বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/11/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/11/2020

*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-12/11/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 6 টা. 57 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

(১)

দেশ

দেশ
নিয়ে ভাবনাই
আজ কারোর​. নেই
সবাই খুঁজছে দলের লবি
ধর্মের তাস নিয়ে চলছে ভোজবাজি
ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে সবাই বিন্দাস আছি।

ভাবিনা নিজের সঙ্গে নিজেই খেলছি কানামাছি
সন্তানের ভাতের থালা বন্ধকে রাজি
পাল্টে দিচ্ছি ভবিষ্যতের ছবি
নাচছি ধেই ধেই
আগামী ঠিকানাই
শ্লেষ ।

(২)

মন

মনটা
খুঁজে চলে
চিরদিন মনের মানুষ
খুঁজতে খুঁজতে বয় বেলা
দিগন্তের ঘাটে সূর্য নামে পাটে
শুরু হয় বোঁচকা বুঁচকি বাঁধার পালা ।

মনের মানুষ ছাড়া মেটেনা মনের জ্বালা
মন মাথা ঠোকে বারুণীর  ঘাটে
মানুষ ভাবে পাগলের খেলা
হারিয়েছে মান হুঁশ
পড়ে গলে
জীবনটা।




ওরা বিপ্লবী
      আব্দুল রাহাজ

ওরা বিপ্লবী বিপ্লবী
সবার কাছে চিরস্মরণীয়
ভারত ভূমির কাছে ওরা অমর
প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে মনে প্রানে বিপ্লবীরা মনের মনিকোঠায় এক অনন্য উজ্জল।
শত হারা মায়ের বুকের খালি করা সন্তান ওরা
ওরা তো সেই বিপ্লবী রে।





ছায়া
     হামিদুল ইসলাম

এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
তেপান্তরের মাঠের চেয়েও বেশি ব‍্যবধান
মুহ‍্যমান সময়
সামনে চড়াই উৎরাই পথ
সাহসে বুকে ভর করি পা রাখি জমিনের উপর ।।

মৃত‍্যুদণ্ড ঘোষিত এখন
মৃত‍্যুর বিরুদ্ধ দিই জান কবুল লড়াই
মৃত‍্যুকে মুছে ফেলি
কবরের মাটি খুঁড়ি
প্রতিদিন কবর খেয়ে নেয় মানুষের রক্ত অস্থি মজ্জা ।।

আসুরিক শক্তির সঙ্গে এখন মল্লযুদ্ধ
রাষ্ট্রশক্তির গালভরা অঙ্গীকার
দাবানলে পুড়ে যায় বৃহৎ অরণ‍্যানী
সুখের ঘর পোড়ে মৃত‍্যুর আতঙ্ক
রাতের আঁধারে শ্মশানে পোড়ে জ‍্যান্ত মানুষের লাশ  ।।

দূরে দূরে দাঁড়িয়ে থাকি
হাতে রাখি বিশুদ্ধ জল
নখের আগায় পুরোনো প্রেম
মনের গভীরে বিদ‍্যুৎ খেলে যায়
মন আমার স্বপ্ন দেখে উঠোনে আমড়া গাছের ছায়ায়  ।।




পথের সন্ধান
        জুয়েল রুহানী

পথ ভোলা এক পথিক আমি
কোন পথে যাই নাই ঠিকানা!
একা একা পথ চলেছি
পাই যদি বা কারো দেখা?

যদি, না পাই দেখা একা একা
ছুটবো নানান পথে,
ভয় করে জয় নির্ভয়ে-
দিবস কি বা রাতে!

পথ হারিয়ে প্রভূর রাহে-
করবো মোনাজাত,
দাও দেখিয়ে হে দয়াময়-
আমার চলার পথ।




এগিয়ে চলো
          সাফরিদ সেখ

শীতের ধূসর কুয়াশা আজ মুড়ে দিল সারা দেশ
আশার স্বপ্ন নিরাশার গৃহে নিয়েছে স্থান
কিছুই যায় না বোঝা রাত কি দিন
এ এক গভীর দুঃস্বপ্ন ঘিরে আছে।

আমরা চলেছি জতু গৃহ মাঝে না জেনে
হয়তো অনুমান করতে পারি কিছু
আগুনে না পুড়ে বেরিয়ে আসতে হবে
জীবন দিতে হবে নীরস বৃক্ষ শাখায়।

সম্মুখ প্রহেলিকা পশ্চাতে রেখে
এগিয়ে যাও রঙ্গিন আলোর উৎস মুখে
প্রচেষ্টার নিগড়ে বন্ধী সাফল্যের দড়ি
কর্মের দাস সফলতা সর্বদা সত্য যেন।

এগিয়ে যাও যত দূর যেতে পারো
এই মোর শেষ নিবেদন মতামত।





ছড়া 
       তর্কদূষণ
ডঃ রমলা মুখার্জী

তর্কচূড়ামনির দেখা তর্করত্নের সাথে,
ব্যাস, আর যায় কোথায়, তর্ক ভীষণ বাধে।
সমানে সমান দুইজনে, বাপ রে সেকি গোল!
মনে ভাবি ওরা কি হয়ে গেল পাগল?
দাঁত খিঁচিয়ে মুক বেঁকিয়ে তেড়ে তেড়ে আসে-
বাচ্চাগুলো তাই দেখে হা হা হি হি হাসে।
তাতেই আরও ক্ষেপে গিয়ে তর্জনীদ্বয় তুলে -
তর্কদূষণ অতি ভীষণ  চেঁচায় গলা খুলে।
তর্ক সেকি তুমুল অতি, কাঁপে শরীর রাগে-
চিৎকারেতে কাক চিল ভয়েতে নাহি ডাকে।
টিভি চ্যানেল খবর পেয়ে নিয়ে গেল খুশিতে -
দুই পক্ষে বসিয়ে টি আর পির হাসিতে।




কৃষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা...
      চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

আমাদের দেশে আছে অনেক পাড়া গ্রাম,
যেখানে কৃষাণ কৃষাণী
হালচাষ করে,
ফসল ফলায় অথচ আমরা
জানি না সবার নাম৷
যাঁদের রক্ত ঘামে পরিশ্রমে ফলানো,
ফসল খেয়ে আমরা সভ্য সমাজ বেঁচে থাকি,
তাঁদের প্রতি একরাশ শ্রদ্ধা জানাই,
ওঁনাদের আমরা কেউ
না যেন দিই ফাঁকি৷

কৃষক সমাজকে বাদ দিয়ে,ভাবা বৃথা
দেশের উন্নতি,
যাঁর যা পাওনা দিয়ে দিলে পরে,
হবে না তো তেমন ক্ষতি৷
জাতি ধর্মের বিচার কখনো কৃষক সমাজ কি করে?
হাতে হাত,কাধে কাঁধ মিলিয়ে,ফসল তুলে দেয়
হাটে বাজারে আর মানুষের প্রতি ঘরে৷

মা বাবাকে পাঠায় না বৃদ্ধাশ্রমে,
হয়তো তাঁদের অত ডিগ্রী নেই,
কত কিছু শেখার আছে,
কৃষক সমাজের কাছে,
তাই অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই,
গায়ে গতরে
খেটে খাওয়া ,কৃষক সমাজকেই৷






বিশেষ সংংখ্যা

উপকণ্ঠ দীপাাবলি সংখ্যা-2020 লেখক তালিকা

শীঘ্রই প্রাকাশিত হবে। 


0 comments: