শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 28/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 28/11/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 28/11/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 9 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


           পরিচয়
           পিনাকী   মুখার্জী
      
           অবাক রোমাঞ্চের একটার পর
             একটা  ,  আরো  বড় ঢেউ !!
               এক  ধাক্কায়  বুঝিয়ে  দেয় ,
           রাজত্বে  ঢুকেছে  অচেনা  কেউ  !!

               ছোট্ট বাঁচার গন্ডি ছাড়িয়ে ,
             আজকে যেন অনন্ত অপার !!
              আলাপ হয়নি বলে , শুধু
           অভিমানে সরে  আমি- আমার !!

             নোনাজল বালি গোটা শরীরে ,
               লহমায় দিয়ে যায় পরিচয় !!
           ভিতরে বাইরে  সেই অজানাকে
           চেনা , আলাপন রোমাঞ্চের ছোঁয়ায় !!

             ঢেউয়ের  ফেরার  পরেও , শরীর
                মন  জুড়ে  ঢেউয়ের  খেলা !!
                    আজ  যেন একা লাগে ,
               স্বজন হারানোর  গোধূলি বেলা !!





তখন আর এখন  জীবন
    চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

বেশী  দিন  আগের  কথা  নয়,এক  হাজার
বছর  আগে ,
আমাদের  পূর্ব  পুরুষদের জীবনযাত্রার
কথা  মনে  জাগে?
এখনকার  এই  আধুনিক  সুযোগ  সুবিধা  বলতে  ছিল  না কিছু,
হেঁটে  করতে  হতো  যাতায়াত,
কখনো বন্য  পশু  নয়তো  ডাকাত,দস্যুরা
তাড়া  করতো  পিছু!
কি ভয়ঙ্কর  সময়  পার  করে  আমরা  এখন  সভ্য  জগতের এমন  আধুনিক  লোক,
এখনকার  আঘাত  অন্যরকম,
সবার  কপালে  সহ্য  হয়  না সুখ  ভোগ ?

খুব  শর্টকার্ট  জীবন যাপন,
হাতের  মুঠোয়  পৃথিবী,
ভালোবাসা  জলের  দরে  বিক্রী  হয়,
এক  জনের  একএক  রকম  মন৷
আবার  হয়তো  আসবে  এমন  দিন,
পাল্টে  যাবে  যে  রকম  সময়  চলছে  এখন৷









গ্রামের মেয়ে মালতী
       সুস্মিতা দে

আমার ছোট্ট একটি ঘর ।সে ঘর হোক না চাইবার না পাইবার। কিছু আনন্দ নিয়ে  থাকা ছোট্ট একটি খালের উপর দেখি মালতী দিদি সাড়া  দিন বসে পলাশ দাদার কথা ভাবে।
ডাক আসছে মালতী দিদি কে দেখে ছুটে আসে,  চিঠি আসে নি? দিন যায় বসন্ত আসে মালতী  দির ছটফটানি বাড়ে?পলাশ  আসে না পলাশ । গ্রামে অন্ধকারে হারিয়ে গেছে মালতী  একা একা পলাশের কথা আপন মনে বলে চলে সন্ধ্যা তারা চলে যায় ভোরের তারা জাগে ।ছোট গ্রাম মালতীর জন্য কাঁদে মালতী  বোঝা তে বসে  কাদঁছো কেন  পলাশ আসবে আমাকে পিওন দাদা  বলে গেছে?
আর একটু অপেক্ষা করলে ভাত একটু খেলে পলাশ আসবে , পিওন দাদা বলে গেছে । ছোট গ্রামের মানুষ অন্ধকার বোঝে মালতী অন্ধকারের অন্তরে আলো খোঁজে ।





বিপ্লব গোস্বামী এর অনু কবিতা গুচ্ছ
১৷
           নাইবা হলে

       বিপ্লব গোস্বামী

নাইবা হলে জীবন সঙ্গী
     না হলো সহবাস !
তবু কল্পনাতে তোমার আমার
      নিত‍্য বসবাস।

২৷

     সংখ‍্যার ছড়া

   বিপ্লব গোস্বামী

        এক দুই
       তিন চার
     এসো গুণি
      বার বার।

     পাঁচ ছয় সাত
এসো গুণি এক সাত।

     আট নয় দশ
  গুণবে যদি বস।

৩৷

আধুনিক নারী

বিপ্লব গোস্বামী

অর্ধ নগ্ন নেটে মগ্ন
পর ভাষায় কথন,
নাইট ক্লাবে মদ‍্য পান
পুরুষের মতন !
আধুনিক যুগের
আগুয়ান নারীর,
এইতো চলার কায়দা !
এই সুজুগে নর পিশাচ সব
লুটছে তাদের ফায়দা।

৪৷

শরণাগত

বিপ্লব গোস্বামী

দয়াল এসেছি তব শরণে
আশ্রিত জনে না ঠেলিও দূরে
ঠাঁই দাও তব শ্রীচরণে।

শুনেছি তুমি বড় দয়ানিধি
এ কাঙ্গাল মাগে কেবল আশ্রয়
হেরিতে তব রূপ নিরবধি।

শরণাগত জনে না করিও হেলা
সারমেয় সম থাকিব গৃহ কোণে
কেবল উচ্ছিষ্টটুকু দিও দ-ুবেলা।

৫৷
মহামারী শেষে

বিপ্লব গোস্বামী

বেঁচে যদি থাকি দুজন
দেখা হবে তবে,
আবার মিলিব দুজন
মহামারী শেষে।

জানিনা এ প্রতীক্ষার
অন্ত হবে কবে,
বুকেতে জড়াবো দুজন
সোহাগেতে হেসে।

৬৷

চলো যাই

বিপ্লব গোস্বামী

       চলো যাই
       সবে ভাই
পাঠশালে যাইরে,
     সখা সঙ্গে
     হাসি রঙ্গে
লেখি পড়ি ভাইরে।

        খেলে ধুলে
       হিংসা ভুলে
কেটে বেলা সুখে ভাই,
         ভয় নাই
        পড়ি তাই
বইয়ের কোন বোঝা নাই।

        রোজ যাই
        মজা পাই
বড় ভালো গুরু মশাই,
        ভালো মন
        সব সুজন
মেলা-মেশার শিক্ষা পাই।

৭৷
জানি না কি পাপে

বিপ্লব গোস্বামী

জানি না কি পাপে
না কি কোন শাপে ?
তুমি অন‍্যের পরিণীতা !
তোমার বিরহে জ্বলছে সখী
বুকের মাঝে চিতা।

জানি না কোন পাপে
না কি কোন শাপে ?
তুমি অন‍্যের ঘরের সতী !
জানি না কার ভুলের ফলে
এমন নিঠুর পরিণতি।







আনন্দ
   নরেন্দ্রনাথ নস্কর

শিশুর মনের গভীরে নিষ্পাপ লুকানো যে  আনন্দ আছে,
সেই আনন্দে গাছ ফুল ফোটায়।
সেই আনন্দে পাখিরা গান গায়।
সেই আনন্দে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে।
সেই আনন্দে মা শিশুকে ভালবাসে।
প্রকৃতির জগতে যাহা কিছু ভালো, সেই আনন্দ থেকে আসে।
এই আনন্দের গুণেই মানুষ মনুষ্যত্ব প্রাপ্ত হয়।
এই আনন্দের আধিকারী মানুষরাই অন্যকে স্বত:স্ফূর্ত আনন্দ দিয়ে থাকে।
এই আনন্দের স্বাদ যদি কেহ জগতে পায়,
জীবন তার সার্থক।
এই আনন্দের সন্ধানে মানুষ সাধনা করে।
নিষ্পাপ এই আনন্দে যদি ভগবানকে ডাকা যায় তবেই তিনি হয়ত কারো কারো কাছে ধরা দেন।
এই আনন্দ থাকলে সুখ দু:খ তার কাছে তুচ্ছ।
এই আনন্দ বড় দুর্লভ।





                  জীবন
        হামিদুল ইসলাম
                
জীবন মদিরায় নেমে
দেখেছি জীবন
জীবন এক ভয়ংকর অনুভূতি
প্রতিদিন আষ্টেপৃষ্টে বাঁধে নিত‍্য নতুন সম্পর্ক ।।

প্রতিদিন সম্পর্কের জাল
ছিঁড়ে আসতে চাই
পারি না কিছুতেই
জীবন দুর্গম পাঁকের মাঝে ডুবে পাঁকের জল খায়  ।।

প্রতিশোধ তার পিছু পিছু
ছিঁড়ে যায় মায়াবী জাল
গভীর রাত
নির্মম আকাশে সেও প্রতিশোধ নিতে চায় ।।

লোনা জলে সাঁতার দেয় জীবন
জীবন ভেতরে ফাঁপা
তবু জীবনের জন‍্যে লড়ি
লড়াই দিই প্রতিদিন পাশবিক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে  ।।

এ জীবন জীবনই
জীবন নয় মসকরা
এখন ঝড়ে ভাঙে বনস্পতির শাখা
নৈমিত্তিক জীবন ফেলে রাখি হাতের উল্টো পাতায়  ।।




          পদ্মবন
      সৌম্য ঘোষ
   
নিরালাবেলায় যখন মনের মুখোশ
খুলে ফেলি--
দেখি আলতা পায়ে দাঁড়িয়ে আছো
দাঁড়িয়ে আছে তোমার রূপকথার আলো
আশ্চর্য ফসলে ভরা শস্যক্ষেত্র
তোমার পদ্মবন ।।



1 টি মন্তব্য: