রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 13/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 13/12/2020, রবিবারবার
               সময় :- রাত 09 টা. 40 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

পবিত্র ভালোবাসা  ভালো  লাগে.....
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

পবিত্র  ভালোবাসা  আজও  আমার  সমান  ভালো  লাগে,
এই  পাহাড় ,ঝর্ণা,অরণ্য,চা বাগান,খরস্রোতা  নদী,
আমি  খুব  খুশী  হবো,এই  ভালোবাসা  দিয়ে  সুখী  করো  যদি!
ভোরের  সূর্য,কুয়াশা,বরফ ও  ঠান্ডা  বাতাস,
মায়াবী  রাতের  রূপালী  চাঁদের  কবিতা,
তোমারও  কি  ভালো  লাগে  না?বলো  মিতা,
আমি  তো  আগের  মতো  আছি,জানো,অসমের  কবি  সঞ্চিতা?
এই  করোনার  আবহে  কমে  গেছে  কাজ,
ঘরে  বসে   দূরের  ও  কাছের  কবিদের  কবিতা  পড়ছি  আজ৷
চেনা  পৃথিবীর  ছবিটা  কি  পাল্টে  যাচ্ছে দাদা?
সততার  সাথে  সবাই  বলছে  কি  আর  কালোকে  কালো?  সাদাকে  সাদা?
সবকিছু  দুপায়ে  মাড়িয়ে  পবিত্র  ভালোবাসা আরো  এগিয়ে  চলুক,
এই  পাষাণ  পৃথিবীতে  নরনারী  খোলা  মনে  আরো  ভালোবাসার  কথা  বলুক৷
——————————————————



কাজল
শান্তি দাস

নাম তার কালি কিন্তু কত সুন্দর,
চোখের রূপরেখার টানে সে কাজল।

সেই কালি মেখে দিলে হয় কলঙ্কিনী,
কি মহিমা কাজলের,মায়াবী চোখের টানে।

কৃষ্ণকলি কাজল টানে,পটল চেরা চোখে,
আকর্ষিত কত শত নরের হৃদয় চুম্বনে।

কালি হয়ে ও কলঙ্ক ঘুছাতে কাজল,
সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে শত নারীর চোখে।

কাজল কখনো হইও না কালি কারো নজরে,
তোমায় দিয়ে রূপের বাহার যৌবনের পরশ।

কাজল চোখে পড়ে সে মায়ার টান টানে,
কাজল থেকো না কালিরূপে কলঙ্কিনী হয়ে।




প্রবন্ধ
ভালো রহস্য গল্পের বৈশিষ্ট্য
   -  অগ্নিমিত্র

  সার্থক রহস্য কাহিনী হতে হবে টানটান উত্তেজনাময়। রহস্যের সাথেই যুগ্ম শব্দের মতো চলে আসে ' রোমাঞ্চ'; তাই কাহিনীর বাঁধন যেন ঢিলে না হয়  । পাঠকের আকর্ষণ যেন তা টেনে ধরে রাখতে পারে । সবসময়ই যেন পাঠকের মনে হয় - এবার কী হবে ? কী হলো ব্যাপারটা? এর পিছনে কারণটা কী? রহস্য কাহিনীর দৈর্ঘ্য হতে হবে বেশি বড় নয়, আবার বেশি ছোটও নয়। আবার এই ধরনের গল্পে গোয়েন্দা চরিত্র থাকতে পারে, আর ভূত বা অশরীরী আত্মাও থাকতে পারে। আবার এগুলো না হলেও সার্থক রহস্য গল্প সৃষ্টি হতে পারে । আবার প্রাকৃতিক কোনো ঘটনাকে রহস্যের আবরণে মুড়ে খুব ভালো  রহস্য গল্প লেখা যায়। লেখায় মুন্সিয়ানা থাকতে হবে । মোট কথা, পাঠক যেন আকৃষ্ট হয়। তবেই রহস্য গল্প সার্থক হবে।
  বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় এমন অনেক রহস্য গল্প আছে। সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এসব রহস্য গল্প । বাংলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রকুমার রায় ও নীহাররঞ্জন গুপ্ত রহস্য গল্পের সার্থক রচয়িতা । রহস্য গল্প অনেক সময়ে কমিকসের আকারেও প্রকাশ পায়।.. ভালো রহস্য গল্প থেকে অনেক ভালো ও সর্বজনপ্রিয় ছবিও তৈরী হয়েছে ।
  আজকাল আর বাংলায় রহস্য গল্প তেমন লেখা হচ্ছে না। তবে পাঠক আজও এরকম লেখা পড়তে চায়। সেই রহস্য গল্পের দিন ফিরে আসুক ।।..




জীবন সায়াহ্নে
   সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

     কী কথা বলিব কারে হায়
     এমন ব্যাকুল দিনে কী বা যায়--
এমন প্রখর ভারে      শরীর হাহা করে
         মরণ যেন সদা কাছে চায়।।

     বেদনা বোঝাবো কারে আর
     সকলে দূরে যে চলে আমার।
বসে না কাছাকাছি    শুধায় না কেমন আছি
      আঁখি তে রুধিরধারা বয়ে যায়
        জোছনা দুয়ারে এসে ফিরে যায়।।

       পুত্র পরিজন যেন সব
       ধনাদি লয়ে করে কলরব
কেবল মুখ দিয়ে  আশার আশা নিয়ে
        মিলন সুধা পানে ছূটে হায়
        হৃদয়ে শত ব্যথা ভরে যায়।।

       ক্ষণিক দুখে ভরে মনপ্রাণ
       শয়নে বিজনে শোনে কলতান
শুধুই মিছিমিছি      কলহ নিবিড় সাজি
         আসন বিছায়ে সেথা লয় স্থান
         যে কথা বলিতে কাঁদে প্রাণ।।

          বুঝেছি এতে কারো বয়ে যায়
          ভাঙা মন বোঝেনা প্রীতি কোথায়
আঁধারে দীপ জ্বলে    বাড়ির তুলসী তলে
         প্রেম স্মৃতি অনুরাগে ফিরে তাকায়
         দিনান্তে পরাণ খানা ভেঙে যায়।।

          এখনো লাজ উপেক্ষা বারোমাস
          কত কটুক্তি নানা উপহাস---
কতজনা মোড়ে মোড়ে   শোনায় উপহারে
        যে কথা শুনিলে কান ভুলে যায়
        কী কথা কারা বলে হেথা হায়।।

       ওরে মূর্খ, এতে তোর কী বা বহে যায়
        অবনতি বসে সময় গুনে যায়
যে কথা শুনে শুনে    ব্যথা ভরে মনে
       সে কথা ভেবে কর তুচ্ছ তায়
       মরণ যদি আসে ডাকো তায়
মিলন সুখ পাবে যদি বিধি চায়।।





হায় রে হৃদয়!
অঞ্জলি দে নন্দী, মম

শীতের রাত তাকে কাঁপচ্ছে।
হাঁপানিতে সে হাঁপাচ্ছে।
আমি আমার কাঁচের জানলা দিয়ে দেখলাম তাকে।
ও আমার বাড়ির সামনে ফুটপাতে থাকে।
বয়স সত্তর মত হবে।
কেউই নেই ওর এ ভবে।
ধরা গলায় কীর্তন গায়।
আর ভিক্ষা করে খায়।
আমি ওকে ঠান্ডার রাতে
দিলুম একটি গরম কম্বল নিজের হাতে।
ও নিজেকে জড়ালো তাতে।
একটু পরে তার ভেতরে ঢুকল বেশ ক'টা কুকুর ছানা।
ও ওদেরকে করল না কোনোই মানা।
ওরা ওর চেনাজানা।
একই ফুটপাতে তো থাকে।
হ্যাঁ, এবার ও ওই কম্বলটিতে ওদের গা ঢাকে।
আর কম্বল ছেড়ে নিজেকে বাইরে রাখে।
শীতে ও কাঁপতে থাকে।
আমি ওপর ঘরের বন্ধ কাঁচের জানলা দিয়ে দেখি।
হায় রে হৃদয়! এ কী?
সত্যই অশেষ প্রেমাধার নয় সে কী?
সারা দুনিয়া আজও হয়ে যায় নি মেকী!
এরপরে আমি বিছানায় বসে নিজেকে হট এয়ারে সেঁকী।






                   বাবা
           হামিদুল ইসলাম
              

বাবার হাত ধরে চলতে চলতে
এক সময় পৌঁছে যাই
স্কুল
স্কুলের গেট তখনো খোলে নি
বাবা দাঁড়িয়ে থাকতেন আমার জন‍্যে
ছুটির ঘণ্টা পড়তো
বাবা স্কুল গেটে
বাবার হাত ধরে চলতে চলতে বাড়ি ।।

মা'র সেই করুণ মুখ
পুকুরের শান বাঁধানো ঘাটে বসে
ধুয়ে নিতাম চোখ মুখ
সুর্য ঢলে পড়তো বিকেলের শেষ প্রান্তে
মা খুব ব‍্যস্ত
আমার খাওয়া দাওয়া নিয়ে
কখনো চিড়ে দই
কখনো সন্দেশ মুড়ি

এখন বাবা মা কেউ নেই
আমি অনাথ
তালগাছ
সামান‍্য হাওয়ায় বাড়িয়ে দিই হাত
হাতে বাবা মায়ের স্নেহের পরশ
হারিয়ে গেলো শৈশব কৈশোর
যৌবনের উদ্দীপ্ত প্রভায় এখনো স্বপ্ন দেখি
বাবার হাত ধরে আমি স্কুলে যাচ্ছি ।।

এ যাওয়ার শেষ নেই ।।







একাত্ম হৃদয়
নরেন্দ্রনাথ নস্কর

ফুলে যখন মৌমাছি বসে,
সে দৃশ্য কখনও হৃদয় ভরে দেখেছ?

পথ চলতে চলতে ঝিঙেফুল ভরা মাঠ দেখে মুগ্ধ হয়ে, কোনদিন তার সৌন্দর্যে বিহ্বল হয়েছ?

হাওয়ায় সবুজ ধানের ক্ষেত দুলতে দেখে মন কখনও উদাস হয়েছে?

বসন্তের সন্ধ্যায়  পলাশ, শিমূল ফুলের লাল রঙের সাথে কখনও সূর্যাস্তের রঙ মিলিয়ে একাকার হয়েছ?

গ্রীষ্মকালের দুপুরে রাস্তার পাশে বটবৃক্ষের তলায় বসে কখনও কবিতার কথা ভেবেছ?

কপোত কপোতীকে পাশাপাশি বসতে দেখে, কখনও হৃদয়ে প্রেমের কথা মনে এসেছে?

বৃষ্টির দিনে একলা ঘরে বসে, কারোর কথা ভেবে কোনদিন মন উদাস হয়েছে?

শীতের হিমেল হাওয়ায় কোন গাছের পাতা ঝরা দেখেছ?

সমুদ্র দেখে কখনও তার বিশালতায় নিজেকে  অতি ক্ষুদ্র এ কথা মনে  হয়েছে?

আকাশের নীলিমায় নিজের মন কোনদিন কিছু সময়ের জন্য হারিয়েছে?

বসন্তের সমীরণে কোন কবিতার লাইন কোনদিন মনে এসেছে?

কাহারও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কখনও অন্য কল্পনার  জগতে চলে গেছ?

কারো বেদনায় কখনও  ব্যথিত হয়ে চোখে জল এসেছে?

বড় হয়ে শিশুর মতো ছেলেমানুষি কখনও  মনে এসেছে ?

পথ চলার হিসাবের থেকে বহুদুরে মন কখনও চলে গেছে?

প্রকৃতির সাথে  কখনও  একাত্মতা অনুভব করেছ?







অমর জ্যোতির পাদদেশে
বদরুদ্দোজা শেখু

জুলাই মাসের জ্বলন্ত দুপুরে একদিন
হেঁটে হেঁটে  পৌঁছলাম ইন্ডিয়া  গেটের প্রচ্ছন্ন  ছায়ায়,
ধীর পায়ে ঘুরে ফিরে  স্থাপত্যকে  দেখতে  বিভোর
যথাসম্ভব সময় দিলাম ওখানে আমরা দু'জন
দূরাগত , তোরণের  পাদদেশে কতক্ষণ দাঁড়িয়েছি
ঠিক মনে নাই,আনমনা মূহুর্ত্ত কখন্ থেমে গেছে  ,
মনে হচ্ছে আমরা দেখছি নিকট ও দূর  দৃশ্যপট
আচ্ছন্ন প্রকট।


চারিপাশে সবুজ ঘাসের বিস্তীর্ণ ময়দান
তারি মাঝে ইন্ডিয়া গেট দূর থেকে দৃশ্যমান
শৌর্য বীর্য ত্যাগ  ও প্রেমের মূর্ত প্রতীক-চিহ্ন
গগনতলে সমুন্নত সৌধতে উদ্ভিন্ন
স্বাধীনতার বীর শহীদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা
স্মরণীয় বীরগাথার আবৃত্ত অভীক্ষা
ঘুরছে বিজন বায়ুস্তরে ঘোর  প্রগতিপন্থী,      
মনে হচ্ছে কোথাও যেন নাই সময়ের গ্রণ্থি;
তোরণ-তলে প্রবহ্নিমান অমর জ্যোতি জ্বলছে
স্ফূলিঙ্গ তার অনন্ত এক চিতার কথা বলছে
তারি মূর্ত প্রতীক পাশে দণ্ডায়মান দু'জন
সশস্ত্র ধীর সান্ত্রী সেনার বলিষ্ঠ সঞ্চরণ
ভঙ্গিমাতে একাগ্রতা মনঃসন্নিবিষ্ট ;
দেওয়ালগুলোয় উৎকীর্ণ আছে নিরুদ্দিষ্ট
অপরিচিত কতো যে নাম--আড়াল কর্মনিষ্ঠা
উঠে আসছে অজ্ঞাত এক ইতিহাসের পৃষ্ঠা
পাদদেশে না দাঁড়ালে হয় না যা আয়ত্ত্ব
উপলদ্ধির বিষয় তার সে অনুচ্চার আবর্ত ।
দু'ধারে দূরে দেখছি দু'টি সমান্তরাল তোরণ
অক্ষানুরূপ , আলম্বিত ময়ূর -সিংহাসন
মনে হচ্ছে দূর থেকে তা অস্পষ্ট রেখায়
ফটকগামী  সড়ক বরাবর উলম্ব শিখায়,
আরো দূরে দেখছি কিছু, দাঁড়িয়ে আছি মৌন-
দেখছি মহৎ ত্যাগের তীর্থ, ইন্ডিয়া গেট গৌণ।
মোহাচ্ছন্ন মনটা কোথায় উধাও অন্য দৃষ্টি
অমর জ্যোতি অন্তরে, ময়দানে অগ্নিবৃষ্টি,
অস্তিত্ত্বের তুচ্ছতাকে অনুধাবন করছি
আরো একবার, আরো একবার স্মৃতি-সৌধ গড়ছি ।



কর্তব্যরত সান্ত্রীদের সন্দিগ্ধ তাগাদায়  
মাঠে মাঠে হেঁটে ক্লান্ত আমরা যখন রাষ্ট্রপতি
ভবনের উদ্দেশে চললাম, পিছনে অমর জ্যোতি নিহত  জওয়ানদের অনির্বাণ স্বদেশপ্রেমের
পবিত্র    নিদর্শন-স্বরূপ সমুন্নত এক
ঐতিহাসিক  তোরণ নয়, মনে হলো---
সমস্ত শতাব্দীর নির্ঘন্ট-ফটক বরাবর
শ্রদ্ধাবনত প্রজন্ম পরম্পরা আমরা মহান
স্বাধীনতা সংগ্রামের মৃত্যুঞ্জয় মহাদেশ পেরিয়ে এলাম।।
                   



উড়ার নেই সাধ
সুস্মিতা দে

   আজ চলবো মেঘের সাথে
ভেলায় চলবে তুমি নয়
আমার সাথে আজ এ এক
অন্য সাজে জীবনের
অজানা কোন হাসি কান্নার
মুখোশ মাঝে।আমায় কেউ
চিনবে না তখন বুক ভয়ে কাঁপে ।

অজানা অচেনা মানুষ হবো
না আমি , আকাশে উড়ার নাহি
  কোনো সাধ ইচ্ছে করে ভেসে
   যাবো ঐ দেখা যায় সূদর পানে
  পাল তোলা নৌকা কেমন করে
         নীল রঙা ঢেউ নিয়ে হেলে
          দুলে যায় ছোট্ট মেয়ে
                বেনী  দুলিয়ে যায়

  ভোরের বেলায় ফিরে দেখি
   কুয়াশার চারিধার ।আকাশের
   উড়িবার ইতিহাসে পড়ে গেছে
   যতো ছিলো সেই পুরোনো দিনের
     পরিবার সাথে স্মৃতি উড়ানের
         আনন্দের উল্লাস।

0 comments: