শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 26/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 26/12/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


   শীতের সেই রাতদিন
   ডঃ রমলা মুখার্জী

শীত ক্রমশ বিলীয়মান সঙ্গে নিয়ে শীতের পিঠে-
মা বানাতেন ঝাল-নোনতা,কিছু আবার বেশ মিঠে।
পিঠে তৈরির পাঠ আজ আর রান্নাঘরে নেই-
মন চাইলে দোকানে বা মেলার মাঠে পাই।

রোদে পিঠ দিয়ে ঠাম্মি দিতেন গহনা বড়ি-
মায়ের আমলে গোল-গাল,স্বাদে আহা মরি !
কোনটা মশলা,কোনটা মুলো, কলাই-মুসুর বড়ি-
এখন বড়ি দোকানে,প্যাকেট কিনে ঘরে ফিরি।

হারিয়ে গেছে শীতের কাঁথা,যুগটা বড় আধুনিক -
রকমারি বাহারি কম্বল,আগাগোড়া সিন্থেটিক।
হাল্কা শীতে মা বানাতেন পাতলা  পাতলা সুজনি কাঁথা,
ওঃ,সে কি আরাম! মায়ের পরশ পা থেকে মাথা!
বাবার কাঁথায় ফুল,লতা,সুন্দর সে নক্সি-কাঁথা-
ঠাম্মী তুলতেন কাঁথাতে নক্সা,সে সব এখন গল্প কথা।
পুরনো কাপড়, পাড়ের সুতোয় অপরূপ শিল্প গাঁথা-
খুব শীতে ঠাম্মী নিতেন মোটা একটা লেপ-কাঁথা।
লেপ-কাঁথা লেপের মত,বেশ মোটা আকারে বড়-
আমিও ঢুকে পড়তাম তাতে ভীষণ শীতে হলেই জড়ো।
মা-ঠাম্মির গল্পগুলো কাঁথায় আছে সেঁদিয়ে-
নিখরচার কাঁথা-শিল্প কোথায় গেল  হারিয়ে!








এশিয়াড
  বদরুদ্দোজা শেখু


নাতিদূরে দেখা যায় এশিয়াড গ্রাম
ঝিলমিল আলোর লহরী জাগে আচ্ছন্ন বিভায়
মাঠময় ইতস্ততঃ , নবম এশিয়াড ক্রীড়াচক্রের অকুস্থল
আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধা সমন্বিত, দেশি বিদেশী
দর্শক সমর্থক ভাষ্যকার ইত্যাকার বিশিষ্ট জনেরা
এলেন গেলেন লাখ লাখ , ভিড় সামলাতে
বাইপাস উড়ালপুলে ছেয়ে গেল রাজধানী
আর অক্লেশে উচ্ছেদ হলো হকার ভিক্ষুক উদ্বাস্তু
অবাঞ্ছিত প্রাণীকুল , রাজধানী সুন্দর হলো অসম্ভব
দ্রুততায় জরুরী ভিত্তিতে ।
যথাসাধ্য স্বচ্ছন্দ করা হলো অতিথি-কুলের  ভ্রমণ - যাপন।

চিত্ত-আলোড়ক সেই এশিয়াডে আয়োজক দলের সাফল্য
বড়োই করুণ , আশি কোটি ভারতবাসীর মাথা নত অজন্মা অনাথ।
অবশ্য বিশাল এশিয়াড আয়োজন সংগঠন
নিরাপত্তা বিধান বিলক্ষণ গৌরবের বটে ,
বিশেষতঃ জায়মান প্রচার -মাধ্যমে আর সরকারী মহলের
বিত্তদুষ্ট চালচক্রে , আত্মতুষ্ট  বেহায়াপনায় ।

এশিয়াড উপলক্ষ্যে দিল্লীর চেহারা হালফিল হলো
প্রসাধন বিনোদন সুরক্ষার সুচারু ব্যবস্থাপনায় , অসহায়
দেশবাসী অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-স্বাস্থ্যের কাঙাল,
এক পা-ও এগোলো না , ক্রীড়া জগতের উন্নয়নে
সরকারী প্রয়াস নাই , মদত নাই ,
পরিকল্পনা নাই , বাজেট বরাদ্দ নাই ,
দীর্ঘমেয়াদী কোনো লক্ষ্য নাই , পরিকাঠামো নাই,
দেখে শুনে মনে হয় এশিয়াড গ্রাম
অধুনা অকেজো । চমৎকার , চমৎকার কেন্দ্রীয় সরকার ।

আকস্মিক সন্ত্রাস রোখার অজুহাতে
আগে থেকে ছকে'-দেওয়া সফর-পঞ্জীর আনুকূল্যে
সীমিত বহরে সাজানো শহর দেখে বিদেশীরা
এদেশের প্রকৃত স্বরূপ দেখার উপায়
পেলেন না কিছু , রাজধানী থেকে অবাঞ্ছিত
উদ্বাস্তু হকার ভিক্ষুক কুলিমজুর
বিমুক্ত রাখার পরিকল্পনার ধন্য সুচারু নিষ্ঠায়, নিশ্ছিদ্র
নিরাপত্তার প্রয়োগে ।
দেশবাসী ধন্য হলো
অগ্নি-পরীক্ষার উত্তরণে , সংবাদের
সাধুবাদে , এশিয়াডের শিক্ষায় , ধন্য ,
ধন্য  গণতান্ত্রিক সরকার !!




মনকেমনের কথা
মোহর ভট্টাচার্য্য

মনকেমনের কথা রা  আজ একলা,
চেয়ে তোমার উপস্থিতি।
ওরা চায়না নিজেদের  উত্থাপন করতে।
তুমি কোথাও আছো এই বিশ্বাসে থাকে জীবিত।
আমি শুনে চলি ওদের তোমাকে চাওয়ার তাগিদের কথা।
জানতে চাওনি তুমি কোনোদিন ওদের কথা
তবুও ওরা বাঁচে তোমার উপস্থিতির অপেক্ষায়।
মনকেমনের  কথা রা আজ বড় একলা।






এক অসমাপ্ত বন্ধুত্ব
আব্দুল রাহাজ

ওরা তখন ছোট গ্রামের পাঠশালায় পড়াশোনা করত সে আজ থেকে দশ বছরের আগের কথা এখন আর তার সাথে দেখা নেই সব যেনো দিনগুলো এলোমেলো  হয়ে গেল। গ্রামটির নাম ছিল মধুপুর নদী-নালা গাছপালা আবৃত এই গ্রাম পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলত বেশ মানুষগুলো ছিল অতি সরল সাদাসিদে সবাই একসাথে বসবাস করত‌। সেরকমই সামাদ এর জন্ম ওই গ্রামের এক প্রান্তিক দুবেলা-দুমুঠো খেতে না পাওয়া ঘরে খুব কষ্টে সামাদের ছোটবেলা কেটেছে ভাগ্যিস গ্রামের স্কুলের পাঠশালায় বৃত্তি পেয়েছিল নইলে তাদের অভাবে এখনো থাকতো। এখন সামাদ শহরে থাকে একজন মস্ত বড় ব্যবসায়ী হয়েছে তার সাথে সাথে গ্রামের ছেলে দের নিয়ে গ্রামটি কেউ উন্নতি করছে। গ্রামের পাঠশালায় পড়াকালীন পাঠশালার পন্ডিত রওশন আলী একমাত্র মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব তার সাথে বাল্যকাল শৈশবকাল সখা নদীর পাড়ে কত গল্প কত খেলা সব জানো মনের মনিকোঠায় সামাদের স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।তারপর আর দেখা হলো না এখন কে কোথায় সব যেন এলোমেলো হয়ে গেল সামাদের এখন এসব কথা মনে পড়লে কোথাও যেন অসমাপ্ত থেকে যায় তাদের এই বন্ধুত্বের মধ্যে কিন্তু যে স্মৃতি তা যেন কোথাও পূরণ করে দেয় ‌।






উমর ফারুক এর দুটি কবিতা

সর্ষেফুল
উমর ফারুক

হাঁটছি যেদিক সর্ষেফুল
দেখতে ভালো খুব রঙিন
সুরভী মাথা ঘাস ঘুমায়
হয়েছে তারা আজ প্রবীণ।
শিশির কণা জমছে বেশ
পাতায় পাতায়  বিন্দু জল
সবুজ পাতার ছত্রতে
পৌষ গড়েছে পূর্ণ দল।
শুন্য হয়ে ও গগন হে..
সুর্য কেন তাতছে কম
মিঠা রোদের ছায়া খেয়ে
সর্ষে গলে হচ্ছে মোম।

  সর্ষে ক্ষেত
উমর ফারুক

এই ক্ষেত কুয়াশার জন্য
ভিজে পা পথটা বিপন্ন
একা রব একজন এ ক্ষেতে
ভাললাগা মিশে যায় যেতে যেতে।
হেঁটে যায় মনটা উচ্ছন্ন
ফিরে চাই পিছনে অরণ্য
ফুল দিয়ে সাজানো ওই ক্ষেতে
রঙ লাগে পরনের বসনেতে ।
সবুজের পতাকাই সর্ষে
একা মন কি যে ভয় করছে!
নির্জন নিহারিকা ফাঁকা মাঠ
দেখা যাই সুন্দর দূর হতে ।
কি ভালো লাগছে কি ভালো!
পুব কোনে ডুবে যায় সূর্য
দেখা যায় প্রকৃতির ঐশ্বর্য্য
ঝিরি ঝিরি শিশিরও বর্ষে।





সত‍্যকেরে ভালোবাসিলাম
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

সত‍্য কথা কইলেরে ভাই,ঢেলা ছুঁড়ে মারে।
আঘাত লাগে,যন্ত্রনা হয়,চেতনাতিন মনে।
শাক দিয়ে মাছ যাইনা ঢাকা,বুঝবি আর কবে।
সত‍্য একদিন উঠবেই জ্বলে,ধংসের নিষান হয়ে।
মিথ্যা আর অসত পাপের,ফল ভোগকরবি সব।
সত‍্যের কাছে হারমেনে,মিথ্যা হবে বেলুন ফট।
তাইনা ভেবে,তাই আমি,করছি স্বপথ আজ।
সত্যকেরে তাই ভালোবাসিলাম।
সত‍্যকেরে ভালোবাসিলাম।।

1 টি মন্তব্য: