উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 11/11/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-11/11/2020, বুধবার
সময় :- রাত 6 টা. 57 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
জ্বালিয়ে প্রদীপ
বিপ্লব গোস্বামী
জ্বালিয়ে দ্বারে প্রদীপ শিখা
ছড়িয়ে দিলাম আলো,
নাশিতে ধরার অশুভ শক্তি
ঘোচাতে আঁধার কালো।
দিগন্ত পানে তাকিয়ে আছি
নূতন কিছুর আশে,
আতঙ্ক-ত্রাস নিপাত যাক
শান্তি আসুক শেষে।
ভোর ৯
উমর ফারুক
পথের ওপরে ওদের কুন্ডলি পাকানো ছক।
কিছু শকুন অন্বেষণ করে পাখি।
মৃত বুকে গাঁথা ছুরি চালিয়ে যাচ্ছে কেউ
পাঁজরের হাড় কেপে উঠলো
কেউ কেউ তাকে চিনতে পারলনা।
সবুজ লন্ঠন লাল রঙের ঊষা পতিত
মাটিতে পাহাড়ের গান শোনা যাচ্ছে।
সবুজ তৃণমূলের উপত্যকায় সিক্ত উদ্বিগ্ন ইচ্ছা
ভোরের কুয়াশা কেটে কেটে লাল আলোর পৃথিবী । নিশ্চিহ্ন শরীরের টিলা থেকে
প্রবাহ ধারায় বাড়ছে রক্ত নদী।
অভিশাপ দাগ
রঞ্জনা রায়
বারুদ অক্ষরে লিখছি একটি চিঠি
ভরা বসন্তে খরায় জ্বলছে ফসল ফলানো মাঠ।
মাঠের শরীরে নখরের কালশিটে,
পলাশের বুকে প্রতিবাদ।
প্রবল বিষে ঘাসের শরীরে সবুজের রং নেভে।
মাটি আজ কাঁদে, ভাবে
আর কত লাঙলের অভিশাপ দাগ
শরীরে থাকবে জেগে?
শক্তি হীন শের
মোঃআলিউল হক
রাজা তুমি এত ভালো
হরেক রকম বুদ্ধি
তবু ওরা বলছে কেন
চাই আরও শুদ্ধি।
বিশ্ব জুড়ে শিষ্য এত
তবু কৈ পারলে
শেষে তবে প্রমাণ হলো
ভুলের জন্য হারলে।
সকল অহং চূর্ণ হলো
মাটির তুমি শের
বিশ্ব ত্রাস থমকে গেল
রণং দেহী ঢের।
জন গণে বোকা বানিয়ে
ক'দিন বাঁচা যায়
সময় হলে সব চাতুরী
প্রকাশ পেয়ে যায়।
শ্বেত গৃহের মায়া ছেড়ে
চলে এসো পথে
ভালো মানুষ হ'য়ে বসত
করো সবার সাথে।
পান্ডা গোন্ডা পেয়ে অনেক
লোক বেজায় হিরো
সময় শেষে হেঁচে কেশে
এক্কেবারে জিরো।
রংবেরঙের প্রজাপতির খেলা
আব্দুল রাহাজ
ওই দেখি বাগানে কতশত প্রজাপতি নানা রং এর ওদের মেলা
একবার আকাশে উড়ে যায় একবার নিচে নামে ফুলবাগানের ঘাসের মধ্য দিয়ে ওরা সারিবদ্ধ ভাবে মেলে থাকে। ওরা যেন স্বাধীন স্বতঃস্ফূর্ত ওদের কেউ বাধা দেওয়ার কেউ নেই ওরা প্রজাপতি আপন-মনে খেলে বেড়ায় ওই ফুল বাগানে।
তাই দেখে ভালো লাগে মানুষের ভাবে মনে ওরা আমরাও যদি এরকম রংবেরঙের খেলা দেখাতাম মিলেমিশে থাকতাম তাহলে বর্তমানে আর হিংসা দাঙ্গা বৈষম্য আর থাকতো না প্রজাপতি ওরা খেলার মধ্য দিয়ে ওরা যেন আনন্দ তৃপ্তি পায়। আর মানুষ অনুভব করে অন্য মাত্রায়।
যুদ্ধ
হামিদুল ইসলাম
রাতের আলোয় এখন যানজট
প্রাত্যহিক জীবন
ভাঙে আসুরিক খেলা
মল্লযুদ্ধের জন্যে তৈরি হই
প্রতিদিন শানাই পুরোনো কাস্তের মুখ ।।
ইতিহাস বদলে গেছে
সময় বড়ো কঠিন
এসো ভাই এসো বন্ধু এসো পান্থজন
সামনে বেজে উঠেছে যুদ্ধের কাড় নাকাড়া
সমস্ত রাজপথ রাখো আজ নিজেদের দখলে ।।
নিজের রক্তে নিজেকে চেনো
জিগ্যেস করো তুমি কে
তুমি আজ নিত্যপথের যাত্রী
আজ লড়াই
লড়াই আজ অর্জিত অধিকার ফিরিয়ে আনার ।।
তুমি আমি আজ একা নই
আমাদের সাথে হাজারো মানুষ
যুদ্ধের ময়দানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখন
যুদ্ধ আমাদের রক্ত মজ্জায়
যুদ্ধকে নিয়ে তাই প্রতিদিন বেঁচে থাকতে চাই ।।
প্রভূ দয়াময়
জুয়েল রুহানী
বটের ছাঁয়ায় প্রাণ জুড়ে যায়
ক্লান্ত দুপুর বেলা,
মহান প্রভূর নাজ-নেয়ামত -
পাই যে সারা বেলা!
কৃষক যখন ভর দুপুরে
ব্যাস্ত নানান কাজে,
বটের ছাঁয়া হাতছানি দেয়-
স্বপ্ন রঙ্গের সাজে!
সৃষ্টি তোমার নিপূণ প্রভূ
দৃষ্টি যেথা রাখি,
বটের ছাঁয়ায় হৃদয় ভরে-
রূপে ভরে আঁখি!
প্রশ্ন করতে পারি?
অনিন্দ্য পাল
খাসির রক্ত মেঝে ঘষটে দোকানের চৌকাঠে
ক্ষুধার্ত লাইনের রেটিনায় আঁকা হয়ে যায় স্বাদ
প্রশ্নটা ছিল --
ছাগলের শেষ ইচ্ছাটা কী?
কতটা তৈরী ছিল কষাই-এর ছুরির জন্য?
উত্তর কেউ দেয়নি এযাবৎ।
দেবে না।
এভাবে মৃত্যু হলে জুটে যায় নাম, "প্রোটিন "
আদর করে সেঁটে দেয় "প্রাইস ট্যাগ "
তারপর আর খোঁজ মেলে না সেই সব মহত্ত্বের
লোম আর পালক ফুটে থাকে পুরসভার বাগানে...
প্রশ্ন করি যদি --
"প্রোটিন" আর মানুষের ঈশ্বর কি এক নয়?
উত্তর দেয়নি কেউ এযাবৎ।
দেবেও না।
কষাই এর গোল কাঠের পাশে অপেক্ষায় থাকে
গোলগাল গলা, সিনা, রান আরো কত অরগ্যান
যদি প্রশ্ন করি --
ওদের মরণ কি লেখা ছিলো চিরকাল
মানুষের জিভে?
ওরা কি কেউ নয় এ পৃথিবীর?
কেন ওদের জন্ম হয় শুধু মরার জন্য?
উত্তর দেবে কে?
কার ঘাড়ে আছে মাথা কত, বলতে পারে চোখ বুজে
"আসলে আমরা সবাই ওই কষাই-এর চপারের মত! "
ওরা বিক্রি হয়।
সত্যিই কি ওরা বিক্রি হয়?
জীবন কি কেনা যায় ধাতু বা কাগজের বিনিময়ে?
না কি -- আমরাই রোজ বিক্রি হয়ে যাই ওই সব
নাচার, সুস্বাদু ঐশ্বরিক দয়ার কাছে!
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
স্মৃতি
স্মৃতির
পাহাড় জমে
চুলে ধরেছে পাক
মুখে জমছে অযুত বলিরেখা
অবসরে খুলে ফেলি অতীতের পাতা
ডুবে যাই ফেলে আসা রূপকথার রাজ্যে ।
ক্ষত বিক্ষত হচ্ছি যখন ভাজ্যে বিভাজ্যে
বৃষ্টির আনন্দ দেয় খোলা খাতা
মেঘ পিয়নের পাই দেখা
ঘোচে পথের বাঁক
যায় দমে
তিমির ।
(২)
দেখবো অন্ধকার
আলো
চাইনা আমি
অন্ধকার হোক ঠিকানা
আলোতে দেখি বৃত্তের সুখ
অন্ধকারে লুকিয়ে আছে হাজার মুখ
তাদের অবিরাম অভিযান চিরদিন আলোর দিকে।
অন্ধকারে মুখ গুঁজে তারা আছে টিকে
রক্তাক্ত পায়েই জেনো তাদের সুখ
ক্ষতচিহ্নেই চ ওড়া তাদের বুক
তাদের ও আছে নিশানা
তাদের পাগলামি
ভালো।
আমি মৃত্যুর গান গাই
স্বরাজ পরামানিক
আমি মৃত্যুর গান গাই!
ভেদাভেদহীন মৃত্যুর গান,
নিরপেক্ষ সদাই।
হ্যাঁ! আমি মৃত্যুর গান গাই!
শান্তির হাত ধরতে চাইলে
শক্তির বলি চাই।
আমি মৃত্যুর গান গাই!
ভেদাভেদ ভুলে যেথায় মোরা
এক হয়ে ভেসে যাই।
হ্যাঁ! আমি মৃত্যুকে পেতে চাই!
মৃত্যুই হবে মোর প্রিয় সখা!
আঁকড়ে ধরতে চাই।
সবশেষে বলি মৃত্যু মহান!
মৃত্যুতেই মিলন!
জীবাত্মা হতে পরমাত্মার
জাগতিক জাগরণ।
প্রবন্ধ
প্রসঙ্গ: বয়স ও কার্যতৎপরতা
- অগ্নিমিত্র
কম বয়সে লোকে একটু চনমনে আর বেশি বয়সে একটু শ্লথ হয়ে যায় ঠিকই। তাই কোন কাজ তরুণেরা বেশি উৎসাহ নিয়ে সাধারণত করে ফেলে । তবে বয়স সব সময়ে আয়ু দিয়ে মাপা যায় না । মনের বয়সই অনেক সময়ে আসল কথা বলে । তাই দেখা যায়, অনেক সময়ে একটু বয়স্ক লোকেরা সব কাজ উৎসাহ নিয়ে ভালো ভাবে করে ফেলছে, কিন্তু যুবকেরা একেবারেই খেই হারিয়ে ফেলছে। নিজের মনকে তরুণ ও সতেজ রাখাই আসল কথা। তাহলে সবই সহজে হয়ে যায় । তাই হয়তো আগেকার বয়স্ক চিত্র পরিচালকেরা দু তিন মাসের মধ্যে দারুণ সব ছায়াছবি বানিয়ে ফেলতেন, আর এখন নবীন পরিচালকদের তা বানাতে বছরখানেক লাগে। আর ছবির মানের কথা আর নাই বা বললাম ।..বছরখানেক লাগিয়েও এখন যে সব ছবি হচ্ছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন ! ছায়াছবির সঙ্গীতের দুনিয়াতেও একই অবস্থা বলা চলে। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এমন হচ্ছে । ..নবীন লেখকেরা অনেক সময়ে অনেক সময় নিয়ে ফেলছেন কিছু লিখতে, আর সেটা আশানুরূপ হচ্ছেও না। অন্যদিকে বর্ষীয়ান লেখকেরা অনেকেই অল্প সময়েই দারুণ সব লেখা লিখে দিচ্ছেন । আসলে এই তিনটে ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতাও একটি বড় নির্ণায়ক ব্যাপার বলে আমার মনে হয় । সুতরাং বয়স যদি মনে দাগ কাটতে না পারে, তবে সব কাজই অনায়াসে হতে পারে ।।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
0 comments: