মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 24/11/2020

 উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা 
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-24/11/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 24/11/2020, মঙ্গলবার
               সময় :- রাত 7 টা. 50 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


চিন্ময়ী
     সৌম্য ঘোষ

সন্তাপশূণ্য মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনির  মতো
রাত্রির অনন্তনীলে বসে আছি একা ....
হৃদয়ের ধ্যানে স্নাত হয় আমার হৈমন্তিক রাত।
দেখি, তোমার কল্যাণী মুখে
শত আলপনায়
জড়িয়ে রয়েছে অনন্ত সুন্দর......
চাঁদজ্যোৎস্নার  জলে
অক্ষর অক্ষর সাজিয়ে লিপিমালায়
তোমাকে চেয়েছি পুণ্যস্নানে,
কখন রোদ্দুর এসে বুনে দিয়েছে
পাতায় পাতায়
ভরা বসন্তের গান  ।।




তারপর....,
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

তারপর  যা  হবার  তাই  হলো,
বিশ্বের  অন্য আর  সব  দেশের  মতো,
আমাদের  দেশেও  করোনা  এলো৷
কত  কিছু  চোখের  সামনে  বদলে  গেল,
রাতারাতি  কেউ  ফুলে  কলাগাছ,
অনেকে  তো  ভয়ে  খাওয়া  ছেড়েছিল  মাছ,
অকালে  কতজন  গেল  চলে  হায়!
স্বজনদের  অকালে চলে  যেতে  দেখে  কার  না  বুক  ভরে  ওঠে  বেদনায়?

ট্রেন, বাস, নৌকা, লঞ্চ,
বিমান,হাট  বাজার বন্ধ  হবার  পর  এখন  সব  খোলা,
কি  আর  করা  যাবে?হংসরা  দিচ্ছে ডিম,থেমে  নেই  মানুষদের  পথ  চলা৷

যুগে  যুগে  কত  অতিমারী,  মহামারী  আসে,
লড়াকু  মানুষ  সব  তবু তো  জীবনকে  ভালোবাসে৷




শীতের ভোরে আমি
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

খেঁজুর গাছে রসের কলস।
ভোরের ঘুমে নই অলস।
সুশীতল সুধা পান করি;
মন প্রাণ ভরি।
আহা কি সুস্বাদু!
গাঁয়ের পান-যাদু।
রোজ ভোরে চোখ খুলেই বাগানে ছুটি।
শুধু এই রসের টানেই তো উঠি।
কলস যত ভরে সারা রাতেই।
যত দিনের আলো ফোটে,
বেলা বাড়ার সাথে সাথে সাথেই
ততই এই রস গেজে ওঠে।
( চন্দবিন্দু হচ্ছে না )
তাই তো শুকতারা সাক্ষী রেখে পান করা।
গাঁয়ের প্রকৃতি শুদ্ধ অমৃতে ভরা।




                প্রত‍্যাশা
          হামিদুল ইসলাম
             

তার পিঠে রক্তের কালো দাগ
খামছে খেয়েছে পিঠ
দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা এ জীবন
তবু শিরদাঁড়া মজবুত  ।।

মানুষের জন‍্যে জান কবুল লড়াই
লড়াইয়ের সম্মুখে সে
তাকে চেনে না মানুষ
তবু সে বরাবর নেতৃত্ব দেয় যুদ্ধে  ।।

জীবনের জন‍্যে জীবন
বেঁচে থাকার মানে লড়াই সংগ্রাম
সে সংগ্রামে পৃথিবী জাগর
রাতের আঁধার পেরিয়ে ভোরের সূর্য উঁকি দেয় ময়দানে ।।

মৃত‍্যুর অধ‍্যায় শেষ
মৃতরা ফিরে গেছে পুরোনো বাড়ি
ইতিহাসে ঘোর বিপদ
তবু আছে যুদ্ধের বিপদ আর হানাহানি  ।।

পথে পথে বাসা বাঁধে যাযাবর
সমগ্র আকাশ তার ক‍্যাকটাসে ছাওয়া
দালানের কার্নিসে পাখিরা বাসা বাঁধে
ভুলে যায় না কখনো সংগ্রামের কথা ।।




সে‌ এক ছেলে
আব্দুল রাহাজ

সেদিন ভোরে দেখছিল এক অন্য দেশান্তরের ছেলে
গায়ের মানুষ হা‌ করে সব দেখছিল তার দিকে।
সরেন নরেন ভুলু রা  সবাই তার দিকে দেখছিল হা করে।
সে ছিল বেশ লম্বা মাঝে মাঝে পথ দিয়ে যেতে যেতে সবাই এর কাজ করে দিচ্ছিল যে।
গ্রামের ছেলে মেয়েদের লজেন্স দিয়েছিল হাতে হাতে করে
এইভাবে সেই ছেলেটি দূর আকাশে কোথাও যেন পারি দিল সে
এক নিমেষে সূর্যের আলোয় দিগন্তরের মাঠে মিশে গেল সে।
সে ছিল সে এক ছেলে।




জগদ্ধাত্রী
মহীতোষ গায়েন

তুমি মহাশক্তি জগতের ধাত্রী
দূর করো বিপদ অশুভ রাত্রি,
তুমিই সক্রিয় অসুর বিনাশে-
তোমায় মানুষ তাই ভালোবাসে।

সংকট দূর করো,এনে দাও সুখ
সুসময় ফিরে পাক অসহায় মুখ,
দীনদুঃখী মানুষ ফিরে পাক সব
মহাবিপর্যয়ে তাই ওঠে জনরব।

মানুষ ফিরে পাক সব আশা ভাষা
বাঁচুক গরীব,দুঃখী,পরিযায়ী,চাষা;
জগতের ধাত্রী আনো মুক্তি-আলো
বিপদ মুক্ত করো সবার হোক ভালো।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

১।শিরোনাম -প্রার্থনা

অনেকদিন
পর আজ
সান্ধ‍্য প্রার্থনায় বসলাম
প্রার্থনার জন্য মন্দিরে আসেনি
যাইনি আমি কোন ক‍্যাথলিক চার্চে
আসন পেতে বসেছি প্রার্থনায় নিজের কাছে।

বহুজনের ভিড়েও মানুষ কেমন করে বাঁচে
মানুষ কেন ছোটে লং মার্চে
নিজের কাছে কোনদিন জানিনি
তাই নিজেই এলাম
ফেলে কাজ
দূরবীন।

২। শিরোনাম-সেই ঘর

দেখি
সেই ঘর
যার খড়কুটো একদিন
সংগ্ৰহ হয়েছিল কাঁটাঝোপে বনে-বাদাড়ে
হাতের যাদুতে আজ হয়েছে বাসযোগ্য
খিদের আগুন নেভাতে এখানে জ্বলে তুলো ।

সেই আগুনে হাত সেঁকে শোকতাপ ভুলো
এদের ইমিউনিটিতে শহুরে মানুষ অযোগ্য
এঘর সন্তানকে থাকে আঁকড়ে
সভ‍্যদের জমা ঋণ
এদের বর
লিখি।




চাইল্ড !
~ রাজা দেবরায় (আগরতলা, ত্রিপুরা)

আমরা সবাই 'শিশু' ! না না পাগল হইনি । আসলে ইংরেজি শব্দ 'চাইল্ড' নিয়ে একটু দ্বিধায় পড়েছি । ছোটবেলায় পড়েছিলাম 'চাইল্ড'-এর বাংলা 'শিশু' । সেই অনুযায়ী আমরা সবাই 'শিশু' । কিন্তু আদৌ কি চাইল্ড মানে 'শিশু' ?

কারণ আমরা বলি বা বলতে পারি, "আই এম দ্য ওনলি চাইল্ড অব মাই পেরেন্টস" বা "আই এম দ্য ফার্স্ট (/সেকেন্ড/থার্ড...) চাইল্ড অব মাই পেরেন্টস" ।

সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় 'চাইল্ড'-এর সঠিক বাংলা 'শিশু' নয় । সঠিক বাংলা হবে 'সন্তান' । যাই হোক 'শিশু' যখন বলা হয় ধরে নিতে আপত্তি কী আমরাও 'শিশু' ! আর "দিল তো বচ্চা হে জি" !!









1 টি মন্তব্য:

  1. চমৎকার কিছু কবিতা পড়লাম পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় কবি বন্ধু

    উত্তরমুছুন