মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 18/08/2020

   "উপকণ্ঠ 18 আগষ্ট সংখ্যা "
         "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-18/08/2020, মঙ্গলবার
               সময় :- বিকাল 4 টা 

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577



🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

প্রবন্ধ

      ইন্টারনেট ও প্রেম
                      - অগ্নিমিত্র

 আজকাল কী সব ডেটিং না কী করে ছেলেমেয়েদের আলাপ হচ্ছে, তারপর বিয়েও হচ্ছে! ইমেল, ফেসবুক ইত্যাদির বেশ রমরমা । সবই পরাবাস্তব প্রেম। এদের এক বড়ভাই ছিলেন, অর্কুট! এক সময়ে চুটিয়ে রাজত্ব করেছেন। এখন তিনি গত হয়েছেন ।..
  ইন্টারনেটের প্রেমিকারা কিন্তু ঝগড়া কম করেন না। বরং বেশ ভালোই করেন। আর করেন চ্যাটিং । যদিও এই বস্তুটি আগে বেশি জনপ্রিয় ছিল, তাও এখনো কিছুটা ঠাটবাট বজায় রেখেছে ।
 সেই আগেকার দিনের চিঠিচাপাটি, সেসব কোথায়?! নিতান্ত দরকার না হলে এখন কেউ কাউকে চিঠি লেখে না! ..
 আজকাল বৈদ্যুতিন প্রেমে কিন্তু সমস্যাও বেশ। অনেক ফাঁক আইডি; মানে যে নারীর রূপযৌবনে মোহিত হয়ে আপনি ফেসবুক কাউকে পছন্দ করেন, পরে হয়তো দেখলেন তিনি নারীই নন !
  তাই মেকি আর ফাঁকির এই মায়াময় দুনিয়ায় আসল প্রেম খুঁজে বের করা মুশকিল! সাবধান!!










সাহিত্যে মোর প্রাণ
      কনিকা রায়

স্বামী আমার পরম প্রিয়!
 আমায় ভালোবাসেন অধিক!!
তবুও আমার মন পরে রয় শুধু এদিক ওদিক।

রান্না ঘরে মন বসে না!
কোনো রান্নায় ঝাল দেই তো লবণ দেই না!!
পতী আমার খেতে বসে রেগে আগুন তেলে বেগুন!
রেগে বলে -মন থাকে যে কোথায়!!
মনে মনে ভাবি আমি -
আমার মন থাকে যে সাহিত্যেরই পাতায়।

স্নানের ঘরেও গিয়ে আমি কবিতা পাঠ করি!
কি নাত বৌ?
কাকে বোকছো?
বলেন তখন পাশের বাড়ির বুড়ি।
পড়তে বোসে ছেলে আমার অঙ্ক করে ভুল!
তাতেও আমার মন নেই কো!!
মেয়ে বলে মা বুঝি এবার নির্ঘাত হয়েছে পাগল।

শাশুড়ি ও ননদি নানা সমালোচনা করে!
ভাঞ্জিস ,সে সব কথায় কান পরে না ভগবানের বরে!!
সব কিছু সামলে আমি করি সাহিত্যে অণুশীলন,
সাহিত্যে দিয়ে সবার মন ভোলাবো এই করেছি পণ।








When I saw
       Anjali Denandee, Mom

When I saw his eyes
Then I became surprise.
Both were as like the endless skies.
There lived countless stars.
Now also they are there.
They arise arise and arise...
But never set.
How dreamy they are!
Their their their....
Lovely hopes are endless.
They are ever starters.
In these places
I have lost my blinkings for long time.
Ultimately my eyes-water
Become endless...
With love in super consciousnesses.
Yes yes yes
This water is joy of love-tear.
And then he becomes my ever dear.
Also our lives become heart beats-rhyme.
Now our emotions become such untouchable
By which we become immortal
Also our souls are shined
With eternal realisations.
Our sensations can able
To reach in all lover-minds.
Our imaginations,
Now these are creating countless skies.
Countless Suns are rising on these.








