বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 25/11/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 25/11/2020, বুধবার
               সময় :- রাত 8 টা. 20 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

প্রবন্ধ
আদিবাসী মানুষ ও সাহিত্য
      অগ্নিমিত্র

  বাংলা আদিবাসী ও উপজাতির মানুষেরা তাদের নিজস্ব ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করেন। আবার অনেক সময়ে তাঁরা বাংলা ভাষাতেও গল্প বা কবিতা লেখেন । তাই মোটামুটি ভাবে বলা যায় যে তা বাংলা সাহিত্যের অন্তর্গত । যদিও সেই প্রান্তিক মানুষদের সাহিত্যের একটা আলাদা জগতও আছে। এবং আমরা সেই জগতে শামিল হবার তেমন চেষ্টা করি নি।
  বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর  ও পুরুলিয়ার আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষ মূলতঃ সাঁওতালি ভাষায় লেখেন। সেই ভাষার আলাদা একটা লিপি আছে, অলচিকি । কেউ কেউ হয়তো বাংলায় লেখেন। তাঁদের লেখায় সেই সব এলাকার জীবনযাত্রা, সমাজ ব্যবস্থা, রীতিনীতি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে । আবার উত্তরবঙ্গের উপজাতীয় মানুষেরা বাংলাতেই লেখেন। কারণ তাঁদের আলাদা Script বা লিপি নেই।
  এই সব লেখা নিয়ে আমরা তেমন আলোচনা করি না। যেন আমরা তাদের বাংলা সাহিত্য বলে মনেই করি না। অথচ অপেক সাহিত্যিকরা এই অঞ্চলে ঘুরে বা থেকে এদের নিয়ে দারুণ সব লেখা লিখে গিয়েছেন । আরেকটু যদি এঁদের লেখা প্রচারিত হতো তবে আমরা বুঝতে  পারতাম, এই লেখাগুলিতে প্রকৃতি, মানুষ ও তাদের জীবন কীভাবে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে !
  আগামী দিনে এই চর্চা আরো বেশি করে হবে , আশা রাখি ।।




বিপ্লব গোস্বামী এর চারটি অনুকবিতা

১|
নাইবা হলে

বিপ্লব গোস্বামী

নাইবা হলে জীবন সঙ্গী
না হল সহবাস !
তবু কল্পনাতে তোমার আমার
নিত‍্য বসবাস।

২|
কেউ জানেনা

বিপ্লব গোস্বামী

নীল আকাশের চাঁদ আর
নীল সাগরের ঢেউ।
জানে শুধু মনের ব‍্যথা
আর জানেনা কেউ।

৩|
তোমায় ভালোবাসি

বিপ্লব গোস্বামী

তোমায় ভালোবাসার অপরাধে
হয় যদিগো ফাঁসি !
মরার আগে বলব তবু
তোমায় ভালোবাসি।

৪|
তুমি আজ আর

বিপ্লব গোস্বামী

তুমি আজ আর নেই আমার
মনের একলা ঘরে !
আছে শুধু হাজার স্মৃতি
অমর হয়ে পড়ে।




মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

১।খনন

নিজেই
খুঁড়ি নিজেকে
হাতড়ে হাতড়ে আনি
আমার ভালো থাকার উপাদান
জগৎজোড়া ছড়িয়ে যে আনন্দের নিদান
আমার অন্দরেই রাখা দেখি তার বিধান।

মেকি কোলাহলে কোথাও খুঁজে পাইনা প্রাণ
এখন জেনেছি আনন্দ পঞ্ছভুতের দান
তার ভালোবাসাতেই বাড়ে মান
তাই তাকেই মানি
মাতিনা অনাবশ্যক
কিছুতেই।


২। শিরোনাম- এসো নারী এগিয়ে

এসো
নারী এগিয়ে
এবার নিজেকে ভালোবাসি
নিজের জন্য খরচ সময়
সমাজের তকমা উঠিয়ে দাঁড়াই আয়নায়
নিজেকে সাজাই নিভৃতে একেবারে নিজস্ব কায়দায়।।

নিজের অধিকার নিজেই করতে হবে আদায়
নষ্ট করবোনা জীবন বাঁধা বায়নায়
নারীর চাই নিজের পরিচয়
নারী নয় বানভাসি
নিজেকে গুছিয়ে​
বসো।





আমি আজও ভালোবাসি
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

ভোরের  সূর্য,রূপালী চাঁদ আজও  আমি ভালোবাসি,
নদী ও নারীকে সমান ভালো লাগে,
আর স্বর্গীয় আমার  মায়ের  হাসি ৷

প্রিয়তমা,পুত্র,কন্যাও আছে,সবার  সাথে  থাকি,
ভালোবাসা  দিয়ে  নিজের  মতো  করে
প্রতিদিন প্রেমের  আলপনা  আঁকি৷
এই  পৃথিবী  কত সুন্দর  মাঝে  মাঝে  তাই  দেখি৷





আমি হতে চাই মুক্ত বিহঈ
        অনাদি মুখার্জি

আমি হতে চাই এক মুক্ত বিহঈ,
উড়ে যাবো অনেক দূরে  দিক থেকে দিগন্ত !
ডানা মেলে খুঁশি আমেজ নিয়ে উড়বো আমি দ‍্যুলোকে,
মেঘদের সাথে মিশে যাবে আমার এই মন যে !
আমি আর চাই এই মানুষের দলে থাকে ,
তাই আকাশে তে উড়বো আমি ভেসে!
যেখানে নেই কোনো মায়া মমতা ও পৃথিল ভাষা ,
সমাজের নারীদের নেই কোন  স্বাধীনতা !
সমাজের মধ্যেই চলছে শুধু লিলাখেলা ,
মানুষে মানুষে লড়াই মনুষ্যত্ব আজ শূন্যের কোঠায় !
যেখানে নেই কোন বিশ্বাস নেই একতা ,
পাখিদের মধ্যেই আছে দেখেছি কত ভালোবাসা!
উপরে নেই কোন লাল নিল রঙ,
নেই কোন ভেদাভেদ নেই কোন ডং !
তাই আমি উড়ে যায় ঐ দিগন্তে,
থাকতে চাই আমি মুক্ত বিহঈ!





এসো নতুন স্বদেশ গড়ি..
     শুভ্রাংশু কুম্ভকার

জমানো ব‍্যথারা ভিড় করে করেছে শীর্ণ কলম শিসে,
একরাশ বোবা যন্ত্রণা সয়েও ম্লান মুখ তবু হাসে।
কালি শেষ তাই কলম ঘষেও পাইনা শব্দে ছবি,
প্রতিবাদ হীন নীরবতা সয়ে মূক হয়ে গেছে কবি।
কলমের কালি বাঁচার রসদ,পেটের জোগাড় ভাত,
স্তব্ধ জীবন, থমকে কলম,শরীরে ধরেছে বাত।
দোয়াতও নেই, রিফিল অমিল শব্দেরা উড়ে যায়,
চলে গেলে দিন প্রতিবাদ হীন ফিরে পাওয়া বড় দায়।

যতই নরম সভ‍্য হবে, অধিকারও তত খর্ব,
হারিয়ে তোমায়, অট্টহাস‍্যে জানাবে পেয়েছি স্বর্গ।
রুখে দেবো সব,ঘুরে দাঁড়াবো,কিন্তু শক্তি অভাবে ভুগি,
লোভ লালসার ভাইরাসে সব অনৈক্য রোগে রুগী।
পাঁচে দশে মিলি কোটি কোটি হব সময়ের পথ ধরে,
মিলিত প্রয়াসে প্রতিরোধে তুলি নতুন স্বদেশ গড়ে।





        বালির  বাঁধ
        পিনাকী  মুখার্জী
     
         সৃষ্টির বিস্ফোরণ মুহূর্ত থেকেই
            ওরা  প্রশ্ন  হয়ে জেগে !!
        কখনো  ধুমকেতু কখনো উল্কা
         হয়ে ,  ছুটে আসে তীরবেগে !!

           কখনো  যুক্তিরা  জোট বেঁধে ,
          ভাবনার আকাশ করে মেঘলা !!
              লক্ষ সূর্যের আলো , তবু
          অন্ধকার সরণীতেই সৃষ্টির পথচলা !!

              যত  গ্রহ  তারা  আকাশে ,
             সাগর  তটে  বালির  প্রাচীর !!
            ক্ষণিক আশার  ঝলক ,  উন্মত্ত
           একটা  ঢেউ পেরোলেই  আঁধার !!

                 যে  আঁধারে ডুবে আছে
             সৃষ্টি , সেখানে আলো কতখানি  !!
                     সদ্ না অসদ্ ,  সত্যি
          আলো , নাকি উল্টোদিকের হাতছানি !!




সকাল আমার বসে ভাবে...... বাড়ি চিনতে আসবে কবে..... জন্মদিনে মনরাজকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলী...... কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় স্মরণে........

               আবেগখেকো
                    দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

ভিতর ঘরে পাগল নাচে
দ্রিমি দ্রিমি সুর বাজে
মহুয়ার মাতালপণায়
শব্দদের গায় আবেশ গড়ায়

ন্যাংটো কলম সুর তোলে
পাঞ্জাবির পকেট গলে
পড়ে আছে কবিতার ঝুটি
চলো সবে জীবন লুটি

তুমি থাকো মাটির ঘ্রাণে
মানুষী প্রেমে এবং প্রাণে
বুকের আগুন জ্বালিয়ে বসে
জীবন সিক্ত তোমার রসে

                   লহ প্রণাম.........



আমার বাংলা
      আব্দুল রাহাজ

হে আমার বাংলা
তুমি আমার জন্মভূমি
বাংলার মাটি
বাংলার জল বাংলার ফুল বাংলার বায়ু সবই যেন আজীবন চিরন্তন।
তোমার প্রকৃতি দেখে অন্য দেশান্তরের মানুষ পায় মাধুর্য চোখ জুড়ে যায় তোমার অপরূপ শোভা দেখে তুমি সেই আমার বাংলা।
তোমার মাটিতে জন্ম নিয়েছে বিশ্ব জয় করা ব্যক্তিবর্গ তুমি সেই আমার বাংলা।
বাংলার সবুজে ভরা দৃশ্য পৃথিবীর আর কোনো প্রান্ত নেই তোমায় পৃথিবী বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বারে বারে মনে রাখে তাদের মনিকোঠায় ধরে রাখে আজীবন স্মৃতির পাতায় তুমি সেই আমার বাংলা।





                সত‍্যিই তাই
            হামিদুল ইসলাম
               

এখান থেকেই জীবন শুরু
কেটে যায় শৈশব
কৈশোর
যৌবন মানে কঠিন আবর্ত
এখন মানুষের জটিল আবর্তে বাস  ।।

কালাপাহাড় মস্ত পুরুষকার
তার বিরুদ্ধ শক্তি পৃথিবী বিরল
তবু তাকে মানতে হয়েছে
হার মানা হার
হিসেবে গরমিল এখন  ।।

মাঝ বয়সী যৌবন
দোর্দণ্ড সংগ্রামী
চিরকাল যুদ্ধ করে পরের বিরুদ্ধে
জঙগমে মিশেছে সাগর
তবু নির্মল প্রার্থনা বারবার  ।।

ইতিহাস বদলে গেছে
বদলে গেছে পৌরাণিকতার মহতী আবেগ
অযোধ‍্যা আছে ইতিহাসে
রামমের জন্ম সেখানেই
রাম সত‍্য, রাম নাম সত‍্য, সত‍্য রামের জন্মভূমি !!




  স্বরলিপি
          সৌম্য ঘোষ

ক্ষরিত স্বপ্নের ভেতর
তোমার অনুচ্চারিত শব্দের ঘ্রাণ পাই,
মোহ ধুয়ে-মুছে তোমাকে পেলাম
অনুভবে, অবিচ্ছিন্ন অনুরাগে।
মনে হয় তোমাকে ফিরে পাবো
কোন এক রাত-ভাঙ্গা তুমুল জ্যোৎস্নায়,
চাঁদের আলপনায়, দীঘির ঢেউয়ে

এক নির্গুণ বর্ণরঙ আলোদ্বীপে
আমার অগোছালো অক্ষরমালা
তোমার পায়ের কাছে এসে
আশ্চর্য স্বরলিপি হয়ে ওঠে  ।।







নারী
     নরেন্দ্র নাথ নস্কর

তুমি  এখনও অচেনা রয়ে গেলে।
এতদিন ধরে তোমাকে চিনি।
তবুও তোমার অন্তরের খুব কমই  জানি।

তোমার ভালবাসা, তোমার স্নেহ,
তোমার অনুভুতি, তোমার শাসন, তোমার বিচিত্র ভূমিকা এখনো প্রকৃতির মত রহস্যময়ী হয়ে আছে।

সংসার মঞ্চে তোমার এত রোল,  বুঝতে পারিনা কোন ভুমিকায় তোমার আসল পরিচয়।

তুমি না থেকেও আছ। আবার কখনও থেকেও অবগুনঠনে থাক। চেনা যায় না।

প্রকৃতির মত তোমার তোমার পরিচয়েরও বেশিরভাগ অজ্ঞাত।

যুগে যুগে কবি, নাট্যকার, লেখকরা তোমাকে নিয়ে লিখে যাক।
বিজ্ঞানী, সমাজ সংস্কারক ও অনান্যরা তোমার পরিচয় জানতে  সীমাহীন কাল ধরে গবেষণা করে যাক।

শেষে মনে হল, কি হবে বেশি জেনে?
না জেনেই তো বেশ চলছে, চলুক
তোমাকে প্রণাম।




কাটা হাত
        উমর ফারুক

হাতকাটা চিত্কার শুনে কে
কান্নার ভেজা চোখ বন্ধ
ক্লান্তির ঘ্রাণ নাকে ঠোঁট চেপে
কষ্টের শেষ দেখা সন্দেহ।
রাস্তার কিনারে পাথর চাপা
যা দেখা শ্রাদ্ধের খড়ি মাটি
অথৈ সাগর পারে ঘুম ধরে
হাতে পিঠে চড় খায় পরিপাটি ।
গাছে নাচ শর জমে যে জলে
গুটি পোকা বক খায় কিছুক্ষন!
থরে থরে গিট খুলে যায় যার
কেটে গিয়ে মূল হাত শত মন
এক যুগ ভিড়ে যায় হারিয়ে
কাটা দু হাত বাড়ালো হেমন্ত
আকাশের চাঁদ তুই নেমে আয়
এই হাতে রঙ ঢালে বসন্ত ।



We are looking
Anjali nandide,Mom

At lonely new moon night.
In deep darkness,
The stars are too bright.
The sky, endless.
I love it's endlessness.
We are looking to each other now,
From very far.
A star,
Now coming down towards me, very fast.
I wish at this moment,
"Hey almighty!
Gift me ever eternal enjoyment!
In it, i wish to live!"
Just in front of me, it vanishes, at last.
I cannot see it now.
I feel something is on my nighty.
Yes, on it's right-sleeve,
Here is a diamond, star shape.
It is on my dress's tape.
Just near of my right shoulder.
I take it in my palm, now.
I am it's holder.
How nice it is! How! How! How!
In untouchable darkness,
It is very beautiful, yes.
The darkness and I
We are looking it
With unknown sense.
I realize that it is gifted me by the sky.
I put it on my chest.
And say,
"Hey!
The diamond! Can you feel my heart beat?"
Then my sense,
It says, " It has no feeling,
So it can make you the richest."
I think that why it has no feeling?
Then my feeling says,
"It is nothing but a stone.
Though it is gifted as love relation,
Yet it has no feeling.''
Then the darkness says,
It is the  life's most important lesson,
That diamond has no own love, own, own, own."
Then my mind says,
"Why? It's really unknown.''
Then my brain says,
"Now you know it, know!
That love is not in materialistic wealth. No."



1 টি মন্তব্য: