উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 21/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 21/11/2020, শনিবার
সময় :- রাত 9 টা. 10 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
প্রবন্ধ
সাহিত্য ও ওয়েব সিরিজ
অগ্নিমিত্র
ওয়েব সিরিজগুলি আজকাল খুব জনপ্রিয় হয়েছে । সিজন ১, সিজন ২ করে বছর বছর তারা এগিয়ে চলেছে । বাংলা বা হিন্দি দুটিতেই এখন ওয়েব সিরিজেরই রমরমা দেখা যাচ্ছে । তবে এগুলির সিংহভাগই একেবারেই সাহিত্যনির্ভর নয় । কোনো লেখকের লেখা অবলম্বনে সাধারণত ওয়েব সিরিজ তৈরী হয় না । এগুলির কাহিনীও যে খুব ভালো বা চিত্রনাট্য খুব আঁটোসাঁটো, তা বলা যাবে না। এগুলিতে মুখ্যতঃ মারপিট বা যৌনতাই প্রধান উপজীব্য । আর বেশ কিছু শ্রেণীর দর্শকের এগুলি খুব ভালো লাগছে । তাছাড়া এতে তেমন ভাবে বিজ্ঞাপন বিরতিও হয়না । কিছু সাইটের প্রাইম মেম্বারশিপ থাকলে তাদের থেকে কেনাকাটার সাথে তাদেরই ওয়েব সিরিজ খুব কম মূল্যে বা বিনামূল্যে দেখা যায় । তাছাড়া মুঠোফোন বা কম্পিউটার, যেখানে খুশি ওয়েব সিরিজ দেখে নেওয়া যায় । চলতে চলতে বা বাসে- ট্রেনে ! তাই হয়তো লোকে, বিশেষ করে নবীন প্রজন্ম এত ওয়েব সিরিজের ভক্ত হয়ে পড়েছে । তবে কিছু কিছু ওয়েব সিরিজ নিশ্চয়ই ভালো, যেমন বাংলায় ' ব্যোমকেশ বক্সী '। এটি অবশ্যই সাহিত্যনির্ভর। হিন্দিতে ' আশ্রম' ওয়েব সিরিজও শুনেছি ভালো । কিছু ওয়েব সিরিজ সমাজে ঘটতে থাকা নানা ঘটনা নিয়ে তৈরী হয়। সেগুলির বিষয়বস্তু হয়তো ভালো, কিন্তু ভায়োলেন্স এবং যৌনতার আধিক্যে, অতিরিক্ত রগরগে দৃশ্যাবলীতে সেগুলো পরিবারের সবাই মিলে বসে দেখা যায় না । আর এখনো অবধি এর কোনো সেন্সরের ব্যাপার নেই । তাই যা খুশি দেখাও; লোকে তাই দেখবে। এরকমই ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল । সাহিত্যের সাথে ওয়েব সিরিজের প্রায় কোনো সম্পর্ক নেই । তবে সাহিত্য নির্ভর ওয়েব সিরিজ হলে নিশ্চয়ই ভালো হতো ।।
আলোর ছটা
আব্দুল রাহাজ
ছোট্ট বন ছিল নামটি তার সারথি সেখানে কয়েকটা ঘরের বসবাস বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করে সেখানকার ছেলেমেয়েরা উপভোগ করে সূর্যের উজ্জল আলোর রশ্মি মনে হয় বনটাকে যেন এক নতুন রূপে তুলে ধরেছে প্রতিনিয়ত। এই বোন ছিল তাদের কাছে দৈনন্দিন জীবন জীবিকার উৎস সবাই বনের কাঠ ফল মূল পাতা ইত্যাদি পাশের সামশেরগঞ্জ এর বাজারে বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালান জীবন যাপন করে সুখে শান্তিতে। ওদের কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা হল সকালের সূর্যের আলোর রশ্মি ওদের ভাষায় আলোর ছটা বলে থাকেন মনে হয় যেন এক অনন্য দেশে পাশ করছে ওরা এতটাই সৌন্দর্যতা বাড়িয়ে তোলে। এইসব দেখে ওখানকার ছেলেমেয়েরা কল্পনার জগতে আবদ্ধ থাকে। এই ভাবে দিন যায় দিন আসে ওরা আলোর ছটা দেখতে দেখতে প্রকৃতির মহামায়া রূপ উপভোগ করতে করতে একসময় বড় হয়ে যায় কেউ শহরে পড়তে যায় কেউ বা বাড়ির কাজে লেগে পড়েন আবার কেউ ছোটবেলা থেকেই সংসারের রোজগারে লেগে পড়ে। একটা ছোট ছেলে ছিল নাম তার অসীম পড়াশোনা বেশি দূর হয়নি ছোটবেলায় সংসারের হাল ধরতে বাবার সাথে লেগে পড়ে মাছ ধরতে পাশে আছে ময়ূরী নদী সেখানে সারা দিনরাত মাছ ধরে গ্রামের ছেলে মেয়েদের সাথে সময় পেলে খেলাধুলা করে শীতকাল আসলেই ওরা বনভোজন করে ময়ূরী নদীর ধারে সম্প্রীতির বার্তা বহন করে একে অপরের। ভোরবেলা মাছ ধরতে গেল ময়ূরী নদীতে দেখলেও সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মি অপরূপ ভাবে পূর্বাকাশ থেকে উঠছে সেই দৃশ্য দেখে অসীম হতভাগ হয়ে গেল এতটাই চারিদিকে উজ্জ্বলতার ভাব এসেছিলো এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময় তার দুচোখ ভরে দেখেছিল অসীম ছেলেটি সেই থেকে ও যেন সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মিকে বারবার উপভোগ করত এইভাবে অসীম ছেলেটি প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে দেখতে একদিন আলোর ছটা নিয়ে লিখে ফেলল মস্ত এক গল্প গ্রামের ছেলে বলে এত পাত্তা দেয় নি ওকে ও আলোর ছটা গল্পকে মনেপ্রাণে রেখেছিল আজীবন আজীবন।
শ্যামা সঙ্গীত
জয় জয় মা কালী বলে
বিমান প্রামানিক
জয় জয় মা কালী বলে
বসিবো মা তোর চরণ তলে
জয় জয় মা কালী বলে
বসিবো মা তোর চরণ তলে।
পূজিব মা, তোরে জবা ফুলে
বসিবো মা তোর চরণ তলে।
অমাবস্যাতে মা তোর পূজায়
আনবো ফুলে সাজিয়ে ডালি।
রকমারী নৈবেদ্য আনবো আর
আনবো আরও ফুলের ডালি।
জয় জয় মা কালী বলে--
বসিবো মা তোর চরণ তলে--।
জয় জয় মা কালী বলে--
বসিবো মা তোর চরণ তলে--।
লোকে বলে মা তুই কালো কালী--
লোকে বলে মা তুই কালো কালী--।
কালো রুপে দেখিনি মা তোরে
তুই ছাড়া জীবন আমার অন্ধকারে।
তাই তো মা পূজিব তোরে
এনেছি ডালি জবা ফুলে ভরে।
লোকে বলে মা তুই কালো কালী
লোকে কেন বলে খালি খালি।