মা
  সায়ন প্রামানিক

মা মানে সেই মিঠে গন্ধ , সেই না বলা সব কথা
দুরে থেকেও কাছের অনুভূতি মাখা ।
কখনো শিক্ষিকা, কখনোও বা আমার খেলার সাথী ,
আবার কখনো ফিলোসফার ,
আহা: কত ই না রুপ তোমার ।
আমার মা সেই আমার আদুরে গর্বিনী ।
                 
   







ছোটোগল্প
    ওরা স্বাধীন
                আব্দুল রাহাজ

আরিন ভুটিয়া আর সরেন ওরা থাকত এক নির্জন দ্বীপের ছোট্ট বনের ভিতর খুব আনন্দের দিন কাটতো। ছোট্ট বনের ভিতরে ওরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতো এই ছোট্ট দ্বীপ ও তাদের বন ছিল তাদের কাছে পৃথিবী বেশ সবুজে রাঙানো শান্ত পাখিদের মিষ্টি সুরে ডাক বনের পশু পাখিদের সাথে মুখের বন্ধুত্ব ছিল আজীবন ওরে যেন স্বাধীন ভাবে বসবাস করছে কোন চিন্তা নেই কোন ভাবনা নেই মনে হচ্ছে কোন রূপকথার দেশ। একবার একদল শহরের মানুষ এসে থাকতে লাগল তার এই নির্জন দ্বীপে ওরাও বেশ ভালো তাদেরকে দেখাশোনা করতো খাবার খাওয়া তো কিন্তু আস্তে আস্তে কোথাও যেন নির্জন দ্বীপ ফাঁকা হতে শুরু করলো রাতের পর রাত তখন ওই বনের আদি বাসিন্দারা বেশ ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হলো শেষমেষ ওদের বুদ্ধিতে ওরা জয় করে নিল তাতে নির্জন দ্বীপ এরপর হারানো সব জিনিসগুলো কে পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য গাছ বসাতে লাগল বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চলে এলো তাদের কাছে আবারও এক নির্জন সবুজ-শ্যামলা দ্বীপ ওরা বেশ আনন্দিত হয়েছিল সেদিন এই নির্জন দ্বীপ বনময় পরিবেশে সেদিন আকাশে বাতাসে উড়ে ছিল খুশির হিমেল বাতাস কোথাও যেন জানান দিচ্ছিল ওরা আজ স্বাধীন স্বাধীন। এইভাবে ওই মনের মানুষগুলো এই বোন কে আঁকড়ে ধরে আগলে ধরে এক অন্য রকম পরিবেশ নিয়ে বসবাস করছে। আর ওখানকার ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে বাড়িতে প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠেছে আর স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা বনের প্রত্যেকের সাথে নিজেদের সম্পর্কে লিপ্ত করা সবই চলছে এইভাবে ওরা আজীবন স্বাধীন ভাবে বেঁচে আছে সত্যিই ওদের মেলবন্ধন পারস্পরিকতা স্বাধীনভাবে জন্ম অন্তর প্রকৃতির মা দু চোখ ভরে দেখে যাচ্ছে সত্যি এক অন্যরকম রূপরেখা নিয়ে তৈরি হয়ে আছে প্রকৃতি মায়ের কোলে। সত্যি ওরা স্বাধীন স্বাধীন যা অটুট থাকবে আজীবন।








কার কি কাজ
       বিপ্লব গোস্বামী

নানা অঙ্গে অবয়ব
জানি মোরা সব,
কার কি কাজ বলে যাই।

দু চোখেতে দর্শন
দু কানেতে শ্রবণ,
এক নাকেতে গদ্ধ পাই।

দু পায়েতে হাঁটি
দু হাতেতে পরিপাটি,
এক মুখেতে খাবার খাই।










    আসুক চেতনা
                 নব কুমার

বীজ-অঙ্কুরিত হয় জরায়ু ভেদনে
সৃষ্টির উল্লাসে মাতে মন মেদিনীর।
যন্ত্রণা মিলায়ে যায় জাতক ক্রন্দনে
হাসিমুখে সহে ক্লেশ বৃক্ষের শরীর।

অচল ভুবনডিঙা তব কৃপা বিনা
বক্ষের তরলে পুষ্ট কণীকা জীবন।
পরাভূত আজীবন নারীর বাসনা
প্রমোদ বর্জিয়া করে লালন-পালন।

কুসুমপেলব হৃদি আতঙ্কিত হায়!
গৃধ্রদৃষ্টি দগ্ধ করে ভুলে মাতৃঋণ।
বিকৃত কামের আঁচে অঙ্গপানে ধায়
নিমজ্জিত পাংশু হ্রদে শিষ্ঠাচার ক্ষীণ!

মনের আবিল মুছে আসুক চেতনা
যোগ্য সম্মানে নারীর ঘুচুক যাতনা।








                  " এই বিংলায় "
             
                  হামিদুল ইসলাম
                   

এখনো আছি
এই বাংলায় এখনো আছি
এখনো আছি বেঁচে
বাংলার বধূঁ জল নিয়ে যায় কলসি করে
দেখে ভাবি এই আমার সোনার বাংলা
জীনানন্দ যেখানে খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলার মুখ
তাই পৃথিবী খুঁজতে যান নি আর ।

জীবনানন্দ আজ নেই
আছে তার বনলতা
সে-ই এখন বাংলার মুখ
বাংলাকে খুঁজে পাই বাংলাতেই
তাই পৃথিবী খুঁজতে যেতে হয় না আর
হায় রে জীবনানন্দ !
এই বাংলায় এখনো আমাদের বাস ।

বাংলা আছে তাই আমরা আছি
আমরা আছি বাংলায়
আমরা এখন হাজার জীবনানন্দ
এই বাংলায় হাজার বনলতার সাথে মুখোমুখি করি দেখা
বাংলার মাটি বাংলার জল
বাংলার বনলতার মনে এখন কেবল চঞ্চলতা
তবু বনলতা আছে, এখনো আছে এই সোনার বাংলায় ।








কবিতা :
       আমার কথা!
                   বিশ্বজিৎ কর

আমার চেতনাকে,
ওরা আঘাত করেছে-
আমি দেব প্রতিবাদ!
আমার বিশ্বাসে,
ধরিয়েছে ফাটল-
আমি দেব আস্থা!
আমার ভালবাসায়,
ওরা সন্দেহ করেছে-
আমি দেব হৃদয়!







To the Kingfisher
              By Sabir Ahmed

To catch the fish
That are small and innocent
With its long,pointed beak
 A kingfisher sat on a narrow slender branch
           O'er the glass-water.
           It oft thinks itself to be autocratic
How to wield keenly
 O'er the helpless mute fish.
Since morning stealthily
            It'd been steering around its head
       And observing still the game of fish
 From underneath the broad and flat leaves.
    Picks and picks 'em one by one
                  To fill the empty stomach.
Unfortunately,
A predator raccoon rushes up like a spy
And catches the neck of kingfisher
       With its dexterous front paws.
A few minutes later the kingfisher dies.







অনুগল্প
      মেলার মাঠের স্মৃতি
                       মিনতি গোস্বামী 

শুভ্রকে ভালো লাগে অদিতির।কলেজের নবীন বরণের দিন কাছে এসে আলাপ করেছিল।
 লম্বা, ফর্সা, একমাথা কোঁকড়ানো চুল।
চোখদুটো দেখে মনে হয় অন‍্যের মনের ভাষা
বুঝতে পারে। সাদা পায়জামার সঙ্গে
হলুদরঙের শান্তিনিকেতনের বাটিকের পাঞ্জাবি পরে এসেছিল শুভ্র। নবীনবরণের অনুষ্ঠানে রুচির পরিচয়ে অদিতি মুগ্ধ হয়েছিল। অনেক ছেলেই জিন্সের সঙ্গে গেঞ্জি, মেয়েরাও জিন্স পরে এসেছিল।অদিতি এসেছিল মায়ের একটা লাল পাড়ের সাদা ঢাকাই পরে।শুভ্র সেদিনই বলেছিল,
'তোমাকে খুব ভালো লাগছে, মাথায় ফুল দিতে পারতে। শুভ্র গান গায়।
নবীনবরণের অনুষ্ঠানে গান ও গেয়েছিল।
             দুজনেই ইংরাজীতে অনার্স,এক স‍্যারের কাছে টিউশন । সময়ে ঘনিষ্টতা বাড়ে।
মাস তিনেক বাদেই বসন্ত এসে গেল।
 বর্ধমানেও এখন শান্তিনিকেতনের মত
বসন্তোৎসবের আয়োজন হয়।অদিতি আর
শুভ্র দোলের দিন গেল মাঠে।ওখানে শুধু ইয়ং
ছেলেমেয়েরাই।মঞ্চে অনুষ্ঠান চলছে।মাঠে
 দোলখেলা। লাল আবীরে সিঁথি,গাল ভরিয়ে দিল শুভ্র। সবাই বাঁধনছাড়া , নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়েই ব‍্যস্ত। মেলার মাঠ বৃন্দাবন।
হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি।ওরা দুজনে ছুটে একটা
কুঁড়ের বারান্দায়।দুজনের প্রথম ঘনিষ্টতা ।

উষ্ণতায় ডুবে গেল দুজনে।
সাতবছর আগের বসন্তোৎসব অদিতির
কাছে স্মৃতি। আজ অন‍্যের ঘরণী।
 ভালো লাগেনা দোল।
অবসরে আজো ঘোরে মেলার মাঠে।

🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥

উপকণ্ঠ মহরম সংখ্যা লেখা আহ্বান বিজ্ঞপ্তি










0 comments: