শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 20/11/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 20/11/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 20/11/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 9 টা. 10 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

          সূর্যোদয়
        পিনাকী মুখার্জী
   
          কোথাও রাত কোথাও দিন
            কোথাও  ঢোকেনি আলো  !!
           কোথাও  নিশীথ  বক্ষ হতেই
             তোমার  অমল  আলো !!

             ঐ  হাতে  হাত   ধরে
               যেথা  যত  কালো !!
           একা  তুমি  তারই মাঝে ,
             জ্বালো  ভরসার  আলো !!

           কোথায় শনি কোথা মঙ্গল
               জীবন   জন্ম - ক্ষণে  !!
           জন্মের  আঁধার  কর্মে  ঘোঁচালে ,
                   নিজে  নিজের  দহনে !!

           ছিটকে  গিয়েও  তোমায়  ঘিরেই ,
                প্রাণের  অঙ্কুর   উদ্গম  !!
            আকাশ থেকে ঝরছে জীবন ,
                তোমার  স্নেহের  ওম  !!



বিভাগ-অনুকবিতা
   শংকর হালদার

হাসতে হাসতে চলে যাও
নয়নে দিয়ে যাও ফাঁকি ,
কেবলই হৃদয়ে রয়েছ ভেবে
তোমারই নাম ধরে ডাকি ।


অনু কবিতা
    অনাদি মুখার্জী

মনুষ্যত্ব সব নিয়েছে বিদায়,
ইঁদুর দৌড়ের  মাঝে !
গোছাতে আখের খুনী লুটেরাও,
  সাধু  সন্ত সব সাজে !



খুকুর ভাবনা
       গণেশ দেবরায়
      

মনে হয় সারাদিন শুধুই খেলা করি
মাঠে ঘাটে নদীর চরে শুধুই ঘুরাঘুরি ।

কখনো বা ছুটাছুটি আর দাপাদাপি
কখনো বা হাডুডু শুধুই লাফালাফি।

কখনো বা ব্যাটবল কখনো ফুটবল
কখনো বা সাঁতার আর শুধু জলছল।

খেলাধূলা নিয়ে যদি হতো সারা জীবন
কি মজা হতো তবে জীবনের ধরন।





পাহড়ের রূপ
     জুয়েল রুহানী

সবুজ চাঁদরে ঢাকা
পাহাড়ের গাঁ,
মায়াময়ী রূপে তার-
স্বপ্ন আঁকা!

পাহাড়ের কোলে খেলে
ঝড়না ধারা,
মায়বী রূপের মোহে-
আপনহারা!

চক্ষু মেলিয়া দেখি
পাহাড়ের রূপ,
সবুজের সমারোহ-
আছে নিশ্চুপ!



মহৎ মানুষ কারা
         নরেন্দ্র নাথ নস্কর

খুব কঠিন প্রশ্ন।
ভালো হওয়া, আর মহৎ হওয়া মনে হয় পুরোপুরি এক নয়।
চেষ্টা করলে অনেকটা   ভালো হওয়া যায়।

কিন্তু মহৎ হতে গেলে সম্ভবত  সাধনার বা বলা ভালো  অনুশীলনের প্রয়োজন হয়।

বহু গুণের অধিকারী হলে ও সাথে সত্যিকারের  মনুষ্যত্বের অধিকারী হলে তবেই মানুষ মহৎ হতে পারে।

এবারে ভালো মানুষের কিছু গুণের বর্ণনা দেওয়া যাক।

তারা সত হবেন জীবনে,

অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করবেন,

তারা মা বাবা কে প্রয়োজনের সময় দেখাশুনো করেন 

তারা নম্র স্বভাবের হবেন 

তারা অন্যের প্রতি সর্বদা সু ব্যবহার করবেন 

তারা নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্ট হবেন,

তারা সমাজের নিচুতলার বা দরিদ্র মানুষদের কথা ভাববেন ও সাধ্যমত সেবা করার চেষ্টা করবেন,

তারা বিশ্বস্ত হবে ও ধৈর্য্যবান হবে
ইত্যাদি ......।

এবার মহৎ ব্যক্তিদের কিছু গুণের বর্ণনা দেওয়া যাক।
ভালো মানুষদের সমস্ত গুন অবশ্যই মহৎ মানুষদের থাকতে হবে।
এছাড়াও আরো কিছু উচ্চ গুন মহৎ হতে গেলে ভালো মানুষদের  থাকা দরকার বলে মনে হয়।
যদিও এটা কিছুটা বিতর্কের বিষয়।

তবুও মহৎ মানুষদের মনের ব্যাপ্তি  সাধারণত অনেক বেশি অনেক সার্বজনীন হয়।
এছাড়া মহৎ মানুষেরা নিজেকে বেশি ত্যাগী ও উৎসর্গকৃত হন। 
তারা নিজের থেকে অন্যের শুভ বা মঙ্গল চিন্তায় ও সেই কাজে বেশি মনোনিবেশ করেন ও এগিয়ে যান।

যেমন বিদ্যাসাগর মহাশয় একজন মহৎ ব্যক্তি।
তার দুটো মহৎ কাজের উদাহরণ দেওয়া যাক যেগুলো শুধু ভালো মানুষদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে।

তিনি মধুসুদনকে বিদেশে বিপদ থেকে বাঁচাবার জন্য নিজের টাকা না থাকা সত্ত্বেও অন্যের থেকে ধার করে মদুসূদনকে দিয়েছিলেন ও  তার বিপদ থেকে রক্ষা  করেছিলেন।
অনেকেই জানেন মধুসূদন খুব অমিতব্যায়ী ছিলেন ও অবাধ্য ততকালীন সমাজের চোখে  বেশি বিশৃঙ্খল ও স্বেচ্ছাচারি ছিলেন।
এই রকম একজন সমাজ্চ্যুৎ মানুষকে সাহায্যের হাত সেই সময় কেউ বাড়িয়ে দেয় নি।
কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় তার দূরদৃষ্টিতে দেখেছিলেন শুধু টাকার অভাবে একজন প্রতিভাধর মানুষ শাস্তি ভোগ করবে? সেইজন্য তিনি নিজে থেকে কাউকে পরোয়া না করে ধার করেও টাকা পাঠিয়ে মধুসূদন কে শাস্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। পরে মধুসূদন তার একটা বিখ্যাত কবিতায় বিদ্যাসাগরের ঋণ স্বীকার করেছিলেন।
" বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে,
করুণার সিন্ধু তুমি সেই জানে মনে,
দীন যে দীনের বন্ধু"।
এই দান মহৎ মানুষের পক্ষেই সম্ভব।

তত্কালীন সমাজে শুধু বিধবাদের বাঁচাবার জন্য, প্রায় একাই সমাজের নিষ্ঠুর নিয়ম ভাঙ্গতে  সমাজপতিদের বিরুদ্ধে  লড়াই করে ও শাসকদের বুঝিয়ে বিধবা বিবাহ  আইন পাশ করিয়েছিলেন।

শুধু তাই নয়, এই আইন সমাজে প্রয়োগ করতেও তাকে অনেক লড়তে হয়েছিল।
এগুলো মহৎ মানুষদের পক্ষেই সম্ভব।

এগুলো শুধু ভালো মানুষদের পক্ষে বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না।
মহৎ মানুষেরা নিজের সুখের থেকে সমগ্র নরনারীর সুখ নিয়ে বেশি চিন্তা করেন ও নিজেকে উত্সর্গ করে থাকেন।

মহৎ মানুষদের মনের পরিধি অনেক দুর অবধি বিসৃত হয়।

মহৎ মানুষেরা সমাজ তথা পৃথিবীতে একটা দৃষ্টান্ত রেখে যান, একটা পদচিহ্ন রেখে যান।

সুতরাং বলা যায় যে অনেক ভালো মানুষদের মধ্যে সামান্য কিছু মানুষ মহৎ হয়ে ওঠেন, তাদের অসামান্য মহৎ মানসিকতা ও কাজের জন্য।

এরা পৃথিবীর প্রণম্য মানুষ ও চিরস্মরণীয়।





আমরা যদি চাই......
        চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

আমরা যদি চাই এই ভুবনে অনেক কিছু করতে পারি,
ভালোবেসে স্বর্গ সৃষ্টি করা যায় তো বটেই,
সামান্য কথায় ভুল না বুঝে,কেউ না দিলেই হলো আড়ি!
অনেকে বিয়েবাড়ী গিয়ে মাতলামী করে,
মাছ বাজারে রাজনীতি,
এঁরা নিজেরা জানে না,
শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠে,করতে পারে কত ক্ষতি!

ট্রেনের কামরায়,বাসে ও পার্কে,অশোভন আচরন?
কেন করা হবে খিস্তিখেউর?তাহলে কার ভালো থাকে মন?
নমস্কার দাদা,কেমন আছেন?কুশল বিনিময়,
মানুষদের জন্য এই সব শোভা পায়,
আমরা তাই ভালো ব্যবহার দিয়ে করতেই পারি মানুষের মন জয়!

কার ব্লাউজ কত ছোটো?এই দিকে অনেকের আগে যায় চোখ,
সমালোচনার তুফান ওঠে,
অবশেষে পারলে একহাত জমির জন্য মারামারি করে মরে লোক৷

স্বার্থমগ্ন পৃথিবীতে হানাহানি থামানো যেতে পারে,
মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান বিরাজ করুক সবখানে৷
মহান সৃষ্টি কর্তাকে বন্দনা করা,সেটাও
খারাপ কিছু নয়,
সবার মঙ্গল হোক,দিকে দিকে মানুষের হোক জয়৷



আলোক দিশারী..
       শুভ্রাংশু কুম্ভকার

গোধূলিবেলার আলোয় যখন
আকাশ ভরেছে লালে,
ধূমকেতু সম হে বিশাল তুমি
আচমকা দেখা দিলে।

তিমিরবিদারী আলোক প্রভায়
মুছায় আঁধার ঘোর,
বুকের কোনেতে জমা স্বপ্নেরা
পায় আলোকিত ভোর।

তারাদের ভিড়ে অবদমিতেরা
কাঁদছে মনের দুখে,
নীরব অশ্রু হৃদি নদী বেয়ে
পড়েছে সাগর শোকে।

বজ্র কঠিন সম বাস্তব
খসে পড়ে কিছুজন,
বাকিদের বলি, ধৈর্য্য ধরো
ইস্পাত করো মন।

আলোক দিশারী সবারেই দেখে,
কারো সময় কাছে বা দূরে,
আশা খড়ে ঢাকা কর্ম দেয়ালে
সাফল্য ঘর গড়ে।



ঈশানবাংলার কৃষাণ
            বিপ্লব গোস্বামী

ঈশানবাংলার কৃষাণ মোরা
মাঠে ফলাই ধান ;
কৃষাণ বলেই ভাগ‍্যে জোটে
সদা শত অপমান !
ভোর না হতে কাস্তে হাতে
আমারা মাঠে যাই ;
দিন রাত মাঠে খেটে
মুখের গ্ৰাস যোগাই।
সবার মুখে অন্ন দিতে
আমরা ঝরাই ঘাম ;
ভদ্র লোকের সভ‍্য যুগে
নেই তো তবু দাম !
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
আমরা যোগাই গ্ৰাস;
মানুষ বলে অধিকার দিতে
সবে করে উপহাস।
মোদের নামে সরকার দেয়
লক্ষ টাকার ঋণ ;
মুখোশধারী ঋণ ভোগীধার
আমরা থাকি দীন !
কেসিসি লোভে ধনীর দুলাল
মুখোশধারী চাষী ;
কৃষাণ নন্দনের মিথ‍্যা ক্রন্দন
দুঃখের বারোমাসি।



She - they
     Anjali Denandee, Mom

She is a barefoot lady.
She is ever ready.
She walks walks and walks
On the beach.
It is near of her shelter.
She has a pet dog and a bitch.
Every year, they give her
Many many puppies.
She has many pet ducks.
They give her
So many eggs.
She knits and sales sweaters.
So many people come on the beach.
They purchase her sweaters.
She sales puppies.
She sales eggs.
So many people beg.
But she never begs.
Once upon a time, at past,
She was a very poor woman.
Then she had no money,
Yet she couldn't beg.
Then she became too funny.
Then, she realized that, money,
Yes, it......must...Must....Must......
So, she decided to earn money.
And now, yes, she can.
Now, yes, she is rich.
Her footprints are deleted by waves, always.
But her walking is never stopped on her ways.
Just like the waves of the ocean.
All are coming again and again..…..
Waves are, were,  now and then.....
And "She"......"They"....Are, were now and then......





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

১ ।এখনো বেঁচে আছে

এখনো
বেঁচে আছে
গাঁয়ের ইতু পরব
ভাদু, টুসু , মাঠের পৌষল‍্যা
মনসার ভাসান আর বোলান গান
দূর গাঁয়ে এখনো বসে রামযাত্রার আসর।

বেহুলার বিয়ে দিয়ে সাজানো হয় বাসর
রাখালের বাঁশিতে মেঠো সুরের তান
আছে বহুরূপীর ছল ছবিল‍্যা
দেখতে আমাদের গরব
এসো কাছে
কখনো।

২।.  একটা দিন

মন
বলছে অন্তত
একটা দিন আবার
সবার সঙ্গে দেখা হোক
খেলা হোক মনের দরজা জানালা
হেমন্তের বাতাস সোনা ঝরাক মনের উঠোনে।

রোদ লাগুক বন্ধ দুয়ারের কোণে কোণে
জমা কথারা নিশ্চিন্তে মেলুক ডালপালা
গল্প গিলুক মিঠে ঢোক
কুশল জানি সবার
হোক মুখরিত
উপবন।





সন্ধ্যে

উমর ফারুক


সবুজ ফসলের সামিয়ানা টানিয়ে

সুতীক্ষ্ম সংগীত,

উষ্ণ বিকেলের ছায়া রেখে যায়।

লাল আকাশের ঢেউ কেটে সূর্য

থাকেনা থাকা হয়না সন্ধ্যেই।

চাঁদনৌকোটা উঠল

শিশিরে শিশিরের শিহরণ।

নিম গাছ থেকে সন্ধ্যে ছায়া নামে। 

আহা! প্রেমের মতোই

বাতাসের তীর গা কাটা দেই 

বিকেলের আলো নিভে কার্তিক

এখন মুখ খুলে হামা দেয় !

ফসলে ফসলে সন্ধ্যার সাত রঙা

আকাশের ঘুম পাড়িয়ে তারাদের জাগালো!





               কান্না
             হামিদুল ইসলাম
                

তুলসী পত্র ভিজে যায়
ঘাম জল নুনে
রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ
জটিল আবর্তে পুড়ে খাক হয়ে যায় 
আপন বসতবাটি
নির্বিকার শ্মশান যাত্রী  ।।

পুড়ে যায় পৃথিবী
খাক হয়ে যায় পৃথিবীর মরুভূমি
মানুষ তবু পায়ে পায়ে হেঁটে পার হয় মহাসমুদ্র
হিসেব রাখে না দিন রাত্রির
নদীর জন‍্যে কখনো হাঁপায় বৈশাখী ঝড়  ।।

হেমন্তের মাঠে মাঠে কুয়াশা
আকাশ ভরা কাশফুল
বেদনায় দীর্ণ বুকের ফটক
পেরিয়ে যাই ঘাম জল নুন
হাতের কাছে পেয়ে যাই প্রাগৈতিহাসিক জীবন   ।।

বন্ধু তুমি !
মিষ্টি কলেবরে শান দাও কাস্তেয়
অঘ্রাণে ধানে ধানে পাকা সোনালী মাঠ
প্রতিটি রক্তের ফোঁটায় আনে বিস্ফোরণ
নবাবগঞ্জের হাট লোকে লোকারণ‍্য
বিনে পয়সায় বিক্রি হচ্ছে মানুষের কান্না  ।।






যাজক রমণী 
        বদরুদ্দোজা শেখু


অকস্মাৎ উদয় হলেন তিনি  আমাদের কাছে
শহরের সদর রাস্তায় একদা পড়ন্ত সাঁঝে আমরা যখন কিছু
কেনাকাটা করছি আপন মনে বাজারের ভ্রাম্যমান খাবার দোকানে ;
একরকম যেচেই
আলাপ জুড়লেন তিনি , কালো পরিচ্ছদ পরিহিতা বিদেশিনী
যাজক মহিলা, হিতৈষণা প্রচার করলেন সুকৌশলে খ্রীষ্টের
অমৃত বাণীর , আর পুস্তিকা দিলেন কিছু
বন্ধুদের ,  বিনিময়ে সাহায্য চাইলেন
মিশনারীর পক্ষথেকে শিশুকে ঈশ্বর জ্ঞানে শিশুর কল্যাণে ,
এমন-কি জনৈক বন্ধুকে কুন্ঠাহীন অনুরক্ত দেখে'
নাছোড়বান্দার মতো মুখ দিয়ে উচ্চারণ করালেন তাঁর
প্রভূর ভাষণ--- শব্দগুলো  কেটে কেটে দীক্ষার মণ্ত্রের মতো ,
মনেপ্রাণে অকাট্য বিশ্বাসে অনুশীলন করার ফতোয়া দিলেন ,
বন্ধুটির তাৎক্ষণিক স্বীকারোক্তি সব  তাঁর মুখাবয়বে
অনবদ্য এক তৃপ্তির শুচিশুভ্র হাসি হ'য়ে ছড়িয়ে পড়লো
অলৌকিক ব্যঞ্জনায় যেন তাঁর পোষাকের আপাদমস্তক
অন্ধকারে অকস্মাৎ স্ফূরিত জ্যোতিষ্ক দেখলাম । মহীয়সী
যাজক রমণী দানের মূদ্রা নিলেন , স্পষ্ট বললেন ---- ভিক্ষা নয় ,
যীশুকে ভালবাসার স্মরণিকা হিসেবে নিচ্ছেন সেটা , এবং
একটা দীর্ঘ ক্রশ বুকে এঁকে স্মিত মুখে বিদায় নিলেন । তাঁর
চ'লে-যাওয়া ঋজু সম্মুখ সহজ গতি দেখে মনে হলো দুনিয়ার
অফুরন্ত আকর্ষণ অতিক্রম ক'রে বিজয়িনী
সাক্ষাৎ দেবদূত স্বর্গে যাচ্ছেন  ।

1 টি মন্তব্য: