রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 01/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 01/11/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 01/11/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-01/11/2020, রবিবার
               সময় :- রাত 6 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Poem

' Veggie anger'
         The Calcuttaman

O veggie, don't be upset
If I can't buy you...
'Coz I have small budget
Have only a bucks few!
Onion has hit a ton ,
Tomatoes at ninety ;
Ginger is soaring high
I call Almighty ! ...
Humble potatoes are now
Selling 'a Forty Rupees !
Chillies?  Oh, I can't get
Price stings like honeybees ..
I want to have chlorophyll,
Or want to live on air
Such is life's cost now ..
Am living in much fear !!


Wisdom
                By Sabir Ahmed
               
                         Wisdom—
                   The art of knowing,
                  The light of truth
                    That is lingering
              'The price— above rubies'....

                               Wisdom—
                 Infinite and im-measureable
                 'The ink of the scholar'
                 The ethical virtues of human beings
                 That pursues the best ends….
                                         
                           Wisdom—
           The  sharp axe of conscience
                      That can break down
                The stoney wall of non-faith
                   Erasing superstitious notions….
                        
      Wisdom—
  Rhetorical and meditative
       Wrapped with the majesty of homage,
           The fruit of knowledge
                Acquired by experience….


মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

(১)
নিউ নর্মাল

নিউ
নর্মাল যুগ
সবাই​ এখন  স্বাবলম্বী
ভরসা করছেনা কেউ কাউকে
মৃত্যুর সঙ্গে চলছে উদ্দাম আলিঙ্গন
নিজের   চিতা নিজেই সাজাচ্ছে নিপুণ সচেতনতায়।

মানুষ খেলতে চাইছে নিজের ক্ষমতায় আত্মনির্ভরতায়
নিজেই নষ্ট করছে সাজানো উপবন
চুম্বন করছে প্রতিনিয়ত আগুনকে
খুল্লম খুল্লম  মৌসাম্বী
বুগিবুগি বুগ 
চিউ।

(২)
এখন মানুষ​

মানুষ
বুঝছেনা আর 
কেউ নিজের ভালো
টপকাচ্ছে রোজ সীমানা বেড়া
সব বিপর্যয়কে করছে গা স ওয়া
জেনেবুঝেই ছড়াচ্ছে রোজ মারণ রোগের সংক্রমণ।

এটাই জেনো অতি আধুনিক যুগের উদ্বমন
চল হচ্ছে নিজের শব ব ওয়া
পরিজন নিয়ে নক্ষত্রে ফেরা
ধোঁয়ায় হলেও কালো
উড়ছে তার
ফানুস।





বিপ্লব গোস্বামীর দুটি অনু কবিতা

১)
আধুনিক নারী

অর্ধ নগ্ন নেটে মগ্ন
পর ভাষায় কথন !
নাইট ক্লাবে মদ‍্য পান
পুরুষের মতন !
আধুনিক যুগের আগুয়ান নারীর
এইতো চলার কায়দা !
সেই সুজুগে নর পিশাচ সব
লোটছে তাদের ফায়দা !

২)
মহামারী শেষে

বেঁচে যদি থাকি দুজন
দেখা হবে তবে,
মিলব আবার দুজন
মহামারী শেষে।
জানি না এ প্রতীক্ষার
অন্ত হবে কবে,
বকুতে জড়াবো দুজন
সোহাগেতে হেসে।





বিভাগ-লিমেরিক
           শংকর হালদার

লিমেরিক-০১

রাজারাণী সিংহাসনে হুক্কাহুয়া চেঁচায়
ধ্বনি শুনে শিয়ালেরা আসেন মন্ত্রী সভায় ।
লেজ নাড়তে ব্যস্ত তারা
ফন্দি আঁটে পাগড়ি পড়া,
গোলাম তারা রাজারাণীর হুকুম পালন মানায় ।


     রঙ্গিন ঘুড়ি
              নির্মল সরকার

আমার কাগজের ঘুড়িটা আজ ঘরের দেওয়ালে ।
ময়লা হচ্ছে ধূলোবালি আর জলে ।
ঘুড়ির সুতোটা ও নেই
শুধু মাত্র দেখি , স্মৃতিটুকু মনে রেখে ,
আমার দুই চোঁখ শুষ্ক -
আসুক তবে সে আমার চোঁখের জল হয়ে ।
আমার আকাশটা আজ মেঘাচ্ছন্ন ;
কখনো সূর্যের উত্তপ্ত রোদ ।
তখন ছিল ঘুড়িটা অনেক রঙ্গিন হয়ে ।
যে উড়াতো সেও চলে গেল ঐ দূর আকাশে ।
 


হায় ধর্ম
  এমাজদ্দিন সেখ

ধর্ম নিয়ে  গোঁয়ার্তমি ! সে তো  কোন ধর্মই বলেনা l
কে শ্রেষ্ঠ ,কে নিকৃষ্ট  বিধান দেওয়া ষাঁড়ের সাজেনা !!
সবার আগে মানুষ তুমি, মানব সেবায় কী  অবদান ?
দেখো  পরখ  করে বারে বারে অন্তরে অন্তরে ---
তোমার আরাধ্য  নিভৃতে থাক গহীন অন্তরে !
তোমার "ফেথ"এ "ফেথ" না মিললে দুশমন যদি হই ;---
" কসম খোদার" ভন্ড তুমি, কভু  ধার্মিক নও !!
আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে বিভেদ গড়  যারা ;---
মনুষ্যত্ব হত্যা করে পোক্ত  শয়তানের রাজ্যপাট !
বারে বারে প্রয়াস তব দেয়া মানবতার এ  কারাবাস--
মানুষই ভাঙবে  শয়তানের গড়া ঐ আঁধার কারা !
দানব-  মানব যুদ্ধে হবে মানুষের জয় ;---
যতোই তুমি উগ্র হবে , মানব জাগরণে মিথ্যার হবে ক্ষয় !!
সকল যুগের মনীষী, "পয়গম্বর" এসেছেন  যতো ;---
তাঁরা যুগশ্রেষ্ঠ সংগ্রামের ফল মানব কল্যাণে রত ;---
তোমার খুশি যাঁর ভজনা ভজ  বন্ধু  তোমার মত ;---
তাঁদের জীবন কী বলে, ঠুলি খুলে দেখ অবিরত !!

রবেনা ঔদ্ধত্য- দম্ভ ; থাকবে শুধুই তোমার কীর্তি l 
সবার মঙ্গল মানব সেবায়, হোক তোমার কর্ম , নীতি !
ঘৃণ্য ভেদে  প্রাচীরের পরে  প্রাচীর গড়ে ;---
বিশ্বমানবে ক্ষুদ্র -খন্ড করেছো যত ,নিজেও  মরেছ ;---
কত প্রাণ-মান-সম্পদের ক্ষয়  বাড়িয়েছো অবিরত ?
ক্ষান্ত দাও !  সে দ্বন্দ্বে ;  এসো মানব সেবায় হই রত l
মানুষের তরে মানুষ রবে সেটাই ধর্মের বড় !
"ফেথ "  থাক বন্ধু ব্যক্তির অন্তর গহীনে ...
কী এসে যায় , মানুষ তো আমরা !  ফেথ ভিন্নে ?

দানবের সাথে মানবের লড়াইএ মনুষ্য বিবেক হও আগুয়ান !!





  **পুরনো সুন্দর **
         সুস্মিতা দে

হাতপাখা হ্যারিকেন ছাদে মশারি টাঙিয়ে সব ভাইবোনের মিলেমিশে থাকার বন্ধনে আনন্দ ছিলো তা একতা।

আজ দেশে এল কারিগরি বিদ্যার কাজে মাথায় হচ্ছে বজ্রপাত ।  কাউকে বলি দেখিয়ে পড়ে দেখাবো ,  *আশা *

**সুসভ্য দেশের আজ বড়ো দুর্দিন দুর্ভোগ এলো।
মানুষ গুলোর চেহারা দেহে কঙ্কাল সার কালি পড়া চোখের জলে বলে আর বসার  ক্ষমতা নেই বলে যেখানে সেখানে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে। ** মোবাইল ফোন সবাই ঠিক  জানেনা    **ক্ষত*

আজ আট মাস ছাড়িয়ে গেলে।করোনা সাথে যুদ্ধ করে দুর্নীতি দুর্দিনে হাজার  রোগের সংক্রমণে ,মানুষকে
ছেড়ে চলে যায় পরলোক যাত্রায়।
মা ভাইবোনে অশ্রু তে কাঁদি আমরা  সবাই  সভ্যতার জগৎে কি দুর্দিনে ঘনো কালো ধোঁয়ায় আকাশ ভরেছে স্তরে স্তরে ।

তবুও বলি আশা ছেড়ো না বন্ধু ।সূর্য লুকিয়ে আছে কালি মেঘের ঘনঘটা অন্ধকারে
    
     *সে সূর্য জোতির্ময় *

বাতাসের কালো ধোঁয়ায় কি  সে ভয়াবহ গন্ধ আসে। কতো মানুষের  মৃতদেহ পুড়েছে  একের পড়ে এক কোন অশনি সংকেত ঝড়ে ভাঙছে  কি  তা? পাপের ইতিহাস শাস্তি         নাও লেখা  হবে কোন ঐতিহাসিক লিখছে ? 2020 সাল তুমি বেদনার জমানো ভরা কালো রক্ত হয়ে আছো আজ আট মাস  ।

বাউল আসে একতারা নিয়ে সুর বলে জীবনে শুধু  দুর্দশা যায় না আসবে সুদিন,দেখবি
কাঁদিস না বন্ধু গন।

অনেক অপচয় চলছে বিক্রি হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান প্রানের  আশা ভরসা ভালোবাসা  তবুও জানবে নিজেকে সুন্দর করে গড়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিশ্চিত পাবে,

হারিকেন  হাতপাখা  পুরনো ডাকবাক্স পিওনের হাতে  নীল খামের  চিঠিতে আনন্দ ছিল ।

মুঠোবন্ধো ফোনে ছবি দেখতে গেলে মনে হয় আমার  ছবি এতো কম কেন?  জ্বলে ওঠে । 
শান্তো হবে তুমি।  জোতির্ময়ের জ্বলে,  জ্বলে জ্বলে তেজে পুরো সূর্যেমুখী হবে ।বাউল গানের শ্রেষ্ঠ  শব্দ কানে আসে।

ছবি গুলোর উপর লিখতে চাই তাই লিখে আনন্দ পাই অল্প তে থাকতে পারছি তাই তো অনেক

তাই বা কজন পায় ?
আজ সবুজ শিরায় ভাসছে সারাক্ষণ ঈশ্বর তোমাকে ষা দেয় তাই তো সবচাইতে বেশি ।গ্রহণ করো আপন জীবনের  পুরাতন হ্যারিকেনের  নব দীপ জ্বলজ্বল করো ।




সিলেবাস
        অঙ্কুর মাইতি

পুরো পড়াই মুখস্ত আমার।
সবুজ পাতার গরিমা থেকে হলদেটে আসন্ন বিদায়;
বারবার রিভাইজ করেছি আমি।
এখন আমার নজর শিকড় ছাড়িয়ে আরো গভীরে।
কান্ড,ফল,ফুল বহু পরিচিত আমার।

গহীন আঁধারে ডুব,
নিরুচ্চারে হারিয়ে যাওয়া অজানা সে পথে;
দুঃসাহসিক।বড়ই টানছে আমায়।
স্রোতে ভেসে লাভ নেই আর।

সিলেবাস শেষ।
পুঁথিপত্র গুছিয়ে নেবো।
হারিয়ে যাবো অজানায়।

        


চড়ুই শালিক এর খেলা
      আব্দুল রাহাজ

একটা চড়ুই দুইটা শালিক থাকত ওই বাগানে
সারাদিনে কিচিরমিচির করতো ওরা সেখানে।
ওদের সাথে হয়না ঝগড়া হয় না হিংসা নেই কোন স্বার্থ উড়ন্ত  পাখির মতো ওরা ভেসে বেড়ায় আকাশে আকাশের প্রান্তে ও
প্রান্তে।
ওদের সাথে জুড়ে যায় কটা মন ওরা একসাথে বেঁচে থাকে আজীবন।
ওদের খেলায় থাকে প্রাণভরা উজ্জল মন কিচিমিচি করে কাটিয়ে দেয় বছরের পর বছর।






    তোমার খোঁপায়
               হামিদুল ইসলাম
                  

এক একদিন সেই ব‍্যাকুল খোঁপাটার কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে তখন সবে চৈত্রি মাস
তোমার খোঁপায় পরিয়ে দিয়েছিলাম
বকুল ফুল
ফুলের সুবাসে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিলো কি তোমার হৃদয়  ?

যদি উঠে থাকে
তুমি প্রেমিকা আমার
প্রেম সাজিয়ে রেখেছিলাম সেদিন তোমার খোঁপায়
বশংবদ সম্পর্ক পরস্পর
ভেঙে ফেলে হৃদয়ের গভীরে একফালি চাঁদ  ।।

চাঁদের জন্ম হয়েছিলো সেদিন
তোমার কামরাঙা খোঁপায়
ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছিলো একবুক বিশ্বস্ততার ঠিকানায়
তোমার খোঁপায় জৌলুস
আমার অস্তিত্ব গেঁথে আছে পুনর্জন্মের অপেক্ষায়  ।

একটি ব‍্যাকুল খোঁপা
আমার এখন চাই
স্বপ্নগুলো সাজিয়ে রাখি নৈসর্গিক রাতের গভীরে
যদি কোনোদিন পদ্মবীজে জন্ম নেয় ইতিহাস
তোমার সাথে আমার মিলনের রাত  ফিরে আসবে নিশ্চয়   ।



মাথার ছাতা
         ডঃ রমলা মুখার্জী

বাবার এখন বয়স অনেক
নেই যে গায়ে শক্তি-
তবু  তাঁর ছেলে-মেয়েরা
করি তাঁকে ভক্তি।

এতদিন ধরে আমরা তাঁর
হোটেলে মজা করে
গিলেছি চর্ব চোষ্য বেশ
কব্জি ভরে ওরে।

মা'র অভাব বুঝিনি কভু
বাবা করেছে যত্ন-
এখন বুঝি বাবা আমাদের
কি অমূল্যই রত্ন!

ঘাড়ে ভারি বোঝার মত
চেপেছে হাজার কাজ-
মাথার ছাতা সরে গিয়ে
পড়েছে আগুন বাজ!

তারই মধ্যে সময় করে
করি বাবার সেবা-
পুত্র বিনা বৃদ্ধের আর
আছেই বল কেবা?




কর্ম করে খাই
        অশোক কুমার পাইক

আড্ডা মারার দিন যে শেষ
বাবার কাজটা নাই,
বাবার হোটেল বন্ধ এখন
উপায় খুঁজছি তাই l

বয়স বেড়ে বাবার অবস
দায় পড়েছে ঘাড়ে,
অনেক দূরে কর্ম করি
ঘরে অভাব বাড়ে l

কষ্ট কেমন দেখছি এখন
লোহার কাজে ভারী,
বাবার কথায় তখন আমি
দিতাম ফাঁকি আড়ি l

সুখের জীবন ভেবে তখন
আড্ডা দিতাম খেলে,
সবার সুখে পেটের দায়ে
সবই দিলাম ফেলে l

সংসার টা করবো সুখের
স্বপ্ন এখন মনে,
কষ্ট ভুলে থাকবো আমি
গভীর সেই বনে l



হাইকু কবিতা
            সত্যব্রত চৌধুরী

                ( ১)
ধান গাছের গর্ভ-সঞ্চার
কৃষকের পরিভাষায় গা-মোড়  ।

                  ( ২)
সেকাল একাল ভাবীকাল
ত্রিকাল সমন্বয়ে
বিশ্ব চরাচর ।

                 ( ৩)
স্মৃতি পটে জাগে কত কিছু
হারিয়ে যায় কর্ম ভীড়ে সব
মেলে না হিসেব ।

             (৪)
জীবন মানে লড়াই
যুঝতে চাই মন ।

                 (৫)
তুমি ছিলে তো সব ছিল
তুমি বিনে শুধুই ধোঁয়াশা ।






#গল্প
#প্রেমিকা_হবে_শাশুড়ি
    আব্দুল_রহিম

সুজন ক্লাস সেভেনে  (Seven) পা রেখেছে,সেই বছর শ্রাবণ মাসের শুরুতেই  মনে গেঁথে গেল এক অজানা অনুভূতি, শুধু প্রেমের উপন‍্যাস আর গল্প বই পড়ার নেশা, যে নেশা থেকে শুরু হল প্রেমের অনুভূতি,যা সবসময় পাপিয়ার  নিষ্পাপ দু চোখ আর দুষ্টু মিষ্টি কথাই আকৃষ্ট হতো, কিন্তু সে জানেনা ভালোবাসা কি বা কিভাবে হয়, এই জন‍্য  তার বাড়ির জবা গাছ থেকে একটা জবা ফুল প্রতিদিন  নিয়ে যেতো স্কুলে,
মনের আবেগ কে ভালোবাসার রূপ দিতে
কিন্তু কখনো বলতে পারেনি মনের কথা,যখনই বলার চেষ্টা করে তখন যেন একটু ভয়, একটু কষ্ট,একটু অনুভূতি, একটু লজ্জা, বাস্তবের মাটি যেন তাকে তলিয়ে নিয়ে যায়, এভাবে চলতে চলতে একটা বছর কেটে গেল,।।

তারপর সুজন ভেবেই নিয়েছে যে এবার আজ বলেই ছাড়বে ,ঠিক সেই দিন পাপিয়া হঠাৎ  এসে বুকের মাঝে একটা জলন্ত আগ্নেয়গিরি ছুঁড়ে দিল আর হাতে একটা বিয়ের কার্ড ধরিয়ে বললো সামনের শুক্রবার আমার বিয়ে,তুমি যেন মনে করে অতি অবশ্যই আসবে ,সেদিন যেন জীবন গল্পেইর অনুভূৃতির পাতা শ্রাবণ ধারাই ভেসে গেল তারপর থেকে সুজনের জীবনে শ্রাবণ  মানে অভিশাপ, জবা ফুল মানে বিষ, প্রেম মানে মৃত্যু ।।

সে তারপর থেকে জীবন গল্পের প্রেম নামের অনুভূতিটা আস্তে আস্তে মুছে দেয়,সুজন ভেবেই নিয়েছিল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবো,তাই সে দীর্ঘ বিশ বছর পিছু ফিরে তাকাই নি অবশেষে কঠোর পরিশ্রম আর দীর্ঘ চেষ্টার পর একটা সরকারি চাকরি পেল, এবার তাকে বিবাহ করতে হবে, অনেক বাবা মাকে ফাঁকি দিয়েছে  কিন্তু আর নয় বাবা মায়ের বয়স হয়েছে,তাদের দেখার কেউ নেই,তাই বাবা মায়ের পছন্দ মতো বিয়ে করতেই রাজি হল,সুজনের বাবা বহু সন্ধান করার পর দূর এক গ্রামের অতি সুন্দর,একটা লক্ষ্মী যেন মেয়ের সন্ধান পেল।।

বাবা মায়ের কথা অনুযায়ী বিনা যৌতুকে
সুজন রাজি হয়ে গেল বিয়েতে, কিন্তু আশীর্বাদের  দিন আবাক কাণ্ড সুজনের গোটা শরীর ঘামতে শরু করলো ,মাথার ঘাম পায়ে পড়ে কিন্তু না পারে কিছু বলতে, না পাড়ে নড়াচড়া করতে,ঠিক যেন সে জীবন্ত লাশ,এমন হবেইবা না কেন ক্লাস সেভেনে (seven ) যে পাপিয়াকে সে ভালোবাসতো বা পছন্দ করতো সেই পাপিয়ার মেয়ের সাথেই নাকি তাকে বিয়ে করতে হবে তবে তারপক্ষে সেটা মেনে নিওয়া অসম্ভব।।

তখন তার মাথাই একটাই কথা ঘুরপাক খায় ক্লাসে এইটে বলা  (eight )জুয়েলার স‍্যারের  কথা গুলো ; প্রেম, প্রেম করিস না,তোদের যাদের সাথে বিয়ে হবে তারা দেখবি এখনও জন্মায়নি তার প্রমাণ কিন্তু সুজন বাস্তব জীবনে আলিঙ্গনে হাড়ে হাড়ে টের পেল, যখন প্রেমিকা হতে যাচ্ছিল শাশুড়ি,আর প্রেমিকার মেয়ে হতে যাচ্ছিল স্ত্রী।।



👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 










২টি মন্তব্য:

  1. খুব সুন্দর হয়েছে । দিনদিন আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে আয়োজন । দারুণ হয়েছে

    উত্তরমুছুন