উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 17/11/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-17/11/2020 |
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 17/11/2020, মঙ্গলবার
সময় :- রাত 7 টা. 26 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
স্মরণিকা
অগ্নিমিত্র
আপনি আজ আর নেই । আপনি যুবা বা বৃদ্ধ, সবাইকে কাঁদিয়ে তিন ভুবনের পারে যাত্রা করেছেন । আপনার বর্ণময় জীবনের এভাবে যে সমাপ্তি ঘটবে, তা আমরা কেউই কখনো ভাবি নি ! ..আপনার সম্পূর্ণ জীবনটাই যেন একটা অভিযান ছিল। কলা- সংস্কৃতির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর আশীর্বাদ যেন ঝরে পড়েছিল আপনার ওপরে । ঘরে- বাইরে সমান জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন আপনি । সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা- প্রশাখায় ছিল আপনার অবাধ বিচরণ । সব থেকে বড় কথা, শিল্পকলার দুনিয়ায় আপনি কখনও প্রাক্তন হনই নি ।
অনেকদিন ধরেই তবে আমরা অশনি সংকেত পাচ্ছিলাম ।..ভাগ্যদেবতা শেষ পর্যন্ত আপনাকে টেনেই নিলেন নিজ আলয়ে । বেলাশেষে তবুও আপনি সবার হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন । প্রথম কদম ফুলের মতোই আপনি থাকবেন ছায়াছবি ও শিল্পের জগতে অবিস্মরণীয় হয়ে ।।..
যে ভাবে সুখী হওয়া যায়...
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
টাকা দিয়ে সুখ কিনতে পাওয়া যায় না বটে,
বাঁচতে গেলে টাকা লাগে,
আর সুখ?সে তো যাঁর যাঁর নিজস্ব বিষয়,
কার ভাগ্যে কতট সুখ ভোগ আছে?
সে কথা কে আর বুঝতে পারে?
তুমি আর আমি বলো কি—বা এমন?
সুখ পান, সে রকম ভাবে,
যাঁর মন যেমন!
লোভ,হিংসা,সব সময় হয় দুঃখের কারণ,
কঠিন রহস্যে ভরা আছে
এই ত্রিভুবন৷
সবার মধ্যে ঠিক তাঁর মতো আর একজন যে থাকে,
অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবে,নিরব থেকে,নিরালায় বসে, শুধু স্মরণ করো তাঁকে৷
পরমানন্দ
সুস্মিতা দে
জীবন আমার নৌকা
অনেক ঘুরেছি আমি ,
পৃথিবীর গভীর গভীরতর
অসুখ এখন কবি জীবনানন্দ
দাশ কবে বলে গেছেন
।কোলকাতা একদিন
কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে
তবুও তোমার কাছে আমার
হৃদয় ।।
কি জানি কি হল আমি নৌকা
অনেক ঘোরা তো হলো?
দাদা আমাকে নৌকা বানিয়ে দে।
পারবো না আমার অনেক কাজ।
আজ রবি কে চিঠি দিতে হবে।
সূর্য দেবে লিখে। দাদা আমার
মস্তো বড়ো উকিল বাড়িতে
কেবল চোটপাঠ। দে দাদা
নৌকা বানিয়ে একবার দে।
তোর সব কথা শুন বো
অনেক অনেক নাম লেখা
সুন্দর সুন্দর রুমাল বানিয়ে ।
উকিল দাদা র কোট পকেট
রুমাল থাকবে আর আঁকা
থাকবে সুতোর বুনুনে রচিত
লেখা তোর নামের সাথে একটি
গোলাপ সুতোর বুননে গাঁথা ।
নিয়ে আয় তোর কাগজ
বানিয়ে দি নৌকা খানি ।
ভাঁজ করতে পারিনা ।
ঠিক আছে, ধর তোর রুমাল ।
একটি নতূন খবর কানাকানি
চলছে কোন এক স্বদেশী
কে কোর্টে তুলবে আর রায়
ঘোষণা হবে । তাকে তুই চিনিস
দাদা সবাই তাকে চেনে কি
নাম বল তার, ক্ষুদিরাম বোস।
পেয়ে গেছি নৌকা
রুমাল বানিয়ে দিস।
দিয়ে আসি নৌকা টি কাকে দেবো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে আর
কিছু নৌকা পৌঁছাতে হবে
সূর্য দেবতার কাছে। নৌকা গেলো
মাসটার দা সূর্য সেনের কাছে।
তাই মৃত্যুর পড়ে হবেনা
হিসেবে কে আছে মুক্তিতে?
ওরা দুই বন্ধু
আব্দুল রাহাজ
দিনটা ছিল রোহিতের কাছে গ্রামের পাঠশালায় যাওয়ার দিন বাবার হাত ধরে গ্রামের মেঠো পথের ধার দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল মনির বলে একটি ছেলে তখন রোহিতের বাবা বলল তুমি কি গ্রামের পাঠশালায় পড়তে যাচ্ছো মনির হ্যাঁ যাচ্ছি তাহলে রোহিতের সঙ্গে করে নিয়ে যাও তোমরা আজ থেকে বন্ধু এই বলে রোহিতের বাবা চলে গেল ।ওরা দুজন দিব্বি গল্প করতে করতে স্কুলে চলে গেল বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেলো প্রথম দিনে।ওরা ছুটি শেষে চিত্রা নদীর পাড়ে গিয়ে একটা ছোট জায়গায় বসে চিত্রা নদী কে দেখছিল দূরের মাঝিদের গান শুনছিল মনির বাঃ কি সুন্দর রোহিত বললো হাওয়াটা কি সুন্দর না মনির বলল হ্যাঁ ।এইভাবে ওরা একে-অপরের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে শেষ করলো গ্রামের পাঠশালা এবার ওদের যেতে হবে শহরে পড়াশোনা করতে কিন্তু মনিরের কাছে কোন পয়সা নেই ওর বাবা-মা ও নেই কি কষ্ট দের এদিকে রোহিতের ঠিক হলো শহরের স্কুলে পড়াশোনা করবে ছোট বেলার খেলার সাথী মনিরকে ফেলে রেখে রোহিতের যেতে ইচ্ছে করছে না শহরে বাড়ি থেকে কড়া আদেশ রোহিত শহরের স্কুলে পড়াশোনা করবে কাকভোরে ঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল মনির এদিকে রোহিত চলে এলো শহরে পড়তে যাওয়ার জন্য দুই বন্ধু তাদের কান্নাবিজড়িত গলায় বলল আবার দেখা হবে ভালো থাকিস এইভাবে বিদায় নিল। তারপর দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েকটা বছর মনির গ্রামে চাষ করে ফসল ফলায় তা বেছে জীবিকা উপার্জন করে এরপর রোহিত গ্রামের বাড়িতে এলে মনির খুব আনন্দ পায় কিন্তু রোহিত তাকে চিনতে পারে না খুব দুঃখ কষ্টের মনির ওদের ছেলেবেলা স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে আজীবন আজীবন।
বাবা
হামিদুল ইসলাম
বাবা ছিলেন কৃতী চাষী
পরের জমিনে গতর দিতেন প্রতিদিন
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
একই ভাবে পেরিয়ে যেতো তাঁর
কখনো অতি শীতে কাশির প্রকোপ টা বেড়ে যেতো প্রায় ।।
একদিন রাতে হঠাৎ তাঁর তীব্র কাশি
জানি নে কখন ঘরের আড়কোঠায়
যমদূত এসে হাজির
বাবার কষ্ট দেখে যমদূত বলছে, আমার সঙ্গে চল
তোর কাশি থামিয়ে দেবো আমি ।।
বাবা রাজি
যমদূত বাবাকে নিয়ে গেছে যমালয়ে
সব মায়া মমতা ত্যাগ করে
বাবা আজ নিখোঁজ
আমরা হঠাৎ অনাথ হয়ে গেলাম ।।
এখন বাবাকে খুঁজি প্রতিদিন
দিদি কাঁদে
মা কাঁদে
আমি একা
বাবা হতে পারলাম না এখনো ।।
হঠাৎ দেখা
জুয়েল রুহানী
দু'দিনের পরিচয়ে
দু'চোখে স্বপ্ন আঁকা
মায়াবী সুখের টানে
হৃদয়ে গল্প মাখা।
সুখের সীমানা ছেড়ে
মায়াবী রাণীর দেখা,
হৃদয় জগতে যেন-
গল্প-কবিতা লেখা।
জীবনের প্রয়োজনে-
পেলাম তাঁহারও দেখা,
যাঁহারও ললাট মাঝে
স্বর্গীয় রুপও রেখা।
Field of Winter in Bengal
By Sabir Ahmed
The field— verily vast,
Bathed with foggy dews !
The growing crops are green and golden
Tinged with yellow, fading light of the setting sun
Trembling lips of mustard flowers kiss the horizon
Over long distance amid field—
A streamless runlet in winter closes her eyes
And falls in extreme cold
Girls of village and the brides go to bathe,
To fetch water with a pitcher with the narrow path
Tribes come in groups to pick water spinach
Plenty of peas hugs the smile of wheat plants,
The basket of fruits,vegetables and spices
Are mine of productivity of winter from field
Builds the nest of serenity for visitors and farmers….
খুব সুন্দর আয়োজন । খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন