শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/11/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 27/11/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 7 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

               তুমি
            সৌম্য ঘোষ
      

তুমি ফুল হও আমার বাগানে
রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াবো
তোমার চারিপাশে ।

তুমি আকাশ হও
শরতের মেঘ হয়ে ভেসে যাবো
তোমার দিগন্তে !

তুমি নদী হও
তরী ভাসিয়ে চলে যাবো কোন্ অজানা
মোহনায় ।

তুমি জ্যোৎস্না হও
তোমার মায়াজালে সঁপে দেব
স্বপ্নে বিভোর হয়ে ।

তুমি কি আমার শয্যাচিতা হবে ?
তোমার হলুদ আগুনে আবিষ্ট হবো
চিরনিদ্রার অনন্ত প্রহরে।




অনামিকা
শুভ্রাংশু কুম্ভকার

অনামিকা,
তোমার কণ্ঠ জুড়ে মালা উঠলো অন্য কারো হাতে,
যৌথ স্বপ্নেরা শেষ হয়ে গেলো বেহিসেবি এক রাতে,
আলো ভরা পথে চলেছি দুজনে, আঁধার কীভাবে এলো?
ভুল বোঝা গড়ে বিভেদ প্রাচীর,আলাদাই করে দিলো।
হাতে ধরা হাত,সেই নিশিরাত এখনো কি মনে পড়ে?
ফেস্ট এর শেষে, নাটকের ড্রেসে, পৌঁছে দিয়েছি ঘরে।
চোখে চোখ রেখে, নবরঙ মেখে, পরদিন তুমি এলে,
সাদা সালোয়ার, লাল ওড়নায় ভালোবাসি বলে গেলে।
চোখে চশমায়,বুক চমকায়, আমি হতবাকে দেখি,
নোটসে্র খাতা,চিঠি চারপাতা আজও বুকে জমা রাখি।
তারপর সেই গাছতলে বসা, সব খাওয়া একসাথে,
তুমি হেঁটে, তাই সাইকেল নিয়েও আমি পথ চলি হেঁটে।
হোষ্টেলের ফোনে শুধু ইনকামিং অপেক্ষাতেই থাকে,
কার সহচরী কখনই বা ডাক দিয়ে যায় কাকে?
বিকেল কাটতো নরম স্বপ্নে,রাত্রে কঠিন বই,
রাতের বিরহ কী কঠিন তা তুমি ভালো জানো সই।
মন দেওয়া নেওয়া পাকাপাকি কথা সবই বছর তিন,
ছেড়ে চলে গেলে কীভাবে কাটাবো আগত আগামী দিন।
দেরি হলো কিছু কাজ খুঁজে পেতে, ততদিনে তুমি পর,
শুনেছি নাকি মস্ত চাকুরে তোমার যোগ্য বর।
আমি শুধু খুঁজি,হিসাব মেলেনা, একাকী অভাগা শোকে,
সুদে মূলে ব‍্যথা বাড়তেই থাকে হৃদয়ের পাশবুকে।



অনুগল্প
পুজো
মিনতি গোস্বামী

পুজোর আর দশদিন বাকি।পুজো হবেনা হবেনা করে প‍্যান্ডেলে বাঁশ পড়েছে টুবলুদের পাড়ায় ।
সরকার  নাকি সব পুজো কমিটিকে পুজোর নির্দেশ দিয়েছে।প্রায় আটমাস স্কুল বন্ধ, বাইরে কোথাও বেরোতে না পারায় টুবলুর মনটা খারাপ ই ছিল।কিন্তু বাঁশ পড়ার পর ই তার মন আনন্দে নেচে উঠলো।পুজো,ঠাকুর দেখা,অঞ্জলি , পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা,উঃ কি আনন্দ!
টুবলু নাচতে নাচতে বাবাকে বললো,"অনেক দিন বাড়িতে আছি, এবার ঠাকুরতলায় গিয়ে খুব আনন্দ করবো।"
বাবা একরকম কড়া গলায় বললো,"হোক পুজো,আমরা কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবোনা।।
সবাই বেরোলে সংক্রমণ বেড়ে মহামারী হবে।"
টুবলু জানে, বাবার কথাই শেষ কথা।
মায়ের কাছে দরবার করেও কোন কাজ,
হবেনা।টুবলু তবুও দমেনি।দোতলার বারান্দা থেকে
প‍্যান্ডেল বাঁধা দেখে রোজ।সে দেখে পাড়ার অনেক লোক কিন্তু জড়ো হয়ে প‍্যান্ডেলের তদারকি করে।
তাদের সবার মুখে মাস্ক নেই।তারা চায়ের দোকানে ঘেঁষাঘেঁষি করে চা খায়,গল্প করে।পাড়ার অনেক ছোটরাও প‍্যান্ডেল তৈরী দেখে।শুধু টুবলু ঘরে।
মন খারাপ হলেও বাবাকে সে কিছু বলেনা।

টুবলুর ছোটপিসি ষষ্ঠীর দিন এলো সপরিবারে করোনারি নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে।
টুবলুর বাবা বললো," তুই আমার ছোটবোন, বারণ করেছি পরিস্থিতির চাপে।ভালোই করেছিস এইভাবে এসে।সবাই ঘরে থাকবো। নতুন রান্না, ছোটদের মজা,আর খাওয়া দিয়েই এবার আমাদের পুজো।"

টুবলু ষষ্ঠীর সন্ধ‍্যে থেকেই পিসির ছেলেমেয়ের সাথে ছবি দিতে লাগলো বাবার ফেসবুকে নতুন পোশাক পরে।আর দেওয়া হল মায়ের হাতের রান্না।
পাড়ার অনেকেই কিন্তু পুজো প‍্যান্ডেলে গেল, রোজ
পুজো দেখলো, মজা করলো।

লক্ষীপুজোর আগের দিন টুবলুর বাবা বললো,
"এপাড়ায় কুড়িটি পরিবারের করোনা পজিটিভ।"
টুবলু এবার বুঝলো, কেন বাবা বাইরে. বেরোতে বারণ করেছিল।
টুবলু বাবাকে জড়িয়ে বললো," তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।"





সৈন্য প্রতি একরাশ  শ্রদ্ধা
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি তাঁদের মহান অবদানের জন্য একরাশ শ্রদ্ধা জানাই,
মরুভূমি থেকে  সাগরে পর্বত চূড়ায়,
বরফের  মধ্যে  থেকে
নিয়োজিত থাকেন আমাদের  দেশ রক্ষায়,
তাঁদের প্রতি এই মন ভরে ওঠে একরাশ শ্রদ্ধায়৷

কত ঝড়  সংকট বিপদ বার বার আসে,
ভারতীয় সেনার মতো আর দেশকে কারা আর  ভালোবাসে?




মনের ক্যানভাসে
অনাদি মুখার্জি

আজো মনে পড়ে সেই শৈশবের দিনগুলো,
মন ছুঁয়ে থাকে থাকে আমাদের গ্রামের শান্ত নদীর কূলে !
থাকতো সেই খানে গ্রামের দুই ধার পাড়ে পাড়ে ,
সারি সারি কত পলাশ আর কলমিলতা ছেয়ে !
সেখানে আমার বনধু ছিল কত রঙিন প্রজাপতি ,
তাদের পিছনে ছুটতাম আর খেলতাম সারাদিন !
সোনালী বিকেলে আমি কত উড়িয়েছি রঙিন ঘুড়ি,
সবার আড়ালে করেছি  তেঁতুলের আঁচার চুরি !
রিমঝিম বর্ষায় ভিজে খেলতাম ছোটবেলায় ,
মাঠের সেই জমা জলে কাগজের নৌকা করে ভাসিয়ে দিতাম !
ছোট্ট বেলায় সেই দিনগুলি পারিনা আজ ভুলিতে ,
মনের ক্যানভাসে এঁকে রাখি বিনা রঙ তুলিতে !




বিপ্লব গোস্বামী এর তিনটি অনু কবিতা

১।
ভালোবাসা কি পাপ

বিপ্লব গোস্বামী

ভালোবাসা কি দীর্ঘশ্বাস
নাকি হাহুতাশ !
নাকি চির ধরা দিল
স্বপ্নের দ্বারে খিল !

ভালোবাসা কি পাপ
নাকি কোন শাপ !
নাকি আশা ভঙ্গের বেদনা
না পাওয়ার যাতনা !
ভালোবাসার শেষ ফল,
বুকে ব‍্যাথা চোখে জল!

২।
পদচিহ্ন

বিপ্লব গোস্বামী

আমার মনের উঠোন জুড়ে
তোমার পদচিহ্ন !
সারাটা হৃদয় জুড়ে ব‍্যাথার ক্ষত চিহ্ন !
গড়তে ছিলাম স্বপ্ন বাসর
হঠাৎ করলে মানা !
এখন আমি ধুলায় ধূসর
ভেঙ্গে স্বপ্ন ডানা।

৩।
তব চুম্বন

বিপ্লব গোস্বামী

সেদিন নীরবে নির্জনে দুজন,
তৃষা-তোরা চিত্তে তাপ দাহ ভীষণ।
অপলক দৃষ্টিতে কর পরশন,
ঘন ঘন তপ্ত শ্বাস অঙ্গ শিহরণ।
লাজে রাঙ্গা মুখচন্দ্র নত মস্তক,
তপ্ত দীর্ঘ শ্বাস হৃদপিণ্ডে ধকধক।
কাঁপা কাঁপা তব শুঙ্ক অধর,
ধীরে বসিলো ওষ্ঠে কেঁপে থর থর।
নিমীলিত আঁখি তব,স্তব্ধ হলো ক্ষণ
আজো ভুলিনি তব প্রথম চুম্বন।





সাধনা
   সুস্মিতা দে

চলে গেলেন মারাদোনা আপন
         ধাম পেরিয়ে সীমানা ছেড়ে ।

চলে যায় স্মৃতি রেখে ।
স্বর্গধামে,চোখের সামনে বিশ্বজয়ী
হৃদয়টি মানুষের মনে পড়ে

অনেক কাজ অসমাপ্ত
আছে , দাদার স্বপ্ন পূরণ
করতে হবে,  ভাইবোন অন্তরে
কান্না চলে ভাঙছে হৃদয় মন প্রান মারাদোনার খেলা তে আছে আত্মবিশ্বাস সাধনা কতো শ্রম। শুধু  খেলা  না সব প্রশিক্ষণ তৈরি হবে শ্রম সাধনা  প্রেম দিয়ে ।

চোখের অশ্রুর বিসর্জন হয়ে
           ধর্ম কর্ম  সন্তানে মধ্যে থাকে
          নিবেদিত প্রাণ ।
   

         দিনে রাতে ভেবেছিলাম
        নিজেরে আত্মত্যাগের মহিমায় বিফলে যাবে না বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার মান ।
         কেবল মিছে  কাজ না করে  নিজেকে চাবুক করে  বানাবো আশীর্বাদ দিয়েযাও





প্রবন্ধ
সাহিত্য আলোচনা ও তার গুরুত্ব
  -  অগ্নিমিত্র

  সাহিত্যের অঙ্গনে আলোচনা হতে পারে গল্প, কবিতা নিয়ে, প্রবন্ধ নিয়ে, নাটক নিয়ে । কাব্যনাট্য ও নাট্যকাব্য কী, তা নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে । সাহিত্যের ইতিহাস, তার রূপরেখা, এমনকি আধুনিক সময় ও সাহিত্যিকদের নানা সমস্যা, আর্থিক টানাপোড়েন  ইত্যাদি বিষয়েও কথা হতেই পারে । বাংলা সাহিত্য একটি প্রবহমান নদীর ধারার মতো। আলোচনার মাধ্যমে সেই নদীতে নতুন স্রোত আসে; নতুন দিশা পান লেখকেরা। তাই প্রতি বইমেলা বা বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকরা আলোচনা করেন নিজেদের মধ্যে । আগে কোন সাহিত্যিকের বাড়ি বা মেসে বা রেস্তরাঁয় এরকম আলোচনা হতো । কফি হাউস ও কুমার্স ক্যান্টিন এরকম আলোচনার জন্য সুবিখ্যাত । তারও আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে এরকম আলোচনা হতো ' খামখেয়ালি সভা' নামে ; দিকপাল সাহিত্যিকরা সাহিত্য ও তার ধারা এবং সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করতেন, নতুন লেখার রসদ পেতেন। মিত্র ও ঘোষ প্রকাশনার গজেন্দ্রকুমার মিত্রের বাসায় এরকম আলোচনা হতো । যারা উঠতি লেখক বা লেখক হতে চান, তাঁরাও এই রকম আলোচনায় উপকৃত হতেন ও আজও হন ।
  দুঃখের বিষয়, আজকাল এরকম আলোচনা তেমন হয়না। ফলে সাহিত্যও তার গতি হারাচ্ছে । তবে অনলাইন মাধ্যমে আলোচনা করা যেতেই পারে। তাতে উপকৃত হবে বাংলা সাহিত্য ও তার অগুনতি পাঠক। তবে একটা কথা, সাহিত্যের সভায়
রাজনীতি নিয়ে আলোচনা না হওয়াই ভালো। যদিও সব কিছুই ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাও রাজনীতি ও সাহিত্য পৃথক থাকা উচিত বলে আমার মনে হয় ।।





হ্যান্ড অফ গড
   অঞ্জলি দে নন্দী, মম

মারাদোনা আছেন মারাদোনাতেই।
আঁখির কান্না-রোনাতেই...
অমৃতের সন্তানের মৃত্যু নেই।
তিনি আছেন চির অমরত্বতেই।
তাঁর জার্সী ফুটবল প্রেমীর আরশি।
হ্যান্ড অফ গড।
ফুটবলের লর্ড.....





               ছোঁয়া
         হামিদুল ইসলাম
            

পাপের প্রায়শ্চিত্ত বহন করে চলেছি
কতো যুগ
মাথার উপর সূর্য সাক্ষী
নৈঋতে ঘোর অকাল বোধন
ধীরে ধীরে পেরিয়ে যাই সবুজ মাঠ বন্দর ধানসিঁড়ি ।।

অসম্ভব সময় পেরিয়ে আসি
যুদ্ধ দিনরাত
সে যুদ্ধে জীবন জড়িয়ে পড়ে
বেছে নেয় বিভৎস আলো আঁধারি পথ
কাঞ্চনকন‍্যার পিঠ কুঁকড়ে যায় শত অত‍্যাচারের আঘাতে  ।।

পরের জন‍্যে টেনে আনি অশান্তি
পথকে চিনি রোজ
তুমি বন্ধু বিদায় নিলে পড়ে থাকে রোদ
ভগ্নদ্বারে এসে দাঁড়াই
নির্ঘুম রাত পেরিয়ে যায় অষ্টাদশীর বুকের উত্তাপে  ।।

তবু বৃথাগঞ্জ দশাননে
সূর্য ওঠে প্রতিদিন ভোরে
নৈমিত্তিকতার ছায়া ফেলে একফালি মেঘ
হারিয়ে যাই কোনো এক দূর দেশে
যেখানে মায়ার জগতের ছোঁয়া বিন্দুমাত্র নেই  ।।





জুম্মা মসজিদ
      বদরুদ্দোজা শেখু


পুরনো শহরটায়
কারফিউ লেগে আছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার
ইতস্ততঃ কানাঘুষো উত্তেজনা আর
আশঙ্কার জীবন্ত সমাধি যেন ক'দিন থেকেই
অন্তরীণ জন-জীবনের আর্তনাদ
ইট পাথর কংক্রীট আর দেয়ালের
দূরূহ আড়ালে , ইচ্ছা ছিল
ঈদের নামাজ পড়বো ঐতিহাসিক ওই
জুম্মা মসজিদে অন্ততঃ আত্মতুষ্টির
আনন্দে ,একটি বার দুর্লভ সুযোগ পাওয়ায়  ।
কিন্তু হলো না। পরিস্থিতি প্রতিকূল । অবশ্য
দিল্লীর অন্যতম দ্রস্টব্য বলেও কিছু গুরুত্ত্ব আছে ওখানে  যাওয়ার ,
ধর্মাধর্ম রাজনীতি কূটঘাত
ইত্যাদির ঊর্দ্ধে উঠে যদি যাওয়া যায় ।
বিষণ্ণ আমার মন অঘ্রানের
প্রতীক্ষিত পাকা ধান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাটতে না-পারা
কৃষকের মতো অসহায়, উপেক্ষিত ।
সবুরে মেওয়া ফলার কোনো ঐশ্বরিক
ইঙ্গিতের  আশায় মৌন হ'য়ে দিনকাল গুণে যাওয়া ছাড়া
অন্য গতি নাই , তাই যে-কোনো জামাতে
যথারীতি ঈদ পার ক'রেই দিলাম ।

দু'টো মাস কেটে' গেছে কবে ।
কারফিউ উঠে গেছে , ( যদিও সদাই সম্ভাবনা নতুন দাঙ্গার ),
সুযোগ হয়নি জুম্মা মসজিদে যাওয়ার । শেষ দিনে কোনোক্রমে
হন্তদন্ত হ'য়ে সময়ের দাক্ষিণ্য পাওয়ার অনুমানে  অকস্মাৎ
সেখানে গিয়েই তার  একটি ফটক খোলা পেয়ে দ্রূত
অন্দরে গেলাম । মৌন সংক্ষিপ্ত নামাজে
শুকরিয়া জ্ঞাপন করার পর শ্বেতপাথরের
মুঘল কীর্তির বিশাল মহিমা ফিরে ফিরে
দেখতে দেখতে আবিষ্ট নয়নে তুষ্ট বাইরে এলাম । তবু
খচখচে আড়ষ্টতায়
মন ছেয়ে আছে শুধু শোকাকুল
কালো বস্ত্র -আবৃত গম্বুজ
প্রতিবাদী বিষণ্ণ গম্বুজ ।





ওদের দেশ
  আব্দুল রাহাজ

একটা দেশ খুব বেশি বড় না দেশটির বেশিরভাগ অংশ সবুজের সমাদৃত এক আলাদা জগত নিয়ে এক আলাদা পরিবেশ নিয়ে এক আলাদা জীব বৈচিত্র্য নিয়ে পরিপূর্ণ হয়েছে এই দেশ। দেশটির মধ্য দিয়ে চলে গেছে শখা নদী দেশটির বেশিরভাগ মানুষ প্রান্তিক দেশটির উত্তরভাগ এ ব্যাপক বনাঞ্চল লক্ষ্য করা যায় এই বনাঞ্চলের উপরই ওই দেশের অর্থনীতি ও শখা নদীর উপর ভর করে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। ওই দেশের একটি জনপদ ছিল  জনপদটি দেশের একেবারে শেষে সেখানে বসবাস করত ভরত নামে একটি ছেলে তার পরিবার ছিল না বাবা-মা সেই কোনকালে প্রাণ হারিয়েছে কোন এক দুর্ঘটনায় একা একা একটা বনের মধ্যে বসবাস করে তাদের দেশ নিয়ে সে খুব কৌতুহলী বনের জীব জন্তুর এর সঙ্গে তার ভালই বন্ধুত্ব হয়েছে ছোট থেকে ওদের দেশে ওর কাছে ছিল প্রাণ ছোটবেলায় ও কারোর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেনি‌ প্রকৃতির কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছে প্রতি পদে পদে জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে । ও ওই বনের মধ্যে থেকে দেখতে পায় তাদের দেশের শোভা মনোরম দৃশ্য। শীতের দিনে ওই বন থেকে বেরিয়ে পড়ে আশেপাশের মানুষদের সাহায্য করে সব মিলিয়ে দেশের প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে বেশ ভাবেন ভরত সেও বনের জীব জন্তুদের নিয়ে সেই দেশে খুব ভালো ভাবে বসবাস করে তাই ওর কাছে ওর দেশ এক মনের মধ্যে প্রাণ এক মনের মনিকোঠায় কল্পিত এক  স্বর্গরাজ্য যা আজীবন আঁকড়ে ধরে আছে ও থাকবে তাদের দেশের প্রকৃতির মায়ের কোলে।





দায়ভাগ
মহীতোষ গায়েন

যদি ভাবো দায়ভাগ,তাহলে নেই...
যদি ভাবো ব‍্যবহার করে নিয়ে দাঁড়ি
টানবে,তাহলেও নেই,যদি ভাবো এই
সময়ের তুমি নিয়ন্ত্রক,মেঘ জমে বাজ।

আকাশের নীল রঙ পাল্টে দিয়ে যদি
ভাবো কালোমেঘে ছেয়ে গেছে দিক,
তাহলে বৃষ্টিরাও বুঝে যাবে,হাওয়ারা
ছুটে এসে তুলে নেবে শিকড় বাকড়।

সময়ের গতি মেপেই অবশেষে নিরালা
নিঝুম ঝরে যাবে ফল,ফুল,পাতা,উপদ্রুত
শিরায় উপশিরায় বিদ্যুৎ চমকাবে,শেষে
নটরাজের নৃত্য শুরু হলে,থামানোই দায়।







0 comments: