উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 19/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 19/11/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- রাত 9 টা. 48 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
|| চিরঘুমের দেশে 'মরমিয়া কবি' ||
_________________________________
সৌম্য ঘোষ
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (১৯৩৩--২০২০ ) জগতের নিহিত রহস্যের সন্ধানী । তাঁকে আধুনিক মরমিয়া কবি বলা চলে। কম্পমান যবনিকার অন্তরালে তিনি আত্মিক সত্যকে খোঁজেন । তিনি পরম অস্তিত্বকে ঈশ্বর বলেন , কিন্তু তাঁর ঈশ্বর ধর্মনিরপেক্ষ ।' আকাশ ছুঁয়ে অবুজ হুতাশনে/ ঈশ্বরের বিরহে কাঁদে মীরা । ' 'খুব উঁচু ডাল মোহাম্মদ পয়গম্বর '। ' এই কনকমন্দিরে / আমরা একসঙ্গে রাখবো ওষ্ঠাধর গ্রন্থসাহেব ।' তাঁর কাছে সব ঈশ্বরই অভিন্ন । অপ্রত্যাশিত শব্দ ব্যবহারে অনেক সময় তাঁর কবিতা ভূমি স্পর্শ করে না ।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত র ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ আছে। এর পাশাপাশি তিনি বহু বাংলা ও সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরাজি ও জার্মানে অনুবাদ করেছেন। জার্মান ও ফরাসি সাহিত্য অনুবাদ করেছেন বাংলায়। তাঁর বেশ কয়েকটি প্রবন্ধের বই-ও আছে। তাঁর গদ্যরচনার বিশেষ ভঙ্গি বাংলা সাহিত্যে আলাদা স্থান করে নিয়েছে।
রবীন্দ্র অনুসারী কাব্যরুচি থেকে বাংলা কবিতাকে এক পৃথক খাতে বইয়ে দেওয়ার শুরু পঞ্চাশের দশকে। এই সময়ে যাঁরা নিজস্ব ভাষাভঙ্গি নিয়ে লিখতে এসেছিলেন অলোকরঞ্জন ছিলেন তাঁদের অগ্রপথিক, কবি শঙ্খ ঘোষের পরমবন্ধু। তাঁর কাব্য অভিপ্রায় উদ্বুদ্ধ করেছে কতশত নবীন শ্রীজাতকিশোরকে কবিতার কাছে আসতে।
অলোকরঞ্জনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর। শান্তিনিকেতনে প্রথম পাঠ সেরে অলোকরঞ্জন উচ্চশিক্ষার জন্য পা রাখেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। স্নাতকোত্তর সারেন কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে। এক দশকেরও বেশি সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক বিভাগে পড়িয়েছেন।
হামবোল্ড ফাউন্ডেশান ফেলোশিপ নিয়ে অলোকরঞ্জন একসময়ে পাড়ি দেন জার্মানিতে। বাংলা ভাষার সঙ্গে জার্মান সাহিত্যের মেলবন্ধনের রূপকার তিনিই। দুভাষাতেই অনুবাদ করেছেন অবিরল। জার্মান সরকার তাঁকে গ্যেটে পুরস্কারে ভূষিতও করেন। ১৯৯২ সালে মরমী কারাত কাব্যগ্রন্থটি তাঁকে সাহিত্য অ্যাকা়ডেমি পুরস্কার এনে দেয় ।
চিরঘুমের দেশে চললেন কিংবদন্তি কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। জার্মানিতে নিজস্ব বাসভবনে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত নটা নাগাদ মৃত্যু হয় অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর। বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন কবি। মৃ্ত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ এই মৃত্যুসংবাদ জানান ।
নাগপাশ
পিনাকী মুখার্জী
কত পশুপাখি পাহাড়ের গায়ে , কত
রোমাঞ্চ মাখা , ধ্বনি - প্রতিধ্বনি !!
আজকে ওরা স্মৃতির পাড়ায় , হাতছানি
দেয়া সুখের সেই সরণী !!
অপার রহস্যময় বন্য রোমাঞ্চ , অমোঘ
আকর্ষণ , বদলায় এক লহমায় !কখনো জলপ্রপাত কখনো গিরিখাত ,
যেখানে
ওঁৎপেতে নির্মম মৃত্যু, প্রতীক্ষায় !!
অজগর ফাঁদ পেতে অপেক্ষায় , শিকারকে
শুধু একবার জড়িয়ে ধরে !!
ছটফট শেষে ভাঙা পাঁজরের অভিশাপ ,
ও তার প্রতিধ্বনি বারেবারে !!
যেখানে সূর্য পাতার ফাঁকে লক্ষ
তারা হয়ে , ঢুকতো চুপিচুপি !!
ভাঙন প্রমাদ গুনেই সে থরথর ,
চোখেতে মরণ আসছে বহুরূপী !!
আমি ভালো আছি
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
এই নীল পাহাড়,সবুজ অরণ্য,প্রিয়ার ভালোবাসা পেয়েছি বলে,
আমি ভালো আছি,ভালো থাকি,অন্য কোথাও আর আজ যাই না চলে৷
মাথার উপরে নীল মেঘ,সোনালী সূর্য,রূপালী চাঁদের খেলা দেখি,
আরব সাগর পাড়ের বান্ধবীর ফোন পেয়ে মনে প্রেমের আলপনা কিছু আঁকি৷
সবজীর দাম আকাশ ছোঁয়া,বেকার সমস্যা প্রতি ঘরে,
রক্ত ঘামে পরিশ্রমে অনেকে তবু হাসি মুখে সংসার প্রতিপালন করে৷
মাঝে মাঝে কখনো অশ্রু ঝরে,
তাঁদের জন্য যাঁরা অকালে গেল মরে৷
যাওয়া আর আসা এই
'ভবের হাটে'
বসবাস করে বলি তবু ভালো আছি,
এসো বন্ধু,আত্মীয়স্বজন,
আমার না দেখা দূরের প্রেমিকা,এসো এই হালকা শীতের সময়ে মনের আরও কাছাকাছি৷
হাতের কাছে যা কিছু আছে,টক লেবু দিয়ে সরবৎ বানানোর মতো
এই জীবনে বাঁচি,
হাসি মুখে আবার বলি আমি ভালো আছি৷
সৃষ্টিকর্তাকে জানাই অনেক ধন্যবাদ,
এই জীবনে যা কিছু পেয়েছি৷
ধূমপান
মাথুর দাস
'ধূম পান ক্ষতিকর বরাবর স্বাস্থ্যে'
লেখা আছে প্যাকেটে,জোরে,নয় আস্তে ;
তবু কিছু নেশাখোর
ধূম পানে বলে জোর,
'ধোঁয়াটুকু ছাড়ি তাই শুধু প্রাণে বাঁচতে' ।
*****
বিভাগ-অনুকবিতা
শংকর হালদার
স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা
পথের মাঝে প্রতিবন্ধকতা
লক্ষ্য যদি লক্ষ্য-ই হয়
সাফল্য আসে অবাধ গতিতে ।
" পুষ্প "
জুয়েল রুহানী
পুষ্প কাননে মধু সংগ্রহে
মৌমাছি উড়ে আসে,
মৌ-মৌ-মৌ গন্ধ যেথা-
পুষ্পের নির্যাসে!
পুষ্পরসের লোভনীয় স্বাদে
মৌমাছি ছুটে আসে,
পুষ্পরূপের আমন্ত্রনে-
পুষ্পের'পর বসে!
পরজীবী সতেজ
সুস্মিতা দে
কতো দিন চলে গেলো আমি
বাঁদর খেলা দেখাই আস্তে
আস্তে নিভছে দীপাবলির
আলো নিভেছে।
দিস না নিভে যেতে মেয়ে টা
আমার বড়ো ছোট শান্ত
ধীর স্থির ও বাঁদর নাচ নাচিয়ে
করবে না মানুষের হৃদয়ের জয়।
আমার মতো অপরের হৃদয়
জয় করি সাড়া জীবন ধরে
পিদিম লতিয়ে উঠেছে
পরজীবী আমাকে নিয়ে
আসছে পিদিম সাথে ফুলের
ভরা ডালি।সংগোপনে
থাকবে সজল জলে
উথলিছে তরঙ্গ ওঠে
দোলে ,।ফুলের গন্ধ বাঁশির
তানে রহিব ভরা সুখে
অস্তমিত রবির অন্তরালে
প্রদীপ জ্বালিয়ে মর্মরিত
পল্লব কেঁপে ওঠে ।
আমার পিদিম কে নিয়ে
যা রাখিস তোর ঘরে চন্দ্রমুখী
করে সূর্য ডোবার পালা কাদঁবে
সবাই আমার পিদিম জ্বলে হিয়ায়
জ্বলুক তোর ঘরের পূর্ণিমার
চাঁদ হয়ে। ও পড়াশোনা জানে। সতেজ মেয়ে তোর পরজীবী না তুই পরজীবী ।
মাতৃভূমি
আব্দুল রাহাজ
আমার জন্মভূমি
এ যে আমার মাতৃভূমি
এই ভূমি কতশত যুদ্ধের সাক্ষী
এই ভূমি কতশত ঘটনার সাক্ষী
সত্যি এই ভূমি আমার কাছে পবিএ ভূমি।
এই ভূমি নেতাজি ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিনয় বাদল দীনেশ এর জন্ম ভূমি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ও আরও কত শত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের ভূমি আমরা গর্বিত তাদের এই জন্মভূমি।
এযে আমার জন্মভূমি
এই যে আমার জন্মভূমি।
" নদী "
হামিদুল ইসলাম
সেই শৈশব !
সেই ছেলেবেলা !
কোথায় হারিয়ে গেলো নদীর স্রোতের মতো
নদীকে আমি বড়ো ভালোবাসি
হে নদী ! তোমার আপন হাতে আমাকে দাও ভালোবাসা
আমাকে ধরে রাখো তোমার ছায়ায়
একদিন আমি মানুষ হবো
নদী মানুষ ।।
তোমার বুকের উপর দিয়ে পেরিয়ে যাবো
নৌকার মতো
বৈশাখে হাঁটুজলে স্নান করতে করতে
শরীর শীতল হলে
গায়ে মেখে নেবো রোদ
কিংবা তোমার ছায়া
ছায়ারা এখন পথভ্রষ্ট
বেকারদের মতো ঘুরে বেড়ায় নদী সৈকতে ।।
নদীর জন্য ভাবনা আমার দিনরাত
নদীকে নিয়ে লিখি কবিতা
নদী কবিতা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার উপর
অবরুদ্ধ রাস্তা
তবু জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠে আমার কবিতা
পথ দেখায়
পোড়ায় ধনবাদী সমাজব্যবস্থাকে
পুড়ে যায় সাম্রাজ্যবাদী কারবার
পুড়ুক পুড়ুক পুড়ুক।পুড়ে খাক হয়ে যাক এজন্মের জলচ্ছবি ।।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
১। অপুর যাত্রা
অপুর
পথ জেনো
কখনো শেষ হয়না
অপুর জীর্ণ বসন পরিত্যাগেই
মহানগর এসেছিল রথের সঙ্গী হতে
এগিয়ে দিল মহানায়ক অপুকে নক্ষত্রলোকের দিকে।
অপু ছাড়া সংস্কৃতি জগত হল ফিকে
উদয়ন আর প্রলেপ দেবেনা ক্ষতে
গর্বিত বাঙালি এই পতনেই
পিন্ডদান স ইতে পারেনা
বিদায় মেনো
অশ্রুর।
২। ঠিকানা
নিশানা
হারিয়ে ফেলছি
একটা একটা করে
স্টেশন পেরিয়ে যেতে দেখছি
নামতে পারছিনা নির্দিষ্ট কোন স্টেশনে
শেষ স্টপেজ থেকে ফিরছি ফিরতি ট্রেনে।
তিন পাত্তির চক্করেই জীবনকে নিয়েছি মেনে
সময় কাটিয়েছি বিন্দাস শুধু লেনদেনে
অমরত্বের স্বাদে কবিতা লিখছি
রাখবেনা কেউ ধরে
তাই খুঁজছি
ঠিকানা।
দুঃস্বপ্ন
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
মেয়ে হয়েছে বড়ো
লজ্জা তার চোখে মুখে
দেহবল্লরীতে ধরেছে মেঘ
তাই ভয়ে জড়োসড়!!
প্রদীপ জ্বলছে সবে
সন্ধ্যাতারা দূরের আকাশে
পাখিরা ফিরেছে নীড়ে
মেয়ে আর বলেনা কথা
তাই ভীষণ কলরবে।
দূরে চলে প্রণয় শাসন
সব কিছু ধায় অন্তরে
মাতার মতন।
ততদিনে বেড়ে চলে পয়োধর
মাথায় বাড়ে কেশরাশি
কে যেন হয় প্রত্যাশী!!
তাই সে উদাস
বসনে ভূষণে পড়ে নিশ্বাস।
মরমে মরে চারিদিক চাহি
কী হবে সন্ধ্যার পথে
কাতরে ডাকে দেবতারে
নিরুপায় অন্তরে ত্রাহি।
করুণ নয়নে অধোমুখে
বসি বাতায়নে
বলে কথা আপন মনে
কেন আমি মেয়ে
এই বসন্তের দিনে????
খুব সুন্দর হয়েছে । খুবই বৈচিত্র্যময় ।
উত্তরমুছুন