জবা ফুলে ভরে এনেছি ডালি
লোকে বলে মা তুই কালো কালী।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
১। শিরোনাম-যদি মনে পড়ে
যদি
কখনো. আবার
আমাকে মনে পড়ে
স্মৃতির দুয়ার ঠেলে দাঁড়িয়ো
এসে আবার আমার অপেক্ষার উঠোনে
ঝরা শিউলির মত ভালোবাসা পড়বে ঝরে।
অভ্যর্থনার পর তোমাকে বসাবো পুরোনো ঘরে
দেখবে স্মৃতিরা ছড়িয়ে কোণে কোণে
পারলে অভিমানের জট ছাড়িয়ো
উল্কারা পড়বে ঝরে
পেয়ে ডোবার
নদী।
২। শিরোনাম- বনের টানে
বনের
টানে একাকী
এসেছি পলাশের বনে
নদীটির পাশে থমকানো নির্জনে
শালুক,কলমীর দলে চোখের চুমুক
কুহকের ডাকে শিহরিত নগ্ন নির্জন বনানী।
দ্বিপ্রহরের বিলে মাছেদের ধীর পায়ে কানাকানি
সুন্দরী পলাশ নারীর মত ই মূক
বেলা গড়াতে পাখিদের কলতানে
ফিরছি ফেরার টানে
বনকে ডাকি
মনে।
এখনো
ভাগ্যশ্রী রায়
এখনো স্মৃতি পাতা
ধূলো জমে
এখনো প্রবল শীত
গরমে ঘামে
এখনো হলুদ খামে
গোপন চিঠি
এখনো বন্ধ ঘরে
একলা হাসি
এখনো তুচ্ছ কথা
কান্না নামে
এখনো কেউ ডাকে
অন্যনামে
এখনো বৃষ্টি ফোঁটা
আদর মাখে
এখনো ভেজা চোখ
কাজল ঘাঁটে
এখনো নিজের হাত
শোক ভোলায়
এখনো শব্দ নিনাদ
জোড়ে প্রত্যয়।
ঠিকানা
তীর্থঙ্কর সুমিত
যে পথ হারিয়েছে
কিনারে উঠেছে ঢেউ
সে পথ তোমার হলেও
আমার নয়তো কেউ।
চওড়া হচ্ছে হাসি
অনিন্দ্য পাল
দিগন্ত বিস্তৃত এক ফাটল হিরন্ময় কন্ঠহারের মত
পেঁচিয়ে ধরছে, তার অনন্ত গভীরতা থেকে উঠে আসছে প্রত্নবুদবুদ, পৃথিবীর দখল নিচ্ছে তারা
ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে অজ্ঞাত বিষ,
তারপর একে একে গড়ে তুলছে লাস্য ইমারত
বিনিময়ে আমরা পেয়েছি অতল গ্রাম, নতুন ঠিকানা
নতুন বিশ্বাস, নতুন ইষ্ট আর অফুরান ঘৃণার প্রস্রবণ
বিনিময়ে দেখছি প্রতিদিন চওড়া হচ্ছে ফাটল
কারা যেন গিলে নিচ্ছে এগিয়ে চলার সমস্ত পথ
ঠিক যেমন করে সময় গিলে ফেলে বর্তমানকে,
এর পরও উঠে আসা সেই সব বুদবুদের পাশে বসেছে
আমাদের দেবদূত, অনুপম সখ্যতায় ধরে আছে হাত
যেন স্বর্গই পড়ে আছে শুধু এই সসেমিরা পৃথিবীতে
যেন কেউ কখনও ডুবে যায়নি অতলান্ত ভবিষ্যতে
যেন শুকিয়ে ওঠেনি এ পৃথিবীর জরায়ু গর্ভখাত
যেন কোথাও কোনো কান্না আর জন্মায় না আজ,
এর পরও রোজ বাড়ছে উদর এবং উদারতার আয়তন, আগের যোগফলে যোগ হচ্ছে ক্রমাগত
কুবাতাস সংক্রমণ, ক্লিন্ন পৃথিবীর ত্বকে ফুটে উঠছে
অসংখ্য ম্যানহোল,
যারা অযোগ্য ফাটলে, তাদের জন্য ব্ল্যাকহোল
অথচ পৃথিবীটা একদিন জন্মেছিল 'মা' হবে বলে!
তবুও পরিপুষ্ট হচ্ছে ফাটল
পৃথিবীর গলা থেকে বুক
বুক থেকে নাভি
সমস্ত শরীর জুড়ে জমকালো আদর
যুবতী হচ্ছে ফাটল, চওড়া হচ্ছে ফাটল
আর চওড়া হচ্ছে হাসি
যেন কোথাও কোনো দাগ নেই ধূসর আকাশে
যেন কোথাও কোনো বীজ শুকিয়ে যায়নি
অঙ্কুরের আগে
যেন কোথাও কোনোদিন মরিনি, মারিনি আমরা
ঈশ্বরের নামে
যেন একটিও নারী হারায়নি কখনো
বিবৎসা পৃথিবীর কোলে
যেন কোথাও শেষ নিঃশ্বাস বুকে চেপে
শ্বাসবায়ু টুকু দেয়নি কেউ আগামী উৎসবে,
তবু অনন্ত বুদবুদ উঠে আসছে এখনও
উন্মত্ত উৎসব থেকে
তবু বাড়ছে ভীড়, ফিনিক্সের মত
বুদবুদের পাশে, চারদিকে
তবু চওড়া হচ্ছে ফাটল
তবু চওড়া হচ্ছে হাসি
তবু বিকিয়ে যাচ্ছে সুখ, ভবিষ্যৎ
দেবতার হাসি আর বিষের উদারতার নামে।
মন নিয়ে
হামিদুল ইসলাম
সুখের দুনিয়া পেরিয়ে যাই
মাথায় নেমে আসে বটের ঝুরি
একবিংশ শতাব্দী ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসে
মাঝ সমুদ্রে কুড়োই ভালোবাসার নুড়ি ।।
তুমি আসবে বলে কথা দিয়েছিলে
গতকাল
আসো নি কেনো ? জানি না মোটেই
তোমার চোখে রয়ে গেছে এখনো সারা দিন বোনা স্বপ্নের জাল ।।
মায়া মায়া মুখ
অতি আদর যত্নে লালিত পালিত তবু দেখায় দরদ
ভূগোলের জমিনে গাভী চরে বেড়ায় মেঘের মতো
মনের গভীরে নেই কোনো গলদ ।।
দুর্দিনে ছায়া ফেলে গাছগুলো
আকাশে বৈশাখী ঝড়
এবাড়ি ওবাড়ির ঘরের চাল উড়ে যায় ঝোড়ো হাওয়ায়
আপনজন হয় যায় পর ।।
আবার ফিরে আসবো
একই আকাশের পাশ দিয়ে
তোমাকে ময়ূরবনে সবুজ রঙে সাজাবো প্রতিদিন
কখনো পালিয়ে যাবো তোমার মন নিয়ে ।।
দুই ফুলে দাঙ্গার শহর
বদরুদ্দোজা শেখু
শহরের সমারোহ দেখতে দেখতে ফুল এলো চোখে
ফুলের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হ'য়ে যেতে যেতে
ফুলের মতোই এলো শহরিণী রমণীর মুখ
চোখের সুখের সাথে যাতে বাড়ে বুকের অসুখ ।
দু'য়ের রহস্য আমি পাশাপাশি দাঁড় করালাম
সবুজের অন্তরাল ছেয়ে থাকা ফুলের অনল
নিসর্গের অভিধানে যৌবনের প্রতীকী সম্ভার
মানুষের বংশ-পিপাসার সাথী ষোড়শীরা সব
অন্তরঙ্গ কামনার ফুটে-ওঠা জৈবনিক ফুল
আমার ধূসর চোখে মশগুল ভালবাসার বিকম্প্র প্রবাহ ।
রাশি রাশি পথে-দেখা ফুল আর পথে-দেখা নারী
আমাকে নাড়ায় ভারী , হঠকারী দু'য়েরই প্রকোপ ,
একদল পবিত্র আবেশে মন ভ'রে দ্যায় আর
অন্য দল অশমিত আকাঙ্ক্ষার আগুন জ্বালায়
মনে, যেন এই মন উভয়ের এক অঘোষিত
যুদ্ধক্ষেত্র , পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী নিসর্গ নিয়মে।
রক্তমাংসের ফুল-ই লাস্যময়ী উলঙ্গ রমণী
বড়ো বেশী জিতে যায় আপাততঃ বয়সের দোষে ,
বলি হয় ফুলেরা ভালবাসার বাঁধানো তোড়ায় ,
অবশেষে জৈবনিক যবনিকা নেমে এলে পরে
করুণায় কবরের ঝোপে হাসে বিজয়িনী ফুল ।
অকস্মাৎ রক্তাক্ত হৃদয় দেখি দৃশ্য পরস্পর
সুন্দরের অভিজ্ঞানে উভয়ের দাঙ্গার শহর ।
অসম লড়াই
সমীরণ বেরা
শীতার্ত রাত শেষে হিমেল হাওয়া মেখে
বন্ধ্যাত্বের সকালে উঠোন পেতে বসেছি
অনেক নির্বাক প্রহর স্তব্ধ দুপুর,
মনের ভিতর দ্বিধা- দ্বন্দ্ব খেলা অহরহ
পাখির ছানার মত খোলস ভেঙে দেখতে চেয়েছি
অপার বিস্ময়ে নতুন এক পৃথিবী।
কোন লড়াই লড়তে গেলে তোমাকে ঝাণ্ডা নিতেই হবে!
বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির নিরেট বুননে
দল -উপদল- গোষ্ঠীর নিরন্তর লড়াই দেখেছি
আড্ডার কুণ্ডলীকৃত সিগারেটের ধোঁয়ায়
সব জান্তা ভিন্ন গ্রহের জীবের তার্কিক অবাস্তব যুক্তি
এরা, এরাই নাকি একমাত্র দাবিদার মেহনতি মানুষের মুক্তির!
আমি বা আমরা প্রত্যেকেই নিজের মত ক'রে
প্রতিদিনের লড়াই জারি রেখেই দেখি নতুন সকাল
একক লড়াইটাই যখন বড় হয়ে দাঁড়ায়
শ্রেনীহারা বিভাজন তখন স্পষ্ট বলে যায়
ধর্মান্ধতা আর নৈরাজ্যের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পায়
তোষণ আর শোষণের নূতন ইস্তেহারে
আমি দেখি রক্ত বর্ণের সূর্যচ্ছটায় দিগন্ত লালে লাল।
আমার ন বউ
অঞ্জলি দে নন্দী,মম
বাজারে নয়
ঘর ঘর ঘুরে ঘুরে
আমি বেচি খাঁটি মৌ।
আমার ঘরে আছে ন - ন'টি বউ।
তাদের জন্যই আমায় মধু বেচতে হয়।
ওরা খেতে পায় তাই পেটপুরে।
ওরা খুব তাই খুশি।
আমি প্রচুর রোজগার করি।
আমার বাগানে আমি মৌমাছি পুষি।
তখন আমার প্রথম বিয়ে হয়
যখন আমার বয়স ছিল নয়।
আর বছর ছয় -
সেই বয়সী ছিল বউ।
আজ আমার কত বউ।
তবুও আমার সংসার সন্তান ভরা নয়।
পাড়ার সবাই বলে, " অপয়া সব ক'টা বউ। "
বৌগুলি বলে, আমারই নাকি নাই কোনও পয়।
এই দেশ এই বিশ্ব ,সব জাতির মানুষের
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
এই দেশ সব জাতি ধর্মের নরনারী আর মানুষের,
এত মিল,এত শ্রদ্ধা,ভক্তি,ভালোবাসা,
ছিল আছে থাকবে,
তাহলে আর হিংসা কিসের?
কত মুসলিম বন্ধুর বাড়ী গিয়ে ,বিছানায় পাটি পেরে,
চিড়া মুড়ি,মাছ ভাত খেয়েছি,
শুধু ভারতে নয় বাংলাদেশেও,
এমন সমাদর আমরা পেয়েছি৷
খবরে যা বের হয় তা 'টোটাল" চিত্র নয় সমাজের,
মিলেমিশে থাকতে পারল, ভীত মজবুত হবে এই দেশের৷
জাহানারা,সুলতানা,
ফরিদা,, আজও আমাকে ভাইজান বলে ডাকে,
মালা,ঝুনু,টুপু,সাগরিকা,বোনের মতো আজও ভালোবাসি তাকে৷
গোলাপ,পদ্ম, সবার প্রিয়,
মানুষ দেবতা ও নবী,
সবাইকে ভালোবেসে, কবিতা লেখেন আপন মনে,আজও কত কবি৷
সন্ধ্যা বেলায় মন্দিরে শঙ্খ ধ্বনি,
পাশেই মসজিদে শুনি আজান৷
মহামিলনের এই ভারতবর্ষে খুশীতে ভরে প্রাণ৷
ভালোবাসা নাও,ভালোবাসা দাও,
আমি যে প্রেমের ভুবনের নিজেকে নায়ক ভাবি,
আজও তাই বার বার সারা দেশ জুড়ে,সাথে এশিয়া মহাদেশ,সারা বিশ্বে,
সুপ্রতিষ্ঠিত হোক মানুষের বাঁচার দাবী৷
—————————————————
চিরন্তন সঙ্গীত
সৌম্য ঘোষ
জলদ কালোমেঘ দঙ্গল হাতীর মতো
সৌম্য আকাশ , নৈ:শব্দের নিস্তব্ধতায়
আসন্ন প্রসব সম্ভাবনা,
দিগন্ত ব্যাপ্ত নারিকেল সারি
তির তির বাতাসে
মুখরিত ;
মহাষষ্ঠীর এই সকাল
মেঘলাস্নানে সন্ত ;
হাসপাতালের চারতলার শীষশার্সির
ভেতর দিয়ে এই পৃথিবী
আমার
এই আমি, এবং
আমার চিরন্তন সঙ্গীত ।।
হাসির_মোড়কে_যন্ত্রণা
শান্তি_দাস
জীবন তো রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করে চলা,
অভিনয় করতে গিয়ে কত কিছুই বলা,
দু়ঃখ কষ্ট নিয়ে তো মোদের জীবন গড়া,
কখনো তাতে হয় ভালো কখনো পড়ে যায় ধরা
হাসি আর কান্না কত অভিনয় নিত্য দিনের খেলা,
তবুও চলছে জীবন চলছে কেটে যাচ্ছে বেলা।
সুখে দুঃখে জীবন গড়া প্রকৃত সুখী কেহ নয়,
তবুও কত অভিনয় করে' চলার পথে চলতে হয়।
কত আঘাত কত যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে চলে হাসির ফোয়ারা,
হাসির মোড়কের যন্ত্রণা কে আছে বুঝিবার নেই সাহারা।
তবুও রঙ্গমঞ্চে দর্শক বিহীন করা অভিনয় ,
এই অভিনয় বুঝিবার কেহ নেই শুধু নিজের সবিনয়।
সংসারের বন্ধনে জড়িয়ে কতো মিথ্যে হাসা,
কেবল মনে গাঁথা থাকে জীবন স্মৃতিতে বোনা।
অভিযোজন করতে জীবনে হাল বইতে গিয়ে,
নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বাঁচতে কত লড়াই নিয়ে।
নিজের জন্য কেউ যাতে না পায় দু়ঃখ কষ্ট ,
ম্রিয়মান মুচকি হাসিতে কাউকে না হতে হয় রুষ্ট।
তাই তো হাসিতে ভরা জীবনের কত যন্ত্রণা,
তাই তো হাসির মোড়কে জীবন চলতে দাও মন্ত্রণা।
উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা
www.upokonthasahityapatrika.com
খুব সুন্দর হয়েছে । ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন