বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/12/2020


উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 02/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 02/12/2020, বুধবার
               সময় :- রাত 8 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

স্বার্থের  ভালোবাসা
      গলপ
   অনাদি মুখার্জি

শোভা বাজারে মেট্রো স্ট্রেশনের পর,শ‍্যাম বাজারে দিকে যেতেই ডানপাশে প্রথম যে সরু গলিটা পড়ে !সেই গলির ভেতরের প্রথম যে হলুদ রঙের বাড়িটা চোখে পড়ে ! এক সময়ে ঐ বাড়িটা খুব গমগম করতো ,এখোন কিন্তু চুপচাপ আর নিরবতা ,কেউ থাকে না শুধু মাত্র অনিক একা থাকে ! অনিকের বাবা ও মা ও তার তিন দাদা সাথে অনিক ও থাকতো এই বাড়িতে ! হঠাৎ একদিন অনিকের বাবা ও মা যায় ,তার কিছু দিন পর ওর দাদারা এই বাড়ি ছেড়ে সবাই পুরুলিয়া চলে যায় ! তখন থেকে অনিক এই বাড়িতে একাই থাকে ! অনিক কলিকাতা শহর কে খুব ভালো বাসে ,কিন্তু আজ তার কাছে সমস্ত ভালোবাসা বৃথা !
সেও দশটা মানুষের মতোন কাজ করতো সবাই কে হেল্প করতো ,বাড়িতে বনধু দের এনে রোজ পার্টি দিত !
তাদের মধ্যেই প্রিয়া বলে একটা মেয়ে ছিল ,অনিক তাকে খুব বিশ্বাস ও ভালোবাসতো ! কিন্তু প্রিয়া তাকে এমন করবে তা কোনদিন স্বপ্নে ও ভাবেনি অনিক !
এই  প্রিয়া সাথে তার প্রথম দেখা হয় তার বনধুর বিয়ে বাড়িতে ,প্রথম দেখাতে সেই প্রিয়া কে ভালোবেসে ফেলে !
খুব সুন্দর দেখতে টুকটুকে ফোর্সা গায়ের রঙ,লালচে আভা গাল ,চোখ দুটো টানাটানা আর মাথার চুল একেবারে কোমর পর্যন্ত ! হলকা মেরুন রঙে সালোয়ার কামিজ পরে দারুণ লাগছে ! সেইদিন বিয়ে বাড়ির রাতে অনিক খাবার টেবিলে বসে আছে খাবারের জন্য , পাশের চেয়ার টা ফাঁকা পড়ে আছে ,সেই সময় সেই খানে প্রিয়াও হাজির , সেই ঐ চেয়ার টা ফাঁকা দেখে বললো অনিক কে , এই যে মশাই আপনার পাশে কেউ আছে নাকি ? অনিক থতমত খেয়ে বুঝতে পেরে বললো ,আরে বসে পড়ুন ম্যাডাম ! প্রিয়া একটু হালকা হাসি দিয়ে বললো ওকে গুডবয় ! খেতে খেতে সেই সময় অনিক প্রিয়ার সাথে গলপ করে ,সেই গলপেই মাধ্যমে অনিক জানলো প্রিয়া থাকে শ‍্যামবাজারে মোড়ে ,সেই সবে কলেজের পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে বসে থাকে ,তার পরিবারের তার মা ছাড়া আর কেউ নেই !
অনিক একটা সামান্য কোম্পানি তে চাকুরী করে !
শত কাজের মধ্যেই দিয়ে অনিক সময় বের করে তার বনধু প্রিয়ার জন্যই ,মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে চলে ফুচকা খেতে কখনো বা বিরিয়ানি খেতে ,এই ভাবে ধিরে ধিরে তাদের ভালোবাসা গড়ে উঠে ! অনিকের সব বনধুরা মজা করে বলে  ভালো তোদের মানিক জুটি ! দেখতে দেখতে  প্ৰিয়ার জন্মদিন এলো ,সেই জন্মদিনের অনিক নিজের খরচে একটা তার বাড়িতে পার্টি দিল ,কত আনন্দ করলো সব বনধু রা মিলে ! সেই পার্টি তে অনিক প্রিয়া কে এক জোড়া সোনার কানের দুল উপহার দিলো ! সেই উপহার পেয়ে  প্রিয়া অবাক হয় বলে অনিক তুমি আমার জন্মদিনের কি দিলে সত্যিই তোমার তুলনা হয় না ! মাঝে মাঝে অনিক প্রিয়া দের বাড়িতে ও যেতে লাগলো সেই খানে ঘন্টার পর ঘন্টা গলপ করে  প্রিয়ার সাথে আবার কখনো  প্রিয়াকে নিয়ে তাদের তরকারি বাজার এনে দেয় ! অনিক ভাবে সেই একজন  প্রিয়ার বাড়ির লোক বলে মনে ভাবতে লাগলো ! তাই প্রিয়া সব খরচ দিত অনিক ,প্রিয়া অনিক কে বলতো তুমি আমার ব্যাংক  যখন ইচছা হবে নেব টাকা ! এই ভাবে দিনের পর দিন অনিক ভালোবেসে গেছে  প্রিয়া কে !
অনিক ভাবলো প্রিয়া ও তাকে খুব ভালোবাসে তাই একদিন প্রিয়া কে অনিক বললো এই শোনো এইবার আমাদের বিয়ে কথা টা তোমার মা কে বলো ! সেই কথা শোনার পর  প্রিয়া চমকে উঠে বললো মানে তুমি কি চাও ? অনিক বললো আমি যে তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমার জন্যই আমি জীবন ও দিতে পারি ,শুনে প্রিয়া বললো এত সাহস তোমার আমি তোমাকে বিশ্বাস করে আমার বাড়িতে এনেছি ,খাবার দিয়েছি ,বিছানায় বসতে দিয়েছি তা বলে তোমাকে বিয়ে করতে হবে ! এই শোনো আমার জন্য আমার মা একটা ভালো ছেলে কে দেখেছে, আমি ও তাকে বিয়ে করবো সেই তোমার থেকে অনেক ভালো ছেলে বুঝতে পারলে !
এই কথা শোনার পর অনিক বললো তুমি মজা করছো কেনো ? আমি যে তোমাকে খুব ভালো বাসি তা বোঝো না ,প্রিয়া তখন জবাব দিল যদি আমাকে পাবার জন্যই তুমি ভালোবেসে থাকো আমাকে তা হলে তুমি খুব ভুল করেছো ! আমি তোমাকে চাই না তোমার জীবনের এসে আমি কি সুখি হতে পারবো না ! তুমি বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে আর আমার সাথে কোনোদিন কথা বলবে না ! এই কথা শোনার পর অনিকের চোখের জল গড়িয়ে এসেছিল ,বুকে একরাশ বেদনা নিয়ে বাড়ি এলো ! রাতে আবার ফোন করলো  প্রিয়া কে কিন্তু প্রিয়া বললো দেখো অনিক আমি তোমাকে বন্ধু হিসাবে দেখতাম ,জীবনের সাথি হিসাবে নয় ,তুমি আমাকে ভুলে যাও ! সেই থেকে অনিক আর নিজেকে ঠিক থাকতে পারলো না ,ভালো বাসা খুব স্বার্থপর ,আর সেই কাউকে ভালো বাসবে না আর বিশ্বাস ও করবে না এই ভেবে দিনের পর দিন ঐ বাড়িতে বসে বসে ভাবতে লাগলো ! সেই ঠিক করলো তার জীবন সেই শেষ করে দেবে তাই আছ এই নিশুতি রাতে সেই ঐ বিষ ভর্তি এক  গ্লাস জল নিয়ে খেয়ে ফেললো ! এই ভাবে অনিকের জীবন সেই নিজে শেষ করে দিল ! সত্যিই ভালোবাসা জিনিস টা খুব সুন্দর এর অনুভূতি কিন্তু এই ভালোবাসা এক ভয়ংকর জিনিস ! সবাই তো ভালোবাসা করতে পারে কিন্তু তার মূল্য কয়জন দেয় !





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা

১। শিরোনাম-চাষীর আর্তনাদ

গনগনে
রোদ্দুরে পুড়ে
বৃষ্টির জলে ভিজে
আমরা সারাবছর ফসল ফলাই
দেশবাসীর মুখে আমরাই অন্ন যোগাই
সভ‍্য সমাজে তবু আমাদের ঠাঁই নাই।

নবান্ন শেষে আমাদের ঘরে খাবার নাই
ফড়েরা ফুলে ওঠে আমরা কঁকাই
আমাদের আন্দোলনে সমর্থক নাই
আত্মহত্যায় সরছি নিজে
সংসার ভবঘুরে
ঠনঠনে।

২। শিরোনাম- অন্নদাতা

অন্নদাতা
মায়ের দল
তোমাদের জানাই কুর্নিশ
পুরুষের সাথে কোমর বেঁধে
আজ তোমরাও বসেছো দিল্লীর রাজপথ
বুঝে নিতে রাষ্ট্রের কাছে নিজের হক।

লড়াইয়ের ময়দানে ধ্বংস হবে রাষ্ট্রের        ছক
ফসল ফলেনা কখনো মনকি বাতে
ঘরদুয়ার ছেড়ে কাঁধ কাঁধে
লড়াই চলছে অহর্নিশ
অন্নদাতার ঢল
পরিত্রাতা।



          তোমার জন‍্য
                       বিপ্লব গোস্বামী

                  তুমি আছো অন্তরেতে
                  আছো হৃদয়জুড়ে।
                 আছো স্বপ্নে,জাগরণে
                  ভাবি দিন,দুপুরে।

                 তুমি আমার প্রথম প্রেম
                 তুমিই প্রেমের গুরু,
                তুমি আমার জীবন সাথী
                 তোমাতেই শেষ -শুরু।

               তোমার প্রেমে অন্ধ আমি
                  বুঝি না ভালো মন্দ,
                পদ‍্য লিখতে করি ভুল
                  হারিয়ে ফেলি ছন্দ।

              লোকে আমায় মন্দ বলে
                  তাতে দেই না কান,
             তোমার জন‍্য সইতে রাজি
                  হোক না অপমান।






                 বিবর্তন
            হামিদুল ইসলাম
               

পথের মাঝে পথ
পথ থেকে হেঁটে যাই বিপথে
ক‍্যাকটাসে ভরা জীবন
রক্তাক্ত
প্রতিদিন শুকিয়ে ওঠে মনের বিশ্বাস  ।।

হেরে যাই
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে
নদীর ধারায় থমকে যায় জীবন
খরা প্রতিদিন
অন্ধকার জীবন ধুয়ে দেয় ভবিষ্যৎ  ।।

রাত্রি অগাধ
হাঁপিয়ে উঠি
বিছানায় তুমি নেই
চারদিকে খুঁজি তোমায়
তুমি চৌকাঠে বসে থাকো মৃত‍্যুহীন প্রাণ  ।।

সাধের ইষ্টদেব
প্রতিদিন জীবন্মৃত‍্যু দেখি চৌকাঠের মাঝে
পৃথিবীতে মৃত‍্যু মিছিল
তবু মহাসমুদ্র দিই পাড়ি
ভুলে যাই ইতিহাসের নিরন্তর বিবর্তন  ।।




জীবনের_রঙ্গমঞ্চ
     শান্তি_দাস

জন্মিলেই মরিতে হবে এই ভুবনে,
জন্ম সবার, হয় না একরকম  জীবনে।
সুখ, দুঃখ নিয়েই গড়া সবার সংসার মাঝে,
সে তো ঈশ্বর প্রদত্ত সৃষ্টির নিয়ম নিত্য দিনের সাজে।

শূন্য হতেই শুরু হয়,শূন্যেই হবে শেষ,
মাঝে রয়ে যাবে ভালো মন্দের রেশ।
বাঁচার লড়াই,চলছে সবার অহরহ ঝরছে ঘাম,
এই দুনিয়ায় আমার আমার করছে সবাই অবিরাম।

জীবনের এই কয়দিন মায়ার খেলায়,
কেউ হেরে যায়,কেউ কোন দিকে জিতে যায়।
তবুও চলছে এই জীবনে সবার বড়াই,
এই নিয়েই মেতে থাকি জীবনের রঙ্গেমঞ্চের খেলায়।





কবিদের  মন  কেমন  হয়?
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

আমার  খুব  জানতে  ইচ্ছে  করে,
কবিদের  মন  কেমন  হয়?
সব  কবি  কি বন্দী  থাকতে  পারে  ঘরে?
অনেক  কবির  চিন্তা  পরের  জন্য,
কখনো নিজে  বেদনায় 
ছটপট  করে!

লেখক,কবি,রিপোর্টার পরের  মঙ্গল  ভাবনায় যায়  দিন,
শুনেছি  অনেক কবিদের  রাত  কাটে  নিদ্রাবিহীন!




একটু উষ্ণতা
সমীরণ বেরা

উদ্বেলিত সমুদ্রের বালুকা বেলায়
রহস্য ঘন মৃত্যুর হাতছানি
একদিন অপ্রত্যাশিত অথচ চির আকাঙ্ক্ষিত
সেই তুমি লক্ষ কোটি চাওয়া তুমি এলে আমার ঘরে
সেদিনের আদিমতাটুকু বাদ থাক
শুধু মধুময় স্মৃতি জেগে থাক দুটো হৃদয় মাঝে।

এখন আর মুঠো ফোনে আসে না চেনা স্বর
সময়ের সাথে সব বদলে যায়
আমিও বদলে নিয়েছি নিজেকে
ওর চোখে আমি দেখি অর্ধ নারীশ্বর।

জীবনের মুহূর্তগুলো সমুদ্রের ঢেউয়ের মত
কখনো মিলে যায় আবার কখনো অমিল
তোমাকে পেয়ে তোমাকে হারিয়ে
আমি খুঁজে বেড়াই অন্য পৃথিবী।
আমার সেই পৃথিবীতে অপেক্ষায় বসে কোন নারী
সে নারী তুমি নও সে আমার 'তুমি'।
পাগল হাওয়া ঘর ভাঙে প্রদীপ নেভায়
সে নতুন করে প্রদীপ জ্বালে
একটু শান্তি একটু উষ্ণতায় - জাগায়।





বড়দিন
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

বেল বাজে রাতে।
স্যানটা ক্লজ গিফ্ট হাতে।
বড়দিনের সাজে
ধরা সেজেছে আজ এ।
জিংগল বেল, গান বাজে।
হৃদয়ে যীশু রাজে।
আমি পড়ে লাল-সাদা ড্রেস
প্রেয়ার করে নিই তাঁর ব্লেস।




বিদায় হেমন্ত
    সুস্মিতা দে

ছেলেমেয়েদের খুশি হয়
হেমন্তের খুশি ।তাদের ছাড়েনা
পাতা ঝড়া সাজে শিশুরা বলে তুমি
শুষ্ক তাই তো ভালোবাসি।

আমার ঠাকমা তোমার
মতো সুন্দর মাথায় চুল নেই ।
বৃদ্ধা তিনি সেই ঠাকুমা
আমাদের অসহায়তার
সময় পরমাত্মার সহায়।

তোমার মতো সাহস দিয়েছিলো
আমার প্রানে প্রেমে ঝড়ে বিপদে
রক্ষা করে হেমন্তর  মতো 
আমরা সবাই খেলি মায়া
পড়ে যায় কতো ?

ঠাকুমা আমাদের স্নেহেময়ী
তোমার মতো সব কিছু
সহ্য করে ।একটি কথা আছে
তুমি একটি কচিপাতা জন্ম
দিয়েছে  তুমি মা তুমি দূর্গা
মায়ের মতো মার রূপে তুমি ।

হেমন্ত কাদঁছে আমাকে বলে
ধরে রাখবি তোর সাথে
বসন্ত ঋতুরাজ কতো কৃষ্ণচূড়া
রাধাচূড়ায় মেখে দোল খাচ্ছে কৃষ্ণ
গোরি রাধার সাথে  বাঁশি বাজায় ?
মীরা বাঈ অনুরাগে ভগবানের
গান গায়, তাই বলে কৃষ্ণ মীরার নয়?






কি হবে যাতনা পেয়ে
       নরেন্দ্র নাথ নস্কর

ক্ষুদ্র এই জীবনে যা পেয়েছ,
তাতেই সন্তুষ্ট থাক।
যা পাওনি তা তোমার হয়ত প্রাপ্য নয় ।
শুধু হা হুতাশ করে সময় নষ্ট করে কি লাভ?
তাতে শুধু শরীর ও মন দুয়েরই কষ্ট দেওয়া হয়।
এটা খুব কঠিন জিনিষ।
পিছন ফিরে তাকিয়ে না পাওয়ার ব্যথায় যাতনা না পেয়ে,
সামনে এগিয়ে যা পেয়েছ সেই  পাওয়ার আনন্দের স্বাদ নিলে জীবন খুশি হয়।
কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে, কিছু পেতে চেষ্টা করলে সময় ভালো কাটে।
অবসাদের মুল কারণ আকাঙ্কিত কিছু না পাওয়ার ব্যথা।
এটা কাটাবার একটা উপায় হল,
যা পেয়েছ সেটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ও যারা পায়নি তাদের সমব্যথী  হওয়া।

বুঝতে হবে আরো অনেক মানুষ আছে যারা তোমার থেকে বেশি খেটেও তোমার থেকে অনেক কম পেয়েছে।

নিচের না পাওয়া বা কম পাওয়া মানুষদের দিকে তাকালে কষ্ট অনেক লাঘব হয়।

আর উপরের দিকে বেশি পাওয়া মানুষদের দিকে তাকালে কষ্ট বেশি হয় ।
তাই ভালো কাজে পরিশ্রম করে যা পাওয়া যায় তাতেই খুশি থাকা উচিৎ কাজ পৃথিবীতে।

দেখা গেছে মন যদি ভালো কাজে ব্যস্ত থাকে তাহলে অবসাদ বেশ কম হয়।
চেষ্টা করলেও যা প্রাপ্য নয়, তা পাওয়া যাবে না।
সত পরিশ্রম করে যা আসবে, সেটুকুই প্রাপ্য।

তাই বৃথা চিন্তায় সময় নষ্ট না করে  ভালো কাজে ব্যয় করা ভালো।





প্রতিবাদী চাষীদের গান
উমর ফারুক

চাষীরা নিরূপায় তাই তো বলি হয়
প্রতিবাদ দিনপাত বিক্ষোভ শুরু হয়
রাজপথে ছুটে চলে অধিকার চাইতে
শৃঙ্খল থেকে ফের স্বাধীন নাও বায়তে
দুই যুগ চলে গেল তিন যুগ পর এই
ইতিহাস বলেছিল হবে যা এখানেই।
মরণের ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দায়
তার চেয়ে প্রতিবাদী মুখ হয়ে থাকা চায়!
টুটি চেপে ধরে ওর বুকে জোর কষ্ট
অন্ন যোগায় যারা তারা পথ ভ্রষ্ট?
চাষীদের বুক ফেটে ঝরে কত রক্ত
পায়নাকো অধিকার হয় কত শক্ত।
যার আছে তারা পায় বিলাতের অন্ন  
এ দেশ মরবে ধুঁকে আহারের জন্য।
কোলাহল রাজপথে শত কোটি চাষীরা
পায়নাকো অধিকার কোটি দেশবাসীরা।
যা চায় করে তাই মরছে কে দেখে না
কারা যোগায় ভাত খবর কি রাখোনা?
লজ্জার খায়  মাথা নেই দুখ তবু্ও
আমার ভায়ের কত দুখ দেখ হে প্রভু,ও!?






সেই দিনটা
   আব্দুল রাহাজ

সেদিন প্রচন্ড ঠান্ডা
পড়েছে ভোরবেলা হাসান তামিম ওরা শিশির ভেজা ঘাসের মধ্য দিয়ে ওদের এবার যে পটল চাষ করেছে সেখানে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর বিনু মাসিরা ও একই পথ ধরে যাচ্ছে একসাথে গল্প করতে করতে ওরা যে যার মাঠে চলে গেল বাবার কাছে পটল খেতে কাজ করবে এখন । ওদের এখন স্কুল ছুটি তাই বাবার সাহায্য করার জন্য মাঠে কাজ করে সারাদিন। বিকালে মৈত্রী নদীর ধারে খেলাধুলা কিংবা রামু দের আম বাগানে গিয়ে বনভোজন করা এই ছিল ওদের সারাদিনের কাজ। সেদিন তামিমদের পটল খুব হয়েছে ওর বাবা বলল চল আজকে হাটে গিয়ে বসি তামিম বলল হ্যাঁ ।আজকে তো আবার হাটবার তামিমের মনে বিশাল আনন্দ জিলাপি খাবে ওর জিলাপি খেতে খুব ভালো লাগে সেই হাটবারে করে ওর বাবা ওই জন্য আনে। সকাল সকাল ওরা পটল তুলে বাড়ি চলে এলো বাপ বেটায় তাড়াতাড়ি করে স্নান করে পটলের বস্তা নিয়ে রাজগঞ্জের হাটে গিয়ে বসলো। এর পরে সব বন্ধুদের সাথে দেখা হলো তামিমের দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল বেশ ভালই বিক্রি হলো। এমনিতে তামিমরা খুব প্রান্তিক মানুষ ওর বাবা সেদিন পটল বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছিল বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা যে হাসি ফুটে উঠছিল মনে সেটা দেখে তামিমের খুব ভাল লেগেছিল সেই তিনটা তামিম আজও ভুলিনি। সেইদিন তামিম জিলিপি স্বাদ নিতে নিতে তেপান্তরের মাঠ দিয়ে বাড়ি এসেছিল এসে বাজার থেকে আনা মাছ রান্না করে রাতে যখন খাবার খাওয়ার সময় হলো তখন তামিমের খুব ভালো লাগছিল সে আজকে মাছের স্বাদ নেবে এরপর মায়ের ডাক শুনে ওর বাবা আর তামিম চলে এলো খেতে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে ওরে যখন রাতে ঘুমোতে যায় তখন ওর বাবা-মা একটা করে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় সেই দিনটা তামিমের কাছে আজ স্মৃতি বিজড়িত কারণ সে ঐদিন মাছ ভাত খেয়েছিল এইভাবে আস্তে আস্তে তামিম বড় হল সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হলেও বহু পালাবদলের পর তামিমের কাছে সেই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকল আজীবন।





অভিমত
সাহিত্যে সমালোচকের প্রয়োজনীয়তা
   -  অগ্নিমিত্র

সাহিত্যে উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছাতে হলে সমালোচনা তো লাগবেই । তাই সাহিত্যে সমালোচকের প্রয়োজন । তবে তা যেন গঠনমূলক সমালোচনা হয়। বিদ্রূপ বা খেউড় হলে সেটা কোনো কাজের নয়।
সমালোচনা মানে কিন্তু সব সময়ে নিন্দা করা  নয়। যে কোনো জিনিস বা বিষয়ের ভালো ও খারাপ দিক, দুটো নিয়েই আলোচনা করার নামই সমালোচনা ।
   গঠনমূলক সমালোচনা একজন লেখককে লেখার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্যই করে । লেখকের যদি কোনো খামতি থাকে লেখায়, তবে সেটি সমালোচনার মাধ্যমে তার দৃষ্টির গোচর হয়। পাঠক কী পড়তে চাইছেন, তাও বোঝা যায় ।.. এই জন্যই আমি মনে করি যে আমার বা যে কোনো লেখকের এক হাজার জন প্রশংসক যদি নাও থাকে তো ক্ষতি নেই, কিন্তু অন্তত একজন যথার্থ সমালোচক যেন থাকে, যে লেখার ভালো ও মন্দ দিক, দুটোই বলবে । সব বড় বড় সাহিত্যিকেরই এরকম সমালোচক ছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথেরও অনেক সমালোচক ছিলেন । যারা সদর্থক সমালোচনা করতো, তাদের তিনি সমাদর করতেন; আর যারা শুধু অকারণে প্রচারের আলোয় আসার জন্য সমালোচনার নাটক করতো, তাদের কথায় তিনি কর্ণপাত করেননি ।।











0 comments: