বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 18/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 18/11/2020
www.upokonthasahityapatrika.com

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা-18/11/2020


    💥💥💥বিভাগ- প্রবন্ধ💥💥💥

স্থাপত্য ও সাহিত্য
    অগ্নিমিত্র 



   অনুপম কলাকৃতি ও স্থাপত্য বরাবরই সাহিত্যকে অনুপ্রাণিত করে এসেছে। যেমন, তাজমহলকে নিয়ে লেখা হয়েছে কতই না গল্প, কবিতা ও গান। শুধু বাংলায় নয়, সব ভাষাতেই। কখনো সেই লেখাগুলির মূল উপজীব্য তাজমহলের ইতিহাস, কখনো বা গল্প আধারিত  হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে । এরকমই দেখা যায় অজন্তা - ইলোরার ক্ষেত্রেও । যদিও অজন্তা হলো মূলতঃ গুহাচিত্র । আবার খাজুরাহোর মন্দির বা বিদিশায় স্থিত হেলিওডোরাস স্তম্ভকে কেন্দ্রিত করেও লেখা হয়েছে অনেক গল্প ও কবিতা । বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গল্প আছে এই হেলিওডোরাসের স্তম্ভ নিয়ে । এই লেখকেরই । আসলে যে কোন সুন্দর বস্তুই সাহিত্যের লেখককে অনুপ্রেরণা জোগায়, সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে ।।



      🎆🎆🎆বিভাগ-অনুগল্প🎆🎆🎆

আমরা মানুষ
    আব্দুল রাহাজ



সেদিন ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে অসীম আর রহিম নদীর ধারে গিয়ে বসলো ওরা দুজনেই এখন কলেজে পড়ে মনস্তত্ত্ব বিষয় নিয়ে। অনেকদিন বাদে গ্রামে এসেছে গ্রামের পরিবেশ দেখে ওদের দুচোখ ভরে যাচ্ছে হঠাৎ অসীম প্রশ্ন করে উঠলো আমরা তো মানুষ রহিম বললো হ্যাঁ আমরা মানুষ তাতে কি বলল আমরা মানব জাতি এখন সবদিক থেকে সব প্রাণীদের থেকে আমরা এই মহাজগতে উন্নত। রহিম বলল দেখ আমাদের বুদ্ধি ভাবনাচিন্তা সবই আছে কিন্তু অন্যদের 
নেই অসীম বলে উঠলো সেটাই ‌। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা যে মানুষ তা কয়েকটা  মানুষ সমাজের প্রতি যেরকম বাঁকা চোখে দেখে আমার তো মনে হয় সমাজের নিচু স্তরের মানুষেরা হলো প্রান্তিক এই মানুষদের  কাছে মানুষ না মনে হয় ওরা যেন
কোন জানোয়ার রহিম ঠিক বলেছিস। এরপর ওরা বললো দেখতো‌ এই সমাজে তাদের ও সমান অধিকার আছে তাদের  মাথা উঁচু করে চলার মত অধিকার আছে কিন্তু মানবজাতির নিয়ম ধারা যাঁতাকলে পড়ে ওরা যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। ওরাও তো মানুষ সমাজের এইসব মানুষ গুলোর জন্য মনুষ্যজাতির কোথাও যেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত হচ্ছে। এসব কথা আলোচনা করতে করতে ওদের ছেলেবেলার খেলার সাথী অনিমা চলে এলো এই তোরা কি আলোচনা করছিস একটু আলোচনা করছি মানুষ ও আচ্ছা আমি কোন পর্যায়ে পড়ে একটু হেসে বলল মানুষ ই রে এইভাবে ওরা হাসতে হাসতে বেশ অনেকক্ষণ গল্প করলো। নদীর ফুরফুরে হাওয়াই ওদের অনেক স্মৃতির কথা ওরা বলে ফেলল সবার সাথে অনিমা এখন শহরে ডাক্তারি পড়ছে তাই নিয়ে ওদের সামনে কিছুক্ষণ কথা হল এইভাবে মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে ওদের আলোচনা সত্যিই ভাবিয়ে তুলল ওদের তিনজনকে। ওরা বুঝলো সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী মানুষ সমান অধিকার আছে থাকবে আজীবন কিন্তু সময়ের যাঁতাকলে পড়ে কোথাও যেন কোন একটা স্তরের মানুষ হারিয়ে যেতে চলেছে সূর্যের নিস্তেজ আলোর মতো দূর আকাশে।



    💥💥💥বিভাগ-কবিতা💥💥💥



                  এখন

            হামিদুল ইসলাম

                


ভূগোলের মানচিত্রেও কি এখন

পরিবর্তন এসেছে ?

ভূগোল বইয়ে পরিবর্তন নেই 

মানচিত্রে বিবর্তন  ।।


ভাটিয়ালি গানে যারা পরিবর্তন আনে 

রাজাকে পাল্টাবার জন‍্যে 

যারা মিছিলে পা মেলায় 

তারাই তো সুশীল 

বুদ্ধিজীবী  ।।


এদের চিনে রাখা মুস্কিল 

এরা সাহিত‍্যকে বাঁচায়

নতুন রাজাকে গড় হয়ে প্রনাম করে 

নিজেদের স্বার্থের জন‍্যে  ।।


তারপর একদিন গ্রাম বাংলার জমিনে 

কেবল ফসল আর ফসল 

সোনা আর সোনা

সেই সোনায় ভাগ বসায় এরা 

সোনা না পেলে খুন জখম রাহাজানি  ।।


এখন এ ঘটনা নিত‍্যদিনের  ।।



বিজ্ঞাপন:-



জ্যোৎস্না রাত
        জুয়েল রুহানী



জ্যোৎস্না রাতের মায়াময়ী রূপে
উদাসী এ মন খুঁজে পায় যেন;
কাব্যের ভাষা-
উপন্যাসের শব্দালঙ্কার
চন্দ্র-তারার অযাচিত রূপে
মন চায় হারাবার!
জ্যোৎস্না রাতের মায়াময়ী রূপে
তারার পানে চেয়ে চেয়ে রই
চন্দ্ররূপের মন্ত্র-তন্ত্রে
আঁখি নয় ফেরাবার,
মায়াবী রাতের সম্ভাষনে
মন ছুটে বারে বার!!





অব্যক্ত কিছু কথা
           তীর্থঙ্কর সুমিত


রোজ যে আকাশটাকে দেখছি
হটাৎ একদিন
তাকে নিজের বলে দাবি করে বসলাম
যে মাঠটায় এতদিন খেলা করেছি
আজ তাকে 
বড় কাছে পেতে ইচ্ছে করছে
তবুও কোথায় যেনো ...

একটা ____
ফেলে আসা কানাগলি আজ
আলোয় ভরেছে।




নিস্তব্ধ আক্ষেপ
             পঙ্কজ  মালী   

                    
কাঁটাতার আর লাগেনা,আঁচড় দেয় তা সহ্য হয়।
অসহ্য যন্ত্রণা কি ভোরের কুহেলিকাতেও সুস্পষ্ট?
নির্বোধ মানসিকতা জানেনা সৃষ্টির- অসুখ
নিস্তব্ধ আক্ষেপ  কাঁদতে পারে!
            কেন?
উত্তর  কার্য-করণ তত্ত্বটির অজানা।
রসায়নের রশ্মিটি হাড়-মাংসের চিঁড় শনাক্তে অনবদ্য
মনের ফাঁটলের অন্বেষণে সেটা বিমুখ।
একাকী রাতের ঘেমে ওঠা গরম বিপর্যয়  নয়, হয়তোবা আশঙ্কা !
যার শঙ্কায় নিস্তব্ধ আক্ষেপ








      বিখ্যাত
         সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

তুমি হলে বিখ্যাত যে আমি হলাম খ্যাত
সবে মিলে  গলা ছেড়ে আনন্দেতে মাতো
বিশ্ববাসী যখন ঘুমায় নির্ঝঞ্ঝাটে
রাজা তখন আনন্দে মুন্ডু গুলো কাটে! 
প্রবাসে উদর ভরে,ভরে নাকো মন
কেঁদে মরি কার তরে আমি সারাক্ষণ! 
এই  মাকে  --ফেলে কেন যাব পরবাসে? 
ঘুচিয়ে দাও যত ব্যাথা সত্য আশ্বাসে। 
আমি নইকো অধম  ঐ ওদের মতো
তবে কেন  রইবোনা  শিশুদের মতো? 
নইকো পশুপাখি সবাই সেটা জানো
মোর জন্য খবরে নতুন কিছু
আনো।
মা কাঁদে পাড়া কাঁদে আমারই বিহনে
তাইতো আমি চাইছি  মূল্য তোমা সনে। 

কেন কাঁদে মাতা তবে প্রশ্ন করি কাকে
ঘরে বসে  স্বচক্ষে দেখতে পাব মাকে? 

উত্তর দাও রাজা ছোট্টো দাবি আমার
তুমি রাজা আমি প্রজাএই  হোলো সার।





মোটা ভাই ও ফোঁটা
       অঞ্জলি দে নন্দী,মম


মোটা ভাই -
গিয়েছিল ফোঁটা নিতে দিদির ঘর;
এক সপ্তাহ পর
ফিরছে নিজের বাড়ী।
এতো দিন থেকে
সে হরেক খাবারে উদর ভরল।
তিন মণ ভারী।
নিজেই চালায় নিজের চার চাকা বিদেশী গাড়ী।
হঠাৎ রাস্তায় পেলো ইয়ে।
কোন রকমে চেপেচুপে রেখে
কিছু দূরে গিয়ে
পেট সাফ করল,
নিশ্চিন্তে অবশেষে।
পাবলিক প্লেসে।
একশো রূপীয়া দিয়ে।
ফের কার চালিয়ে ফিরল বাড়ী।
রাস্তার ধারের দোকান থেকে
কিনে নিয়ে
হাফ ডজন রাবরী ভরা হাঁড়ি।
ঢুকেই বাড়ি, নিয়ে একটি হাঁড়ি খেতে শুরু করল
সে তাড়াতাড়ি।
এমন সময় মোটা ভায়ের পেট ফের গড়বড় করল।
সে ছুটল, উদর সাফ করতে আবার তাই।
সদাই মোটা ভাই
করে শুধুই খাই খাই খাই.......




বিজ্ঞাপন:-


আগামীকাল বৃহস্পতিবার এর জন্য লেখা পাঠান 

বিকাল 4টার মধ্যে

9593043577 what's app 

বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েব সাইট দেখুন 

www.upokonthasahityapatrika.com



২টি মন্তব্য:

  1. এটা দারুণ । ছবি সহ খুব ভালো লাগছে ।
    এভাবেই আরো আরো সুন্দর হোক আগামীর পথ ।
    নিরন্তর শুভকামনা ❤️

    উত্তরমুছুন