বার ও হসপিটাল ডিউটি। আমি ডাক্তারি ছেড়েই দিয়েছি। এখন চুপ করে গুটি সুটি মেরে বসে থাকতে ইচ্ছে করে । ভালো লাগে।
ঋত আসবে খানিকক্ষন পর। এখন মেঘার পাশে বসে আছি। মেঘার উল্টো দিকে। মুখোমুখি।
বাইরে বোধহয় বেশি বেরনো যাবে না। যখন ইচ্ছে করবে বেরব। ভয় ভয় করলে বেরব না। মধ্যমগ্রামে কী করে থাকব জানি না। এত ভীড় ওখানে । যদিও ওদিকে যেতে দেরী আছে। রিসডোন প্লাস খাই। ওটা খেতে থাকলে ফোবিয়া টা কমবে কিনা জানি না। একেবারে নিল হলে ভালো হয়।
" আমরা "
হামিদুল ইসলাম
জীবনের পাঠ নিই নিয়ত
হাতের পাশে শ্মশান ও কবর
নগর সংকীর্তণে বেরিয়েছেন যবন হরিদাস
আমরা ধর্মান্ধতার শিকার ।।
তোমার ধর্মে রক্তের স্বাদ
আমার ধর্মে বিবেকানন্দ
ধর্ম ধর্মান্ধতায় বেঁচে আছে চিরকাল
আমরা কখনো নজরুল কখনো লেনিন ।।
কবিতা :
আমার কথা!
বিশ্বজিৎ কর
এখন আর কাঁদি না,
হিমশীতল হৃদয়ে সান্ত্বনার তাপ নিই,ঘুমে আচ্ছন্ন ভোরে!
একলা জেগে প্রাপ্তির হিসাব করি,ভাবনা পথ হারায়!
অবহেলায় কষ্ট পাই!
মা'কে মনে পড়ে,কেঁদে ফেলি,
মাতৃত্বের গন্ধ পাই!
ভবিষ্যতের দেওয়ালে নিজের ছবি দেখি,ধূপের ধোঁয়া নেই!
প্রতিদানের আশায় অঙ্ক করি,
প্রায়ই ভুল হয়!
করোনা ভাইরাস বধ
পার্থ প্রতিম হালদার
হে অশুভ শক্তিনাশিনী ভারতমাতা,
তুলে ধরো তেরাঙ্গা পতাকা !
জানিয়ে দাও দেশবাসী কে ,
রাশিয়া থেকে আসতে চলেছে
করোনা ভ্যাকসিন ।
অসহায় মানুষ এবার হবে
স্বাধীন, থাকবে না আর পরাধীন।
থাকবে না আর
অযোগ্য ভাইরাসের শাসন
ভাইরাসের হবে এবার পতন।
রাশিয়া থেকে স্বগর্বে আসছে
হুঙ্কার করে করে
এই মহামানবের সাগর তীরে ।
নরদেবতার জয়ধ্বনি তুলে,
করোনা ভাইরাস কে বধ করবে বলে।
চীনে করোনার সংক্রমনে ,
মৃত্যুর আতঙ্ক বিভেদ ছড়াচ্ছে
মানুষের মনে । ভারতেও থাবা বসিয়ে-
মানুষ মারছে দিনে দিনে।
কত শত মানুষের প্রাণ নিয়েছিস তুই ,
ভেঙেছিস সংসার ।
তাই বিধ্বস্ত আজ মানুষের দিনকাল।
কিন্তু আমরা মানি না তোর সংক্রমণ,
মানি না তোর শাসন ।
ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়েছে
এবার করবো তোকে আক্রমণ ।
তোর জন্য আজ দূষিত
ভারতীয় সংস্কৃতি , মুছড়ে পড়েছে
দুনিয়ার মানুষের স্বপ্ন ও গতি।
তবে মানুষ আবার ফিরে পাবে
সেই হাসি খুশি দিন,
কারণ হাতে পাবে ভ্যাকসিন।
তাই কর্মব্যস্ত জীবনে নিত্য প্রয়োজনে ,
মানুষ আবার আগের মতো
চলাচল করতে পারবে -
নানা পথে দলে দলে কলকলরবে ।
হাতের স্পর্শ পেলাম
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
আজ বিকালে জন্মাষ্টমীর জোগাড় করতে গেলাম। মাঝ রাতে শ্রী কৃষ্ণের পুজো হবে তো। তা হঠাৎ করেই আমার আদরের বিশাল শ্রী কৃষ্ণের রজত মূর্তির পিছন দিক থেকে একটি প্লাস্টিকের বাক্স পেলাম। এটির ব্যাপারে একদম ভুলেই গেছি। বিরাট মূর্তি তাই খুব একটা নড়াচড়া করি না। আজ - এই বছরের একদিনই এদিক ওদিক করে চকচকে ঝকঝকে করি।
হ্যাঁ, ওই বাক্সটি খুলে এক গোছা নানান ধরণের হাতে লেখা, কালি পেনের চিঠি পেলাম। পোষ্ট কার্ড, নীলচে খাম, হলদেটে খাম, সাদা খাম। কোনোটায় আবার স্ট্যাম্পও আটকানো আছে। হাতে নিয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে গেল। ওই লেখাগুলোর ওপরে হাত বললাম। যেন যাদের হাতের লেখা তাদের স্পর্শ পেলাম। আমার স্বর্গত ছোট ভাইয়ের, বাবার ও স্বর্গতা মায়ের। আমি যেন ওদের মধ্যেই এখন বসে আছি, এরকম মনে হচ্ছিল। কিছু সময় আমি বর্তমানে থাকতে পারলাম না। পৌঁছে গেলাম সেই কম বয়সে। যখন ওরা সকলেই আমার মতই বেঁচে ছিল।
পড়লাম-
শ্রদ্ধেয়া দিদি,
তুই অনেক মাস হল, আমাদের এখানে আসিস নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আয়! আমাদের সবার তোর জন্য মন কেমন করছে। কি রে দিদি! আসবি তো? সেই যে বিয়ের পর গেলি আর তোর আসার নামটি নেই। আমাদের জন্য কী তোর মন কেমন করে না, নাকি রে? দিদি!
তোর বসানো চন্দন গাছ তিনটি অনেক বড় হয়ে গেছে। মা খুব যত্ন করে তোর ওই গাছগুলোকে।
আমি তোর জন্য ধনেখালী থেকে তোর প্রিয় লাল পাড়, সাদা তাঁতের একটি শাড়ি কিনে এনে রেখেছি। তা ছাড়াও আরও অনেকগুলি শাড়ি রেখে দিয়েছি। এসে ওগুলি পড়!
মা, বাবা ও আমি ভালো আছি। তুই ও জামাইবাবু আশা করি ভালোই আছিস।
চিঠির উত্তর না দিয়ে সোজা এখানে নিজেই চলে আয়!
আজ আর নয়। নমস্কার নিস! জামাইবাবুকে নমস্কার দিলাম।
ইতি-
তোর ভাই।
তারিখ-
..........
ঠিকানা-
......................
জল আর চোখে সামলাতে পারলাম না। গড়িয়ে পড়ছে। অন্য চিঠিগুলো রেখে দিলাম। ওতে মা ও বাবার লেখা আছে।
বাক্সটা বন্ধ করে তুলে রাখলাম।
অতীত থেকে বর্তমানে ফিরে এলাম। শ্রী কৃষ্ণের পুজোর জোগাড় করলাম।
কবিতা
জীবনদায়ী
মিনতি গোস্বামী
ব্যথার পরত জমে জমে বুক পাললিক শিলা
এখন আর খুঁজিনা আমি সাজানো সুখের টিলা।
সব সুখ কখনো জোটেনা জানি সবার কপালে
অশ্রু দিয়ে স্নান করাই নিত্য আমার গোপালে।
সুখের সন্ধানে ছুটে দেখেছি সুখ তো ক্ষণস্থায়ী
দুঃখ দিয়ে মানুষ চিনি হোক সে আততায়ী
দুঃখ চেনায় পথের রেখা দুঃখ জানি জীবনদায়ী।
কবিতাঃ
ও পাখি তোর লেজ ঝোলা
জুয়েল রুহানী
ও পাখি তোর লেজ ঝোলা
জাগিস কি তুই ভোর বেলা?
কখন তুই আহার জোগাস?
কখন বা করিস খেলা?
ও পাখি তোর লেজ ঝোলা
ঘুম থেকে ওঠ্ ভোর বেলা
মাঠ হতে অন্ন নে তুই
নেচে নেচে কর্ খেলা।
ও পাখি তোর লেজ ঝোলা
ডানা মেলে কর্ খেলা,
ফুরুৎ ফুরুৎ উড়ে তুই
ঘুরে দেখ্ রঙ্গের মেলা!
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
0 comments: