সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 10/08/2020


           "উপকণ্ঠ 10 আগষ্ট সংখ্যা "
              "উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক বিভাগ"
                (ওয়েব ম্যাগাজিন)

  প্রকাশ কাল:-10/08/2020,সোমবার
               সময় :- সকাল 10 টা

সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম

সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত

মুঠোফোন:- 9593043577

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা ফেসবুক আইডি লিঙ্কে ক্লিক করুন আর যুক্ত হন আমাদের সাথে

Click Here

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপতে যুক্ত হন লিঙ্কে ক্লিক করে

Click Here

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇


সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত সেক আসাদ আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প.... আজ  চতুর্থ অংশ প্রকাশিত হল


নিজের পরিচয়
            সেক আসাদ আহমেদ
     
চতুর্থ অংশ 

প্রায় মিনিট বাইশের পর যখন তার জ্ঞান ফিরল, তখন অবাক হয়ে চেয়ে দেখল — চারিদিকে দেওয়াল, সামনে লোহার রেলিং আর গাঢ় অন্ধকার। 
সে বলে উঠল — হামি কোথায়? 
এমন সময় এক উর্দি পরা লোককে দেখতে পেয়ে তার সব কথা মনে পড়ল। 
তখন সে মনে মনে বলল আমি তো কোনো ভুল করিনি ? আমায় কেন বন্দী করা হল ? 
মনের মধ্যে তার ভয়টা আরও বেড়ে গেল। 
হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল এবং আধো বাংলায় চেঁচিয়ে উঠল — হামায় বিশ্বাস করুন, হামি খুন করিনি, হামি খুন............ 
কিন্তু ভাগ্য সহায় নেই কেউ শোনেনি তার করুণ আর্তনাদ। যাকে দেখে তাকেই বলে উঠে — হামায় বিশ্বাস করুন, হামি খুন......... 
নিরপরাধে খুনের দায়ে তার জেল হল। 
যখন যাকে দেখে সেই একই বাক্য উচ্চারণ করে 
আর কাঁদতে থাকে, 
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমের ঘোরে ঢুলিয়ে পড়ে। 
                               
                            চলবে...... 






এক অসহায় ছেলে 
        আব্দুল রাহাজ

সুবল ভুবন আর সাজিদ ওরা ইস্কুল যাচ্ছিল সেদিন ওদের স্কুল ওদের বাড়ি থেকে বেশ অনেক দূরে একটা ছোট্ট বনের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে হঠাৎ সুবল দেখলো একটা জরাজীর্ণ ছেলে অসহায় ভাবে পড়ে আছে পথের ধারে ওরা সবাই দৌড়ে গেল ছেলেটি ক্ষুধার্ত অবস্থায় পড়ে রইলো সাজিদ বলল এই সুবল ওকে ধর ধর চল গাছ তলায় নিয়ে যায় ভুবন বলল তোরা কি আজকে স্কুল যাবিনা দেরি হয়ে যাচ্ছে তো সুবল বলল আরে পাগল আগে এই অসহায় ছেলেকে বাঁচায় তারপরে যাবো। এদিকে ভুবন বলল তোরা থাক আমি চললাম সাজিদ তো রেগে গেল সুবল বলল আরে ওর বিবেক নেই তুই জানিস না সেই ইতিহাসের স্যার কি বলেছিল কালকে মানুষকে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়াতে যার যে সময় হোক না কেন ভুবন কোন কথা না শুনি স্কুলে চলে গেল সেই অসহায় ছেলেটিকে ওরা গাছ তলায় নিচে জল খেতে দিল আস্তে আস্তে একটু ছন্দে ফিরল ছেলেটি সুবলের টিফিনের খাবারটা সেই অসহায় ছেলেটির কাছে দিয়ে দিল বেশ পেট পুরে খেলো তারপর সাজিদ জিজ্ঞাসা করল তোমার বাড়ি কোথায় ও বলল আমার বাড়ি অন্য দেশান্তরে দুর্ভিক্ষ বন্যার কারণে আমাদের গ্রামের সবাই ভেসে গিয়েছে আমি নদীতে ভাসতে ভাসতে চলে এলাম তোমাদের চিত্রা নদীর পাড়ে সেখান থেকে কোনরকমে হাঁটতে হাঁটতেই রাস্তার ধারে পড়ে থাকলাম ক্ষুধার জ্বালায় পেটটা হাহাহা করছিল তোমরা সাহায্য করেছে খুব ভালো হয়েছে এবার দেখি কোথায় যায়। সুবল বলল আমার কাকুর একটা অনাথ আশ্রম আছে ওখানে তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি ওখান থেকেই তুমি বড় হবে সাজিদ বলল খুব ভালো কথা কিন্তু এখন শহরে যাবি তুই তাহলে আমিও যাবো তা তো খুব ভালো চল যায় ওর আর সেদিন স্কুলে যাইনি মন মাঝির নৌকা চড়ে শহরে সুবলের কাকুর কাছে চলে গেল সেই অসহায় ছেলেটিকে কাকুর হাতে তুলে দিল বেশ বাহবা জানালো সাজিদ আর সুবল কে অসহায় ছেলেটির মুখে একটা হাসি ফুটে উঠল এটাই ছিল সাজিদ আর কাছে সুবলের কাছে বড়ো পাওনা। এই অসহায় ছেলেটি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ জানিয়ে চলে গেল সুবলের কাকুর অনাথ আশ্রম এ তারপর ওরা বাড়ি এল বাড়িতে সবার সাথে বলল বলে বেশ ভালো কাজ করেছো এরপর থেকে সেই দিন টা ওদের কাছে স্মৃতি বিজড়িত হয়ে থাকল আজীবন। এইভাবে সেই অসহায় ছেলেটি সুবলের কাকুদের অনাথ আশ্রম বড় হতে থাকলো।





    অভেদ
           রঞ্জনা রায় 

 জড় অজড় জাত বেজাত
 বিভেদ কেন করিস রে মন
 খুঁজলে পাবি সবার মাঝে
 বিরাজ করেন এক চেতন।
 জগৎটুকু দেখ না রে মন
ঘোমটাখানি একটু তুলে
 কাশী মক্কায় একই সাধন
 কেন থাকিস মায়ায় ভুলে?
 পঞ্চভূতেই গড়লো ভুবন
 কোথায় স্বর্গ? কোথায় দোজখ?
 দ্বন্দ্ব-বিবাদ রাখ না রে মন
 এক মাটিতেই সবার শয়ন।




আমার জন্মভূমি 
                    বিপ্লব গোস্বামী

     বীরেদের ভূমি
     শহীদের ভূমি
   আমার জন্মভূমি।

     লেখকের ভূমি
      কবিদের ভূমি
    আমার জন্মভূমি।

       সাধকের ভূমি
      ফকিরের ভূমি
    আমার জন্মভূমি।

     চাষীদের ভূমি
    তাঁতীদের ভূমি
   আমার জন্মভূমি।

     মাঝিদের ভূমি
    জেলেদের ভূমি
    আমার জন্মভূমি।

    পাহাড়ের ভূমি 
    পর্বতের ভূমি
  আমার জন্মভূমি।






আলোছায়া 
          মৌসুমী গুহ রায় 

কবিতায় আলোছায়া হয়ে গেছে 
উজ্জ্বল জ‍্যোতিষ্ক।
মনের অতলে স্বচ্ছতা।
আলোকিত পথ , ঋজু।
ঈশ্বর দিয়েছেন নতুন দিশা।
এখন আমি আলোর সাথে গমন করি।
তবু চাই ফিরে আসুক 
একটু আলোছায়া।
                





              স্মৃতিময় জীবন 
               হামিদুল ইসলাম  
  

ঘরের শার্শিতে আঙুলের আওয়াজ
তোয়ালায় ঢাকা মুখ
এখন আর্সেনিকের দূষণ
ঘরময় 
পুঁতিগন্ধ ।।

এক জীবন থেকে পা রাখি 
আর এক জীবন 
বার্ধক‍্যে এসে হোঁচট খাই 
রঙঝরা জীবন 
গন্ধহীন ।।

পলাশ বকুল প্রতিদিন ফুটলেও 
ফোটে না হৃদয় কমল 
মুহূর্তে স্বপ্ন ভাঙি 
নৈরাজ্যের খোলশ এখন
জীবন স্মৃতি ।।






কবিতা :
          কিছু কথা,তোমাকে!
                        বিশ্বজিৎ কর

তোমার না-বলা কথা, 
আমি শুনতে পাই-
একাকীত্বের কশাঘাতে! 
সে কথায় প্রাণ থাকে, 
সুর থাকে, ছন্দ থাকে! 
তুমি হয়তো বুঝতে পারো না -
সব কথার এক কাহিনী লিখব,
তোমার মানস খাতায়! 
তুমি পড়ে নিও, সময় হলে! 
যদি সময় না পাও,তবে স্মৃতির ঝুলিতে রেখে দিও! 
দেখো,মন তোমার চঞ্চল হবেই!









    বিভাগ :--- প্রবন্ধ
 কবিতা - প্রসঙ্গ ও অনুসঙ্গ     
                     সৌম্য ঘোষ

              সাহিত্যের সূক্ষ্ম দর্শণ ,ভাবনা ,আবেগ ও অনুভূতির বুদ্ধিদীপ্ত ফসল হলো কবিতা ।কবিতার শরীরে চোখ রাখলে বোঝা যায়, কবিতার শরীরে চিত্রকল্প ,সময়,চরিত্র ,প্রবাহমানতা ,পরিমিত অলংকার ,রূপক ,অনুপ্রাস ,উৎপ্রেক্ষা ,ছন্দ ইত্যাদি ইত্যাদি সুন্দর ভাবে স্থান করে নিচ্ছে ।যদিও এটা বরাবরই ছিল ।কবিতার নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। যদিও কবিতার সৃষ্টি কবি র হাতে ।কবিতার প্রসব যখন হয় ,কবি তখন চেতন-অবচেতনার জগতের গভীরে গিয়ে সুচেতনায় বসবাস করে ।কিন্তু সেই কবিতা যখন পাঠক সমাজের কাছে পৌঁছায় তখন সম্পাদনার দৃষ্টিকোণে কবিতাকে অবশ্যই স্বকীয় স্বাধীনতা সিদ্ধ হওয়া উচিত ।

                    কবিতায় সামগ্রিকভাবে একটি প্রেক্ষাপট দাবি করে ।যা কাল্পনিক হতে পারে বা বাস্তবতার নিরিখে হতে পারে ।তবে বাস্তবতার নিরিখে হলে তাতে পরিমিত কাব্যগুণ থাকা বাঞ্ছনীয় ।
                   কবিতায় একটি চরণ বা স্তবক থেকে অন্য চরণ বা স্তবকের মধ্যে গভীরভাবে নিবিড় সম্পর্ক থাকে ।অর্থাৎ প্রবাহমানতা ।কেননা প্রবাহমানতা ছাড়া কবিতার শরীর ঋদ্ধ হয় না। মেদবহুল শব্দচয়নও বিসর্জন দিতে হয় ।মেদ যেমন একজন সুন্দরী রমনীকে অনাকর্ষনীয় করে তোলে ।তেমনি অনাবশ্যক শব্দ বা সময়ের নিরিখে, আদিকালের শব্দ ,অপ্রচলিত, বর্তমানে অ ব্যবহৃত ,অনুচ্চারিত শব্দ কবিতার আকর্ষণ হ্রাস করে। কবি র চিন্তন মনন থাকবে কালোত্তীর্ণ ।কিন্তু কবিকে অবশ্যই সমকালীন কবিতা পড়তে হবে। সমসাময়িক কাব্যধারা কাব্য চর্চা কে অনুশীলন করা আবশ্যক। 
   
     ‌
                    কবিতার পরাবাস্তব বিষয়বস্তু আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ‌।তবে এটিকে এমন ভাবেপ্রয়োগ করা উচিত যাতে রাষ্ট্র ,সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে ।বিশেষ করে রূপক বা উপমা নির্ভর কবিতায় । আমরা এও দেখি যে পূর্বেও ছিল । মূল বা মুখ্য বিষয় কে আড়াল করে অর্থাৎ সরাসরি প্রকাশ না করে রূপকের আশ্রয় নিয়ে সামঞ্জস্য রক্ষা করে কবিতার শরীর সৃষ্টি করা হলে কবিতায় ভিন্ন ভাবমূর্তি ও দ্যোতনা সৃষ্টি হয় এটা আমরা চর্যাচর্যবিনিশ্চয়েও পড়েছি ।


                      পর্যাপ্ত পরিমাণে পড়াশোনার অভাব ও সাহিত্য অনুশীলনীর অভাবে র ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষয়প্রাপ্ত কবি ।এদের সারাদিনে পড়ার সময় নেই। শুধুই লিখে চলেছেন !!! ফলে জন্ম নিচ্ছে অপুষ্ট ও কঙ্কালসার কবিতা। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ মতো অ-কবিতা র সুনামি ।প্রজন্ম ধাবিত হচ্ছে ভিন্ন পথে। কতিপয় ব্যবসায়ী পত্রিকার প্রলোভনে certificate , medal ,memento - র লোভে ধাবিত হচ্ছে নব প্রজন্ম। সর্বসান্ত হচ্ছে কবি ,কবিতা ও সমাজ ।


                        একমাত্র শুদ্ধ কাব্যগুণ সম্পন্ন সমকালীন কবিতা ই পারে সাহিত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আরো মর্যাদা দিয়ে নবীন প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেখাতে ।।







        মেঘ ও জল 
                      জুয়েল রুহানী 

মেঘের আভাস জলের উপর
স্বপ্ন রূপে ঘেরা,
সৃষ্টি প্রভূর কী অপরূপ 
নেয়ামতে ভরা!

নীল আকাশের কোলের উপর
সাদা মেঘের ভেলা,
সৃষ্টি প্রভূর কী অপরূপ
স্বপ্ন রঙ্গের মেলা!

আলোক রশ্মি জলের উপর
করে লুকোচুরি,
মুক্তো দানা মেনেছে হার
রূপের মায়া ভারি!






   সময় নষ্ট জীব
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

অকারণে আমি আমরা সবাই 
সময় নষ্ট করে জীবন করি খ‍্যায়।
জন্ম থেকে মৃত্যু পযর্ন্ত 
পায় সময় ষাট সত্তোর বছর 
তাও করছি অপচয়।
সকাল থেকে সন্ধ্যা বেলা 
অতি সময় ব‍্যায় জুয়াখেলায়।
সামান্য সময় কৃতকর্মে দিলে 
সুন্দর ভবিষ্যত হয় আগে।
বা একটু সময় দেশের তরে দিলে 
ভবিষ্যতে দেশ হবে সুন্দর।
খেলাধুলায় মগ্মো হয়ে,সারাক্ষণ
করছো সময় অতি নষ্ট
বুজবে তুমি,বুঝবে সেদিন 
মৃত্যু যখন দরজায় দাঁড়াবে।
সময়কে করো যদি নিজের হাতিয়ার 
দেবে তোমার হীরা মুক্তার উপহার।
সময়কে যদি করো অবহেলা 
খুব সহজে খারাপ জীবন দেবে উপহার।
থাকতে জীবন করোগো যতন
সময়কে দাও গুরুত্ব 
করে যাও,গড়ে তোলো
বিশ্বের যে ইতিহাস।
শুধু অকারণে জীবনকে নষ্ট
করোনা নিজ হাতে।।








পদচারণা
            মিনতি গোস্বামী

এক পা এগোলে পরে এক পা পিছোয় 
দুধেলো গরু দেখলে সুযোগে যে লোকে দোয় 
ক্ষুন্নিবৃত্তি ছাড়া কোনদিন কিছুতে খেলিনি কোন দান 
তবু কেটে নিয়ে যায় আমার সোনার ধান।

পদচারণা করতে দেয়নি কোনকালে জেনে রেখো কেউ 
একের পিছনে অন‍্যে চিরকাল লাগিয়ে দিয়েছে ফেউ 
হল্লাবোলের জনগণ গলা মিলিয়ে ডেকেছে ঘেউ ঘেউ।







    আবেগের স্মৃতি 
                ডঃ রমলা মুখার্জী

বর্ষার এই অঝোর ধারায়
মনময়ূরী কোথায় হারায়।
নিরুদ্দেশের কোন ঠিকানায়.....
রোমন্হনের স্মৃতি বেদনায়।

দূর অজানায় মোরা দুজনায়
খুশির প্লাবন কানায় কানায়।
মেঘমল্লারে ধরেছিলে তান.....
সারাদিন শুধু বাদলের গান।
রিম্ ঝিম্ ঝিম্ নূপুরের ধ্বনি
নৃত্যে পাগল বরষার রাণী।

আজও আবেগে হৃদয় নাচে-
প্রিয়ের দেহের পরশ যাচে।
মন কেমনের আজ এই ক্ষণে,
এসো এসো প্রিয় হৃদয়াসনে।
গেঁথেছি জুঁয়ের সোহাগ মালা,
মেটাও দেহের দহন জ্বালা।









    নুন ভাত 
              পার্থ প্রতিম হালদার 

একটু ভাত পাওয়া যাবে, ভাত। 
ঠাণ্ডা ভাত হলেও হবে। নুন দিয়ে 
মাখিয়ে খাবো। তবে সেই নুন ভাত 
যেন প্রতিদিন জোটে । খুব ক্ষুধা 
পেয়েছে। অনেক দিন পেট ভরে খাইনি ,
চোখের সামনে এক থালা গরম ভাত 
দেখিনি। একটু ভাত পাওয়া যাবে, ভাত। 
নুন ভাত হলেও চলবে। 

আর যদি ভাত না দিতে পারেন 
তাহলে একটু বিষ দিতে পারবেন, 
বিষ। ইচ্ছে হয় বিষ খেয়ে 
আত্মহত্যা করতে । তাই হয় 
নুন ভাতের সুরক্ষা দিন, নাহলে 
বিষ দিন । তাতেও রাজি না হলে 
জেলে ঢুকিয়ে দিন । তবুও তো 
নুন ভাতের সুরক্ষা থাকবে প্রতিদিন। 

এত অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার, এত 
লেকচার । এত লেখালেখি আর বিনা 
পারিশ্রমিকে ডিউটি। সব কিছু মূল্যহীন 
হয়ে যাবে যদি না জোটে চাকরি। তাই 
একটু ভাত পাওয়া যাবে, ভাত। 
নুন ভাত হলেও চলবে। 

ভালো লাগে না আর, দুর্ভিক্ষের কবি 
হয়ে বেঁচে থাকতে । থালা হাতে নিয়ে 
একটু খাবারের আশায় দিন কাটাতে ।
ভালো লাগে না আর,অন্ধকার ময় জীবনে 
ধপধপে সাদা গরম ভাতের স্বপ্ন দেখতে ।

নেট পরীক্ষা তে পাশ করে,উচ্চ শিক্ষায় 
শিক্ষিত হয়ে যেন ঐতিহাসিক 
ভুল হয়ে গেছে । শুধু দিন দিন প্রতিদিন 
নিত্য নতুন গাইড লাইন আসছে ।
আধপেটা খেয়ে শুয়ে থেকে, কঙ্কাল সার 
দেহ নিয়ে , নুন ভাতের সুরক্ষা কবে হবে 
সেই আশায় দিন কাটছে। 

আজও অতিথি অধ্যাপক দের নুন ভাত 
সুরক্ষা হীন । এমন হবে তা ভাবিনি কোনদিন ।
মাঝে মধ্যে তাই মনে হয় ,আত্মহত্যা করে 
অচিন দেশে হারিয়ে যাই ,সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে।
নিশ্চিন্ত আশ্রয় ও একটু নুন ভাতের তরে। 

















👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
           "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"


লেখা পাঠান :- 01 Aug 2020 থেকে 13 Aug 2020 এর মধ্যে

যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা"
লেখক তালিকা প্রকাশিত হবে 14 Aug 2020

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 15 Aug 2020

              প্রচারে :- সম্পাদক, উপকণ্ঠ

0 comments: