সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 16/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 16/11/2020

উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা-16/11/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 16/11/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 9 টা. 06 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


     লিমেরিক
সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

বলবে না ক্ষিদদা, ফাইট কোনী ফাইট রে
চলে গেলেন ফেলুদা, না ফেরার দেশে রে
দুচোখটা ভরে জলে
প্রার্থনা গেলো বিফলে
অবেলায় ওঠে বেজে, বেলাশেষের গান রে।



ভাইফোঁটা
          পিনাকী  মুখার্জী
      
            অপু  দিল পক্ষীরাজে  , দূর
                    তেপান্তরে  পাড়ি !!
             দুগ্গা  দিদিও  সঙ্গে  তারই ,
                    হাতে  জাদুছড়ি  !!

            ঢেউয়ের ঠ্যালায় এগিয়ে গিয়ে
                 পিছনে ফিরে দেখে !!
            খুনসুটি  কভু  মান অভিমান ,
                 পরশ  গুলো  মেখে  !!
                   
              সাগর বুকের ঢেউগুলো করে ,
                    সাগর  জলে  স্নান  !!
                সেই  সাগর জলেই শীতল ,
               ঢেউয়ের  সকল  অভিমান  !!

               দুই বুকেতে একটা সাগর ,
                 সে  এক  অথৈ সিন্ধু !!
             চন্দন  আর  দইয়ের ফোঁটা
                 তার  যে প্রকাশ বিন্দু !!





  কর্ম আমার ধর্ম
      সুস্মিতা দে

লেগেছে লেগেছে লেগেছে
আজ ভালোবাসার  আগুন ।
শেষ হলো সব উত্সব নাকি?
আমার উত্সব আছে  ?
লেখা আমাকে ভালোবেসে
কবি বলে , আনন্দ খুঁজে কবি
  ও অকবি  যাহা বলো মোরে
আমি তো খুশি

আলি আসে ফিরে যায়
বোঝো প্রিয়মনের কথা
ভাসিয়ে দাও  ।আঁচল ধরে
প্রদীপ নিয়ে  দিলে প্রদীপ খানি
আমি  জানিতো এই চন্ডীকে
  খেয়ালি নিজের মতো চলে সে
দেখা দেবে না ।

সে মাধুরী বুঝেনা মনের ভাষা
ডাকলে পড়ে সে আসবে না সে
ঘরনি আপন কর্ম সৃষ্টি ধর্ম বলে
জানে সে একটি অনন্য সাধারণ
মেয়ে কর্ম  তার আপন  ধর্ম ।



ভাইফোঁটা
         অনাদি মুখার্জি

ভাই ফোঁটার  এই বড়ো শুভো দিনে,
আনন্দে ভরে সব ভাই বোনদের প্রাণে !
ভাইয়ের কপালে দেয় বোন যে  ফোঁটা,
যমের দুয়ারে ফেলতে যে  কাঁটা !
পান সুপারি হাতে দিয়ে ,ধান ও দূর্বা মাথায় দিয়ে,
সুগন্ধি চন্দনের ফোঁটা তিনবার ললাটে দিয়ে !
পায়েস ও নানারকমের মিষ্টি ভর্তি থালা সাজিয়ে,
ভাইকে বোন রা আদর করে দেয় খাইয়ে !
বছর বছর আসুক এই ভাইফোঁটার দিন ,
ভাই বোনের ভালোবাসা বেঁচে থাকুক সারাজীবন!
বাড়ি বাড়ি হয় ধূম মেলে নানা উপহার ,
দিদিদের মনে ভুবন ভরে  হৃদয়ে মাঝার !


ভাইফোঁটার শপথ
       বিপ্লব গোস্বামী

বোনের হাতের ফোঁটা নিয়ে
      ভাই করলো পণ ;
তোর মত আর যেন কেউ
       না হয় ধর্ষণ।

একদিন তোর মুখে সত‍্যি
দেখিস ফোটাবো হাসি;
যেদিন নরপশু ধর্ষকের
  গলায় ঝুলবে হাসি।

অন‍্যায়-অবিচার,অধর্ম
  একদিন হবে শেষ ;
যেদিন পবিত্র নারী শক্তি
শাসন করবে দেশ।



      ওই
   অলোক রায়

ঐ চোখ দুটির আবেগী চাহনি বলে দেয়,
তুই আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসিস।
তবুও তারা দাবি জানায় না,
কেন তুই বারেবারে স্বপ্ন চোখে ভাসিস।
অকারণেই ভালোবাসা রূপ বদলেছে
তারুণ্যের কামনায়,
কত বসন্ত পেরিয়েও আজও রয়েছে মন
তোকে নিয়ে দোটানায়।
ঐ হরিণী চোখের কামনার আগুনে,
দগ্ধ হয় গভীর রাতের কত কথোপকথন।
তবুও হারিয়েও যেন হারাই না আমি,
অষ্টাদশীর গোপন প্রেমে তে অমূল্য রতন।
কাঁধে কাঁধ রেখে হয়তোবা হয়েছে,
অছিলায় কিংবা কল্পভ্রমে তোর গা ছোঁয়া।
প্রথম দর্শনের দূর্নিবার প্রেম,
যেন চেয়ে যায় শুধু সময়ে অসময়ে,
ঐ গোলাপী ঠোঁটের একটু ছোঁয়া।
উফফ! যদি কল্পনার ক্যানভাসে রোজ হতো তোর চরাচর,
আমি তবে প্রত্যহ ছুঁইতাম
তোর হৃদয়ের আঙ্গিনায় হয়ে অগোচর।



অনুগল্প
রায়বাবুদের আম বাগান
     আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট নদী নাম তার মতিবিল সেই নদীর তীর দিয়ে একটা মেঠো রাস্তা  চলে গেছে রাস্তার দুই ধারে বেশ কয়েক পরিবারের বসবাস ।ওরা বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করে সরল সাদাসিদে ওদের পারস্পরিক মেলবন্ধনের চোখে পড়ার মতো সূর্যের উজ্জ্বল রশ্মির মত সেখানকার পরিবেশ ফুটে উঠেছে রুপে লাবণ্যে। ওখানে একটা আদ্দিকালের আম বাগান ছিল শোনা যায় এখানকার জমিদার রায় বাবুদের । তাদের পরিবার নেই কবে এই মায়াভরা পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে কথা গ্রামের প্রবীণ মানুষেরা ভালো জানবে। এখন ওই আমবাগান গ্রামের ছেলে মেয়েদের খেলার জায়গা হইহই করে ধুলোবালি উড়িয়ে খেলা করে শৈশব বাল্যকাল যেন ঐ আমবাগানে কেটে যায় অধিকাংশের তারপর মতিবিল নদীতে জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটা সব ই ওরা আনন্দ উপভোগ করে। একে অপরের খেলার সাথী ওরা প্রান্তিক হলেও একে অপরের পাশে থাকে। রায় বাবুদের বাগানে  ফলের গাছ বিভিন্ন রকমের গাছ ছিল ওখানকার মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের অসুবিধা হতো না এই রায় বাবুদের বাগান ওদের কোথাও যেন পথপ্রদর্শক হয়েছিল প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শৈশব থেকে বাল্যকাল পড়াশোনা করার পর ওখানে খেলাধুলা হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার সব মিলিয়ে এক শান্তিময় পরিবেশ নিয়ে ওরা বসবাস করত মতি নদীর পাড়ে সত্যি ওরা জানো মিলন মহান বসবাস করছে মতিবিল নদীর তীরে রায় বাবুদের বাগান কে ঘিরে।






রম্যরচনা 

  বিজাতীয় বাংলা

    -  অগ্নিমিত্র 


    কাল ' ভাইদুজ'। বোনের 'ঘর'-এ  ' ঘুসে' যাবেন । যাবার আগে ' মোচ্' - দাড়ি কামিয়ে ভদ্রস্থ হয়ে  যাবেন।  বেশি খেয়ে ' থকে' যাবেন না। দিনটা ভালো ভাবে কাটান, ' কেন কি' এই দিন তো বছরে একবারই আসে!   'পতঙ' ওড়াতে পারেন, তবে সেটা ' পেড়'-এ গিয়ে আটকে যেতে পারে । কোন ঝামেলা থেকে বোনকে বাঁচান । তবে কারো সাথে ' হাতাপাই ' করবেন না। কারো সাথে ' পাঙ্গা' নেবেন না । ... বোনকে সৌহার্দ্যের কোন ' নিশানী' দিয়ে যান । 'রঙ্গোলি' পাড়াবেন না ! পুজো হলে 'আরতি' নিয়ে নেবেন ।।..







          অনন্ত জীবন
                     হামিদুল ইসলাম
                       

যদি একটা অনন্ত জীবন ফিরে পেতাম
অনন্তকালের জন‍্য
হাতের কাছে রেখে দিতাম  ভালোবাসা
প্রেম
ইতিহাস
যদি একটা অনন্ত জীবন আমার থাকতো ।।

জানি দেবতারা অনন্ত জীবন পায়
অনন্ত জীবন কেবল দেবতাদের জন‍্য
মানুষ ক্ষণস্থায়ী
কার জন‍্য এই ক্ষণস্থায়ী জীবন
জীবন যেতে চায় না এই পৃথিবী ছেড়ে
তবু আমাদের চলে যেতে হয়  ।।

যদি দেবতাদের মতো
অনন্ত জীবন কোনোদিন ফিরে পেতাম
ময়ূর হতাম কখনো
নদী হতাম কখনো
কিংবা অরণ‍্য
কিংবা এ জগৎ ছেড়ে চলে যেতাম ।।

যেখানে ভালোবাসার ফুল ফোটে প্রতিদিন
ভালোবাসা হতাম অনন্ত জীবনের বুকে ।।





দীপাবলি
       মহীতোষ গায়েন

চারিদিকে এত আলো
অথচ অন্ধকার নীড়ে
সমস্ত অস্তিত্বে সংকট
মেশে মানুষের ভিড়ে।

দীপাবলি,আলো জ্বলে
সব অরণ্যে,আকাঙ্খায়...
মঙ্গল কামনার সুর ভাসে-
প্রহরী সন্তর্পণে চলে যায়।

যারা রোদে ঘামে নেয়ে শেষে
অন্ধকারে ঘাড় গোঁজে,তারা
আলো দেয়,দিন শেষে নিজ
কুঁড়েঘরে তারাই আলো খোঁজে।

এত আলো তবু অন্ধকারে সব
পথ দীর্ঘ হয়,মঙ্গলসূত্র আসে...
সব ছন্দ,সব খিদে,সব গান মিশে
যাক আলোহীন মানুষের পাশে।




মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

(১)
লোকাল ট্রেন

চালু
হয়েছে আবার
প্রয়োজনের লোকাল ট্রেন
প্ল্যাটফর্ম জুড়ে মানুষের ভিড়
দূরত্ব বজায় রেখে চলছে মোলাকাত
স‍্যানিটাইজার ঘষতে ঘষতেই পরিচিতের  কুশল বিনিময়।

অনুজীবকে পিছনে ফেলে মিলেছে কিছুটা জয়
কেটেছে ট্রেনের অপেক্ষায় কাটানো রাত
মানুষ এখন কিছুটা  ধীর
বাঁচতে খাটাচ্ছে ব্রেন
ঘামাবে তাহার
ব্রহ্মতালু ।

(২)
আবেদন

স্কুলটা
খুলবে কবে
কেউ একটু বলুন
ন'মাস আমরা হয়েছি গৃহবন্দী
দেখিনি বন্ধু , স্কুল বাড়িটার মুখ
আমাদের কথা কেন কেউ  একটুও ভাবছেনা।

বন্দীজীবন আমাদের জেনো আর একদম ভাল্লাগছেনা
মিললো দোকান-পাট ,মল ট্রেনের সুখ
আমাদের জব্দের চলছে ফন্দী
কেউ  একটু চলুন
জমা হবে
আবেদনটা । 




দীপান্বিতা মা আসছে
     তাপসী প্রামাণিক

দীপান্বিতায় উঠুক জ্বলে
লক্ষ দীপের আলো
সেই আলোতে ঘুচাও মাগো
যত আঁধার-কালো।

অমানিশার কালো রাতে
নব আনন্দে হেসে
হতাশা বিষাদ দূর করে মা
এসো গো ভালোবেসে।

রক্ত জবার মালায় সাজো
গলেতে মুণ্ডমালা---
অশুভ শক্তির বিনাশ করো
দুঃখ- কষ্ট -জ্বালা!

অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারে
করি মা তোমায় বরণ
চরণে সপে পূজার অর্ঘ্য করি
ভক্তি শ্রদ্ধায় স্মরণ।

আঁধার যত মুছিয়ে দাও মা
আলোর ঝর্ণা-ধারায়
দীপাবলীর দীপ্ত তেজে যেন
সব শত্রু নিপাত যায়।

বহ্নিশিখায় জ্বলে ওঠো মা
চামুণ্ডা শক্তিরূপিনী
অন্ধকারের উৎস হতে এসো
অলোক -স্বরূপিনী।

তুমি যে শ্যামাকালী-শুভঙ্করী
তুমি মা অভয়া শক্তি
বড়ো যাতনায় আছি আমরা
দাও মা এবার মুক্তি।

         *****


সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

মৃত্যু
দোলায় বসে দুলছো  তুমি বাধা বন্ধনহীন

আজ সত্যিই দুলে দুলে চলে গেলে অজানার দেশে!

হে মানব, তুমি হেরে যেতে চাওনি
হেরে গেলাম আমরা।
   হে মানব--
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তোমাকে ভুলে যেতে পারবো না আমরা

চলচ্চিত্র, রঙ্গমঞ্চ, পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে সার্থক তুমি।
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজ আজও আমাদের মোহাবিষ্ট করে। কিন্তু---
ছবি হয়ে যাবে ভাবিনি।

মৃত্যু তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলো আমাদের থেকে।

স্বার্থপর দুনিয়া জুড়ে রয়ে গেছে তোমার সৃষ্টিশীলতা

তুমি হেরে না গিয়েও আমাদের হারিয়ে দিলে
আজ এই ১৪২৭ এর ২৯ কার্তিক ভরদুপুরে রবিবার।

অপু চলে গেল
ফেলুদা চরিত্রে অনবদ্য হয়ে রয়ে গেল বাঙালির মনের মণিকোঠায়।

প্রমাণ করেছো অজেয় অনবদ্য সৃষ্টির সাথে
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজ আজও জনপ্রিয় হয়েছে--

নম্র শিল্পী হিসেবে দায়িত্বশীল ছিলে তুমি।

তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।
সোনার কেল্লা,  অপুর সংসার জয় বাবা ফেলুনাথ ইত্যাদি অনেক চলচ্চিত্রের তুমি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছো
অশনি সংকেত নয়তো?
আজ বেলা শেষের দিনে  তুমি ফেলে গেছো আমাদের
নৌকা ডুবিয়ে। তুমি কি সত্যিই ছবি হয়ে গেলে আজ থেকে?
দুঃখ আছে, হয় তো থাকবেও।

তোমাকে কি আর ফিরে পাবো কোনোদিন !!!

২৯ কার্তিক ১৪২৭
সময়- সকাল ৮/৪০



The Message of Leaves
            By Sabir Ahmed. 

               We are the leaves
      We are symbolising colours of life
            Sprouting together
Day-night tinged with fading beauty.
We turn ourselves into different phases
shooting from stems
   And transforming ourselves into pied beauty
                We cannot talk
           Yet feel the joys and pain
              Like a dumb man
                     But alas !
   When we receive the message of time
              From other kingdom,
          We fall from the shoots
           One by one, sooner or later.

1 টি মন্তব্য:

  1. ভাইফোঁটার প্রীতি ও শুভেচ্ছা । খুব সুন্দর আয়োজন ।
    খুব ভালো লাগলো ।

    উত্তরমুছুন