বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 05/08/2020

             "উপকণ্ঠ 05আগষ্ট সংখ্যা "
             "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-05/08/2020,বুধবার
               সময় :- সকাল 10 টা


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে
Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে
Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

         ধর্ম
             রঞ্জনা রায়

 স্বপ্নের খোঁজে সবাই আজ স্বপ্নহীন
 পলাশী ঝরে রক্ত ব্যথাই ফাগুন ।

 দিনরাতের সীমানা ঘেঁষে
 বেয়নেট হাতে হিংস্র উল্লাসে
 দাঁড়িয়ে আছে কারা ?

 ধর্ম ছেড়েছে ধর্মের অধিবাস
 ধর্ম মানে ধারণ নয় আজ
 ধর্ম আজ অধর্মের নামান্তর
 ধর্ম এখন হত্যার পঞ্চশর







পারস্পরিক
              রাজীব কুমার নন্দী
(১)
তোমরা যখন নেপটিজম বলো।
আমি ঠিক তখনই ভালোবাসা লিখি।
তোমরা যখন রাজনীতি করো।
আমি তখন রাজা সাজি!
তোমরা যখন মৃত্যু লেখো।
আমি তখন জীবন আঁকি।
তোমরা যখন লোডশেডিং এর রাতে।
আমি তখন আলো লিখি কাব্যে।
                     (২)
এমন একটা ভোর হবে!
তার আগে....
রাত্রিরা ও অন্ধকারে ভয় পাবে!
এমন একটা ঝড় হবে!
সব মৃত হাওয়াই ফুরিয়ে যাবে...
সূর্য ডোবার আগে...
                   ( ৩)
একটি আয়না মৃত্যু বলেছে।
জীবন আসার আগে।
পাগলদলেই হাসতে শিখেছে
আলোয় ফেরার আগল।
                   ( ৪)
বাঁচবো এমন করে
যাতে মৃত্যুও আসে ভয়ে ভয়ে!
ভালোবাসবো এমন করে
মৃত প্রেমিকারাও উঠবে জেগে!









   লাল নীল সংসার
             মৌসুমী গুহ রায়
বাষ্প ও বেদনায় হৃদয় ছিল কাতর,
আলোদি এনেছিল কতগুলো আতর।
সংক্ষুব্ধ ছিল মন
আনন্দের আয়োজন।

মাহি নগরে ঝুরি নামা বটগাছ,
আত্রেয়ী নদীতে রায়কর মাছ।
সব্জির চাষ চরে,
সবুজ মনে ধরে।

পাগলীগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ব্রিজ,
মাইনের টাকায় গোলাপি ফ্রিজ।
লাল নীল সংসার,
জীবন ছিল অসার।
           







কবিতা :
            ফিরে আসবই !
                        বিশ্বজিৎ কর

সন্ধ্যা-বৃষ্টি ভেসে যাওয়া জলে,
তোমার প্রতিবিম্ব দেখলাম-
কেমন যেন অজানা,এড়িয়ে যাওয়ার!
হারিয়ে গেছ তুমি বিস্মৃতির প্রচ্ছায়ায়!
প্রয়োজনের মাপকাঠিতে ভালবাসা এক অভিনয়!
কবিতার বাগানে গান নেই,পাখির!
গন্ধ নেই,ফুলের!ছন্দ নেই,মৌমাছির!
অতন্দ্র প্রহরীর মতো কবি জেগে আছে-
শুনে রাখো,কবি ফিরে আসবেই!







                      তুমি
                হামিদুল ইসলাম
       
       
তুমি দেশ মাতৃকা
তোমার শ্রীচরণে কবিতাকে রাখি
আমার প্রণাম
কবিতাকে নিয়ে যাই মানুষের মুক্তির সংগ্রামে।

বিপ্লবী কবিতা আনি
দেশে আসুক বিপ্লব
আমুল পরিবর্তিত হোক সমাজব‍্যবস্থা
বিপ্লবীরা দেশ দখল করলে কবিতার বহর বেড়ে যায় রোজ ।

কবিতা উৎসর্গ করি
তোমার হৃদয়ে
তুমি বিপ্লব
বিপ্লবের মন্ত্রণা আজ প্রতিটি মানুষের অণুতে পরমাণুতে।









কবিতা
       লুট
             মিনতি গোস্বামী
রাতে
হঠাৎ দেখি
আমার চোখের সামনে
পিঁপড়েরা সারি সারি এসে
সব খাবার করে নিল লুট
বোকারাম আমি চোখ দুটো দিই ঢাকা।

এ বয়সে নতুন করে জন্মাবেনা পাখা
কে আর চায় হতে দলছুট!
সংখ‍্যারা এসে দেয় ঠেসে
আসল খেলা পিছনে
দিনলিপি লিখি
প্রভাতে।








          বিদায় বেলা
                    কনিকা রায়

এই ধরা ধাম থেকে
যেদিন যাব চলে ,
না বলা কথা যা ছিল মনে_
আমি যাবার আগে বলবো তোমায় , যে কোন ছলেবলে।

সেদিন তুমি বুঝবে
কত দিন আমি, তোমার পথ পানে চেয়ে রয়েছি একাএকা।
এখন যাবার বেলায় শুধু বলে যাই-
পরজন্মে যেন আমি তোমায় , বড়ো আপন করে পাই।









    ইচ্ছেধারী
                 বিপ্লব গোস্বামী

যেমনি করে শিশু খেলে
                           বাল‍্য বয়সে,
ভাঙে গড়ে মাটির পুতুল
                        মনের হরিষে।

     ক্ষণে স্মরে, ক্ষণে ভুলে
     ক্ষণে গড়ে, ক্ষণে তুড়ে।

   অমনি করে খেলছো তুমি
              মানব জীবন নিয়ে,
সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা
            জয়,পরাজয় দিয়ে।

রাজা, ফকির, মুনিব, নকর
                  বড়, ছোট করে,
অহং, লোভ, স্বার্থ দিয়ে
       পাঠিয়েছো ভবের মাঝারে।

যেজন অহঙ্কারে মত্ত হয়
                    করো তার পতন,
দীনের করো রাজা তুমি
                 আপন ইচ্ছে মতন।

উচ্ছ হয়ে নিম্নে যারা
                    করে যখন হেলা,
তুমি তখন তোমার মত
                    শুরু করো খেলা।

উঁচুরে করো নিচু আবার
                        নিচুরে করো উঁচু,
উচ্ছ শ্রেণীর অহং নাশে
                      কলঙ্ক দেও পিচু।

রাজারে করো ভিখারী আবার
                     ভিখারীরে করো রাজা,
অহঙ্কারীর অহং নাশে তুমি
                   বড় পাও মজা।









আজ বেঁচে থাকাটাই উৎসব
               আব্দুল রহিম

আজ ব‍্যস্ত জোরদার
                        সামনে মহা উৎসব
 নেই কোনো ঝাড়ুদার
                       তবু মহা তোরজোড়
সানাই বাজে সব ঘর ঘর
               শিশু আজ ক্ষুধায় কাতর
মা ব‍্যস্ত উৎসবের চিন্তায়
             ঘরে নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়
কবির কলম কাঁদতে চাই
               কিন্তু ভারত মাতা ঘুমিয়ে
স্বপ্ন আকেঁ মনের খাতায়
               শিশু ডাকে মাগো ওঠো ওঠো
 হাঁটতে হবে অনেক পথ
              মা তুমি জাগো,মা তুমি জাগো
মা তুমি কেন কথা বলোনা গো
              আমি আর করবোনা বাইনা গো
একবার চোখ খুলে বলোনা গো
           খোকা আর কেঁদোনা এইতো আমি
 মা জাগো জাগো, মা ওঠো ওঠো
              আজ বিশ্ব জুড়ে মহা উৎসব
 বাড়িতে বাড়িতে মহা তোরজোড়
             তোমার প্রদীপ জ্বলে ঘর ঘর
 মা তুমি জাগো মা তুমি ওঠো
            আজ বেঁচে থাকাটাই মহা উৎসব।।








   যেতে হবে
        মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

 এই পৃথিবী ছেড়ে সবার
যেতে হবে ভাই
থাকতে জীবন মিলেমিশে
করো বসবাস।

মানুষ হয়ে ভবের মাঝে
রইবে যতক্ষণ
মিলেমিশে থাকবে সবে
হিংসা থাকবে কই।

মৃত্যু যখন আসবে তোমার
বাঁচবেনা তখন
ধরার মাঝে করে যাও
আঁখেরাতের সম্বোল।

সোনার খাট ছেড়ে তোমার
যেতে হবে পরোপার
ধনো সম্পদ দাও বিলিয়ে
শান্তি পাবে সেথাই।

জন্ম মৃত্যু আল্লার খেলা
ভবের মাঝে তার
ছুটি নিয়েছো দুদিনের
ছেড়ে দিয়েছে তাই।









        একটি মেয়ে
                 আব্দুল রাহাজ

সময়টা ছিল রহিম দের কাছে স্কুল জীবনের সেই দুটো বছর ওরা রসুলপুর হাই স্কুলে পড়তো তখন সবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে সবাই নতুন বন্ধু এক অন্যরকম পরিবেশ নিয়ে ওদের স্কুল শুরু হল একদিন ওরা ইস্কুলে গেল খুব সকাল সকাল ওর বন্ধুরা এলো সেদিন পবিত্র হৃদয় সুব্রত রহিম স্কুলের তিনতলায় দিকে ঘুরতে গেল ওরা দেখল একটা ছোট্ট মেয়ে কি সুন্দর বোর্ডে আঁকছে মনে হয় সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস তারপর দিন যায় দিন আসে রহিমদের শেষ বিদায়
বেলা দিকে চলে একাদশ শ্রেণির মাঝামাঝি সময় দেখলাম স্কুল সেই মেয়েটির হাত ধরে জেলাস্তরে সৃজনশীল কাজে প্রথম হয়েছে তাই নিয়েই স্কুলে অনুষ্ঠান হচ্ছে সবাই সেদিন খুব খুশি। তারপর চলে আসে রহিম দের সেই বিদায় বেলা কত স্মৃতি নিয়ে রোহিম স্কুলজীবন শেষ করল কিন্তু রহিম সেই বোর্ডের আঁকাটা এখনো ভুলতে পারল না দ্বাদশ শ্রেণীর মাঝামাঝি সময়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও সে আর হয়ে ওঠেনি এসব কথা ভাবতে ভাবতে রহিম বাড়িতে এলো তারপর যা ছিল সব অতীত বেশ কয়েক বছর কেটে গেল রহিম কাজ পেয়েছে যুগান্তর পত্রিকায় ওর বন্ধুরা সবাই ভালো জায়গায় কাজ করছে একদিন হঠাৎ সুব্রত ফোন আসে ও বলল জানিস সেই মেয়েটা ইস্কুলে সৃজনশীল কাজের জন্য জাতীয় স্তরে স্থান পেয়েছে রহিম ঠিক বুঝতে পারল না তারপর সুব্রত বলল একটু ভেবে দেখ স্কুলজীবনের সেই দিন টা রহিম তিড়িং করে লাফ মেরে উঠল হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ তাই নাকি তা বেশ ভালো। এরপর যুগান্তর কাগজের সম্পাদক রহিম কে বলল একটা সাক্ষাৎকার নিতে হবে পুরো ঠিকানা রহিমের কাছে দিয়ে দিল পরের দিন সকালবেলা ওই ঠিকানা ধরে গাড়ি চলতে শুরু করল সেখানে গিয়ে পৌঁছলো বাড়িতে নক করতেই বেরিয়ে এলো এক ফর্সা ছিপছিপে শরীর চুলগুলো বেশ বড় মনে হয় বয়সটা চব্বিশ পঁচিশ হবে তারপর ঠিকানায় লেখা নাম ধরে রহিম বলল আপনি সাদিয়া ইয়াসমিন বললেন হ্যাঁ তারপর রহিম ওর পরিচয় দিল বিভিন্ন কথাবার্তা আলাপ-আলোচনা হলো ভালো একটা সাক্ষাৎকার হল সাক্ষাৎকারের মাঝে মেয়েটি বলে উঠল আমি তোমায় কোথায় একটা দেখেছি তো অনেকক্ষণ ভেবে দেখল বলল হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি আপনাকে আমাদের ইস্কুলে দেখেছি আমি সেদিন বোর্ডে আঁকছিলাম তোমরা তিনজন বন্ধু আমাদের ক্লাসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলে রহিম বলল হবে হয়তো তারপর রহিম একটু ভেবে বলল হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ রহিম অবশেষে নিজেকে ধন্য বলে মনে করল তারপর রহিম শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্ন করল যে সৃজনাত্মক কাজের পাশাপাশি কি করতে ভালো লাগে মানুষকে সেবা করতে ভালো লাগে ও আচ্ছা আচ্ছা শেষে মেয়েটি বলল দারিদ্রতা আমাকে শিখিয়েছে এই পর্যায়ে আনতে প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সে আজ জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী করছে তার কাছে শেষ কথাই ছিল চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নাই এই বলে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হলো রহিম ভাবতে লাগলো এইসব বিষয় নিয়ে তারপর আস্তে আস্তে সেই মেয়েটি মানবসেবায় উজ্জীবিত হল বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নাম উঠতে থাকলো এই ভাবেই বাকি জীবনটা সেই মেয়েটি নিজেকে উৎসর্গ করেছিল মানবসেবায়।








বাংলার মুখ
             হরিহর বৈদ‍্য

জন্ম মোদের বাংলাতে তাই
   আমরা বাঙালী ভাই,
বাংলা ভাষায় কথা বলি
   আর বাংলাতে গান গাই।

বাংলা আমার প্রাণের কবিতা
    বাংলার নদী-নালা,
বাংলার ফল, বাংলার পাখি
    বাংলার ফুল-মালা।

বাংলার মাঠ, বাংলার পথ
    সবুজ-শ‍্যামলে ভরা,
বাংলার বন, কাড়ে প্রাণ-মন
    হাতছানি দেয় তারা।

ফসলে ভরা সবুজ মাঠেতে
   মেঠো পথ আঁকা-বাঁকা,
দলবেঁধে খেলা, গাজনের মেলা
    যেথা পরানের ভালোবাসা।

বাংলা মোদের জননী সম
    স্নেহের মমতা মাখা,
পাখির কুজনে কলোরব করে
    ডাকে তারে তরু শাখা।

বাংলার গান জুড়ায় যে প্রাণ
    বাংলার ইতিহাস,
শেখায় বারতা, প্রেম-ভালোবাসা
    তাই বাংলাতে করি বাস।

বাংলা আমার সুখ-শয‍্যা
    শিল্পের আলপনা,
বারে বারে তাই,যেন হেথা জন্মাই
    এই মোর কল্পনা।

সৃষ্টি-কর্তার আয়োজনে তাই
    ভরে যায় মোর বুক,
স্বপ্ন যাহার দেখি বার বার
    সে যে বাংলার মুখ।







সৌম্য ঘোষের চারটি অনু কবিতা :--
---------------------------------------------------
                   (১)
   কি এমন তোমার বিষন্ন বিষাদ
   অবজ্ঞায় উপেক্ষা করো
   আমার স্বপ্ন, আমার কবিতা ?

   নীলিমায় ম্লান হয়ে আসে
   রক্তকরবী;
   তোমায় বুকের মধ্যে যত খুঁজি ,
   ততই বেদনা আলোর ফুলকি হয়ে ঝরে পড়ে ।
---------------------------------------------------------------
                 (২)
  কাল সারারাত ধরে নেমেছে বৃষ্টি
  মধ্যরাতে
  বিবসনা রাত্রির সর্বাঙ্গ ঘিরে ।
  কালো মেঘ আর ম্লান অতীত
  নিরাশ্রয়;

   চারিদিকে তমসা গভীর
  স্মৃতি ও মৃত স্বপ্নগুলি বিধবা রাত্রির মতো
   কালো দীঘির জলে ডুব দিয়েছে ।
   জলের ভেতরে বৃষ্টির সঙ্গীতে
   ঢাকা পড়ে মৃত স্বপ্নের কান্না ।।

________________________________________
                    (৩)

 আহা, এই অবাক পূর্ণিমায়
 সারারাত জ্যোৎস্নার উদ্ভাস
 সারারাত জ্যোৎস্নার প্রার্থনা ও গান !
সারারাত চন্দন গন্ধ ।

 _________________________________________

               (৪)

  আমি ও যীশু জমজ ভাই,
 মেরী মায়ের দুই সন্তান ।
 যীশু তো একবার , আমি
নিত্যদিন ক্রুশকাঠে ।।








   মুখোশ পরার কি দরকার
       তাপস বর্মন
মনুষ্যত্ব জাগাতে পারলে
কি দরকার মুখোশ পরার?
মুখোশে মুখ ঢাকার চেয়ে
উচিত মহৎ কাজ করার।
মানবিক মুখ থাকলে পরে
মুখোশ ছায়া মাড়াবে না,
খ্যাতির সোপান তৈরি হবে
কেউ তোমাকে হারাবে না।
সংকীর্ণ মন যাদের আছে
তারাই বেশি মুখোশ পরে,
বাইরে তাদের উজ্জ্বল ফোকাস
ভিতরে নীচ কাজ করে।
            ............










          ওহ মন 
                অলোক রায়

ওহ মন! কিছু কথা বলার ছিল,
 কিছু কথা যে শোনানোর ছিল।
ওহ মন! তুমি থাকলে খুশি,
  আমার মুখে ফুটে তৃপ্তির হাসি।
থাকো না কেন তুমি সর্বদা এমন,
 বলো না কেন তোমার প্রয়োজন।
আমার তুমি, হৃদয় জুড়ে তোমার অঞ্চল,
  ওহ মন! বুঝি না তো হঠাৎই কেন হও  চঞ্চল।
ওহ মন! তুমি হারালে স্বপ্নের পিছু করি ধাওয়া,
   খুবই জানতে ইচ্ছে করে কী ই বা আছে তোমার চাওয়া।

ওহ মন! তুমি আমায় ভালোবেসে যদি বাড়াও হাত,
  বুঝতেই পারিনা কখন যে কেটে যায় রাত।
ওহ মন! কত আছে এলোমেলো কথা তোমাকে বলার,
  তুমি থাকলে খুশি অঝোর বৃষ্টিতেও সাহস পাই রাস্তায় চলার।

ওহ মন! কিছু কিছু কথা উঁকি মারে তোমার আঙ্গিনায়,
  আমি খুশির উষ্ণ ভেলায় গান গাই শুধুই কল্পনায়।
ওহ মন! তুমি আমার ভীষণ আপন।
    থাকো তুমি ভালো আমার হৃদয়ে,
সকাল সাঁঝে তুমি উদয়ে তুমি বিদায়ে।
তুমি হাসলে আমিও হাসি,
 ওহ মন! তোমার খুশিতেই আমি বাঁচি।
মাঝে মাঝে তুমিও আমায় মানো না,
    কী যে হয় তোমার জ্বালা,
ওহ মন! শুধু যে তোমাকেই চাই আমি,
  থাকো তুমি খুশি আমাতেই অবেলা।







অযোধ্যাতে
আভা সরকার মন্ডল

জমি নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে অযোধ্যাতে
থাকবে যে রাম সোনার খাটে মরবে বাকি ভাতে,
বড় হওয়ার সুযোগ নিয়ে
সবাইকে যে ফাঁকি দিয়ে
গুছিয়ে নেন মন্ডা মিঠাই সবই নিজের পাতে।।

দশরথের কাছে গিয়ে কৈকেয়ী মার ছেলে
বলে এমন বিচার তুমি করলে কোন আক্কেলে?
আমরা কি নই রাম‌ দাদার ভাই
আমাদেরও ঘরবাড়ি চাই....
সঠিক বিচার না পেলে আজ থাকবে তুমি জেলে।।

হুংকার দিয়ে কন্ দশরথ, যখন সত্য ছিল
তোর মা এসে ফিসফিসিয়ে কানে মন্ত্র দিল
চৌদ্দ বছর থাকলো বনে
 রাম যে আমার অকারণে
ভুজুং ভাজুং দিয়ে তোর মা সব ছিনিয়ে নিল।।

দিতে হবে তার খেসারত, কলিযুগে এবার
কোন ভুলই আর হবে না, হয়েছে যা সে বার
যৌথ পরিবারে থাকো
রামের মানটি বজায় রাখো
খড়ম নয় আর এবার সুযোগ রামের পদ সেবার।।





0 comments: