উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 22/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 22/11/2020, রবিবার
সময় :- রাত 7টা. 20 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
বিভাগ-হাইকু কবিতা
শংকর হালদার
০১।
প্লাবিত আঁখি
বর্ষা নেমেছে হৃদে
চঞ্চল মন ।
০২।
বসন্তবৌরি
সুরে সুর মেলাবো
একই ডালে ।
০৩।
লগন্ এলো
দখিনা বায়ু দ্বারে
বসন্ত ডাকে ।
০৪।
আঁধার ঘরে
আলোক শিখা তুমি
মোর জীবনে ।
মানবতার হোক জয়
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
কাছের লোকেরা ছেড়ে চলে যায়,
দূরের লোকজনও ঠিক তাই,
ফিরে আর আসে নাকো,
বুক ভরে থাকে বেদনায়৷
আসার পর চলে যেতে হবে!
এটাই জগতের রীতি,
মাঝখানে কত ঘটনাও রটনা,কারো লাভ,কারো ক্ষতি!
এত হানাহানি মারামারি কেন?
তার কি এমন জবাব আছে?
কোথায় সম্রাট শাহজাহান, আকবর,অশোক—
সিরাজ?
যেতে আর পারি কি তাঁদের কাছে?
হাসি কান্নার একরাশ স্মৃতি শুধু বুকে বাজে!
আমিও বলি—হিংসা থামাও,মারামারি কাটাকাটি আর নয়,
নানক,কবির,যীশু,রাম,
হজরত মোহম্মদের ভুবনে মানবতার হোক জয়৷
———————————————————
সাধে কি আর বলে
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
আকাশ মেঘ রোদ্দুর
বৃষ্টি হারিয়ে মুখোমুখি
পাহাড়ি পথ ঘণ জঙ্গল পেরিয়ে চলেছি
পা পড়বে না আর পৃথিবীর ধুলোয়?
কল্পনায় বাধ সাধছে
ঘণ কুয়াশা আর সাদা বরফের পরিমাণ।
ভালোবাসা ধরা যে ভীষণা
ঘর ছেড়ে এসেছি
প্রকৃতির কোলে সুন্দরের আঙিনায়
সিমলা রয়েছে সিমলায়
আর আমি
রয়েছি কল্পনার ভিতরে
সাধে কি আর বলে!!!
ঐতিহাসিক ২২শে নভেম্বর !
~ রাজা দেবরায় (আগরতলা, ত্রিপুরা)
২০১৯ সালের ২২শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ভারত বনাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি অবশ্যই আমাদের জন্য ঐতিহাসিক ম্যাচ ।
আন্তর্জাতিক দিনরাত টেস্ট ম্যাচের মধ্যে এটি ১২তম ম্যাচ ছিলো । তবে আমাদের দেশের জন্য প্রথম দিনরাত টেস্ট ম্যাচ ছিলো । ২০১৫ সালের ২৭শে নভেম্বর প্রথম দিনরাতের টেস্ট ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে খেলা হয়েছিলো ।
আরেকটি ঐতিহাসিক ব্যাপার হলো আমাদের গোলাপী বল দিয়ে খেলা । এই ম্যাচে খেলা হয়েছিলো গোলাপী এসজি বলে । এই ম্যাচের জন্য বিসিসিআই এসজি'কে ৭২টি বল বানানোর জন্য অর্ডার দিয়েছিলো । ভারতের এসজি বলের মতো অস্ট্রেলিয়ার কোকাবুরা ও ইংল্যান্ডের ডিউক বল ।
এই দিনরাত টেস্ট ম্যাচের দুই অফিসিয়াল ম্যাসকটের নাম ছিলো পিঙ্কু ও টিঙ্কু !!
মিটিং নোটিশ
মহীতোষ গায়েন
মিটিং এবার শুরু,এবার নতুন রূপরেখা হবে
মিটিং প্রায় শেষ,ছক-কষা সিদ্ধান্ত সব প্রস্তুত,
মিটিং শেষ হয়ে গেছে,আর কোন এজেন্ডা বাদ
নেই,আগের মিটিং-এর সিদ্ধান্তগুলি কনফার্ম।
পরের মিটিং হবে অত্যন্ত গোপনে,অত্যন্ত
গোপনে সব সিদ্ধান্ত পাকা হবে,এবার এক
দিনের নোটিশে জরুরি মিটিং আহ্বান হবে,
বাদ যাবে ব্ল্যাক লিস্টেড প্রতিবাদী সব মুখ।
এবার সব গুরুত্বহীন সমঝদার লোকগুলি
মিটিং করবে চুপিসারে,তুলে নেবে ঝটপট
বেশকিছু জোটবদ্ধ প্রতিবাদী লোক,এবারের
মিটিং,একটাই এজেন্ডা,বদলা নয় বদল চাই।
প্রবন্ধ
সময়কাল ও সাহিত্যে তার প্রভাব
- অগ্নিমিত্র
সাহিত্য চিরন্তন । তার আবেদন সব সময়েই মোটামুটি এক থাকে। ইতিহাসধর্মী লেখা বা রহস্য রোমাঞ্চ, আগেও লেখা হয়েছিল এবং ভবিষ্যতেও লেখা হবে । ..তবে কখনো কখনো সাহিত্য সৃষ্টি সেই সময়ের উপরও নির্ভর করে। তাই সেভাবে দেখলে সাহিত্য সময়ের নিয়ন্ত্রণাধীন । আসলে লেখকের চারপাশে যা ঘটে, তা তাঁর মনের মাঝে সুপ্ত বিপ্লবী সত্তাকে জাগিয়ে তোলে । তখন তিনি সেই ঘটনা নিয়ে লেখার উদ্দীপনা পান। তৎকালীন রাজনৈতিক টানাপোড়েন বা সমাজ ব্যবস্থা সাহিত্যকে প্রভাবিত করে ব্যাপক ভাবে । ..যেমন, নীলচাষ ও তার সম্বন্ধিত বিদ্রোহ সেই সময়ে হয়েছিল বলেই দীনবন্ধু মিত্র ' নীলদর্পণ 'নাটক লেখার উৎসাহ পেয়েছিলেন। সেই সময়কার কুলীন প্রথা ও বহুবিবাহ নিয়ে ব্যঙ্গের আড়ালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছিলেন ' বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ '। টেকচাঁদ ঠাকুর লিখেছিলেন ' আলালের ঘরের দুলাল ', মোটামুটি একই বিষয় নিয়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ চারপাশের সময় ও জমিদারীর প্রজাদের জীবনযাত্রা ও নানা ঘটনাবলী নিয়ে গল্পগুচ্ছের নানা গল্প লিখে গিয়েছেন , যেমন 'শাস্তি', ' পোস্টমাস্টার ', ' রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা' ইত্যাদি । চল্লিশের দশকের অশান্ত সময় নিয়ে কল্লোল গোষ্ঠীর লেখকেরা নানা অমর সাহিত্য সৃষ্টি করে গিয়েছেন । তাই একথা ঠিক যে সময় সাহিত্য সৃষ্টিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে ।।
কার কথা?
সুস্মিতা দে
,কেউ কি জানে অর্জুন কেন?
পাখীর চোখের মনির খোঁজ
পেয়েছিলেন তীরে?
পূর্ণ ইন্দু প্রকাশে মধুর হাসি সরে যাচ্ছে ।
অমাবস্যার রাতে নতুন করে খুঁজতে
যেতে হবে । আমি ভেঙে পড়েছি
ভাঙো ? আর ভয় নেই ভাঙতে জানেন।
শুরু হলো তোমার শুরু এবার ।গড়ার
শুরু হবে?একফালি চাঁদ নীল
আকাশে নিঝুম রাতে একলা হাসে
শরম কাঁপছি আমি লেখিকার
সন্মান মর্যাদা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে
গেছে উঠে পড়? আরো পড়
বার বার পড় উঠে পড় ।
বহে সহজ সরল বার্তা
সহযোগীতার স্বচ্ছ জলের
চন্দ্রের মধুর হাসি ?
কতো বছর কেটে গেলো
পাখির মনি টুকু দেখি , নিশানা স্থির
পৌছেছি ,যোগ্য আমি গর্বিত
নহে তিরন্দাজি অর্জুন
কোকিল পাখি ৠতু ছাড়া
মোর কন্ঠ কানে কানে
বলছে তীর বেঁধা পাখি
আর গাইবে না গান।
কুহুতানের তানে তার
গানে তানসেনের কান
তাকে চেনে সে কি বাসা
বাঁধতে পারে পারে না?
প্রানে আত্মা তে কন্ঠস্বর কথা বলে
গানের আগমনী আমি মধুর ধ্বনির
তরঙ্গের প্রেমের ঢেউ কিশোরী।
তাই রাধা আসে কৃষ্ণের বাঁশি
শব্দে কোটি অসীম আকাশে
ভেদে মেঘ আনিয়ে মেঘ বংশী
ময়ূর পেখমে আপন আনন্দে
ঘুরে ঘুরে নাচবেই সে যখন
বাঁশির ধ্বনি মাতোহারা রাধে
মীরাবাঈ কোকিলের বাসার
কথা ভাবে? চেতনা খানি সুন্দর?
মরতে চায় না সে যে
ডিম থেকে শুরু করে জন্ম লগ্ন
থেকে সে নীড় গড়েনি সেই
জন্য কোকিল কন্ঠস্বর তার সম্বল
(ও কোকিলা তোর শুধাইরে সকলেরই ঘর রয়েছে কেন রে তোর বাসা কোথায় নাই রে)
পাগল
হামিদুল ইসলাম
ও আমাকে পাগল বলে
অথচ আমি কখনই পাগল না
আমি পাগলের মতো ওকে ভালোবাসি
তাই ও আমাকে পাগল বলে
বলুক ----------
ওর পাগল বলাতে আমার কিস্যু যায় আসে না
আমি পাগল
আমি ভালোবাসার পাগল
আমি নদীকে ভালোবাসি
আকাশ সমুদ্র বন্দর ভালোবাসি ।।
ভালোবাসার পাগল আমি
তাই গায়ে মাখি না কোনো অপবাদ
আমি ওকে ভালোবাসি পাখির মতো
ও পাখির মতো গান গাইলে
আমার ভালোবাসা আরো গভীর হয় ।।
নদীতে যখন রঙ ধরে
নদীর শীতল জলে স্নান সারি
ঠাণ্ডায় লেপের ভেতর আমি হই পাগল
বদ্ধ পাগল
ও বলে তখন না কি আমাকে চেনা যায় না সাধারণ পাগল বলে ।।
মিনতি. গোস্বামীর দুটি কবিতা
১। শিরোনাম - নাগাল
দিন
ফুরোলেই সব
নাগালের বাইরে পালাবে
ব্যর্থ হবে বাহারি যাপন
অনুভবের পাখিরা আকাশে মেলবে ডানা
গোত্তাখাওয়া ঘুড়ির মত মাথা গুঁজবে শব।
অচেনা ঠেকবে নিমেষেই বৈষয়িক সম্পর্কের কলরব
সিন্দুকের খুদকুঁড়োর হিসেব দেখা মানা
সময়ের হাত নয় আপন
পুতুল নাচ নাচাবে
ফেরাবে নীরব
ঋণ।
২। শিরোনাম- ডায়েরি
আমাদের
সময় ছিল
ডায়েরি লেখার চল
ডায়েরি ছিল মূল্যবান সম্পদ
তাই তাতেই লেখা অমূল্য মূহুর্ত
নাবলা গোপন করার ভীরু অনুভবের গল্প।
পুণ্যিপুকুর, নবান্নের কথাও লেখা হত অল্পস্বল্প
আমকুড়োনো ,সাঁতার ও অক্ষরে হত মূর্ত
ডায়েরি অন্যের হাতে বিপদ
হারালো খুল্লম ঢল
জমানো অনাবিল
স্মৃতিদের।
নতুন সকাল
আব্দুল রাহাজ
সূর্যের রশ্মি ফুটে উঠছে ওই পূর্ব আকাশে পাখিরা সব যে যার কাজের সন্ধানে উড়ে যায় দূর দেশে।
মানুষ ছোটে জীবিকার সন্ধানে
এ এক যেন নতুন সকাল সবার সামনে আসে ।
কেউ সকালের আলোতে দেখে পৃথিবীর নতুন মুখ
কেউ আবার ছেড়ে চলে যায় এই মায়াবী পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে ফেলে রেখে।
বিধাতার কি সৃষ্টি আমরা দেখছি প্রতিদিন এক নতুন সকাল
ভোগ করছি সেই সময় টুকুকে।
জানিনা আমরা আর কাল এই সকাল দেখতে পাবো কিনা
সত্যি এক যেন অনন্য সাক্ষী
প্রত্যেকের কাছে প্রত্যেকের তরে তরে।
অবুঝ মন
অনাদি মুখার্জি
আমি জানি প্রিয়া তুমি আমার নও,
তবুও নীরবে ভালবেসে যাবো যতো দূরে তুমি রও!
শুধু তোমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু চাই না মন,
দিনরাত এক করে তোমাকে ভাবি আমি সারাক্ষণ!
তোমার ঐই অবুঝ মন তুমি বুঝবে কখোন,
আমার অনুভূতি গুলো পড়বে তোমার তখন !
আমি জানি তুমি কোন বাগিচা ফুল,
তাই তোমাকে ভালোবেসে করেনি কোনো ভুল !
আশার আলো জ্বালিয়ে মনে পড়ে সারাক্ষণ,
তোমাকে একান্ত পেতে চাইছে আমার এই মন !
0 comments: