সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-30/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 30/11/2020


 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 30/11/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 30/11/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 7 টা. 50 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒



  বনধু
অনাদি মুখার্জি

বনধু তুমি আমি এক সাথে খেলি আর পাঠশালা যায়,
তুমি যদি কষ্ট পাও আমি ও তখন যন্ত্রণা পায় !
ভোরের আলো ফুটলে মোরে বনধু তোমার কথা পড়ে মনে ,
আমরা দুই জন একিই সাথে খেলা করি আপন মনে !
গাছগাছালি শাখায় শাখায় দুলতে থাকি পরস্পরের,
বনধুর হাত ফসকে গেলে আমি তোমায় আগলে ধরি!
হঠাৎ যদি বৃষ্টি নামে খুব ঝমঝমিয়ে,
তখন আমরা ভিজতে থাকি দুই জন একই সাথে !
তোমার গায়ের জামা খুলে আমি পরি মাঝে মাঝে,
আমরা দুই জন ভালো মন্দ ভাগ করি সমানভাবে !
বড়োরা সব ফতোয়া দেয় বলতে থাকে অন্য কথা,
ওরা তো ঠিক জানে না আমাদের বন্ধুত্ব হৃদ‍্যতা ?
আমরা বনধু আছি আর থাকবো সারাজীবন ধরে,
আকাশ বাতাস বলছে যেন বনধু থাকো বনধু হয়ে !




প্রতিদিন  যেমন  যায়....
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

প্রতিদিন  যেমন  যায়,আজও  সেই  রকম  দিন  কেটে  গেছে,
ভালো  মন্দ  মিশিয়ে  নানা  ঘটনা ,নানা  রটনা ,
একরাশ  স্মৃতি  শুধু  মনে  জমে  আছে৷
এদেশের  মাটিতে  হিন্দু  মুসলমানের  কত  রকম  অবদান.....,
তাই  শতকোটি  প্রনাম  জানাই,
এই  কবিতা আমার  শ্রদ্ধা  পৌঁছে  দিবে  তাঁদের কাছে৷

পল্লী  বাংলার  মেঠো  পথ  থেকে  রাজধানীর  বুকে,
জানতে  চেষ্টা  করেছি  কখনো  কে  কেমন  আছেন  সুখে?
ঘরে  ঘরে  বিপদ  কড়া  নাড়ে,
করানা  কখন  যে  কার  প্রাণ  কাড়ে !

অনুর্বর  মাটি  পরিপাটি  করে তুলে  ফসল  ফলান  চাষী,
ডাক্তার,নার্স, শিক্ষক,পুলিশ, রিপোর্টার
আর  শ্রমজীবী  জনতার  মতো  তাঁদের
আজও  সমান  ভালোবাসি৷
যেখানেই  থাকি  আমি  রাত্রিতে  প্রিয়তমার  কাছে  ফিরে  আসি৷
——————————————————






  আজ রাসযাত্রা
   সুস্মিতা দে

চলে যাই শৈশবে রাস
যাত্রা দেখতে? চড়তাম
নাগর দোলা মাথা ঘুরে
যেতো নামিয়ে দাও
থামিয়ে দাও কাদঁতাম
আর হাসতাম। অনুভূতি ।
 
খেলনা কিনে চিনে বাদাম
খেয়ে রাসের ঘরে যেতাম।
রাধাকৃষ্ণের কতো ছবি দেখে
মনে আনন্দ  হতো আজ
তাই শৈশব মনে পড়ে
রাসের মেলা আলাদা
অনুভূতি ।।

জীবনে ছিলো প্রানের
উচ্ছলে ভরা সকলের 
শৈশব আজআমাদের
ছেলেমেয়েরা পায় না
আনন্দের সংসার ।
 

দ্বিতীয় পর্ব

বড়ো নটখট হয়েছে
কানাইয়া কি
করবে যশোদা মাইয়া?
উড়ে চলে যাবে লুকিয়ে
পড়ে ননী খেয়ে গৃহবাসীদের
পাগল করে দুষ্টুমি আর কতো
উৎপাত সখিদের পিচকারি
কেড়ে নেবে নেবে বংশী ধারী
মধুর ধ্বনির ছন্দে নাচে আনন্দে
বাঁশির স্বরে ডাক শোনে রাধা
রাধা নাম।

  মীরাবাঈ অনুরাগে ভগবানের
ভজন গায় রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি
আজ কে রাস পূর্নিমার পুজো হয়
তবে মন ছোটে রাসযাত্রা
দেখতে যাই চল চল আবার চল।





বিপ্লব গোস্বামী এর কবিতা গুচ্ছ
১৷
  স্বরবর্ণ ছড়া

বিপ্লব গোস্বামী

অ=অজগর অলস তাই পারে না তো নড়তে।
আ=আম গাছে জাম গাছে পারে না তো চড়তে।।
ই=ইন্দুরটা বড্ড দুষ্ট  করে শুধু কাটাকাটি।
ঈ=ঈগলটা ভীষণ শিকারি তীক্ষ্ণ তার চোখ দুটি।।
উ=উটেরা বোকা তাই মোট বয় সারাক্ষণ ।
ঊ=ঊষা কালে সূর্য উঠে পাখী সব করে কূজন।।
ঋ=ঋষি মুনি ধ‍্যান করেন জগতের হিতে।
এ=একতারা বাজিয়ে বাউল গান করে সুখ চিত্তে।।
ঐ=ঐক‍্যতায় থাকলে বাধা নেই কোন কাজে।
ও=ওজস্বী হতে পারি সম্ভাবনা সবার মাঝে।।
ঔ=ঔচিত‍্য কাজ করে আমরা সব হবো মহান।
জগত মাঝে রেখে যাবো নিজেদের সেরা দান।।

২৷

আমার মা

বিপ্লব গোস্বামী

মা যে আমার খুব আপন
খুব আদর করে,
কষ্ট পেলে মা যে আমায়
কোলে নেয় তুলে।

ঘুম পাড়াতে মা যে আমায়
শুনায় কত গান,
মা যে আমার সর্বংসহা
বিধির সেরা দান।

অসুখ হলে মা কাছে
সারাক্ষণ থাকে,
আদর সোহাগ দিয়ে মা
সব ভুলিয়ে রাখে।

দুঃখ কষ্ট নীরবে সয়ে
মুখে সদা হাসি,
মা যে আমার অতি প্রিয়
খুব ভালোবাসি।

৩৷

আমার উড়তে ইচ্ছে করে

বিপ্লব গোস্বামী

ইচ্ছে করে উড়ে উড়ে চাঁদের দেশে যাই
সেথায় গিয়ে স্বপ্নে দেখা পরীর দেখা পাই।
ইচ্ছে করে পরীর সনে আকাশ মাঝে উড়তে
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে বাযুর সনে দুলতে।

ইচ্ছে করে উড়ে উড়ে চাঁদের দেশে যাই
সেথায় গিয়ে চড়কা কাটা বুড়ীর দেখা পাই।
ইচ্ছে করে দেখে আসি তারার ঝিকিমিকি
চাঁদের বুড়ীর কাছে গিয়ে সুতা কাটা শিখি।।

ইচ্ছে করে উড়ে উড়ে রামধনুর দেশে যাই
সেথায় গিয়ে নকশা আঁকা মেয়ের দেখা পাই।
সেই মেয়ের কাছে গিয়ে ছবি আঁকা শিখবো
ঘরে ফিরে নানা রঙ্গের কত ছবি আঁকবো।

৪৷

চাঁদ মামা

বিপ্লব গোস্বামী

চাঁদ মামা চাঁদ মামা
বলি যে তোমায় ;
হাজার নয়,লক্ষ নয়
একটি তারা দাও গো আমায়।

লক্ষ কোটি তারা
আছে তোমার কাছে,
একটি তারা দিলে
তেমন কি আর যায় আসে।

বড় কিপ্টে মামা তুমি
দান দেওয়ার তরে,
অমনি অমনি কত তারা রোজই খসে পড়ে।

আমি যদি চাই তবে
ভীষণ পিড়াপিড়ি,
আজ হতে তোমার সনে দিলাম আমি আড়ি।
-----------------




আঁখি অন্দর
   সমীরণ বেরা

মন খুলে উঁকি দেয় লোভাতুর চোখ
ভুলে গেছে সুখ স্মৃতি কিম্বা শোক
ওরা এমনই নির্ভেজাল বাস্তব।
কালো উলঙ্গ ধূলো মাখা শরীর
মুখে অমলিন হাসি পবিত্র শিশুর মত,
আদিমতার গ্রন্থি ভাঙে নি এখনো তাই
আমি ওদের মত একটা আস্ত সকাল চাই।

শীত এলে তুমি ঘুমোবে বলেছিলে
আমি তাই উঠোন পেতে রোদ পোহাই
ওরা এখনো শুকনো বিচুলিতে আগুন পোহায়
রাতের অন্ধকার নামলে নিশ্চিত ঘুমায়।
মাদল সুরে মহুয়ার মৌতাত আবেশ
তুমি আমি কত্ত দিন দেখি নি নিশ্চিন্ত ঘুমের দেশ!

আমাদের তো সব ছিল ঘর- বাড়ী- বৈভব
ভোরে উঠে আলুথালু চুলে ভৈরব,
সকালের সূর্যটা কত দিন ভালো ভাবে দেখি নি
হয়তো ঘরে  ছিল উষ্ণতার অভাব; আনকোরা জলছবি।
আমি জানি না এসব কিছুই-
শুধু জানি শীত কাল এলে তুমি ঘুমাবে বলেছিলে।

আমার কাছে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বসন্ত আজ একাকার
ওদের কালো চোখের ভিতর বিস্ময় অপার।
ওদের চোখ লোভাতুর নয় আমার তোমার মত
অন্য ভুবন দেখি ওদের চোখের ভিতর।
তুমি আমি ওদের মত করে কি দেখতে শিখেছি?
ভেবে বোলো চোখের ভিতর - উজ্জীবিত শঙ্খধ্বনির মত।।





অভিমান
    অশোক কুমার রায়

"তুমি আমার হৃদপিন্ড !"
কথার ঢেউ খেলানো আবেগে--
উজান.বয়েছিল রক্তে !
বুকটা.ফালাফালা করে.দেখলাম--
পারমানবিক ভাবনায় ;
শূন্য হাহাকার.--- !
সেখানে.জন্মায়নি.সবুজ.ঘাস ।
মরুভূমির মত নুড়ি , বালি
বুকের মাঝে পরে আছে.!
আর.আমার ফ্যাকাশে দেহটা ---
মরীচিকা দেখে দেখে.ক্লান্ত.হচ্ছে .!






শরৎ বাঁশি...
         ইন্দ্রানী দত্ত

শরৎ এলেই  মনে হয়  তাকে লেপে মুড়ে রাখি,
প্রতিদিন ভাবি শিউলি ফুটলেই
শরত আমাকে ডেকে তুলবে খুব ভোরে ,
কিন্তু ঘাসের উপরে শিশিরে পা দিলেই
আমি শীতের গন্ধ পাই অবিরত ,
আকাশের বুক থেকে যদি
নেমে আসে সুতো বাধা ঘাস ফড়িং,
তবে নিশ্চিত সে ধরা পড়েছিল
কোন এক অবাধ্য কিশোরের হাতে !!
আমি শরতকে বলবো আরও দুটো দিন
থেকে যাও,থেকে যাও কাশের বনে !!!!

শরৎ হেসে কয় আলতো চুম্বন এঁকে গালে,
ধুর পাগলী !!আমাকে যে ফিরতে হবে,
ফিরতেই হবে পৃথিবীর আবর্তনে,
ধানসিঁড়িটির তীর ভুলে হেমন্তের আগে !

কিন্তু!,কিন্তু আমার যে মনে হয় শরৎ এলেই
তাকে আরোও কিছুদিন রেখে দি,
রেখে দি  কাশের আঁচলে শক্ত করে বেঁধে,
আলের ধার ভেঙে কৃষকের মাঠে !
তাকে রেখে দি ওই দূরের সবুজ কিনারে,
মেঠো বনের পথে পথে শাল সেগুনের কোলে,
খোয়াই এর বাঁকে বাঁকে সদ্য প্রেমে পড়া
যুবক যুবতীর যৌবনের মান অভিমানে !





               হারানো সুর
       হামিদুল ইসলাম
             
তোমার জন‍্যে
এখনো অপেক্ষা করি
শান বাধানো ঘাট  ।।

তুমি আসবে বলে
কথা দিয়েছিলে আমায়
আসলে না। মনের গভীরে এখন ধু ধু মাঠ  ।।

তোমার জন‍্যে
সুখ সাজিয়ে রাখি
আমি মৃত‍্যুকে পাহারা দিই ।।

বটের ঝুরি
নেমে আসে গভীর রাতে
নিকষ অন্ধকারে তোমাকে পেয়ে যাই  ।।

তুমি কতো কাছে
তবু কতোদূর
তোমাকে পাবো বলে বাড়িয়ে দিই হাত  ।।

পুরোনো ব‍্যথা আমাকে কাছে টানে
তোমার প্রেম আমাকে কাছে টানে
তবু আমি দাঁড়িয়ে থাকি যেনো ঠুঁটো জগন্নাথ  ।।

তোমার জন‍্যে নিজেকে হারাই
কখনো খুঁজে পাই নে আপন সত্ত্বা
তবু তুমি থেকে যাও দূরে  ।।

তুমি আমার হাত ধরলে
আমি জল কখনো ঘাম
লোনা ঘামে ভিজে তোমাকে ডাকি হারানো সুরে ।।








0 comments: