উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/08/2020 Upokontha Sahitya Patrika
Upokontha_Megazine_26-08-2020
"উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-26/08/2020, বুধবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-26/08/2020, বুধবার
সময় :- সকাল 10 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-26/08/2020 |
🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত সেক আসাদ আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প.... আজ সপ্তম অংশ (শেষ অংশ) প্রকাশিত হল
নিজের পরিচয়
সেক আসাদ আহমেদ
সপ্তম অংশ
বিকেল সাড়ে পাঁচটা।
দীঘা সায়েন্স সেন্টার রতনপুরে পৌঁছালো। রাস্তাঘাট কেমন যেন বদলে গেছে, বাড়ি কোথায় বুঝে উঠতে পারছে না। বুঝবে কেমন করে দীর্ঘ ১২ বছর চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে সবই যেন ভুলে গেছে সে। কাউকে কী জিজ্ঞাসা করবে, কেমন লজ্জাবোধ হয় তার।
তাছাড়া কে?
এতদিন কোথায় ছিলে? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাকে।
এদিক ওদিক কেমন থতমত খাচ্ছিল সে। অনেকক্ষন এদিক ওদিক ঘোরা ঘুরি করে কিছুই খুজে পেল না। তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে । ভাবনা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ এক বুড়ি মা এগিয়ে এলেন। পরনে সাদা শাড়ি মাথার চুল সাদা। কেমন যেন একটা গন্ধ ও ভেসে এল অনেক চেনা গন্ধ টা। কেমন অস্থির হয়ে উঠল সে।
— তুমি বাড়ি যাবে বাবা? কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন বুড়ি মা।
— হ্যাঁ আমি বাড়ি যাব। হতভম্ব হয়ে বলল খালেক
— তুমি খালেক তো?
অবাক হল খালেক, ইতস্তত বোধ করল খালেক তবুও জবাব দিল — হ্যাঁ।
— আমি ঠিক আপনাকে চিনতে পারলাম না?
— চিনতে পারবে না বাবা।
তিনি মাথা নাড়াতে নাড়াতে ঘুরে ঘুরে পড়ে এগিয়ে চললেন।
কী করবে খালেক কিছু বুঝতে পারছে না, এদিকে সন্ধ্যা গাঢ় হয়ে এল। সে ও এগিয়ে চলল পিছনে পিছনে।
আবার হঠাৎ বুড়ি মা বলে উঠলেন — তোমায় একটা সুখবর দিই বাবা ।
— সুখবর! কী সুখবর? তাছাড়া আপনিই বা কে?
— আরে আগে শোনো তো বাবা। যে জেলার সাহেব তোমার সাজা মকুব করছে, সে কে জানো?
কী???? একেবারে চমকে উঠল খালেক
কিছু টা অপ্রস্তুতভাবে বলল — না, জানি না, তিনি কে?
সত্যিই তো তিনি কে? কেনই বা সাজা মকুব হল, নিজেকে প্রশ্ন করল । কোনো উত্তর খুঁজে পেল না সে।
খালেক বিস্মিত হয়ে ভাবতে লাগল কেমন করে এ বুড়ি মা আমার গোপন রহস্য জানল ।
একই কোনো ফকির সন্ন্যাসী? নাকি জিন?
এসবের উত্তর খুঁজে পেল না, খুব ভয় হচ্ছে তার, চলতে চলতে থমকে দাঁড়াল। পিছনের দিকে দৌড়ে পালাবে ভাবল সে। কিন্তু পিছনে গাঢ় অন্ধকার, কী করে যাবে সে।
সামনে বুড়িমার পরনে সাদা শাড়ি যেন ক্ষীণ আলো ছড়িয়ে পথ দেখাচ্ছে।
এসব দেখে ভয় দ্বিগুণ বেড়ে গেল, হাত-পা কাঁপতে লাগল তার।
কী বাবা , কী ভাবছ? ও তুমি ভয় পাচ্ছো ,
কোনো নেই বাবা — বুড়ি মা পিছন ফিরে বললেন।
না, কিছু না, না ——না —কিছুটা থতমত হয়ে বলল খালেক আবার এগিয়ে চলল।
— তবে যা বলছি শোনো।
তারপর বুড়ি মা বলতে শুরু করলেন —
আজ থেকে ২৪ বছর আগে তোমার বাবার পরিচয় হয় দীঘায় একটি মেয়ের সাথে, মেয়েটি মুর্শিদাবাদ থেকে পরিবারের সাথে বেড়াতে এসে ছিল, তখন তোমার বাবা দীঘা সায়েন্স সিটির 'আকাশ-নক্ষত্র' প্রদশর্নীতে প্রজেক্টর হিসেবে কাজ কাজ করত। সেই সূত্রে তাদের দুজনের পরিচয়।
প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম... কিন্তু মেয়ের বাবা তা মেনে নেয়নি। পরে কিন্তু মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছিল। পরে কিন্তু মেয়ে জামাইকে নিতে এসেছিলেন কিন্তু তার মেয়ে নিজে যেতে চায়নি।
কারণ ওর ভয় করে ওর বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। এখন নিয়ে গিয়ে পাছে স্বামীকে জেলে পুরে দেয়, মেয়েটির বাবা জীবনে মেয়ের মুখ দেখবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে সেই যে গেছেন আর কোনোদিনই আসেননি।
এখন তিনি জেলার সাহেব...
কথা শেষে বুড়ি মা বললেন — বাবা এইতো তোমার বাড়ি...
বাড়ির কথা শুনে বুড়ি মাকে পেরিয়ে চোখভরে দেখতে লাগল।
কথা বন্ধ, হঠাৎ পিছন ফিরে দেখল বুড়ি মা ও নেই, আর সেই চেনা মিষ্টি গন্ধও নেই।
খালেক অবাক দৃষ্টিতে পিছনের দিকে তাকিয়ে রইল আর বলল
— যা বুড়িমা তো নিজের পরিচয় বলল না?
সমাপ্ত
দীঘা সায়েন্স সেন্টার রতনপুরে পৌঁছালো। রাস্তাঘাট কেমন যেন বদলে গেছে, বাড়ি কোথায় বুঝে উঠতে পারছে না। বুঝবে কেমন করে দীর্ঘ ১২ বছর চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে সবই যেন ভুলে গেছে সে। কাউকে কী জিজ্ঞাসা করবে, কেমন লজ্জাবোধ হয় তার।
তাছাড়া কে?
এতদিন কোথায় ছিলে? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাকে।
এদিক ওদিক কেমন থতমত খাচ্ছিল সে। অনেকক্ষন এদিক ওদিক ঘোরা ঘুরি করে কিছুই খুজে পেল না। তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে । ভাবনা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ এক বুড়ি মা এগিয়ে এলেন। পরনে সাদা শাড়ি মাথার চুল সাদা। কেমন যেন একটা গন্ধ ও ভেসে এল অনেক চেনা গন্ধ টা। কেমন অস্থির হয়ে উঠল সে।
— তুমি বাড়ি যাবে বাবা? কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন বুড়ি মা।
— হ্যাঁ আমি বাড়ি যাব। হতভম্ব হয়ে বলল খালেক
— তুমি খালেক তো?
অবাক হল খালেক, ইতস্তত বোধ করল খালেক তবুও জবাব দিল — হ্যাঁ।
— আমি ঠিক আপনাকে চিনতে পারলাম না?
— চিনতে পারবে না বাবা।
তিনি মাথা নাড়াতে নাড়াতে ঘুরে ঘুরে পড়ে এগিয়ে চললেন।
কী করবে খালেক কিছু বুঝতে পারছে না, এদিকে সন্ধ্যা গাঢ় হয়ে এল। সে ও এগিয়ে চলল পিছনে পিছনে।
আবার হঠাৎ বুড়ি মা বলে উঠলেন — তোমায় একটা সুখবর দিই বাবা ।
— সুখবর! কী সুখবর? তাছাড়া আপনিই বা কে?
— আরে আগে শোনো তো বাবা। যে জেলার সাহেব তোমার সাজা মকুব করছে, সে কে জানো?
কী???? একেবারে চমকে উঠল খালেক
কিছু টা অপ্রস্তুতভাবে বলল — না, জানি না, তিনি কে?
সত্যিই তো তিনি কে? কেনই বা সাজা মকুব হল, নিজেকে প্রশ্ন করল । কোনো উত্তর খুঁজে পেল না সে।
খালেক বিস্মিত হয়ে ভাবতে লাগল কেমন করে এ বুড়ি মা আমার গোপন রহস্য জানল ।
একই কোনো ফকির সন্ন্যাসী? নাকি জিন?
এসবের উত্তর খুঁজে পেল না, খুব ভয় হচ্ছে তার, চলতে চলতে থমকে দাঁড়াল। পিছনের দিকে দৌড়ে পালাবে ভাবল সে। কিন্তু পিছনে গাঢ় অন্ধকার, কী করে যাবে সে।
সামনে বুড়িমার পরনে সাদা শাড়ি যেন ক্ষীণ আলো ছড়িয়ে পথ দেখাচ্ছে।
এসব দেখে ভয় দ্বিগুণ বেড়ে গেল, হাত-পা কাঁপতে লাগল তার।
কী বাবা , কী ভাবছ? ও তুমি ভয় পাচ্ছো ,
কোনো নেই বাবা — বুড়ি মা পিছন ফিরে বললেন।
না, কিছু না, না ——না —কিছুটা থতমত হয়ে বলল খালেক আবার এগিয়ে চলল।
— তবে যা বলছি শোনো।
তারপর বুড়ি মা বলতে শুরু করলেন —
আজ থেকে ২৪ বছর আগে তোমার বাবার পরিচয় হয় দীঘায় একটি মেয়ের সাথে, মেয়েটি মুর্শিদাবাদ থেকে পরিবারের সাথে বেড়াতে এসে ছিল, তখন তোমার বাবা দীঘা সায়েন্স সিটির 'আকাশ-নক্ষত্র' প্রদশর্নীতে প্রজেক্টর হিসেবে কাজ কাজ করত। সেই সূত্রে তাদের দুজনের পরিচয়।
প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম... কিন্তু মেয়ের বাবা তা মেনে নেয়নি। পরে কিন্তু মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছিল। পরে কিন্তু মেয়ে জামাইকে নিতে এসেছিলেন কিন্তু তার মেয়ে নিজে যেতে চায়নি।
কারণ ওর ভয় করে ওর বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। এখন নিয়ে গিয়ে পাছে স্বামীকে জেলে পুরে দেয়, মেয়েটির বাবা জীবনে মেয়ের মুখ দেখবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে সেই যে গেছেন আর কোনোদিনই আসেননি।
এখন তিনি জেলার সাহেব...
কথা শেষে বুড়ি মা বললেন — বাবা এইতো তোমার বাড়ি...
বাড়ির কথা শুনে বুড়ি মাকে পেরিয়ে চোখভরে দেখতে লাগল।
কথা বন্ধ, হঠাৎ পিছন ফিরে দেখল বুড়ি মা ও নেই, আর সেই চেনা মিষ্টি গন্ধও নেই।
খালেক অবাক দৃষ্টিতে পিছনের দিকে তাকিয়ে রইল আর বলল
— যা বুড়িমা তো নিজের পরিচয় বলল না?
সমাপ্ত
হরিহর ময়রা
আব্দুল রাহাজ
চার রাস্তার মোড় সেখানে একটা ছোট্ট মিষ্টির দোকান সেই দোকানে থাকতেন হরিহর চাটুজ্যে। খুব ভালো মিষ্টি বানাতেন এলাকায় খুব নামডাক এমনকি গ্রামের অনুষ্ঠান বাড়িতে হরি হর মশাইয়ের ডাক পড়ে। হরিহর মশাইয়ের নাকি সুরেশ হাবুল জগা ও বল্টুদের প্রত্যেকদিন দাদুর তৈরি করা গোটাকয়েক মিষ্টি ওদের জন্য বিকেল বেলা নদীর ধারে আনতো। ওরা সবাই বেশ মজা করে খেত একদিন বেচারা ধরাই পড়ে গেল দাদুর কাছে খেলো কান মলা আ উ উ করতে করতে দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেল। পাড়ায় সেদিন অনুষ্ঠান হচ্ছে ওরা কয়েকজন যুক্তি করলো হরিয়র বাবুর মিষ্টি খাবে তোদের কাছে তো পয়সা নেই তা যা হয় হবে ওরা সবাই দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তখন হরিহর দাদু মিষ্টি বানাতে ব্যস্ত।ওরা চাপা গলায় বলল দাদু মিষ্টি খাব একটা করে দেবেন আরে চতুর্থ স্তম্ভ এসো এসো এসো আজ পাড়ায় অনুষ্ঠান বলে আমি তোমাদের মিষ্টি খেতে দেবো একেবারে কপাল খুলে গেল দাদু ওদের মিষ্টি খাইয়ে কাজে লাগালে ন। হাবুল বলল এটা কি হলো প্রথমে ভাবলাম ভালোই হলো এ তো দেখছি কান্ড হয়ে গেল আমাদের দ্বারা সব কাজ করিয়ে নিল পরেরদিন বিকেল বেলায় নদীর ধারে বসে এই কথা আলোচনা করছে ওরা এরমধ্যে বল্টু বলে উঠল একটা কাজ করবি দাদুকে ভয় দেখাতে হবে এমনিতে দাদু ভূত দেখলে ভয় করে তাহলে উচিত শিক্ষা পাবে সঠিক কথা জগা বলে উঠলো। তাহলে আজ রাতে দশটার দিকে করা যাক আকাশটা যেন কালো মেঘে ঢেকে আছে মনে হচ্ছে রাত্রে বৃষ্টি হবে তাহলে তো ভালই হবে। এমনিতে দাদুর শরীর রোগা পটকা দেখ না কি করি বাড়ি যাবে তো বাগান এর মধ্য দিয়ে একেবারে মোগমোলাই করব। সুন্দর দিকে খুব বৃষ্টি হচ্ছে এদিকে দশটা বেজে গেল ওরা সবাই সময়মতো পৌঁছে গেল সাদা কাপড় পড়ে লুকিয়ে থাকলো জগা একটা আস্তে করে আওয়াজ করে বললো আসছে আসছে দাদু আপন মনে আসছে ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে হাবুল হুম হুম করে উঠলো দাদু পিছন ফিরে তাকাল কেউ নেই তারপর জগা হিহি করে উঠলো দাদু ভয়ে কুপোকাত আমরা সবাই হইহই করে পালিয়ে গেলাম হতচ্ছাড়া দল সব। পরের দিন সকালবেলা দাদুর সাথে দোকান খুলে বসে আছি ওরা পা টিপে টিপে দোকানের সামনে দিয়ে চলে গেল টের পেল না ওরা মহানন্দে স্কুলে গেল। বাড়ি ফেরার সময় সুরেশ কে ডাক দিল এই সুরেশ শুনে যা তোদের স্কুল নাকি আজ শেষ হলো ও বলল হ্যাঁ আমাদের ইস্কুল আজকে শেষ হলো ওদের কেউ ডাকলো হরিহর হ্যাঁ হ্যাঁ এবারে আমরা শহরের স্কুলে পড়বো বা বা। খুব ভালো মে তো তোরা একটু সন্দেশ খা আর তো আমারে জ্বালাতে পারবি না কালকেই তো সবাই চলে যাবে জগা বললো সুরেশ কোথায় পড়বে দাদুপুর পিসির বাড়ি চন্দননগরে সত্যিই তাই তোর পিসিরা বাড়িতে এসেছে তোর নিয়ে যায় বলে। ওরা দাদুকে জড়িয়ে ধরে রাখলো ওরা বলল দাদা তুমি খুব ভালো মানুষ খুব ভালো মানুষ আমরা শহর থেকে পড়াশোনা করে ফিরে আসা পর্যন্ত থাকবে তো আরে বাবা হ্যাঁ হ্যাঁ না থাকলে তোদের মনের মধ্যে স্মৃতি হয়ে থাকবো হরিহর ময়রা হিসেবে। তোদের মাঝেই আমি বেঁচে থাকব আজীবন।
অ্যালজাইমা
সিদ্ধার্থ সিংহ
কিছুই মনে রাখতে পারছি না আর।
কে যে বলেছিল, অমুক সম্পাদকের সঙ্গে আপনার তো দারুণ যোগাযোগ
আমাকে একটু আলাপ করিয়ে দিন না...
কে যে বলেছিল, পা অপারেশনের পর দিন দিন আরও সমস্যা হচ্ছে
ভাল কোনও অর্থোপেডিক থাকলে বলবেন তো...
কে যে বলেছিল, আমাদের বাড়িওয়ালাটা খুব খারাপ মানুষ
আপনার তো ছত্রিশটা বাড়ি
ছোট্ট একটা ঘর হলেও হবে, দেখুন না যদি হয়...
কে যে কী বলেছিল!
কিছুই মনে রাখতে পারছি না আর
তাই এরটা ওর
ওরটা তার
আর তারটা এর সমস্যা ভেবে আমি যেই সমাধান করতে যাই
অমনি বুঝতে পারি
আমি কী কেলেঙ্কারি করে ফেলেছি...
কিছুই মনে রাখতে পারছি না আর
গুলিয়ে যাচ্ছে, গুলিয়ে যাচ্ছে, গুলিয়ে যাচ্ছে কোনটা শেফালি, কোনটা সাবিনা আর কোনটা জুলিয়া...
ব্যর্থ প্রেম
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
কে তুমি গো আজও রয়েছো মনতটে
শুধুই দরিয়ায় মিথ্যার জাল বুনে
জানিনা তবে কিসের গান শুনে শুনে
নেমেছে ঝুরি জীবনে অজানা সংকেতে !
স্বপ্নের মতো দেখতে তোমার আনন
অপরিচিতা! ক্যাম্পাসের মিছে অনুভবে
যখন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
ভাবিনি সেটায় এত যে দুঃখ বেদনা
ফুলহীন সৌরভ হীন হবে কানন!
আজ মোরে অতি যত্নে জানালে বিদায়
নীরবে এলেম ফিরে নিশীথে
যৌবনা!
বিস্মিত হলেনা তুমি, তোমার মালিকা
দূর হতে দেখলে শুধুই অপলকে।
সংগ্রাম
জুয়েল রূহানী
সময় এসেছে যুদ্ধে যাবার
করিস নে আর দেরি,
কোথায় আছে ঢাল-খঞ্জর
কোথা আছে তরবারি!
বুকে নিয়ে আজ কালিমার বাণী
কর্ রে আঘাত কর্
রণাঙ্গনে তাকবির ধ্বনী-
আল্লাহু আকবার!
করিস নে ভয় হানতে আঘাত
যারা ইসলাম বিরোধী,
তারা মুসলিমরূপি বেঈমান-
নাসারা ও ইহুদী ।।
কবিতা :মা,মাগো !
বিশ্বজিৎ কর
তোমার হাতের ছোঁয়া পাই,
আমার ভাল না-লাগার উঠোনে!
তোমার গন্ধ পাই,আজও-
ভোরের প্রথম আলোয়!
তোমার প্রতীক্ষায় উৎকন্ঠার কবিতা দেখতাম,
তোমার আর্শীবাদের অভয় বাণী আজও শুনি,
তোমার আঁচলের হাওয়া যেন পীরবাবার মুশকিল আসান মন্ত্র!
মাগো,দিন চলে যায় তোমার না-থাকার বিষণ্ণতায়!
অনুকবিতা :
নববর্ষের প্রাক্কালে
সায়ন প্রামানিক
চেয়ে দেখো মৃত্যুমিছিল
পৃথিবী আজ ধ্বংতসস্তুপে ,
শুভ নববর্ষে ফিরুক সভ্যতা
পুরানো সেই আদিম রূপে।।
আকাশ
হামিদুল ইসলাম
এখন মেঘেরা গর্ভবতী
পাটকুয়ো ভেঙে গেছে কতোদিন আগে
জল নেই একফোঁটা ।
বৃষ্টি হলে মনটা দোহারি হয়ে ওঠে
যেনো ছন্নছাড়া জীবন
দোলনচাঁপা ফুল ।
এখন গর্ভবতী ধানক্ষেত
পাতাগুলো লকলক করে বেড়ে চলেছে আকাশ অবধি
তালগাছ টা বুড়িয়ে যাচ্ছে ।
নিরানন্দ জীবন
বারবার খোঁজে সঙ্গীহীন মন
খুঁজে পায় না আপন বাসা। মাথা গোঁজার আকাশ ।
চির বিদ্রোহী
বিপ্লব গোস্বামী
তুমি চির বিদ্রোহী,করেছ বিদ্রোহ
আজীবন আপুষ বিহীন,হে মহাবীর
করেছ লড়াই বলদর্পী অত্যাচারী সনে
তবু কভু হওনি নত শীর।
বিলিয়েছ তুমি বিদ্রোহী বাহী
নিখিল অখিল ব্যাপীয়া,
তোমারি ভয়ে অত্যাচারী সবে
উঠেছিলো সেদিন কাঁপিয়া।
নির্ভীক তুমি করেছ প্রতিবাদ
যেখানে যখনই হরেছ অন্যায়,
ধরনী তুমি ভাসিয়ে দিয়েছ
তব প্রতিবাদের বন্যায়।
রাজদণ্ড ভয়ে যে গান গাইল না কেউ
সে গান গাইলে তুমি,
গেয়েছিলে গান নির্ভীক তুমি
বীরেদের জন্মভূমি।
অত্যাচারী শাসক দিয়েছে কারাবাস
তবু হওনি নত শীর,
করেছ রণ কলম সৌনিক
চির উন্নত তব শীর।
দুখু মিয়া তোমার দুঃখ বিনা
সুখ এলো না জীবনে,
শেষবেলা ধরলে মৌন ব্রত
কোন সে অভিমানে।
কি জানি হয়তো
অঞ্জলী দে নন্দী,মম
স্বপ্ন দেখতে দেখতে দেখতে....
আমরা ক্লান্ত!
বলছে দুনয়ন।
তবুও করি
যেই শয়ন,
শুরু করি
স্বপ্ন দেখতে;
একি সত্যি নাকি
ভ্রান্ত?
ওহে, আগামী!
বলবে তা কি?
আমার তো কত রকমারী স্বপ্ন আছে!
কোনটা সস্তার, আবার কোনটা খুবই দামী!
এই যেমন ধর - আমি,
গত বৃহস্পতিবার ভোরে,
স্বপ্ন দেখলুম-
আমার ব্যালকনির মানি প্ল্যান্ট,
সেই গাছে,
ও বাবাঃ! খোকা থোকা থোকা.....
মানি হয়ে আছে।
আহা, স্বপ্নের ঘোরে,
মনটা এক্কেবারে গেলো ভরে!
ও মা! চোখ খুলে দেখলুম,
আমি এক্কেবারে বোকা!
কোথায় মানি?
সবুজ পাতায় আছে ভরে
আমার মানি প্ল্যান্ট।
তবুও আশায় থাকি!
কি জানি,
হয়তো স্বপ্ন আমার,
সত্যি হবে!
তবে, যাই হোক না কেন!
স্বপ্ন দেখা নয় তো থামার.....
এদের থামাতে পেরেছে, কে কবে?
এখন তো আবার সবাই রিসার্চ করে,
স্বপ্ন কি? কোথায়, কবে, কেন?
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি.....
এখনও অনেক জানার যে আছে বাকী!
হ্যাঁ গো! স্বপ্নরা কাজ করে,
অনন্তকাল ধরে.....
এর নাই অন্ত; নাই আদি......
নিদ্রা তো সফল হয়,
এই স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরে।
তাই তো বলে নিশির সময়।
কবিতা
এই এখন
মিনতি গোস্বামী
এই ঘরবন্দী এই জলবন্দী আছি এখন বেশ
কাজের কথা বলাই এখন শ্লেষ
অন ক্যামেরা এখন বসে বসে তুলছি ছবি
লিখছে যখন মন তখন কবি।
শহর এখন জলমগ্ন সবাই জলের যাত্রী
নৌকাবিহীন সফর নেই কোন সান্ত্রী
যাত্রীরা খবরে নেই, খবরে নেই জল
বুকে গহীন নদী বয় কলকল।
নগর জীবন জলে, জলে নাগরিক
উন্নয়নের ক্ষমতা এখন আসুরিক
ভোটটা দিলে জলে ডুববে জলে
ফল লেখা চিরদিন কর্মফলে।
অপেক্ষা
উমর ফারুক
ক্ষনিকের ভীর :
বাদলের ক্রন্দনে তুমি হাসো
তোমার ক্রন্দনে বাদল হাসে।
হাসি কান্নার রঙ মিলে হয় জীবন
জীবনের সাত রঙের একটি অপেক্ষা
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না
যদিও একবার অবসান ঘটে
ক্রমাগত কষ্টের উল্কাপিন্ড ঠু মেরে
মাটিতে মুখ থুবরে পরে থাকে ।
কিন্তু অপেক্ষার শেষ দেখা টা
অলীক কল্পনার দেশ হতে
মুখ ঢেকে অলস সূর্যের ছায়ায়
অগ্নি দগ্ধ চোখ খোলা রেখে ঘুমোয়
জেগে উঠেই কফিন বন্দী কবরে!!!
ছুুুটির দিনচর্যা
মহীতোষ গায়েন
ছুটি মানেই আনন্দ খুব ভীষণ আবার অস্থিরতা,
শিরায় শিরায় দহন,গভীর বিষাদ,বিবাদ আবার
শান্তি-খোঁজে কাব্য আর গল্প লিখতে পাগল হওয়া।
ছুটি মানেই আরাম-যাপন,সম্পর্কের টানাপোড়েন,
চাপা গুমোট,বাজার থলে,মতের অমিল,রেষারেষি,
স্বপচারণ পাগলামি ও স্বপ্নভঙ্গ বে-তদবির প্রবঞ্চনা।
ছুটি মানেই মাংস লুচি,খুনসুটি আর ঘুরতে যাওয়া,
কফিহাউস,বাবুঘাট আর মনজিনিষ,আঙুল চোষা,
গভীর রাতে ঘুমের দেশে একলা ঘরে বাদশা হওয়া।
ছুটি মানেই খবর দেখা,খবর বেচা,চোখেতে চোখ...
শরীর মনের মধুর মিলন,কষ্ট ভরা,প্রেম-নদীতে নৌকা
ভাসা,ছন্দ-জীবন চোরাস্রোতে সহবতের সাঁতার কাটা।
সংসারের যাঁতায় পুরুষ
বিমান প্রামানিক
পুরুষ যেন আজ হারিয়েছে পৌরুষতা
পড়েছে সংসারের যাঁতাকলে
বৌ তার দেখায় অদ্ভুত বারতা
নিয়ম দিয়েছে সব বদলে।
বাবার আমলে দেখেছি তাঁর গাম্ভীর্যতা
সর্বদায় মায়ের মুখটি চুপ
তাঁরাই ছিলেন পুরুষ, ছিল পৌরুষতা
তখন নারী মানেই চুপ।
আজকের দিনে নারীর হাতেই সংসার
আজ পুরুষের মুখটি ভার
নারী পরিচালিত সংসারে নেই অধিকার
পুরুষের প্রতি হচ্ছে বলাৎকার।
পুরুষকেই ভাবতে হয় সংসার চালাতে
কি তারে করতে হবে?
সকাল হলেই কাজের টানে হয় ছুটতে
কোথা থেকে অর্থ আসবে?
ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ, বৃদ্ধ পিতা মাতা
মাথায় তার কত কিছুর চিন্তা
পুরুষকেই নিষ্পেষিত করে সংসার রূপী যাঁতা
সংসারের আকাশে পুরুষই ছাতা।
অবিবাহিত পুরুষকেউ সংসারের চাবি হাতে
দেখেছি তাদের সংসারের কাজে
পুরুষ মানের চিন্তায় ভরা মন, সংসার চালাতে
বোন দিদির বিয়ের সাজে।
পুরুষই পারে সংসার সামলাতে নিজের ছাতাতে
সর্বদা সচল সংসারের হানি টানতে।
শরৎ এলে
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
শরৎ এলে দোল খেয়ে যায়
সাদা কাশের বন,
তুলোর মত মেঘ গুলো সব
উদাস করে মন।
শরৎ এলে শিশির ভেজা
ঘাসের ডগাই হাসে,
মাঠে মাঠে পাগলা হাওয়ায়
সবুজ ফসল ভাসে।
শরৎ এলে শাপলা শালুক
নদীর জলে ফোটে,
দুষ্টু ছেলে সাঁতার কেটে
অমনি সেদিক ছোটে।
শরৎ এলে পাখীর গানে
জুড়ায় সবার প্রান,
অাকুল করে শিউলী টগর
জুঁই চামেলীর ঘ্রান।
শরৎ এলে জোনাক মেয়ে
ছড়ায় শুধু আলো,
এই শরতে আনন্দ ঢেউ।
তাইতো লাগে ভালো।
0 comments: